MIND CARE

MIND CARE আপনার যে কোন মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাউন্সিলিং ও সাইকোথেরাপী সেবা নিন। আপনার সমস্যা লিখে পাঠান, সেবা নিতে হোয়াইটএপে মেসেজ দিন ০১৮ ৪২ ৭৫৬ ৭০৫

ঝিনাইদহের যে সকল সচেতন মানুষ সাংবাদিকতা ও ঝিনাইদহের গন মানুষের জীবন যাত্রা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে চান, তাদেরকে অল টাইম টিভির জন্য ঝিনাইদহের তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক সাইটে ঝিনাইদহ জেলার সকল উপজেলা, ইউনিয়ন, ও ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রতিনিধি আবশ্যক। ঝিনাইদহ কে বিশ্ব দরবারে পৌছেদিতে আমাদের সাথে যোগ দিন। আপনি যদি সৎ সাহসী, শিক্ষিত, সৃজনশীল ঝিনাইদহ প্রেমী মানুষ হন তাহলে আমরা আপনাকে খুজছি ।

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন অল টাইম টিভি আপনাদের সূ-চিন্তিত ভিডিও, তথ্য দেবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ফলে আপনার লেখা ও তথ্য ঝিনাইদহের কয়েক লক্ষ মানুষ জানতে পারবে। আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করলে আপনার দ্বারা ঝিনাইদহের মানুষের জন্য একটা সামাজিক কাজ বলে গন্য হবে, আশা করি।

08/09/2025

“বিচ্ছেদের এক অন্য রূপ
সাইলেন্ট ডিভোর্স বা নীরব বিচ্ছেদ “

😒এটা এমন একটি সম্পর্ক যেখানে স্বামী-স্ত্রী মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, কিন্তু সামাজিকভাবে বা আইনত তারা বিবাহিত থাকেন।

এটি এমন এক পরিস্থিতি যখন দুটি মানুষ একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও তাদের মধ্যে কোনো মানসিক সংযোগ, আবেগিক আদান-প্রদান বা পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকে না। এটি প্রচলিত বিবাহবিচ্ছেদের মতো কোনো আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি সম্পর্কের একটি অদৃশ্য ভাঙন।

🪳সাইলেন্ট ডিভোর্সের লক্ষণসমূহ:

সাইলেন্ট ডিভোর্সের কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হল

🧨স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অর্থপূর্ণ কথোপকথন একেবারেই কমে যায়।
তারা দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়ে কথা বললেও আবেগিক বা ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো আলোচনা থাকে না।

🧨একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি বা আগ্রহের অভাব দেখা যায়। কোনো পক্ষই অন্যজনের অনুভূতি বা প্রয়োজন নিয়ে মাথা ঘামায় না।

🧨দম্পতিরা ইচ্ছাকৃতভাবে একে অপরের সাথে সময় কাটানো এড়িয়ে চলেন। তারা নিজেদের আলাদা রুটিন তৈরি করে নেন এবং যার যার নিজস্ব কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন

🧨শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি মানসিক দূরত্বের একটি বড় প্রতিফলন।

🧨ছোটখাটো বিষয় নিয়েও ভুল বোঝাবুঝি হয় এবং কেউ ক্ষমা চাইতে বা বিষয়টি মিটমাট করতে আগ্রহী হয় না।

🧨দম্পতিরা একসাথে কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন না। প্রত্যেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও স্বপ্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
একে অপরের সফলতা বা ব্যর্থতায় কোনো রকম আগ্রহ বা অনুভূতি প্রকাশ পায় না।

🧨অনেকগুলো কারণে সাইলেন্ট ডিভোর্স হতে পারে। এর মধ্যে কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

🧨ছোটখাটো সমস্যাগুলো সমাধান না হয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকলে তা বড় ধরনের মানসিক দূরত্ব তৈরি করে।
একবার বিশ্বাস ভঙ্গ হলে তা আবার ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়ে, যা নীরব বিচ্ছেদের দিকে ঠেলে দেয়।

🧨একজন বা উভয় সঙ্গী যদি মনে করেন তাদের আবেগিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে না, তবে তারা মানসিকভাবে দূরে সরে যেতে পারেন।
সন্তান লালন-পালন বা আর্থিক বিষয় নিয়ে তীব্র মতবিরোধ থাকলে তা সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।

🧨অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা বা সম্পর্কের জন্য সময় না দেওয়াও নীরব বিচ্ছেদের একটি কারণ হতে পারে।

🧨অনুভূতি প্রকাশ করতে না পারা বা একে অপরের কথা শুনতে না চাওয়া সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

🧨সাইলেন্ট ডিভোর্সের প্রভাব শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি পুরো পরিবার, বিশেষ করে সন্তানদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

🧨দম্পতিরা নিজেদের মধ্যে একাকীত্ব এবং হতাশা অনুভব করেন।

🧨বাবা-মায়ের এই নীরব বিচ্ছেদ দেখে সন্তানরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং তাদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হয়। তারা ভুল ধারণা নিয়ে বড় হতে পারে যে, সম্পর্কে ভালোবাসা বা আবেগ প্রকাশ করা অপ্রয়োজনীয়।

🧨অনেক সময় দম্পতিরা সামাজিকভাবে নিজেদের গুটিয়ে নেন এবং বাইরে স্বাভাবিক থাকার ভান করেন।

🧨দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এমন নীরব বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

🧨স্বামী-স্ত্রীকে নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি কথা বলতে হবে। নিজেদের অনুভূতি, চাহিদা এবং সমস্যাগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।

🧨বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। একজন তৃতীয় পক্ষ নিরপেক্ষভাবে সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করতে পারেন।

🧨পুরোনো স্মৃতিগুলো ফিরে দেখা এবং একসাথে নতুন কিছু করার চেষ্টা করা যেতে পারে।

🧨একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা অত্যন্ত জরুরি।
মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

💞সাইলেন্ট ডিভোর্স একটি জটিল সমস্যা যা অনেক সময় অজান্তেই সম্পর্কের গভীরে শিকড় গেড়ে বসে। সঠিক সময়ে এর লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই সম্পর্ককে বাঁচানো সম্ভব। তবে যদি কোনোভাবেই সম্পর্ককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তবে বিচ্ছেদকে একটি সুস্থ সমাধান হিসেবে মেনে নেওয়াও প্রয়োজন হতে পারে।

দাম্পত্য কলহ থেকে মুক্তিপেতে কাউন্সিলিং নিতে ইনবক্স করুন।

#মনেরকথা #দাম্পত্য #দাম্পত্যকলহ

07/09/2025

মেয়েরা বা বউরা স্বামীর কাছে আসলে কী/কী কী চায়?

মেয়েরা বা স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে সম্পর্কের বিভিন্ন দিকের উপর ভিত্তি করে কিছু চাহিদা বা প্রত্যাশা রাখতে পারেন। একটি সফল এবং সুখী বিবাহিত জীবন গড়ে তুলতে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর চাওয়াগুলো সাধারণত মানসিক, আবেগীয় এবং সামাজিক চাহিদার সঙ্গে সম্পর্কিত। নিচে কিছু প্রধান দিক উল্লেখ করা হলো:

💞১. ভালোবাসা এবং স্নেহ (Love and Affection):

- স্ত্রী সাধারণত স্বামীর কাছ থেকে ভালবাসা, যত্ন এবং স্নেহ প্রত্যাশা করে। এটি সম্পর্কের মূল ভিত্তি এবং একজন নারী চায় যে তার স্বামী তাকে ভালোবাসবে এবং যত্ন নেবে। দৈনন্দিন ছোট ছোট কাজ, যেমন আলিঙ্গন, চুম্বন, এবং স্নেহের মাধ্যমে এটি প্রকাশ পেতে পারে।

💞২. মানসিক সমর্থন (Emotional Support):

- স্ত্রীর জীবনেও চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা আসতে পারে, এবং সে চায় যে তার স্বামী মানসিকভাবে তাকে সমর্থন দেবে। তার অনুভূতি, কষ্ট, এবং সুখে পাশে থাকা এবং তার সাথে মনের কথা ভাগ করে নেওয়া আবশ্যক।

- আবেগীয় সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাকে শোনা একজন স্ত্রীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

💞৩. আস্থা ও বিশ্বাস (Trust and Honesty):

- স্বামীর প্রতি আস্থা একজন স্ত্রীর জন্য অপরিহার্য। স্বামী যখন সৎ এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়, তখন স্ত্রীর মনে নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার অনুভূতি তৈরি হয়।

- সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস, তাই স্ত্রী চায় যে স্বামী তার প্রতি বিশ্বাস রাখবে এবং কোনো মিথ্যা বলবে না।

💞৪. সম্মান (Respect):

- স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে সম্মান আশা করে। তার মতামত, অনুভূতি এবং সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিয়ে স্বামী যদি সম্মান করে, তাহলে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।

- এটি শুধু ব্যক্তিগত সম্মানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামাজিক এবং পারিবারিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

💞৫. সময় এবং মনোযোগ (Time and Attention):

- স্ত্রী চায় যে তার স্বামী তাকে পর্যাপ্ত সময় দেবে এবং মনোযোগ দেবে। ব্যস্ত জীবনে সময় কাটানোর জন্য যতটা সম্ভব সময় বের করে স্ত্রীর সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটানো একজন স্বামীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

- যৌথভাবে সময় কাটানো, মজা করা, এবং একে অপরের সাথে থাকা সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সহায়ক হয়।

💞৬. সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া (Empathy and Understanding):

- স্ত্রীর চাওয়া-পাওয়া এবং সমস্যা সম্পর্কে স্বামী যদি সহানুভূতিশীল হয় এবং তাকে বুঝতে চেষ্টা করে, তাহলে এটি সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়। বোঝাপড়া, সমঝোতা, এবং সহানুভূতির মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করা যায়।

- স্ত্রীর অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে মানসিক শান্তি প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।

💞৭. আর্থিক নিরাপত্তা (Financial Security):

- অনেক সময় স্ত্রী চায় তার স্বামী তার এবং পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক। এটি পরিবারে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার অনুভূতি দেয়।

- যদিও আধুনিক সময়ে অনেক নারী নিজেরাও আর্থিকভাবে স্বাধীন, তবে পরিবারে সুষম আর্থিক পরিচালনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

💞৮. উৎসাহ এবং সমর্থন (Encouragement and Support):

- স্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বপ্ন, ক্যারিয়ার বা লক্ষ্য অর্জনে স্বামীর সমর্থন প্রয়োজন। স্বামীর কাছ থেকে উৎসাহ এবং পেছনে থাকা সমর্থন একজন স্ত্রীর আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

- অনেক মেয়ে বা বউ চায় তার স্বামী তার ব্যক্তিগত উন্নতি এবং সিদ্ধান্তে সমর্থন দিক।

💞৯. রোমান্টিকতা (Romance):

- সম্পর্কের মধ্যে কিছু রোমান্টিকতা থাকা একজন স্ত্রীর জন্য আনন্দদায়ক হতে পারে। ছোট ছোট বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করা, উপহার দেওয়া, বা বিশেষ সময় কাটানো একজন স্ত্রীর ভালো লাগা বাড়াতে সহায়ক।

- রোমান্টিকভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা একটি সম্পর্কের মানসিক ও আবেগীয় বন্ধনকে শক্তিশালী করে।

💞১০. সামঞ্জস্যপূর্ণ যৌন জীবন (Healthy Intimacy):

- স্ত্রীর জন্য সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ঘনিষ্ঠতা ও শারীরিক সম্পর্ক। সামঞ্জস্যপূর্ণ যৌন জীবন ও শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।

- শারীরিক এবং মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকা এবং একে অপরের চাহিদা বুঝে সেটি পূরণ করা সম্পর্কের মধ্যে গভীরতা আনে।

সারসংক্ষেপ:

স্ত্রীরা সাধারণত তাদের স্বামীর কাছ থেকে ভালোবাসা, সম্মান, বোঝাপড়া, এবং আস্থার মতো মানসিক ও আবেগীয় সমর্থন প্রত্যাশা করে। এ ছাড়া, সম্পর্কের মধ্যে স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তার অনুভূতিও চায়। যদি স্বামী এসব দিকগুলোর প্রতি মনোযোগী হয়, তবে সম্পর্কটি আরও দৃঢ় ও সুখী হয়ে উঠবে।

আমাদের লেখা ভালো লাগলে আমাদের পেইজটি ফলো করুন, বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। লাইক আর কমেন্ট করে একটিভ থাকুন ।

07/09/2025

ছোটদের সাথে

১. শান্ত থেকে কথা বলুন
বাচ্চা জেদ করলে চিৎকার না করে শান্তভাবে বলুন, “আমি তোমার কথা বুঝতে চাই, কিন্তু আগে একটু শান্ত হও।”
এতে বাচ্চাও ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়।

২. মনোযোগ দিয়ে শুনুন
তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলুন, “তুমি কি কিছু বলতে চাও?”
সে বুঝবে, তার অনুভূতি আপনি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।

৩. অন্য বিকল্প দিন
সে যদি আইসক্রিম চায়, আপনি বলুন, “আইসক্রিম নয়, কিন্তু তুমি ফল বা দই পেতে পারো, কোনটা খাবে?”
এতে বাচ্চা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সে নিজেকে সিদ্ধান্তের অংশ মনে করে।

৪. নিয়ম তৈরি করুন, শাস্তি নয়
আগে থেকেই বলুন, “টিভি দেখার সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, এরপর আর নয়।”
এতে সে জানবে কোন কাজ কখন করতে হবে।

৫. জেদের পেছনের কারণ বুঝুন
হয়ত সে ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত বা ঘুমাচ্ছে না। এমন সময় সহজেই জেদ বাড়ে।
তার আবেগ ও শারীরিক অবস্থা বুঝে প্রতিক্রিয়া দিন।

৬. ভালো আচরণের প্রশংসা করুন
সে শান্তভাবে খেলছে? বলুন, “তুমি আজ অনেক ভালো behaved করছো, খুব গর্ব হচ্ছে!”
এতে ভালো আচরণ বাড়ে, জেদ কমে।

৭. ধৈর্য ধরে সময় দিন
সে জেদ করলে কিছুক্ষণ একা থাকতে দিন বা বলুন, “আমরা পরে আবার কথা বলব।”
একা থাকলে সে নিজে ঠান্ডা হতে শিখে।

৮. আদর দিয়ে বোঝান
বকা না দিয়ে জড়িয়ে ধরুন আর বলুন, “আমি তোমায় খুব ভালোবাসি, কিন্তু এইভাবে জোরে চিৎকার করা ঠিক না।”
এতে সে ভালোবাসা থেকে শিখে, ভয় থেকে নয়।

৯. খেলনার মাধ্যমে শেখান
পুতুল বা গাড়ি দিয়ে নাটক করে শেখান: “এই পুতুলটা খুব জেদ করত, কিন্তু সে বুঝে গেছে কথা শুনলে কত ভালো হয়।”
শিশুরা খেলতে খেলতে সবচেয়ে বেশি শিখে।

১০. নিজে ভালো উদাহরণ দিন
আপনি রেগে না গিয়ে ধৈর্য ধরলে, বাচ্চাও শেখে কিভাবে শান্ত থাকতে হয়।
বাচ্চা সব সময় আপনাকে অনুকরণ করে।
এই কৌশলগুলো ধীরে ধীরে প্রয়োগ করলে বাচ্চার জেদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

04/09/2025

ঘুম পায়, কিন্তু শুতে গেলে ঘুম আসে না – কেন এমন হয়?

প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে, কিন্তু বিছানায় গিয়ে শুতে পড়ার পর চোখে ঘুম আসছে না—এটা অনেকের সাথেই ঘটে। এর পেছনে একাধিক সায়েন্টিফিক কারণ আছে।

প্রথমত, sleep pressure" বা ঘুমের চাপ জমা হয় সারা দিনে। কিন্তু অনেক সময় আমরা যখন বুঝি ঘুম পাবে, তখনই ঘুমাতে যাই না—মোবাইল চালানো, আলোতে থাকা, বা মস্তিষ্ক সক্রিয় করে এমন কিছু করি। ফলে শরীর ক্লান্ত হলেও মস্তিষ্ক সেই মুহূর্তে "ঘুম মোডে" ঢুকতে পারে না। ফলে বিছানায় গিয়েও ঘুম আসে না।

দ্বিতীয়ত, এটাকে বলা হয় "conditioned arousal"—যেটা এমন একটা অবস্থা যেখানে মস্তিষ্ক বিছানাকে ঘুমানোর জায়গা হিসেবে না দেখে, চিন্তা করার জায়গা হিসেবে ধরে নেয়। বিশেষ করে যাদের অ্যাংজাইটি বা স্ট্রেস বেশি, তারা বিছানায় গেলেই নানা চিন্তা শুরু করে, যেটা ঘুমের শত্রু।
তৃতীয়ত, মেলাটোনিন নামক হরমোন আমাদের ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। অন্ধকারে শরীর বেশি মেলাটোনিন তৈরি করে, আলোতে কম। কিন্তু মোবাইল, ল্যাপটপ, ঘরের আলো—এসব থেকে বের হওয়া ব্লু লাইট এই হরমোন নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, ফলে শরীর ঘুমাতে প্রস্তুত থাকলেও মস্তিষ্ক সিগন্যাল পায় না।

সবশেষে, এটি একটি ঘুমের রুটিন সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। যখন শরীর নির্দিষ্ট একটা সময়ে ঘুমানোর অভ্যস্ত না, তখন এমন বিঘ্ন ঘন ঘন ঘটে।

সমাধান হিসেবে—
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও উঠার অভ্যাস গড়ে তোলা,
ঘুমানোর আগে স্ক্রিন এড়ানো,
হালকা মেডিটেশন বা বই পড়া,
এবং বিছানাকে শুধুই ঘুমের জন্য সংরক্ষিত রাখা ভালো ফল দিতে পারে।

04/09/2025

দাম্পত্য...

০১.
তুমি যাকেই বিয়ে করো না কেন, তার খুঁত থাকবেই। নিখুঁত কোনো মানুষ মানবেতিহাসে জন্মায়নি। দাম্পত্যসাথীর খুঁতের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তার যোগ্যতাকে তুমি দেখতে পাবে না কোনোদিনই।
তোমার এই বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০২.
প্রত্যেক মানুষেরই অতীত-গল্প আছে। ভালোমন্দ মিলিয়েই তার অতীতের ইতিহাস। দাম্পত্যসাথীর অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে, দাম্পত্যের বর্তমানকে হারিয়ে ফেলবে তুমি।
তোমার এই বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৩.
প্রত্যেক দাম্পত্যই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবে রোজই। দাম্পত্য ফুলবাগানও নয়, যুদ্ধক্ষেত্রও নয়। ল্যভ-ম্যারেজ বা সেটল্ড, যে-প্রক্রিয়াতেই সংসারটি তৈরি হোক না কেন, নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা থাকবেই। প্রক্রিয়ার দোষ নয় এটি, দাম্পত্যজীবনই এরকম। এই সমস্যাগুলোকে দু'জনে মিলে সমাধানে এগিয়ে যাওয়াটাই দাম্পত্যপ্রেম। দাম্পত্য-সমস্যায় পরস্পরকে দোষারোপ দাম্পত্যের অপমান।
দাম্পত্য-সমস্যায় সংসারসাথীকে দোষারোপ করার বদভ্যাস থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৪.
প্রত্যেক দাম্পত্যই আলাদা। নিজের সংসারের সাথে অন্য সংসারের তুলনা কোরো না। কোনো সংসারই ব্যর্থ নয়, প্রত্যেক সংসারই নিজের যোগ্যতার নিরিখে সফল। অন্যের সংসারের জৌলুসকে সুখ ভেবে নিয়ে, নিজের সংসারকে অসুখের আখড়ায় পরিণত কোরো না।
পরিশ্রমহীন এই পরশ্রীকাতরতার বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৫.
সংসার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অর্থ হলো─ তুমি তোমার জীবন থেকে সংসার-বিরুদ্ধ ভাবনা ও অভ্যাসগুলি চিরতরে বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছ। উল্লিখিত সংসার-বিরুদ্ধ অভ্যাসগুলি─
ক. মূর্খতা,
খ. উচ্ছৃঙ্খলতা,
গ. শৃঙ্খলাহীনতা,
ঘ. পরচর্চা,
ঙ. পরশ্রীকাতরতা,
চ. তৃতীয় পক্ষের কথায় বিশ্বাস,
ছ. আলস্য,
জ. অশ্রদ্ধা,
ঝ. প্রেমহীনতা,
ঞ. ভাষার বাজে ব্যবহার,
ট. বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা,
ঠ. পারস্পরিক আলাপে অনীহা।
উল্লিখিত বদভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করতে না-পারলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৬.
নিখুঁত দাম্পত্যজীবন বলে কিছু নেই। রেডিমেড সংসার বলে কিছু নেই। শর্টকাট দাম্পত্যসুখ বলে কিছু নেই। সংসার অর্থ─ দু'টি মানুষের একইমাত্রার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস, প্রেম, এবং উভয়ের সর্বোচ্চ শ্রমের সমষ্টি। দাম্পত্যজীবন হলো সেই চারাটি, যাকে নিয়মিত পরিচর্যা করলে একটি মহীরুহে পরিণত হবে একসময়; পরিচর্যা না-করলে, ধুঁকতে-ধুঁকতে, দ্রুতই মরে যাবে।
তুমি যদি পরিচর্যার মানসিকতাহীন একজন খামখেয়ালি ব্যক্তি হয়ে থাকো, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৭.
সংসার ও আর্থিক সক্ষমতা পরস্পরের পরিপূরক। সংসার রক্ষা করার জন্য, সংসার শুরু করার আগেই তোমাকে উপার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। উপার্জন ছাড়া সংসার করার ভাবনাটিই তামাশা। এ অপরাধ। আর, উপার্জনের ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকলে, তবে, সংসার শুরু করার আগে, কখনোই উদ্বিগ্ন হয়ো না─ এই উপার্জনে সংসার আমি রক্ষা করতে পারবো কিনা! নিজের যোগ্যতার চেয়ে বেশি যোগ্য, নিজের অবস্থানের চেয়ে বেশি উচ্চ অবস্থানের, কারও সাথে দাম্পত্য করতে যেয়ো না; কাছাকাছি সামাজিক অবস্থানের ও মানসিকতার দু'জন মানুষের দাম্পত্যে আর্থিক চাহিদা সমস্যা ঘটায় না। সংসার মানেই আর্থিক বিবেচনা, এবং সংসার মানেই ঝুঁকি নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
এই ঝুঁকি নেওয়ার সাহস না-থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৮.
প্রেমভালোবাসাহীন সংসার একটি অভ্যাসমাত্র। এই অভ্যাস একসময় পরিণত হয় দাসত্ব ও মালিকানায়। এই পরিস্থিতির নামই─ চুক্তি। এই চুক্তির, বাজারে পরিণত হতে বেশি সময় লাগে না। বাজারেই থাকে গণিকালয়। অর্থাৎ, প্রেমভালোবাসাহীন সংসার চুক্তিভিত্তিক গণিকাবৃত্তি মাত্র। এসব সংসারে, ডিভোর্স না-হওয়া মানে এই নয় যে─ এরা সুখী; কারণ─ ডিভোর্স সবসময় কাগজেকলমে হয় না, ডিভোর্স মূলত আরম্ভ হয় মনে, এবং চিরকাল মনের ভিতরেই এই ডিভোর্স ঘৃণার সাথে রয়ে যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।
তুমি যদি প্রেমহীন হয়ে থাকো, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৯.
সংসার আরম্ভ করার আগেই, অতীতের তৃতীয় কারও প্রেমকে, বান্ধবকে, হারানো প্রেমস্মৃতিকে, চিরতরে অতীতেই ফেলে আসতে হবে। বর্তমান দাম্পত্যসাথীর সাথে প্রতারণার আরেক নাম─ প্রাক্তন প্রেমসাথীকে মনের ভিতরে জিইয়ে রাখা।
এ বদভ্যাস পরিত্যাগ করতে না-পারলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

১০.
সংসার করো। সংসারই পরিপূর্ণতা। কিন্তু, সংসার তখনই কোরো, যখন তুমি সংসার করার যোগ্য হয়ে উঠবে। অন্যথায়, আরেকটি মানুষের সুন্দর জীবনটিকে নষ্ট করে দিয়ো না।
মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত গল্প করতে চাইলে আমাদের পেজটা ফলো করে রেখে দিতে পারেন

কপি Md Mazharul Haque Himu

03/09/2025

❤️‍🩹যে নারী তার স্বামীর যৌন দুর্বলতায় পাশে না দাঁড়িয়ে তাকে লজ্জা দেয়, সে কি আদৌ ভালো স্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখে?❤️‍🩹

🗣️কথাটা শুনেই তোমার কি গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো?
রক্ত গরম হয়ে গেল?
ভাবছেন, এ কেমন নির্লজ্জ কথা! সব দোষ কি নারীর?
একজন পুরুষ বিছানায় ব্যর্থ হলে তার দায়ভার কেন স্ত্রীর ঘাড়ে পড়বে?

🗣️🗣️থামো। একটু দম নাও। পুরোটা পড়ার আগে কোনো সিদ্ধান্তে এসো না। যদি রাগ, ক্ষোভ বা অপমান বোধ করো, তবে বুঝে নিও, এই লেখাটা তোমার জন্যই। কারণ সত্য সবসময় তেতো হয়, আর এই তেতো সত্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে তোমাদের দাম্পত্যের সবচেয়ে মিষ্টি সমাধান।

🌻তোমার স্বামী কি আজকাল তোমাকে এড়িয়ে চলছে? রাতের বেলা ঘুমানোর ভান করছে? কিংবা কাছে এলেও কি তার মধ্যে সেই আগের আগুনটা নেই? তুমি কি অনুভব করছো যে সে শারীরিক সম্পর্কে আগের মতো সক্ষম নয়?

🪷আর তুমি কী করছো? মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে থাকছো? দীর্ঘশ্বাস ফেলছো? নাকি পরোক্ষভাবে তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছো যে, "তোমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না"?

🌸যদি এর কোনো একটিও তুমি করে থাকো, তবে জেনে রাখো, তুমি শুধু তার সমস্যা বাড়াচ্ছো না, তুমি নিজের হাতে তোমাদের সম্পর্কটাকে গলা টিপে হত্যা করছো। কারণ পুরুষের যৌন শক্তি যতটা না শারীরিক, তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি মানসিক। তার পুরুষত্ব তার মস্তিষ্কে বাস করে, তার আত্মবিশ্বাসে বাস করে। আর তুমি যখন তাকে লজ্জা দাও, তখন তুমি তার সেই আত্মবিশ্বাসের শেষ অংশটুকুও ধ্বংস করে দাও। তার যদি কিছু করার ক্ষমতা থেকেও থাকে, তোমার অবহেলা আর তাচ্ছিল্য সেই ক্ষমতাটুকুও কেড়ে নেয়।

👩‍🦰তুমি কি সত্যিই একজন "স্ত্রী" নাকি শুধুই একজন "রুমমেট"?

🙆‍♀️একবার নিজেকে প্রশ্ন করো তো। তুমি কি পারো না তার এই কঠিন সময়ে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে? তুমি কি জানো, একজন স্ত্রী চাইলেই তার স্বামীকে এই অন্ধকার থেকে টেনে তুলতে পারে? হ্যাঁ, তুমিই পারো। তোমার হাতেই আছে সেই জাদুর কাঠি। কিন্তু তুমি কি সেটা ব্যবহার করতে জানো?

✅প্রথম ধাপ: রান্নাঘর হোক তোমার ভালোবাসার পরীক্ষাগার

❤️💋ভালোবাসা শুধু মুখের কথায় হয় না, সেটা প্লেটেও সাজিয়ে দিতে হয়। তার যৌন শক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তোমাকে একজন পুষ্টিবিদের থেকেও বেশি স্মার্ট হতে হবে।

🕳️🧑‍🍳কী খাওয়াবে? তার খাবারের তালিকায় রাখো জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার। যেমন—কুমড়োর বীজ, ঝিনুক, ডার্ক চকোলেট। এমন খাবার খাওয়াও যা তার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদনে ঝড় তুলবে। রসুন, কলা, ডিম, তরমুজ—এগুলো শুধু খাবার নয়, এগুলো তার শরীরের জন্য একেকটা শক্তিশালী ঔষধ।

🖐️কী বাদ দেবে? এবার শোনো আসল কথা। ভালোবাসা দেখিয়ে তার প্লেট থেকে কোন জিনিসগুলো সরাবে। অতিরিক্ত তেল, চর্বিযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড—এগুলো তার রক্তনালীকে সংকুচিত করে দেয়, যা সরাসরি তার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। তার সিগারেট বা মদের অভ্যাস থাকলে, সেটা বন্ধ করার দায়িত্বও তোমার। মিষ্টি কথায়, ভালোবাসার আবদারে তাকে বোঝাও—এটা শুধু তার জন্য নয়, "আমাদের" জন্য কতটা জরুরি।

পারবে না তুমি এতটুকু করতে? নাকি বাইরের খাবারের অর্ডার দেওয়াই তোমার কাছে সহজ মনে হয়?

✅দ্বিতীয় ধাপ: শরীর নয়, আগে তার মন জয় করো

👃সহবাস মানে কি শুধু কয়েক মিনিটের শারীরিক মিলন? ছি! যদি এটাই ভেবে থাকো, তবে তুমি সম্পর্কের গভীরতাই বোঝোনি। সহবাস ছাড়াও সারাদিন তোমাদের মধ্যে দুষ্টু-মিষ্টি খুনসুটি চলতে হবে।

💞ইশারার ভাষা: যখনই সুযোগ পাবে, তার সাথে দুষ্টু ইশারা চালাও। চোখের ভাষায় কথা বলো। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আলতো করে ছুঁয়ে যাও। তার কানের কাছে ফিসফিস করে এমন কিছু বলো যা শুধু তোমরা দুজনই বোঝো। এই ছোট ছোট ইঙ্গিতগুলো তার মস্তিষ্কে যৌনতার এক ইতিবাচক বার্তা পাঠায়।

👩‍❤️‍👨ডাবল মিনিং কথা: সবসময় গুরুগম্ভীর কথা কেন? তার সাথে এমনভাবে কথা বলো যার দুটো মানে হয়। একটা সাধারণ, আরেকটা শুধুই তোমাদের ব্যক্তিগত। এই বুদ্ধির খেলা পুরুষরা দারুণ উপভোগ করে। এটা তাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে এবং তাদের 느끼 করায় যে তুমি তাকে একজন প্রেমিক হিসেবে দেখো, শুধু স্বামী বা পরিবারের কর্তা হিসেবে নয়।

👧অনেক নারী ভাবে এগুলো করলে তাকে "নির্লজ্জ" মনে হবে। আর এটাই তোমাদের সবচেয়ে বড় ভুল। পুরুষরা তাদের স্ত্রীর এই আবেদনময়ী রূপ দেখতে ভালোবাসে। তুমি কি সেই ভালোবাসা থেকে তাকে বঞ্চিত করতে চাও?

✅তৃতীয় ধাপ: অতীতের ভুলগুলো মুছে দাও তোমার ভালোবাসা দিয়ে

👨‍🦱অনেক পুরুষই বিয়ের আগে যৌবনের উত্তেজনায় অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে নিজের শরীরের ক্ষতি করে ফেলে। তাদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা জন্মায় যে, হস্তমৈথুন আর সহবাস একই রকম। তারা ভাবে, যেভাবে দ্রুত বীর্যপাত করে সে একা চরম আনন্দ পায়, স্ত্রীরও হয়তো তেমনই হয়।

💞এখানেই তোমার ভূমিকা। তুমি তার শিক্ষক, তার বন্ধু। তাকে ভালোবাসার সাথে বোঝাতে হবে যে সহবাস একটা দ্বিপাক্ষিক যাত্রা। এটা কোনো দৌড় প্রতিযোগিতা নয়। এখানে একে অপরের আনন্দ, ছোঁয়া এবং অনুভূতিই আসল। তাকে শেখাও, নারীর শরীর কীভাবে সাড়া দেয়। তাকে বোঝাও, তোমার আনন্দ কিসে হয়। এই জ্ঞান তুমি ছাড়া আর কে তাকে দেবে?

✅চতুর্থ ধাপ: বিছানায় হও অভিনেত্রী, হও প্রেমিকা

🫦শারীরিক মিলনের সময় মূর্তির মতো শুয়ে থেকো না। তোমার অনুভূতি প্রকাশ করো।

❤️ভালোবাসার শব্দ: মিলনের সময় আবেগময় শব্দ করো, গঙ্গানির মতো আওয়াজ করো। এটা তাকে невероятно উত্তেজিত করবে। সে বুঝবে যে সে তোমাকে আনন্দ দিতে পারছে। এই অনুভূতি তার আত্মবিশ্বাসকে আকাশে তুলে দেবে।

💞আদরের ছোঁয়া: তার চুলে হাত বোলাও, তার পিঠে নখ দিয়ে হালকা আঁচড় কাটো, তাকে টেনে নিজের বুকের আরও কাছে নিয়ে আসো। তোমার শরীরের ভাষা দিয়ে তাকে বুঝিয়ে দাও যে তুমি তাকে কতটা চাইছো। এই কাজগুলো তার রক্তে অ্যাড্রেনালিনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেবে এবং সে দ্বিগুণ শক্তি ফিরে পাবে।

✅শেষ কথা: যখন ভালোবাসা যথেষ্ট নয়❓

এত কিছুর পরেও যদি মনে হয় সমস্যাটা গভীর, তখন ইগোকে প্রশ্রয় দিও না। অনেক পুরুষ ডাক্তারের কাছে যেতে লজ্জা পায়, স্বীকার করতে চায় না।

❤️এখানেই তোমার শেষ এবং সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। তুমি নিজে উদ্যোগ নাও। তাকে বলো, "চলো, আমরা একসাথে একজন বিশেষজ্ঞের কাছে যাই। এটা শুধু তোমার সমস্যা নয়, এটা 'আমাদের' সমস্যা। আমরা একসাথে এর সমাধান করবো।"

যখন তুমি বলবে "আমাদের সমস্যা", তখন দেখবে তার ভেতরের ভয় আর লজ্জা অর্ধেক কমে গেছে। সে ভরসা পাবে যে এই লড়াইয়ে সে একা নয়, তুমি তার সাথে আছো।

💚এখন সিদ্ধান্ত তোমার।

💚তুমি কি সেই লক্ষ লক্ষ নারীর মতো হবে, যারা স্বামীর এই সমস্যায় তাকে দোষারোপ করে, দূরে ঠেলে দেয় এবং নীরবে নিজেদের অতৃপ্তি নিয়ে বেঁচে থাকে?

💚নাকি তুমি হবে সেই স্মার্ট, সাহসী এবং প্রেমময়ী নারী, যে নিজের জ্ঞান, ভালোবাসা আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজের পুরুষকে আবার রাজার মতো ফিরিয়ে আনবে? যে নিজের হাতে নিজের সংসারের সুখকে গড়ে তুলবে?

💚মনে রেখো, একজন সত্যিকারের "অর্ধাঙ্গিনী" শুধু সুসময়ে পাশে থাকে না, সে দুঃসময়ে ঢাল হয়ে দাঁড়ায়।

এখন বলো, তুমি কে? একজন অভিযোগকারী? নাকি একজন সমাধানকারী?
উত্তর দিয়ে যাবেন কমেন্ট বক্সে।

©












03/09/2025

কিভাবে সুন্দর করবেন দাম্পত্য জীবন?

১️-রা'গ কমান:
দুইজন কখনো একসাথে রে'গে যাবেন না। একজন রে'গে গেলে আরেকজন শান্ত থাকবেন।

২️-সঙ্গ কাটান:
একসাথে সময় কাটানোর জন্য পরিকল্পনা করুন—মুভি দেখা, রান্না করা, শপিং করা। দিনেও এক বেলা টেবিলে একসাথে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৩️- ক্ষমাশীল হোন:
ইগোকে দূরে রেখে ক্ষমা চাওয়াটা শিখুন। ক্ষমা মন থেকে হবে, এতে সম্পর্ক মজবুত হয়।

৪️- অতীত ভুল ভুলবেন:
অতীতের ভুল নিয়ে বারবার আলোচনা করবেন না, খোঁ'টা দিবেন না। বর্তমান সুন্দর করলে ভবিষ্যতও হবে সুন্দর।

৫️- পরস্পরের সম্মান করুন:
পার্টনারকে ছোট করে কথা বলা বা মানুষের সামনে মজা করেও আ'ঘাত দেওয়া যাবে না। বরং বেশি বেশি প্রশংসা করুন।

৬️- একটি টিম হোন:
আপনারা এক টিম। একে অপরের স্বপ্ন ও কাজকে সাপোর্ট করুন, সাহায্য করুন। তার সাফল্য আপনার সাফল্য।

৭️- ঝ'গড়া স্বাভাবিক:
রা'গারা'গি ও ঝ'গড়া হবে, এটাকে স্বাভাবিক ভাবুন। দিনের শেষে মাথা ঠান্ডা করে সব ভুলে শান্তিতে দিন শেষ করুন।

৮️- ব্লেম গেম নয়:
নিজের ভুল আগে স্বীকার করুন, নিজের কোথায় ভুল আছে খুঁজে বের করুন।

৯️- ইচ্ছাশক্তি:
একই মানুষটির সঙ্গে দীর্ঘকাল কাটানোর ইচ্ছা থাকতে হবে। মন যদি অন্যদিকে যায়, তবে সম্পর্ক সফল হবেনা।

১০- স্বচ্ছতা বজায় রাখুন:
গোপনীয়তা নয়, দুইজনের মাঝে খোলা বইয়ের মতো স্বচ্ছতা থাকুক।

সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি — ভালোবাসা
আর শ্রদ্ধা ।

19/12/2024

অ্যাডাপটিভ এবং মালঅ্যাডাপটিভ কপিং (Adaptive and Maladaptive Coping)

কপিং (Coping) হলো এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন চাপ বা সমস্যা মোকাবিলা করে মানসিক শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করে। কপিং প্রক্রিয়াটি আমাদের জীবনের মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুঃখ, বা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, কপিং কৌশলগুলি সবসময়ই কার্যকরী বা স্বাস্থ্যকর হতে পারে না। সেগুলিকে দুটি প্রধান ধরনের মধ্যে ভাগ করা হয়: অ্যাডাপটিভ কপিং এবং মালঅ্যাডাপটিভ কপিং।

১. অ্যাডাপটিভ কপিং (Adaptive Coping):

অ্যাডাপটিভ কপিং হলো এমন কৌশল যা একজন ব্যক্তিকে চাপ বা সমস্যা থেকে সহজে উত্তরণ এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সুস্থ, কার্যকরী এবং বাস্তবসম্মত কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়। অ্যাডাপটিভ কপিং প্রক্রিয়া চাপের সঙ্গে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক ফলাফল দেয়।

উদাহরণ:

সমস্যা সমাধান (Problem-solving): সমস্যা বা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলে, কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা। যেমন, কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

অর্থপূর্ণ চর্চা (Mindfulness or Meditation): মানসিক শান্তি বজায় রাখতে মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের চর্চা করা।

আবেগ প্রকাশ (Emotional Expression): অনুভূতি ও আবেগ স্বীকার করে বন্ধু বা পরিবারকে শেয়ার করা।

সামাজিক সহায়তা (Seeking Social Support): বন্ধু, পরিবার বা সহকর্মীদের কাছে সাহায্য বা পরামর্শ নেওয়া।

হাস্যরস (Humor): পরিস্থিতির মাঝে হাস্যরসের মাধ্যমে চাপ কমানো।
অ্যাডাপটিভ কপিং কৌশলগুলো ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে। এটি একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাকে কঠিন পরিস্থিতিতে স্থির থাকতে সাহায্য করে।

২. মালঅ্যাডাপটিভ কপিং (Maladaptive Coping):

মালঅ্যাডাপটিভ কপিং হলো এমন কৌশল যা চাপ বা সমস্যার সাথে সঠিকভাবে মোকাবিলা না করে, বরং সাময়িকভাবে সমস্যা এড়িয়ে চলে বা আরো জটিলতা সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত অসুস্থ এবং দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মালঅ্যাডাপটিভ কপিং কৌশলগুলো ব্যক্তি বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্য খারাপ করতে পারে।

উদাহরণ:
মাদকসেবন বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ (Substance Abuse): সমস্যার থেকে পালানোর জন্য মাদক বা অ্যালকোহল ব্যবহার করা।

আবেগ দমন (Emotional Suppression): অনুভূতিগুলো দমন বা এড়িয়ে চলা, যেমন রাগ বা দুঃখ অনুভূতি প্রকাশ না করা।

অতিরিক্ত খাওয়া (Overeating): মানসিক চাপ কমানোর জন্য অতিরিক্ত খাবার খাওয়া (এটি একটি খাদ্যজনিত ব্যাধির দিকে পরিচালিত করতে পারে)।

প্রত্যাখ্যান (Denial): চাপ বা সমস্যা সম্পর্কে অস্বীকার করা বা মনে না করা, যেমন একজন ব্যক্তি তার স্বাস্থ্যের সমস্যা সম্পর্কে অবহেলা করা।

অতিসক্রিয়তা বা মিথ্যা রূপে প্রতিক্রিয়া (Overcompensation): অন্যদের সাথে সঠিক সম্পর্ক স্থাপনে অতিরিক্ত চেষ্টা বা চাপের মধ্যে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া।

মালঅ্যাডাপটিভ কপিং কৌশলগুলো সাধারণত সমস্যার স্থায়ী সমাধান না দিয়ে সাময়িকভাবে পিছু হটানোর চেষ্টা করে, যা শেষে আরো গুরুতর মানসিক বা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যাডাপটিভ এবং মালঅ্যাডাপটিভ কপিং-এর মধ্যে পার্থক্য:

বিষয়
অ্যাডাপটিভ কপিং
মালঅ্যাডাপটিভ কপিং

উদ্দেশ্য
সমস্যা সমাধান ও মানসিক শান্তি অর্জন
সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া বা চাপ সাময়িকভাবে কমানো

প্রভাব
সুস্থ, স্থিতিশীল মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য
দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে

কৌশল
সমস্যা সমাধান, আবেগ প্রকাশ, সামাজিক সহায়তা
মাদকসেবন, আবেগ দমন, অস্বীকার, অতিরিক্ত খাওয়া

ফলাফল
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, সুস্থ সম্পর্ক, মানসিক শান্তি
মানসিক অবসাদ, শারীরিক সমস্যা, সম্পর্কের টানাপোড়েন

কেন কপিং গুরুত্বপূর্ণ?

কপিং কৌশল একজন ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা, দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক কপিং কৌশলগুলো ব্যক্তি ও তার পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে। অপরদিকে, ভুল বা অসুস্থ কপিং কৌশলগুলি চাপ এবং সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে, যা দীর্ঘমেয়াদী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যাডাপটিভ কপিং কৌশলগুলি সঠিকভাবে চাপ মোকাবিলা করতে সহায়ক, এবং এটি ব্যক্তির মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা রক্ষা করে। অন্যদিকে, মালঅ্যাডাপটিভ কপিং সাধারণত সাময়িক শান্তি দিলেও দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করতে পারে। সুতরাং, কপিং কৌশলগুলির মধ্যে সঠিক সমন্বয় প্রয়োজন, যাতে চাপ এবং সমস্যার মোকাবিলা করার সময় একজন ব্যক্তি সুস্থ এবং স্থিতিশীল থাকতে পারে।

উচ্চবিত্তের মত স্বপ্নমধ্যবিত্তের মত চলাফেরানিম্নমধ্যবিত্তের মত বাজারনিম্নবিত্তের মত জীবনমিসকিনের মত মানিব্যাগ নিয়েও ভালো...
04/11/2024

উচ্চবিত্তের মত স্বপ্ন
মধ্যবিত্তের মত চলাফেরা
নিম্নমধ্যবিত্তের মত বাজার
নিম্নবিত্তের মত জীবন
মিসকিনের মত মানিব্যাগ নিয়েও ভালো আছি
আলহামদুলিল্লাহ

আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াজবুরনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমার সব ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমাকে রিজিক দান করুন।

কগনিটিভ ডিস্টরশানস: একটি পরিচিতিকগনিটিভ ডিস্টরশানস (Cognitive Distortions) হল চিন্তা প্রক্রিয়ার কিছু বিকৃতি, যা মানুষের ...
24/10/2024

কগনিটিভ ডিস্টরশানস: একটি পরিচিতি

কগনিটিভ ডিস্টরশানস (Cognitive Distortions) হল চিন্তা প্রক্রিয়ার কিছু বিকৃতি, যা মানুষের বাস্তবতা উপলব্ধিতে প্রভাব ফেলে। এই ধরনের বিকৃত চিন্তা আমাদের অনুভূতি এবং আচরণকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে।

কগনিটিভ ডিস্টরশানসের কিছু সাধারণ ধরনঃ

১. অতি সাধারীকরণ (Overgeneralization):
একটি নেতিবাচক ঘটনা ঘটে গেলে, আমরা তা থেকে একটি সাধারণ নীতিতে পৌঁছে যাই। যেমন, "আমি পরীক্ষায় ফেলেছি, তাই আমি কখনো সফল হব না।"

২. নেগেটিভ ফিল্টারিং (Negative Filtering):
ভালো কিছু ঘটলেও, শুধুমাত্র নেতিবাচক দিকগুলোকে দেখার প্রবণতা। উদাহরণস্বরূপ, "আমি একটি প্রকল্পের প্রশংসা পেলাম, কিন্তু কিছু ছোটখাটো ভুল ছিল, তাই আমি ব্যর্থ।"

৩. মাইন্ড রিডিং (Mind Reading):
অন্যদের চিন্তা এবং অনুভূতি অনুমান করা। যেমন, "আমার বন্ধুরা আমার কথা শুনছে না, তারা আমাকে আর ভালোবাসে না।"

৪. দর্শনগত চিন্তা (Black-and-White Thinking):কোন কিছুকে সম্পূর্ণ ভালো বা পুরোপুরি খারাপ হিসেবে দেখা। উদাহরণস্বরূপ, "যদি আমি সেরা না হই, তবে আমি পুরোপুরি ব্যর্থ।"

৫. অনুরোধ ও দায়িত্ববোধের অবমূল্যায়ন (Disqualifying the Positive):
ইতিবাচক ঘটনা বা প্রশংসাকে অবমূল্যায়ন করা। যেমন, "আমার সফলতা কোনও অর্থ নেই, কারণ আমি কঠিন পরিশ্রম করিনি।"
কগনিটিভ ডিস্টরশানসের প্রভাব

এই ধরনের বিকৃত চিন্তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি উদ্বেগ, বিষণ্নতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কগনিটিভ ডিস্টরশানসের কারণে আমরা নেতিবাচক অনুভূতিতে ডুবে যাই এবং এটি আমাদের জীবনকে ব্যাহত করতে পারে।

সমাধান ও প্রতিকারঃ

কগনিটিভ ডিস্টরশানস মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:

১. কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT):
এই থেরাপির মাধ্যমে, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আমাদের চিন্তাধারাগুলো চিহ্নিত করতে এবং সেগুলোকে বাস্তবতার সাথে পুনর্মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে।

২. জার্নালিং:
দৈনন্দিন অনুভূতি ও চিন্তা লিখে রাখলে, সেগুলোকে বিশ্লেষণ করা সহজ হয় এবং বিকৃত চিন্তা চিহ্নিত করা যায়।

৩. সমর্থন ব্যবস্থা:
বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলা আমাদের চিন্তা পরিষ্কার করতে এবং নতুন দৃষ্টিকোণ পেতে সাহায্য করতে পারে।

৩. মাইন্ডফুলনেস:
বর্তমান মুহূর্তে মনোনিবেশ করা, চিন্তার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।

কগনিটিভ ডিস্টরশানস আমাদের চিন্তা এবং অনুভূতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। এগুলো চিহ্নিত করে এবং সঠিক কৌশল ব্যবহার করে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারি। মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝে চলা এবং কগনিটিভ ডিস্টরশানসের বিরুদ্ধে সচেতন থাকা আমাদের জীবনকে আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। ©

23/10/2024

এগ্রেশন ও আচরণ: আক্রমণাত্মক আচরণের মনস্তাত্ত্বিক কারণ

আক্রমণাত্মক আচরণ বা এগ্রেশন মানব সমাজের একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি ব্যক্তির মনে, সামাজিক পরিবেশে এবং সম্পর্কের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলে। আক্রমণাত্মক আচরণের মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলি বোঝা মানে একাধিক দিক থেকে মানুষের আচরণকে বিশ্লেষণ করা।

ক. আক্রমণাত্মক আচরণের সংজ্ঞা

আক্রমণাত্মক আচরণ হল এমন একটি কার্যকলাপ যা অন্যের প্রতি শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এটি বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হতে পারে, যেমন:

শারীরিক সহিংসতা (যেমন মারধর, লড়াই)
মানসিক সহিংসতা (যেমন গালি দেওয়া, অপমান)

খ. মনস্তাত্ত্বিক কারণ

১. জিনগত প্রভাব:

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, জিনগত উপাদান আক্রমণাত্মক আচরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। পারিবারিক ইতিহাস, বিশেষ করে বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের আক্রমণাত্মক আচরণ, সন্তানের আচরণে প্রতিফলিত হতে পারে।

২. পরিবেশগত প্রভাব:

সামাজিক পরিবেশ এবং সংস্কৃতি আক্রমণাত্মক আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে। যেসব পরিবেশে সহিংসতা সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য, সেখানে মানুষদের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

৩. মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ:

জীবনের চাপ, হতাশা, এবং উদ্বেগ আক্রমণাত্মক আচরণের প্রধান কারণ। যখন কেউ মানসিক চাপ অনুভব করে, তখন তারা ক্রমাগত অসন্তোষ এবং বিরক্তির মধ্যে থাকতে পারে, যা আক্রমণাত্মক আচরণের দিকে ধাবিত করে।

৪. সামাজিক শিখন তত্ত্ব:

আলবার্ট বন্দুরা (Albert Bandura) এর গবেষণা অনুযায়ী, মানুষ অন্যদের আচরণ দেখে শিখে এবং মডেলিং করে। যদি একজন ব্যক্তি সহিংস আচরণ দেখেন, তাহলে তিনি সেটি গ্রহণ করতে পারেন।

৫. আবেগের অভাব:

যখন কেউ তাদের আবেগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারে, তখন তারা আক্রমণাত্মক আচরণের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। ক্ষোভ বা রাগ সংবরণের অভাব আক্রমণাত্মক আচরণ তৈরি করতে পারে।

৬. মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন:

কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট রাসায়নিক, যেমন সেরোটোনিনের কম স্তর আক্রমণাত্মক আচরণের সাথে যুক্ত। মস্তিষ্কের কিছু অংশ, যেমন অ্যামিগডালা, আবেগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. আচরণগত ফলাফল

আক্রমণাত্মক আচরণ সমাজের জন্য বেশ কিছু নেতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসে:
সম্পর্কের অবনতি: আক্রমণাত্মক আচরণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, যা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণ হতে পারে।

আইনি সমস্যা: শারীরিক সহিংসতা আইনত অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়, যা ব্যক্তির জীবনে জটিলতা সৃষ্টি করে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: আক্রমণাত্মক আচরণের ফলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন উদ্বেগ, অবসাদ বৃদ্ধি পায়।

আক্রমণাত্মক আচরণ একটি জটিল বিষয়, যার পেছনে নানা মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। এটি ব্যক্তির জীবনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে, যা সমাজের জন্যও হুমকি। আক্রমণাত্মক আচরণ প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতার উন্নয়ন ঘটালে, আক্রমণাত্মক আচরণের হার কমানো সম্ভব। ©


সাব্বির আহমদ জুয়েল
কনসালট্যান্ট (সাইকোলজি)
অটিজম ও এনডিডি সেবাদান কেন্দ্র, যশোর

Address

ঝিনাইদহ
Jhenida
7300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MIND CARE posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

নিউজ ঝিনাইদহ ডট কম সম্পূর্ণ ঝিনাইদহ তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক সাইট

প্রিয় ঝিনাইদহবাসী আস-সালামু ওয়ালাইকুম, আশাকরি ভালো আছেন, আমরা অত্যান্ত আনান্দের সাথে জানাচ্ছি যে, শুধুমাত্র ঝিনাইদহ জেলার সংবাদ ভিত্তিক অন লাইন নিউজ www.newsjhenaidah.comদীর্ঘদিন কারিগরী ত্রুটির জন্য বন্ধ থাকার পর গত ২৬ মার্চ থেকে সম্পুর্ন নতুন রুপে, ঝিনাইদহের আনাচে কানাচের, অলি গলির সকল সংবাদ সবার আগে নিয়ে, সত্য ও সঠিক উপস্থাপনায় আত্নপ্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঝিনাইদহের সকল মানুষের মতামত, পরামর্শ, সহযোগীতা কামনা করছি। আপনি যদি ঝিনাইদহকে নিয়ে কিছু ভেবে থাকেন, ঝিনাইদহকে নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখেন তাহলে আপনার কথা গুলো আমাদেরকে জানান। www.newsjhenaidah.com শুধু মাত্র ঝিনাইদহের তথা ঝিনাইদহবাসীর সংবাদ প্রকাশ করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। বিশ্বের যে প্রান্তে ঝিনাইদহবাসী আছে সেখানেই সংবাদ প্রকাশ করতে অথবা সংবাদ খুজতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমাদের সাথে যোগ দিন। ঝিনাইদহ জেলার প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা, থানা, হাসপাতাল, সহ দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রবাসে আমাদের প্রতিনিধি খুজছি, আপনি যদি আমাদের এই প্রচেষ্টাকে ভালো মনে করেন, যদি আপনার এলাকার যে কোন খবর, তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগ দিন, আসুন ঝিনাইদহকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরি, ঝিনাইদহের সকল মানুষের কাছে সকল সংবাদ পৌছে দিই। আপনার মোবাইল নাম্বারসহ আমাদের সাথে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ঝিনাইদহের সাথে থাকুন ঝিনাইদহের পাশে থাকুন www.newsjhenaidah.com