Dr.Abul Khair

Dr.Abul Khair Alhamdulillah for everything...

24/08/2025

"ধন্যবাদ ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম কে,
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঠিক ইতিহাস মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য,"

জামায়াতে ইসলামী ১৯৪১ সালে ভারতে প্রতিষ্ঠীত হয়!
জামায়াতে ইসলামীকে ৪ বার পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ করে!
জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মওদূদীকে পাকিস্তান সরকার ফাঁসির আদেশ দেয়!

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদুদীর বাড়ি ভারতের হায়দারাবাদে!

তাহলে বলুন কিভাবে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান প্রেমী হলো? কিভাবে দেশ বিরোধী হলো? কিভাবে, কেন জামায়াত ইসলামী এদেশকে পাকিস্তান বানাবে?

জামায়াতে ইসলামী ভাঙ্গার পক্ষে নয়, জামায়াতে ইসলামী গড়ার পক্ষে। বার বার জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক ঐক্য গড়েছে। জামায়াতে ইসলামী ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গড়ার কাজ করেছে। আবার তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভাঙ্গার বিরোধিতা করেছে মাত্র। কোন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিল না।

ভাই-ভাই যখন আলাদা হতে চায়, ঘর ভেঙে ফেলতে চায় তখন তৃতীয় আদর্শ পক্ষ এসে যদি বলে- তোমরা আলাদা হইওনা। তোমরা আলাদা হলে শক্তি কমে যাবে। তোমাদের শত্রুরা সুযোগ পাবে। শত্রুরা তোমাদের উপর সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাহলে কি ঐ তৃতীয় আদর্শ পক্ষ অপরাধী হয়? তৃতীয় পক্ষ কি একপক্ষের শত্রু হয়ে যাবে???
জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিল তৃতীয় পক্ষের মতো।

অপরাধ করেছে বর্তমান ঐ চোরগুলোর বাপ দাদারা। যারা বর্তমানে চাঁদাবাজী,মাদক কারবারী, দুর্নীতি, ভূমি দস্যুতার সাথে জড়িত। ঐগুলাই রাজাকার ছিলো। পাক বাহিনীর কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে।

শুধু মাত্র রাজনৈতিকভাবে চরিত্রের দিক থেকে পরাজিত হয়ে, অপরাধীরা,দুর্নীতিবাজরা,ফ্যাসিবাদীরা, দেশদ্রোহীরা,বামপন্থীরা,ইন্ডিয়ার দালালরা জামায়াতে ইসলামীর উপর রাজাকার তকমা চাপিয়ে দেয়।

রাজাকার হলো ঐ বাটপারগুলো যারা ১৯৭১ সালে হাজার হাজার নারী অধিকার কেড়ে নিয়েছে যারা নারীকে ধর্ষণ করেছে বাড়ি ঘরে আগুন দিয়েছে,, মানুষ হত্যা করেছে,, ভারতে গিয়ে নারী আর মদ ভোগ করেছে, ৭১-এর পরে যারা ধর্ষণে সেঞ্চুরী করেছে এবং যাদের পদ পেতে হলে নেতার সঙ্গে নিশি যাপন করা লাগে,, তারাই রাজাকার,,,

এবং যারা পহেলা বৈশাখের নামে নারীদের শ্লীলতাহানী করে পোশাক খুলে নেয়,, বিশ্ববিদ্যালয় নারীদের কাছ থেকে হিজাব খুলে নেয়। তারা রাজাকার,,,

যারা নারীদের কুরআনের ক্লাস থেকে টেনে হিচড়ে কারাগারে নেয়, যারা মদের আইন পাশ করে,, যারা শিক্ষা ব্যাবস্থা ধ্বংস করে, যারা ব্যাংক লুটপাট দখলদারি করে। যারা দেশ বিক্রি করার ষড়যন্ত্র করে, যারা দেশের টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেশে হত্যাযজ্ঞ চালায়, তারাই রাজাকার,,,

যারা দেশে রাতের আঁধারে গনহত্যা চালায়, যারা সচিবালয়‌কে ভারতের রাজধানী বানাতে চায়, তারাই রাজাকার,,,

যারা হিন্দুদের সম্পদ লুট করে শত শত বিঘা জমি ও সম্পত্তির মালিক হয়েছে,তারাই রাজাকার,,

"ক‌র্নেল অ‌লি আহমাদ বীর বিক্রম, সা‌বেক মন্ত্রী।"
(সংগৃহিত)

20/08/2025

------জনৈক সাংবাদিকের টাইমলাইন থেকে----

"এই যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসেছে, এই যে যাকে আপনারা বলছেন উত্থান ঘটেছে, শিবিরের উত্থান ঘটেছে, এমনটি যে হবে এই পরিকল্পনা শিবির নেতাদের অনেক আগেই ছিল।

শিশির মনির যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, শিবিরের সভাপতি তখন তাদের একটা নৌ বিহার এ মিডিয়ার পক্ষ থেকে ক্যামেরা ইউনিটসহ আমি ছিলাম।

একটি বড়সড় লঞ্চ ভাড়া করে তারা সেই নৌবিহারটা করেছিলেন।

সে নৌ বিহারে শিশির মনির জাতীয় রাজনীতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি নিয়ে শিবিরের কিছু পরিকল্পনা ডিসক্লোজ করেছিলেন। তার সে পরিকল্পনা শুনে আমার যেটা মনে হয়েছিল সেটা হল বিজয় আসবেই ইনশাআল্লাহ এবং সেটা খুব নিকটবর্তী।

আমি তখন ধারণা করেছিলাম এটা ঘটতে বছর দশেক লাগবে। কিন্তু আমার যতদূর মনে পড়ে সেটা ঘটলো বছর ১৫ পরে।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে সময়সীমা বেশি লাগুক শিবির তার পরিকল্পনা থেকে এক চুল সরে যায়নি। শিবির সব সময় চেয়েছে রক্তপাতহীন বিপ্লব, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের উত্থান ঘটবে রক্তপাতহীনভাবে।

আপনারা একটা ব্যাপার হয়তো লক্ষ্য করেছেন এবং ব্যাপারটা কি আপনারা নেতিবাচক ভাবেই দেখছেন সেটা হচ্ছে এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যাদের তারা হয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, না হয় অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, প্রাণহানি ঘটেনি বলতে গেলে সেটা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্যর্থতা নয়- এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের বিশেষ পরিকল্পনা। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমনভাবে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য হেনও কোন পদক্ষেপ নেই যে তারা নেয়নি।
অবাক হয়ে যাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের যত এলাকা আছে এমনকি দূরবর্তী এলাকা কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু করে সদরঘাট চানখারপুল দোয়েল চত্বরসহ প্রত্যেকটা পয়েন্টে শিবির সাধারণ জনতাকে একত্রিত করে এমনভাবে নিরাপত্তার বলয় সাজিয়েছে যে ছাত্রলীগ পুলিশ র‍্যাব এবং বিশেষ বাহিনী এখানে সবচেয়ে বেশি নারকীয়তা চালাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।

যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শিবির এইভাবে আগলে রেখেছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে ছাত্রীদেরকে রক্ষা করার জন্য শিবির মুরুব্বিদের এবং তাদের বিশেষ শাখার লোকদেরকে পর্যন্ত হায়ার করেছে সেই ঢাবিতে আজ শিবিরের উত্থান দেখে অনেকের গা জ্বলে! আল্লাহ না করুন যদি সেদিন শিবির এই পদক্ষেপ না নিতো তাহলে সর্বাধিক শহীদের সংখ্যা হত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না প্রতিবেশী দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ বাংলাদেশের বুয়েটের প্রতি, তারপর ক্ষোভ হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের তৃতীয় টার্গেট হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল। আপনারা জেনে অবাক হবেন ঢাকা মেডিকেলে এবং আরো অন্যান্য মেডিকেলে সেই নারকীয় তাণ্ডব চলাকালে, শেখ হাসিনার অজেয় বাহিনীর চরমপন্থা চলাকালে এই হাসপাতালগুলোতে এই মেডিকেলগুলোতে ডাক্তারি পোশাকে নার্সদের এপ্রোনে কয়েকশো ভারতীয় অংশ নিয়েছিল!

আর শিবির সব সময় চেয়েছিল বাংলাদেশের এই সেরা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এমনকি তারা নিজেরা একটি রাজনৈতিক সংগঠন হওয়া সত্বেও এসব প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক এটা দাবি করে আসছিল। কারণ ছাত্র রাজনীতির ফলে কোন ছাত্র বলি হোক এটা তারা চায়নি।

একবার এক অনুষ্ঠানে মির্জা গালিব শিবির সভাপতি ঢাবি সভাপতি শিশির মনিরকে প্রশ্ন করেছিলেন সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্বতো চিরায়ত, আপনারা কেন বাতিলের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলছেন, আপনাদের জনশক্তি তো কম নয়?
শিশির মনির উত্তর দিয়েছিলেন বাতিলের সঙ্গে আমাদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে তবে সে লড়াইটা এই মুহূর্তে রক্তপাতহীন লড়াই, তিনি বলশেভিকদের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন সেই লড়াই আর আজকের লড়াই একরকম হবে না। অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব এখনো আছে ছিল থাকবে কিন্তু তারা সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছেন।

সম্প্রতি শিবিরের এত প্রভাব থাকা সত্ত্বেও শিবির যখন জুডিশিয়াল কিলিং এর শিকার জামাত নেতাদের ছবি সরাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাধা দিল না বরং খুবই ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠীর চাপের কাছে নতি স্বীকার করলো, তখন আমারও ভীষণ দ্বিধা হচ্ছিল ঘটনাটা কী?
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের দীর্ঘদিনের পলিসি যখন আমার মনে পড়ল এবং পরদিন যখন তারা একটা ব্রিলিয়ান্ট জবাব দিল এর চেয়ে শক্তিশালী জবাব দিল তখন বুঝলাম যে আসলে তারা সর্বতোভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তারক্তি সংঘর্ষ এড়িয়ে চলছে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র জানে বাংলাদেশকে যদি পরনির্ভরশীল করে রাখতে হয় মেধাশূন্য করতে হয় তাহলে বুয়েটের মধ্যে প্রতিষ্ঠান মেডিকেল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুনোখুনির মাধ্যমে সংঘর্ষের মাধ্যমে রাজনীতির মাধ্যমে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা জানার কারণেই শিবির সব সময় চেষ্টা করেছে তাদের প্রভাব বাড়াতে এবং এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে যাতে কোন অবস্থাতেই এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় ধরনের অঘটন না ঘটে।

খুব ছোটবেলায় দেখা একটা ঘটনা বলি- আমাদের এক আত্মীয় তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন তিনি শিবিরের সাথী ছিলেন। তখন বাম ছাত্র সংগঠন আর ছাত্রলীগ হরিহর আত্মা ছিল। তো সে শিবির করে কিনা এটা জানার জন্য তার রুমে একজন স্পাই পাঠানো হলো তার রুমমেট বানিয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে যাকে রুমমেট বানিয়ে স্পাই হিসেবে পাঠিয়েছে বামরা সেও শিবিরের।

অথচ তারা দীর্ঘদিন এক রুমে থাকার পরও কেউ কারো সাংগঠনিক পরিচয় জানতেন না। বিদায় সময় একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে যখন কান্না করছিলেন তখন একজন আরেকজনকে বলছিলেন আপনার মত রুমমেট আর পাব কিনা জানি না, আরেকজন বলছিলেন তোমার মত ছোট ভাই আর পাব কিনা জানি না। তারপর দুজনই দুজনকে শিবিরের দাওয়াত দেন আর দাওয়াত দিতে গিয়ে প্রকাশ হয়ে যায় তারা দুজনেই শিবিরের সাথী। একবার ভেবে দেখেন সেই সময়টা শিবিরের জন্য কতটা কঠিন ছিল! এই গোপনীয়তা এজন্য রক্ষা করা হতো যাতে আবরারের মতো কেউ ধরা পড়লে বাকিরা ফ্লাশ আউট না হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের আজকের অবস্থান সেই প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শিবিরের ভাইদের আত্মত্যাগের ফল।

বিশ্বাস করেন বা না করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম সংগঠন থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ ছাত্রদল কাউকেই আমি মন থেকে অপছন্দ করি না, কারণ আমি সবার মাঝেই এই চিন্তাটা রাখি হয়তো সেও শিবির"।...
সংগৃহীত।

07/08/2025
04/08/2025

আমী‌রে জামায়াত ডা. শ‌ফিকুর রহমান এর নিকট একজন গণমাধ‌্যম কর্মী "জুবা‌য়ের ফয়সাল" এর খোলা চি‌ঠি.........

📨 খোলা চিঠি
প্রাপকঃ
ডা. শফিকুর রহমান
আমীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

জনাব,
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আমি আপনার দলের নেতা তো দুর, নিদেনপক্ষে একজন কর্মীও নই। সুতরাং বাস্তবিক অর্থে এই চিঠির কোন মূল‍্য আদৌ আছে কি না, আমি নিশ্চিত নই। আমি এই চিঠি আপনাকে লিখছি, জন্মের পর থেকে দেখে আসা রাজনৈতিক নেতৃত্বের ইচ্ছা অনিচ্ছায় নিয়ন্ত্রিত বাজারব‍্যবস্থার একজন নিপীড়িত ভোক্তা হিসেবে। যে বাজারে, যখন যে মহাজন এসেছেন, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন‍্য তার উৎপাদিত ন‍্যারেটিভ-ই আমাদেরকে কিনতে এবং গিলতে বাধ‍্য করা হয়েছে ৫৪টা বছর ধরে। আমি জানি না, এই চিঠি আপনি পড়বেন কি না, অবশ‍্য না পড়লেও ক্ষতি নেই।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একবার বলেছিলেন, “আমি রাজনীতিবিদদের জন‍্য রাজনীতি কঠিন করে দেবো” ছোট্ট এই এক লাইনের স্পীচ, কতো মারাত্মক শক্তিশালী ছিলো তা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম ৮১’র এক বেদনাবিধুর সকালে। না, আমার তখন জন্ম হয়নি। বুঝতে শিখে পত্রিকার পাতায় হেডলাইন দেখেছি, “একটি কফিনের পাশে বাংলাদেশ” সেদিন র*ক্তপিপাসু হাসিনা-এরশাদ জোট শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি জিয়ার ভিশন-ই ধ্বংস করে দেয়নি, বরং অন্ধ করে দিয়েছিলো গোটা বাংলাদেশের চোখ।

সেই ঘটনার প্রায় চার দশক পর সেদিন টেলিভিশনে আমি শহীদ জিয়ার একটা প্রতিচ্ছবি দেখলাম, সোহরাওয়ার্দী উদ‍্যানের বিশাল মঞ্চে। ডা. শফিকুর রহমান নামের একজন সত্তোরোর্ধ তরুণ, সামনে দাঁড়ানো কয়েক লাখ মানুষ, দেশ ও দেশের বাইরের কোটি কোটি বাংলাদেশিকে সাক্ষী রেখে, শরীরের সমস্ত শক্তি এক করে অঙ্গীকার করছেন যে, আমরা ক্ষমতা পেলে বিলাসী হবো না, সুযোগ পেয়েই দু হাতে অর্থ কামাবো না, সরকারি প্লট/ফ্লাট নেবো না, প্রকল্পের অর্থ অনর্থক ব‍্যয় করবো না, ট‍্যাক্সবিহীন গাড়ি নেবো না, দুর্নীতি করবো না, চাঁদাবাজি করবো না… করতেও দেবো না। সরাসরি না বললেও এই বক্তব‍্যের মাধ‍্যমে আগামীর বাংলাদেশে আপনিও বগুড়ার দুর্ভাগ‍া খোকার মতোই, রাজনীতিবিদদের জন‍্য অনেকটাই কঠিন করে তুললেন আগামীর রাজনীতিকে। তবে যাদের জন‍্য রাজনীতি কঠিন করে তুললেন, দেশপ্রেমের আফিম খাইয়ে যুগের পর যুগ গণমানুষের অধিকার হরণের মহোৎসব করতে থাকা সেইসব অসুররা বলবে, এইটা কেবলই “শো অফ” !

আবার সাধারণ কারো কারো কাছেও এই বক্তব‍্য হয়তো নিছকই রাজনৈতিক চাপাবাজি। কারণ, বুঝতে শেখার পর থেকেই দেখছি ওদেশে রাজনীতির ১০ শতাংশ সত‍্যি, ৯০ শতাংশই চাপাবাজি আর মিথ‍্যা প্রতিশ্রুতি। আচ্ছা ডাক্তার সাহেব বলেন তো, চুন খেয়ে মুখ পুঁড়লে দই দেখলে ভয় লাগাটা কি স্বাভাবিক না? কিন্তু মহান আল্লাহর কি ইশারা দেখেন, আপনাকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হলো না। আপনার সামনে সুযোগ এলো, সোহরাওয়ার্দী উদ‍্যানের অঙ্গীকার যে শুধুমাত্র কথার কথা ছিলো না সেইটা প্রমাণের। আপনি মারাত্মক এক অসুখে আক্রান্ত, আপনার হৃদযন্ত্রে পাঁচটি ব্লক। আপনাকে ইমিডিয়েটলি যেতে হবে ডাক্তারদের ছুরি কাঁচির নীচে। আপনার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মীদের সবাই আপনাকে অনুরোধ করলো সার্জারিটা দেশের বাইরের কোন হাসপাতালে করাতে। আপনি দাঁড়িয়ে গেলেন, স্রোতের বিপরীতে ! যেন হঠাৎ করেই হয়ে উঠলেন সুকান্ত ভট্টাচার্যের “আঠারো বছর বয়স” কবিতার সেই ডানপিঠে তরুণ। দেশপ্রেম যার সাড়ে তিন হাত দেহের পুরোটাজুড়েই। আচ্ছা বলেন তো ডাক্তার সাহেব, জীবন মৃত‍্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এমন জুয়া ক’জন খেলতে জানে? আমরা তো দেখি একটু হাঁচি কাশি হলেও রাজনৈতিক নেতাদের ব‍্যাংকক সিঙ্গাপুর ছুটতে। সুতরাং এইটা হজম করতে আমাদের তো একটু সময় লাগবেই !

আরবীতে “হুব্বুল ওয়াতান” বাংলায় দেশপ্রেমের নিক্তিতে আপনার এই সিদ্ধান্তের ওজন আসলেই কতোটা সেইটা বোঝার মতো জ্ঞান হয়তো আমাদের নেই। কিন্তু এইটা আমরা বুঝতে পারছি, ওদেশের পলিটিক‍্যাল স্ট্রাকচারে অন্ততঃ কেউ একজন আছেন, যিনি আমাদেরই লোক। ইত‍্যকার রাজনৈতিক হম্বিতম্বি আর হুমকি ধামকি ছাড়াই যিনি বছরের পর বছর আমাদেরই অন্তরে পুষে রাখা না বলা কথাগুলোই বলে যান কোন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলেই।

সংখ‍্যাটা একেবারে কাটায় কাটায় বলা সম্ভব না, তবে আমার অনুমান, প্রায় ১ কোটি মানুষের নেতা আপনি। জুলাই পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এই বিশাল সংখ‍্যক ডেডিকেটেড কর্মীবাহিনীর নেতা হিসেবে আপনি গত দু সপ্তাহে রাজনৈতিক নৈতিকতার যে মানদণ্ড সেট করে দিয়েছেন, সেইটা নজীরবিহীন। আপনার দল কখনো ক্ষমতায় যাবে কি না, কিংবা ক্ষমতার কাছাকাছিও যেতে পারবে না কি না সেইটা বলা কঠিন, কিন্তু আপনার এই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চিত্ত, বুকভরা সাহস, মানুষের কল‍্যাণের প্রতিশ্রুতি আর নিখাদ দেশপ্রেম আমাদের আগামীর পথচলাকে অবশ‍্যই সহজ করবে, এইটুকু ধারণা করতেই পারি।

কিন্তু কি জানেন, আপনার এই ডেডিকেশন, ডিভোশন আর ডিটারমিনেশনও দিনশেষে আমাদেরকে নতুন চিন্তায় ফেলে দেয়। কারণ, আপনি যতো ভালো কাজই করেন, যতো ভালো কথা-ই বলেন, যতোই বাম রাজনীতি করে আসেন, যতোই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হন… শেষমেশ আপনি তো জামায়াতের আমীর। কেয়ামত পর্যন্ত আপনাকে দমন করা হবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে। যুগে যুগে আপনাকে নির্মূলের বৈধতা উৎপাদন করবে গণমাধ‍্যম, সুশীল সমাজ, আমলাতন্ত্র, প্রশাসনিক কাঠামো… সব স্টেকহোল্ডার-ই। কারণ আপনার পলিটিক‍্যাল আইডিওলজির বিপরীতে দাঁড় করানোর মতো ন‍্যারেটিভ তৈরির চেয়ে প্রচলিত কাঠামোর “ধরো মারো কাটো খাও” রাজনীতিই সংখ‍্যাগরিষ্ঠ।

আমি ঠিক জানি না, এই চ‍্যালেঞ্জ আপনি ফিল করেন কি না। আবার দোদুল‍্যমান আমি ভাবি, নাহ আপনি তো মোটামুটি একজন সফল রাজনৈতিক নেতা। দলের শীর্ষ ১০জন নেতাকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের পরও আপনি এক
সুতোয় গেঁথে রেখেছেন বিশাল কর্মীবাহিনী। একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ডেডলি গণঅভ‍্যুত্থানে প্রত‍্যক্ষ ভুমিকা রেখেছেন, নিজের ছাত্রসংগঠনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া শিখিয়েছেন, স্বৈরাচার তাড়ানোয় শক্তিশালী ভুমিকা রেখেছেন। তাই মাঝে মাঝে ভাবি হয়তো আপনিই পারবেন গোলকধাধার জট খুলতে। বার্লিন দেয়াল ভেঙে যেমন দুই জার্মানী জুঁড়েছিলো ভালোবাসার বন্ধনে, হয়তো আপনিও পারবেন বিভেদের সেই দেয়াল ভেঙে এক ঐক‍্যবদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি করতে।

এই চিঠি যখন লিখছি, সামাজিক যোগাযোগমাধ‍্যম মারফত জানতে পেরেছি, বাংলাদেশে আপনার হৃদযন্ত্রে সফল অস্ত্রোপচার করতে পেরেছেন চিকিৎসকরা। মহান আল্লাহর দরবারে আপনার সম্পুর্ণ সুস্থতার জন‍্য দু হাত তুলে দোয়া করছি। নষ্টতন্ত্রের প্রতিটি অর্গানে ক্ষমতাবান হয়ে কিংবা না হয়েও যেন আপনার তারুণ‍্যের প্রেশারটা আপনি বহাল রাখতে পারেন সেজন‍্য আপনার ফিরে আসাটা খুব জরুরী।

আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ চাই, যেখানে কথায় কথায় মানুষ খু*ন, অন‍্যের সম্পদে হিংস্র ছোবল, গণমানুষের অধিকারের পটে অনধিকার চর্চাসহ সব রাজনৈতিক অনাচার বন্ধ হয়ে যাবে। হয়তো আপনি পারবেন না, আমরাও দেখে যেতে পারবো না। কিন্তু এতো রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পর, গণমানুষের মুক্তির ন‍্যুনতম আকাঙ্খাটুকু প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জিইয়ে রাখার জন‍্য হলেও একটা “শুভস্য শীঘ্রম” তো চাইতেই পারি, কি বলেন স‍্যার?

জুবায়ের ফয়সাল
সাবেক গণমাধ‍্যমকর্মী

22/07/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

25/06/2025
24/06/2025

পশ্চিমারা মানবতার ভাষা বোঝে না, তারা যেটা বোঝে তা সামরিক ভাষা।
ট্রাম্পের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব ইরান একটা শর্ত দিয়ছে

23/06/2025

ইরান হামলা চালিয়েছে কাতার বাহরাইন জর্ডান সিরিয়াতে আমেরিকার সামরিক ঘাটিতে

23/06/2025

শতশত হামাস যোদ্ধা ইসরায়েলে ঢুকে গেছে এবং হারানো ভুমি দখল নেওয়ার জন্য অভিযান চলছে

Address

Khulna
Jessore

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Abul Khair posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category