Speech Aid Bangladesh

Speech Aid Bangladesh Speech Aid Bangladesh (SAB) is a social organization that works for people with special needs. Our consultancy service is accessible to everyone.
(1)

Speech Aid Bangladesh (SAB) is established with a noble view to create awareness among mass people about Speech, Language, and Communication Impairment. SAB is the first organization in Bangladesh that has taken such initiative. Along with building a knowledgeable community, SAB arranges awareness programs to create mass awareness and provide free consultancy about Speech and Language Therapy through online and over the phone call. We also provide Mental health support to the parents of special children. Parents of children with Neuro-developmental Disorder (NDD) and adults with voice as well as speech problems can get proper initial information and guidance just by making a phone call to our hotline number. SAB believes conveying messages is the prerequisite to become a self-advocate.

ওষুধ ছাড়া আমরা কিভাবে 𝐀𝐃𝐇𝐃 শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারি।ADHD (Attention Deficit Hyperactivity Disorder) হলো একটি নিউর...
29/08/2025

ওষুধ ছাড়া আমরা কিভাবে 𝐀𝐃𝐇𝐃 শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারি।

ADHD (Attention Deficit Hyperactivity Disorder) হলো একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল বা স্নায়ু বিকাশজনিত অবস্থা যার ফলে একটি শিশুর মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হয় এবং আচরণে অতিচঞ্চলতা প্রকাশ পায়। অনেক অভিভাবক মনে করে থাকেন ADHD শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমেই নিরাময় করা সম্ভব। তবে আধুনিক গবেষণা অনুসারে ADHD সমস্যা সমাধানে ওষুধ ছাড়াও বেশ কিছু কার্যকর পদ্ধতি রয়েছে।

ওষুধ ছাড়া ADHD নিয়ন্ত্রণের ৫ টি উপায় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো :
১. ভাল ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুনঃ
স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে শিশুদের জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র আধাঘণ্টা বেশি ঘুমালেই শিশুর অস্থিরতা ও চঞ্চলতা অনেকাংশে কমে যেতে পারে। অনেক ADHD আক্রান্ত শিশুর Sleeping Disorders এর ঝুঁকি থাকে যা কিনা শিশুর ADHD এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তাই যে বিষয় গুলো মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণঃ
• প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করান – এমনকি ছুটির দিনেও।
• ঘরের আলো কম রাখুন ও তাপমাত্রা ঠাণ্ডা রাখুন।
• ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে মোবাইল/টিভি বন্ধ রাখুন।

ঘুমের পূর্বে শিশুদের একটি নির্দিষ্ট রুটিনে অভ্যস্ত করা গেলে তা শিশুদের মানসিক অস্থিরতা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ঘুমের আগে গল্প শোনানো বা বই পড়া, নির্দিষ্ট কিছু কাজ যেমন: দাঁত ব্রাশ করা, বিছানা গোছানো ইত্যাদি শিশুদের মানসিক অস্থিরতা কমাতে এবং তাদের স্থিতিশীল হতে সাহায্য করে।

২. খাবারে পরিবর্তন আনুনঃ
গবেষণায় দেখা যায়, ঘুমের পাশাপাশি, ADHD শিশুর আচরণে খাবারের প্রভাব রয়েছে।
যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন:
• সোডিয়াম বেনজোয়েটঃ জুস (প্যাকেটজাত ম্যাঙ্গো জুস, আপেল বা কমলা জুস,লিচি ড্রিঙ্ক), কোমল পানীয়, ( কোক,স্প্রাইট, ফান্টা)।
• ফুড কালারিংঃ আইসক্রিম, চিপস, আচার, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, রঙিন জেলি, ক্যান্ডি বার, ইত্যাদি।

যে খাবারগুলো ADHD শিশুদের জন্য উপকারীঃ
"ADHD সম্পন্ন শিশুদের খাদ্য পরিকল্পনায় উপরোক্ত খাবারগুলি পরিহার করার পাশাপাশি, ওমেগা-৩-সমৃদ্ধ খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করাও গুরুত্বপূর্ণ। সয়াজাত পণ্য, তিলবীজ, আখরোট এবং সামুদ্রিক মাছের মতো খাদ্যে বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ADHD-এর উপসর্গ হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

৩. ‘মাইন্ডফুলনেস’ শেখানোঃ
মাইন্ডফুলনেস মানে হলো সচেতনভাবে নিজের অনুভূতি ও চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা। ADHD শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখতে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করা কঠিন হতে পারে। বিকল্প হিসেবে শিশুদেরকে কিছু মেলোডিয়াস মিউজিক/গান শোনানোর অভ্যাস করতে পারেন।

৪. বাইরে খেলার সুযোগ দিনঃ
প্রাকৃতিক পরিবেশে খেলা ADHD সম্পন্ন শিশুদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। সবুজ গাছপালা ও প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে তাদের অস্থিরতা অনেকাংশে কমে যায়।

৫. প্রয়োজনীয় থেরাপি প্রদানঃ
অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ওষুধের আগে ADHD সম্পন্ন শিশুদের অকুপেশনাল থেরাপি এবং বিহেভিয়্যার থেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই থেরাপি গুলোর মাধ্যমে শিশুদের অস্থিরতা, আচরণগত সমস্যা ইত্যাদি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

ADHD শিশুর অতিচঞ্চলতা কমাতে ওষুধ ছাড়াও অনেক কার্যকর উপায় আছে। তবে এজন্য প্রয়োজন সময়, ধৈর্য ও সচেতনতা। নিয়মিত ঘুম, সঠিক খাবার, ভালো অভ্যাস, থেরাপি এবং পরিবারের ভালোবাসা—এই সব কিছুই শিশুর জীবনকে সুন্দর ও স্বাভাবিক করে তুলতে সাহায্য করে।

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে কল করুন:
আজিমপুর শাখাঃ
+8801886-085264
ঠিকানাঃ
১৯, নিউপল্টন, আজিমপুর, ঢাকা-১২০৫।
বাড্ডা শাখাঃ
+8801849-984518, +8801849-974458
ঠিকানাঃ
বাসাঃ ৩৫, রোডঃ ১১, ডি আই টি প্রজেক্ট, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা- ১২১২।
ওয়ারী শাখাঃ
+8801804-214421, +8801850-114327
২৮/১ (৪র্থ তলা), শাহ সাহেব লেন, নারিন্দা, ওয়ারি, ঢাকা।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ADHD শিশুদের শরীরে Omega-3 ফ্যাটি এসিডের ঘাটতি থাকে যা শিশুদের মনোযোগহীনতার একটি কারণ। Omeg...
21/08/2025

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ADHD শিশুদের শরীরে Omega-3 ফ্যাটি এসিডের ঘাটতি থাকে যা শিশুদের মনোযোগহীনতার একটি কারণ। Omega-3 ফ্যাটি এসিড শিশুদের ব্রেইনের বিকাশেও সাহায্য করে।

যে সকল খাবার থেকে Omega-3 ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়ঃ
১। সামুদ্রিক মাছ।
২। তিসির বীজ
৩। বাদাম
৪। সয়াবিন

এছাড়া শিশুদের সঠিক খাদ্য তালিকা তৈরী করতে একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করুন।
ADHD শিশুর কিংবা বিশেষ শিশুদের জন্য সকল ধরণের থেরাপিউটিক সেবা পেতে কল করুনঃ 01568085265 অথবা 01886085264 নম্বরে।

থেরাপি সেন্টারের পাশাপাশি বাসায় অভিভাবকদের অংশগ্রহণ, অটিজম ব্যবস্থাপনায় কেন গুরুত্বপূর্ণ?ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার এব...
20/08/2025

থেরাপি সেন্টারের পাশাপাশি বাসায় অভিভাবকদের অংশগ্রহণ, অটিজম ব্যবস্থাপনায় কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, থেরাপি সেন্টারের পাশাপাশি বাসায় অভিভাবকদের অংশগ্রহণ, অটিজম ব্যবস্থাপনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আরও দেখিয়েছেন, এসেসমেন্টের আগেই বাড়িতে যদি থেরাপিউটিক এক্টিভিটি নিয়ে কাজ করা যায় তাহলে শিশু থেরাপি সেন্টারে গিয়ে Initial Communication, Sitting habit ও অন্যান্য ডেভেলপমেন্টাল ডোমেইনে উন্নতি করতে পারে। মূলত স্বাভাবিক দৃষ্টিতে অটিজমের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়িতে থেরাপিউটিক এক্টিভিটি শুরু করার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও থেরাপিস্টের পর্যাপ্ত গাইডলাইন।

সাধারণত দেখা যায়, অটিজমের ঝুঁকিতে থাকা শিশুরা সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেক্ষেত্রে বাড়িতে থেরাপিউটিক এক্টিভিটি নিয়ে কাজ করার বিকল্প নেই। কারণ শিশু বেশির ভাগ সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে বাড়িতেই সময় কাটায়। এক্ষেত্রে পরিবারের সকল সদস্যদের একটি টিম হয়ে শিশুকে ইনপুট দিতে হবে।

আপাত দৃষ্টিতে অভিভাবক হয়তো যত্নে কোনো কমতি করছেন না, কিন্তু অটিস্টিক মস্তিষ্কের কারণে শিশুর সঙ্গে তার যোগাযোগটা ঠিকমত হয় না। আর এ ধরনের শিশুদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে তা নিয়ে অভিভাবকরা সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। একজন স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট ও অকুপেশনাল থেরাপিস্টের পরামর্শ ও গাইডলাইন নিয়ে অভিভাবকরা বাড়িতে শিশুর যোগাযোগের ডোমেইনগুলোর উন্নতি করাতে পারেন।

ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জনাথন গ্রিন এর মতে, “এসেসমেন্টের মাধ্যমে শিশুর অটিজম ধরা পড়লে তখন থেরাপি দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু তার আগে, প্রাথমিক পর্যায়ে যখন মস্তিস্কের গুরুত্বপূর্ণ বিকাশের প্রক্রিয়াগুলো চলতে থাকে, সেই সময় থেরাপি শুরু করা গেলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।”
অর্থাৎ এসেসমেন্ট ও সঠিক থেরাপি সেন্টার খুঁজে পেতে যে সময় চলে যায় তার আগেই বাড়িতে থেরাপিউটিক এক্টিভিটি শুরু করে দিলে শিশু অনেক এগিয়ে যেতে পারে। সেজন্যই Early Intervention এর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়ে থাকে।

শিশুরা প্রথমে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শেখে এবং পরে একই প্রক্রিয়ায় অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই যদি তার যোগাযোগ শেখার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে সে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে না। ফলে তার সামাজিক বিকাশেও সমস্যা হয়।
সুতরাং আমরা অবশ্যই শিশুকে থেরাপি সেন্টারে নিবো কিন্তু থেরাপি সেন্টারের অপ্রতুলতা বা খুঁজতে যেন সময় নষ্ট না হয় সেক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে হবে। অটিজমের ঝুঁকিতে থাকা প্রতিটি শিশুর ২ থেকে ৩ বছর বয়স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টি যেন সচেতনতার অভাবে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। থেরাপিস্টের পরামর্শ ও গাইডলাইন নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে থেরাপিউটিক এক্টিভিটি শুরু করে দিতে হবে।

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে কল করুন:
আজিমপুর শাখাঃ
+8801886-085264
ঠিকানাঃ
১৯, নিউপল্টন, আজিমপুর, ঢাকা-১২০৫।
বাড্ডা শাখাঃ
+8801849-984518, +8801849-974458
ঠিকানাঃ
বাসাঃ ৩৫, রোডঃ ১১, ডি আই টি প্রজেক্ট, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা- ১২১২।
ওয়ারী শাখাঃ
+8801804-214421, +8801850-114327
২৮/১ (৪র্থ তলা), শাহ সাহেব লেন, নারিন্দা, ওয়ারি, ঢাকা।

19/08/2025

Use of Reinforcement for Developing Eye Contact.


বিশেষ শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ (Aggressive Behavior) এর সম্ভাব্য কারণ এবং সামলানোর কৌশল নিয়ে ২ পর্বের লেখায় আজকে থাকছে ব...
18/08/2025

বিশেষ শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ (Aggressive Behavior) এর সম্ভাব্য কারণ এবং সামলানোর কৌশল নিয়ে ২ পর্বের লেখায় আজকে থাকছে বিশেষ শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ (Aggressive Behavior) সামলানোর কৌশল। কৌশল গুলো ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলোঃ

ধাপ ১: শান্ত থাকুন ও শিশুকে নিরাপদ অনুভব করানঃ

যখন শিশু আগ্রাসী আচরণ করেঃ
🔶 চিৎকার করবেন না বা মারধর করবেন না, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
🔶 Sensory Clutter (জোরে শব্দ, ভিড়, উজ্জ্বল আলো) কমিয়ে দিন।
🔶 নিজের সুর, মুখভঙ্গি ও শরীরী ভাষা শান্ত রাখুন।
🔶 আপনার কণ্ঠস্বর নিম্নস্বরে রাখুন যাতে পরিবেশ শান্ত থাকে।

ধাপ ২: সীমা নির্ধারণ করুন, অপমান নয়
শিশুটি যদি আপনার ভাষা বুঝতে পারে তাহলে তাকে শান্ত ভাষায় বলুনঃ
🔶 “রাগ করা ঠিক আছে, কিন্তু কাউকে মারা ঠিক নয়।”
🔶 “তুমি চাইলে রাগের সময় কথা বলতে পারো বা একা থাকতে পারো।”
🔶 হুমকি নয়, যৌক্তিক ফলাফল ব্যবহার করুন: যেমন, “যদি খেলনা ছুঁড়ে ফেলো, তবে ওটা এখন সরিয়ে রাখতে হবে।”

শিশুকে শুধু নিষেধ নয়, কীভাবে সঠিক আচরণ করতে হয় সেটাও শেখাতে হবে।

ধাপ ৩: আচরণের পেছনের কারণ খুঁজে বের করুন
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন:
🔶 শিশুটি কি ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত, অতিরিক্ত উত্তেজিত বা হতাশ।
🔶 ঘরে বা স্কুলে কোনো চাপ তৈরি হয়েছে কি? Meltdown বা Aggression কোন সময়/পরিবেশে বেশি হয় লক্ষ্য করুন।
🔶 খাবারের আগে, ঘুম কম হলে বা অন্যান্য কোন পরিবর্তনের ফলে এই ধরণের আচরণ বৃদ্ধি পায় তা শনাক্ত করুন। এবং সেই অনুসারে প্রয়োজনীয় বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, থেরপিস্টের সাথে আলোচনা করুন।

ধাপ-৪ তাদের অনুভূতিগুলো শনাক্ত করুন এবং গুরুত্ব দিন
রাগান্বীত না হয়ে বলুনঃ
🔶 আমি বুঝতে পারছি তুমি খুব রেগে আছো।
🔶 তোমাকে বিরক্ত মনে হচ্ছে, কি হয়েছে বলবে?
🔶 তাদের অনুভুতিগুলো ভাষায় প্রকাশ করতে শেখান যেমনঃ রাগ, ভয়, হতাশা, ঈর্ষা।
🔶 অনুভুতির নাম বলতে শেখালে সেটার তীব্রতা কমে যায় এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ধাপ -৫ আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণ শেখান
🔶 ধীরে শ্বাস নেওয়া-ছাড়তে শেখান।
🔶 Calm Space বা “শান্ত কক্ষ” নির্ধারণ করুন
🔶 Emotion বোর্ড, Choice Card ব্যবহার করুন
🔶 থেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী Sensory Tools দিন (Weighted Blanket, Chewable Toy)
🔶 আঁকাআঁকির মাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশ করতে সহায়তা করুন।
🔶 “আমি রেগে আছি কারণ…এভাবে কথা বলার অভ্যাস করুন।

ধাপ-৬ ইতিবাচক আচরণে উৎসাহ (Reinforcement) দিন
🔶“তুমি আজ রাগ দারুণভাবে সামলেছো”—এই প্রশংসায় আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
🔶Token board, Praise Story বা Sticker System ব্যবহার করুন।
🔶 Calm Card, Emotion Board সফলভাবে ব্যবহার করলে Reward দিন।

ধাপ-৭ সামাজিক দক্ষতা গড়ে তুলুন
🔶 পালা করে খেলা, ভাগাভাগি, এই বিষয়গুলি Story-Based বা Visual মাধ্যমে শেখানোর চেষ্টা করুন।

আক্রমণাত্মক আচরণকে সমস্যা হিসেবে নয়, বরং একটি সংকেত হিসেবে দেখা উচিত। Neuro-Divergent শিশুরা তাদের সক্ষমতার সীমার মধ্যেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে, কিন্তু যদি তাদের চারপাশের মানুষজন তা না বোঝে বা সমর্থন না দেয়, তাহলে হতাশা স্বাভাবিক। সঠিক সহায়তা, সহানুভূতি এবং উপযুক্ত টুল ব্যবহার করে কেবল আচরণই পরিবর্তন নয়—বরং শিশুর আবেগ প্রকাশের ভাষা গড়ে তোলা এবং তাদের মধ্যে সহিষ্ণুতাও তৈরি করাও সম্ভব।

সঠিক সময়ে কথা বলতে শেখা শিশু বিকাশের একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক। কোনো শিশু যদি যথাযথ সময়ে কথা শেখা এবং বলতে শুরু না করে তাহলে...
18/08/2025

সঠিক সময়ে কথা বলতে শেখা শিশু বিকাশের একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক। কোনো শিশু যদি যথাযথ সময়ে কথা শেখা এবং বলতে শুরু না করে তাহলে অবহেলা না করে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

শিশুর দেরিতে কথা বলা, অতিচঞ্চলতা, অস্বাভাবিক আচরণ, চোখে চোখ রেখে না তাকানো কিংবা ডাকলে সাড়া না দেওয়া সহ নানাবিধ বিকাশজনিত সমস্যা নিয়ে কাজ করছে Speech Aid Bangladesh

শিশুদের এই সমস্যা গুলো উত্তরণের জন্য স্পিচ এইড বাংলাদেশের রয়েছে কোয়ালিফাইড থেরাপিস্টদের নিয়ে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম, যাদের সার্বিক প্রচেষ্টায় শিশুদের লক্ষণীয় উন্নতি করানো সম্ভব হয় তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে।

আমাদের সেবা সমূহ:
১। স্পিচ থেরাপি (Speech Therapy)
২। অকুপেশনাল থেরাপি (Occupational Therapy)
৩। স্পেশাল স্কুল (১:১) (Special School 1:1)
৪। কম্প্রিহেন্সিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (CDP)

বাড্ডা ব্রাঞ্চের ঠিকানা: বাসা: ৩৫, রোড: ১১, ডি আই টি প্রজেক্ট, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।
যোগাযোগ: 01849-984518, 01849-974458

আজিমপুর ব্রাঞ্চের ঠিকানা: ১৯, নিউপল্টন, আজিমপুর, ঢাকা-১২০৫।
যোগাযোগ: 01568085265, 01886085264

ওয়ারী শাখাঃ
+8801804-214421, +8801850-114327
২৮/১ (৪র্থ তলা), শাহ সাহেব লেন, নারিন্দা, ওয়ারি, ঢাকা।



বিশেষ শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ (Aggressive Behavior) এর সম্ভাব্য কারণ এবং সামলানোর কৌশল নিয়ে ২ পর্বের লেখায় আজকে থাকছে ব...
17/08/2025

বিশেষ শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ (Aggressive Behavior) এর সম্ভাব্য কারণ এবং সামলানোর কৌশল নিয়ে ২ পর্বের লেখায় আজকে থাকছে বিশেষ শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ (Aggressive Behavior) এর সম্ভাব্য কারণ।

শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ যেমন রাগ, চিৎকার, মারধর বা নিয়ম না মানা; সবই তাদের আবেগ, ভয় বা হতাশার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। আক্রমণাত্মক আচরণ সব শিশুর জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ, তবে Autism Spectrum Disorder (ASD), ADHD বা অন্যান্য স্নায়বিক ভিন্নতা নিয়ে বেড়ে উঠা শিশুদের ক্ষেত্রে এই আচরণের পেছনে থাকা কারণগুলো আরও গভীর এবং জটিল। এদের আচরণকে “খারাপ” বলা ঠিক নয় বরং এটি অনেক সময় অসুবিধা, বিভ্রান্তি কিংবা সংবেদনশীলতা ও ভাষাগত দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। ধৈর্য, বোঝাপড়া এবং সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা শিশুদের সুষ্ঠ সামাজিকীকরন ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারি।

শিশুদের মধ্যে যে ধরনের আক্রমণাত্মক আচরণ সাধারণত দেখা যায়ঃ

১। শারীরিক আচরণ
🔸 হঠাৎ করে জিনিস ছুঁড়ে ফেলা
🔸 ইন্দ্রিয়ের অতিরিক্ত উত্তেজনা। (Sensory Overload)-এর সময় আঘাত করা

২। মৌখিক আচরণ
🔸 রুটিন বদলালে জোরে চিৎকার করা
🔸 নির্দিষ্ট শব্দ বা অপ্রাসঙ্গিক কথা বারবার বলা (Perseveration)
🔸 হঠাৎ ক্ষোভ প্রকাশ

৩। আবেগজনিত আচরণ
🔸 আবেগে বা পরিবেশে -মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভীত/দিশেহারা(Overwhelmed) হয়ে আবেগীয় নিয়ন্ত্রণ হারানো।
🔸 কান্না, চিৎকার বা নিজেকে একাকী রাখা

এই আচরণগুলো ইচ্ছাকৃত নয়, বরং শিশুর নিরাপত্তা বা বোঝাপড়ার সংকট থেকে জন্ম নেয়। যে সকল কারণ বা পরিস্থিতিতে শিশু আক্রমণাত্মক আচরণ (Aggressive Behavior) প্রকাশ করতে পারেঃ

১. সংবেদনশীলতা ও Sensory Dysregulation ঃ জোরালো শব্দ, উজ্জ্বল আলো, জামার স্পর্শ বা অতিরিক্ত Sensory Input শিশুকে Overwhelmed করে তুলতে পারে। ফলে তারা Meltdown, Withdrawal বা Atypical প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রকাশ করে।

২. যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতাঃ নিজের প্রয়োজন বা আবেগ প্রকাশ করতে না পারলে শিশুর মধ্যে হতাশা জন্ম নেয়, যা রাগ বা অস্থির আচরণে রূপ নেয়। Speech delay বা Developmental Delay থাকলে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়।

৩. Executive Function-এর দুর্বলতাঃ ADHD প্রভাবিত শিশুরা Impulse control, Routine Follow, বা পরিকল্পনায় অসুবিধা অনুভব করে। এর ফলে আচরণে অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।

৪. আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতাঃ Coping Skill বা Self-regulation দক্ষতার অভাবে শিশুরা সহজেই আবেগে ভেঙে পড়ে। তাই তারা চাপ অনুভব করলেই Meltdown এর দিকে ধাবিত হয়।

৫. সামাজিক বিভ্রান্তিঃ ASD শিশুরা সামাজিক ইঙ্গিত সঠিকভাবে বুঝতে না পারায় Anxiety, Withdrawal বা প্রতিরক্ষামূলক আচরণ প্রদর্শন করে।

৬. পরিবেশগত প্রভাবঃ বাড়িতে পারিবারিক চাপ, বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কার্টুন ইত্যাদি শিশুর মনোসংযোগ ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৭. অনুকরণমূলক আচরণঃ শিশুরা বড়দের আচরণ অনুকরণ করে। যদি বাড়ি বা স্কুলে কেউ বারবার রেগে যায়, শিশুরা সেটাই শেখে এবং অনুরূপ আচরণ দেখায়।

৮. স্নায়বিক ও বিকাশজনিত কারণঃ Autism, ADHD, Sensory Processing Disorders বা অন্যান্য Neurodiversity থাকলে শিশুর আত্ম-নিয়ন্ত্রণ, আবেগ-প্রকাশ ও আচরণে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

বিশেষ শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণকে শুধুমাত্র "সমস্যা" হিসেবে দেখা উচিত নয়, বরং এটিকে তাদের ভেতরের সংকেত বা বার্তা হিসেবে বোঝা জরুরি। অনেক সময় এটি তাদের সংবেদনশীলতা, ভাষাগত সীমাবদ্ধতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা কিংবা সামাজিক বিভ্রান্তির প্রতিফলন। তাই শিশুর আচরণের পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করা এবং ধৈর্য, সহানুভূতি ও যথাযথ সহায়তার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়ানোই সঠিক পদক্ষেপ। মনে রাখতে হবে—প্রতিটি শিশুই ভিন্ন, এবং সঠিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা তাদের নিরাপত্তা, আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক আচরণ গঠনে সহায়ক হতে পারি।

বিশেষ শিশুদের ব্যাপারে যেকোনো পরামর্শ পেতে এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে কল করুন:
আজিমপুর শাখাঃ
+8801886-085264
ঠিকানাঃ
১৯, নিউপল্টন, আজিমপুর, ঢাকা-১২০৫।
বাড্ডা শাখাঃ
+8801849-984518, +8801849-974458
ঠিকানাঃ
বাসাঃ ৩৫, রোডঃ ১১, ডি আই টি প্রজেক্ট, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা- ১২১২।
ওয়ারী শাখাঃ
+8801804-214421, +8801850-114327
২৮/১ (৪র্থ তলা), শাহ সাহেব লেন, নারিন্দা, ওয়ারি, ঢাকা।

17/08/2025

অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর খাদ্যাভ্যাস তৈরীতে যে সকল বিষয় জানা থাকা উচিত।

এছাড়া বিস্তারিত পরামর্শ পেতে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

শিশুর দেরীতে কথা বলা সমাধানে পরামর্শ পেতে কল করুনঃ 01849984518, 01849974458 নম্বরে।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে কল করুন:
আজিমপুর শাখাঃ
+8801886-085264
ঠিকানাঃ
১৯, নিউপল্টন, আজিমপুর, ঢাকা-১২০৫।
বাড্ডা শাখাঃ
+8801849-984518, +8801849-974458
ঠিকানাঃ
বাসাঃ ৩৫, রোডঃ ১১, ডি আই টি প্রজেক্ট, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা- ১২১২।
ওয়ারী শাখাঃ
+8801804-214421, +8801850-114327
২৮/১ (৪র্থ তলা), শাহ সাহেব লেন, নারিন্দা, ওয়ারি, ঢাকা।

অতিরিক্ত  স্ক্রিন টাইম বা বেশি মোবাইল দেখা কি অটিজম এর কারণ?আজকের প্রযুক্তিনির্ভর পরিবেশে শিশুদের মোবাইল, ট্যাবলেট বা টে...
16/08/2025

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম বা বেশি মোবাইল দেখা কি অটিজম এর কারণ?

আজকের প্রযুক্তিনির্ভর পরিবেশে শিশুদের মোবাইল, ট্যাবলেট বা টেলিভিশনের মতো স্ক্রিনভিত্তিক যন্ত্র থেকে পুরোপুরি দূরে রাখা প্রায় অসম্ভব। অল্প বয়সেই তারা এসব ডিভাইস ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে অটিজম শনাক্তকরণের হার বাড়ার সাথে সাথে অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন জাগে, “বেশি স্ক্রিন টাইম কি শিশুকে অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন করে তোলে?”
উত্তরটি হবে, ‘না’। এখন পর্যন্ত গবেষনায় স্ক্রিন টাইম অটিজমের কারণ হিসেবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। তবে অনেক সময় অভিভাবকরা স্ক্রিন ব্যবহারের সময়সীমা ও শিশুর কিছু আচরণের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পান, যেগুলো অটিজমের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। কার্যত, শিশুদের মধ্যে যদি সামাজিক মেলামেশায় জটিলতা থাকে, তারা স্ক্রিনে বেশি মনোযোগী হতে পারে।

গবেষণালব্ধ তথ্যঃ
২০২২ সালের JAMA Pediatrics-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছেঃ ১ বছর বয়সে অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহারে কয়েকটি বিকাশজনিত মাইলস্টোনে বিলম্ব ঘটতে পারে। তবে এতে স্ক্রিন টাইম ও অটিজমের মধ্যে কোনও সরাসরি সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞদের মত:
• স্ক্রিনের প্রতি আগ্রহ অটিজমের লক্ষণ নয়, বরং অটিজম আক্রান্ত শিশুরা প্রেডিক্টেবল ও নিয়ন্ত্রিত উপাদানকে বেশি পছন্দ করে বলে তারা স্ক্রিনে আনন্দ পায়,দেখতে পছন্দ করে।

অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার হলো একটি স্নায়ুবিক ও বিকাশজনিত অবস্থা যা শিশুর আচরণ, যোগাযোগ এবং আগ্রহের ধরনে প্রভাব ফেলে। অটিজমের প্রধান রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো হলোঃ
• জেনেটিক কারণ (বংশগত প্রভাব)
• জন্মপূর্ব পরিবেশগত প্রভাব
• গর্ভাবস্থায় সংক্রমণ বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের ব্যবহার
• Pre- Mature/ অপরিণত বা কম ওজনের শিশুর জন্ম নেওয়া

যদিও গবেষণায় প্রমাণিত যে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম অটিজম তৈরি করে না তবে এর রয়েছে নানা ক্ষতিকর প্রভাব যার মধ্যে অন্যতমঃ
• ভাষা বিকাশে বিলম্ব (speech delay)
• সামাজিক যোগাযোগে অসুবিধা
• ঘুম ও দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপে বিঘ্ন
• আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা

অভিভাবকদের জন্য করণীয়
• শিশুর স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন ও নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।
• একসাথে খেলা, গল্প বলা ও বাইরে সময় কাটানোর সুযোগ দিন।
• শিশুর ভাষা ও সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে মুখোমুখি যোগাযোগ বাড়ান।
• পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার ও নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ নিশ্চিত করুন।

বিশেষ শিশুদের ব্যাপারে যেকোনো পরামর্শ পেতে এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে কল করুন:
আজিমপুর শাখাঃ
+8801886-085264
ঠিকানাঃ
১৯, নিউপল্টন, আজিমপুর, ঢাকা-১২০৫।
বাড্ডা শাখাঃ
+8801849-984518, +8801849-974458
ঠিকানাঃ
বাসাঃ ৩৫, রোডঃ ১১, ডি আই টি প্রজেক্ট, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা- ১২১২।
ওয়ারী শাখাঃ
+8801804-214421, +8801850-114327
২৮/১ (৪র্থ তলা), শাহ সাহেব লেন, নারিন্দা, ওয়ারি, ঢাকা।

গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন আসক্তি শিশুদের ভাষা বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়। এছাড়া শিশুদের মধ্যে বিষণ্ণতা, মনোযোগ হীনতা তৈরী কর...
16/08/2025

গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন আসক্তি শিশুদের ভাষা বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়। এছাড়া শিশুদের মধ্যে বিষণ্ণতা, মনোযোগ হীনতা তৈরী করে।
শিশুর সঠিক বিকাশে বিভিন্ন খেলনা দিয়ে খেলায় অভ্যস্ত করুন, স্মার্ট ফোন দেখানো থেকে বিরত থাকুন।
শিশুর কথা না বলতে পারা সমাধানে পরামর্শ পেতে কল করুনঃ 01568085265, 01886085264 নম্বরে।



ওষুধ ছাড়া আমরা কিভাবে 𝐀𝐃𝐇𝐃 শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারি।ADHD (Attention Deficit Hyperactivity Disorder) হলো একটি নিউর...
15/08/2025

ওষুধ ছাড়া আমরা কিভাবে 𝐀𝐃𝐇𝐃 শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারি।

ADHD (Attention Deficit Hyperactivity Disorder) হলো একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল বা স্নায়ু বিকাশজনিত অবস্থা যার ফলে একটি শিশুর মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হয় এবং আচরণে অতিচঞ্চলতা প্রকাশ পায়। অনেক অভিভাবক মনে করে থাকেন ADHD শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমেই নিরাময় করা সম্ভব। তবে আধুনিক গবেষণা অনুসারে ADHD সমস্যা সমাধানে ওষুধ ছাড়াও বেশ কিছু কার্যকর পদ্ধতি রয়েছে।

ওষুধ ছাড়া ADHD নিয়ন্ত্রণের ৫ টি উপায় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো :

১. ভাল ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুনঃ
স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে শিশুদের জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র আধাঘণ্টা বেশি ঘুমালেই শিশুর অস্থিরতা ও চঞ্চলতা অনেকাংশে কমে যেতে পারে। অনেক ADHD আক্রান্ত শিশুর Sleeping Disorders এর ঝুঁকি থাকে যা কিনা শিশুর ADHD এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তাই যে বিষয় গুলো মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণঃ
• প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করান – এমনকি ছুটির দিনেও।
• ঘরের আলো কম রাখুন ও তাপমাত্রা ঠাণ্ডা রাখুন।
• ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে মোবাইল/টিভি বন্ধ রাখুন।

ঘুমের পূর্বে শিশুদের একটি নির্দিষ্ট রুটিনে অভ্যস্ত করা গেলে তা শিশুদের মানসিক অস্থিরতা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ঘুমের আগে গল্প শোনানো বা বই পড়া, নির্দিষ্ট কিছু কাজ যেমন: দাঁত ব্রাশ করা, বিছানা গোছানো ইত্যাদি শিশুদের মানসিক অস্থিরতা কমাতে এবং তাদের স্থিতিশীল হতে সাহায্য করে।

২. খাবারে পরিবর্তন আনুনঃ
গবেষণায় দেখা যায়, ঘুমের পাশাপাশি, ADHD শিশুর আচরণে খাবারের প্রভাব রয়েছে।

যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন:
• সোডিয়াম বেনজোয়েটঃ জুস (প্যাকেটজাত ম্যাঙ্গো জুস, আপেল বা কমলা জুস,লিচি ড্রিঙ্ক), কোমল পানীয়, ( কোক,স্প্রাইট, ফান্টা)।
• ফুড কালারিংঃ আইসক্রিম, চিপস, আচার, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, রঙিন জেলি, ক্যান্ডি বার, ইত্যাদি।

যে খাবারগুলো ADHD শিশুদের জন্য উপকারীঃ
"ADHD সম্পন্ন শিশুদের খাদ্য পরিকল্পনায় উপরোক্ত খাবারগুলি পরিহার করার পাশাপাশি, ওমেগা-৩-সমৃদ্ধ খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করাও গুরুত্বপূর্ণ। সয়াজাত পণ্য, তিলবীজ, আখরোট এবং সামুদ্রিক মাছের মতো খাদ্যে বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ADHD-এর উপসর্গ হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

৩. ‘মাইন্ডফুলনেস’ শেখানোঃ
মাইন্ডফুলনেস মানে হলো সচেতনভাবে নিজের অনুভূতি ও চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা। ADHD শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখতে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করা কঠিন হতে পারে। বিকল্প হিসেবে শিশুদেরকে কিছু মেলোডিয়াস মিউজিক/গান শোনানোর অভ্যাস করতে পারেন।

৪. বাইরে খেলার সুযোগ দিনঃ
প্রাকৃতিক পরিবেশে খেলা ADHD সম্পন্ন শিশুদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। সবুজ গাছপালা ও প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে তাদের অস্থিরতা অনেকাংশে কমে যায়।

৫. প্রয়োজনীয় থেরাপি প্রদানঃ
অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ওষুধের আগে ADHD সম্পন্ন শিশুদের অকুপেশনাল থেরাপি এবং বিহেভিয়্যার থেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই থেরাপি গুলোর মাধ্যমে শিশুদের অস্থিরতা, আচরণগত সমস্যা ইত্যাদি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

ADHD শিশুর অতিচঞ্চলতা কমাতে ওষুধ ছাড়াও অনেক কার্যকর উপায় আছে। তবে এজন্য প্রয়োজন সময়, ধৈর্য ও সচেতনতা। নিয়মিত ঘুম, সঠিক খাবার, ভালো অভ্যাস, থেরাপি এবং পরিবারের ভালোবাসা—এই সব কিছুই শিশুর জীবনকে সুন্দর ও স্বাভাবিক করে তুলতে সাহায্য করে।

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে কল করুন:
আজিমপুর শাখাঃ
+8801886-085264
ঠিকানাঃ
১৯, নিউপল্টন, আজিমপুর, ঢাকা-১২০৫।
বাড্ডা শাখাঃ
+8801849-984518, +8801849-974458
ঠিকানাঃ
বাসাঃ ৩৫, রোডঃ ১১, ডি আই টি প্রজেক্ট, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা- ১২১২।
ওয়ারী শাখাঃ
+8801804-214421, +8801850-114327
২৮/১ (৪র্থ তলা), শাহ সাহেব লেন, নারিন্দা, ওয়ারি, ঢাকা।

Address

House: 19, Newpaltan, Azimpur
Hazaribag
1205

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 22:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801568085265

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Speech Aid Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Speech Aid Bangladesh:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram