
28/01/2025
প্রকৃত সুখী মানুষের পরিচয় প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সম্পদের প্রাচুর্য সচ্ছলতা (সুখ) নয়, বরং সচ্ছলতা (সুখ) তো হলো হৃদয়ের সচ্ছলতা।’ সহিহ্ বোখারি : ৬৪৪৬
অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ইমান (দৃঢ় বিশ্বাস) ও তাওয়াক্কুলই (ভরসা, নির্ভরতা) মানুষকে
প্রকৃতপক্ষে ধনী অন্তঃকরণ দান করে, যার ফলে সে গরিব হয়েও দান করতে ভয় করে না। অপরপক্ষে আল্লাহর প্রতি যার বিশ্বাস ও নির্ভরতা দৃঢ় নয়, সে অগাধ সম্পদের অধিকারী হয়েও, গরিব হয়ে যাওয়ার ভয়ে দান করা থেকে বিরত থাকে। আল্লাহ তাকে সর্বদা মুখাপেক্ষী করে রাখেন। এ প্রসঙ্গে অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বক্তব্যের সারকথা হলো, ‘যে ব্যক্তি একমাত্র দুনিয়াকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করে, আল্লাহ তাকে তিনটি বিষয় দেবেন।
১/ তার চোখের সামনে দারিদ্র্য ঝুলিয়ে দেবেন। ফলে যতই টাকা-পয়সার মালিক হোক না কেন, কখনো তার অভাব দূর হবে না।
২/ তার যাবতীয় কার্যক্রমকে বিক্ষিপ্ত করে দেবেন। ফলে কোনো কাজ সে গোছাতে পারবে না। একদিকে টান দিলে অন্যদিকে ছুটে যাবে। সারাক্ষণ মানসিক অস্থিরতার ভেতর অতিবাহিত করবে।
/৩. এতসব করার পরেও তাকদিরে নির্ধারিত রিজিকের বাইরে সে কিছুই পাবে না।
আর যে ব্যক্তি একমাত্র আখেরাতকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করবে। আল্লাহ তা,আলা তাকেও ৩টি বিষয় দেবেন।
১/ তার অন্তর প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেবেন, তাকে অমুখাপেক্ষী করে দেবেন। ফলে মানসিক অস্থিরতা থেকে সে পরিত্রাণ পাবে। মনের ভেতরে সব সময় এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করবে।
২/তার যাবতীয় কার্যক্রম গুছিয়ে দেবেন। ফলে কোনো কাজেই তার অতিরিক্ত পেরেশানি পোহাতে হবে না।
৩/ আর দুনিয়া তার সামনে নত হয়ে হাজির হবে।’ ইবনে মাজাহ : ৪১০৫