
27/07/2025
🛑 মুরগির হঠাৎ মৃত্যু? সাবধান! এটি হতে পারে রাণীক্ষেত রোগ! 🐔
রাণীক্ষেত (Newcastle Disease) মুরগির একটি ভয়ংকর ভাইরাসজনিত রোগ। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো খামার ধ্বংস করে দিতে পারে! অনেকেই একে চু না হাগা রোগ বলে থাকেন। এ রোগ অর্থনৈতিক ভাবে মারাত্মক ক্ষতি করে খামারিদের।
🔍 রোগ কি করণে ছড়ায় এবং কিভাবে ছড়ায়:
✅ আক্রান্ত মুরগির লালা, মল ও নিঃশ্বাস
✅ বাহক পাখি ও দূষিত খাবার-পানি
✅ খামারের ভেতরে বাইরের মানুষ ও যন্ত্রপাতি
⚠️ লক্ষণ:
মুরগির বেশিরভাগ আক্রান্ত রোগের লক্ষণ প্রায় কাছাকাছি।
তাই সর্দি কাশি ঘড়ঘর করলেই যে রাণীক্ষেত বিষয় এমন নাও হতে পারে। আর সব সর্দি-কাশিতে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেই যে সফলতা পাওয়া যাবে তাও নয়। অর্থাৎ ভাইরাস রোগে এন্টিবায়োটিকস এর তেমন কোন ভূমিকা নেই। তাই যদি কখনো ভাইরাস রোগে শুরুতেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় যখন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুকি কম থাকে তাহলে এন্টিবায়োটিক কার্যকরীতা হারায়।
চলুন জানি কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ যা রাণীক্ষেত রোগে পাওয়া যায়:
• কাশি, হাঁপানি, গলার ঘড়ঘড়
• চারপাশে ঘুরতে থাকা, গলা বাঁকা হওয়া
• পাতলা ডায়রিয়া ( চুনা বা সবুজ পায়খানা) ও ডিম কমে যাওয়া
• হঠাৎ মৃত্যু!
💊 নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই! কেবল সাপোর্টিভ কেয়ার:
• ভিটামিন C ও E
• বিশুদ্ধ পানি ও অ্যান্টিবায়োটিক (দ্বিতীয় সংক্রমণ ঠেকাতে) চিকিৎসক এর পরামর্শে।
• আক্রান্ত পাখি আলাদা করে ফেলুন।
🛡️ প্রতিরোধই একমাত্র উপায়!
📌 টিকা প্রয়োগ সময়সূচি:
✔️ ৩-৫ দিন: BCRDV চোখে/নাকে ফোটা ফোটা করে
✔️ ২১ দিন: BCRDV বুস্টার চোখে/নাকে ফোটা করে দিবেন
✔️ ৪৫ দিন ও প্রতি ৩-৬ মাস পর পর: RDV ১মিলি করে মাংসে।
📌 বায়ো-সিকিউরিটি মেনে চলুন:
✔️ খামার পরিষ্কার রাখুন
✔️ বহিরাগত ও বন্য পাখির প্রবেশ বন্ধ করুন
✔️ মৃত পাখি পুঁতে ফেলুন বা পুড়িয়ে ফেলুন
👉 আপনার খামারকে বাঁচাতে সময়মতো টিকা দিন, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
✅ জানুন, সচেতন হোন, বাঁচান আপনার খামার! শেয়ার দিয়ে অন্য খামারিদের জানার সুযোগ দিন।
সংকলন ও প্রচারে
প্রফেসর ইমদাদুল হক প্রাণী সেবা কেন্দ্র ও ভেটেরিনারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার
#খামার_স্কুল 🐣 #মুরগির_খামার
#রাণীক্ষেত