Drugs garden

Drugs garden এখানে সকল প্রকার ঔষধ খুচরাও পাইকারী পাওয়া যায়।

10/06/2023

বর্তমান জেনারেশনের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য পিল খাওয়া একটি সাধারন ব্যাপার, তাছাড়া মাসিক ঠিক করার জন্য ও অনেক সময় মেয়েরা পিল খায়। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো এটা খাওয়া নিয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে দেখা যায়না তেমন। এই পিল সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব কম। একজন মেয়ের জন্য পিল কখনোই ভাল কিছু বয়ে নিয়ে আসে না বরং একটা মেয়ের জীবনকে ধিরে ধিরে শেষ করতে এই পিলই যথেষ্ট।
একটু পর্যালোচনা:-
✅কি কি সমস্যা হতে পারে পিল খেলেঃ-
ক) হার্ট হ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৩৫ বছরের বেশি মহিলাদের কখনোই পিল খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে হার্ট এট্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
খ) পিলে লিভোনোগ্যাস্ট্রেল ও ৩০ মিলিগ্রাম ইস্ট্রোজেন থাকে, যেসব মেয়েদের মাইগ্রেন থাকে তারা যদি পিল কন্টিনিউ করে তাহলে তাদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
গ) উচ্চ রক্তচাপের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল পিল সেবন।
ঘ) যারা বেশি পিল খায় তাদের ভেনাস থ্রোম্বোএম্বলিসম নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ঙ) বেশি মাথা ব্যথা হয়।
চ) হতাশার একটি কারণ ও হল অতিরিক্ত পিল খাওয়া।
ছ) খিটখিটে মেজাজ ও দেখা যায় পিল খাওয়ার কারণে।
জ) বমি বমি ভাব এবং বমি হয়।
৯) ব্রেস্টে অনেক ব্যথা হয়।
ঝ) সাদা স্রাব হয়।
ঞ)যারা পিল খায় নিয়মিত তারা সেক্সের সময় তেমন আনন্দ পায় না।
ট) জরায়ু সিস্ট ও জরায়ু টিউমারও হতে পারে।
ঠ) স্তন ও জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
ড) পিল খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যায়।
ঢ) ১ বছরের বেশি পিল খেলে তাদের গ্লুকোমা হয়।

দীর্ঘদিন পিল সেবন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
সুতরাং যত কম পিল খাওয়া যায় একটা মেয়ের জন্য ততই মঙ্গলজনক। এর বিকল্প হিসেবে অনেক সিস্টেম তো চালু আছে। সর্বপরি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

09/06/2023

শিশুকে শেখাবেন কারো বাসায় বেড়াতে গেলে দুনিয়ার জিনিস যেন না হাতায়।

দেয়ালে যেন না আকে।

সব খেলনা নিয়ে দখল করে যেন বসে না থাকে।

এসব এক বছর থেকেই একটু করে করে শিখাবেন দেখবেন well trained হয়ে যাবে।

পরদা ধরে ঝুলা একদম মানা করবেন। আপনি কারো বাসায় গেলে বিরক্তির কারন না হয়ে আনন্দের কারন হোন।

যাদের বাসায় যাবেন তারা অনেক শৌখিন তাদের জিনিস গুলা আপনার শিশুর কারনে নষ্ট হোক তা নিশ্চই আপনার কাম্য নয়।

সোফা থেকে যেন লাফ না দেয়।

না গেলে না যান তাদের সুন্দর জিনিস গুলা নষ্ট করবেন না।

এক জায়গায় আড্ডা দিতে থাকবেন না।

যাদের বাসায় গেছেন দেখবেন ওদের বাচ্চা খুব ডানপিঠে।

আপনার বাচ্চা শান্ত দেখে মাথায় বালি বা হাতে মারতে পারে। যদি দেখেন মায়ের কোন ভ্রুক্ষেপ নাই, অবস্থা বেগতিক দেখলে সোজা চলে আসবেন। কাউকে বলার দরকার নেই। আর যাবেন না।

সবাই বাচ্চা পছন্দ করে, অসহ্য বাচ্চা কেউ পছন্দ করে না।

তাই ঘর থেকেই শুরু হোক হাতে খড়ি।

আপনার বাচ্চা কারো বাসায় দেয়ালে আকলে সরি বলতে বলবেন।

উল্টা নিজে দোষ ডাকবেন না। পরে ঘোড়া বেয়াদব হবে।

মারামারি করলে নিজের সন্তানের পক্ষ না নিয়ে দুই পক্ষকেই শান্ত করুন।
আপনার ছোট ছোট এ গুন গুলোই আপনার শিশুকে খুব মিশুক ভদ্র করে গড়ে তুলবে।
খাবার ভালো বা বড় টুকরোটা নিজের শিশুকে দিবেন না। সবাইকে দিয়ে যা থাকবে সেটাই দিবেন।

চলাফেরায় আভিজাত্য গড়ে তুলবেন। ছুচো বানাবেন না।

কেউ খেতে দিলেও সব খেয়ে উজার করতে দিবেন না। কিছু চোখের খিদা মেটাতে হয় না।

কেউ টাকা গোনার সময় যেন না তাকায়,

কেউ খানা খাবার সময় যেন না তাকায় শিখাবেন।

না শিখলেও নরম গলায় বার বার বলবেন। সেট হয়ে যাবে একসময়।

ন্যাশ (NASH) একটি নীরব ঘাতক ব্যাধিঃফ্যাটি লিভার হলো লিভারে যখন ৫% এরও বেশি চর্বি জমে যায় এবং এর ফলে লিভারের আকার আকৃতি ব...
08/06/2023

ন্যাশ (NASH) একটি নীরব ঘাতক ব্যাধিঃ

ফ্যাটি লিভার হলো লিভারে যখন ৫% এরও বেশি চর্বি জমে যায় এবং এর ফলে লিভারের আকার আকৃতি বৃদ্ধি পায় ও লিভারের স্বাভাবিক কার্যাবলী হ্রাস পায়।
বিশ্বে প্রতি ৪ জনে ১ জন ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত এবং এ রোগের অগ্রগতির পরবর্তী ধাপ হচ্ছে ন্যাশ (NASH)

ন্যাশ হলো লিভারে যখন ৫% এরও বেশি চর্বি থাকে এবং সেই সাথে লিভারের কোষমালায় প্রদাহ ও বেলুনের মতো ফুলে থাকা কোষের সমন্বয় ঘটে।
এতে লিভার দ্রুত খারাপ হয়ে সিরোসিস ও তার জটিলতা জনিত পেটে পানি, পায়ে পানি, রক্ত বমি, কালো পায়খানা, ঘন ঘন অজ্ঞান হয়ে যাওয়া সহ লিভার ক্যান্সারের আবির্ভাব ঘটতে পারে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাাপী ৭-১২% প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ন্যাশ রোগে আক্রান্ত যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৩% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে শতকরা ৩৪ জন ব্যক্তি অতিরিক্ত চর্বি জনিত লিভার রোগে (ফ্যাটি লিভার) ভুগছেন। আবার এদের অনেকেই অতিরিক্ত চর্বি জনিত লিভার প্রদাহে (ন্যাশ) আক্রান্ত।

বর্তমান বিশ্বে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের প্রধান কারণ হলো ন্যাশ।

আগামী ২০ বছরের মধ্যে ন্যাশ হতে যাচ্ছে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের ১ নম্বর কারণ।

যারা ন্যাশ এ আক্রান্ত হতে পারেনঃ
দেহের স্থুলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বির আধিক্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আহার ও আয়েশি জীবন যাপনে অভ্যস্ত ব্যক্তিবর্গ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

কি দেখে বুঝবো ন্যাশ (NASH) হয়েছে?
★ দেহের ওজন বেড়ে যাওয়া,
★ শারীরিক দুর্বলতা বা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া,
★ কাজে আলস্য, শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করা, শরীর ম্যাজম্যাজ করা, শরীরে শক্তি না পাওয়া, বিরক্তি বোধ করা,
★ পেটের উপরিভাগে ডান পাশে অস্বস্তি লাগা কিংবা ব্যথার অনুভূতি হওয়া।
★ একই সাথে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির আধিক্য (TG, Cholesterol), উচ্চ SGPT, হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
★ সেই সাথে স্ট্রোকের ঝুঁকি, হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি, বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ছে।

কিভাবে ন্যাশ (NASH) নির্ণয় করবো?
★ আলট্রাসনোগ্রাফি করে প্রাথমিকভাবে ন্যাশ নির্ণয় করা যায়।
★ লিভারে চর্বির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণের জন্য এবং চিকিৎসা ও ফলোআপে ফাইব্রোস্ক্যান অনন্য, আর
★ লিভার বায়োপসি হলো ন্যাশ নির্ণয়ের গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষা।

তাই ন্যাশ প্রতিরোধের এখনই সময়ঃ
১) দেহের বাড়তি ওজন কমিয়ে নির্দিষ্ট ওজন বজায় রাখতে হবে।
২) প্রতি দিন নিয়ম করে (অন্তত ১ ঘন্টা) শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
৩) পর্যাপ্ত ঘুম (অন্তত ৭-৮ ঘন্টা, রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫-৬ টা পর্যন্ত) ও বিশ্রাম নিতে হবে।
৪) বাজে তেল ও অধিক শর্করা জাতীয় খাবার (ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি, চিনি মিষ্টি গুড়, মিষ্টি জাতীয় খাবার ও মিষ্টি জাতীয় ফল) যথাসম্ভব কম এবং ক্ষেত্র বিশেষে পরিহার করতে হবে।
৫) প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, কার্বনেটেড কোমল পানীয় এড়িয়ে যেতে হবে।
৬) প্রচুর পরিমানে আঁশযুক্ত ফল ও তাজা শাক সবজি খেতে হবে।
৭) তেল সমৃদ্ধ বড় মাছ খেতে হবে।
৮) কুসুম সহ ডিম ও মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে।
৯) টক দই, পনির খুবই উপাদেয়।
১০) চিনি ছাড়া গ্রীন টি, কফি; সকল প্রকার বাদাম, সালাদ ইত্যাদি খাদ্যাভ্যাস ন্যাশ নিরাময়ে সহায়ক।

সর্বোপরি আয়েশি জীবন পরিহার করে কায়িক পরিশ্রম বাড়াতে হবে (সংক্ষিপ্ত পথে পায়ে হেঁটে যাওয়াই শ্রেয়, ৫-৬ তলা ভবনে লিফটে না চড়ে পায়ে হেঁটে ওঠা যেতে পারে)

31/05/2023

আপনার বাচ্চাকে কখন থেকে ডিম খাওয়াবেন
কেন খাওয়াবেন, ডিমের পুষ্টি উপাদান, উপকারিতা কি এবং অপকারিতা কি?

প্রোটিনে ভরপুর ডিম এর আশ্চর্য গুণ সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। বিশেষ করে, যেসব বাচ্চা খেতে চায় না, অনেক সময় দেখা যায় সেসব বাচ্চার পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। একটি ডিম শুধু প্রোটিনের উৎসই নয়, এর মধ্যে রয়েছে ১৩ টি অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন বা খাদ্য উপাদান, যা বাচ্চার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিস্তর প্রভাব ফেলে।

কখন থেকে ডিম খাওয়ানো যাবে:
আপনার বাচ্চার বয়স যখন ৮ মাস তখন থেকে তাকে ডিমের কুসুম অর্থাৎ হলুদ অংশ খাওয়ানো যাবে। বাচ্চার বয়স যখন ১২ মাস অর্থাৎ এক বছর হবে তখন থেকে তাকে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ানো যেতে পারে। ভুলেও ৮ মাসের আগে ডিম খাওয়ানো উচিত নয়। এছাড়াও বাচ্চাদের এবডোমেন ছোট হওয়ার কারণে পরিমিত পরিমাণে কম করে খাওয়ানো উচিত। জন্মের পর থেকে ৮মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট।

যে কারণে ডিম খাওয়াবেন: -
একটি ডিমের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন।
এছাড়াও রয়েছে প্রয়োজনীয় তেরোটি (১৩) ভিটামিন।
১. ক্যালোরি- ৭০
২. সমগ্য ফ্যাট- ৫গ্রাম/৬%
৩. স্যাচুরেটেড ফ্যাট- ১.৫গ্রাম/৮%
৪. কোলেস্টেরল- ১৮৫ এমজি/৬২%
৫. সোডিয়াম ৭০ এমজি/৩%
৬. সমগ্র শর্করা -০ এমজি/০%
৭. ডায়েটারি ফাইবার-০ গ্রাম
৮. সমগ্র চিনি-০ গ্রাম
৯. প্রোটিন ৬ গ্রাম/১২%
১০. ভিটামিন ডি- ১ এমসিজি/৬%
১১. ক্যালসিয়াম - ২৮ এমজি/২%
১২. লোহা ১ এমজি/৬%
১৩. পটাশিয়াম - ৬৯ এমজি/২%

উপকারিতা:-
১. হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. মস্তিষ্কের বিকাশ সাধন করে।
৩. ভিটামিন ডি এর ভালো একটি উৎস হাওয়ায় দাঁত ও হাড় মজবুত করে।
৪. লিভারকে অধিকতর কার্যকর করে তোলে।
৫. শিশুর হার্টকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে।

অপকারিতা:-
ডিমের উপকারী দিকগুলোই বেশি তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এটি খাওয়ার ফলে এলার্জির উদ্রেগ হতে পারে।

30/05/2023

নিম্ন রক্তচাপ_
কোনো রোগ বা শারিরীক অবস্থার লক্ষণ বা পরিণতি হিসেবে নিম্ন রক্তচাপ চিহ্নিত হতে পারে। রক্তচাপ যখন শরীরের সব জায়গায় রক্ত পৌছানোর জন্য যথেষ্ট হয় না, তখন এ অবস্থাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়।

কারণ:-
রক্তের পরিমাণ কমে গেলে, রক্তের ঘনত্ব বেড়ে গেলে, রক্তের জলীয় অংশ কমে গেলে অর্থাৎ কার্যকর প্রবাহমান রক্তের আয়তন হ্রাস পেলে নিম্ন রক্তচাপ দেখা দেয়। আবার হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমে গেলে, কিছু হরমোনের ঘাটতি হলেও নিম্ন রক্তচাপ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। বিভিন্ন রোগের জটিলতা হিসেবে এমন হয়ে থাকে। দীর্ঘমেয়াদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হরমোন জনিত রোগ নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে। রোগী দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যার কথা বলে থাকেন। সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব। বিভিন্ন পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
শরীরে পানির ঘাটতি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুকি তৈরি করে। ডাইরিয়া, বমি, অতিরিক্ত ঘাম এসবই পানি ও লবণের ঘাটতি সৃষ্টি করে। এমন অবস্থায় যথেষ্ট পরিমাণ পানি, তরল, স্যালাইন গ্রহণ না করলে রক্ত প্রবাহ ক্ষীণ হয়ে পড়ে। রক্ত সঞ্চালন যথাযথ না থাকার ফলে বিভিন্ন অঙ্গের কাজ ব্যাহত হয়। কিডনি, মগজ, হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সময়মতো রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক না হলে মৃত্যুঝুকি রয়েছে। যেকোনো কারণে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি রক্ত যদি শরীর থেকে হারিয়ে যায়, সেক্ষেত্রেও রক্তচাপ হ্রাস পায়। এক্ষেত্রে দ্রুত রক্তের ঘাটতি রক্তের মাধ্যমে পূরণ করা একটি মেডিক্যাল ইমারজেন্সি।

করণীয়:-
নিম্ন রক্তচাপ যখন হাইপোভলিউমিক শকের জন্য হয় তখন জরুরি ভিত্তিতে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে হবে। ডাইরিয়া, বমি, রক্তক্ষরণ এইসবের কারণে রোগী শকে চলে যেতে পারে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় দ্রুত চিকিৎসা জীবন রক্ষার জন্য জরুরি।
অনেক মানুষের রক্তচাপ মেপে স্বাভাবিকের চেয়ে কম পাওয়া যায়। যদি এর সঙ্গে অন্য কোনো লক্ষণ না থাকে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোনো সমস্যা না থাকে, তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কিছু নেই। অন্য সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

28/05/2023

প্যারালাইসিস কি?
প্যারালাইসিস হল একটা অবস্থা যেখানে শরীরের কিছু বা সমস্ত অঙ্গের সাময়িক বা সম্পূর্ণ সঞ্চালণ বন্ধ হয়ে যায়। এটা হয় মস্তিষ্ক এবং শরীরের পেশিসমূহের মধ্যে সংকেতপ্রেরণ পদ্ধতির আদান-প্রদানগত সমস্যার কারণে। এটি হতে পারে কোনও রোগের কারণে, যেমন পোলিও, স্নায়ুর ব্যাধি অথবা অন্য কারণের জন্য।

এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
মূল উপসর্গ হল শরীরের কিছু অঙ্গ বা শরীরের সমস্ত অঙ্গ নড়াচড়া করার অক্ষমতা। এটির সুত্রপাত হয়তো আস্তে আস্তে বা হঠাৎ করে হয়। উপসর্গগুলি হয়তো মাঝে মাঝে দেখা দিতে পারে। মুখ্যভাবে আক্রান্ত অঙ্গগুলি হল:-
-মুখের অংশ।
-পায়ের উপরের দিক।
-একটা পায়ের উপরের বা নীচের দিক (মোনোপ্লেজিয়া)।
-শরীরের একটা দিক (হেমিপ্লেজিয়া)।
-দুটো পায়েরই নীচের দিকে (প্যারাপ্লেজিয়া)।
-চার হাত-পা (কোয়াড্রিপ্লেজিয়া)।
শরীরের সমস্ত আক্রান্ত অঙ্গ কঠিন অথবা আলগা বোধ হতে পারে, সেখানে সংবেদনের অভাব দেখা দিতে পারে বা কখনও কখন সেগুলি বেদনাদায়কও হয়ে উঠতে পারে।

এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
প্যারালাইসিসের অন্তর্নিহিত কারণগুলি অনেক এবং এটা সাময়িক বা দীর্ঘকালের জন্য হতে পারে। প্রধান কারণগুলি হল:

ক) দেহের এক দিকে হঠাৎ করে দুর্বলতা (স্ট্রোক বা অস্থায়ী ইসচেমিক আক্রমণ)।
খ) অল্পক্ষণের জন্যপ্যারালাইসিস ঘুম থেকে ওঠার পর বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে (স্লিপ প্যারালাইসিস)।
গ) দুর্ঘটনার কারণে, স্নায়ুর ক্ষতি হওয়া বা মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়া।
ঘ) মুখের প্যারালাইসিস (বেল’স পালসি) মস্তিষ্কে ক্ষতের কারণে।

প্যারালাইসিসের কিছু সাধারণ কারণ হল:-
_মস্তিষ্কে আঘাত বা মেরুদণ্ডে আঘাত।
_স্ট্রোক।
-মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস।
-পোলিও।
-সেরিব্রাল পালসি।
-মস্তিষ্কে বা মেরুদণ্ডে টিউমার।

27/05/2023

মেনোপজ কী, কেন হয় ও ৭টি লক্ষণ।

অনেক মহিলাই আছেন, যাদের মেনোপজ এর সময় এগিয়ে আসছে এবং এটা নিয়ে তাদের মধ্যে একটা চাপা আতংক বা দুশ্চিন্তা কাজ করে। অনেকে আবার এটা নিয়ে কুসংস্কারে ভোগেন। এই সময়টা সব মহিলাকেই ফেস করতে হয়, তাই অহেতুক চিন্তা না করে, এই সময় কি কি হতে পারে এবং তার বিপরীতে কী কী করা যেতে পারে, সেগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে বিষয়টা মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়।

প্রথমেই, মেনোপজ (menopause) কী সেটা নিয়ে একটা ক্লিয়ার ধারণা থাকা দরকার। মেনোপজ মহিলাদের জন্য খুব স্বাভাবিক একটা অবস্থা, যেটা সাধারণত বয়স চল্লিশ পার হবার পরে সকলেরই হয়ে থাকে। একজন মহিলার স্বাভাবিক সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পাওয়া এবং রিপ্রোডাকশন পিরিয়ড সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঠিক আগের সময়টায় যে শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো আসে, সেগুলোকেই মেনোপজের শুরু বলা যায়।

মেনোপজ কেন হয়?
একজন মহিলা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিম্বাণু নিয়ে জন্ম গ্রহন করেন, যেগুলো তার জরায়ুতে সংরক্ষিত থাকে। জরায়ু মহিলাদের শরীরের ইসট্রোজেন এবং প্রজেসটেরন হরমোন তৈরি করে, যেটা প্রতিমাসের মাসিক এবং ওভাল্যুশনকে নিয়ন্ত্রন করে। যখন জরায়ু থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায় এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মেনোপজ হয়।

মেনোপজের ধাপ কয়টি?
মেনোপজ এর তিনটি ধাপ রয়েছে।
যথাক্রমেঃ পেরিমেনোপজ, মেনোপজ এবং পোষ্ট মেনোপজ। মেনোপজ শুরুর আগের কয়েক বছর সময়কে বলা হয় পেরিমেনোপজ। এইসময় আস্তে আস্তে মেনোপজ এর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। অর্থাৎ মেনোপজ শুরুর দুই থেকে তিন বছর আগে থেকেই এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে যায়। আর মেনোপজ হচ্ছে এই প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এক বছর পর্যন্ত সময়কালকে।
এই সময় যে যে শারীরিক পরিবর্তন সেগুলো নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। যেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলো ধামাচাপা দিয়ে না রেখে বরং কাছের মানুষ, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

মেনোপজ এর লক্ষণ

১) হট ফ্ল্যাশ।
মেনোপজ এর সময় যে জিনিসটা সকলকে খুব ভোগায় তা হলো হট ফ্ল্যাশ (Hot Flash)। বাইরের কোনও উৎস ছাড়াই হঠাৎ করে ভীষণ গরম লাগা। সেটা খুব ঠাণ্ডার দিনেও হতে পারে। এর সময়কাল কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে মিনিট দশেক পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি খেতে পারেন। একটু ঢিলে সুতির কাপড় পড়তে পারেন। এতে হট ফ্ল্যাশ হলেও স্বস্তিতে থাকবেন।

২) চুল পড়া।
মেনোপজ এর সময়ে হঠাৎ করে অনেক চুল পড়া শুরু হয়। এতে অনেকে খুব অস্বস্তিতে ভোগেন নিজেদের বাহ্যিক পরিবর্তনে। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে চুল পড়াটা স্থায়ী কিছু না। মূলত ইসট্রোজেন এবং প্রজেসটেরন হরমোন এর উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে চুল পাতলা হওয়া শুরু হয়। এটা একেবারে থামানো সম্ভব না। তবে স্ট্রেস ফ্রি থাকা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলা, ভিটামিন সাপ্লিমেনট নেয়া ইত্যাদি চুল পড়ার হার অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে।

৩) যৌন মিলনে অনিহা।
ইসট্রোজেন এবং প্রজেসটেরন হরমোন এর উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে শারীরিকভাবে যৌন মিলনের আগ্রহ অনেকটা কমে যায়। পাশাপাশি ইসট্রোজেন হরমোন কমে যাওয়ায় যোনিপথ অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে থাকে, যে কারণে যৌন মিলন মহিলাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া টোটকা বা এর ওর কথা না শুনে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই শ্রেয়।

৪) মুড সুইং।
এসময় শরীরে ইসট্রোজেন হরমোন এর ঘাটতি থাকে বলে সেরেটোনিন এবং ডোপামিন হরমোন এর ইমব্যালান্স দেখা দেয় শরীরে। যে কারণে ঘন ঘন মুড বদলাতে থাকে। এর আরও একটি কারণ হলো এসময়ের অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তন। যেমন- ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, হট ফ্ল্যাশ। এগুলোর কারণে অনেকেই সারাক্ষণ স্ট্রেস এ ভোগেন যেটা থেকে তুচ্ছ কারণে খিটখিটে মেজাজ দেখা দেয়। তবে নিয়মিত ব্যায়াম, নিয়ম করে হাঁটা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্ট্রেস ফ্রি থাকতে পারলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

৫) জয়েন্ট পেইন।
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা, বিশেষ করে হাঁটু, কনুই, আঙ্গুল, পিঠ এইসময় থেকে শুরু হতে থাকে। তবে মেনোপজ ছাড়াও কারো যদি আথ্রাইটিস, লুপাস এবং বারসাইটিস এর সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই ধরনের ব্যথা বেশ খারাপ আকার ধারন করে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো এগুলোর কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। বিভিন্ন ধরনের থেরাপি, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ, ওজন নিয়ন্ত্রন এই ব্যথার কিছুটা উপশম করে থাকে।

৬) ওজন বৃদ্ধি।
মেনোপজের সময়ে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি একটা অন্যতম সমস্যা। এটার কারণে হাঁটু , কোমর এবং পিঠের ব্যথায় ভোগেন অনেকে। এই সময় যেহেতু ইসট্রোজেন এবং প্রজেসটেরন হরমোন হ্রাস পায় শরীরে তাই সন্তান উৎপাদন ক্ষমতাও কমতে থাকে। এই হরমোনের অভাবে ওজন নিয়ন্ত্রন করাও কষ্টকর হয়ে পরে আস্তে আস্তে। এছাড়া বয়সের এই ধাপে এসে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুই ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, এসময় ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে চাকরি, পড়াশোনা বা বিয়ের কারণে দূরে চলে যায়। চাকরিজীবীদের পেনশনে চলে যাওয়ার সময় চলে আসে। এসব কারণে মনের অস্থিরতা বাড়ে। তাই চল্লিশের পর থেকেই পরিমিত খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা খুব জরুরি। কেননা, এই ওজন বৃদ্ধির ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

৭) অনিদ্রা।
মেনোপজ এর সময়ে মহিলাদের আরেকটা সমস্যা হলো ঘুম না হওয়া বা ঘুম হলেও ঘুম থেকে ওঠার পরেও সারাদিন ঘুম ঘুম লাগা বা ক্লান্তি লাগা । অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে আছেন। যার কারণ হট ফ্ল্যাশ বা প্রচণ্ড ঘেমে যাওয়া। আবার এই বয়সে অনেকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্ত চাপ বা অন্য কোন অসুখের কারণে ওষুধ শুরু করেন। এসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও অনিদ্রা হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকে ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করেন, যেটা একেবারেই ঠিক না। শুধু মাত্র ডাক্তারের পরামর্শেই ঘুমের ওষুধ খাবেন। ভালো ঘুম হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ঘুমের সময়, উপযুক্ত ব্যায়াম, ক্যাফেইন গ্রহন কমিয়ে আনা এই কাজগুলো বেশ ভালো কাজ দেয়।

মেনোপজ খুব স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। যেটা একটা বয়সের পরে সব মহিলাদের গ্রহন করতে হয়।

_ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি কাদের?সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ ২ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। ...
23/05/2023

_

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি কাদের?

সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ ২ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি ও যাদেরকে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাজ করতে হয়, তাদেরও এ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।

বিশেষ কিছু এলাকার লোকেরাও এই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়া। গর্ভবতী নারীও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। তাদের দেহ থেকে যখন নিজের ও সন্তানের জন্যে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হয় না, তখনই তাদের ডায়াবেটিস হয়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬-১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়েট, শরীরচর্চা অথবা ইনসুলিন নেওয়ার মাধ্যমে তাদের শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গেলে তাদের টাইপ ২ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

এ ছাড়াও যারা অত্যধিক জাঙ্কফুড খান, তাদের শরীরে ক্যালোরি ও ফ্যাট পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে শরীরে ইনসুলিনে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। জিনগত রোগের কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে। আবার অতিরিক্ত ওজনের কারণেও ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। এ কারণে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ দৈনিক করতে হবে।

আবার বেশি মানসিক চাপে থাকা, ধূমপান করা, ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ভুল ওষুধ সেবন, চা, কোল্ড ড্রিঙ্কস ও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণের ফলেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

মানব শরীরের তথ্য........মানব কঙ্কাল হলো মানব দেহের অভ্যন্তরীণ কাঠামো। এটি জন্মের সময় প্রায় ২৭০টি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত ...
22/05/2023

মানব শরীরের তথ্য........
মানব কঙ্কাল হলো মানব দেহের অভ্যন্তরীণ কাঠামো। এটি জন্মের সময় প্রায় ২৭০টি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত হয়। কিছু হাড় একত্রিত হওয়ার পরে এটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে কমে প্রায় ২০৬ হাড়ে পরিণত হয়। কঙ্কালের হাড়ের ভর মোট শরীরের ওজনের প্রায় ১৮% (গড়ে ব্যক্তির জন্য ১০-১১ কেজি) এবং ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে সর্বাধিক ভরে পৌঁছায়। মানব কঙ্কালকে অক্ষীয় কঙ্কালে ভাগ করা যেতে পারে। এবং অ্যাপেন্ডিকুলার কঙ্কাল। অক্ষীয় কঙ্কাল, মেরুদণ্ডের কলাম, পাঁজরের খাঁচা, মাথার খুলি এবং অন্যান্য সম্পর্কিত হাড় দ্বারা গঠিত হয়। অ্যাপেন্ডিকুলার কঙ্কাল, যা অক্ষীয় কঙ্কালের সাথে সংযুক্ত, কাঁধের কোমর, পেলভিক কোমরবন্ধ এবং উপরের এবং নীচের অঙ্গগুলির হাড় দ্বারা গঠিত হয়।

মানব কঙ্কাল ছয়টি প্রধান কার্য সম্পাদন করে: সমর্থন, চলাচল, সুরক্ষা, রক্তকণিকা উৎপাদন, খনিজ সঞ্চয় এবং অন্তঃস্রাব নিয়ন্ত্রণ।

টানা এক বছর ঘরকে মশামুক্ত রাখতে এই কৌশল টি অবলম্বন করুন 😀😀😀আমাদের বাড়িতে অনেক সময় মশার উপদ্রব যথেষ্ট পরিমাণে বেড়ে যায...
21/05/2023

টানা এক বছর ঘরকে মশামুক্ত রাখতে এই কৌশল টি অবলম্বন করুন 😀😀😀

আমাদের বাড়িতে অনেক সময় মশার উপদ্রব যথেষ্ট পরিমাণে বেড়ে যায় । সেক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন মশা মা-রা ধুপ বা ইলেকট্রিক কয়েল এর ব্যবহার করে থাকি ।কিন্তু ইলেকট্রিক কয়েল মশা মা-রা ধুপ থেকে যে সমস্ত গ্যাস নির্গত হয় সেগুলি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে য-থেষ্ট ক্ষ-তিকর । তাই অনেকে সেগুলি ব্যবহার করতে চায় না । এ পাশাপাশি মশার ডেকে আনে ডে-ঙ্গু এর মত রোগ ।

এক গবেষণায় জানানো হচ্ছে যে যদি ৮ ঘন্টা আপনি কোনক-য়েল জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে সেটি ১৪০ টি সিগারেটের ধোঁ-য়া উৎপন্ন করে যেটি সরাসরি আপনার মধ্যে শো-ষিত হয় ।।যা আপনার হা-র্ট ফুস-ফুস কে এবং শ্বাসনালী ক্ষ-তিগ্রস্ত করতে থাকে । তাই জৈবিক প্রক্রিয়া তে এক বছর টানা মশামু-ক্ত ঘরে রাখার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।

প্রথমে আপনাকে একটি মাটির প্রদীপ নিয়ে নিতে হবে এবং তার মধ্যেদিতে হবে এক চামচ রসুন বাটা । এবং তার মধ্যে যোগ করতে হবে কিছুটা পরিমাণ তেজ-পাতা গুঁড়ো এবং সামান্য পরিমাণ কর্পূর গুঁড়ো । সমস্ত উপকরণ গু-লি কে ভাল করে মিশিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিন সরষের তেল ।

অর্থাৎ সমস্ত উপকরণ গুলি যাতে সরষের তেলের মধ্যে নিমজ্জিত অবস্থায় থাকে । এরপর একটি সলতে যোগ করে দিন তার মধ্যে এবং প্রদীপটি ধরিয়ে দিন । এর ফলে যে ধোঁয়া নির্গত হবে সেখান থেকে আপনার বাড়ির আনাচে-কানাচে থাকা মশা বাড়ির বাইরে চলে যাবে । এতে আপনার শরীরও কিছু ক্ষ-তি হবে না।😀😀😀

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা.................গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা, ব্যায়াম এবং বিশ্রামের জন্য সঠিক নির্দেশনা সম্প...
21/05/2023

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা.................

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা, ব্যায়াম এবং বিশ্রামের জন্য সঠিক নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত থাকা খুবই জরুরি। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা বজায় রাখলে সেটি শুধু যে সংক্রমণ থেকেই দূরে রাখবে, তা নয়। পাশাপাশি মানসিক দিক দিয়েও প্রফুল্লতা আনবে। গর্ভাবস্থার আগে, গর্ভকালীন সময়ে এবং গর্ভাবস্থার পরবর্তী সময়ে পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা মেনে খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা জীবনের অন্য সব সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। আপনি যদি গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা করেন বা গর্ভবতী হন, তাহলে আপনার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু খাদ্য তালিকা নিয়ে আমরা এ প্রবন্ধে আলোকপাত করবো।

প্রথম মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা:

এটি ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি২, ডি, ই এবং পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের একটি সহজলভ্য ও উৎকৃষ্ট উৎস।

১. দুগ্ধজাত পণ্য
দুগ্ধজাত পণ্য, বিশেষ করে ফোর্টিফাইড দ্রব্যাদি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফলিক এসিডের একটি দুর্দান্ত উৎস। ১ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় দুধ ও টকদই যোগ করা যেতে পারে।

২. ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার
ভ্রুণের প্রাথমিক বিকাশের সময়, ফলিক এসিড নিউরাল টিউব গঠনে সাহায্য করে। ফলিক এসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শিশুর মস্তিষ্ক (এনেনসেফালি) এবং মেরুদন্ডের (স্পাইনা বিফিডা) কিছু বড় জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আপনি ফোলিক এসিড সম্পূরক ( সাপ্লিমেন্ট) গ্রহণ করলেও আপনার খাদ্যতালিকায় ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরণের খাবারের উদাহরণ হলো টকজাতীয় বা সাইট্রাস ফল, মটরশুঁটি, মটর, মসুর ডাল, চাল এবং ফোর্টিফাইড সিরিয়াল জাতীয় খাবার।

৩. হোল গ্রেইন বা গোটা শস্য জাতীয় খাবার
গোটা শস্য জাতীয় খাবারগুলো কার্বোহাইড্রেট, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের স্বাস্থ্যকর উৎস। গর্ভের শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য এগুলো অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। হোল গ্রেইনের উদাহরণ হলো যব, বাদামী চাল, বাজরা, ওটমিল ইত্যাদি।

৪. ডিম ও মুরগি
ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি২, বি৬, বি১২, ডি, ই, কে এবং ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও জিংক রয়েছে। হাঁস মুরগি প্রোটিনের চমৎকার উৎস। পাশাপাশি ভিটামিন বি, জিংক ও আয়রন ও থাকে। ১ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় ডিম ও মুরগী অবশ্যই রাখা উচিত।

৫. মাছ
মাছে কম চর্বিযুক্ত এবং উচ্চমানের প্রোটিন রয়েছে। এটি ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি২, ডি, ই এবং পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের একটি সহজলভ্য ও উৎকৃষ্ট উৎস।

৬. শাকসবজি
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় ব্রোকলি, পালংশাক, গাজর, কুমড়া, মিষ্টি আলু, টমেটো, ভুট্টা, বেগুন, বাঁধাকপি রাখা যেতে পারে।

৭. বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে আছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ফ্লাভোনয়েড এবং ডায়েটারি ফাইবার। নিশ্চিত করুন যে, গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকায় এই পুষ্টিকর খাবারগুলো উপস্থিত আছে।

৮. কড লিভার ওয়েল
কড লিভার ওয়েল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যা ভ্রূনের মস্তিষ্ক এবং চোখের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। এতে ভিটামিন ডি ও থাকে, যা প্রিক্ল্যাম্পশিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।

৯. আয়োডিনযুক্ত লবণ
গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করুন। আয়োডিন গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে আপনার শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। হরমোনগত কারণে আপনার স্বাভাবিক মেজাজের পরিবর্তন, ক্লান্তি এবং সকালে সাময়িক অসুস্থবোধ হতে পারে। নিয়মিত বিরতিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান, প্রচুর পানি পান করুন, হালকা ব্যায়াম করুন এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকুন।

দ্বিতীয় মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা:

২ মাসের গর্ভবতী মা সকালের অসুস্থতা এবং বমি বমি ভাবের কারণে অস্বস্তিবোধ করতে পারেন। এই পর্যায়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভ্রূণের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে। এই সময়ে ভ্রূণের নিউরাল টিউব বিকশিত হয়, যা পরে মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড ও স্নায়ুতে বিকশিত হয়।

১. ফলিক এসিড
প্রথম ত্রৈমাসিকে ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার অনাগত শিশুকে নিউরাল টিউবের ত্রুটি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি, ডিম, আখরোট, মসুর ডাল ইত্যাদি হলো গর্ভবতী মায়ের জন্য ফলিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পূরক।

২. আয়রন
২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় আয়রন একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। এই পর্যায়ে একজন গর্ভবতী মায়ের শক্তিশালী রক্ত প্রবাহের প্রয়োজন হয়। ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় পালংশাক, মেথি, বিটরুট, মুরগি, ডিম ইত্যাদি যোগ করুন।

৩. ক্যালসিয়াম
২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা অতীব গুরুত্ববহ। এই পর্যায়ে যদি শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম এর সরবরাহ না হয়, তাহলে গর্ভবতী মায়ের অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শালগম, বাধাঁকপি, শাকসবজি ক্যালসিয়াম এর চমৎকার উৎস।

৪. প্রোটিন
গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই প্রোটিন অপরিহার্য। ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় মুরগি, ডিম, দুধ, মাছ, মসুর ডাল থাকলে তা প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করবে।

৫. জিংক
অ্যাসিড বিপাক এবং জৈবিক ক্রিয়াকলাপের জন্য জিংক এর প্রয়োজন। মুরগি, মাছ, শাকসবজি, মটরশুঁটি সবই জিংকের সমৃদ্ধ উৎস। নিশ্চিত করুন যে, ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় এগুলো অন্তর্ভুক্ত আছে।

৬. চর্বি
ঘি এবং সরিষার তেলের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি ভ্রূণের চোখ, মস্তিষ্ক, প্লাসেন্টা ও টিস্যু গঠনে সাহায্য করে।

৭. ফাইবার
ফাইবার জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গাজর, বাঁধাকপি, সিরিয়াল, কলা, কমলা প্রভৃতি

তৃতীয় মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা:

গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাস (৯ থেকে ১২ সপ্তাহ) মায়ের জন্য একটি কঠিন সময় হতে পারে কারণ এই সময়ে সকালের অসুস্থতা, ক্লান্তি এবং মেজাজের পরিবর্তন বা মুড সুয়িং অত্যন্ত বেড়ে যায়। এই সময়েই সবচেয়ে বেশি গর্ভপাতের খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে মায়ের মানসিক চাপমুক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় এমন সব খাবার রাখতে হবে যা ভ্রুণের সুস্থ বৃদ্ধি ও বিকাশ নিশ্চিত করবে।

১. ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন বি-৬ বমিবমি ভাব এবং বমি প্রতিরোধে সহায়তা করে। ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে চর্বিহীন মাংস, হাঁস, মুরগি, সাইট্রাস ফল, সয়াবিন, বাদাম, বীজ ও অ্যাভোকাডো।

২. ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার
শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের সঠিক বিকাশের জন্য ৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় অবশ্যই ফোলেট সমৃদ্ধ খাবারের প্রাকৃতিক উৎস যোগ করতে হবে।

৩. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার
সয়াবিন, ক্যানোলা তেল, আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্লাক্স বীজ ইত্যাদি।

৪. টাটকা ফল
ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য। ৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় অ্যাভোকাডো, ডালিম, কলা, পেয়ারা, কমলা, আপেল, স্ট্রবেরি রাখতে পারেন।

৫. শাকসবজি
৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় ভিন্ন রং এর সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে গর্ভবতী মা বিস্তৃত পরিসরে পুষ্টি উপাদানগুলো পান। পালংক শাক, ব্রোকলি, মিষ্টি আলু, টমেটো, গাজর, কুমড়া, ভুট্টা, বেগুন, বাঁধাকপি ইত্যাদি গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় রাখা যেতে পারে।

৬. প্রোটিন
ভ্রুণের সঠিক বিকাশের জন্য গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে হবে।

৭. দুগ্ধজাত পণ্য
শক্তিশালী হাড় গঠনে ক্যালসিয়াম কাজ করে থাকে, যা দুগ্ধজাত পণ্যে ভরপুর থাকে। ৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় দুধ, দই, পনিরের মতো খাবারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

৮. ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি ইমিউন সিস্টেমের বিকাশ, সুস্থ হাঁত ও হাড়ের বিকাশ এবং শিশুর স্বাভাবিক কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার হলো চর্বিযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, কড লিভার ওয়েল ইত্যাদি।

পঞ্চম মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা:

গর্ভধারণের পঞ্চম মাসে (১৭ থেকে ২০ সপ্তাহ), আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৪৭ অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে এবং প্রায় এক বা দুই পাউন্ড ওজন বাড়াতে হবে। এই ক্যালোরি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার থেকে আসা উচিত।

১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
৫ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় ডাল, সিরিয়াল, বীজ, বাদাম, ছোলা, পনির, টোফু ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকা বাঞ্ছনীয়।

২. গোটা শস্য বা হোল গ্রেইন
গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে।

৩. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
৪. উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
৫. সালাদ
৬. ফল ইত্যাদি

সপ্তম মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা:

গর্ভাবস্থার সপ্তম মাসে আপনার শরীর ও আপনার গর্ভের শিশু নানাবিধ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। আপনার গর্ভাবস্থা যাতে ঠিকভাবে অগ্রসর হয়, তা নিশ্চিত করতে আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অন্তত অতিরিক্ত ৪৫০ ক্যালরির সুপারিশ করে থাকেন। তবে আপনাকে অবশ্যই পরিমিতভাবে খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

১. আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
২. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
৩. ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
৪. ডি এইচ এ সমৃদ্ধ খাবার
ডি এইচ এ এক ধরণের ফ্যাটি এসিড, যা গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। মাছের তেল, চর্বিযুক্ত মাছ, আখরোট, ফ্লাক্স বীজে ডি এইচ এ থাকে।

৫. ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
৬. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
৭. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদি।

নব্ম মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা:

গর্ভাবস্থার নবম মাসে আপনার যতটা সম্ভব বিশ্রাম করা উচিত। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আপনার খাদ্য ও জীবনধারা আপনার ও আপনার শিশুর উভয়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। নবম মাসে প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মতো স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।

১. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
২. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
৩. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
৪. ভিটাসিন সি সমৃদ্ধ খাবার
৫. ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
৬. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার
সুষম খাদ্য গর্ভাবস্থার সাধারণ উপসর্গ গুলো দূর করে। পাশাপাশি ভ্রূণের সঠিক বিকাশও নিশ্চিত করে। ৯ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় স্ট্রবেরি ও কমলার মতো তাজা ফল, টাটকা সবজি যেমন টমেটো, ফুলকপি, মটরশুঁটি, মিষ্টি আলু, গাজর, গোটা শস্য, মসুর ডাল, দুগ্ধজাত পণ্য যেমন পনির, দই, ডিম, মুরগি, মাছ, পালংক শাক, বাদাম, কিশমিশ প্রভৃতি থাকা প্রয়োজন।

Address

Jessore
7402

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Friday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

+8801911166098

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Drugs garden posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share