Dr. Naznin Akter

Dr. Naznin Akter হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

🌸কিসমিস (Raisins) একটি জনপ্রিয় শুকনো ফল যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি স্বাস্থ্যরক্ষায় নানাভাবে সাহায্য করে। নিচে কিসমিসের ক...
27/01/2025

🌸কিসমিস (Raisins) একটি জনপ্রিয় শুকনো ফল যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি স্বাস্থ্যরক্ষায় নানাভাবে সাহায্য করে। নিচে কিসমিসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:👇👇

👉 শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

কিসমিসে প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) বিদ্যমান, যা শরীরকে দ্রুত শক্তি যোগায়। এটি কাজের জন্য অতিরিক্ত এনার্জি সরবরাহ করে।

👉 হাড় মজবুত করে

কিসমিসে ক্যালসিয়াম এবং বোরন রয়েছে, যা হাড়ের গঠনে এবং শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। এটি অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে কার্যকর।

👉 হজম শক্তি উন্নত করে

এতে থাকা ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে এবং হজমশক্তি উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কিসমিস উপকারী।

👉 রক্তস্বল্পতা দূর করে

কিসমিসে আয়রন, কপার এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক।

👉 ত্বক সুন্দর রাখে

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকার কারণে কিসমিস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।

👉 হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

👉 দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে

কিসমিসে বেটা-ক্যারোটিন ও ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস আছে, যা চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর।

👉 ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কিসমিস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।

ব্যবহারের টিপস👇👇

কিসমিস রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে এর উপকারিতা দ্বিগুণ হয়।

এটি নাস্তার সাথে বা মিষ্টি খাবার তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়।

নিয়মিত কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক হতে পারে, তবে পরিমাণে সঠিক থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।🌸🌸

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

🌸সুস্থ দেহ, সুস্থ মন পেতে চাইলে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখবেন যে সব খাবারঃ
26/01/2025

🌸সুস্থ দেহ, সুস্থ মন পেতে চাইলে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখবেন যে সব খাবারঃ

🌸এসিডিটিতে ভুগছেন জেনে নিন কিছু উপায়ঃএসিডিটি কমানোর জন্য কিছু খাবার রয়েছে যা পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ কমাতে সাহায্য কর...
25/01/2025

🌸এসিডিটিতে ভুগছেন জেনে নিন কিছু উপায়ঃ

এসিডিটি কমানোর জন্য কিছু খাবার রয়েছে যা পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ কমাতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দূর করতে সহায়ক হতে পারে। এসব খাবার হজম প্রক্রিয়া সহায়ক, পাকস্থলীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পেটের অস্বস্তি কমায়।

🌸এসিডিটি কমাতে যেসব খাবার দ্রুত কাজ করেঃ

1. কলাঃ কলা একটি সহজপাচ্য ফল যা পাকস্থলীতে অম্লীয়তা কমায় এবং অ্যাসিডিটির প্রভাব দূর করে। এটি পেটের জন্য শান্তিদায়ক এবং হালকা খাবার হিসেবে কাজ করে।

2. পেঁপেঃ পেঁপে একটি চমৎকার ফল যা হজম সহায়ক এবং পাকস্থলীর অ্যাসিডের ক্ষরণ কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক এনজাইম পাপাইন ধারণ করে, যা প্রোটিন হজমে সহায়তা করে।

3. ওটসঃ ওটস হালকা এবং হজমে সহায়ক, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হতে বাধা দেয়। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় খাবারের হজম প্রক্রিয়া সহজ করে।

4. শশাঃ শশা একটি অম্লীয়তা কমানোর জন্য আদর্শ খাবার। এতে জলীয় উপাদান বেশি থাকে এবং এটি পেট শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

5. আদাঃ আদা হজমে সহায়তা করে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে। এটি পাকস্থলীর অ্যাসিড কমানোর জন্য একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। আপনি আদা চা বা কাঁচা আদা খেতে পারেন।

6. মধুঃ মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং পেটের ক্ষত এবং অ্যাসিডের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি পেটে শান্তি দেয় এবং হজমকে সুষ্ঠু রাখে।

7. বাদামঃ বাদাম (বিশেষত আখরোট বা মিষ্টি বাদাম) প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ, যা পাকস্থলীতে অ্যাসিড ক্ষরণ কমাতে সহায়তা করে।

8. সোয়া মিল্কঃ গরুর দুধের পরিবর্তে সোয়া মিল্ক বা বাদাম মিল্ক পান করা ভালো। এটি হালকা এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড ক্ষরণের প্রভাব কমায়।

9. আলু ও মিষ্টি আলুঃ সেদ্ধ আলু এবং মিষ্টি আলু প্রাকৃতিকভাবে তাজা এবং হালকা খাবার। এগুলি পাকস্থলীতে অম্লীয়তা কমায় এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে।

10. হালকা স্যুপ (তেলছাড়া)ঃ
হালকা স্যুপ যেমন সেদ্ধ গাজরের স্যুপ, চিকেন স্যুপ, বা ভেজিটেবল স্যুপ পেটের জন্য ভালো। এতে অতিরিক্ত তেল এবং মশলা কম থাকে, যা এসিডিটি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

11. মধু এবং লেবুর রসঃ সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মধু এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এটি পেটের অতিরিক্ত অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। তবে, খুব বেশি লেবুর রস পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত নয়।(যাদের লেবু খেলে গ্যাস বাড়ে তারা এড়িয়ে চলবেন)

12. খেজুরঃ খেজুর অম্লীয়তা কমাতে সহায়ক এবং পাকস্থলীতে শান্তি আনে। এটি হজম প্রক্রিয়া সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

🌸এসিডিটি কমাতে যে সব পানীয় গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা রাখেঃ

আদাঃ এক কাপ গরম পানিতে এক টুকরো আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিন এবং পান করুন। এটি হজমে সহায়তা করে।

পানিঃ প্রচুর পানি পান করা হজম প্রক্রিয়া সমর্থন করে এবং পেটের অম্লীয়তা কমায়।

কোকোপানিঃ কোকো পানি পাকস্থলীর অ্যাসিড কমাতে সহায়তা করে এবং পেটের সমস্যা দূর করতে পারে।

🌸অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিতঃ

👉মশলাদার ও ঝাল খাবার

👉তেলযুক্ত বা ভাজা খাবার

👉ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল

👉টক জাতীয় খাবার

👉চকোলেট এবং মিষ্টি খাবার।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

🌼হাঁপানি রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃদীর্ঘমেয়াদী হাঁপ বা বারবার হাঁপের আক্রমনকে হাঁপানি বলে। হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের ক্রনি...
24/01/2025

🌼হাঁপানি রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

দীর্ঘমেয়াদী হাঁপ বা বারবার হাঁপের আক্রমনকে হাঁপানি বলে। হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের ক্রনিক প্রদাহ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলো সর্বদা প্রদাহজনিত কারনে লাল ও সংবেদনশীল থাকে, এ সংবেদনশীল খুদ্র শ্বাসনালীগুলো যদি ঠান্ডা, ভাইরাস জীবাণু অথবা হাঁপানি উদ্দীপক অন্য কোন সংস্পর্শে আসে তখন সেগুলোতে প্রতিক্রিয়াজনিত সংকোচন ঘটে, ফলে শ্বাসনালী সংকীর্ণ হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হয় এবং রোগীর শ্বাসকষ্ট হয়।

কারনঃ হোমিওপ্যাথি মতে সোরা-ও সাইকোসিসের উপবিস এর প্রধাণ কারন, যেমন কারো গণোরিয়া বা চর্মরোগ মলম দিয়ে বা বিসদৃশ পন্থায় চিকিৎসা করার পরে এ রোগটি ফুসফুসে আক্রমণ করলে এর নাম হয় হাঁপানি, লিভারে আক্রমন করলে হয় লিভার সিয়োসিস, কিডনিতে আক্রমন করলে হয় নেফরোসিস। এলার্জির কারনে হাঁপানি হতে পারে, ধূলা-বালি, ফুলের রেণু, পশুপাখির লোম, বিভিন্ন ধরনের খাদ্য ইত্যাদিতে যদি কারো এলার্জি থাকে তবে হাঁপানি হতে পারে। কম্বল, কার্পেট, লোমশ পোশাক অনেক সময় হাঁপানির কারণ হতে পারে। ধূমপান করলে হাঁপানি হবার সম্ভাবনা থাকে।

প্রকারভেদঃ👇

ক্রণিক হাঁপানিঃ এটা এপিসোডিক হাঁপানি যা বছরের পর বছর যোগী কষ্ট পায়, কাশি মিউকাস মিশ্রিত থুথু এবং বারবার শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ দেখা যায়, যখন রোগের অন্য লক্ষণ থাকে না তখনও Bronchi দেখা যায় এবং হঠাৎ মারাত্মক আকার ধারণ করে।

Acute severe Asthamaঃ
এ ধরনের এ্যাজমা খুবই মারাত্বক, এই হাঁপানি থেকে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

উপসর্গ ও লক্ষণঃ 👇
নারীর গতি হটাৎ ১২০ এর বেশি সেই সাথে পালসাস প্যারাডক্স থাকে এবং পরে কমতে থাকে। একসাথে পুরো বাক্য বলে শেষ করতে পারে না, সেন্ট্রাল সায়ানোসিস থাকতে পারে, অবসন্নতা, রক্তচাপ প্রথমে বাড়ে পরে কমতে থাকে। ফুসফুসের কোন শব্দ না হওয়া আর্থাৎ Silent chest,হঠাৎ মারাত্বক হাঁপানির প্রধান কথাই হলো রোগীকে দ্রুত বিপদমুক্ত করতে হবে। হোমিও ঔষধ দিয়ে রোগীকে সাথে সাথে হাসপাতালে পাঠাতে হবে, সহনশীল অবস্থায় এলে লক্ষণভিত্তিক হোমিও চিকিৎসা দিতে হবে।

চিকিৎসাঃ👇

1. Ammonium carbonicumঃ পুরাতন হাঁপানি, সিঁড়ি বেয়ে দু-এক ধাপ উপরে উঠলেই শ্বাসকষ্ট। মুক্ত বায়ুতে আরাম বোধ, উষ্ম বায়ুতে দম বন্ধের অনুভূতি, মুখ নিল হয়ে যাওয়া, খুক খুক কাশিসহ শ্বাসকষ্ট সামান্য পরিশ্রমেই হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি হলে এ ঔষধ কার্যকর।

2. Antim tartঃ অত্যাধিক শ্বাসকষ্টের জন্য রোগী উঠিয়া বসিতে বাধ্য হয়। শেষ রাতে বৃদ্ধি, ভিতরে প্রচুর শ্লেষ্মা জমে জিহ্বাতে ত্রিকোণাকৃতির সাদা প্রলেপ, বুকের মধ্যে ঘড়ঘড় শব্দ ইত্যাদি লক্ষণে কার্যকর।

3. Arsenicum Albumঃ দুর্বিষহ শ্বাসটান, রাত ১টার পর যোগের বৃদ্ধি, অত্যাধিক উদ্বেগ ও অস্থিরতা, শ্বাসরোধ হবার ভয়ে শুইতে ভয় পায় সারা রার বসে থাকে নড়াচড়ায় বৃদ্ধি উত্তাপে বা গরমে আরামবোধ।

4. Kali Bichromicumঃ শ্বাসনালীর প্রদাহসহ হাঁপানি, কফ
আঠালো দড়িরমত। রাত ৩/৪ টার দিকে বৃদ্ধি, সামনের দিকে ঝুঁকলে কফ বের হলে আরামবোধ। নাসারন্ধে বা কপালের ব্যাথা রোগী অত্যন্ত দুর্বল হলে এ ঔষুধটি কার্যকর।

5. lobelia ঃ বুকের মধ্যে আড়ষ্টতা, সামান্য নড়াচড়ার কষ্ট দ্রুত চলাফেরা করলে আরাম, হাঁপানি বাড়ার আগে শরির চিটমিট করলে এ ঔষধ কার্যকর।

6. Lachesisঃ হাঁপানির কারনে নিদ্রাভঙ্গ, বুকের উপরে সামান্য চাপ সহ্য হয় না, কাশির সাথে সামান্য কফ বের হলে আরাম, গলার কাছে সামান্য কাপড় না রাখতে দিলে, গরম ঘরে রোগ বৃদ্ধি হলে এ ঔষধটি প্রযোজ্য।

6. Bromiumঃ সমুদ্রতীরে গেলে হাঁপানি বাড়ে, শ্বাস গ্রহনে কষ্ট হলে রোগী যদি মনে করে ফুসফুসে বায়ু প্রবেশ করাতে পারলেই আরাম হবে, তবে সে রোগীর জন্য এ ঔষধটি
উপযুক্ত।

7. Sulphurঃ চর্মরোগের কুচিকিৎসার ফলে হাঁপানি রোগ হলে, মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর বৃদ্ধি হলে, ঘরের দরজা খুলে দিতে বলে, মনে কারে খোলা বাতাসে আরাম পাবে মাথা ও পায়ে জ্বালা অনুভূত হলে, দুপুরের পূর্বে পাকাশয়ে শুন্যতা অনুভব হলে সাথে অবসন্ন বোধ করলে সালফার জরুরী প্রয়োজন।

এছাড়াও লক্ষণভেদে যেসব ঔষধ আসতে পারেঃ

👉Ipecac

👉Graphites

👉Carboveg

👉 Dulcamara

👉Lycopodium

👉 Grindelia

👉Natrum sulph

👉 Nux vomica

☞ লক্ষণের সাথে মিলে গেলেও ঔষধ সেবনের পূর্বে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭৯১৮৩৪৪

যৌন সমস্যার হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধানঃযেসকল ঔষধ সমূহ সুনামের সাথে যৌন সমস্যায় ব্যবহৃত হয়ে  আসছে তার লক্ষণ ভিত্তিক আলোচনা...
23/01/2025

যৌন সমস্যার হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধানঃ

যেসকল ঔষধ সমূহ সুনামের সাথে যৌন সমস্যায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার লক্ষণ ভিত্তিক আলোচনা নিম্নরূপঃ

1. Lycopodiumঃ এটি ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ, মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারনে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। lycopodium এর প্রধান প্রধান লক্ষন হল এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ খুব খারাপ। এদের প্রস্রাব কিংবা পাকস্থলি সংক্রান্ত কোননা কোন সমস্যা থাকবেই।

2. seleniumঃ যৌন শাস্তির দূর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় Selenium প্রথম শ্রেনির ঔষধ।

3. Agnus Castusঃ সাধারণত গনোরিয়া যোগের পর যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যাওয়া, পায়খানা ও প্রস্রাবের আগে আঠালো পদার্থ নির্গত হওয়া এবং ঘনঘন স্বপ্নদোষে কার্যকরী ঔষধ।

4. Caladium Seguinumঃ যারা যৌন মিলনে কোন আনন্দ পান না, যৌন মিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না, বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয় এবং যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুর্বল হয়ে পড়েছেন তাদের জন্য কার্যকারী ঔষধ।

5. Origanuman majoranaঃ এ ঔষধ টি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে শ্রেষ্ট । তবে এটি নিম্ন শক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চ শাস্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

6. Moschus moschiferusঃ ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ছোট হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

7. Staphisagriaঃ পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দুর করার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ভূমিকা রাখে। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারনে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারনে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য।

8. Salix Nigraঃ মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন বা সপ্নদোষ প্রভৃতি কারনে সৃষ্ট পুরুষদের যৌন দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ, এসব কারনে যাদের ওজন কমে গেছে তাদের ক্ষেত্রেও কার্যকর। এই ঔষধটির বিশেষ একটি দিক আছে তা হল এটি মাত্রাতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা কমিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

এছাড়াও লক্ষণভেদে আরও যেসব ঔষধ আসতে পারে ঃ

👉Sabal serrulata

👉Conium maculatum

👉 Calcarea carb

👉Natrum carbonicum

👉Nux vomica

👉Titanium

👉phosphoric Acid

👉Kali Bromatum

বাইওকেমিকঃ
👉Nat mur

👉Kali phas,

👉 Silicea

লক্ষণের সাথে মিলে গেলেও নিজে নিজে ঔষধ সেবন না করে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

কয়েকটি কিডনি রোগ সম্পর্কিত কিছু আলোচনা নিম্নরূপঃ1.নেফ্রোটিক সিন্ড্রোমঃ  নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম হলো কিডনির গ্লোমেরুলাসে সমস্...
22/01/2025

কয়েকটি কিডনি রোগ সম্পর্কিত কিছু আলোচনা নিম্নরূপঃ

1.নেফ্রোটিক সিন্ড্রোমঃ নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম হলো কিডনির গ্লোমেরুলাসে সমস্যা, যেখানে অতিরিক্ত প্রোটিন মূত্রে বেরিয়ে যায়।

লক্ষণঃ

প্রোটিনিউরিয়াঃ মূত্রে প্রোটিনের অতিরিক্ত উপস্থিতি।

হাইপোঅ্যালবুমিনেমিয়াঃ রক্তে অ্যালবুমিনের পরিমাণ কম, শরীর ফুলে যাওয়া।

হাইপারলিপিডেমিয়াঃ রক্তে ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।

কারণঃ ডায়াবেটিক,নেফ্রোপ্যাথি,গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটাস (SLE)।

2. গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিসঃ এটি হলো কিডনির গ্লোমেরুলাসের প্রদাহ।

লক্ষণঃ হিমাটুরিয়াঃ মূত্রে রক্ত, প্রোটিনিউরিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া।

কারণঃ স্ট্রেপ্টোকক্কাল সংক্রমণ, অটোইমিউন রোগ (যেমন, SLE)।

3. পাইলোনেফ্রাইটিসঃ এটি কিডনির ইনফেকশন যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়।

লক্ষণঃ জ্বর এবং শীত, পিঠে বা পাশে ব্যথা, মূত্রে জ্বালা, ঘন ঘন মূত্রত্যাগ।

কারণঃ ই-কোলাই (E. coli) ব্যাকটেরিয়া, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) থেকে কিডনিতে ছড়িয়ে পড়া।

4. রেনাল টিউবারকিউলোসিসঃ কিডনির টিউবারকিউলোসিস হলো Mycobacterium tuberculosis দ্বারা কিডনির সংক্রমণ।

লক্ষণঃ মূত্রে রক্ত, ব্যথা বা জ্বালা, দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, ওজন কমে যাওয়া।

কারণঃ ফুসফুসের টিবি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়া।

5. পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজঃ এটি একটি জিনগত রোগ, যেখানে কিডনিতে অনেকগুলি সিস্ট গঠন হয়।

লক্ষণঃ উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি বড় হয়ে যাওয়া, পেটে ব্যথা, কিডনি ফেইলিউর।

কারণঃ জিনগত মিউটেশন (অটোসোমাল ডমিন্যান্ট বা রিসেসিভ)।

6. ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথিঃ ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির গ্লোমেরুলাসের ক্ষতি।

লক্ষণঃ প্রোটিনিউরিয়া, কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, পা ফুলে যাওয়া।

কারণঃ দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ রক্তে শর্করা।

7. কিডনির টিউমারঃ কিডনিতে গঠিত অস্বাভাবিক টিস্যু বৃদ্ধি, যা কখনও কখনও ক্যান্সারজনিত হতে পারে।

লক্ষণঃ মূত্রে রক্ত, পিঠে বা পাশে ব্যথা, অযৌক্তিক ওজন কমে যাওয়া, কিডনি এলাকায় পিণ্ড অনুভব।

কারণঃ জিনগত ফ্যাক্টর, ধূমপান, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

একশিরা বা হাইড্রোসিসের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃপুরুষের অন্ডকোষের বৃদ্ধি কে একশিরা বা হাইড্রোসিল বলে।  এর প্রধান লক্ষণ হলো ব...
22/01/2025

একশিরা বা হাইড্রোসিসের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

পুরুষের অন্ডকোষের বৃদ্ধি কে একশিরা বা হাইড্রোসিল বলে। এর প্রধান লক্ষণ হলো ব্যাথাহীন অন্তকোষ ফোলা, অনেকে তাকে পুরুষের গোপন রোগ বা একশিরা নামেও বলে থাকেন। এটি পুরুষদের একটি বা দুটি অন্ডকোষেই হতে পারে। স্থায়ী ভাবে নির্মূল করতে এই সমস্যার সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি।

লক্ষণ ও উপসর্গঃ এই রোগটি দেখলেই বুঝতে পারা যায় যে, অন্ডকোষ স্বাভাবিক আকার হতে অনেক বড়ে দেখায়, কোন কোন ক্ষেত্রে এত বড় হয় যে, দেখতে নারিকেলের মত দেখায়।

অন্তকোষ ফুলে মোটা হয়ে যায়। অন্ডকোষ দুটি পর্দার মধ্যে যে তরল পদার্থ জমে তা বুঝতে পারা যায়, কারণ হাত দিয়ে চাপ দিলে নরম বোধ হয়।

এই রোগে অন্ডকোষের চামড়া পুরু এবং মোটা হয় জ্বালা যন্ত্রণা বা চটকানি বেদনা থাকে আবার কখনো থাকে না। এবং অন্ডকোষের চামড়ার নিচের তন্তুগুলো পুরু হয়ে থাকে। যদি আঘাতজনিত কারণে এই রোগ হয় তবে এ স্থানে ব্যাথা হয় এবং টান টান একাটা ভাব থাকে এমনকি রোগী এটি স্পর্শ করতে দিতে চায় না। যদি রোগ জীবাণু সংক্রান্ত করনে হয় তবে আক্রমনের সাথে সাথেই জ্বরভাব চলে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এই রোগের আক্রমনের সাথে সাথে স্পার্মাটিক কর্ড কিছুটা ফুলে যায় এবং প্রদাহ হয়।

হাইড্রোসিল বা একাশিয়ার চিকিৎসাঃ এই রোগের সার্জারী ছারা এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই, তাই এসমস্যাটি হলে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকগন অপারেশনের কথা বলে থাকেন। কিন্তু সার্জারী করলেও এ সমস্যাটি আবারও দেখা যেতে পারে, তাই সার্জারি মুলত হাইড্রোসিলের কোন স্থায়ী চিকিৎসা নয়। হাইড্রোসিল বা একশিরার সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি।

লক্ষণ ও মেডিসিনঃ Rhododendron, Clematis ercta, Arnica montana, pulsatilla, Graphites, Caladium seguinum.

বায়োকেমিকঃCalcaria fluorica12x, Natrum mur6x, silicea 6x.

এছাড়া ও লক্ষণের উপর ভিত্তি করে আরও বহু মেডিসিন আসতে পারে।

সতর্কতাঃ ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় যেসব খাবারঃশরীর সাস্থ্য ঠিক রাখতে চাই ব্যালেন্স ডায়েট, তবে অনেকেই আবার ওজন দ্রুত কমাতে অনুসরণ...
22/01/2025

পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় যেসব খাবারঃ

শরীর সাস্থ্য ঠিক রাখতে চাই ব্যালেন্স ডায়েট, তবে অনেকেই আবার ওজন দ্রুত কমাতে অনুসরণ করেন নিম্নমানের ডায়েট চার্ট। এতে ওজন কমলেও শরীরের বেশ কিছু অঙ্গের ক্ষতি হয় ব্যাপক দেখা দেয় যৌন অক্ষমতা, যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার। আর তাই প্রতিদিন ডায়েন্ট চার্টে রাখুন কিছু ফল-সবজি যা আপনার লিঙ্গের সাস্থ্য সুরক্ষিত রাখবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এমনই কয়েকটি খাদ্যের মধ্যে রয়েছে সেই আশ্চর্যজনক উপাদান যা আপনার হারিয়ে যাওয়া যৌন ক্ষমতাকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে আসুন চিনে নিই সহজলভ্য সেসব খাবার।

আপেল: প্রতিদিন একটি আপেল আপনার লিঙ্গ সুস্থ ও নিরাপদ রাখবে, এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আপেল রক্ত সরবরাহ বাড়ায় এবং যৌন চাহিদা তীব্র করে, আপেলে ভিটামিন Aও B আছে, যা টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে।

দুধঃ যেসব খাবারে বেশি পারিমান প্রাণীজ ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌন জীবনের উন্নতি ঘটায় যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পারিমানে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুয়েটেড ফ্যাট প্রয়োজন যা দুধে বিদ্যমান।

কলাঃ কলা শুধু পুষ্ঠিই বাড়াই না, যৌন ইচ্ছা তীব্র করতেও সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম থাকে যা যৌন মিলনে বাড়তি শক্তি জোগায়। কলায় রয়েছে একটি বিশেষ এনজাইম ব্রোমেলিয়ান, যা শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে পুরুষের যৌন দুর্বলতা রোধ করে।

রসুনঃ যৌন সমস্যা সামলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, প্রাচীনকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে রসুনের পুষ্টিগুনের কার্যকারীতা সর্বজন স্বীকৃত।

মধুঃ যৌন দুর্বলতার সমাধানে মধুর গুনের কথা সবারই কম বেশি জানা। তাই যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে খান।

কফি: কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড কার্যকর রাখে।

বাদামঃ সাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বাদাম খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। বাদামে জিঙ্ক থাকায় শুক্রানুর পরিমান তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি পায়।

ব্রকলিঃ ব্রকলিতে প্রচুর পরিমান Vit-C থাকায় জননাঙ্গে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ অঙ্গে রক্তস্রোতের অবাধ প্রবাহ বহাল রাখতে ব্রকলির শরণাপন্ন হোন।

গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণ vit-A আছে যা পুরুষের হয়মোন তৈরিতে সাহায্য করে।

এছাড়াও চর্বিহীন মুরগীর মাংস, চেরি, বিট ইত্যাদি খাবার গুলোও আপনার যৌন শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে

এসব খাবার গুলো আপনার নিয়মিত ডায়েট চার্টে রাখুন সুখময় ও স্বাচ্ছন্দময় করুন আপনার যৌনজীবন।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

Menstrual Cycle Menstrual cycle হলো একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া, যা প্রতি মাসে একজন প্রজননক্ষম মহিলার জরায়ুতে ঘটে। ...
21/01/2025

Menstrual Cycle

Menstrual cycle হলো একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া, যা প্রতি মাসে একজন প্রজননক্ষম মহিলার জরায়ুতে ঘটে। এটি গর্ভধারণের জন্য জরায়ুকে প্রস্তুত করে। পুরো প্রক্রিয়াটি Hypothalamus-Pituitary-Ovarian Axis দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং প্রায় ২৮ দিন দীর্ঘ হয় (২১-৩৫ দিনও স্বাভাবিক ধরা হয়)।

Menstrual Cycle-এর ধাপসমূহ

১. Menstrual Phase (মাসিক রক্তস্রাবের ধাপ):

সময়কাল: ৩-৭ দিন।

প্রক্রিয়া:

জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামের উপরিভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং রক্তের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।

এই পর্যায়ে হরমোনের মাত্রা (FSH, LH, Estrogen, Progesterone) কম থাকে।

২. Follicular Phase (ফলিকুলের বৃদ্ধি):

সময়কাল: দিন ১-১৪ (মাসিক শুরু থেকে ডিম্বাণু ছাড়ার আগে পর্যন্ত)।

প্রক্রিয়া:

Hypothalamus থেকে GnRH (Gonadotropin-releasing hormone) নিঃসৃত হয়।

Pituitary gland থেকে FSH (Follicle Stimulating Hormone) নিঃসৃত হয়ে ডিম্বাণু তৈরি করতে সাহায্য করে।

ফলিকল থেকে Estrogen নিঃসৃত হয়, যা জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াম পুনর্নির্মাণ করে।

৩. Ovulation Phase (ডিম্বাণু নিঃসরণ):

সময়কাল: চক্রের ১৪তম দিন (গড় হিসেবে)।

প্রক্রিয়া:

Estrogen এর উচ্চ মাত্রার কারণে LH Surge (Luteinizing Hormone) হয়।

এই LH Surge ডিম্বাশয় থেকে একটি পরিপক্ক ডিম্বাণু নিঃসরণ ঘটায়।

ডিম্বাণুটি ফ্যালোপিয়ান টিউবে চলে যায়।

৪. Luteal Phase (কর্পাস লুটিয়ামের ধাপ):

সময়কাল: দিন ১৫-২৮।

প্রক্রিয়া:

ডিম্বাণু ছাড়ার পর, ফলিকলটি Corpus Luteum-এ পরিণত হয়।

Corpus Luteum থেকে Progesterone নিঃসৃত হয়, যা জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামকে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে।

যদি গর্ভধারণ না ঘটে, Corpus Luteum ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং Progesterone এর মাত্রা কমে যায়।

Hormonal Control of Menstrual Cycle

1. Gonadotropin-Releasing Hormone (GnRH):

Hypothalamus থেকে নিঃসৃত হয়।

এটি FSH এবং LH নিঃসরণে সাহায্য করে।

2. Follicle Stimulating Hormone (FSH):

ফলিকল তৈরি ও ডিম্বাণু পরিপক্ব করতে সাহায্য করে।

3. Luteinizing Hormone (LH):

Ovulation ঘটায় এবং Corpus Luteum গঠনে সাহায্য করে।

4. Estrogen:

এন্ডোমেট্রিয়াম পুনর্গঠন করে এবং LH Surge ত্বরান্বিত করে।

5. Progesterone:

এন্ডোমেট্রিয়ামকে স্থিতিশীল করে এবং গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত রাখে।

Menstrual Cycle-এর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টস:

চক্রের দৈর্ঘ্য: গড়ে ২৮ দিন।

রক্তস্রাবের পরিমাণ: ২০-৮০ মিলিলিটার।

ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে Progesterone এর মাত্রা বেড়ে যায় এবং গর্ভধারণ শুরু হয়।

গর্ভধারণ না হলে এন্ডোমেট্রিয়াম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নতুন চক্র শুরু হয়।

Menstrual Disorders:

Dysmenorrhea: ব্যথাযুক্ত মাসিক।

Menorrhagia: অতিরিক্ত রক্তস্রাব।

Amenorrhea: মাসিকের অনুপস্থিতি।

PCOS (Polycystic O***y Syndrome): অনিয়মিত চক্র।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

👉প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন!সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রাকৃতিক উপায়গুলো সবসময় কার্যকর এবং নিরাপদ।👉প্রাকৃতিক উপাদান ব্য...
21/01/2025

👉প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন!
সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রাকৃতিক উপায়গুলো সবসময় কার্যকর এবং নিরাপদ।

👉প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার:
১. নারিকেল তেল: ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং শুষ্কতা দূর করতে।
২. শসার রস: ত্বকের দাগ দূর করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে।
৩. অ্যালোভেরা জেল: ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায় এবং নরম রাখে।
৪. মধু: ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে।
৫. লেবুর রস: কালো দাগ ও মরা কোষ দূর করে।

👉সঠিক পরিচর্যা:
১. প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
২. ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার (যেমন ফল ও শাকসবজি) খেতে হবে।
৩. ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং ধুলোবালি থেকে রক্ষা করুন।
৪. ঘুমের সময় কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা নিশ্চিত করুন।
৫. সরাসরি সূর্যালোক থেকে ত্বক রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

👉ঘরোয়া ফেসপ্যাক:
১. মুলতানি মাটি + গোলাপজল: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।
২. দই + হলুদ: ত্বক উজ্জ্বল করতে।
৩. কাঁচা দুধ + চন্দন গুঁড়া: মসৃণ ত্বকের জন্য।
৪. পেঁপে পেস্ট + মধু: ব্রণ দূর করতে।

👉নিয়ম মেনে চলা:
১. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
২. মানসিক চাপ কমানোর জন্য ধ্যান বা যোগব্যায়াম করুন।
৩. বাজারের রাসায়নিক পণ্য এড়িয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন।

সুস্থ ত্বকই সৌন্দর্যের প্রকৃত প্রতীক। প্রাকৃতিক যত্নই সবচেয়ে নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

ভেরিকোসিল হলো একটি শিরার সমস্যা, যেখানে শুক্রাশয়ের (টেস্টিকেল) চারপাশের শিরাগুলি অস্বাভাবিকভাবে ফোলাভাব অনুভব করে। এটি ...
20/01/2025

ভেরিকোসিল হলো একটি শিরার সমস্যা, যেখানে শুক্রাশয়ের (টেস্টিকেল) চারপাশের শিরাগুলি অস্বাভাবিকভাবে ফোলাভাব অনুভব করে। এটি সাধারণত শুক্রাশয়ের শিরাগুলোতে রক্তের সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হওয়ার কারণে হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাম পাশের শুক্রাশয়ে দেখা যায়।

লক্ষণ:

1. ব্যথা: দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে বা ভারী কাজ করলে শুক্রাশয়ে ব্যথা হতে পারে।

2. ফোলা: শুক্রাশয়ের চারপাশের শিরাগুলো ফুলে যায়।

3. ভারী অনুভূতি: অনেক সময় শুক্রাশয়ে ভারী লাগতে পারে।

4. প্রজনন সমস্যা: ভেরিকোসিল শুক্রাণু উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে এবং বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে।

5. শুক্রাশয়ের আকারে পরিবর্তন: ভেরিকোসিলের ফলে শুক্রাশয়ের আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।

কারণ:

1. শুক্রাশয়ের শিরাগুলোর ভাল্বগুলো দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তের প্রবাহ সঠিকভাবে হয় না।

2. রক্তপ্রবাহের ভারসাম্যহীনতার কারণে রক্ত শুক্রাশয়ে আটকে যায় এবং শিরাগুলোতে চাপ সৃষ্টি হয়।

3. শারীরিক চাপ, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা এবং ভারী কাজ করাও এই সমস্যার কারণ হতে পারে।

প্রতিকার:

1. বিশ্রাম: বিশ্রাম নেওয়া এবং ভারী কাজ এড়িয়ে চলা।

2. উন্নত খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা।

3. অস্ত্রোপচার: যদি ভেরিকোসিল গুরুতর পর্যায়ে চলে যায় এবং ঔষধে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হয়, তবে অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা লক্ষনুযায়ী কয়েকটি মেডিসিনের নাম উল্লেখ করা হলো:

1. Hamamelis:

শিরাগুলো ফোলা ও ব্যথাযুক্ত হলে কার্যকর।

শিরাগুলিতে চাপ অনুভূত হয় এবং শুক্রাশয়ে ভারী ভাব থাকে।

2. Pulsatilla:

ব্যথা কখনো কখনো স্থির থাকে এবং নড়াচড়ার সাথে বৃদ্ধি পায়।

তরল স্রাব বেশি হলে এবং শুক্রাশয়ে অস্বস্তি থাকলে কার্যকর।

3. Arnica Montana:

শিরার প্রদাহ এবং ফোলা কমাতে সহায়ক।

আঘাতের পর শিরাগুলোতে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়ার সমস্যা হলে এটি ব্যবহার করা হয়।

4. Nux Vomica:

শুক্রাশয়ে ব্যথা বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে রাতে বা খাওয়ার পর।

শিরার চাপ অনুভূত হলে এবং ধূমপান বা অতিরিক্ত মদ্যপানের প্রভাব থাকলে এটি উপকারী।

5. Calcarea Fluorica:

শিরাগুলোর স্থায়ী ফোলা এবং শিরাগুলিতে স্ফীতি হলে কার্যকর।

শুক্রাশয়ে কঠিন বা শক্ত ফোলাভাব অনুভূত হলে এটি উপকারী।

6. Lycopodium:

শুক্রাশয়ে ভারী অনুভূতি, ফোলাভাব এবং ব্যথা থাকলে কার্যকর।

বিশেষ করে যখন সমস্যা ডান পাশ থেকে বাম পাশে চলে যায়।

7. Ruta Graveolens:

শিরার উপর চাপ অনুভূত হয় এবং ব্যথা ও ভারী লাগার সমস্যায় সহায়ক।

অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে শিরাগুলোতে চাপ অনুভূত হলে এটি কার্যকর।

8. Sulphur:

শিরাগুলোর ফোলা, প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

শরীরের শিরাগুলোতে উষ্ণতা থাকলে এটি উপকারী।

9. Fluoric Acid:

শিরাগুলোর স্থায়ী ফোলা এবং শুক্রাশয়ে চাপ অনুভূত হলে কার্যকর।

যখন ব্যথা শীতল বা ঠান্ডা অনুভূত হয় তখন এই ওষুধটি কার্যকর।

10. Rhus Toxicodendron:

শিরাগুলোতে ফুসকুড়ি বা প্রদাহ হলে এবং ঠান্ডা পরিবেশে সমস্যাগুলো বাড়লে এটি কার্যকর।

রাতে ব্যথা বৃদ্ধি পায় এবং নড়াচড়ার পর কিছুটা আরাম অনুভব হয়।

ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

শুক্রাণুর উৎপাদন ঠিক রাখতে করনীয় কিশুক্রাণুর উৎপাদন ঠিক রাখা এবং এর গুণগত মান উন্নত করার জন্য সঠিক জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্...
20/01/2025

শুক্রাণুর উৎপাদন ঠিক রাখতে করনীয় কি

শুক্রাণুর উৎপাদন ঠিক রাখা এবং এর গুণগত মান উন্নত করার জন্য সঠিক জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু করণীয় বিষয় দেওয়া হলো যা শুক্রাণুর উৎপাদন এবং গুণমান বজায় রাখতে সাহায্য করবে:

১. সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা:

শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার: শুক্রাণু উৎপাদন বাড়াতে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন: কুমড়ার বীজ, মাংস, ডিম, বাদাম।

সেলেনিয়াম: শুক্রাণুর গতিশীলতা ও শক্তি বাড়ায়। যেমন: কাজু, ব্রাজিল নাটস।

ভিটামিন C: মুক্ত মৌল (free radicals) থেকে শুক্রাণু রক্ষা করে। যেমন: লেবু, কমলা, পেয়ারা।

ভিটামিন E: শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করে। যেমন: আমন্ড, সূর্যমুখীর বীজ।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: শুক্রাণুর গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। যেমন: মাছ (স্যালমন, সার্ডিন), আখরোট।

ফলিক অ্যাসিড: শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন: পালং শাক, ব্রকলি।

২. পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম:

প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম শুক্রাণুর মান এবং উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। অনিদ্রা বা মানসিক চাপ শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণমানে প্রভাব ফেলে।

৩. মানসিক চাপ কমানো:

মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে শুক্রাণুর উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।

নিয়মিত যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন।

মানসিক চাপ কমাতে পছন্দের কাজ করুন।

৪. শারীরিক ব্যায়াম:

হালকা থেকে মাঝারি ধরণের ব্যায়াম শুক্রাণুর উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম করুন।

তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন, কারণ তা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে।

৫. ক্ষতিকর অভ্যাস এড়ানো:

ধূমপান: শুক্রাণুর উৎপাদন ও গতিশীলতা কমায়।

অ্যালকোহল: অ্যালকোহল শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে।

মাদকদ্রব্য: শুক্রাণুর সংখ্যা ও মান নষ্ট করে।

অতিরিক্ত ক্যাফেইন (চা, কফি): কম পরিমাণে গ্রহণ করুন।

৬. শরীরকে ঠাণ্ডা রাখা:

শুক্রাণু উৎপাদন সঠিক রাখতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

খুব টাইট পোশাক এড়িয়ে চলুন।

ল্যাপটপ দীর্ঘক্ষণ কোলে রেখে কাজ করবেন না।

সাইনা বা গরম পানিতে দীর্ঘ সময় গোসল এড়িয়ে চলুন।

৭. প্রাকৃতিক সম্পূরক (Supplements):

প্রাকৃতিক উপাদান নির্ভর কিছু সম্পূরক গ্রহণ করা যেতে পারে:

অশ্বগন্ধা

শুক্রাণু বাড়ানোর জন্য শিলাজিত

টেস্টোস্টেরন বাড়াতে মাকুনা।

৮. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

শুক্রাণুর উৎপাদন বা প্রজনন ক্ষমতায় সমস্যা থাকলে, তা দ্রুত সনাক্ত করতে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করুন। স্পার্ম এনালাইসিস করে সমস্যা শনাক্ত করা যেতে পারে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, এবং প্রয়োজন হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে শুক্রাণুর উৎপাদন বজায় রাখা সম্ভব।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

মেসতা (Melasma) একটি ত্বকের অবস্থা যেখানে মুখে বা শরীরের অন্য অংশে বাদামি বা ধূসর রঙের দাগ দেখা যায়। এটি মূলত মুখের ত্ব...
11/01/2025

মেসতা (Melasma) একটি ত্বকের অবস্থা যেখানে মুখে বা শরীরের অন্য অংশে বাদামি বা ধূসর রঙের দাগ দেখা যায়। এটি মূলত মুখের ত্বকে বেশি দেখা যায়। মেসতা সাধারণত হরমোনজনিত কারণ এবং বাইরের পরিবেশগত প্রভাবের জন্য হয়। এটি একটি নিরীহ অবস্থা, তবে এটি অনেকের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

মেসতা হওয়ার কারণ

1. হরমোনের পরিবর্তন (Hormonal Changes):

গর্ভাবস্থার সময় (Pregnancy Mask বা Chloasma)

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল (Oral Contraceptives)

মেনোপজ বা হরমোন থেরাপি

2. সূর্যের রশ্মি (Sun Exposure):

অতিবেগুনি (UV) রশ্মি ত্বকে মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে মেসতা তৈরি করে।

দীর্ঘ সময় ধরে রোদে থাকা মেসতার প্রধান কারণ।

3. জিনগত কারণ (Genetic Factors):

পরিবারে মেসতার ইতিহাস থাকলে এ ঝুঁকি বাড়ে।

4. ত্বকের পরিচর্যার ভুল:

কঠোর কেমিক্যাল ব্যবহার

অতিরিক্ত স্ক্রাব বা হার্শ প্রোডাক্ট ব্যবহার

5. স্ট্রেস ও মানসিক চাপ (Stress):

মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটায়, যা মেসতার কারণ হতে পারে।

6. অপর্যাপ্ত যত্ন:

সঠিক সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা।

ধুলা, ময়লা, এবং দূষণ।

মেসতা থেকে পরিত্রাণের উপায়

১. দৈনন্দিন ত্বকের যত্ন:

সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: SPF ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন প্রতিদিন ব্যবহার করুন।

ত্বক পরিষ্কার রাখুন: মাইল্ড ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুইবার মুখ ধুয়ে নিন।

ময়েশ্চারাইজার: ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

২. প্রাকৃতিক উপায়ে যত্ন:

লেবুর রস ও মধু: লেবুর রস এবং মধুর মিশ্রণ মেসতার দাগ কমাতে সহায়ক।

এলোভেরা জেল: এলোভেরা ত্বক ঠান্ডা করে এবং দাগ হালকা করে।

কাঁচা দুধ: কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

৩. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:

ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার (যেমন: লেবু, কমলা, বাদাম) খান।

প্রচুর পানি পান করুন।

চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৪. মানসিক চাপ কমান:

ধ্যান, যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম করুন।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

৫. চিকিৎসা গ্রহণ করুন:

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা:

Sepia, Thuja, Berberis Aquifolium এর মতো ওষুধ মেসতার জন্য কার্যকর।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণের জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডার্মাটোলজিকাল চিকিৎসা:

কেমিক্যাল পিল

লেজার থেরাপি

ডার্মাব্রেশন

মেসতা প্রতিরোধের উপায়:

1. সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকুন বা ছাতা/টুপি ব্যবহার করুন।

2. উচ্চ SPF সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন প্রতিদিন ব্যবহার করুন।

3. অকারণে ত্বকের ওপর কঠোর কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

4. ত্বক এবং শরীরের যথাযথ যত্ন নিন।
মেসতা বা মেলাসমা হলো ত্বকের একটি সাধারণ অবস্থা, যেখানে ত্বকের উপর কালো বা বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। এটি মূলত মুখের ত্বকে বেশি দেখা যায় এবং হরমোনজনিত পরিবর্তন, সূর্যের অতিরিক্ত এক্সপোজার, বা জিনগত কারণের ফলে হতে পারে। হোমিওপ্যাথি মেসতা চিকিৎসায় কার্যকরী কারণ এটি সমস্যার মূল কারণ নির্ণয় করে ওষুধ প্রদান করে।

কার্যকর হোমিওপ্যাথিক ওষুধ:

নিচে মেসতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ উল্লেখ করা হলো:

১. Sepia

মেসতার সবচেয়ে সাধারণ এবং কার্যকর ওষুধ।

মুখে বিশেষ করে নাক এবং গালের চারপাশে বাদামি বা কালচে দাগ দেখা দিলে কার্যকর।

সাধারণত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হওয়া মেসতায় এটি বেশি কার্যকর।

২. Thuja Occidentalis

ত্বকের যেকোনো রঙের পরিবর্তনের জন্য কার্যকর।

যদি দাগের সাথে ত্বকের শুষ্কতা বা রুক্ষতা থাকে, তবে এটি কার্যকর।

৩. Sulphur

ত্বকে খসখসে দাগ, চুলকানি বা শুষ্কতার জন্য।

সূর্যের অতিরিক্ত সংস্পর্শে আসার ফলে হওয়া মেসতার জন্য উপকারী।

৪. Lycopodium

গালে ও নাকে সিমেট্রিক্যাল (দুই পাশে সমান) দাগ থাকলে ব্যবহার করা হয়।

হজমজনিত সমস্যা বা লিভারের সমস্যার কারণে হওয়া মেসতায় কার্যকর।

৫. Kali Carbonicum

হরমোনজনিত পরিবর্তন যেমন গর্ভাবস্থা বা মেনোপজের সময় মেসতার জন্য উপকারী।

যদি ত্বকে দাগের সাথে অস্বস্তি বা ব্যথা থাকে।

৬. Natrum Muriaticum

মুখের ত্বকে সূর্যের সংস্পর্শে আসার কারণে সৃষ্ট বাদামি দাগের জন্য।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা বিষণ্নতার কারণে দাগ দেখা দিলে এটি কার্যকর।

৭. Berberis Aquifolium

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং দাগ কমাতে অন্যতম জনপ্রিয় হোমিওপ্যাথিক ওষুধ।

এটি ত্বকের গভীরে কাজ করে এবং দাগ মুছে ফেলতে সাহায্য করে।

অন্যান্য চিকিৎসা ও পরামর্শ:

1. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি মেসতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

2. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রচুর পানি পান করুন, ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ খাবার খান।

3. মানসিক চাপ কমান: মানসিক চাপ মেসতার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

4. ত্বকের পরিচর্যা: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

সতর্কতা:

নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ ব্যবহার না করে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সমস্যার কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন, কারণ মেসতার সঠিক চিকিৎসা নির্ভর করে এর মূল কারণের ওপর।

সঠিক চিকিৎসা এবং ত্বকের যত্নের মাধ্যমে মেসতার সমস্যার সমাধান সম্ভব।

সঠিক যত্ন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে মেসতার দাগ কমানো সম্ভব। তবে ধৈর্য ধরতে হবে কারণ মেসতার চিকিৎসা ধীরগতির হতে পারে।

ডা: নাজনীন আকতার
টিটি এস হোমিও মেডিকেয়ার
হেল্পলাইন নাম্বার: ০১৭১৭১৯৮৩৪৪

01/11/2024
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করবেন
27/10/2024

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করবেন

14/10/2024

লাইপোমার কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

13/10/2024

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে সারাজীবন।

Address

কালিতলা রোড
Hat Naogaon
6500

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Naznin Akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share