গরীবের বিনামূল্যে ডাক্তারী সেবা

  • Home
  • Bangladesh
  • Ishurdi
  • গরীবের বিনামূল্যে ডাক্তারী সেবা

গরীবের বিনামূল্যে ডাক্তারী সেবা Be kind upon poors

এইচএমপিভি নিয়ে কি আতংকের কিছু আছে? লক্ষণ আর প্রতিকারের ব্যবস্থা কী?করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পাঁচ বছর পর চীনের উত্তর অঞ্...
27/01/2025

এইচএমপিভি নিয়ে কি আতংকের কিছু আছে? লক্ষণ আর প্রতিকারের ব্যবস্থা কী?

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পাঁচ বছর পর চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস সংক্ষেপে এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী মহামারী ছড়িয়ে পড়ার ঠিক পাঁচ বছর পর এ ঘটনা ঘটলো, যে মহামারীতে সারা পৃথিবীতে ৭০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলেন।

চীনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, ১৪ বছর ও তার কম বয়েসীদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে।

তবে, এইচএমপিভি আক্রান্ত হয়ে চীনের হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে, এমন তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

এইচএমপিভি কি নতুন ভাইরাস?
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সিডিসি বলছে, ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এ ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ঘাবড়াবার কিছু নেই।

কেননা চীনের সরকার বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও কেউই এখনও আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করেনি।

এই ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে কী-না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও কোনো সতর্কবার্তা দেননি।

তবে, রোগটি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এইচএমপিভি সংক্রমিত হলে সাধারণ জ্বর বা ফ্লুর মত উপসর্গ দেখা যায়।

সাথে কাঁশি, জ্বর, নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সাথে চামড়ায় র‍্যাশ বা দানা দানা দেখা দিতে পারে।

তবে, কারো কারো জন্য এসব উপসর্গ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

সিডিসি বলছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোন বয়েসী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে।

আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণ প্রকাশ পেতে তিন থেকে ছয় দিন সময় লাগে।

কিন্তু আক্রান্ত হলে ঠিক কতদিন ভুগবেন একজন মানুষ তা নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতা ও আক্রান্ত ব্যক্তির

কীভাবে ছড়ায়?

এইচএমপিভি সাধারণতঃ আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাঁশি থেকে ছড়ায়।

এছাড়া স্পর্শ বা করমর্দনের মত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।

এছাড়া আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল' সিডিসি বলছে, এইচএমপিভি রয়েছে এমন বস্তু বা স্থান স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাঁশির ড্রপলেট লেগে থাকা স্থান যেমন দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে ছোঁয়ালে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।

অনেকটা কোভিডের মতো।

এইচএমপিভির সংক্রমণ সাধারণত শীতের সময় বাড়ে, যখন মানুষ দীর্ঘ সময় ঘরের ভেতর সময় কাটায়।

শিশু ও বয়স্করা কেন বেশি আক্রান্ত হন?
একজন মানুষ একাধিকবার এইচএমপিভি আক্রান্ত হতে পারেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যে প্রথমবারের সংক্রমণের তীব্রতা বেশি থাকে।

এরপর শরীরে এক ধরণের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, যার ফলে পরবর্তী সংক্রমণের তীব্রতা তত বেশি হয় না।

তবে এর ব্যতিক্রম হতে পারে যদি আক্রান্ত ব্যক্তির ক্যান্সার বা এইচআইভির মত দীর্ঘমেয়াদী অসুখ থাকে
আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে?
বাংলাদেশের ভাইরোলজিস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি জানিয়েছে, এইচএমপিভি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এর বড় কারণ হচ্ছে, এটি কোভিডের মতো নতুন কোনো ভাইরাস নয়।

২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়, এবং বাংলাদেশে ২০১৬ বা ২০১৭ সালের দিকে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।

ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে আগেও মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর অর্থ হলো মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে।মানে কেউ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে মোকাবিলা করতে পারবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ভাইরোলজিস্ট মাহবুবা জামিল বলেছেন, কোভিড ফুসফুসের যতটা ক্ষতিগ্রস্ত করে, এইচএমপিভিতে ততটা ক্ষতি হয় না।

তিনি জানিয়েছেন শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী বা কঠিন কোনো রোগে আক্রান্তদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র হতে পারে।

কেননা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত দুর্বল থাকে। সেক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এখন জেনে নেই, এইচএমপিভির বিষয়ে আরো কিছু তথ্য।এইচএমপিভি ভাইরাস কী ?
চীনের সেন্ট্রার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান বা সিডিসি'র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এইচএমপিভি কোভিড-১৯ এর মতোই একটি আরএনএ ভাইরাস। অর্থাৎ এর জিনের গঠন একই। এই ভাইরাসও শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে।

তবে এরা একই পরিবারের ভাইরাস নয়।

অর্থাৎ কোভিডের টিকা নেয়া থাকলে বা আগে কখনো কোভিড হলেও আপনার এইচএমপিভির সংক্রমণ হতে পারে।

কোভিডের ইমিউনিটি আপনাকে এইচএমপিভি থেকে সুরক্ষা দেবে না।নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষা করার সময় প্রথম এই ভাইরাসের ব্যাপারে জানতে পারেন।

সিডিসি জানিয়েছে, ভাইরাসটি অন্তত ৬০ বছর আগেই ছড়িয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এইচএমপিভিকে 'শীতজনিত স্বাস্থ্যগত সমস্যা' হিসেবে অভিহিত করেছে।

সাধারণ ফ্লুর লক্ষণ যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়।

তবে লক্ষণ তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি হতে পারে।

ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মারা যাওয়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের এক শতাংশের মৃত্যুর জন্য দায়ী এইচএমপিভি।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা বা ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ আক্রান্তরা, সেইসাথে সিওপিডি, অ্যাজমা ও পালমোনারি ফাইব্রোসিসের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগীদের মাঝে সংক্রমণের লক্ষণগুলো গুরুতর আকারে দেখা দিতে পারে।

এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

তাই জটিল রোগের আক্রান্তদের এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করা যাবে না।
প্রতিরোধের ব্যবস্থা কী?
করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেয়া হয়েছিল, একই ধরনের পদক্ষেপে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন:

বাইরে গেলেই মাস্ক পরা।
২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া।
হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা।
আক্রান্তদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। জন সমাগমস্থল এড়িয়ে চলা।
হাঁচি কাশি দেয়ার সময় মুখ টিস্যু দিয়ে ঢেকে নেওয়া এবং ব্যবহৃত টিস্যুটি সাথে সাথে মুখবন্ধ করা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে হাত সাবান পানিতে ধুয়ে ফেলা।
যদি টিস্যু না থাকে তাহলে কনুই ভাঁজ করে সেখানে মুখ গুঁজে হাঁচি দেওয়া।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করা।
সর্দিকাশি, জ্বর হলেও অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই ভাইরাস প্রতিরোধে কয়েকটি টিকা তৈরি করা হলেও এইচএমপিভি প্রতিরোধ এখনও সে ধরনের কোনো টিকা নেই।

তাই সতর্ক থাকার ওপরেই জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসা কী?
এই ভাইরাসের জন্য বর্তমানে কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই বা বিশেষ কোনো চিকিৎসা পদ্ধতিও নেই৷

চিকিৎসকরা সাধারণত লক্ষণ বুঝে তা উপশমের চেষ্টা করে থাকেন। যেমন জ্বর হলে তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ দেন।

সর্দি গলাব্যথা বা শ্বাস নিতে সমস্যা হলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা বা ওষুধ দেয়া হয়।

চিকিৎসকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীকে বিশ্রাম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে এই ভাইরাসের চিকিৎসায় অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন সাংহাই হাসপাতালের চিকিৎসক এবং বাংলাদেশের ভাইরোলজিস্টরা।

26/07/2023

ডেঙ্গুর বর্তমান অবস্থার কথা আমরা সকলেই জানি।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায় কমবেশি সকলেই জানি, কিন্তু ডেঙ্গু হয়ে গেলে আমাদের এপ্রোচ কি হবে সেটা নিয়ে আজকের এই আলোচনা।

মনে করুন আপনার জ্বর হলো। এখন কি করবেন?
* এটা নর্মাল, সিজনাল, এই কথা চিন্তা করা বন্ধ।
* দেখি ১-২দিন, দেখাদেখি বন্ধ।
* আমার তো সর্দি কাশি আছে,তাহলে এটা ডেঙ্গু না, ভাবা বন্ধ করুন।
কারন?
ডেঙ্গু জ্বরের প্যাটার্ন পাল্টেছে। একসময় চিকিৎসকরা সর্দি কাশি থাকলে আর ডেঙ্গু ভাবতো না। এখন আর সেটা নেই। গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে একটা আউটব্রেকের সময় যে কোন ফিভারেই শুরুতেই ভাবতে হবে আমি আউটব্রেকের কবলে পড়েছি। এটাই হচ্ছে নির্দেশিত। একটা সময় র‍্যাশ হতো, এখন র‍্যাশ দেখাই যায়না খুব একটা। এবছর জ্বরের তীব্রতাতেও পরিবর্তন এসেছে, অনেকেরি ১০০-১০১ এ ডেঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড শরীর ব্যথার কারণে এটাকে ব্রেক বোন ফিভার বলতো আগে, এবছর সেই প্যাটার্নেও পরিবর্তন এসেছে, আগে ৫-৬দিনের দিন রোগীর কন্ডিশন খারাপ হতো, এখন ৩দিনের মাথাতেই ইভেন জ্বরের ১-২দিনেও কেউ কেউ ক্রিটিকাল কন্ডিশনে চলে যাচ্ছে।

ডেঙ্গুর ক্লাসিক্যাল সিম্পটম:
তীব্র জ্বর, প্রচন্ড শরীর ব্যথা, বিশে করে কোমর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, মাথা ব্যথা। তবে বর্তমান ডেঙ্গুতে এমনটা নাও থাকতে পারে।

করণী-১:
প্রথম দিনেই হসপিটাল গিয়ে তিনটি টেস্ট করে ফেলা।
১)CBC
2)Dengue NS1
3) SGOT
করার পর কি করবেন? কারণ NS1 positive means আপনার ডেঙ্গু নিশ্চিত। কিন্তু ধরুন কোন কারণে আপনার রিপোর্ট সব নর্মাল আসলো। প্রথম দিনে এটা হতেই পারে। তবে সব নর্মাল আসার সম্ভাবনা কম।
প্রথমেই CBC report এর HCT/PCV নামে একটা টার্ম আছে, হেমাটোক্রিট বা প্যাকড সেল ভলিউম, এটা কত পার্সেন্ট আছে মার্ক করে ফেলবেন বা লিখে ফেলবেন। কারণ এটাই আপনাকে পরবর্তীতে অনেক কিছু গাইড করবে। ধরুন আপনার আসলো ৩৬%, আপনার হিমোগ্লোবিন ১২%, তাহলে নর্মাল এবং প্রথম দিন এটা নর্মাল আসবে। আর নর্মাল রেঞ্জ আপনার কত সেটি জানা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের দেশে ডেমোগ্রাফিক্যালি হেমাটোক্রিট ক্লাসিফাই করা নেই। তাই নিজের বেজ লাইন জেনে রাখবেন। হেমাটোক্রিট আপনার হিমোগ্লোবিনের ৩গুন সাধারণ অবস্থায়।
যদি দেখেন আপনার SGOT সাধারণ মাত্রার চাইতে ১-২গুন বেশি, তাহলে ওকে, এটাকে সাধারণ অবস্থা ভেবে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু যদি SGOT ৪-৫গুন হয়ে যায়, তবে এই রোগী সামনের দিকে খারাপ হওয়ার চান্স অনেক বেশি। তাই সতর্ক হয়ে যেতে হবে আগেই।

করণীয়-২:
প্রথম দিনেই ডাক্তার দেখাবেন। প্যারাসিটামল ছাড়া কোন ব্যথার মেডিসিন খেয়েছেন তো বিপদ আছে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ শুনবেন ও মেনে চলবেন।

করণীয়-৩:
প্রতিদিন CBC টেস্ট করতেই হবে মাস্ট। সিবিসি করে কি চেক করবেন? Platelet? না। HCT বা হেমাটোক্রিট। বিলিভ মি, যত প্যাশেন্ট মারা যাচ্ছেন, সব ডেঙ্গু শক সিন্ড্রমে, কেউ প্লাটিলেট বা ব্লিডিং হয়ে মারা যাচ্ছেন না। হেমোরেজিক ডেঙ্গুর চাইতে এখন আমাদের দেশে ডেঙ্গু শক হচ্ছে বেশি। আর এই হেমাটোক্রিট আপনাকে ইন্ডিকেশন দিবে এই শক সম্পর্কে। CBC থেকে আপনি কিভাবে কি বুঝবেন এবং দ্রুত হসপিটাল যাবেন?
যদি দেখেন আপনা HCT/PCV প্রথম দিনের নর্মাল রেঞ্জের চাউতে অনেক বেড়ে গেছে, ধরুন ছিলো ৩৫%, এখন ৪০%-৪৫%, তাহলে আপনার প্লাজমা লিকেজ হচ্ছে, শক।
যদি দেখেন হিমোগ্লোবিন এবং HCT দুটোই প্রথম দিনের চাইতে অনেক কমে গেছে, তবে আপনার শরীরে কোথাও ব্লিডিং হচ্ছে, সাথে কালো পায়খানা, লাল প্রশ্রাব, দাঁতের মাড়ি থেকে, নাক থেকে রক্ত পড়ছে। দ্রুত হসপিটাল ভর্তি হবেন। এক মুহুর্ত দেরি করা যাবেনা।
আর কী কী বুঝা যাবে CBC থেকে? যদি আপনার WBC count বা হোয়াইট ব্লাড কাউন্ট ৫হাজারের নিচে নেমে যায়, লিউকোপিনিয়া, এবং মনে রাখবেন, WBC count না কমার আগে আপনার প্লাটিলেট কমবে না। WBC count কমার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার Platelet count কমতে শুরু করবে। Platelet count যখন ১লাখের নিচে নেমে যাবে, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার প্লাজমা লিকেইজ শুরু হবে, এবং আপনি শকের দিকে ধাবিত হবেন। তাহলে CBC কতটা গুরুত্বপূর্ণ আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। মনে রাখবেন, প্রতিদিন CBC করতে হবে। প্লাটিলেট কমে গেলে মরবেন না, তাই প্লাটিলেট নিয়ে হাহুতাশ করবেন না। প্লাটিলেট ২০হাজারের নিচে না নামলে অন্য কোন প্রব্লেম না থাকলে ব্লিডিং হয়না, কারোর ১০হাজারেও কিছু হয়না। এটা আমাদের দেশে একটা অকারণ আতঙ্ক। পেপে পাতাও খাওয়া লাগবেনা, প্লাটিলেট যখন বাড়বে, একদিনেই কয়েক লাখ বেড়ে যাবে।

ক্রিটিকাল ফেইজ:
--------------------------
মনে রাখবেন, জ্বর থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু রোগী মারা যায়না, বরং বিপদ শুরু হয় মূলত জ্বর কমার পর এবং সাধারণত আগে ৫-৬দিনের মাথায় ক্রিটিকাল ফেইজ শুরু হতো, কিন্তু এখন ৩দিনের শুরুতেই রোগীরা শকে চলে যাচ্ছে। ইভেন অনেকে জ্বর থাকা অবস্থাতেই ক্রিটিকাল হয়ে যাচ্ছে। তাই ফিভার কমে গেলে আরও সতর্ক হতে হবে। এই ফেজে আপনার প্লাটিলেট দ্রুত কমে যাবে। কিন্তু আগেই বলেছি, আপনাকে দেখতে হবে হেমাটোক্রিট।
এই ফেজে আর কী কী করলে বুঝতে পারবেন আপনার রোগী খারাপ হচ্ছে কিনা?
#ব্লাড_প্রেশার মাপবেন। দিনে ৪-৫বার মিনিমাম। বরং প্রথম দিন থেকেই মাপবেন।
এক্ষেত্রে ধরেন অনেকেরি আগে থেকে বিশেষ করে মেয়েদের ব্লাড প্রেশার লো থাকে, সো মাপার সময় আগে কত থাকতো জেনে নিবেন। বাসায় একটা ব্লাড প্রেশার মেশিন রাখবেন, ডিজিটাল মেশিন হলে পর পর দুইবার মাপবেন, আর ম্যানুয়াল হলে একবার মাপবেন।
এতে কি বুঝা যাবে? যদি ব্লাড প্রেশার সিস্টোলিক আইমিন উপরেরটা ১০০ এর নিচে নেমে যায় এবং ডায়স্টলিক মানে নিচেরটা ৬০ এর নিচে নেমে যায়, তবে এলার্ট হয়ে যান।
কিন্তু ধরেন উপরের প্রেশার ১০০-১১০ আর নিচেরটা ৯০। আপনি ভাবলেন নর্মাল। বা ৯০/৭০ বা ১২০/১০০। না, এটা নর্মাল না। দুটোর বিয়োগফল কত আসে? অনেক কাছাকাছি না? এটাকে বলে ন্যারো পালস প্রেশার এবং এই পালস প্রেশার যদি ২০ এর কম হয়, অর্থাৎ দুটোর পার্থক্য যদি ২০ এর কম হউ, ইউ আর ইন শক ওর আপনি শকে যাচ্ছেন।
দ্রুত হসপিটাল।
এই ক্রিটিকাল ফেজে আর কী কী বিষয় গুরুত্বপূর্ণ?
তীব্র পেটে ব্যথা হচ্ছে কিনা? এটা শকের লক্ষন।
লো প্রেশারের সাথে আপনার রোগীর হাত ও পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কিনা, এটা শকের লক্ষন।
আপনার রোগী অস্থিরতা দেখাচ্ছে কিনা, একদম নেতিয়ে দূর্বল ফ্যাকাশে হয়ে গেলো কিনা, বিপদ চিহ্ন।
খুব ভালোকরে প্রশ্রাবের দিকে খেয়াল করবেন। কয়বার প্রশ্রাব করছে, কতটুকু প্রশ্রাব হচ্ছে প্রতিবার। যদি প্রশ্রাব কমে যায়, অল্প প্রশ্রাব হয়, হসপিটাল সোজা ভর্তি হয়ে যাবেন।
রোগীর কি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? পেট ফুলে যাচ্ছে? হঠাৎ করে গা ঝাকুনি দিয়ে খিচুনি হচ্ছে? দ্রুত হসপিটাল নিয়ে যান।

আর কি করতে পারেন? হাতের আঙুলের নখে জোরে চাপ দিয়ে ধরুন কিছুক্ষণ, নখ সাদা হয়ে গেলে এবার ছাড়ুন, এবার ভালোভাবে খেয়াল করুন নখের রঙ ফিরে আসতে কত সময় লাগছে, যদি বেশি সময় লাগে, বেশি বলতে কত? ২ সেকেন্ডের বেশি লাগলে আপনার রোগী শকে আছে। এটাকে বলে ক্যাপিলারি রিফিল টাইম।
আর কি করতে পারেন?
ব্লাড প্রেশার মেশিন নিন, এবার হাতের কব্জি মাঝে রেখে যেভাবে ব্লাড প্রেশার মাপবেন সেভাবে বাতাস দিয়ে টাইট করুন, টাইট অবস্থায় ৪-৫মিনিট দিয়ে রাখুন, এবার বাতাস ছাড়ুন, এবং খেয়াল করুন বাহুতে লাল লাল কতগুলো দাগ পড়েছে ছোট ছোট, ছোট্ট একটা বক্স কল্পনা করে যদি মনে হয় অনেক বেশি লাল লাল স্পট, দ্রুত হসপিটাল চলে যান। এটাকে বলে টর্নিকেট টেস্ট। সব রিপোর্ট নর্মাল আসলেও যদি আপনার টর্নিকেট টেস্ট পজিটিভ আসে, নিশ্চিত থাকুন আপনার ডেঙ্গু। এটা একদম প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন করবেন।

বমি ও পাতলা পায়খানা:
-----------------------------------
দিনে ৩বারের বেশি বমি করলে, ৩বারের বেশি পাতলা পায়খানা হলে সোজা হসপিটাল চলে যাবেন। একমুহূর্ত দেরি করা যাবেনা।

বাসায় কি করবেন?
---------------------------
প্রচুর পরিমানে তরল খাওয়াবেন। ২-৩লিটার, ডাবের পানি, আধা লিটার পানিতে গোলানো স্যালাইনের পানি, স্যুপ,শরবত লবন চিনি দেয়া খাওয়াবেন। যতক্ষণ মুখে খেতে পারবে খাওয়াবেন, যখন আর পারবেনা, বমি হবে অনেক, পাতলা পায়খানা, হসপিটাল নিয়ে যাবেন।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন।
বেশিরভাগ রোগী মারা যায় শুরুতেই ডাক্তারের পরামর্শ না নেয়াতে, বিপদ চিহ্ন না জানাতে, বাসায় থেকে রোগী খারাপ করে ফেলে।

******ডায়বেটিস, হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক, কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, SLE প্যাশেন্ট হলে প্রথম দিনেই হসপিটাল ভর্তি করে দিবেন।

********আপনার বাড়ির কাছের হসপিটালে আগে যাবেন।
সব সরকারি হসপিটালের ম্যানেজমেন্ট ভালো, বারান্দায় শুয়ে থাকলেও, কারণ সরকারি হসপিটাল এবং মেডিকেল কলেজ গুলোতে ন্যাশনাল গাউড লাইন মেনে চিকিৎসা দেয়া হয়।

*******বাসায় পালস অক্সিমিটার থাকলে অক্সিজেন স্যাচুরেশন চেক করবেন।

********কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে হার্ট ইনভলভ হয়ে যাবে, দেরি করলে অর্গান ফেইলিউর হয়ে যায়। ভাইরাল মায়োকার্ডাইটিস কিংবা একিউট কিডনি ইঞ্জুরির রোগীর জন্য আইসিউ লাগবেই। এসব রোগী বাইরে ম্যানেজ করা যায়না। রোগী খারাপ দেখলে সকল প্রস্তুতি রাখুন। যে কোন ইসিজি চেঞ্জেস, বিশেষ করে ট্যাকিকার্ডিয়া, শ্বাস দ্রুত হওয়া মানে ট্যাকিপেনিয়া বিপদ চিহ্ন। খারাপ হওয়ার আশংকা বেশি। কারো কারো ক্ষেত্রে প্লুরাল ইফিউশন অর্থাৎ লাংসে পানি চলে আসতে পারে।

*******মনে রাখবেন, প্রতিদিন সিবিসি টেস্ট, ডাক্তারের পরামর্শ, হসপিটাল এডমিশনের প্রস্তুতি, প্রচুর তরল খাওয়ানো, ব্লাড প্রেশার মাপা, বিপদ চিহ্ন খেয়াল করা, দেরি না করে হসপিটাল নেয়া, জ্বর কমে গেলে আরও সতর্ক হওয়া, প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন মেডিসিন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়ানো।

*******ডেঙু এখন আর শুধু ঢাকাতে সীমাবদ্ধ না, সারা বাংলাদেশে ছড়িয়েছে।

*******দিনে রাতে যে কোন সময় ডেঙ্গু মশা কামড়ায়।
*******পরিষ্কার নোংরা সব পানিতেই ডেঙ্গু হচ্ছে।
*******Dengue NS1 test জ্বর শুরু হওয়ার ৩দিন পর করলে লাভ নেই। সেক্ষেত্রে CBC, SGOT, Dengue Antibody (IgG+IgM) করতে হবে।
*******যারা রক্ত তরল করার মেডিসিন খান, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটি বন্ধ রাখবেন কিংবা খাবেন। কোন অবস্থাতেই নিজে নিজে বন্ধ বা খাওয়া যাবেনা।

সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি সুরক্ষা চাইবেন। চারপাশ পরিষ্কার রাখবেন।
সতর্ক থাকবেন।

তথ্যসূত্র:
------------
Dengue National Guideline
CDC

প্রায়ই শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ শোনা যায় যে- অনেক পড়ার পরও পড়া মনে থাকে না। এটা সত্য যে সক...
12/11/2022

প্রায়ই শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ শোনা যায় যে- অনেক পড়ার পরও পড়া মনে থাকে না। এটা সত্য যে সকলের মস্তিষ্কের ধারন ক্ষমতা এক নয়। দেখা গেছে যে কেউ কেউ অল্প পড়লেই সেটা তার শেখা হয়ে যাচ্ছে আবার অন্যজন অনেকক্ষন পড়েও শিখতে পারছে না। স্কুল জীবনের শুরুর দিকে যারা পড়াশোনার ব্যাপারে ভাল পরিচর্যা পায় তাদের পড়াশোনার ভিত্তিটা একটু বেশিই মজবুত থাকে যার কারনে পরবর্তি স্তরের পাঠসমূহ তার কাছে অনেকটা সহজ বোধ হয়।

1)। পড়ার সঠিক সময় নির্ধারন করুন: শিক্ষার্থীরা সাধারনত ভোর বেলা ও সন্ধা বেলায় পড়াশোনা শুরু করে। তবে বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠার পর আমাদের মস্তিষ্ক সবচেয়ে সতেজ থাকে এবং এ সময় খুব সহজেই পড়া মনে থাকে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সন্ধ্যা থেকে রাতের পাশাপাশি গুরুত্ব সহকারে ভোর বেলায় পড়ার অভ্যাস করতে হবে।

২। লক্ষ্য স্থির করে পড়ুন: পড়তে বসলে নিজের লক্ষ্য স্থির করুন। বইয়ের কত পাতা পর্যন্ত কত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন তা ঠিক করে নিন। নয়তো মনোযোগ হারাবেন এবং সময়ের অপচয় হবে।
3) জোরে পড়ুন: জোরালো কণ্ঠে পড়ুন। জোরে পড়লে মাথায় তথ্য দ্রুত ঢুকে যায়। যেমন একটি গান যখন শোনেন, তখন তা দ্রুত মনে পড়ে। যা পড়ছেন তা নিজের কানে জোরে প্রবেশ করলে দ্রুত মুখস্থ হবে।

৪। রিডিং পড়ার সময় খাতায় লেখুন: রিডিং পড়ার সময়ও খাতা-কলম নিয়ে বসুন। রিডিং পড়ে পাঠ অন্তস্ত করার সময় প্রায়ই পূর্ণ মনযোগ দিতে পারছেন না, মনে রাখতে পারছে না বা কখনো এমন হয় যে বিষয়টা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারছেন না। এক্ষেত্রে পাঠটি রিডিং পড়ার সাথে সাথে জটিল ও কঠিন শব্দ, বাক্য বা সুত্রুলি খাতায় লেখলে তা দ্রুত অন্তস্ত হয় ও দীর্ঘ সময় মনে থাকে।

5) অর্থ বুঝে পড়ুন:অবশ্যই জেনে নিতে হবে। ইংরেজি ভাষা শেখার প্রধান শর্ত হলো শব্দের অর্থ জেনে তা বাক্যে প্রয়োগ করা। বুঝে না পড়লে পুরোটাই বিফলে যাবে। অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও কী পড়ছেন তা বুঝতে চেষ্ঠা করুন।

৬। সারমর্ম বা সামারাইজিং করুন: বড় কোন লেখাকে ছোট করে নিলে তা সহজেই মনে থাকে। এছাড়া কোন একটি বড় পাঠকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিয়ে পড়লে তা সহজে মনে থাকবে।

৭। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি হাইলাইট করুন: পড়ার সময় মার্কার পেন পাশে রাখুন। পাঠের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমুহ মার্ক করে রাখুন। এতে ঐ অংশে মনেযোগ বাড়বে এবং পরীক্ষার পূর্বে রিভিশন দেয়ার সময় সহজেই দৃষ্টিগোচর হবে।

। 8)বিরতি দিন এবং হাঁটুন: একটানা অনেকক্ষণ পড়লে অস্থিরতা চলে আসবে। বেশ কিছুক্ষণ পড়ার পর ১৫-২০ মিনিট হেঁটে আসুন। এতে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্ক বিশ্রাম পাবে।

৯। নিজেই শিক্ষক হয়ে যান: নিজেই নিজের শিক্ষক হয়ে উঠুন। কি পড়লেন, কি মুখস্থ করলেন ইত্যাদি বুঝতে নিজেই শিক্ষক হিসেবে মূল্যায়ন করুন। নিজেই পরীক্ষা দিন এবং তা যাচাই করুন।

১০। নোট করুন: যাই শিখবেন তাই লিখে ফেলুন, নোট করুন। লেখা হলে তা দ্রুত মাথায় ঢুকে যাবে এবং সহজে ভুলবেন না। এছাড়া গুছিয়ে নোট করলে পরীক্ষার সময় সহজে রিভিশন দিতে পারবেন।

১১। গ্রুপ ষ্টাডি করুন: নিজে শিখার পর পাঠটি অন্যকে শিখানোর চেষ্ঠা করুন, তাতে অনেক দিন মনে থাকবে। ইংরেজী ভাষা শিখতে গ্রুপ ষ্টাডি সবচেয়ে কার্যকরী। প্রতিদিন ২-৩জনে মিলে গ্রুপ ষ্টাডি করলে নিজের ভুলগুলিও শুধরে নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে গ্রুপ ষ্টাডি করার জন্যে একটি পৃথক ও নির্দ্দিষ্ট সময় নির্ধারন করে নিতে হবে।

তবে উল্লেখ্য যে- আধুনিক প্রযুক্তির সু-ব্যবহারে সুফল ও অপব্যবহারে কুফল দুটুই আছে। যেমন- মোবাইল আসক্তি বা মোবাইল গেম, ইন্টারনেট আসক্তি, টিভি, কম্পিউটার স্ক্রিনের রেডিয়েশন আমাদের মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে যা স্বাভাবিক মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে ও পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটায়। তবে শিশুদের জন্যে এসব অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে সাবধান হতে হবে ও শিশুদের নিরাপদ রাখতে হবে।

সহজে পড়া মনে রাখার প্রদত্ত কৌশলগুলি বার বার আয়ত্ত করুন।

হাটু ব্যাথা ও করণীয়।হাঁটু মানুষের শরীরের সমস্ত ওজন বহন করে এবং আমাদের দাঁড়াতে, হাঁটতে, দৌড়াতে সাহায্য করে। হাঁটু মূলত এ...
07/11/2022

হাটু ব্যাথা ও করণীয়।

হাঁটু মানুষের শরীরের সমস্ত ওজন বহন করে এবং আমাদের দাঁড়াতে, হাঁটতে, দৌড়াতে সাহায্য করে। হাঁটু মূলত একটি জটিল অস্থিসন্ধি, যা ফিমার, প্যাটেলা এবং টিবিয়া নামক ৩টি হাঁড়ের সমন্বয়ে গঠিত। এছাড়াও এই জয়েন্ট অনেক মাংশপেশি ও সন্ধিবন্ধনীর সাহায্যে সংযুক্ত। হাঁটুর জয়েন্টের ভেতরটা সায়নোভিয়াল মেমব্রেন বা ঝিল্লি দিয়ে ঢাকা থাকে। এই সায়নোভিয়াল মেমব্রেন সায়নোভিয়াল ফ্লাইড তৈরি করে, যা হাঁটুর ঘর্ষণজনিত ক্ষয় রোধ করে। হাঁটুর জয়েন্টের চারপাশে থাকে সূক্ষ্ম নার্ভের জালিকা যা হাঁটুতে তৈরি হওয়া ব্যথার অনুভূতি ব্রেইনে পাঠিয়ে দেয় এবং আমরা হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করি।

বিভিন্ন কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। তবে অন্যতম কারণ—হাড়ক্ষয় বাত বা অস্টিওআথ্রাইটিস। এর ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়, কখনো কখনো হাঁটু ফুলে যেতে পারে। হাঁটাচলা করতে, নামাজ পড়তে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে অনেক কষ্ট হয়।
আঘাত হাঁটুর ব্যথার একটি বড় কারণ। আঘাতের কারণে মাংশপেশি বা লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। কখনো কখনো হাঁড় সরে বা ভেঙে যায়। অনেক সময় ভারী জিনিস ওঠানামা করার কারণেও হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের কারণেও হাঁটু ব্যথা হতে পারে।

কাদের বেশি হয়?
গবেষণা বলছে, হাঁটুর ক্ষয় বাত সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর শুরু হয়। বিভিন্ন হরমোনজনিত কারণে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের হাঁটুর ব্যথা বেশি হয়। এছাড়া পুরনো আঘাতের কারণেও বিভিন্ন বয়সে হাঁটু ব্যথা হতে পারে।

কী করা উচিত?
১. হাঁটু যেহেতু আমাদের শরীরের সমস্ত ওজন বহন করে তাই হাঁটুর ওপর চাপ কমাতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

২. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। এছাড়াও কিছু আরোবিক ব্যায়াম যেমন—দৌঁড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানোর অভ্যাস হাঁটু ভালো রাখবে।

৩. আমাদের হাঁড় গঠনে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অনেক। শরীরে এই ভিটামিন ডি সংশ্লেষণে সূর্যের আলোর ভূমিকা অপরিসীম। তাই সুস্থ সবল হাঁড় গঠনে আমাদের কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট সরাসরি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা উচিত।
গবেষণা বলছে, মধ্য দুপুরের সূর্য অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময়ের সূর্যের আলো ভিটামিন ডি সংশ্লেষণে সাহায্য করে।

৪. কিছু সহজ ব্যায়াম হাঁটুকে শক্তিশালী করে এবং ব্যথামুক্ত রাখতে সাহায্য করে

ক. একটি নরম তোয়ালে ভাঁজ করে হাঁটুর নিচে রেখে হাঁটু দিয়ে তোয়ালের উপর চাপ দিয়ে ৫-১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এভাবে ১০ বার করে দিনে ২-৩ বার করতে হবে।
খ. একটি চেয়ারে বসে পায়ের গোড়ালিতে ১-২ কেজি ওজন বেঁধে পা সোজা করে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং পরে ভাঁজ করুন। আবার সোজা করুন। এভাবে ১০-১৫ বার করে দিনে ২-৩ বার করতে হবে।

৫. ফিজিওথেরাপি : হাঁটু ব্যথার চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি খুবই কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা। শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি হাঁটু ব্যথা নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। বিভিন্ন ধরনের ম্যানুয়াল থেরাপি, যেমন—জয়েন্ট মবিলাইজেশন, ম্যানিপুলেশন, স্ট্রেচিং, টেপিং ইত্যাদি খুবই কার্যকরী। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হিট কম্প্রেশন হাঁটু ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে।

৬. খাদ্যাভাস : একটি পরিমিত পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস হাঁটুর ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন—ভিটামিন এ, সি, ই জয়েন্টের ক্ষয়রোধ করে।
ছোট মাছ, ডিম, দুধ, মাখন, দই, পনির ইত্যাদি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার হাঁড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে।

তেলসমৃদ্ধ মাছে আছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ যা এন্টি ইনফ্লামেটরি সমৃদ্ধ এবং হাঁড়ক্ষয় রোধে খুবই উপকারী। এছাড়া কিছু তেল যেমন—অলিভ অয়েল, এভোকোডা, সেফ-ফ্লাওয়ার তেল শরীরের কোলেস্টোরল কমাতে সাহায্য করে। পালংশাক, রসুন, বাদাম, ব্রকলি, গ্রিন-টি ইত্যাদি খাবার হাঁড়ের ক্ষয় রোধে খুবই উপকারী।

হাঁটু সুস্থ রাখতে, ব্যথামুক্ত জীবনযাপন করতে নিয়মিত ব্যয়াম করুন, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন এবং সুস্হ্য থাকুন।

শীতকালে বেড়ে যাওয়া আরো একটি কমন সমস্যা।তবে অনেকেই মাথাব্যাথা মানেই সাইনুসাইটিস মনে করেন যা মারাত্মক ভুল।আসলে সাইনুসাইট...
02/11/2022

শীতকালে বেড়ে যাওয়া আরো একটি কমন সমস্যা।তবে অনেকেই মাথাব্যাথা মানেই সাইনুসাইটিস মনে করেন যা মারাত্মক ভুল।আসলে সাইনুসাইটিস কি চলুন দেখি:

নাকের চারপাশে অস্থিসমূহে যে ফাঁকা স্থান বা বায়ুপূর্ণ কুঠুরী অর্থাৎ সাইনাস থাকে সেই সাইনাসের অভ্যন্তরীণ আবরণি ঝিল্লিতে যখন প্রদাহ হয় তাকেই সাইনুসাইটিস বলা হয়।

এটি আবার ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনের কারণেও হতে পারে। অনেকেই মাথাব্যথা হলেই সাইনাসজনিত সমস্যা বলে মনে করে থাকেন

কিন্তু মাথাব্যথা মানেই সাইনুসাইটিস তা- মনে করা ঠিক নয়। সাধারণত সাইনুসাইটিসের ব্যথাটা একটু আলাদা ধরনের হয়ে থাকে।

যেকোনো বয়সেই হতে পারে এই সমস্যাটি। তবে কমবয়সীদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

প্রকার: সাইনুসাইটিস মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। ১. তীব্র সাইনুসাইটিস ২. ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি সাইনুসাইটিস (Sinusitis) কারণ সমূহ: # দাঁত, চোখ, নাকের অসুখ থেকে সাইনুসাইটিস হতে পারে। # ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা এলার্জির কারণেও সাইনুসাইটিস হয়ে থাকে। # দীর্ঘদিন ঠাণ্ডা লেগে থাকলে সাইনুসাইটিস হতে পারে। #

দাঁতের ইনফেকশন। # নাকের প্যাক। # নাকের পলিপ। # নাকের বাঁকা হাড়। # নাকের মাংস ফুলে বড় হয়ে যাওয়া (হাইপারট্রফিড ইনফেরিয়র টার্বিনেট)। # দূষিত পানি কিংবা উচ্চমাত্রার ক্লোরিনযুক্ত পানিতে গোসল করলে সাইনুসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। # যেকোনো আঘাতের কারণে সাইনাস ছিদ্র হয়ে উন্মুক্ত হলে ইনফেকশন হতে পারে। # সিস্টিক ফাইব্রোসিস। # এডিনয়েড বড় হয়ে গেলে। # জন্মগতভাবে নাকের পেছনের ছিদ্রটি বন্ধ থাকা ইত্যাদি

সাইনুসাইটিস (Sinusitis) লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ: # মাথাব্যথা প্রধান লক্ষণ। কপাল ও নাকের চারপাশে ব্যথা অনুভব করবে। মাথা ভার হবে ও নিচের দিকে ঝুঁকে পড়লে ব্যথা বেড়ে যাবে। রোদে গেলেও মাথাব্যথা বেড়ে যাবে। # সব সময় নাক বন্ধ থাকা # নাক দিয়ে অবিরত পানিপড়া। # হঠাৎ নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। # মাথা ভারী লাগা। # বমি বমি ভাব হবে। # সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা হতে পারে। # কাজকর্মে অনীহা। # স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝতে না পারা। # মাথা নাড়াচাড়া করলে, হাঁটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যথার তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। # জ্বর জ্বর ভাব থাকে, কোনো কিছুতেই ভালো লাগে না এবং অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়। # সাইনাস এর এক্স-রে করলে সাইনাস ঘোলাটে দেখায়।

জটিলতা: সাইনাসগুলো চোখ এবং ব্রেইনের পাশে থাকে বলে সাইনাসের ইনফেকশন হলে তা চোখ এবং মস্তিষ্কেরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন- # অরবিটাল সেলুলাইটিস এবং এবসেস বা চোখের ভেতরের ইনফেকশন। # মেনিনজাইটিস বা ব্রেইনের পর্দার প্রদাহ। # এক্সট্রাডুরাল এবং সাবডুরাল এবসেস। # অস্টিওমায়েলাইটিস (মাথার অস্থির প্রদাহ)। # কেভেরনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস প্রভৃতি। # সাইনুসাইটিসের কারণে চোখের ভেতরে ইনফেকশন ঢুকে চোখটি নষ্ট করে দিতে পারে, আবার মাথার ভেতর ইনফেকশন ঢুকে মেনিনজাইটিস এমনকি ব্রেইন এবসেসের মতো মারাত্মক জটিল রোগের জন্ম দিতে পারে

চিকিৎসা: এই সমস্যার জন্য এন্টিবায়োটিক, নাকে বিশেষ ধরনের ড্রপ, এন্টিহিস্টামিন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। কিনু্ত অনেক সময় এসব পাওয়ার ফুল ওষুধ যা বহু ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে ব্যার্থ হয়।

ধূলাবালি ঠাণ্ডা ,যে পরিবেশে সমস্যা হয় তা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

অনেক সময় সাইনাস পরিষ্কার করে দেয়া হয় ছোটখাটো অপারেশনের মাধ্যমে।

31/10/2022
Lets talk about depression..বাংলায় যাকে বলে মন খারাপ শুদ্ধ কঠিন বাংলায় বিষনণ্নতা।বিষণ্নতা এমন একটি মানসিক সমস্যা, যেখা...
30/10/2022

Lets talk about depression..বাংলায় যাকে বলে মন খারাপ শুদ্ধ কঠিন বাংলায় বিষনণ্নতা।

বিষণ্নতা এমন একটি মানসিক সমস্যা, যেখানে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ ধরে কোনো ব্যক্তি হতাশ, মন খারাপ এবং সবকিছুর প্রতি অনীহা বোধ করে

। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ প্রকাশ পায়।

বিষণ্নতার কারণে ব্যক্তির ব্যক্তিগত, পারিবারিক, শিক্ষাগত, পেশাগত ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা ব্যাহত হয়।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, সারা বিশ্বে ৫ থেকে ১৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে। ১৭টি রাষ্ট্রে পরিচালিত ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ২০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যে ১ জনের বিষণ্নতা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ আর শিশুদের মধ্যে ১ শতাংশের বিষণ্নতা রয়েছে বলে জাতীয় জরিপে পাওয়া গেছে। সে হিসাবে দেশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে! পুরুষের চেয়ে নারীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার প্রায় দ্বিগুণ।

। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বিষণ্নতা রোগের বোঝা এর সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করবে। কোনো মানুষ বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলে সেটির কারণে তার ব্যক্তিজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পারিবারিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়; পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক বিষণ্নতাযুক্ত নাগরিকের অনুৎপাদনশীলতা ও চিকিৎসাব্যয়ের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজে বিষণ্নতা আর্থসামাজিক প্রভাব তৈরি হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে, বছরে প্রায় আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে—এর মধ্যে বেশির ভাগ আত্মহত্যাই ঘটে বিষণ্নতার কারণে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধেও বিষণ্নতা শনাক্ত আর প্রতিকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিষণ্নতাকে কেবল একজনের ব্যক্তিগত রোগ হিসেবে ভাবার কারণ নেই, জনস্বাস্থ্যে বিষণ্নতার প্রভাব ব্যাপক।সমস্যা ইত্যাদিতে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি

মানসিক কোনো টানাপোড়েন আর ব্যক্তিত্বের গড়ন বিষণ্নতার জন্য দায়ী। তাই মানসিক চাপমুক্ত থেকে ব্যক্তিত্বের গড়নকে দৃঢ় করার লক্ষ্যে শিশু অবস্থা থেকেই সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে হবে।

শিশুদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে মা-বাবার ভূমিকা যদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, শিশু অবস্থায় যদি কেউ কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়, তবে ভবিষ্যতে বিষণ্নতার কারণগুলো দেখতে হবে।

সাধারণত শারীরিক, মানসিক আর সামাজিক কারণে বিষণ্নতা হয়ে থাকে। দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ইত্যাদিতে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।

এই দীর্ঘমেয়াদি রোগগুলোকে দ্রুত শনাক্ত আর নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

সামাজিক বৈষম্য, অস্থিরতা, বঞ্চনা আর দারিদ্র্য মনের ওপর বিশেষ চাপ তৈরি করে। এই চাপ থেকে কারও কারও মধ্যে বিষণ্নতা হতে পারে।

সামাজিক সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শিশুদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে মা-বাবার ভূমিকা যদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, শিশু অবস্থায় যদি কেউ কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়, তবে ভবিষ্যতে তার মধ্যে বিষণ্নতা হতে পারে।

শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আর আদর্শ বাবা-মা হওয়া জরুরি। কোনো দুর্যোগের পর আক্রান্ত জনগোষ্ঠী বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে, ফলে তাদের বিষণ্নতা হতে পারে। দুর্যোগের পরপরই ‘প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্যসেবা’ দিলে বিষণ্নতা প্রতিরোধ করা যায়।

বিষণ্নতার কারণগুলোর দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি বিষণ্নতা নিয়ে কুসংস্কার আর ভ্রান্তবিশ্বাস কমাতে হবে।

বিষণ্নতা একটি চিকিৎসাযোগ্য সমস্যা। এটির দীর্ঘমেয়াদি ও বিস্তৃত কুপ্রভাব সম্পর্কে সবাইকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে তথ্য প্রদান করতে হবে। বিষণ্নতাকে যত দ্রুত নির্ণয় করা যাবে, তত তাড়াতাড়ি এটি নিরাময় হবে এবং ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কমতে থাকবে। ফলে অপচিকিৎসার দ্বারস্থ না হয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে বিষণ্নতা নির্ণয় ও চিকিৎসা করা প্রয়োজন। বিষণ্নতার চিকিৎসার জন্য প্রচলিত ভ্রান্তবিশ্বাস দূর করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ওষুধ সেবন করতে হবে এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং সেবা নিতে হবে। কোনো প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে নিয়মিত বিষণ্নতার ওষুধ সেবনের জন্য উৎসাহিত করতে হবে।

সব পর্যায়ের স্বাস্থ্য পেশাজীবী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক মহল, প্রচারমাধ্যম এবং সচেতন সমাজের কার্যকরী ভূমিকা বিষণ্নতা প্রতিরোধ, দ্রুত শনাক্ত এবং প্রতিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ বছরের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্যকে গুরুত্ব দিয়ে আসুন, বিষণ্নতা নিয়ে কথা বলি।

27/10/2022

...

দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ও কার্যকরী কিছু খাবার।দ্রুত বীর্যপাত বা Premature Ej*******on বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি সমস্যা...
27/10/2022

দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ও কার্যকরী কিছু খাবার।

দ্রুত বীর্যপাত বা Premature Ej*******on বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ও ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কিন্তু দ্রুত বীর্যপাত রোধে বেশিরভাগ মানুষ সেবন করছে যৌন উত্তেজক ঔষধ যা আরো বেশি ক্ষতিকর। প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে দ্রুত বীর্যপাত কি এবং এটি কেন হয়।
দ্রুত বীর্যপাত কি?
দ্রুত বীর্যপাত বলতে বোঝায় যৌন মিলনের সময় সঙ্গীর শারিরিক সুখ উপলব্ধি হবার আগেই পুরুষের বীর্য ধরে রাখতে না পারার অক্ষমতাকে।

কত মিনিটকে দ্রুত বীর্যপাত বলা হয় এটা সঠিকভাবে বলা মুস্কিল। তবে একজন সুস্থ্য পুরুষ প্রথমবার মিলনে সর্বোচ্চ ১ বা ২ মিনিট সময় পাবেন।
কিন্তু ২য় বার মিলনের ক্ষেত্রেও যদি এই সময় ২-৩ মিনিট হয় তাহলে সেটাকে দ্রুত বীর্যপাত হিসেবে ধরা যায়।
তবে সময়ের ব্যাপার টা দেশ এবং অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন হতে পারে। যেমন আফ্রিকা কিংবা আরবের একজন মানুষ ন্যাচারাল ইজাকুলেশনের জন্য যতটা সময় পাবেন সেই তুলনায় এশিয়া মহাদেশে মানুষ কম সময় পাবেন। আর এজন্যই কতটুকু সময় পেলে সেটা প্রিমেচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাত হিসেবে গণ্য হয় তার সঠিক কোন হিসেব এখন পর্যন্ত মেডিকেল সাইন্সে নেই।
দ্রুত বীর্য পাতের লক্ষণসমূহ
১। কখনো ২ মিনিটের বেশী বীর্য ধরে রাখতে পারেন না।
২। সব সময় বা ৭৫ থেক ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে সঙ্গিনীর পূর্বেই বীর্যপাত হয়।
৩। সঙ্গিনীর সাথে যৌন অসন্তোষ বা দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকে।
৪। সঙ্গিনীর মেজাজ সবসময় খিটখিটে হয়ে থাকে।
৫। সহবাসে নিজে তৃপ্ত না হওয়া।
এই লক্ষণ গুলি যদি কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় তবে বুঝতে হবে যে তিনি দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যায় ভুগছেন।

দ্রুত বীর্য পাতের কারণ

Premature Ej*******on বা শীঘ্র পতন এর অনেক কারণ থাকতে পারে। শারীরিক কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলঃ

মুত্রথলির সংক্রমণ
ডায়বেটিস
থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
সিফিলিস
গনেরিয়া
হৃদরোগ
মাদক সেবন
ধূমপান করা
অতিরিক্ত মদ বা অ্যালকোহল সেবন
কোন কারণে লিঙ্গ বা স্নায়ু তন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হলে
বিভিন্ন ঔষধ সেবনের কারণে।
মানসিক কারণ গুলো হলোঃ

মানসিক চাপে থাকা
সেক্স সম্পর্কে ভয় বা ভুল ধারণা
অতিরিক্ত উত্তেজিত থাকা
শারীরিক দুর্বলতা
সঠিক জ্ঞানের অভাব
নিজেকে ব্যর্থ ভাবা
বিকৃত যৌনাচার
দাম্পত্য সম্পর্কে অবনতি
অল্প বয়সে যৌনাচার করা
দীর্ঘ দিন পর পর সহবাস করা।
এই সকল মানসিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত দেখা



দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা

দ্রুত বীর্য পাত থেকে মুক্তি পেতে আগে মানসিক ভাবে শক্ত হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন এবং কার্যকরী খাবার গ্রহন সবচেয়ে ভালো কাজ করে থাকে। এর পাশাপাশি সহবাসের সময় কিছু টেকনিক অবলম্বন করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে ৯৫% রোগীই সুস্থ হয়ে যায়।

দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
১। মিলন চলাকালে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিবেন।আপনি যখন চরম মুহূর্তে যাবেন,তার একটু আগে গভীর শ্বাস বন্ধ রাখুন। এটা আপনার বীর্যপাতের রিফ্লেক্সটাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এভাবে কয়েকবার করুন,আগের তুলনায় সময় কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে।
২। ২৪ঘন্টার মধ্যে একের অধিকবার মিলন। এতে লিঙ্গের সেন্সিটিভিটি নিয়ন্ত্রণে আসবে।সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে বীর্য না থাকার কারণে বীর্যপাত হতে বেশ সময় লাগবে। যাদের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা,তারা গ্যাপে গ্যাপে মিলন করলে প্রথমবার খুব একটা সময় বেশি পাবেন না। কিন্তু নিয়মিত করলে সময় বাড়বে।
সুন্দর যৌন জীবনযাপনের জন্য কয়েকটি টিপস !
ফোরপ্লে কি এবং কিভাবে করতে হয় ?
হস্তমৈথুন কী? হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এর থেকে মুক্তির উপায়।
৩। ব্ল্যাক কফি বা তরমুজের জুস,যেকোনো ধরনের উত্তেজক খাবার মিলনের আগে ও পরে খেলে শারীরিক উত্তেজনা বজায় থাকে। কফির মধ্যে ক্যাফেইন থাকে,যা মনকে সতেজ ও চাঙ্গা করে।
৪। লিঙ্গের মাথায় অবশকারক জেল বা স্প্রে ব্যবহার করা। তবে যাদের লিঙ্গের শীতলতার সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্যবহার না করাই উত্তম।
৫। মিলনের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নেয়া। এতে বীর্যপাতের প্রবণতা কমে যায়। যদিও এই পদ্ধতিটা নারীদের জন্য একটু বিরক্তিকর, ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। সুবিধা পাবেন কয়েকমাস অনুশীলন করতে পারলে৷ একটানা নিয়মমাফিক করতে থাকলে বীর্যপাত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৬। বিভিন্ন প্রকার আসন- যা সহবাসের সময় দীর্ঘায়িত করে। এটা মনে রাখা দরকার যে,এক এক দম্পতির জন্য এক এক আসন উত্তম। বেস্ট মিলনের আসনের জন্য আপনাকে দশেরও বেশি আসনে চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারেন।
৭। লিঙ্গ সঞ্চালনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা। শুরুতে ছোট ছোট গতিতে লিঙ্গ সঞ্চালন করা, তবে সেটা গভীর হতে হবে। এমনভাবে সঞ্চালন করা যাবে না যেন লিঙ্গের মাথায় সেনসেশন বেড়ে যায়৷ একটু সতর্কভাবে কোনাকুনি বা এঙ্গেলে লিঙ্গ সঞ্চালন করতে হবে।
মনটাকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া৷ বারবার যদি মনে করেন এই বুঝি বের হলো তবে আপনি পারবেন না৷ সত্যি বলছি, আপনি এটা থেকপ মুক্তি পেতে হিমশিম খেয়ে যাবেন। মনে করবেন আপনি অবশ্যই দীর্ঘ সময় নিয়ে মিলন করছেন, প্রতিদিন কয়েকবার ভাববেন। তবে একদিন সত্যি হবে ইনশাআল্লাহ্। মিলনের সময় অনেকেই কঠিন হিসাব নিকাষ করে মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে মিলনের সময় বৃদ্ধি করে।
৯। ফোরপ্লে অধিক সময় নিয়ে করতে হবে সঠিক নিয়মে। এখানে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। কম উত্তেজিত জায়গা থেকে শুরু করে বেশি উত্তেজনাপূর্ণ জায়গার দিকে যেতে হবে।ক্লাইটোরিস,জি স্পট সম্পর্কে জানতে হবে।ফোরপ্লে স্বামী স্ত্রী দুইজনেই সমানভাবে করতে পারলে উপকার বেশি পাবেন।
দ্রুত বীর্য পাতের ঘরোয়া চিকিৎসা
তলপেটের পেশিগুলোকে শক্ত মজবুত দৃঢ় করতে পারলে সহবাসে সময় বৃদ্ধি পাবে। যেমন কেগেল, ইড়া পিঙ্গলা নাড়ির ব্যায়াম। এক্ষেত্রে কেগেল ব্যায়াম সবচেয়ে বেশী কার্যকরী। যেভাবে কেগেল ব্যায়াম করবেনঃ

প্রথমে ঢিলাঢালা কোন কাপড় পরিধান করে সমান জায়গায় বা বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন।
এরপর আস্তে আস্তে কোমর বিছানার সাথে লাগিয়ে রেখে দুই পা একসাথে উপরে তুলুন।
পা ওপরে তোলার সময় দুইহাত বিছানায় টান করে লাগিয়ে রাখবেন।
এবার ১০ সেকেন্ড রাখার পর দুই পা আস্তে আস্তে নিচে নামান।
তারপর আবার ঠিক একইভাবে পা উপরে তুলুন এবং নামান।
এভাবে প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করলেও ঘরোয়া উপায়েই শীঘ্রপতন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।



শীর্ঘ্রপতনের স্থায়ী চিকিৎসা ও ওষধ
দ্রুত বীর্য পাতের স্থায়ী চিকিৎসা হল প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন এবং নির্দেশিত খাবার খাওয়া। যদি বিশেষ কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে তবে প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া উপায়েই এটি নির্মুল করা যায়। কিন্তু অন্য কোন রোগ থেকে এর সৃষ্টি হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।



দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসায় খাবার
কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ হয় এই চিন্তা আমাদের মাথায় সবসময়েই চলতে থাকে। এটাও সত্যি যে ধরণের রোগের চিকিৎসায় খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলি শীর্ঘ্রপতন রোধ করে। নিম্নে বর্ণিত খাবার গুলি নিয়মিত খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

প্রতিদিন সকালে ও রাতে খেজুর খান। খেজুর মানবদেহে শারীরিক ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, যদি কোন ব্যাক্তি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ ও একটি করে ডিম খায় তাহলে তার কখনো যৌন সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবেনা।
মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার গ্রহন করুন। যেমনঃ সূর্যমুখী ফুলের বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ।
প্রতিদিন রসুন খান। সবচেয়ে ভালো হবে যদি কাচা রসুন ঘিয়ে ভেজে প্রতিদিন খাওয়া যায়। এভাবে না পারলে তরকারি তে এবং বিভিন্ন খাবারের সাথে রসুন খাওয়ার চেস্টা করুন। রসুন যৌন ও হৃদরোগে অত্যন্ত কার্যকরী।
তাছাড়া তরমুজ, পেয়ারা, আঙ্গুর, কমলা লেবু, মাল্টা, ডালিম প্রচুর পরিমাণে যৌন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
গরুর লাল মাংশ ও এক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী।


সতর্কতাঃ গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার, ওঝা এবং নিজে নিজে ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। এতে প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

Address

Airport Road, GokulnogorI, Shwardi, , Pabna
Ishurdi
6620

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গরীবের বিনামূল্যে ডাক্তারী সেবা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to গরীবের বিনামূল্যে ডাক্তারী সেবা:

Share

Category