10/02/2024
🔴🔵👉 হিজামা / حجامة / Cupping Therapy 👈🔴🔵
🔴🔵👉 হিজামার উপকারিতা নিয়ে নিম্নে এমন কিছু হাদিস দিয়েছিঃ
👉 হযরত জাবির রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে। ” ছহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর : ২২০৫
👉 হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। ” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর : ৩৪৮৭
👉 হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হিজামাকারী কতই উত্তম লোক। সে দুষিত ( টক্সিন যুক্ত ) রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর : ২০৫৩
🔴🔵👉 হিজামা এর উপকারিতা 👈🔴🔵
1) দেহের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
2) চাইনিজ ট্রেডিশনাল চিকিৎসা মতে দেহের ভিতরে শক্তি চলাচলের পথ পরিষ্কার করে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
3) বাত ব্যথা
4) কোমর ব্যথা
5) পায়ে ব্যথা
6) হাটু ব্যথা
7) ঘাড়ে ব্যথা
8) মাংস পেশির ব্যথা
9) মেরুদন্ড ব্যথা
10) গোড়ালি ব্যথা
11) গেটে বাত
12) রিউমাটয়েড আর্থ্রাটিস
13) সায়েটিকা
14) মাইগ্রেন
15) মাথা ব্যথা
16) থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
17) হরমোন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
18) এটি রক্ত পরিষ্কার করে ও মেরুমজ্জাকে কার্যকারী ও শক্তিশালী করে।
19) কোলস্টরল সমস্যা
20 ) এর মাধ্যমে শিরার উপর উত্তম প্রভাব পড়ে।
21 ) ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ, যেমন- হাঁপানী, বুক ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি রোগ
নিরাময়েও বেশ উপকারী।
22 ) গেঁটেবাত এবং সায়াটিকা দূর করার ক্ষেত্রেও এটি বড় ভূমিকা রাখে।.
23) বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা, মাইগ্রেন ও দাঁতের ব্যথা দূর করে।
24 ) কাঁধ, বুক এবং পেটের ব্যথা এবং কাঁধের আড়ষ্ঠতা দূর করতে এটি বেশ উপকারী।
25 ) চোখের বিভিন্ন অসুবিধা, যেমন- চোখ ওঠা (conjunctivitis) ইত্যাদি নিরাময় করে।
26) জরায়ুর বিভিন্ন রোগ, যেমন- মাসিকের অনিয়ে কটরজ এবং রজঃবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য এটি বেশ উপকারী।
27). উচ্চরক্তচাপ কমাতে যথেষ্ট উপকারী।
28) অলসতা, দুর্বলতা ও মাত্রাতিরিক্ত ঘুম ইত্যাদি অসুবিধাও এন মাধ্যমে সমাধান করা যায়।
29) আলসার, ফোঁড়া, ব্রণ এবং চুলকানিও এর মাধ্যমে ভালো হয়।
30 ) হৃদঝিল্লি প্রদাহ প্রদাহ (pericarditis) এবং মূত্রগ্রন্থি আছে (nephritis) যথেষ্ট উপকারী।
31) খাদ্যের বিষক্রিয়া রোধে বেশ উপকারী।
32) পুঁজযুক্ত ক্ষতের চিকিৎসাও এই সকাম করা যায়।
33) আমবাত (Alergy) নিরাময়ের ক্ষেত্রেও উপকারী ।
34 ) পিঠের খিচুনীর অবসানে এটি খুব উপকারী
35) হাড় ক্ষয়
36) লিভারের সমস্যা
37) হাত পা অবশ
38) ইউরিক এসিড
39 ) শরীরের কোন অঙ্গে ব্যথা হলে সেখানে এই “হিজামা প্রযোগ খুবই উপকারী।
40 ) সুস্থ ব্যক্তিগণও 'হিজামা' করাতে পারেন। কেননা এটি সুন্নত এবং রোগ-প্রতিরোধক। তাছাড়া এটি মনে প্রফুল্লতা ও দেহে উদ্যমতা বয়ে আনে।
41) প্রথাগত চিকিৎসার পরে মানবদেহের ত্বক ও পেশীতে অবশিষ্ট ওষুধ, বিষ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জনিত পদার্থ শুষে নিতে কাপিং থেরাপি উপকারী। এর ফলে রক্ত থেকে ইউরিক এসিড ও জয়েন্ট থেকে বা বের করা সহজ হয়।
42) দেহের কোন স্থানে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বা কোন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন কম হলে তা দূর করতে কাপিং করার দরকার হয়।
43) বিষণ্ণতা, অবসাদ, প্রতিক্রিয়া, নিষ্ঠুরতা ও বেপরোয়া ভাব নিয়ন্ত্রণ করে, রোগীর মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। ঔষধের প্রতি দেহের দ্রুত সাড়া নিশ্চিত করে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ওঠে।
🔴🔵👉 হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত (Toxic Blood) বের করা হয়। এতে শরীরের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।
👉 হিজামার পরে শরীর ফ্রেস মনে হয় , ভালো ঘুম হয় , শরীরে একটা প্রশান্তি অনুভূত হয়।
👉 টিস্যু থেকে বিষ মুক্ত করতে সহায়তা করে।
👉 লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম সক্রিয় করে।
👉 রক্ত সঞ্চালন সক্রিয় করে।
👉 দেহের অভ্যন্তরেএর প্রতিক্রিয়ার অবস্থা ও উদ্দীপ্ত (রিফ্লেক্স জোন) হয় সক্রিয়, ফলে আক্রান্ত অঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মস্তিষ্কের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
👉 চাইনিজ ট্রেডিশনাল চিকিৎসা মতে দেহের ভিতরে শক্তি চলাচলের পথ পরিষ্কার করে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
👉 প্রথাগত চিকিৎসার পরে মানবদেহের ত্বক ও পেশীতে অবশিষ্ট ওষুধ, বিষ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জনিত পদার্থ শুষে নিতে কাপিং থেরাপি উপকারী। এর ফলে রক্ত থেকে ইউরিক এসিড ও জয়েন্ট থেকে বর্জ্য বের করা সহজ হয়।
👉 দেহের কোন স্থানে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বা কোন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন কম হলে তা দূর করতে কাপিং করার দরকার হয়।
👉 দেহের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
👉 হরমোন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
👉 বিষণ্ণতা, অবসাদ, প্রতিক্রিয়া, নিষ্ঠুরতা ও বেপরোয়া ভাব নিয়ন্ত্রণ করে, রোগীর মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। ঔষধের প্রতি দেহের দ্রুত সাড়া নিশ্চিত করে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ওঠে।
🔴🔵👉 অনেকেই বলতে পারেন হিজামা কিভাবে এত রোগ ভাল করে?
👉 হিজামা শরীরের একটি বেসিক মেকানিজম এক্টিভেট করে। তা হচ্ছে এন্ডোজেনাস নাইট্রিক অক্সাইড পাথওয়েকে বুস্ট করে দেয়। এই নাইট্রিক অক্সাইডকেই বিজ্ঞানীরা মিরাকল মলিকিউল বা হিলিং মলিকিউল নাম দিয়েছেন। যেকোন ডিজিজের নাম এর সাথে effect of nitric oxide লিখে গুগোল সার্চ করলেই আমদের কথা সত্যতা পাবেন।
🔴🔵👉 হিজামা কিভাবে কাজ করে 👈🔴🔵
👉 শরিরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেগেটিভ সাকশনের মাদ্ধমে চামড়ার নিচে ছড়িয়ে থাকা অপ্রয়োজনীয় রক্ত বের করে আনা হয়।এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।
🔴🔵👉 ল্যাব টেস্টঃ হিজামার বিজ্ঞানভিত্তিক উপকারিতা 👈🔴🔵
👉 দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (Damascus University) সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাবীল আল শরীফ এর অধীনে ২০০১ সালে হিজামার উপকারিতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরীক্ষাটি ৩০০ জন ব্যক্তির উপর পরিচালিত হয়। পরিচালিত পরীক্ষায় নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ বেরিয়ে আসে; যা হিজামার উপকারিতার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বহন করে-
১. উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপ কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।
২. নিম্ম রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।
৩. ECG এর পূর্বের গ্রাফের তূলনায় পরের গ্রাফে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
৪. ESR কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।
৫. RBC এর সংখ্যা স্বাভাবিক হয়েছে।
৬. Polycythemia এর ক্ষেত্রে Hemoglobin কমে স্বাভাবিক হয়েছে।
৭. Hemoglobin স্বল্পতার ক্ষত্রে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক হয়েছে। এটি নতুন নতুন স্বাভাবিক RBC উৎপন্ন হওয়ায় ইংগিত প্রদান করে; যা শরীরের কোষ সমূহে অক্সিজেনের প্রবাহ বৃদ্ধি করে থাকে।
৮. হিজামা গ্রহনকারীদের ৬০% ক্ষেত্রে রক্তে Leukocyte বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে।
৯. সকল Rheumatic রোগাক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে Neutrophil বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।
১০. রক্তের শ্বেতকণিকা (WBC) ৭১.৪% ক্ষেত্রে বেড়েছে। এটি প্রমান করে যে Rheumatic ও অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ হিজামা করার পর সেড়ে গেছে।
🔴🔵👉 সঠিক সময়ে হিজামা ( حجامة ) / কাপিং করলে স্বাস্থ্য সংরক্ষিত হয় এবং শরীরকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তবে, রোগ যখন প্রবল হয়, তখন পরিস্থিতি যাহাই হোক না কেন, হিজামা ( حجامة ) / কাপিং করা জরুরী হয়ে পড়ে,
কারণ রাসুল সঃ বলেছেন,
”যাহাতে দুষিত রক্ত তোমাদের কারও মৃত্যুর কারণ না হয়।”
👉 আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত : রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।" [সুনান ইব্নে মাজাহ : ৩৪৮৬]
🔴🔵👉 হিজামা/ حجامة ; সুস্থতার সুন্নাহ পথ । 👈🔴🔵
🔴🔵👉 হিজামা ( حجامة ) একটি সুন্নাহ চিকিৎসা পদ্ধতি।
🔴🔵👉 হিজামা/ حجامة হাদীসে বর্ণিত এবং নির্দেশিত একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা।
🔴🔵👉 এককথায় , হিজামা হলো রাসুল সাঃ এর বর্ণিত এমন একটা চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে শরীরের সিলেক্টেড কিছু পয়েন্ট/এলাকা থেকে কিছু ম্যাকানিক্যাল ডিভাইসের মাধ্যমে সামান্য কিছু টক্সিন যুক্ত রক্ত / রক্ত রস/সিরাম বের করে নিয়ে রোগ মুক্তির চেষ্টা করা হয় ।
🔴🟡🔵 👉 হিজামা / حجامة / Cupping Therapy করাতে যোগাযোগ করুন
☎️ 01717-504982
Bismillah Hijama Treatment Center. (বিসমিল্লাহ্ হিজামা ট্রিটমেন্ট সেন্টার)।
🔴🟢👉 এস্থান
তালুকদার বাড়ি, বাড়ৈয়ারা, নথুল্লাবাদ।
ঝালকাঠি,বরিশাল।
ডাঃ মোঃ শাহজালাল তালুকদার।
ডি. এইচ. এম. এস.
ডি. ডি. এ. এস, এম.এ,
হিজামা থেরাপিস্ট।
আধুনিক পদ্ধতিতে, রাসুল সাঃ এর সুন্নতি চিকিৎসা পদ্ধতি হিজামা /কাপিং ।