23/01/2023
✅হিজামা কী?
✅কেন হিজামা করা হয়?
✅এতে কি কি উপকার রয়েছে?
#হিজামা (حِجَامَة ) একটি সুন্নাহ ভিত্তিক প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা আধুনিক পদ্ধতিতে অসংখ্য সহি হাদিস দ্বারা বর্ণিত এবং ট্রেডিশনাল ওয়েস্টার্ন মেডিসিন ও চাইনিজ মেডিসিন দ্বারা প্রমাণিত।
🔹হিজামা (حِجَامَة )এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।
🔹হিজামা বা Wet Cupping অতি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে আরব বিশ্বে জনপ্রিয়। এ হিজামা থেরাপী ৩০০০ বৎসরেরও পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উৎপত্তি হ’লেও চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে চীন, ভারত ও আমেরিকায় বহু পূর্বে থেকেই এটি প্রচলিত ছিল। ১৮ শতক থেকে ইউরোপেও এর প্রচলন রয়েছে। হিজামা বা Cupping Therapy এখন বিশ্বের জনপ্রিয় চিকিৎসা গুলোর মধ্যে একটি। এটিতে কোন ধরনের ঔষধের প্রয়োজন হয় না।
এবং সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত।
✅রসুল (সা:)বলেছেন-
জিবরীল_আমাকে_জানিয়েছেন_যে_মানুষ_চিকিৎসার_জন্য_যেসকল পন্থা_অবলম্বন_করে_তার_মধ্যে_হিজামাই_হল_সর্ব_উত্তম।
আল-হাকিম, হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭০
♦️ পদ্ধতিঃ
শরীরের নির্দিষ্ট স্থান থেকে নেগেটিভ প্রেআরের সাহায্যে
শরীরের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ও দূষিত রক্ত (Toxins) চুষে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, হিজামায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করা উত্তম এবং প্রত্যেকের চিকিৎসায় ভিন্ন ভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যাতে রক্তজীবাণুর মাধ্যমে রোগ সংক্রমিত হতে না পারে।
👉হিজামা করার ক্ষেত্রে কিছু দিক নির্দেশনাঃ
১। নিয়তকে একেবারে পরিশুদ্ধ রাখা যে শিফা/রোগ মুক্তি শুধু মাত্র আল্লাহ্সুবহানাহু ওয়া ওয়ালার পক্ষ থেকে আশে।
২। খালি পেটে হিজামা করা উওম ।
৩। গোসল করে হিজামা করাটা ভালো, তবে গোসলের তিন ঘণ্টা পর হিজামা করতে হবে।
৪। হিজামার আগের দিন ও পরের দিন সঙ্গম না করা ভালো।
৫। ইহরাম/সাওম অবস্থায় হিজামা করা যায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে মুহরিম ও
রোজা অবস্থায় ও হিজামা করেছেন।
৬। স্বাভাবিক অবস্থায় সপ্তাহের সোম, মজ্ঞল ও বৃহস্পতি বার করা ভালো। এছাড়াও আরবি মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ হিজামা করানো উওম। তবে প্রয়োজনে যে কোন দিন যে কোন সময়েও হিজামা করা যায়।
🤔 হিজামা কেন করাবেন?
---------*----------
আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান। তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান।
তেমনি আপনার রোগের জন্য হিজামা করাবেন। তাহলে ফায়দা স্বরূপ রোগ থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবেন। এবং রাসূল সাঃ এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হলো।
হিজামা এক ধরণের চিকিৎসা যা শরীর থেকে রোগের জন্য দায়ী জীবাণু বের করে ফেলে। এর মাধ্যমে বর্তমানে সংক্রামক সকল রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়া অসংক্রামক অনেক রোগ ও ভালো হয়। নিয়মিত হিজামা করালে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধ করে ও রক্ত পরিষ্কার রাখে।
🔺হিজামাকে নববী চিকিৎসা বলা হয়।
কারণ মেরাজের রাতে স্বয়ং ফেরেশতাগণ আল্লাহ্র নবী রাসূল্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম কে এই বিশেষ চিকিৎসাটি তাঁকে ও তাঁর উম্মাতদের করাতে বলেছেন।
✅ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মিরাজে যাওয়ার সময় তিনি ফিরিশতাদের যে দলের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তারাই বলেন, ‘হে আল্লাহর নবী মোহাম্মদ (স:) আপনি অবশ্যই হিজামা করুন এবং আপনার উম্মাতদের হিজামার হুকুম করুন।(সুনানে তিরমিযী-৩৪৬২) “আপনার উম্মাতদের হিজামা নিতে বলুন।” (সুনানে তিরমিযী-৩৪৭৯)
♦️হিজামা এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে অন্যান্য মেডিক্যাল ড্রাগসের মত কোন সাইড ইফেক্ট নেই। কেবল নিরাময় আছে (সুবাহনাল্লাহ) ।
✅রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজের জন্য এ চিকিৎসাটি করিয়েছিলেন।
ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে এবং তাঁকে বিষ দ্বারা আক্রমণ করা হলে।
✅হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেছেন যে, “এক ইহুদী মহিলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বিষযুক্ত গোশত খেতে দিয়েছিল।
তিনি তাকে সংবাদ পাঠিয়ে বললেন, কেন তুমি এ কাজ করলে? মহিলাটি উত্তরে বলল, যদি তুমি সত্যিই আল্লাহর রাসূল হও, তবে আল্লাহ তোমাকে জানিয়ে দিবেন।
আর তুমি যদি তাঁর রাসূল না হও, তবে আমি মানুষকে তোমার থেকে নিরাপদ রাখব!
যখন আল্লাহর রাসূল (সা.) এর যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগলেন, তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন।
✅একদা ইহরাম অবস্থায় তিনি ভ্রমণে বের হ’লেন এবং ঐ বিষের যন্ত্রণা বোধ করলেন, তখন তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন।”(মুসনাদে আহমাদ ১/৩০৫, সনদ হাসান)
✅ইবনুল ক্বাইয়ুম (রহ.) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন যাদু দ্বারা পীড়িত হন তখন তিনি মাথায় হিজামা লাগান এবং এটাই সবচেয়ে উত্তম ঔষধ, যদি সঠিকভাবে করা হয়।”(যাদুল মা‘আদ ৪/১২৫-১২৬)
✅হযরতজাবির (রাযি.) হ’তে বর্ণিত যে, নবী করীম (সা.)-এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।(নাসাঈ হা/২৮৫২)
👉বহু দেশেই এ চিকিৎসাটি এখন করা হচ্ছে।
বিশেষ করে UK ও USA তে এ চিকিৎসার গুরুত্ব বুঝতে পেরে এর উপর রীতিমত হিজামা রিসার্চ সেন্টার করে রিসার্চ করা হচ্ছে।
ক্যানসারের মত মরণ ঘাতক অসংক্রামক রোগের চিকিৎসাও সম্ভব সুলভ-মূল্যের এ চিকিৎসা দ্বারা।
✅হিজামা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে নিয়েছেন ও অন্যদের করতে বলেছেন।
“তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও হিজামা সেগুলোর মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটি তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক”। (মুসলিম হা/৩৯৩০).
🤔এটি যদি উপকারি নাই হত তাহলে নবী করীম সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি নিতে বলতেন না।
সুতরাং এটি একটি সুন্নাহ চিকিৎসা আধুনিক পদ্ধতিতে অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা বিশদভাবে আলোচিত। এবং বিজ্ঞান দ্বারা এখন প্রমাণিত।
এটা যে কোন রোগের জন্য করাতে পারেন।
♦️যেমন: মাথাব্যথায় হিজামা :
হযরত সালমা (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, ‘যখন কেউ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে মাথাব্যথার কথা বলত, তখন তিনি তাদের হিজামা করার কথা বলতেন। (আবুদাঊদ হা/৩৮৫৮, সনদ হাসান)
৩৪। চুল পড়া (Hair fall),
৩৫। মানসিক সমস্যা (Psychological disorder),
৩৬। পারকিনসন্স ডিজিজ
৩৭। কিডনির সমস্যা (Kidney Disease)
৩৮। স্পোর্টস ইঞ্জুরি (খেলোয়াড়, আর্মি, কনট্যাক্ট স্পোর্টস)
৩৯। কানের সমস্যা
৪০। ক্যান্সারের ব্যাথা নিয়ন্ত্রন,
৪১। লিভার ডিজিজ, পোর্টাল হাইপারটেনশান,
৪২। হরমোনাল সমস্যা,
৪৩। ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার,
৪৪। ক্রনিক কফ/ফুসফুসের রোগ (Chronic Chugh/Lung Disease)
৪৫। Erectile Dysfunction (ED)
৪৬। ব্রন,
৪৭। সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস (SLE),
৪৮। অনিয়মিত মাসিক, মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা,
৪৯। এডিকশান/ ডিপেন্ডেন্সি (স্লিপিং পিল, ড্রাগস, কফ সিরাপ, জর্দা, সিগারেট, এলকোহল ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য)
৫০। TMJ Dysfunction Syndrome
৫১। প্যারালাইসিস (স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাত, গিয়েন বারে সিন্ড্রোম, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেল’স পলসি প্রভৃতি)
৫২। অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়)
৫৩। Post menopsusal hot flush
৫০। Vaginismus
৫১। vertigo (মাথা ঘোরা)
৫২। আইবিএস (কোলন ক্যানসার)
৫৪। অর্শ্বরোগ (Piles)
৫৫। ভগন্দর (Fistula, A**l Fissure)
৫৬। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য (Chroic Constipation)
৫৭। বিষন্নতা ও স্নায়বিক চাপ (Depression & Nervous Stress)
৫৮। শ্বেত রোগ (ধবল, চামড়া সাদা হয়ে যাওয়া)
…..............................................এবং আরও অনেক রোগ।
✅_মাথায় হিজামা লাগানোর দ্বারা বিশেষভাবে কিছু রোগের উপকার হয় সেটা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হল।
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘ মেয়াদী মাথাব্যথা এবং সাধারন মাথাব্যথা।
২। উচ্চ রক্তচাপ।
৩। রক্তদূষন।
৪। ঘুমের ব্যঘাত।
৫। স্মৃতি ভ্রষ্টতা।
৬। ঘাড়ে ব্যথা।
৭। হরমোনাল সমস্যা ।
৮। সাইনুসাইটিস।
৯। মানসিক সমস্যা।
১০। চুল পড়া।
১১। পারকিনসন্স ডিজিজ।
১২। ব্রেইন ডিজিজ।
১৩। মাদকাসক্তি।
১৪। প্যরালাইসিস।
১৫। যাদু টোনার সমস্যা ইত্যাদি।
🤔অনেকেই বলতে পারেন: "হিজামা কিভাবে এত রোগ ভাল করে?"
হিজামা শরীরের একটি বেসিক মেকানিজম এক্টিভেট করে। তা হচ্ছে এন্ডোজেনাস নাইট্রিক অক্সাইড পাথওয়েকে বুস্ট করে দেয়। এই নাইট্রিক অক্সাইডকেই বিজ্ঞানীরা মিরাকল মলিকিউল বা হিলিং মলিকিউল নাম দিয়েছেন। যেকোন ডিজিজের নাম এর সাথে effect of nitric oxide লিখে গুগোল সার্চ করলেই আমদের কথা সত্যতা পাবেন।
হিজামাতে যে লাইট স্ক্র্যাচ হয় এতে ক্যাপিলারি ইনজুরি হয়, এবং এই ক্যাপিলারির এন্ডোথেলিয়াম থেকেই নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়।
🔹_হিজামার পরে করনীয় বিষয়সমূহ🔹
১। হিজামার ১ ঘণ্টা পর গোসল করা উত্তম, অন্যথায়, শরীর খারাপ হতে পারে।
২। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত কোন ব্যয়াম এবং স্ত্রী সহবাস করা যাবেনা।
৩। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত লম্বা সফর করা যাবেনা।
৪। ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত কোন গরম সেক ইত্যাদি দেয়া যাবে না।▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
🔹আমাদের সেবা সমুহ:
🔹ফিজিওথেরাপি
🔹হিজামা চিকিৎসা।
🔹হিজামা ট্রেনিং।
🔹আকুপাংচার চিকিৎসা।
🔹 ওয়েট কাপিং।
🔹 ড্রাই কাপিং।
🔹ফায়ার কাপিং।
🔹ফায়ার নেডেলিং।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
➡️➡ িজামা_খরচ # ⬅⬅
প্রতি কাপ ১৫০/- টাকা
▫️▫️▫️➖▫️▫️▫️
🏡আমাদের সেন্টারের ঠিকানা।
সাফা-মারওয়া ফিজিওথেরাপি এন্ড হিজামা সেন্টার।
সাফা-মারওয়া হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড় সংলগ্ন শহীদ জিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পাশে) ৮২/৬,আনোয়ার টাউয়ার, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা- ১২০৪
থেরাপি বিভাগ,২য় তলা।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
☎️হটলাইন: 01911-90 52 30
01818-51 35 75 হোয়াটসঅ্যাপ।