28/05/2025
আমরা প্রায়ই শুনি, “মেয়েরা বাবার আদরের ধন” — শুনতে আবেগময়, তবে এর পেছনে আছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও। মনোবিজ্ঞান, নিউরোসায়েন্স ও সমাজবিজ্ঞানের আলোকে দেখা যাচ্ছে, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক শুধু আবেগ নয়, বরং গভীরভাবে প্রভাবিত বৈজ্ঞানিক বাস্তবতায়।
---
🧠 মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে:
Journal of Neuroscience (2017)-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, বাবারা সাধারণত কন্যাদের মুখাবয়ব, বিশেষ করে তাদের হাসি ও আবেগপ্রকাশের প্রতি বেশি সাড়া দেন। তাদের মস্তিষ্কের amygdala ও prefrontal cortex অঞ্চলে মেয়ের প্রতি সাড়া দেওয়ার হার ছেলের তুলনায় বেশি — যা বাবাকে কন্যার প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তোলে।
---
👨👧 আত্ম-পরিচয় ও পিতৃত্বের বন্ধন:
Developmental Psychology জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, কন্যাসন্তানের সঙ্গে বাবাদের মাঝে গড়ে ওঠে এক ধরনের “protective instinct”। অনেক বাবা তাদের মেয়েকে দুর্বল ভাবেন এবং তাকে রক্ষা করা নিজের দায়িত্ব মনে করেন — এ থেকেই আসে অতিরিক্ত যত্ন ও আবেগ।
---
🧬 জিন ও হরমোনের ভূমিকা:
সন্তান জন্মের সময় পুরুষদের শরীরে oxytocin (ভালোবাসার হরমোন) বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, কন্যাসন্তান জন্মালে এই হরমোনের মাত্রা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়, যা বাবার মধ্যে গভীর আবেগ, স্নেহ ও সংযুক্তি তৈরি করে।
---
💬 সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব:
বাংলাদেশসহ বহু সংস্কৃতিতে কন্যাসন্তানকে একটি দায়িত্ব, গর্ব ও সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। বাবারা মেয়ের ভবিষ্যৎ, সুরক্ষা ও সম্মানের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেন — যা থেকে সম্পর্কটি হয় আরও গভীর ও মমতাময়।
---
🧪 সংক্ষেপে:
বাবা-মেয়ের সম্পর্ক কেবল আবেগের নয় — এটি নিউরোসায়েন্স, হরমোনাল পরিবর্তন ও সামাজিক মানসিকতার সম্মিলিত প্রতিফলন। এ সম্পর্ক মানুষের হৃদয় ও মস্তিষ্কের এক অসাধারণ যুগলবন্দি।
---
➡️ তাই, যখন কেউ বলে “বাবার চোখের মণি”, সেটি কেবল কবিতা বা অনুভূতি নয় — সেটি বলে বিজ্ঞানও।
#মনোবিজ্ঞান #বাবা_মেয়ে