ACI কৃত্রিম প্রজনন কর্মি,যশোর।

ACI কৃত্রিম প্রজনন কর্মি,যশোর। বদলে যাবে সারাদেশে, দুধে মাংসে বাংলাদ?

Permanently closed.
খামারী উদ্যোক্তা কিভাবে হবেন সফল খামারীআপনি উদ্যোক্তা হতে চান, খামার ব্যবসা করতে চান। কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি যে খামার ...
18/06/2022

খামারী উদ্যোক্তা কিভাবে হবেন সফল খামারী

আপনি উদ্যোক্তা হতে চান, খামার ব্যবসা করতে চান। কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি যে খামার ব্যবসায় করতে চান না কেন, তা হবে মরুভূমিতে বালু বিক্রি করার মত! অনেক মানুষ আগেই সে ব্যবসা করে আসছে। অথবা ইতোমধ্যে অনেকে শুরু করে দিয়েছে। তাই বলে কি একই ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারবেন না? অবশ্যই পারবেন। যদি আপনার শুধুই টাকা ইনকাম করার মনোভাব না থাকে। বরং যে কাজটা করতে চান তার প্রতি যদি থাকে প্রবল আকর্ষন ও ভালবাসা, কাজ করতে প্রতিটা দিনের সময় কখন যে ফুরিয়ে যাবে তা যদি আপনি বুঝতেই না পারেন এবং আপনি ক্লান্ত না হন। দিন শেষে কাজ করে আপনি পাবেন একটা মানসিক তৃপ্তি। তাছাড়া বার বার সমস্যার আসার পরেও যদি কাজটা ছেড়ে না দেন, লেগে থাকেন। কাজটা যদি হয় এমনই। তাহলে যত মানুষই করুক না কেন, একই কাজ আপনি করলে অবশ্যই সফল হবেন। সফলতার এটাই মূল সূত্র।

সকল উদ্যোক্তা সফল হয় না, সফল হয় গুটিকয়েক উদ্যোক্তা। সফল খামার উদ্যোক্তা হবার জন্য দু’টি বিষয়ের সমন্বয় দরকার। এক. খামার চালানোর জন্য ব্যবস্থাপনা জ্ঞান, যার ফলে খামারে লাভ আসবে। এই ব্যবস্থাপনা জ্ঞান পরিশ্রম. অভিজ্ঞতা ও হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমে অর্জন করা যায়। দুই. খামার শুরু, টিকে রাখা এবং উত্তোরত্তর বৃদ্ধির জন্য দরকার উদ্যোক্তা প্রাণ শক্তি যা আপনাকে সফল ও টেকসই উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে। উদ্যোক্তা প্রাণ শক্তি শিক্ষার মাধ্যমে অর্জন করা যায় না। তা ভিতর থেকে আসতে হয়। নিজেকে আত্ম-উন্নয়ন করতে হয়। ক্রমাগতভাবে। প্রতিনিয়ত।

ইদানিং চারি পাশে খামার উদ্যোক্তা হবার ধুম পড়ে গেছে। প্রচন্ড উদ্দীপনা আর আগ্রহ নিয়ে খামার শুরু করে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই খামার ঘুটিয়ে ফেলছে। তার প্রধান কারন হলো- খামার চালানোর জন্য ব্যবস্থাপনা জ্ঞান না থাকা এবং উদ্যোক্তা প্রাণ শক্তির অভাব। কিন্তু দু’টো বিষয়ই অর্জন করা সম্ভব। প্রথমটা কাজের মাধ্যমে আর দ্বিতীয়টা আত্ম-উন্নয়নের মাধ্যমে।

এই দু’টো বিষয়ে কিভাবে দক্ষতা ও কৌশল অর্জন করা যায়, তা ধারাবাহিকভাবে “খামারিদের মিলন মেলা” গ্রুপের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হবে। ফলে যারা নতুন খামার উদ্যোক্তা হতে চান বা ইতোমধ্যে খামার ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন এবং সেখান থেকে লাভবান হতে চান তারা এই সিরিজের আলোচনা থেকে উপকৃত হতে পারবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বস।

06/04/2022

গাভীর ওলান ফোলা রোগের লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

------------------------
গাভীর ওলান ফোলা হলো একধরণের মারাত্ত্বক ব্যাধি। যা গাভী এবং বাচ্চার জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিভিন্ন প্রকার জীবাণু দ্বারা গাভীর ওলান ফোলা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। দ্রুত উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে গরুর ওলান আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ রোগ একটি গাভীর যে কোনো সময় হতে পারে তবে বাছুর প্রসবের পরেই গাভী বেশি আক্রান্ত হয়।
রোগের কারণ
বিভিন্ন প্রকারের ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, মাইকোপ্লাজমা ও ভাইরাস এ রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যদি সেডের মেঝে দীর্ঘ সময় সেঁতসেতে ও ভিজা থাকে, ওলানের বাঁট দূষিত মেঝের, সংষ্পর্শে আসার মাধ্যমে অথবা দুধ দোহনকারীর হাত, দুধ দোহনের যন্ত্রের মাধ্যমে জীবাণু সরাসরি ওলানে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। কারণ গাভী যখন শুইবে তখন তার ওলান দিয়ে জীবানু ঢুকবে। সেই থেকে ওলান ফুলে যেতে পারে। এজন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে রাখার কোনো বিকল্প নাই। ওলানে বা বাঁটে আঘাতজনিত ক্ষত, ক্ষুরারোগের ফলে সৃষ্ট ক্ষত বা দীর্ঘ সময় ওলানে দুধ জমা থাকলেও এ রোগ হতে পারে। বাঁটের মধ্যে কোনো শলা বা কাঠি প্রবেশ করালেও গাভী এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ
ওলান ফুলে শক্ত ও গরম হয়। লাল বর্ণ হয়ে যায়। কখনও পুজের মত বা রক্ত মিশ্রিত হয়। কখনও কখনও দুধের পরিবর্তে টাটকা রক্ত বের হয়। ওলানে ব্যথা হয়। দুধ কমে যায় এমনকি বন্ধও হয়ে যায়।

তীব্র রোগে ওলান হঠাৎ করে লাল, শক্ত ও ফুলে যাবে। হাত দ্বারা ষ্পর্শ করলে গরম অনুভূত হবে। ওলানে হাত বা কোনো কিছুর হালকা আঘাত লাগলে প্রচন্ড ব্যথা থাকে। ওলানের সামনে পানি জমে যায়। গায়ে জ্বর থাকে। পানির মত দুধ, পুঁজ বা রক্তযুক্ত দুধ বের হয়। ওলানে পচন ধরতে পারে। দুধ কালো কাপড়ে ছাঁকলে জমাট বাঁধা দুধ দেখা যায়। এমন কি বাছুরকেও দুধ দেয় না। দুধের রং লাল বর্ণ হয়ে যায়। দুধের মধ্যে ছানার মত কিছু জমে থাকতে পারে। গাভীর খাদ্য গ্রহণে অরুচি দেখা দেয়। অনেক সময় আক্রান্ত ওলানে গ্যাংগ্রিন হয়ে খসে যায়। গাভীর মৃত্যুও হতে পারে।

চিকিৎসা
খুব দ্রুত রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। এ্যান্টিবায়োটিক প্রদান করতে হবে। এতে জেন্টামাইসিন ও কিটোটিফেন জাতীয় ওষধ প্রয়োগ করতে হবে। এতে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। ১২ ঘন্টার মধ্যে এর চিকিৎসা করতে হবে। এর বেশি দেরি হলে এ রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। তখন আর চিকিৎ করে ফেরত পাবে না। অভিজ্ঞ প্রাণিচিকিৎসকের পরামর্শক্রমে যেসব চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে হবে।

মনে রাখতে হবে, হাতুরে ডাক্তারের চিকিৎসার মারত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ রোগটি জটিল প্রকৃতির বিধায় পশুচিকিৎসকের পরামর্শমত চিকিৎসা করানো উচিৎ।


প্রতিরোধ
চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের জন্য কাজ করতে হবে। একটি ডেইরী ফার্মে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নিলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। বাঁটের স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে হবে। বাসস্থান উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। জীবাণুমুক্ত দুধ দোহন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। ওলান ও বাঁটের স্বাস্থ্য রক্ষাসহ যে কোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খুব দ্রুত এ রোগ সনাক্ত করতে হবে এবং দ্রুত উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে। অসুস্থ গাভীকে আলাদা জায়গায় রাখতে হবে। শুষ্ক ও গর্ভবতী গাভীকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও সেবা দিতে হবে। গাভীর ক্ষেত্রে (বকনা বাদে) দুধ দোহনের শেষ দিনে বাঁট বন্ধ করে দিতে হবে এ রোগে আক্রান্ত হওয়া গাভী, যে গুলিকে সম্পূর্ণ ভালো করা সম্ভব হচ্ছে না সে গুলিকে ছাঁটাই করতে হবে। যারা গাভী দহন করবে তাদের হাত,শরীর , কাপড়সহ সবকিছু পরিষ্কার রাখতে হবে।


প্রিয় খামারি মনে রাখতে হবে, গাভী বা গরুর যে কোন সমস্যা হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে। অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আপনাকে সেবা দিতে হবে।

04/03/2022

ঘোড়া যেখান থেকে পানি পান করে, সেখানে পানি পান করুন। ঘোড়া কখনও খারাপ পানি পান করে না।
বিড়াল যেখানে ঘুমায়, সেখানে আপনার বিছানা পাতুন। বিড়াল কখনও অপবিত্র বা নোংরা জায়গায় ঘুমায় না।
যে ফল পোকা ছুঁয়েছে তা নির্ধিতায় খান। পোকা কখনও বিষাক্ত ফল খায় না।
পোকাপ্রাণী মাটিতে যেখানে খনন করে বাস করে, সেখানে গাছ লাগান। ভাল গাছ পাবেন।
পাখির সাথে একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং পাখির সাথে একই সময়ে জাগ্রত হন। আপনার সমস্ত দিন স্বর্নের শস‍্যে কাটবে।
মাছের মতো পানীতে প্রায়শই সাঁতার কাটুন। মাছের মতো আপনি নিজেকে পৃথিবীতে হালকা, ফুরফূরে এবং সজীবতা অনুভব করবেন।
যতবারই সম্ভব আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকুন। আপনার চিন্তাধারা আকাশের মতো স্বচ্ছ, সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে উঠবে।
যথাসম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করুন এবং অল্প কথা বলুন। আপনার হৃদয়ে দেখবেন নীরবতা আসবে, আপনার তনু মন প্রশান্তিতে ভরে উঠবে ।

06/02/2022

যারা নতুন খামার করতে আগ্রহী তারা শুরু থেকে শেষ পযন্ত' পোস্ট টি পড়ুনঃ-----

মানলে খামার করে লোকসান নয় লাভ হবে।প্রবাসী ভাইয়েরা ও পড়বেন।

শুরুতে ৩টি বিষয় থাকতে হবে।
ধৈয্য'
ডিসিপ্লিন
নিজের_যা_আছে_তা_নিয়ে_সন্তুষ্ট_থাকতে_হবে।

১।আমরা খামারীরা গরীব ঘরের সন্তান হয়ে,বড় ধরনের ঝুঁকি আসলে আমরা সইতে খুবই কষ্ট হয়।
তাই খামারের শুরুতে ছোট্ট আকারে শুরু করবেন।
১/২টি বকনা ও ভালো জাতের ২/৩ টি গাভী দিয়ে শুরু করুন।

২।শুরুতে বড় আকারে ডেইরী নিয়ে শুরু করলে দুধের বাজার,দুধ সেল দিতে পারবেন কি না তা ভেবে নিবেন।নয়তো দুধের দোকানে/মিষ্টির দোকানে ৫০ হাজার ৭০ হাজার বাকী থাকতে হবে, পরে খামার নিয়ে হিমসিম খেতে হবে।

৩।গরু কিনার সময় জাত চিনতে হবে,নিজে প্রথমে জাতের গরু চিনতে অসুবিধা হবে তাই অভিক্ত লোক সাথে নিয়ে গরু কিনতে হবে।
অনলাইন থেকে গরু কিনলে বুঝে শুনে কিনবেন,অসাধু দালালের হাতে পড়লে যা হবে অনলাইনে ২০/২৫ লিটার বলে দিবে পাবেন ১০/১২ লিটার।
সুতরাং সাবধান!

৪।গরু কিনার সময় অবশ্যই গরুটি সুস্থ আছে কি না খেয়াল করতে হবে,গাভী হলে দুধ দহনে লাথি মারে কি না,৪টি বাট দিয়ে দুধ ঠিক মতো আসে কি না,বয়স কী ইত্যাদি জেনে নিতে হবে।

৫।শুরুতেই ১০/১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করবেন না।
কারন শুরুতে রিক্স না নেওয়া উওম।শুরুতে ২০ লিটারে গাভী নিবেন না, ১০/১৫ লিটার সবোচ্চ।কারণ এতো দামী গরু দিয়ে শুরু করলে কোন প্রকার সমস্যা হলে খামার করার মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ও আরো অনেক আনুষাঙ্গিক বিষয় আছে তা শুরুতে বুঝতে কঠিন হবে।

৬।টাকা থাকলেই সব কিন্তু সম্ভব নয়,টাকা গরমে ২ লাখ ৩লাখ টাকা করে গরু কিনবেন না শুরুতে।
প্রবাসে থাকেন, ১০ টি গরু কিনে রাখাল রেখে দিয়ে খামার করবেন এমন সিদ্ধান্ত নিবেন না।তাহলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না,যা হারে হারে টের পাবেন।কারণ ভালো রাখাল পাওয়া কঠিন।

৭।লাখ লাখ টাকার গরু খামারে তবে ১০০০/২০০০ হাজার টাকার অতিরিক্ত ঔষুধ খামারে রাখতে কষ্ট লাগে এমন চিন্তা করা যাবে না,প্রয়োজনীয় ঔষুধ কিছু খামারে রাখুন। গভীর রাতে দোকান তো বন্ধ থাকবে।
তাই খামারে রাখুন,
থামোমিটার
গ্যাসের ঔষুধ
জ্বরের
বদ হজমের
পাতলা পায়খানার
ঠান্ডার
আমাশার
ভিটামিন বি, এডি৩ই ইনজেকশন

৮।ট্রেনিং করতে হবে ৩ মাসের, সাপ্তাহিক বা মাসিক প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের খামারী মিটিং ও ট্রেনিং এ উপস্থিত থাকতে হবে।

৯।গরুর যত্ন করতে হবে নিয়মিত।
গরুর গোসল,ঠিকসময়ে খাদ্য দেওয়া,নিয়মিত খামার পরিস্কার করা, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে রাত ১০ টায় খামারের সব গুলো গরুর খেয়াল নিবেন, গরু গুলো জাবর কাটছে কি না, প্রসাব পায়খানা ঠিক আছে কি না তা পরিদর্শন করতে হবে।এই ডিসিপ্লিন গুলো মেনে চলতে হবে।

১০।ধৈয' থাকতে হবে।খামারে লাভ আর লাভ তা কিন্তু নয়,কখনো কোন সমস্যা হতে পারে, আগুন লেগে পুড়ে যেতে পারে,গরু মারা যেতে পারে,গাভী বার বার বীজ/সিমেন দিলে না ও রাখতে পারে তাই বলে গাভী রাগে বিক্রি করা যাবে না।সমস্যা কেথায় তা খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে, লেগে থাকতে হবে।

১১।আপনার খামারে ২ টি ১০/১২ লিটার দুধের গাভী আছে ১/২ টি ভালো জাতের বকনা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন।অন্যর বড় খামার ও বড় ওলানের গাভী দেখে পাগল হবেন না।কারন নিজের যা আছে তা নিয়ে শুকরিয়া আদায় করা জরুরী।
হয়তো সময়ের ব্যবধানে আপনি তার চেয়ে বড় খামারী হতে পারেন,তাই সততা নিয়ে পরিশ্রম করুন।

১২।অবহেলা দূর করে সাহস রাখুন,গরু অসুস্থ হলে মন খারাপ করবেন না,যখন কোন গরুর সমস্যা হবে তখন নিজের আয়ত্তে না থাকলে দ্রুত ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করাবেন।তবে মনে রাখতে হবে রোগ ছোট্ট হউক বড় হউক অবহেলা করা যাবে না।কারণ একটু অবহেলার কারণে লাখ টাকার সমস্যা তো হতে পারে।

১২।গরু পালতে হলে গরু হতে হবে।
কারণ ৫০০ টাকার প্যান্ট,৪০০ টাকার শাট খুলে লঙ্গি আর কোমড়ে গামচা বেঁধে কাজ করতে হবে।

১৩।গাভী_না_বকনা না মোটাতাজা করন দিয়ে খামার শুরু করবেন।
শুধুই বকনা__দিয়ে শুরু করলে কমপক্ষে হিটে আসার আগ পযন্ত ও বাচ্চা দেওয়ার আগ পযন্ত আপনি কোন লাভের মুখ দেখতে পারবেন না।বরং হিটে আসলে কয়েকবার বীজ দিলে বীজ মিস করবে,খাদ্য খরচ,লেবার খরচ, কারেন্ট বিল হাত থেকে দিয়েই যেতে হবে এতে খামারের প্রতি আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়।

গাভী দিয়ে শুরু করলে দুধ বিক্রির টাকা দিয়েই গাভী ও বাচ্চার খাদ্য খরচ সহ অনন্যা খরচ ও চলে যাবে।ও গাভী হিটে আসলে বীজ দিয়ে আবার পুণরায় বাচ্চা দেওয়ার প্রস্তুতি নিবে।তবে সঠিক ভাবেই লালন পালন করতে হবে।

মোটাতাজা করণ প্রকল্প করলে ৩ মাস বা ৬ মাস মেয়াদী বিক্রির আগ পযন্ত খাদ্য ও ঔষুধ থেকে শুরু করে সমস্ত খরচ হাত থেকে বহন করতে হবে পরে লাভ লসের হিসাব।

সুতরাং আমার মতে শুরুতে ১/২ টি বকনা ও ২/৩ টি গাভী দিয়ে শুরু করাই ভালো।

১৪।নতুন অবস্থায় গাভীন গরু কেউ কিনবেন না।কারণ অনেক সময় গাভীর ১/২টি বাট দিয়ে দুধ আসে না, ও দুধ দহনে নড়াচড়া করে, লাথি মারে তখন সেই গাভী বিক্রি করতে পারে না।পরে ৫/৬/৭/৮/৯ মাসের গাভীন হলে বিক্রি করে।সুতরাং সাবধান!
তবে পরিচিত জনের গাভী হলে ভিন্ন কথা।

১৫।ইউটিওব,ফেসবুকের সফলতার গল্প শুনে কেউ খামার করবেন না, কারণ ঐ গল্প গুলোর পিছনে লুকিয়ে থাকে অনেক তথ্য যা প্রকাশ করে না।
বাস্তবতা বড়ই কঠিন,কল্পনা পরিহার করে বাস্তবতা মেনে খামার করুন দেখবেন সফলতা আপনার পিছু নিবে।

29/01/2022

গাভীর বাচ্চা প্রসবের সময় বোঝার উপায়
গাভীর বাচ্চা প্রসবের সময় বোঝার উপায় আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের দেশে গবাদিপশু তথা গাভী পালন একটি লাভজনক পেশা। গাভী পালন করে বর্তমান সময়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। গাভী পালনের ক্ষেত্রে বাচ্চা প্রসব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসুন জেনে নেই গাভীর বাচ্চা প্রসবের সময় বোঝার উপায় সম্পর্কে-
গাভীর বাচ্চা প্রসবের সময় বোঝার উপায়ঃ
অনেক সময়, বিশেষ করে নতুন খামারীরা গাভী কখন বাচ্চা দিবে বা কখন প্রসব বেদনা উঠে তা বুঝতে পারেন না। গাভী বাচ্চা প্রসব করার পূর্বে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় তা নিচে দেওয়া হল-
১। গাভীর মধ্যে একটা অস্থিরতা দেখা যাবে।
২। গাভী বারবার উঠা বসা করবে।
৩। গাভীর ওলান ফুলে উঠে আকার বাড়তে থাকে এবং লেজের গোড়ার দুপাশে গর্তের মত আকার স্পষ্ট হবে।
৪। যোনীমুখ দিয়ে সাদা তরল আঠালো পদার্থ বের হতে দেখা যাবে।
৫। যোনীমুখ বড় হয়ে ঝুলে যাবে এবং নরম ও ফোলা ফোলা হয়ে যাবে।
৬। যোনী পথ দিয়ে পানির থলি বেরিয়ে আসবে।
৭। গাভীর যোনী পথ দিয়ে বাছুরের সামনের দুপা ও মুখ এক সঙ্গে বেরিয়ে আসবে।
উপরোক্ত লক্ষণগুলি দেখে আমরা বুঝতে পারি যে গাভীর বাছুর প্রসব করার সময় হয়েছে কিনা এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি।

28/01/2022

নামাজ। কোনো বিকল্প নেই।
কাল হঠাৎ ইউটিউবে সার্চ দিলাম... "নামায কেনো পড়তেই হবে?"
"ওযুর জন্য পানি নেই, তায়াম্মুম করেন, তায়াম্মুমের ব্যবস্থা নেই, তায়াম্মুম ছাড়াই নামায পড়ুন।
কিবলামুখী হয়ে নামায পড়তে হয়, কিবলামুখী বুঝতে পারছেন না, যেকোনো দিক হয়েই নামায পড়ুন।
দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারছেন না? বসে পড়েন। বসে না পড়তে পারলে শুয়ে পড়েন।
পরিষ্কার কাপড় পড়ে নামায পড়তে হয়। পরিষ্কার কাপড় না থাকলে প্রসাব, পায়খানা লাগা কাপড় পড়েই নামায পড়েন, কোনো কাপড় না থাকলে উলংগ হয়ে নামায পড়েন।
ট্রেনের প্রচন্ড ভিরে ঝুলে আছেন, আযান দিচ্ছে সেই অবস্থাতেই নামায পড়ুন ।
নামায কি জিনিস, কি করে বুঝাই, এক আশ্চর্য ইবাদত যে ইবাদত কোনো অসুবিধা মানেনা।
আপনি অসুস্থ টাকা দিলেন সেই টাকায় হজ্জ করলো অন্যজন। আপনার সাওয়াব হবে।
আপনি অসুস্থ, ফকির কে খাওয়ালেন আপনি রোযার সাওয়াব পাবেন....
হজ্জের বিকল্প আছে, রোযার বিকল্প আছে। নামায এমন এক ইবাদত যার কোনো বিকল্প নেই।
নামায কি জিনিস কি করে বুঝাই?????"
আমার ভাই বোনেরা," নামায পড়ুন"
আপনার জীবনে যাই আসুক, "নামায পড়ুন।"
আপনার জীবনে যতোই খারাপ কাজ করেন না কেন, পরিমাণে যতই বেশি হোক না কেন, "নামায পড়ুন"।
কোন ছাড় নেই।
বোন বলছেন, "আপনি হিজাব পরেন না",
আমি আপনাকে বলছি "নামায পড়ুন"
বোন বলছেন, আমার কাপড় নামাযের উপযোগী নয়।আমি আপনাকে বলছি,"নামায পড়ুন"
ভাই বলছেন, "আমি মদ পান করি"
নামায পড়ুন
"আমি ড্রাগ বিক্রি করি"
নামায পড়ুন
"আমি ড্রাগ সেবন করি"
"নামায পড়ুন"
"আমার একটি মেয়ে বন্ধু আছে এবং আমি তার সাথে রাত্রি যাপন করি। "
"নামায পড়ুন"।
আপনার জীবনে যাই আসুক না কেনো নামায পড়ুন
"ভাই আমি কিভাবে পাপ কাজ করার পাশাপাশি নামায পড়বো? এটি নামাযের প্রতি অসম্মান জনক ও আমার ভন্ডতা প্রকাশ পায়"
আমি বলছিনা এজন্যই আমরা নামায পড়ি কারণ আমরা ভালো না, আমি পাপী, আমরা ভুল করছি।
আপনি তবুও নামায পড়ুন।
আল্লাহ বলেছেন, "নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।"
"নামায পড়ুন"
কিছু মানুষ বলে আমাকে ভালোপথে আসতে দাও। ইন শা আল্লাহ আমি নামায পড়া শুরু করে দিবো।
বন্ধুরা নামায ব্যতীত আপনি ভালো পথে আসতে পারবেন না। এজন্যই আমরা নামায পড়ি যাতে ভালোপথে আসতে পারি।
আপনার জীবনে যাই আসুক না কেন, আপনি যেখানেই থাকেন না কেন,
নামাজ পড়ুন।
মহান আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদের সবাইকে সালাত বা নামাজ এর গুরুত্ব বোঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন।আমিন,সুম্মা-আমিন।

সংগৃহীত

গাভী বীজ না রাখার(কনসিভ না করার) কারনঃ_____________________________________  আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামারি ভাইদের গাভীর ঋ...
25/01/2022

গাভী বীজ না রাখার(কনসিভ না করার) কারনঃ
_____________________________________
আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামারি ভাইদের গাভীর ঋতু চক্র সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে তারা সময়মতো গাভিকে বিজ দিতে ব্যর্থ হয় ফলে গাভী কনসিভ করে না। যদি খামারী ভাইয়েরা গাভির ঋতু চক্র সম্পর্কে ধারনা নিতে পারে তাহলে অনেকাংশে সফল হবে।

ঋতু চক্রের চারটি ধাপ রয়েছে
প্রথম টি Pro_ Estrous বা প্রস্তুতি পর্ব
দ্বিতীয় টি Estrous বা উত্তেজনা পর্ব
তৃতীয়টি - Meta_ Estrous কাম উত্তেজনা পর্ব
৪র্থ টি Di-Estrus নিষ্ক্রিয় পর্ব.

১.প্রস্তুতিপর্ব( pro-Estrous)ঃ

গাভী হিটে আসার তিন দিন পূর্ব থেকে খাওয়া-দাওয়া কম খাবে ঝিমানি ভাব থাকবে।গাভীর যোনি মুখ দিয়ে স্বচ্ছ পাতলা ঝিল্লি বের হবে।

২.যৌন উত্তেজনা পর্ব ( Estrous):

এই পর্ব ১ দিন স্থায়ী থাকে। আর আমাদের খামারি ভাইয়েরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই পর্বেই বিজ দিয়ে থাকেন যার ফলে সমস্যাটার জন্ম নেয় এখান থেকেই। এই পর্বে বিজ দিলে কন্সেপ্ট না করার হার ৯৮%.

লক্ষনঃ
* গাভি ঘন ঘন প্রসাব করবে
* অন্য গাভির উপর লাফিয়ে উঠবে
*অন্য গাভীর যৌনাঙ্গ শুকতে থাকবে।
* দুধ উৎপাদন কমে যাবে

৩. কামত্তোর পর্ব( Meta _ Estrous)ঃ
এটি খামারি ভাইদের জন্য স্বর্ন যুগ বা সঠিক সময়। এই পর্বের স্থায়িত্ব কাল ১থেকে ২দিন।এই পর্বেই বিজ দেয়ার সঠিক সময়। এই সময় বিজ দিলে কন্সেপ্ট করার হার ৯৯%. এই পর্বের প্রধান লক্ষন গাভীর যোনি পথ দিয়ে অনেক সময় রক্ত মিশ্রিত ঝিল্লি বের হয়। আপনি মনে রাখবেন আপনার গাভীর Estrous পর্ব দেখা দেয়ার ১২ ঘন্টা পর বিজ দিবেন।অর্থাৎ সকালে হিট আসলে বিকালে( ৫/৬) টায় বিজ দিবেন। যদি গাভিটি পুর্বে হিট মিছ করে থাকে তাহলে সেই গাভিকে অবশ্যই পরের দিন সকালে আবার বিজ দিবেন।

শেষ পর্ব( Diestrous) ঃ
এটি থাকে ১৫ দিন। যদি আপনার গাভিকে বিজ না দেন তাহলে গাভির জরায়ু থেকে বের হওয়া ডিম্বানু মারা যাবে এবং গাভির সমস্ত জনন অঙ্গ স্বাভাবিক হবে। এর পর কয়েক দিনের মধ্যে আবার সাইকেল বা চক্র শুরু হবে।
আপনার খামার সফল হোক, বিনিয়োগ নিরাপদ হোক !

( collected)

17/01/2022

গরুর ক্যালসিয়াম শোষন করতে ফসফরাস লাগে,আর এটার নাম DCP,এই DCP শোষন করতে প্রয়োজন ভিটামিন D, যাকে বলা হয় Reproductive ভিটামিন;সূর্যের আলোতে পৃথিবীর 90% ভিটামিন ডি থাকে;গরু ঘরে আটক রেখে আমরা ফার্সেসী থেকে ঐ টা কিনে খাওয়াতে একটু বেশী আগ্রহী যাকে AD3E বলে!এটা আবার সহযোগী থাকে ভিটামিন A,E এই দুটি ও প্রজনন স্বাস্থ্যের অত্যাবশ্যক!যে কোন কচি ঘাসে,হাইড্রোফনিক ঘাস,অংকুরিত ছোলায় ভিটামিন E থাকে।

ক্যালসিয়ামঃফসফরাস /Di Calcium Phosphate.
সারা পৃথিবীতে ভূমি ক্ষয় ও শত শত বছর চাষাবাদের কারনে মাটির উপরি ভাগের ফসফরাস ক্ষয়/ঘাটতি দেখা দিয়েছে।গাভীর ফসফরাসের অভাব হলে বারবার হীট এ আসলেও সিমেন/বীজ দিলেও বীজ কনসিভ করবেনা,ফসফরাসের অভাব জনিত কারনে উচ্চ উৎপাদনশীল হলস্টিন গরুর ক্ষেত্রে এটা একটি সাধারন সমস্যা।তবে ক্যালসিয়াম হজম করতে ফহফরাসের প্রয়োজন হয়।এই জন্য পশু পালনে ডাই ক্যালসিয়াম ফসফেট বা ডি সি পি/ DCP পাউডার তৈরী করা হয়।লাইমস্টোন /চুনা পাথরে শুধু ক্যালসিয়াম থাকে,সামান্য ফসফরাস থাকতে পারে তবে গ্যারান্টি নেই।গরুকে ক্যালসিয়াম এর জন্য লাইমস্টোন খাওয়ালে আপনাকে ফসফরাস আলাদা ভাবে অর্ধেক থেকে একটু বেশী ফসফরাস খাওয়াতে হবে।বাজারে এই মিনারেলস Block কিনতে পাওয়া যায়,হীটে আসছে না বা রাখছে না এমন গাভী/বকনার সামনে এই Minerals Block ঝুলিয়ে রাখুন।গরু বুঝে কখন তার কোন খনিজ লবন বা মিনারেলস লাগবে।
Cattle need 1.9–4g of calcium per kilogram of dry matter.
ড্রাইমেটার হিসাবে গরুকে প্রতি কেজি ড্রাইমেটার খাবারের জন্য 1.9 থেকে 4 গ্রাম ক্যালসিয়াম লাগে।
ক্যালসিয়াম ফসফরাস এগুলো গরুর প্রতিদিনের চাহিদা !! মাঝে মাঝে বন্ধ রাখতে পারেন যাতে গরুর শরীরে এর পরিমান বেশী না হয়ে যায়।

জিংক/দস্তাঃ এক গভেষণায় দেখা গেছে জিংক 200 প্রকার রাসায়নিক কাজ করে গরু ছাগলের শরীরে, শরীরে মাংসের বৃদ্ধি ও প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতি করে থাকে।গাভী/ছাগলকে হীটে আসতে ও হীট রাখতে সহায়তা করে।পাকস্থলীতে খাবার হজম সক্ষমতা গড়ে তুলতে জিংক ও চিটাগুড়ের বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে।ডায়রিয়া হলে যে কোন ঔষধের পাশাপাশি জিংক সিরাপ খাওয়ালে দ্রুত আরোগ্য হবে।

কোবাল্ট/Cobult,কোবাল্টের অভাবে ভূসি/দানাদার খাবার এর মধ্যে থাকা ভিটামিন B 12 ঠিকমত Synthesis/প্রক্রিয়াকরন করতে পারে না।ফলে ভূট্টার গুঁড়া,গমের ভূসি সঠিক ভাবে হজম ও শোষন না হয়ে গোবর এর সাথে বের হয়ে যায়,এতে খাবার ও টাকার অপচয় হয়।

15/01/2022

খামারি লাভবান না হওয়ার কারণ কি কিঃ

১) অন্যকে কপি করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সপ্ন দেখা।
২) দালানের প্রর্তারণার শিকার হওয়া।
৩) কোন রকম ট্রেনিং বা অভিজ্ঞতা ছাড়া শুরু করা।
৪) হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণে ইন্ডিয়ান গরু প্রবেশ করলে।
৫) ক্ষতিকর ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অল্প সময়ে অধিক সাস্থবান করার চেষ্টা করলে।
৬) সঠিক জাত বাছাই করতে না পারা।
৭) খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির অবহেলা।
৮) গরুকে সঠিক বাসস্থান দিতে না পারা।
৯) অপরিকল্পিত খাদ্য ব্যবস্থাপনা।
১০) গরুকে সময়মতো ভ্যাকসিন না করানো।
১১) গরুর অসুখ সম্পকে ধারণা না থাকা।
১২) গরু ক্রয় বিক্রয়ের সিজন বুঝতে না পারা।
১৩) উৎপাদিত পন্যের মার্কেটিং দক্ষতার অভাব হলে।
১৪) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘাসের যোগান না থাকা।
১৫) সঠিক মানের সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে না পারা।
১৬) খামারে রেকর্ড ফাইল না থাকা

কথা গুলা ভালো লাগলে নিজের কাছে রেখে দেন এবং বেশি করে শেয়ার করবেন সবাই।

10/01/2022

গাভীর বাচ্চা প্রসবের সময় বোঝার উপায়ঃ
অনেক সময়, বিশেষ করে নতুন খামারীরা গাভী কখন বাচ্চা দিবে বা কখন প্রসব বেদনা উঠে তা বুঝতে পারেন না। গাভী বাচ্চা প্রসব করার পূর্বে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় তা নিচে দেওয়া হল-

১। গাভীর মধ্যে একটা অস্থিরতা দেখা যাবে।

২। গাভী বারবার উঠা বসা করবে।

৩। গাভীর ওলান ফুলে উঠে আকার বাড়তে থাকে এবং লেজের গোড়ার দুপাশে গর্তের মত আকার স্পষ্ট হবে।

৪। যোনীমুখ দিয়ে সাদা তরল আঠালো পদার্থ বের হতে দেখা যাবে।

৫। যোনীমুখ বড় হয়ে ঝুলে যাবে এবং নরম ও ফোলা ফোলা হয়ে যাবে।

৬। যোনী পথ দিয়ে পানির থলি বেরিয়ে আসবে।

৭। গাভীর যোনী পথ দিয়ে বাছুরের সামনের দুপা ও মুখ এক সঙ্গে বেরিয়ে আসবে।

উপরোক্ত লক্ষণগুলি দেখে আমরা বুঝতে পারি যে গাভীর বাছুর প্রসব করার সময় হয়েছে কিনা এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি

10/01/2022

ডেইরী ফার্ম শুরু করার আগে ও পরে কিছু বিষয় যা অতি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে নেবেন। ঃ
ফার্ম শুরু করার আগে প্রাথমিক কিছু কাজ আছে যা ভালভাবে জেনে বুঝে তারপর শুরু করা উচিত । যেমন-
১) দুধের দাম কতঃ
দুধ কত করে কেজি বা লিটার বিক্রি হচ্ছে আপনার এরিয়াতে তা জানতে হবে। ৩০-৪০ টাকা দাম হলে ফার্মকে লাভবান করা কস্টকর। যত বেশী দাম পাওয়া যাবে তত লাভ।
২) দুধ বিক্রি করবেন কি করেঃ
আপনার ফার্মের দুধ বিক্রি করবেন কি করে? গোয়ালা এসে কি দুধ দোয়ায়ে নিয়ে যাবে, নাকি আপনাকে বাজারে বা মিস্টির দোকানে গিয়ে বিক্রি করতে হবে? নাকি নিজেই দুধ দিয়ে মিস্টি ঘি বানাবেন?
৩) ঘাস চাষের ব্যবস্থা কিঃ
ঘাস চাষ করার জন্য পর্যাপ্ত জমি আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে কি ঘাসের চাষ করা যাবে, নেপিয়ার নাকি জার্মান? চাষের জায়গা কি উচু না নিচু? বর্ষায় কি পানি জমে থাকে? পানি জমে থাকলে নেপিয়ার ঘাস করা যাবেনা। আবার বছরে ৩-৪ মাস বর্ষায় ডুবে থাকলে জার্মান ও করা যাবেনা। তাহলে উপায় কি ১২ মাস ঘাস পেতে হলে? ডেইরী ফার্ম করে লাভবান হতে হলে ১২ মাস ঘাস পেতে হবে।
৪) সরকারী ডাক্তার বা পশু হাসপাতালঃ
পশু হাসপাতাল বা ডাক্তার নিকটবর্তী আছে কিনা, যদি না থাকে তাহলে যে ভোগান্তি হবে এর সমাধান কি করে করবেন, আশে পাশে ওষুধের দোকান আছে কিনা, ভাল দক্ষ এ আই কর্মীদের পাওয়া যায় কিনা।
৫) গরুর খাবার সহজলভ্যতাঃ
গো-খাদ্যের পাইকারী দোকান আছে কিনা, কাছে না থাকলে কত দূরে, সেখান থেকে পরিবহন খরচ কেজি প্রতি কত করে পড়বে, খাবারের দাম কেমন এবং কি কি কেমন মানের খাদ্য পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে দাম হিসাব করলে কেজি প্রতি গরুর খাবারের দাম কেমন আসে।
৬) অভিজ্ঞ কর্মচারী সহজলভ্যতাঃ
অভিজ্ঞ কর্মচারী কোথা থেকে জোগাড় করবেন, কত বেতন দিতে হবে, যে বেতন দিবেন তাতে কয়টি গরু কিনে দিলে পোষাবে, যে কয়টা কিনলে ব্রেক ইভেনে থাকবে সেই কয়টা গরু কেনার এবং বাড়তি যে টাকা লাগবে তা হাতে আছে কিনা, দুধ যে দোয়ায় সেই কর্মচারী কাল যদি বলে চাকরী করবোনা তাহলে ফার্ম চালাবেন কি করে।
এখন ধরে নিলাম সব প্রশ্নের উত্তর পজিটিভ পেলেন। এখন আপনি ফার্ম শুরু করবেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনায় আসা যাক-
৭) গরুর সেড তৈরীঃ
সেড কিভাবে তৈরী করবেন, গরু কি ছেড়ে পালবেন নাকি গলায় দড়ি দিয়ে, ডিজাইন কেমন হবে, আধুনিক ব্যবস্থা কি কি থাকবে, কতটা আধুনিকায়নের মধ্যে আনলে কর্মচারী বেতন খরচ কম হবে, কিভাবে লালন পালন করলে সহজভাবে কম শ্রমিক দিয়ে ফার্ম পরিচালনা করা যাবে। খাবার পাত্র, ইলেক্টিক লাইন, পানির ব্যবস্থা থাকবে কেমন।
৮) ভাল জাতের গরুর সংগ্রহঃ
কোথা থেকে ভাল জাতের গরু পাবেন, দাম কেমন হবে, কি করে বুঝবেন যে কোনটা ভাল জাতের গরু এই ফটকা বাজারে, কোন জাতের গরু কেনা ভাল হবে ডেইরী ফার্মের জন্য আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। কেউ তো ভাল গরু বিক্রি করে করেনা তাহলে ভাল গরু পেতে হলে কি করতে হবে? জাত উন্নয়ন করবেন কি করে?
৯) পর্যাপ্ত মূলধনঃ
সর্বপরি সেড এবং গরু কেনার টাকা জোগাড় হবে কি করে, আপনি কি ব্যাংক লোন নিবেন প্রথমেই, নাকি নিজের মূলধনের অর্ধেক এখন বিনিয়োগ করবেন নাকি পার্টানারশীপ করবেন, ভবিষ্যতে যে সব ঝুকির সম্মুখীন হতে হবে তার জন্য পর্যাপ্ত টাকা হাতে আছে কিনা,
১০) সব শেষ এবং অতি গুরুত্তপূর্নঃ
আপনি শুধু লাভ করার জন্য এই ব্যবসা করতে চান নাকি ভাললাগা আর ভালবাসার আছে, আপনার ধৈর্য আছে কিনা কঠিন সমস্যা মোকাবিলা করে লেগে থাকার মত।
যদি মনে করেন ধৈর্য কম, দ্রুত লাভ চান, ব্যবসা শুরুর আগেই ক্যালকুলেটরে হাত ব্যস্ত, রোদ-বৃষ্টি, মাঠ, গাছ-পালা, গোবরের গন্ধ, চাষাভুষা লোকজন ভালো লাগবেনা, মন টানেনা.... তাহলে অবশ্যই এই ব্যবসাতে আসবেন না। যারা বিদেশে আছেন, যদি মনে করেন দেশে এসে কর্মচারীদের মত নিজে কাজ করতে পারবেন, যেমনটা বিদেশে গিয়ে কস্ট করেন, তাহলে এই ব্যবসাতে লাভ অবশ্যই হবে।

ক্ষুরা রোগ(FMD)ঃইহা সকল বয়সের গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়ার ভাইরাসজনিক একটি মারাত্মক অতি ছোঁয়াচে রোগ।লক্ষণঃ ১.শরীরের তাপমাত্র...
23/12/2021

ক্ষুরা রোগ(FMD)ঃ

ইহা সকল বয়সের গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়ার ভাইরাসজনিক একটি মারাত্মক অতি ছোঁয়াচে রোগ।

লক্ষণঃ

১.শরীরের তাপমাত্রা অতি বৃদ্ধি পায়।
২. জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, সম্পূর্ণ মুখ গহ্বর, পায়ের ক্ষুরের মধ্যভাগে ঘা বা ক্ষত সৃষ্টি হয়।
৩. ক্ষত সৃষ্টির ফলে মুখ থেকে লালা ঝরে, সাদা ফেনা বের হয়।
৪. কখনও বা ওলানে ফোসকার সৃষ্টি হয়।
৫. পশু খোঁড়াতে থাকে এবং মুখে ঘা বা ক্ষতের কারণে খেতে কষ্ট হয়।
৬. অল্প সময়ে পশু দূর্বল হয়ে পরে।
৭. এ রোগে গর্ভবর্তী গাভীর প্রায়ই গর্ভপাত ঘটে।
৮. দুধালো গাভীর দুধ উৎপাদন মারাত্মক ভাবে হ্রাস পায়।
৯.বয়স্ক গরুর মৃত্যুহার কম হলেও আক্রান্ত বাছুরকে টিকিয়ে রাখা কঠিন।

করণীয়ঃ

১.আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে।
২.অসুস্থ পশুর ক্ষত পটাশ মিশ্রিত পানি দ্বারা ধৌত করে দিতে হবে।
৩. ফিটকিরির পানি ১০ গ্রাম (২ চা চামচ) ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
৪. সোহাগার খৈ মধু মিশিয়ে মুখের ঘায়ে প্রলেপ দিতে হবে।
৫. নরম খাবার দিতে হবে।
৬. পশুকে শুস্ক মেঝেতে রাখতে হবে কোন অবস্থায়ই কাদা মাটি বা পানিতে রাখা যাবেনা।
৭. সুস্থ অবস্থায় গবাদিপশুকে বছরে দুইবার প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে।

রেজিস্ট্রার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তার কর্তৃক ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করতে হবে এবং দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধপত্র চালিয়ে যেতে হবে।।

গাভীর জাত চিনে নিন।
02/12/2021

গাভীর জাত চিনে নিন।

15/11/2021
দুগ্ধ খামারে লোকসান ঠেকানোর কিছু কৌশল আমাদের দেশের খামারিদের জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়...
10/11/2021

দুগ্ধ খামারে লোকসান ঠেকানোর কিছু কৌশল আমাদের দেশের খামারিদের জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু পালন করা হয়ে থাকে। দুধ উৎপাদনের জন্য অনেকেই আবার দুগ্ধ খামার গড়ে তুলেছেন। তবে রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ না করার কারণে অনেকেই লোকসানে পড়ে থাকেন। আজকে আমরা জানবো দুগ্ধ খামারে লোকসান ঠেকানোর কিছু কৌশল সম্পর্কে-

দুগ্ধ খামারে লোকসান ঠেকানোর কিছু কৌশলঃ

খামারে কিছু কইশল অবলম্বন করলে সহজেই লোকসান ঠেকানো যায়। নিচে এগুলো বিস্তারিত দেওয়া হল-
১। দুগ্ধ খামারকে লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অপ্রয়োজনীয়, আনপ্রোডাক্টিভ গরু বা গাভীকে বিক্রি করে দিন। যে গাভীগুলো কনসেভ করতে সমস্যা, দুধ কম হয় সেগুলো খামারে রাখার প্রয়োজন নেই।
২। খামারে যত বেশী দুধ দেয়া গরু থাকবে তত বেশি লাভ হবে। বেশি দুধের জন্য গরুর জাত উন্নয়ন করে নিতে হবে। ভাল দুধের গরু কেউ তুলে দিয়ে যাবেনা বা ভাল দুধের গরু কেউ বিক্রিও করেনা। যেসব গরু বাজারে বিক্রি হয় দেখা যায় তার কোননা কোন সমস্যা থাকে যা ক্রেতা ধরতে পারেনা।
৩। দুগ্ধ খামারের লাভবান হতে খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। খামারের এলাকায় যেসব খাদ্য ভাল পাওয়া যায় গাভীকে সেই খাদ্য অভ্যাস করানোই ভালো। ভেজাল খাদ্য খাওয়ানোর থেকে খাদ্যে উপাদান কম রাখাটাই ভাল।
৪। দুধের ভাল দাম কমে গেলে প্যাকেট করে খুচরা বিক্রি বা দুগ্ধজাত পন্য তৈরীর উদ্যোগ নিতে হবে। একাই না পারলে কয়েকজন খামারি মিলে করতে হবে।
৫। দুগ্ধ খামারে জাত উন্নয়নের জন্য ভাল জাতের সিমেন ব্যবহার করে। ভাল সিমেন বা বীজ মানে ১০০% তা নয়। মনে রাখবেন গাভীকে ৭৫% উপরে নেয়া যাবেনা। সর্বাধিক খেয়াল দিবেন যে বুল বা ষাড়ের বীজ দিচ্ছেন তার কোয়ালিটি কেমন।
৬। দুগ্ধ খামারে ষাড় বাচ্চা না রাখলেই ভালো হয়। আর থাকলে তা বিক্রি করে দেওয়াই ভালো। শখের বসে কিছু বড় করলে সেটা আলাদা বিষয়।

09/11/2021

🐄🐄🐄🐄প্রজনন ব্যবস্থাপনা ঃ----------

প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে একটি পূর্ণ বয়স্ক গাভী গর্ভধারণের জন্য গরম হয় বা ডাকে আসে।

গাভী বা বকনার ডাকে আসার বা গরম লক্ষণ:

প্রতিটি গাভী স্বাভাবিক নিয়মে ১৮ থেকে ২৪ দিন বিরতিতে ঋতুচক্রে ফিরে আসে ৷
সাধারণত বেশিরভাগ গাভী রাতে ডাকে আসতে দেখা যায়, ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাকে আসার লক্ষণ বোঝা বেশ দুরুহ হয়ে পড়ে।
গাভীর ডাকে থাকা অবস্থা প্রায় ২ থেকে ১৮ ঘন্টা স্থায়ী হয়৷ এ সময়ে প্রথম ৮ থেকে ১০ ঘন্টা গাভী অস্থির থাকে, তার যৌনদ্বার দিয়ে স্বচ্ছ সুতোর ন্যায় আঠাযুক্ত বিজল পড়ে এবং অন্য গাভীর উপর লাফিয়ে উঠতে চেষ্টা করে।
চূড়ান্ত ডাকে আসার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো চূড়ান্ত ডাকে আসা গাভীর উপর খামারের অন্য গাভী লাফিয়ে উঠলে সে নীরব থাকে ৷ সাধারণত ডাকের লক্ষণ শুরু হওয়ার ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা পর চূড়ান্ত ডাক আসে।
অপুষ্টি, আবহাওয়া, জলবায়ু, জাতের প্রভাব এবং বিশেষ করে প্রসবের পর ২/৩ ঋতুচক্রের সময় অনেক গাভীর ডাকে আসার লক্ষণ খুবই মৃদুভাবে প্রকাশ পায়৷ এসব ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ডাকের লক্ষণগুলি কমপক্ষে ২ ঘন্টা পর পর কাছ থেকে নজর রাখতে হয়।
লেজের গোড়া বা তার আশপাশের জায়গায় শুকনা আঁঠালো পদার্থ লেগে আছে কিনা তা দেখতে হবে।
এছাড়া আগের মাসের ডাকে আসার সঠিক দিনক্ষণ মনে রেখে সে অনুযায়ী বর্তমান ১৮ দিন মিলিয়ে অথবা কোনো ষাঁড়ের সাথে রেখে এ ধরনের মৃদু ডাকে আসা গাভী সহজে সনাক্ত করা যায়।
প্রজননের সঠিক সময়:
কোনো গাভী রাতে গরম হয়েছে বোঝা গেলে তাকে পরদিন সকালে একবার এবং আরও নিশ্চিত হবার জন্য ঐদিন বিকেলের মধ্যে আরেকবার প্রজনন করাতে হবে৷ একইভাবে যে গাভী সকালে ডাক এসেছে বোঝা যাবে তাকে ঐদিন বিকেলে ও পরদিন সকালে আরেকবার প্রজনন করাতে হবে ৷ এ নিয়ম মেনে চললে গাভীর গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

গাভী বা বকনার দেরীতে ডাকে আসার বা গরম হওয়ার কারণ:
অনেক খামারের বকনা অনেক দেরিতে বা কখনোই ডাকে আসে না এবং প্রসবের পর অনেক গাভীর ডাক দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে৷ এ সমস্যার অন্যতম কারণগুলি হলো:
পুষ্টি-হীনতা ও গাভীর ওলানের বাঁটে মুখ দিয়ে বাছুরের দীর্ঘক্ষণ ধরে চুষে ঘন ঘন দুধ খাওয়া।
দুগ্ধবতী গাভীর প্রসব পরবর্তীতে জননাঙ্গের ব্যাধি, কৃমি, দৈনিক দুধ উৎপাদনের হার ইত্যাদি।
বাছুরের দুধ ছাড়ানোর সময় দীর্ঘ হলেও গাভীর প্রসবের পর পুনর্বার বাচ্চা ধারণক্ষমতা ফিরে পেতে দেরি হয় (ঌ০ থেকে১২০ দিন বা এর চেয়ে বেশি দেরি হয়)।
গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজনন
সাধারণত ষাঁড়ের বীজ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে গাভীর প্রজনন অঙ্গে স্থাপন করাকে কৃত্রিম প্রজনন বলে।

কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য উন্নত ষাঁড়ের শুক্রাণু ব্যবহার ও সুস্থ গাভীর প্রজনন অঙ্গে স্থাপন করতে পারলে বছরে বাচ্চা উৎপাদন দু'লক্ষেরও বেশি পাওয়া সম্ভব।

গাভী ডাকে আসার ১২ থেকে ১৮ ঘন্টার মধ্যে গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন করাতে হবে।
একটি ষাঁড়ের বীজ থেকে প্রতি বছর ৬০ থেকে ৮০টি গাভীর প্রজনন করানো সম্ভব।
কিন্তু কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ গাভী প্রজনন করানো যায়।
স্বাভাবিকভাবে একটি ষাঁড়ের সর্বমোট ৭০০ থেকে ৯০০টি বাছুর প্রসবে ভূমিকা রাখতে পারে।
কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে অনেকাংশে সংক্রামক ব্যাধি রোধ করা যায় এবং গাভী ষাঁড়ের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয় না।
আমাদের দেশে ষাঁড়ের বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন বা সংস্থাপনে অজ্ঞতার কারণে অনেক সময় গাভীর উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়।
বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে ষাঁড়ের অভাব থাকায় কৃত্রিম প্রজনন জরুরি হয়ে পড়েছে।
কিন্তু কৃত্রিম প্রজননে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পদ্ধতিগত ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অসাবধানতা ও অনভিজ্ঞতার কারণে নানা সমস্যার সন্মুখিন হতে হয়।
রোগাক্রান্ত ষাঁড়ের বীজ গাভীর প্রজনন অঙ্গে স্থাপন করা হলে পরবর্তীতে দেখা যায় নানাবিধ সমস্যা। যার প্রভাব পরবর্তী বংশবিস্তারের উপর বর্তায়। এ ছাড়া অনেক গাভী বার বার গরম হয়ে থাকে।
রাসায়নিক দ্রব্য, ধূলিকণা, মাত্রারিক্ত তাপমাত্রার সংস্পর্শে খুব সহজেই ষাঁড়ের বীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার যে সমস্ত জিনিস পত্রের সংস্পর্শে বীজ আসে তাতে রাসায়নিক পদার্থ থাকলেও বীজ নষ্ট হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বীজ তরল হলে কিংবা প্রজনন অঙ্গের বাইরে স্থাপন করা হলেও গাভী গর্ভধারণ করতে পারে না।
ডিম্বাণু নির্গমনের আগে অথবা নির্গমনের পরে বীজ স্থাপন করলে গাভীর উর্বরতা হ্রাস পায়।
তাই প্রথমবার বীজ স্থাপনের পর অন্তত ৬ ঘন্টা পর দ্বিতীয়বার বীজ স্থাপন করলে সুফল পাওয়া যায় বেশি।
বীজ স্থাপনের সময় প্রজনন অঙ্গ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে গাভীর নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। যেমন ব্রুসেলেসিস, ভিব্রিওসিস, ট্রাইকোমনোসিসসহ বিভিন্ন বংশগত রোগের সন্মুখিন হতে হয়। এ জন্য কোন সমস্যা দেখা দিলে প্রাণিচিকিৎকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
গাভী গর্ভবতী কিনা, নিয়মিত গরম হয় কিনা তা নির্ণয় করা, উন্নত ও উর্বর ষাঁড় নির্বাচন করা, গাভীর গর্ভধারনের ক্ষমতা নির্ণয় করা, গর্ভধারনের হার বৃদ্ধি করা, গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং ভেটেরিনারিয়ানের সাহায্যে গাভীর নিয়মিত পরিচর্যা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার দিয়ে করতে হবে।

গরু মোটাতাজা করন::প্রতিটি পরিবার কিংবা ব্যক্তির একক বা একমুখী রোজগারে সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকে...
08/11/2021

গরু মোটাতাজা করন::

প্রতিটি পরিবার কিংবা ব্যক্তির একক বা একমুখী রোজগারে সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই বাড়তি একটা কিছু করতে চায়, কিন্তু সুযোগ হয় না কিংবা হলেও কি করবে, তা খুঁজে পায় না।

মোটাজাতকরণের জন্য গরু কিনতে গিয়ে কয়েকটি দিক খেয়াল রাখতে হবে, যেমন:
১) ১ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে গরু কিনতে হবে (১২-১৫ মাস বয়সের গরু মোটাজাতকরনের জন্য ভালো)

২) গায়ের চামড়া ঠিলা-পাতলা, পাঁচরের হাড় চেপ্টা, পায়ের মোট এবং শুধু মাত্র খাবারের অভাবে যে সব গরু শুকিয়ে গেছে এমন গরু কম মূল্যে কিনতে হবে।

৩) মনে রাখতে হবে গর্ভবতী গাভীকে ইউরিয়া মিশ্রিত খড় খাওয়ানো যাবে না। নির্বাচিত গরুকে প্রকল্প মতে প্রক্রিয়াজাত ইউরিয়া মিশ্রিত খড় খাওয়ানোর পূর্বে কিছু চিকিৎসা দিয়ে উপকুক্ত করে নিতে হবে।

ক. গরুর শরীরে কোনো ক্ষত থাকলে সে স্থানে ডেটল বা স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নেগোভোন মলম লাগিয়ে প্রয়োজনে ব্যাণ্ডেজ করে রাখতে হবে, যাতে ক্ষত স্থানে মশা-মাছি কিংবা ময়লা জমতে না পারে।
খ. ক্ষত গভীর হলে তা না শুকানো পর্যন্ত আবার পরিস্কার করে মাঝে মধ্যেই মলম ব্যবহার করতে হবে।
গ. ক্ষত সেরে যাওয়ার পর গরুর গায়ের সেসব পরজীবী যেমন-উকুন, আঠালি, সিঁদুর পোকা ইত্যাদি মুক্ত করতে হবে।

নিয়মাবলীঃ
একটি গরুর জন্য নিউসিডল বা এনোসটোল পাউডার ১০ কেজি পানিতে ২.৫ চা চামচ মিশাতে হবে। তারপর বাসতি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে প্রথমে ভালোভাবে নাক-মুখ বেঁধে কান, চোখ, মুখ ছাড়া শরীরের সর্বত্র ওষুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে কানের ভেতর, চোখের চতুপারর্শ্বে, নাক, মুখ লেজের গোড়া, শরীরের সঙ্গে পায়ের সংযোগস্থলসহ সকল সংকীর্ণ জায়গায় লাগাতে হবে। ওধুষ লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরে পরিস্কার পানি দ্বারা শরীরের সর্বত্র ভালোভাবে ধুয়ে ওষুধমুক্ত করতে হবে। ওষুধ লাগানোর ২/১ দিন পর যদি দেখা যায় ভালোভাবে বাহিত্যক পরজীবী মুক্ত হয়নি তবে ১৫ দিন পরে আবার একই নিয়মে ওষুধ লাগাতে হবে।

সর্তকতা
১. যে ব্যক্তি ঔষুধ লাগাবেন, তিনি গরুর শরীরের ক্ষতস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকবেন, কারণ এই ঔষুধ বিষ জাতীয়।
২. গরুর শরীরে ক্ষতস্থানকে (যদি ভালোভাবে না শুকিয়ে তাকে) এড়িয়ে ঔষদ প্রয়োগ করতে হবে।
৩. গরুকে ঔষুধ প্রয়োগের পর ভালোভাবে গোসল করিয়ে উক্ত স্থান থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে মুখের বাঁধন খুলতে হবে কারণ গরু স্বভাবত ঔষুধ লাগা ঘাস বা পানি খেয়ে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।

অভ্যন্তরীণ পরজীবী মুক্ত করণ
১. গোল কৃমি
২. কলিজা বা পাতা কৃমি।

গোল কৃমি
গোল কৃমি মুক্ত করতে নিচের যে কোন একটি ঔষুধ ব্যবহার করা যায়
মেনাফেঙ্ পাউডার = ১ প্যাকেট ১টি গরুর জন্য
অথবা নেমাফেক্স বড়ি = ৩টি বড়ি একটি পূর্ণ বয়স্ক গরুর জন্য = ২টি বড়ি মাঝারি ও ছোট বাছুরের জন্য
অথবা কোপেন পাউডার = ১টি প্যাকেট একটি গরুর জন্য
অথবা রিনটাল পাউডার = ৭.৫ মি গ্রাম প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য
বিঃদ্রঃ রিনটাল পাউডার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল কারণ এই ঔষুধে ছোট বড় মাঝারি সব ধরনের কৃমি মারা যায়। গোল কৃমির ঔষুধ খাওয়ানোর পরে সবল গরু ৩ দিন এবং অন্যান্য গরুর ক্ষেত্রে ৭দিন অপেক্ষা করে তবে পাতা কৃমির ঔষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

২. কলিজা বা পাতা কৃমি মুক্তকরণের নিয়মাবলী
চামড়ার নিচে টোডাক্স ইনজেকশন করতে হবে। মাত্রা সাধারণভাবে ২/৩ সিসি প্রাপ্তবয়স্ক গরুর জন্য। মোটাতাজা করতে হলে ঙ্গ সিসি পরিমান ইনজেকশন করতে হয়। এই ঔষুধ প্রয়োগের ৩ দন অপেক্ষা করার পরে ইউরিয়া মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো আরম্ভ করতে হবে। টোডাঙ্ ইনজেকশন ৭ দিন পর পর ২ বার দিতে হবে এবং তখন খাবার বন্ধ করার কোনো প্রয়োজন নাই। গরুকে প্রদানের জন্য দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ তৈরির নিয়মঃ

১. নং মিশ্রণ
ক. তিলের খৈল = ৪ কেজি
খ. চালের কুঁড়া = ৪ কেজি
গ. গমের ভূষি = ৪ কেজি
ঘ. যে কোন ডালের ভূষি = ৪ কেজি

২নং মিশ্রণ
ক. গম ভাঙ্গা =৪কেজি
খ. তিলের খৈল = ৪ কেজি
গ. চালের কুঁড়া = ৪ কেজি
ঘ. ডাল ভাঙ্গা, খেসারি = ৪ কেজি
কৃমি দূর করার পরে গরুকে ইউরিয়া মিশ্রিত উন্নত খাবার দিতে হবে।

গরুকে সাধারণত তিনটি পদ্ধতিতে মিশ্রিত উন্নত খাবার দিতে হবে।
১। আঁশ জাতীয় খড় খাদ্যের সাথে মিশিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে
২। দানাদার জাতীয় খাদ্যের সাথে সরাসরিভাবে এবং
৩। ইউরিয়া মোলাসেস বুকের মাধ্যমে

খড়ের সাথে মিশিয়ে ইউরিয়া খাওয়ানোর নিয়ম
খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ ১০ কেজি খড় ১০ কেজি পানি এবং ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া বায়ুরোধী বড় বাঁশের ডোল (পাত্রবিশেষ) বা ইটের তৈরি হাউজে ৭-১০ দিন আবদ্ধ বায়ুরোধী অবস্থায় রেখে দিতে হবে।
তারপর ঐ খড় বের করে রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে যেন ইউরিয়া তীব্র গন্ধ কিছুটা কমে আসে। এই খড় গরু প্রথমে না খেলে কিছুটা চিড়াগুড় মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে (২০০-৫০০ গ্রাম) গরুকে প্রথমে দৈনিক ৫ গ্রাম থেকে শুরু করে সবের্াচ্চ ৫০-৬০ গ্রাম ইউরিয়া খাওয়ানো যায়। ছোট গরুর ক্ষেত্রে ৩০-৪০ গ্রামের বেশী দৈনিক খাওয়ানো উচিত নয়।
দানাদার খাদ্যে ইউরিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন ওজনের গবাদি পশুর দৈনিক খাদ্যের তালিকা।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা।
ধানের খড় = ২ কেজি
সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে
দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি
ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী)
চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম
লবণ = ২৫ গ্রাম
দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা
খড় = ৩ কেজি
কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি
দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি
চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম
ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী)
লবন = ৩৫ গ্রাম

১৫০-২০০ কেজি ওজনের পশুর খাদ্য তালিকা
ধানের খড় = ৪ কেজি
কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি
দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি
চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম
ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী)
লবন = ৩৫ গ্রাম

মোটাতাজা করনের গরুকে সর্বক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ জাতীয় খাবার (খড়, কাঁচা ঘাস) এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। গবাদীপশুকে ইউরিয়া প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রদানে কিছু কিছু সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।

১। এক বছরের নিচে গরুকে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না।
২। কখনও মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না
৩। গর্ভাবস্থায় ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না।
৪। অসুস্থ গরুকে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না, তবে দূর্বল গরুকে পরিমাণের চেয়ে কম খাওয়ানো যেতে পারে।
৫। ইউরিয়া খাওয়ানোর প্রাথমিক অবস্থা (৭ দিন পর্যন্ত পশুকে ঠান্ডা ছায়াযুক্ত স্থানে বেঁধে রাখতে হবে এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। প্রকল্প মেয়াদ তিন মাস, শুরু হবে ইউরিয়া মিশ্রিত খাবার প্রদানের দিন থেকে।

এই খবার খাওয়ানো শুরুর ১০-১৫ দিন পর হেমাটোপিন বিএস (১০এমএল) ইনজেকশন মাংসপেশীতে প্রয়োগ করলে মোটাতাজা করণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

উল্লেখিত তিনটি পদ্ধতির মধ্যে খড়ের প্রক্রিয়াজাত করে ইউরিয়া খাওয়ানো সহজ, ব্যয় কম এবং ফল ভালো আসে। এই প্রকল্পগুলো বিভিন্ন বয়সী হতে পারে। যেমন ৩ বা ৪ মাস মেয়াদি। নির্ভর করছে খামারি কেনা গরুটি কি রকম মোটা করে কি দামে বিক্রি করবেন। দাম বেশি চাইলে প্রকল্প মেয়াদ দীর্ঘ হবে এবং কম চাইরে প্রকল্প মেয়াদ স্বল্প হবে। তবে অনেকেই ঈদের বাজারকে চিন্তা করে তার ৪/৫ মাস আগে থেকে প্রকল্প শুরু করেন।
তথ্য সূত্র: শাইখ সিরাজ রচিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত
গরু মোটাতাজাকরণের প্রয়োজনীয় তথ্য
বাংলাদেশে কোরবানির মূল উপাদান হচ্ছে গরু। আর সেটা যদি হয় মোটাতাজা, নাদুস-নুদুস তবে আনন্দের সীমা থাকে না। এ উপলক্ষকে সামনে রেখে যারা গরু মোটাতাজাকরণে আগ্রহী তাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া দরকার। এজন্য দরকার গরু মোটাতাজাকরণে সঠিক ব্যবস্থাপনা। এটি কখন ও কিভাবে করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় তার বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক পদ্ধতি নিম্নে দেয়া হলো-

অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য ২-৩ বছর বয়সের শীর্ণকায় গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খাদ্য সরবরাহ করে হৃষ্টপুষ্ট গরুতে রূপান্তরিত করাকে গরু মোটাতাজাকরণ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এটির গুরুত্ব হচ্ছে- দরিদ্রতা হ্রাসকরণ, অল্প সময়ে কম পুঁজিতে অধিক মুনাফা অর্জন, অল্প সময়ের মধ্যে লাভসহ মূলধন ফেরত পাওয়া, প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণ, স্বল্পমেয়াদি প্রযুক্তি হওয়ার কারণে পশু মৃত্যুর হার কম, কৃষিকার্য থেকে উৎপাদিত উপজাত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে সহজেই মাংস উৎপাদন করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আয় বৃদ্ধি করা।

গরু মোটাতাজাকরণের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের পশু বিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুজাফফর হোসেন জানান-
প্রয়োজনীয় উপাদান, পদ্ধতি ও মোটাতাজাকরণের সঠিক সময় : বয়সের ওপর ভিত্তি করে সাধারণত ৩ মাসের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ করা যায়। অনেক সময় ৪-৬ মাসও লাগতে পারে। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য সুবিধাজনক সময় হচ্ছে বর্ষা এবং শরৎকাল যখন প্রচুর পরিমাণ কাঁচা ঘাস পাওয়া যায়। চাহিদার ওপর ভিত্তি করে কোরবানি ঈদের কিছুদিন আগ থেকে গরুকে উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে মোটাতাজাকরণ লাভজনক।

স্থান নির্বাচন : খামার স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচনে নিম্ন লিখিত বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে, যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে। হ খোলামেলা ও প্রচুর আলো-বাতাসের সুযোগ থাকতে হবে। খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে। সুষ্ঠু নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে, যেমন- পানি, মলমূত্র, আবর্জনা ইত্যাদি। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সম্প্রসারণের সুযোগ থাকতে হবে।

গরু নির্বাচন : উন্নত দেশের মাংসের গরুর বিশেষ জাত রয়েছে। বিদেশি গরুর জন্য উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তাই দেশীয় গরু মোটাতাজাকরণ অধিক লাভজনক। ২-২.৫ বছরের গরুর শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি ভালো। এঁড়ে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধির হার বকনা বাছুরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাছুরের বুক চওড়া ও ভরাট, পেট চ্যাপ্টা ও বুকের সঙ্গে সমান্তরাল, মাথা ছোট ও কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল ও ভিজা ভিজা, পা খাটো প্রকৃতির ও হাড়ের জোড়াগুলো স্ফীত, পাঁজর প্রশস্ত ও বিস্তৃত, শিরদাঁড়া সোজা হতে হবে।

বাসস্থানের গঠন : গরুর বাসস্থান তৈরির জন্য খোলামেলা উঁচু জায়গায় গরুর ঘর তৈরি, একটি গরুর জন্য মাপ হতে হবে কমপক্ষে ১০-১২ বর্গফুট। ভিটায় ১ ফুট মাটি উঁচু করে এর ওপর ১ ফুট বালু দিয়ে ইট বিছিয়ে মেঝে মসৃণ করার জন্য সিমেন্ট, বালু ও ইটের গুঁড়া দিতে হবে। গরুর সামনের দিকে চাড়ি এবং পেছনের দিকে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য নালা তৈরি করতে হবে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেঁধে ওপরে ধারি অথবা খড় ও পলিথিন দিয়ে চালা দিতে হবে, ঘরের পাশে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি দাঁড়ানো গরুকে বাঁশ দিয়ে আলাদা করতে হবে যাতে একে অন্যকে গুঁতা মারতে না পারে। ঘরের চারপাশ চটের পর্দার ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে অতি বৃষ্টি ও অতি ঠান্ডার সময় ব্যবহার করা যায়।

খাদ্য : খাদ্যে মোট খরচের প্রায় ৬০-৭০ ভাগ ব্যয় হয়। তাই স্থানীয়ভাবে খরচ কমানো সম্ভব। এজন্য গরু মোটাতাজাকরণের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিচে দেয়া হলো-

শুকনা খড় : ২ বছরের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২-৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে। পানিঃচিটাগুড়=২০:১।

কাঁচা ঘাস : প্রতিদিন ৬-৮ কেজি তাজা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।

দানাদার খাদ্য : প্রতিদিন কমপক্ষে ১-২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো-
গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি।
উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন রকমের ইউরিয়া মোলাসেস বক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হচ্ছে ৩৯ ভাগ চিটাগুড়, ২০ ভাগ গমের ভুসি, ২০ ভাগ ধানের কুঁড়া, ১০ ভাগ ইউরিয়া, ৬ ভাগ চুন ও ৫ ভাগ লবণের মিশ্রণ।

রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা : প্র্রতিদিন নিয়মিতভাবে পশুর গা ধোয়াতে হবে। গোশালা ও পার্শ¦বর্তী স্থান সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিতভাবে গরুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। বাসস্থান সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমিত পরিমাণে পানি ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। রোগাক্রান্ত পশুকে অবশ্যই পৃথক করে রাখতে হবে। খাবার পাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খামারের সার্বিক জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে। পশু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাজারজাতকরণ : মোটাতাজাকরণ গরু লাভজনকভাবে সঠিক সময়ে ভালো মূল্যে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশে মাংসের জন্য বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশুর বাজার মূল্যেও মৌসুমভিত্তিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কাজেই একজন প্রতিপালককে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অবশ্যই গরুর ক্রয় মূল্য যখন কম থাকে তখন গরু ক্রয় করে বিক্রয় মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত কোরবানির ঈদের সময় গরুর মূল্য অত্যধিক থাকে এবং এর পরের মাসেই বাজার দর হ্রাস পায়। তাই এখন গরু মোটাতাজাকরণের উপযুক্ত সময়। স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার সহজ এবং সুবিধাজনক উপায়ের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ একটি অত্যন্ত যুগোপযোগী পদ্ধতি।

কিন্তু প্রচলিত এবং অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের তুলনায় আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ অধিক লাভজনক। সুতরাং কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমাদের দেশের কৃষকরা যদি ওই পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে পারে তাহলে প্রতি বছর কোরবানি ঈদের সময় গরু আমদানি কমানো সম্ভব হবে এবং এর ফলে দেশ আর্থিকভাবে বিরাট সফলতা লাভ করতে সক্ষম হবে।
লেখক: মো. শাহীন আলম
গ্রোথ হরমোনের ব্যবহার ছাড়া গরু মোটাতাজাকরণ
কোনোভাবেই ইনজেকশন বা কোনো গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণের উদ্যোগ নেওয়া যাবে না। এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ছাড়াও স্বাভাবিক ও জৈব পদ্ধতিতেই গরু মোটাতাজাকরণ সম্ভব। এজন্য দরকার শুধু কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা।
কোনো গ্রোথ হরমোন ব্যবহার ছাড়াই যেভাবে গবাদিপশুর বেশি মাংস নিশ্চিত করা যায়, সে সম্পর্কে কিছু পদ্ধতি স্বল্প পরিসরে আলোকপাত করা হল: অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য ২ থেকে ৩ বছর বয়সের শীর্ণকায় গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খাদ্য সরবরাহ করে হৃষ্টপুষ্ট গরুতে রূপান্তরিত করাকে গরু মোটাতাজাকরণ বলে। এটির গুরুত্ব হচ্ছে- দারিদ্রতা হ্রাসকরণ, অল্প সময়ে কম পুঁজিতে অধিক মুনাফা অর্জন, অল্প সময়ের মধ্যে লাভসহ মূলধন ফেরত পাওয়া, প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণ, স্বল্পমেয়াদি প্রযুক্তি হওয়ার কারণে পশু মৃত্যুর হার কম, কৃষিকার্য হতে উৎপাদিত উপজাত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে সহজেই মাংস উৎপাদন করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আয় বৃদ্ধি করা প্রভৃতি।

মোটাতাজাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পদ্ধতি: মোটাতাজাকরণের সঠিক সময়: বয়সের উপর ভিত্তি করে সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ করা যায়। অনেক সময় ৫ থেকে ৬ মাসও সময় লাগতে পারে। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য সুবিধাজনক সময় হচ্ছে বর্ষা এবং শরৎকাল যখন প্রচুর পরিমাণ কাঁচাঘাস পাওয়া যায়। চাহিদার উপর ভিত্তি করে কোরবানী ঈদের ৫ থেকে ৬ মাস পূর্ব থেকে গরুকে উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে মোটাতাজাকরণ লাভজনক।

স্থান নির্বাচন: গরু রাখার স্থান নির্বাচনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে: ১. শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে, যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে
২. খোলামেলা ও প্রচুর আলো বাতাসের সুযোগ থাকতে হবে।
৩.খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে
৪. পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে;
৫. সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে। গরু নির্বাচন: উন্নত দেশের মাংসের গরুর বিশেষ জাত রয়েছে। বিদেশি গরুর জন্য উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তাই দেশীয় গরু মোটাতাজাকরণ অলাভজনক। ২ থেকে ২.৫ বছরের গরুর শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি ভাল। এঁড়ে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধির হার বকনা বাছুরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাছুরের বুক চওড়া ও ভরাট, পেট চ্যাপ্টা ও বুকের সাথে সমান্তরাল, মাথা ছোট ও কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল ও ভেজা ভেজা, পা খাটো প্রকৃতির ও হাড়ের জোড়াগুলো স্ফীত, পাজর প্রশস্ত ও বিস্তৃত, শিরদাড়া সোজা হতে হবে। গরুর খাদ্যের ধরণ: খাদ্যে মোট খরচের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ব্যয় হয়। তাই স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত খাদ্য দ্বারা খরচ কমানো সম্ভব।

এজন্য গরু মোটাতাজাকরণের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিচে দেওয়া হল: ক) শুকনো খড়: দুই বছরের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনো খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে একরাত লালীগুড়/চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে। পানি: চিটাগুড় = ২০ : ১।
খ) কাঁচাঘাস: প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি তাজা ঘাস বা শস্যজাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কালাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।
গ) দানাদার খাদ্য: প্রতিদিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।

নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যে তালিকা দেওয়া হল: ১. গম ভাঙা/গমের ভূসি-৪০ কেজি;
২. চালের কুঁড়া-২৩.৫ কেজি;
৩. খেসারি বা যেকোনো ডালের ভূসি-১৫ কেজি:
৪. তিলের খৈল/সরিষার খৈল-২০ কেজি; লবণ-১.৫ কেজি।
তাছাড়াও বিভিন্ন রকমের ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হচ্ছে ৩৯ ভাগ চিটাগুড়, ২০ ভাগ গমের ভূসি, ২০ ভাগ ধানের কুঁড়া, ১০ ভাগ ইউরিয়া, ৬ ভাগ চুন ও ৫ ভাগ লবণের মিশ্রণ।

রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা: ক. প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পশুর গা ধোয়াতে হবে;
খ. গো-শালা ও পার্শ্ববর্তী স্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে:
গ. নিয়মিতভাবে গরুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে;
ঘ. বাসস্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে।
ঙ. স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমিত পরিমাণে পানি ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।
চ. রোগাক্রান্ত পশুকে অবশ্যই পৃথক করে রাখতে হবে।
ছ. খাবার পাত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
জ. খামারের সার্বিক জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।
ঝ. পশু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Address

Jessore

Telephone

+8801751553793

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ACI কৃত্রিম প্রজনন কর্মি,যশোর। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram