জার্মানি হোমিও শিক্ষালয়

জার্মানি হোমিও শিক্ষালয় ♦আসুন আমরা সঠিক হোমিও চিকিৎসা শিখি ও সফল হোমিও চিকিৎসক হই♦
(1)

Big shout out to my newest top fans! 💎 Safiul Azam, Haralal Roy, Sudipta Banerjee, Md. Masum Billah, Belal Hossain, Sara...
08/10/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎 Safiul Azam, Haralal Roy, Sudipta Banerjee, Md. Masum Billah, Belal Hossain, Saraf Sepon

Drop a comment to welcome them to our community,

অভিনন্দন সদ্য ডাক্তার হওয়া  ভাইয়া ও আপুদের 💝ডাঃ হিসেবে সফল হোক আপনাদের আগামীর পথচলা,সুস্থ ও সুন্দর হোক আপনাদের জীবন।আপনা...
08/10/2025

অভিনন্দন সদ্য ডাক্তার হওয়া ভাইয়া ও আপুদের 💝
ডাঃ হিসেবে সফল হোক আপনাদের আগামীর পথচলা,সুস্থ ও সুন্দর হোক আপনাদের জীবন।

আপনাদের মাধ্যমে সুস্থ ও সুন্দর হোক অগণিত মানুষের জীবন।

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Manjari Chaudhuri, Sudip Guria, Enam Jishan, Arzu Arzu Ah...
08/10/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Manjari Chaudhuri, Sudip Guria, Enam Jishan, Arzu Arzu Ahmed, Sukanta Tudu, DrYousuf Ali, উজ্জ্বল রোদ্দুর, ডাঃ রুপম বড়ুয়া, Prasanta Biswas, Rajib Paul, Piku Biswas, মোস্তাফিজুর রহমান, Somnath Halder, Samiran Dey, Sabiar Rahaman Raju, Torikul Islam Torik, Palas Sen, Rashedul Islam, Shyamal Samanta, Md Taleb, Nakul Bain, Asadul Haque Laskar, Kazi Mahabub, Aziz Choudhury, Firoj Ahmmed, Dibakar Dey, Riajul Islam, Haradhan Shil, Kesab Karmakar, Suman Bhattyacharya, Subir Mondal, Aminur Islam, Sakhawat Hossain, M***i Abdul Bari Qasimi, S M Mehrob Hossain, Asif Arman Chowdhury, DrRajpaul Singh Chauhan, Daljeet Singh, Bablu Sardar, Sumit Banerjee, Shubhankar Saha, Pradip Nandi, Prabir Chakraborty, Munna Mondal, MD A R Khan, Fatimatuzzohra Tima, Abdul Kuddus Mondal, Prova Roy, Debarati Dutta, Krishna Das

 #ব্যথা  ,   ,  ,   ,     and  their  homeopathic  cure  (ব্যথা,  বেদনা, বাত,  বাতের  ব্যথা,  গিরা  ব্যথা  এবং  তাদের  হ...
08/10/2025

#ব্যথা
, , , , and their homeopathic cure (ব্যথা, বেদনা, বাত, বাতের ব্যথা, গিরা ব্যথা এবং তাদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা) ঃ- ব্যথার ধরন, ব্যথার কারণ ইত্যাদি লক্ষণ মিলিয়ে ঔষধ খেতে হবে। সব ধরনের ব্যথায় একই ঔষধ খেলে চলবে না।

Aconitum napellus : একোনাইট ব্যথার একটি সেরা ঔষধ। সাধারণত ভয়ঙ্কর ধরণের ব্যথা, ছুড়ি মারার মতো ব্যথা, হুল ফোটানোর ব্যথা, ব্যথার চোটে দম বন্ধ হয়ে আসে, ব্যথা যদি হঠাৎ দেখা দেয় এবং ব্যথার চোটে যদি ‘এখনই মরে যাব’ এমন ভয় হতে থাকে, তবে একোনাইট খেতে হবে।
Arnica montana : যে-কোন ধরনের আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো বা উপর থেকে পতনজনিত ব্যথায় আর্নিকা খেতে হবে। পেশী বা মাংশের ব্যথায় আর্নিকা এক নম্বর ঔষধ। শরীরের কোন একটি অঙ্গের বেশী ব্যবহারের ফলে যদি তাতে ব্যথা শুরু হয়, তবে আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। যদি শরীরের কোন অংশে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে); এমন লক্ষণে আর্নিকা প্রযোজ্য। আঘাত পাওয়ার কয়েক বছর পরেও যদি সেখানে কোন সমস্যা দেখা দেয়, তবে আর্নিকা সেটি নিরাময় করবে।
Bryonia alba : মাথা ব্যথা, জয়েণ্টের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, মাংশের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে ব্রায়োনিয়া সেবন করতে পারেন যদি সেই ব্যথা নড়াচড়া করলে বেড়ে যায়। ব্রায়োনিয়ার লক্ষণ হলো আক্রান্ত অঙ্গ যত বেশী নড়াচড়া করবে, ব্যথা তত বেশী বৃদ্ধি পেতে থাকে।
Rhus Toxicodendron : পক্ষান্তরে মাথা ব্যথা, জয়েণ্টের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, মাংশের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে রাস টক্স সেবন করতে পারেন যদি সেই ব্যথা নড়াচড়া করলে কমে যায়। রাস টক্সের লক্ষণ হলো আক্রান্ত অঙ্গ যত বেশী নড়াচড়া করবে, ব্যথা তত বেশী কমতে থাকে।খুব ভারী কিছু উঠাতে গিয়ে কোমরে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে ব্যথা পেলে রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ।
Chamomilla : যদি ব্যথার তীব্রতায় কোন রোগী দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়ে, তার ভদ্রতাজ্ঞানও লোপ পেয়ে যায়, সে ডাক্তার বা নার্সকে পযর্ন্ত গালাগালি দিতে থাকে;তবে তাকে ক্যামোমিলা খাওয়াতে হবে। ক্যামোমিলা হলো অভদ্র রোগীদের ঔষধ।
Colchicum autumnale : কলচিকাম গেটে বাত বা জয়েন্টের ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। ছোট ছোট জয়েন্টের বাতে এবং বিশেষত পায়ের বৃদ্ধাঙুলের বাতের ব্যথায় কলচিকাম প্রযোজ্য। কলচিকামের প্রধান লক্ষণ হলো খাবারের গন্ধে বমি আসে এবং আক্রান্ত অঙের জোর/শক্তি কমে যায়।
Hypericum perforatum : যে-সব আঘাতে কোন স্মায়ু ছিড়ে যায়, তাতে খুবই মারাত্মক ব্যথা শুরু হয়, যা নিবারণে হাইপেরিকাম খাওয়া ছাড়া গতি নেই। শরীরের সপর্শকাতর স্থানে আঘাত পেলে বা কিছু বিদ্ধ হলে হাইপেরিকাম খেতে হবে ঘনঘন।যেমন- ব্রেন বা মাথা, মেরুদন্ড, (পাছার নিকটে) কণ্ডার হাড়ে, আঙুলের মাথায়, অণ্ডকোষে ইত্যাদি ইত্যাদি। (তবে যে-সব ক্ষেত্রে পেশী এবং স্নায়ু দুটোই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে বলে মনে হয়, তাতে আনির্কা এবং হাইপেরিকাম একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন।) আঘাতের স্থান থেকে প্রচণ্ড ব্যথা যদি চারদিকে ছড়াতে থাকে বা খিঁচুনি দেখা দেয় অথবা শরীর ধনুকের ন্যায় বাঁকা হয়ে যায় (ধনুষ্টঙ্কার), তবে হাইপেরিকাম ঘনঘন খাওয়াতে থাকুন।
Ledum palustre : সূচ, আলপিন, তারকাটা, পেরেক, টেটা প্রভৃতি বিদ্ধ হলে ব্যথা কমাতে এবং ধনুষ্টঙ্কার / খিচুনি ঠেকাতে লিডাম ঘনঘন খাওয়ান। অর্থাৎ যে-সব ক্ষেত্রে কোনকিছু শরীরের অনেক ভেতরে ঢুকে যায়, তাতে লিডাম প্রযোজ্য। এই ক্ষেত্রে লিডাম ব্যথাও দূর করবে এবং ধনুষ্টংকার হলে তাও সারিয়ে দেবে।চোখে ঘুষি বা এই জাতীয় কোনো আঘাত লাগলে লিডাম এক ঘণ্টা পরপর খেতে থাকুন। বাতের ব্যথায় উপকারী বিশেষত যাদের পা দুটি সব সময় ঠান্ডা থাকে।
Kali bichromicum: ক্যালি বাইক্রোম প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা আঙুলের মাথার মতো খুবই অল্প জায়গায় হয়ে থাকে,ব্যথা ঘন ঘন জায়গা বদল করে ইত্যাদি ইত্যাদি।
Plantago Major : দাঁত, কান এবং মুখের ব্যথায় প্লানটাগো মেজর এমন চমৎকার কাজ করে যে, তাকে এক কথায় যাদু বলাই যুক্তিসঙ্গত।পত্রিকায় দেখলাম, একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের দাঁতব্যথা সারাতে না পেরে ডেন্টিস্টরা শেষ পযর্ন্ত একে একে তাঁর ভালো ভালো চারটি দাঁতই তুলে ফেলেছেন। আহা ! বেচারা ডেন্টিস্টরা যদি প্লানটাগো’র গুণের কথা জানত, তবে প্রবীন এই সাংবাদিকের দাঁতগুলো বেচেঁ যেতো।
Pulsatilla pratensis : পালসেটিলা’র ব্যথার প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করে। আজ এক জায়গায় তো কাল অন্য জায়গায় কিংবা সকালে এক জায়গায় তো বিকালে অন্য জায়গায়।
Lac caninum : ল্যাক ক্যান-এর ব্যথার প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা ঘনঘন সাইড/ পার্শ্ব পরিবর্তন করে। আজ ডান পাশে তো কাল বাম পাশে কিংবা সকালে সামনের দিকে তো বিকালে পেছনের দিকে।
Bellis perennis : প্রচণ্ড গরমের সময় অথবা পরিশ্রম করে ঘর্মাক্ত শরীরে আইসক্রিম বা খুব ঠান্ডা পানি খাওয়ার পরে যদি ব্যথা বা অন্য যে-কোন রোগ দেখা দেয়, তবে বেলিস পিরেনিস খাওয়া ছাড়া আপনার মুক্তির কোন বিকল্প রাস্তা নাই।
Magnesia phosphorica : ম্যাগ ফস স্মায়বিক ব্যথার এক নম্বর ঔষধ। ইহার ব্যথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছুড়ি মারা অথবা চিড়িক মারা ধরণের মারাত্মক ব্যথা।আক্রান্ত অঙ্গকে মনে হবে কেউ যেন লোহার হাত দিয়ে চেপে ধরেছে।

Thuja occidentalis : টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে ব্যথা হলে থুজা খেতে হবে। টিকা নেওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চিড়িক মারা ব্যথা (neuralgia, sciatica) অর্থাৎ স্নায়বিক ব্যথা হয় এবং বার্নেটের মতে থুজা হলো ইহার শ্রেষ্ট ঔষধ।

( #বিঃদ্রঃ- ইহা ছাড়াও Colic (পেট ব্যথা, শূলবেদনা) অধ্যায়ে আলোচিত ঔষধগুলোও লক্ষণ মিলে গেলে খেতে পারেন।)

--Dr Bashir Mahmud

 #হার্পিস (Herpes) – লক্ষণ, কারণ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা হার্পিস কী?হার্পিস একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ (Herpes Simplex Virus ...
06/10/2025

#হার্পিস (Herpes) – লক্ষণ, কারণ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

হার্পিস কী?
হার্পিস একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ (Herpes Simplex Virus – HSV দ্বারা সৃষ্ট)। সাধারণত ঠোঁট, মুখ, যৌনাঙ্গ বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা ঘা আকারে দেখা যায়।

লক্ষণসমূহ:
ছোট ছোট পানিভরা ফুসকুড়ি বা ঘা
জ্বালাপোড়া ও ব্যথা
বারবার একই জায়গায় ফিরে আসা
দুর্বলতা ও অস্বস্তি

কারণ:
HSV-1 : সাধারণত মুখ ও ঠোঁটে হয়
HSV-2 : যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ঘটায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে বেশি দেখা দেয়
মানসিক চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, ঘুমের অভাব

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা:
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীর সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ বিচার করে ঔষধ দেওয়া হয়। এর ফলে রোগ নিয়ন্ত্রণ হয় ও পুনরাবৃত্তি কমে যায়।

হার্পিসে ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হোমিও ঔষধ:
Natrum mur – ঠোঁট ও মুখে ফুসকুড়ি হলে
Rhus tox – জ্বালা ও চুলকানি বেশি হলে
Merc sol – মুখ ও জিহ্বায় ঘা, দুর্গন্ধযুক্ত লালা হলে
Graphites – ফেটে গিয়ে চটচটে তরল বের হলে
Arsenicum alb – অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া ও অস্থিরতা থাকলে

এছাড়াও হোমিওতে হার্পিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রযেছে।

#বিঃদ্রঃ ঔষধ অবশ্যই রোগীর সম্পূর্ণ কেস দেখে হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করা উচিত।

প্রকৃত হোমিও চিকিৎসায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বারবার হার্পিস হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যায়।

*★*★*★ #শ্বেতী রোগের কর্যকরি কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ★*★*★শ্বেতী বা ধবল (    / )  রোগ কী? শ্বেতী ত্বকের একটি রোগ। আমাদের ...
06/10/2025

*★*★*★ #শ্বেতী রোগের কর্যকরি কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ★*★*★
শ্বেতী বা ধবল ( / ) রোগ কী?

শ্বেতী ত্বকের একটি রোগ।

আমাদের ত্বকের মধ্যে মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন, যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙে ( pigment) র ভারসাম্য রক্ষা করে। মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে বা ভারসাম্য নষ্ট হলে দেখা দেয় শ্বেতী। অথাৎ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার গোলযোগের জন্য
রক্তে এক ধরনের শ্বেত কণিকা টি-লিম্ফোসাইট বেড়ে যায়, এরাই মেলানোসাইট কোষ কে ধ্বংস করে।

মেলানিন শরীরে কী কাজ করে?

আপনার চুল, ত্বক এবং চোখের রঙ নির্ধারণে মেলানিন একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার জিনগুলি, আপনার পিতামাতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত, আপনি কতটা মেলানিন তৈরি করেন তা মূলত নির্ধারণ করে; ফর্সা (হালকা বর্ণের) ত্বকের লোকের চেয়ে কালো ত্বকের লোকেরা বেশি মেলানিন পান।

মেলানোজেনেসিস নামে পরিচিত বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে দেহ মেলানিন তৈরি করে।

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ শ্বেতীতে আক্রান্ত। প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনও এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই প্রতি বছর ২৬ জুন তাঁর প্রয়াণ দিবসে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড ভিটিলিগো ডে’ বা বিশ্ব শ্বেতী দিবস হিসেবে।

সাধারণত মুখমণ্ডল, কনুই, বুকের ত্বক প্রথমে আক্রান্ত হতে শুরু করে। কখনো কখনো শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুই পাশে বা ঠোঁটের কোণ বা ওপরের ত্বকেও শুরু হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে শ্বেতী খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। আবার কারও এমনভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই যায় না একসময় শরীরের রং কী ছিল।

সাধারণত দেখা যায় ১০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম শুরু হয়,আবার মহিলাদের মেনোপজের সময়ও দেখা দিতে পারে।

এই রোগ কেন হয় ঃ-

একটাই উত্তর অটো ইমিউন ডিজঅর্ডার।

এখন প্রশ্ন অটোইমিউন ডিজঅর্ডার কি

যেখানে একজন লোকের ইমিউন সিস্টেম ভুলবশত তার শরীরকে আক্রমণ করে। আরো সহজ ভাবে বললে, বাইরের কোনো ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর প্রভাব ছাড়াই রোগ সৃষ্টি হয় কারণ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কোনো সুস্থ কোষকে ক্ষতিকর মনে করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

সাধারণত ইমিউন সিস্টেম ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মতো জীবাণু থেকে আমাদেরকে সুরক্ষা দেয়- যখন ইমিউন সিস্টেম বুঝতে পারে যে শরীরে আক্রমণকারী প্রবেশ করেছে, তখন এটি এসব শত্রুকে আক্রমণ করতে অ্যান্টিবডি নিঃসরণ করে। সাধারণত ইমিউন সিস্টেম শত্রু কোষ ও সুস্থ কোষের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করতে পারে।

কিন্তু অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে ইমিউন সিস্টেম শরীরের কোনো অংশকে শত্রু ভেবে ভুল করে এবং অটোঅ্যান্টিবডি নামক প্রোটিন নিঃসরণের মাধ্যমে সুস্থ কোষকে আক্রমণ করে।

ইমিউন সিস্টেম সেনাবাহিনীর মতো

ইমিউন সিস্টেম অ্যান্টিবডি নিঃসরণ করে রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব থেকে আমাদেরকে সুরক্ষিত রাখে। অ্যান্টিবডি হলো রক্তের প্রোটিন যা আক্রমণকারীকে নিষ্ক্রিয় করে। এটিকে বলা হয় ইমিউন রেসপন্স। সুস্থ কোষের ওপর এ আক্রমণ শরীরের যেকোনো স্থানে হতে পারে । শ্বেতির ক্ষেত্রে ত্বকের মেলানোসাইট কোষ নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়ে মেলানিন তৈরি হতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ত্বকের স্বাভাবিক রঙ ( pigment) না হয়ে সাদা দেখায়।

অটো ইমিউন ডিজঅর্ডার কেন হয়?

আধুনিক বিশ্বে যে আহার করি তা অধিকাংশ কেমিক্যাল যুক্ত এমনকি বহুল প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি র ঔষধগুলো কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। পরিবেশ দূষণকারী পদার্থের সংস্পর্শে আসা, জীবন শৈলী সঠিক ভাবে পালন না করা।

শ্বেতি র ক্ষেত্রে দেখা যায় প্লাস্টিকের জুতো পড়ার জন্য, কোমরে জোড়ে বেল্ট বা দড়ি বাঁধার জন্য বা কেটে যাওয়ার জায়গা বা পুড়ে যাওয়ার বা কেমিক্যাল যুক্ত সিঁদুর পড়া, গলা ও হাতে খারাপ রাসায়নিকের দিয়ে গহনা পড়ার জায়গায় মেলামিন তৈরি হচ্ছে না। এগুলো থেকে বিরত থাকলে কোন ঔষধ ছাড়াই ঠিক হয়ে যায়। এটা করে শরীরের ইমিউন সিস্টেম। আবার দেখা যায় বিছিন্ন ভাবে কয়েকটি জায়গায় হলো কিন্তু আর বাড়ছে না, আবার কিছু লোকের ক্ষেত্রে ত্বকের দুই একটি জায়গায় প্রথমে দেখা দিয়ে আস্তে আস্তে সমস্ত শরীরের ছরিয়ে পরলো।
এর কারন ইমিউন সিস্টেম ঠিক ঠাক কাজ করছে না।

প্রথমে ইমিউন সিস্টেম কে ঠিক করতে হবে।

*★*★*★হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমন্ধে বলার আগে করনীয় পরামর্শ ঃ-★*★*

১).আপনার আহারে পরিবর্তন করতে হবে মাছ,মাংস, ডিম সহ দুধ বা দুধের তৈরি কোন খাবার বন্ধ করতে হবে। যেমন টক দই,ছানা বা পনির। যে সব্জিতে আপনার এলার্জেন আছে তা বন্ধ করতে হবে। এলার্জেন মানে, যে সব্জিতে আপনার এলার্জি হয়, তা বন্ধ করবেন।

২). প্রচুর পরিমানে সতেজ শাকসব্জী, পাকা ফল খেতে হবে।

৩). কোন রকম সংরক্ষণ করা খাবার বা কেমিক্যাল যুক্ত খাবার আহার করা উচিত নয়।

৪). খাবার সময় এবং ঘুমানোর সময় নির্দিষ্ট করতে হবে।

৫). প্রতিদিন ১২ ঘন্টা উপবাস ( Firsting) দরকার

৬) মাসে এক বার পূর্ণ দিবস উপবাস দরকার যাতে।যাতে শরীর নিজের শরীর কে মেরামত করতে পারে।

৭).শ্বেতি রোগীরা কখনও কোন সবান, পেট্রোলিয়াম জেলি, কসমেটিক ব্যবহার করবেন না, প্রয়োজনে নিম পাতা জলে ফুটিয়ে, জলের মিশিয়ে স্থান করুন।

৮) টমেটো সহ কোন টক জাতীয় ফল বা টক কোন খাবার খাবেন না।

৯).মানসিক কোন উৎকন্ঠা রাখবেন না

১০). নিজেকে নিজে বেশি বেশি করে ভালোবাসতে হবে।নিজেকে গর্বিত মনে করুন,এটা কোন সংক্রমণ রোগ নয়।একজন থেকে আরেক জনের আক্রান্ত হবে।

১১). পানীয়জল ১২ ঘন্টা কোন তাপার পাত্রে রেখে সারাদিন জল পান করবেন।

১২).যে খাবার গুলো প্রতি দিন খাদ্য তালিকায় রাখবেন ঃ-
ক). ৫০ গ্রাম ছোলা ( চানা বা বুট) আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খাবেন। অঙ্কুরত হলে আরো ভালো।

খ). ৫-৬ কাঠ বাদাম ( Almond) খাবেন।

গ). ৫-৬ মিষ্টিকুমড়ার বিচি,তা কাচা বা অল্প ভেজে খাবেন।

ঘ). পাকা পেঁপে ২০০ গ্রামের মতো খাবেন, বা জুস করেও খেতে পারেন। অথবা কাঁচা লাউের ২০০ গ্রাম জুস খেতে পারেন।

১৩). শ্বেতি একটি চর্মরোগ। আর চর্ম, শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় দেখা যায়, শরীরের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীরা সম্পুর্ণ ভাবে এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে থেকে। সারা জীবনের আর আক্রান্ত হয় না।

★ARS SUL.FLAV 3X ★
শ্বেতি রোগের নির্ভরযোগ্য ঔষধ। মায়াজাম ভিত্তিক বা উপসর্গ ভিত্তিক ঔষধের সাথে এই ঔষধ চলবে।প্রথমে 3X দিয়ে শুরু করুন, তারপর ক্রমবর্ধমান ঔষধের শক্তি বৃদ্ধি করুন। 3X - 6X- 30CH 200CH- 1M পযন্ত শক্তি বাড়াতে পারেন।

নিন্মলিখিত ঔষধ গুলো মধ্যে যে কোন একটি ঔষধ নির্বাচিত করুন।

১).CAUSTICUM 200

যে সমস্ত রোগীর চোখের পাতায়, নাকের ডগায়, হাতের আঙুলে ও নখের ধারে শ্বেতি দেখা দেয়, এরা খুব ভীতু এবং সামান্য কারণে উদ্বিগ্ন হয়। এই সকল রোগীদের ভালো কাজ করে।

২).ACID. NITRIC 200

যে সকল রোগীদের মিউকাস মেমব্রেন এবং চর্ম্মের সন্ধিস্থলে ( যেমন, ঠোঁটের কোনে, নাকের কোনে বা গুহ্যদ্বারে) শ্বেতি দেখা যায় তাদের খুব ভালো কাজ করে।

৩).SEPIA 200

এই ঔষধটি মহিলাদের জন্য বেশি ব্যবহার হয়। শ্বেতির জন্যেও ব্যবহার করা হয়। যে সকল মহিলারা মেনোপজ হওয়ার সময় শ্বেতি রোগে আক্রান্ত হয়,তাদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। তবে শ্বেতি রোগের সাথে মহিলাদের জরায়ু কোন রোগ থাকলে এই ঔষধ খুব ভালো কাজ করে।

৪).THUJA OC 1M

শ্বেতি রোগীর বংশের কারো শ্বেতি রোগ থাকার ইতিহাস থাকলে, মাসে এক বার এই ঔষধ অবশ্যই প্রয়োগ করবেন

৫).PIPER MENTH 200

শরীরের কোন একটা নির্দিষ্ট স্থানে Skin র উপরে মাছের আঁশের মতো আঁশ উঠে জায়গাটি সাদা হয়ে,অনেক ক্ষেত্রে আপনাআপনি সেরে যায়, কিছু ক্ষেত্রে না সেরে শ্বেতিতে রুপান্তর হয়, সে ক্ষেত্রে এই ঔষধ বিশেষ উপকারী।

৬).CINA 200

শ্বেতি রোগে এই ঔষধ বিশেষ ভুমিকা রাখে। পিনওয়ার্ম বা গুড়ো কৃমি শরীরের পুষ্টিহীনতা জন্য ভীষণভাবে দায়ী। কৃমি শরীরের পুষ্টি উপাদান শোষণ করে শরীরকে দুর্বল করে দেয়। একইসাথে কৃমি শরীরের রক্ত শোষণ করে শরীরে রক্তস্বল্পতা তৈরি করে। এবং অটো ইমিউন ডিজঅর্ডার হয়। এই অটো ইমিউন ডিজঅর্ডারের জন্য কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে শ্বেতি দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে সিনা খুব কর্যকরি ঔষধ, তবে কিছু বিশেষ লক্ষ্মণ লক্ষ্য করতে হবে। ১) সিনা রুগীর জিহ্বা সব সময় পরিস্কার থাকবে।( তা যে রোগ হোক'না কেন।) ২) রুগী রাগী,বয়নাদার ও আবদারে। ৩).রুগী সর্বদা নাক খোঁটে বা নাক ঘোসে।

৭). FILIX MAS 200

এই ঔষধ শ্বেতি রোগের জন্য অনেক সময় ব্যবহার হয়।
ফিতাকৃমির অ্যালারজেনগুলি ছড়িয়ে পরার ফলে রোগীর শরীরে অ্যালার্জি ও ফুসকুড়ির প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।সে থেকে অনেক সময় শ্বেতি রোগ দেখা যায়। যদি দেখা রোগীর ফিতা( TAPE - WORM ) কৃমির ইতিহাস আছে, তা'হলে এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খুবই কর্যকরি

৮).CUPRUM MET 200

সরাসরি শ্বেতির ঔষধ নয়। তবে শরীরে যে সকল খনিজ পদার্থ থাকে তার মধ্যে তামা ( COPPER) একটি বিশেষ ভুমিকা রাখে। আর এই তামা পরিপাক -যন্ত্র, লিভার, কিডনি, সেরিব্রো-স্প্যাইন্যাল সিষ্টেম, নিউমোগ্যাাস্টিক-নার্ভ ও রক্তসঞ্চালকারী যন্ত্রে উপরে কাজ করে। অতএব যে রুগী দীর্ঘ দিন পেটের গন্ডগোলে আক্রান্ত, কিছুতেই পেটের গন্ডগোল থেকে ভালো থাকে না, এবং তারা শ্বেতি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের জন্য একটি কর্যকরি ঔষধ।

এছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে।

★*★বাহ্য প্রয়োগ ( External Use) ★*★

PSORALIA COR Q (Mother tincture)

Oil buchi

JASMINE IOL ( জু্ঁই ফুল তেল) বা ALMOND OIL ( কাঠ বাদাম তেল )
সূর্যের আলো লাগাতে হবে Oil buchi লাগিয়ে।

১ঃ৩ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। দিনে দুই বার।এবং ঔষধ লাগানোর পর আধ ঘন্টা সূর্যরশ্মিতে থাকতে হবে।

★*★★*বিশেষ কথা জেনে রাখা ভালো। ★* ★★*

শরীর কে রোগ মুক্ত করতে প্রতিদিন আহারে ৫০% খাবার ফল এবং স্যালাদ খান অথাৎ কাঁচা পাকা ফল কাঁচা সব্জি খান এতে শরীরে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম পরিমাণের সমতা বজায় রাখে। পটাসিয়াম ও সোডিয়াম ১ঃ১ থাকলে কোন রোগ আক্রান্ত হওয়া র সম্ভাবনা কম থাকে । হলেও autophagy মাধ্যমে শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়।

--ডা: সুব্রত সেনগুপ্ত

#বিঃদ্রঃ এই চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ তাই একজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নিন।

06/10/2025

#হোমিও_ঔষধ_ব্যবহারে_সতর্কতা:

★ #কষ্টিকাম ( Causticum ) ঔষধটিকে কখনও ফসফরাসের ( Phosphorus ) আগে বা পরে ব্যবহার করবেন না ।

★★ #বিশেষত Sulphur, Silicea, Psorinum, Phosphorus, Lachesis, Kali carb, Graphities, Carcinosinum, Zincum নামক ঔষধগুলি ভুলেও উচ্চশক্তিতে খাবেন না । কেননা এতে রোগ বেড়ে যেতে পারে মারাত্মকভাবে এবং তাছাড়াও অন্য ধরণের বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে । এজন্য প্রথমে নিম্নশক্তিতে ( ৩০, ২০০ ) ব্যবহার করে উপকৃত হলেই কেবল প্রয়োজনে উচ্চশক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন ।

★★ #লাইকোপোডিয়াম ( Lycopodium ) নিম্নশক্তিতে দীর্র্ঘদিন ভুল প্রয়োগে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে । এমনকি মৃত্যু পযর্ন্ত হতে পারে ।

★★ হ্যানিম্যানের মতে, সালফারের ( Sulphur ) পূর্বে ক্যালকেরিয়া কার্ব ( Calcarea Carbonica ) ব্যবহার করা উচিত নয় । ( এতে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যেতে পারে ) ।

★★ #ক্যাল্কেরিয়া কার্ব ( Calcarea Carbonica ) এবং ব্রায়োনিয়া ( Bryonia alba ) শত্রুভাবাপন্ন ( inimical ) ঔষধ । কাজেই এই দুটিকে কাছাকাছি সময়ে একটির আগে বা পরে অন্যটিকে ব্যবহার করা নিষেধ ।

★★ #মার্ক সল ( Mercurius solbulis ) এবং সিলিশিয়া ( Silicea ) ঔষধ দুটির একটিকে অপরটি ( কাছাকাছি সময় ) আগে বা পরে ব্যবহার করা উচিত নয় ।

★★ জ্বরের উচ্চ তাপের সময় নেট্রাম মিউর ( Natrum mur ) ঔষধটি প্রয়োগ করা নিষেধ ।

★★ ক্যাল্কেরিয়া কার্ব ( Calcarea Carbonica ) ঔষধটি সালফার বা নাইট্রিক এসিডের ( Nitricum acidum ) পূর্বে ব্যবহার করা নিষেধ ।

★★ #লিডাম ( Ledum ) খেয়ে সৃষ্ট দুর্বলতার চিকিৎসায় চায়না ব্যবহার করা ক্ষতিকর ।

★★ কোন রোগীর যদি নিদ্রাহীনতা থাকে তবে তাকে রাতের বেলা সালফার ( Sulphur ) দিতে পারেন । পক্ষান্তরে যেই রোগী ভালো ঘুমায়, তাকে সকাল বেলায় সালফার খাওয়ানো উচিত । কেননা রাতের বেলা সালফার দিলে তার ঘুমে অসুবিধা হতে পারে । নাক্স ভমিকা ( Nux vomica ) রাতে এবং সালফার সকালে দিতে পারেন যদি তাদের সম্পূরক ( complementary ) ক্রিয়া প্রত্যাশা করেন ।

★★ #বাম ফুসফুসের ব্যথায় ফসফরাস ( Phosphorus ) ঔষধটি ঘন ঘন প্রয়োগ করা বিপজ্জনক । কেননা এতে রোগীর তাড়াতাড়ি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে ।

★★ #মেডোরিনাম ( Medorrhinum ) ঔষধটি হৃরোগীদেরকে কখনও উচ্চশক্তিতে দিতে নাই । এতে করে তার হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে । প্রথমে ২০০ শক্তিতে প্রয়োগ।

-সংগৃহীত

Thanks for being a top engager and making it on to my weekly engagement list! 🎉 Ramkrishna Das, Subrata Sen, MD Rayhan R...
30/09/2025

Thanks for being a top engager and making it on to my weekly engagement list! 🎉 Ramkrishna Das, Subrata Sen, MD Rayhan Rayhan, MD Rakib Khan, Jahidul Islam, Prodip Chakraborty, ধনি নস্কর, Sagor Chandro Biswas, Saidul Islam Sohel, Nazmul Haque Himel, Md Maidur, Asraful Islam, Yeahia Shaikh, Saraf Sepon, Ibrahim Roni, Shorab Hossain, Atikullah Shohag, ডঃ এম আচার্য, Sattar Chisty, Samir Manna, Arindam Bhattacharyya, Arun Kumar Biswas, তমা তমা, DrMominur Rahman, Masud Mia, Jyotirmay Roy, Abul Kasim Barbhuiya, Bishnupada Das, মো আমির হামজা শেখ, Md Nijam Uddin, Misba Hasan Mehedi, Pranay Kumar Barman, Mainul Islam, Aslam Uddin Ahmed, Md Robiul Islam, Arundhati Bhattacharya, Manabendra Ray, Raju Das, Abdul Alim, Ujjwal Chandra, Jiarul Islam, Emdadul Haque, Jahangir Neye, Altab Hossen, জার্মান হোমিও হল, Bhaskar Dey, Monalisa Monisa

 #নাক_থেকে_রক্ত_পড়া ( ) এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃহোমিওপ্যাথি নাক থেকে রক্ত পড়া বা এপিস্ট্যাক্সিসের স্থায়ী প্রবণতা দূর ...
29/09/2025

#নাক_থেকে_রক্ত_পড়া ( ) এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

হোমিওপ্যাথি নাক থেকে রক্ত পড়া বা এপিস্ট্যাক্সিসের স্থায়ী প্রবণতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। সম্পূর্ণ আরোগ্যের জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ মূল কারণকে সংশোধন করার চেষ্টা করে, যা নাক থেকে রক্তক্ষরণের দিকে নিয়ে যায়। নাক থেকে রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ হলো Hamamelis, Phosphorus, Arnica, Millifolium, এবং Carbo Veg।

---

১. Hamamelis – এপিস্ট্যাক্সিসের প্রধান ওষুধ

Hamamelis একটি চমৎকার anti-hemorrhagic ওষুধ। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণে কার্যকর, যার মধ্যে নাকও অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে যখন রক্ত গাঢ়, জমাট বাঁধে না, তখন এটি বেশি কার্যকর। রক্তের সঙ্গে নাকে ব্যথা, টানটানভাব ও চাপের অনুভূতি থাকে। রোগী প্রচণ্ড দুর্বল ও অবসন্ন থাকে।

---

২. Phosphorus – উজ্জ্বল লাল রক্তক্ষরণের জন্য

Phosphorus উজ্জ্বল লাল রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের রক্তক্ষরণে সমানভাবে উপকারী। বিশেষ করে নাসার পলিপ বা দীর্ঘস্থায়ী ক্যাটার থেকে রক্ত পড়লে Phosphorus দেওয়া হয়। এটি বারবার নাক থেকে রক্ত পড়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।

---

৩. Crocus Sativus – কালো বা দড়ির মতো লম্বা রক্তের জন্য

Crocus Sativus খুব কার্যকর, যখন রক্ত কালো, ঘন ও সুতো বা দড়ির মতো লম্বা হয়ে ঝুলে পড়ে। এর সঙ্গে চরম দুর্বলতা ও মাথা ঘোরা থাকতে পারে, এমনকি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় রক্ত পড়ার প্রবণতা থাকলে এটি কার্যকর।

---

৪. Arnica – আঘাত বা ধাক্কার পর রক্তক্ষরণে

Arnica একটি সুপরিচিত anti-trauma ওষুধ। নাকে আঘাত, পড়ে যাওয়া বা ধাক্কার কারণে রক্ত পড়লে Arnica অবশ্যই দিতে হয়। এটি দ্রুত রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। রোগী নাকে ব্যথা ও আঘাত লেগেছে এমন অনুভূতি পায়। এছাড়া টাইফয়েড জ্বরের সময় রক্ত পড়লেও Arnica কার্যকর।

---

৫. Carbo Veg – বারবার নাক থেকে রক্ত পড়ার জন্য

যাদের প্রায়ই নাক থেকে রক্ত পড়ে, তাদের জন্য Carbo Veg একটি আদর্শ ওষুধ। রোগীর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, শরীর ঠান্ডা ও ঘামে ভিজে যায়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এমনকি অজ্ঞানও হতে পারে। রোগী ঠান্ডা বাতাসে ভালো বোধ করে। এটি রক্তক্ষরণের প্রবণতা কমায় এবং শক্তি পুনরুদ্ধার করে।

---

৬. Melilotus – রক্ত পড়লে মাথাব্যথা কমে যায়

যখন প্রচণ্ড ধপধপে মাথাব্যথা ও মুখ লাল হয়ে থাকে, আর নাক থেকে রক্ত পড়লেই আরাম আসে – তখন Melilotus সবচেয়ে উপযুক্ত। রক্ত সাধারণত উজ্জ্বল লাল ও বেশি পরিমাণে হয়।

---

৭. Lachesis – কালো ও ঘন রক্তের জন্য

Lachesis খুব কার্যকর anti-hemorrhagic ওষুধ। বিশেষ করে যখন রক্ত কালো, ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত হয়। কখনো কখনো রক্তে অম্লতা থাকে যা ঠোঁট ও নাসারন্ধ্রকে জ্বালিয়ে দেয়।

---

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধসমূহ

১. উজ্জ্বল লাল রক্তক্ষরণে

Phosphorus – নাসার পলিপ, কফ জমা বা অন্য যেকোনো কারণে উজ্জ্বল লাল রক্ত।

Ipecac – প্রচুর উজ্জ্বল লাল রক্তের সঙ্গে বমিভাব থাকলে।

Millifolium – ব্যথাহীন, প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণে।

---

২. গাঢ় রক্তক্ষরণে

Lachesis – কালো, ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত রক্তক্ষরণে।

Hamamelis – গাঢ় রক্তের সঙ্গে নাকের শিকড়ে টানটানভাব ও প্রচণ্ড দুর্বলতা থাকলে।

---

৩. জমাট বাঁধা রক্তে

Crocus Sativus – টানটান, জমাট ও দড়ির মতো রক্তক্ষরণে।

China – অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর প্রচণ্ড দুর্বলতা, অবসাদ, অজ্ঞান হলে।

---

৪. আঘাতজনিত রক্তক্ষরণে

Arnica ও Hamamelis – আঘাত, ধাক্কা বা নাকে পড়ে যাওয়ার কারণে হলে।

---

৫. রক্তাল্পতা (Anemia) জনিত রক্তক্ষরণে

Ferrum Met – রক্তাল্প রোগীর উজ্জ্বল লাল রক্তক্ষরণে।

China – রক্তাল্পতার সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্বলতা, অবসাদ, অজ্ঞান হলে।

---

৬. শুকনো নাকের খোসা থেকে রক্তক্ষরণে

Ammonium Carb ও Kali Bichrome – শুকনো খোসা খসে নাক থেকে রক্ত পড়লে।

---

👉 এভাবে রোগীর অবস্থা ও লক্ষণ অনুসারে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বেছে নেওয়া হলে নাক থেকে রক্ত পড়ার প্রবণতা স্থায়ীভাবে কমানো যায়।

#বিঃদ্রঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কোনো ওষুধ সেবন ই বিপদজনক।

---
Dr - Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital,
BHMS (DU)

 #অদ্ভুদ_ও_জটিল_রোগ HLA-B27 (Human Leucocyte Antigen) (আল্লাহ সবাইকে জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্ত রাখুন)    কি?মূলত HLA(হি...
29/09/2025

#অদ্ভুদ_ও_জটিল_রোগ HLA-B27 (Human Leucocyte Antigen)
(আল্লাহ সবাইকে জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্ত রাখুন)

কি?
মূলত HLA(হিউম্যান লিউকোসাইট এন্টিজেন) হল প্রোটিনের একটা শ্রেণি যে মানুষের শরীরের কোষের পৃষ্ঠে পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে ‘এন্টিজেন’ এবং ‘অ্যান্টিবডি’র পার্থক্য করতে সাহায্য করে এই HLA. অর্থাৎ কোন উপাদানটি শরীরের অংশ আর কোনটি বহিরাগত রোগশক্তি (ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া) তার পার্থক্য করতে জীবনশক্তিকে সাহায্য করে থাকে এইচএলএ-বি২৭। HLA এর অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। তার মধ্যে এইচএলএ-বি২৭ হলো একটি নির্দিষ্ট ধরনের হিউম্যান লিউকোসাইট এন্টিজেন. এইচএলএ হলো একটি জেনেটিক বৈশিষ্ট্য যা কেউ বংশগতভাবে বাবা-মায়ের কাছ থেকে পেতে পারে। আর যাদের শরীরে এই জিনটি পাওয়া যায় তাদের শ্বেত রক্তকণিকার(WBC) পৃষ্ঠে HLA-B27 নামক একটি বিশেষ প্রোটিন প্রস্তুত হয়।

HLA-B27 কিভাবে কাজ করে?
HLA-B27 এই প্রোটিনটির প্রধান কাজ হল জীবনী শক্তি বা আমাদের শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকে তাকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা বিভিন্ন এন্টিজেনকে চিনিয়ে দেওয়া। কিভাবে সে এই কাজটি করে চলুন দেখা যাক। এন্টিজেন হল সেই সমস্ত বহিরাগত রোগশক্তি যা আমাদের শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে আমাদের শরীরে পূর্ব থেকে বিদ্যমান রোগবীজকে উদ্দীপিত করে। ঠিক এইখানেই এইচএলএ-বি২৭ তার কাজ করে থাকে। সে কোষের ভেতর থেকে এন্টিজেনের ছোট ছোট কিছু অংশকে কোষের পৃষ্ঠে নিয়ে আসে। এইখানে T কোষ(T lymphocyte) নামক শ্বেত রক্তকণিকা যা রোগ প্রতিরোধের কাজ করে থাকে তারা এই এন্টিজেন কে প্রতিরোধ করে।

HLA-B27 কিভাবে অটোইমিউন ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ায়?
HLA-B27 এই উপাদানটি কিভাবে অটোইমিউন ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ায় তা এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি বোঝা যায়নি। তবে সাধারণ কিছু ধারণার বিষয় এখানে উল্লেখ করা হলো।

আণবিক সাদৃশ্য (Molecular Mimicry): হয়তো কিছু কিছু এন্টিজেন (ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া) শরীরর অভ্যন্তরস্থ অ্যান্টিবডির সঙ্গে এতটাই সাদৃশ্য যুক্ত হয়ে থাকে যে জীবনী শক্তি এদের পার্থক্য করতে ভুল করে থাকে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধক নিজ জীবনীশক্তি এন্টিজেন ভেবে নিজ শরীরের কোষ বা অংশকেই আক্রমণ করে বসে।

প্রোটিন গঠনের ত্রুটিপূর্ণ ক্রিয়াঃ
HLA-B27 যদি ভুল ফর্মেশন এ প্রোটিন গঠন করে তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অত্যাধিক সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

HLA-B27 এর সাথে সম্পর্কিত রোগ সমূহঃ
HLA-B27 এই প্রোটিনটি শরীরে উপস্থিত থাকলে সাধারণত যে সকল অটোইমিউন ডিজিজ বা প্রদাহজনিত রোগসমূহ দেখা যায় তা হলঃ
অ্যংকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing Spondylitis): এটি স্পন্ডিলোআথ্রোপ্যাথি রোগশ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত এক ধরনের অটোইমিউন পরিস্থিতি যা ক্রনিক মেরুদন্ডের প্রদাহ বা পিঠে ব্যথার মত সমস্যা তৈরি করে।

রিএকটিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis): শরীরের যে কোন অংশে সংক্রমণ হয়ে পরবর্তীতে জয়েন্টে প্রদাহ হতে পারে। এছাড়াও সোরিয়াক আর্থারাইটিস, এন্টারোপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস, একিউট ইন্টেরিয়র ইউভাইটিস(প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগ যেমন ক্রোন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস ইত্যাদি রোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে পড়ে।

একটি বিষয় স্মরণ রাখতে হবে যে এইচএলএ-বি২৭ পজেটিভ ব্যক্তির যে স্পন্ডাইলোআর্থারাইটিস বা এই সম্পর্কিত রোগগুলো হবেই এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।
এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের শরীরে HLA-B27 পজেটিভ থাকা সত্ত্বেও এর প্রভাবে কোন রোগ আক্রান্ত হয় না। আবার এমন অনেকে আছে যাদের ভেতরে এই এইচএলএ-বি২৭ এর কোন অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও এই যে রোগগুলোতে ভুগে থাকে।

HLA-B27 test কেন করা হয়?
বিশেষ কিছু ক্ষেত্র যখন HLA B27 পরীক্ষা প্রয়োজন হয় যেমন-

স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস সন্দেহ হলেঃ বিশেষ এই রোগ পরিস্থিতি সন্দেহ হলে তাদের ক্ষেত্রে এই টেস্টটি করার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যাথা, হাড়ে বা জয়েন্টে ব্যথা বা ফোলা ভাব থাকতে দেখা যায়। নিতম্ব, হাটু বা গোড়ালিতে বেদনা এসব লক্ষণও বিবেচনায় রাখতে হয়।

রিঅ্যাক্টিভ আর্থ্রাইটিস এর লক্ষণ থাকলেঃ কোন সংক্রমণ (যেমন মুত্রাশয়, অন্ত্র ইত্যাদি) এর পরে যদি জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা ভাব ও চোখের প্রদাহ(ইউভাইটিস) দেখা যায় সে ক্ষেত্রেও এই টেস্টের ব্যাপারে নজর রাখতে হবে।

ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ এর সাথে আর্থ্রাইটিসঃ আইবিডি এর সাথে যদি আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ দেখা যায় অর্থাৎ আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রোন’স ডিসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির যদি জয়েন্ট গুলোতে ব্যথা অনুভব হয় তবে এই টেস্টটির বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। এ ছাড়াও পারিবারিক স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস, অন্যান্য পরীক্ষার ফল অস্পষ্ট হলে সেসব ক্ষেত্রেও টেস্টের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

এইচএলএ-বি২৭ জিন এবং হোমিওপ্যাথিঃ
এইচএলএ-বি২৭ এটি যেহেতু শুধুমাত্র একটি জিন, এটি নিজে কোন রোগ নয় তাই সাধারণত হোমিওপ্যাথিতে এর সরাসরি কোন চিকিৎসায় হতে পারে না। তবে এই জিনটি শরীরের উপস্থিত থেকে যে রোগ প্রবণতা সৃষ্টি করে থাকে সেই রোগ প্রবণতার বিরুদ্ধে লক্ষণ সাদৃশ্য অনুসারে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেমন যদি কারো এই জিনটির কারণে স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস রোগটির লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে তবে রোগীর শারীরিক-মানসিক এবং সামগ্রিক রোগ লক্ষণের সঙ্গে মিলিয়ে হোমিও ঔষধ নির্বাচিত হলে রোগ আরোগ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ, তীব্রতা, মডালিটি বা হ্রাস বৃদ্ধি, রোগীর সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, পারিবারিক ইতিহাস, অতীত রোগ হিস্ট্রি ইত্যাদির সাথে মিল রেখে যথাযথভাবে হোমিও ঔষধ নির্বাচন ও রোগীকে তা প্রয়োগ করতে পারলে রোগ আরোগ্য হয়।

স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস এর হোমিও চিকিৎসাঃ
স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস এর চিকিৎসায় বেশ কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ লক্ষণ সাদৃশ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেখায়।

#রাসটক্সঃ স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস এর চিকিৎসায় ওষুধটি দারুন কাজ করে থাকে। যদি রোগীর রোগ যন্ত্রণা উত্তাপে উপশম হয়, রোগ লক্ষণ চলাফেরায় কমে যায় এবং বিশ্রামে বৃদ্ধি পায়, রাত্রিতে রোগের তীব্রতা দেখা যায়, রোগীর পিপাসা থাকে এসব লক্ষণ এর সাথে মিল রেখে এই ওষুধটি প্রযুক্ত হলে স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস এর কষ্টকর রোগ লক্ষণ উপশম হয়ে থাকে।

#ব্রায়োনিয়াঃ এই ঔষধের রোগীর শরীরে গরম বেশি লাগে অর্থাৎ রোগী গরমকাতর হয়ে থাকে। ব্যথা যন্ত্রণা ঠান্ডায় উপশম। এটির মডালিটির ক্ষেত্রে রাসটক্সের বিপরীত ক্রিয়া দেখা যায়। অর্থাৎ রাস টক্স এর চলাফেরায় রোগ লক্ষণ এর উপশম আর এই ঔষধটির চলাফেরায় রোগ লক্ষণ বেড়ে যায়। রোগীর পায়খানা শক্ত থাকে।

#কষ্টিকামঃ এই ঔষধটি একটি গভীর মায়াজমেটিক ঔষধ। অর্থাৎ খুব গভীর থেকে কাজ করে এই ঔষধটি রোগীকে সম্পূর্ণ আরোগ্য প্রদান করতে পারে। রোগীর শীত বেশি থাকে অর্থাৎ শীতকাতর হয়। শরীরের কোন অঙ্গে অসাড় অবস ভাব থাকতে পারে। রোগীর মিষ্ট জাতীয় খাবার অপ্রিয় বা অপছন্দ হয়। রোগী সিমপ্যাথেটিক বা পরদুঃখ কাতর হয়ে থাকে। রাত্রিবেলায় বিছানাতে ঘুমাতে গেলেই সাথে সাথে ঘুম আসে না। এপাশ-ওপাশ করতে করতে কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে ঘুম আসে। এরা মানসিকভাবে দুশ্চিন্তা ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে থাকে।

#মেডোরিনামঃ এই ঔষধটিও একটি গভীর মায়াজমেটিক ঔষধ। রোগী গরমকাতর হয়ে থাকে। হাত পায়ের তলে জ্বালা থাকে। সাধারণত বাত রোগের পরে এই ওষুধের খুব সুন্দর ক্রিয়া থাকে। তবে এটি একটি সাইকোটিক মায়াজম প্রধান ঔষধ। রোগীর সাইকোটিক গ্রোথের ইতিহাস থাকলে ঔষধটি ভালো কাজ করে।

#সালফারঃ গভীর সোরিক মায়াজমেটিক ঔষধ। সোরা দোষের মূলে কুঠারাঘাত করতে পারে এই ঔষধটি। আমরা জানি যে সকল রোগের জননী হল মায়াজম। আর সকল মায়াজমের জননী হল সোরা। আর সালফার হলো সকল এন্টিসোরিক ঔষধের রাজা! রোগীর গরম প্রচন্ড বেশি, হাত পায়ের তলে জ্বালা থাকতে দেখা যায়, চুলকানি এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন এবং কোলকুঁজো স্বভাবের রোগী, ভীষণ মিষ্টি প্রিয়, স্নান বা গোসলে অনিচ্ছা বা অরুচি ইত্যাদি লক্ষণ বিবেচনায় রেখে তবেই সালফার নির্বাচন করতে হয়।

★★★এছাড়াও মেটেরিয়া মেডিকাতে #আরো_গুরুত্বপূর্ণ_ওষুধ আছে। এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলো স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস এর চিকিৎসায় রোগীর লক্ষণ সাদৃশ্যে নির্বাচিত হতে পারে। মনে রাখতে হবে হোমিওপ্যাথি ঔষধের ডায়নামিক শক্তি সূক্ষ্ম রোগ স্তরে গিয়ে আঘাত করে রোগকে ভেতর থেকে চিরতরে নির্মূল করে।

এইচএলএ-বি ২৭ সম্পর্কিত কিছু #প্রশ্ন_উত্তরঃ
এই জিন কি বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয়?
হ্যাঁ এই জিনটি বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তান সন্ততিরা এই জিনটি পেতে পারে।

এই টেস্টটি করার পূর্বে কি কোন বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে?
না এই টেস্টটি করার পূর্বে কোন বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই।

স্ত্রীলোকেদের তুলনায় পুরুষদের কি এই জিন সংশ্লিষ্ট রোগ বেশি দেখা যায়?
হ্যাঁ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ভেতরেই এইচএলএ-বি ২৭ সংশ্লিষ্ট রোগ যেমন এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস ইত্যাদি বেশি দেখা যায়।

এইচএলএ-বি ২৭ কি নিজে একটি রোগ?
না এটি একটি জিন যা কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি নিজে স্বয়ং কোন রোগ নয়।

এইচএলএ-বি ২৭ পজিটিভ কত শতাংশ লোকের স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস হয়?
এইচএলএ-বি ২৭ পজিটিভ যারা তাদের ভেতর খুব কম শতাংশ ব্যক্তির ভেতরেই এই রোগটি দেখা যায়।

শেষ কথাঃ HLA-B27 হলো একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিন যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহায়তা করে থাকে। যদিও এটি নিজে কোন রোগ নয় তবে এই জিনটির উপস্থিতি কিছু অটোইমিউন ডিজিজ এবং স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস এর মত রোগ সৃষ্টি করতে উদ্দীপনা প্রদান করে থাকে। তবে এটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে এইচএলএ-বি২৭ পজিটিভ মানেই যে কারো এর সাথে সংশ্লিষ্ট রোগ গুলো অবশ্যই হবে তা নয়। আবার এই জিনটি অনুপস্থিত থাকলেই যে এই রোগ গুলো আর হবে না তারও কোন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। যদি আপনার এইচএলএ-বি২৭ জিনটি শরীরে উপস্থিত থেকে থাকে তবে উদ্বেগগ্রস্ত না হয়ে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

#বিঃদ্রঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কোনো ওষুধ সেবন ই বিপদজনক।

ডাঃ দীপংকর মন্ডল

Address

Mirpur
Dhaka
1216

Telephone

+8801737686868

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জার্মানি হোমিও শিক্ষালয় posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to জার্মানি হোমিও শিক্ষালয়:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram