04/02/2025
Epulis - এপুলিস বা মাড়ির টিউমার জাতীয় বৃদ্ধি
এপুলিস কী?
ইপিউলিস এক প্রকার টিউমার। এইটি মূলত দাঁতের মাড়ির বিবৃদ্ধি বা তালু বা জিহ্বার মাংস বৃদ্ধি হয়ে গঠিত হয়। এইটি নন-ক্যানসারাস বা বিনাইন টিউমার। তবে সঠিক সময়ে বা উক্ত টিউমারের প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা না নিলে এইটি পর্যায়ক্রমে দলা বা পিন্ডের আকার ধারণ করে মুখের বাহিরে চলে আসে, লম্বায় দাঁতের চেয়ে বড় হয়ে যায় এবং খাবার খাওয়ার সময় খাদ্য দ্রব্য চিবানোর সময় উক্ত মাংসপিন্ডে কামড় লেগে ক্ষতের ও নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেখানে প্রদাহ হয়ে প্রচন্ড ব্যথা বেদনা হয় এবং খুবই স্পর্শকাতর হয়ে যায় সবশেষে ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়ে মুখে ঘা হয়, মাড়ি থেকে রক্ত ও পুঁজ বের হয়, মাড়ি থেকে দাঁত আলগা হয়ে যায় এবং ক্যানসারেরও ঝুঁকি তৈরি হয়।
এপুলিস আকৃতি - মূলত গোলাকার বা অসম আকৃতির হয়, যা লালচে, গোলাপি বা গাঢ় বর্ণের হতে পারে। কখনও কখনও এটি নরম বা শক্ত হতে পারে এবং রক্তপাত হতে পারে।
সংক্রমণ -
সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত রোগ নয়, তবে Porphyromonas gingivalis, Actinomyces spp. ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া এটির সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এপুলিসের মায়াজম্যাটিক বিভাজন (Miasmatic Cleavage) -
হোমিওপ্যাথি মতে, এপুলিস প্রধানত সাইকোটিক (Sycosis) ও সিফিলিটিক (Syphilitic) মায়াজমের সাথে সম্পর্কিত।
এপুলিসের অবস্থান ও সময়কাল:
এটি প্রধানত মাড়িতে (Gums) দেখা যায়, বিশেষ করে দাঁতের প্রান্তিক অংশে বা মাঝে। দীর্ঘ সময় এটি বৃদ্ধি হতে থাকে। কখনো কখনো আপনাআপনি চলে যায়। তবে, এটি দ্রুত ট্রিটমেন্ট নেয়া খুব প্রয়োজন
রোগটি বেশি ভোগেন -
গর্ভবতী নারী (গর্ভাবস্থার হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে)।
দাঁতের ভুলভাবে বসানো প্রোস্থেটিক ব্যবহারকারীরা।
যাদের দাঁত বা মাড়িতে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ বা উত্তেজনা রয়েছে।
এপুলিসের ইতিহাস ও আবিষ্কার-
এটি প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত, তবে আধুনিক ডেন্টাল গবেষণায় এটির বিভিন্ন ধরণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
এপুলিসের শ্রেণীবিন্যাস (Classification):
এটি প্রধানত তিন প্রকার -
১। Fibromatous or ossifying epulis: দাঁতের মাড়ি, হাড় ও লিগামেন্টের উপর উদ্ভুত তন্তু জাতীয় টিউমারকে Fibromatous epulis বলে।
২। Granulomatous epulis : দাঁত পড়ে যাওয়ার পর খালি জায়গায় মাংস বৃদ্ধি হয়ে যে টিউমার হয় তাকে Granulomatous epulis বলে।
৩। Giant cell epulis : ইহা মুখের কমন Giant Cell Lession(ঘা) গুলোর একটি। মুখের নরম টিস্যু বা তন্তুর উপর বেগুনি লালচে রংয়ের গুটি বা ক্ষুদ্র টিউমার।
পরীক্ষা (Test):
বায়োপসি (Biopsy) – এপুলিসের প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য।
রেডিওগ্রাফি (X-ray) – দাঁতের গভীর সংযোগ পর্যবেক্ষণের জন্য।
হিস্টোপ্যাথোলজি – কোষীয় গঠন বিশ্লেষণের জন্য।
মেডিসিন লক্ষণানুসারে যেসব মেডিসিন আসে - Cal Carb, Nat Mur, Thuja, Cal fluor, Hekla Lava, Marc Sol ইত্যাদি।
চিকিৎসা -
এ্যালোপ্যথিতে সার্জিক্যাল অপারেশন একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে এন্টিসাইকোটিক মেডিসিন প্রয়োগ করে বিনা অপারেশনে সম্পূর্ণভাবে আরোগ্য করা যায়। যদি কেউ এই সমস্যায় ভোগেন তবে দেরি না করে নিকটস্থ রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিন আশাকরি আরোগ্য লাভ করবেন। অথবা আমার পেইজে আপনার রোগ লক্ষনসহ বিস্তারিত জানিয়ে ই-সেবা নিতে পারেন ঘরে বসেই।