হোমিওপ্যাথিক শিক্ষালয়

হোমিওপ্যাথিক শিক্ষালয় হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে জানতে চাইলে পেজের সাথে থাকুন

"পুরুষত্বহীনতা, ধাতু দুর্বলতা,ধ্বজভঙ্গ"★যে সব কারনে ধ্বজভঙ্গ হয়ঃ-(১)অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস।(২)হস্তমৈথুন।(৩)অতিরিক্ত স্বপ্...
04/08/2025

"পুরুষত্বহীনতা, ধাতু দুর্বলতা,ধ্বজভঙ্গ"
★যে সব কারনে ধ্বজভঙ্গ হয়ঃ-
(১)অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস।
(২)হস্তমৈথুন।
(৩)অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ।
★লক্ষনঃ-
(১)সহবাসে অল্প সময়ে বীর্যপাত।
(২)স্ত্রীর সাথে আলিঙ্গনে,স্পর্শে বা কাম চিন্তায় বীর্যপাত।
(৩)মলত্যাগে বা মুত্রত্যাগে কোথ দিলে বীর্যপাত।
(৪)লিঙ্গ ছোট, বাকা ও নরম।
(৫)ডায়াবেটিসের কারনে অকেজো হয়ে পড়া।
(৬)সহবাসের ইচ্ছা আছে কিন্তু ক্ষমতা নেই।
★শ্রেষ্ঠ ঔষধঃ-
(১)এ্যাগনাস কাস্ট মাদার টিংচারঃ ধ্বজভঙ্গ রোগীর, সহবাসের ইচ্ছা থাকে,কিন্তু ক্ষমতা থাকে না।
(২)এসিড ফস. মাদার টিংচারঃ অল্প সময়ে বীর্যপাত,সহবাসের পর মাথা ঘুরায়,লিঙ্গ নরম হলে কার্যকরী।
(৩)ইয়োহিমবিনাম মাদার টিংচারঃ বার বার প্রসাব সহ ধ্বজভঙ্গ রোগীর কাম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
(৪)ডামিয়ানা মাদার টিংচারঃ শুক্র বৃদ্ধি করে,লিঙ্গ শক্ত করে।
(৫)অশ্বগন্ধা মাদার টিংচারঃধাতু দুর্বলতা দুর করে,ধ্বজভঙ্গ আরোগ্য করে।
(৬)এভেনা স্যাটাইভা মাদার টিংচারঃ হস্তমৈথুন,অতিরিক্ত সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারনে,ধ্বজভঙ্গ হলে কার্যকরী।
(৭)ক্যালেডিয়াম সেগ. মাদার টিংচারঃ কাম ইচ্ছা থাকে কিন্তু ক্ষমতা থাকে না,লিঙ্গ নরম হলে কার্যকরী।
(৮)নুফার লুটিয়া মাদার টিংচারঃ কাম চিন্তায় বীর্যপাত,মল মূত্রত্যাগে কুন্থনী দিলে বীর্যপাত হলে কার্যকরী।
(৯)সেলিক্স নিগ.মাদার টিংচারঃ স্বপ্নদোষ,হস্তমৈথুনের রোগীর,সহবাস ইচ্ছা থাকে কিন্তু ক্ষমতা না থাকলে কার্যকরী।
(১০)ট্রিবিউলাস মাদার টিংচারঃযৌবনের শুরুতে হস্তমৈথুন ও স্বপ্নদোষের কারনে ধ্বজভংগ হলে কার্যকরী।
(১১)লাইকোপোডিয়াম ১০০০ বা উচ্চশক্তিঃ স্বপ্নদোষ,হস্তমৈথুনের কারনে ধ্বজভঙ্গ।স্ত্রী আলিঙ্গনে লিঙ্গ শক্ত হয় না।কাম ইচ্ছা থাকে কিন্তু ক্ষমতা থাকে না।বৃদ্ধ বয়সে ধ্বজভঙ্গ।ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গ,লিঙ্গ ছোট ও বাকা হলে শ্রেষ্ঠ ঔষধ।
(১২)মস্কাস ৩০ বা ২০০ ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে কার্যকরী।
★বায়োকেমিকঃ-
(১)কেলি ফস ১২ এক্সঃ ধ্বজভঙ্গ রোগীর ভাল ঔষধ।
(২)নেট্রাম মিউর ১২ এক্সঃ ধাতু পাতলা ও কাম চিন্তায় বীর্যপাত হলে।
(৩)সাইলিসিয়া ১২ এক্সঃ সব সময় কাম চিন্তা,নারী ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না, নারী লোভী।
Copy post

07/07/2025

কাশির চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক মেডিসিন-

★ কাশি, মোটেই থামছে না, ধমকের পর ধমক চলতেই থাকে ----- কুপ্রাম মেটালিকাম ২০০, ২ ডোজ - ৬ ঘন্টা অন্তর
কাশির ধমক একচোট চলার পরে সামান্য সময় গ্যাপ দিয়ে --আবার ধমক, সামান্য সময় গ্যাপ দিয়ে আবার ধমক, --- এরকম যদি তিনবার ধরে চলতে থাকে ( in three paroxysms) ----কুপ্রাম মেট

★ কাশি, ধমকের পর ধমক চলতে চলতে মাঝখানে সামান্য সময়ের জন্য বিরতি বা গ্যাপের পরে আবার ধমকের পর ধমক, বিশেষ করে মাঝ রাত্রির পরে কাশির বৃদ্ধি --- ড্রসেরা ৩০ , ১ ডোজ।

★--------যদি ঐ রকম দুই বার ধরে চলতে থাকে ( in two paroxysms) ----- মার্ক সল, ফসফরাস,

★ কাশি-- খালি গায়ে বাড়ে, জামা কাপড়, চাদর বা বেডসিট গায়ে দিলে কমে ---- হিপার, রাস টকস, রিউমেক্স,

★ সব রকম বাদ্যযন্ত্রের শব্দে কাশি বাড়ে ---- এ্যাম্ব্রাগ্রিসিয়া,

★ বাচ্চাদের কৃমিজনিত কাশি --- ইন্ডিগো,

★ সকালে ঘুম থেকে উঠার পরেই অনবরত কাশি, মুখ থেকে সুতার মতন লম্বা হয়ে সর্দি উঠে, আর তখনই একটু কমে, যতক্ষন না সুতার মতন কফ বা সর্দি না বেরুবে, কাশি চলতেই থাকবে ---- কক্কাস ক্যাকটাই,

★ কাশি-- শুলে বাড়ে --- কোনিয়াম, হায়োসিয়ামাস, পালস,

★ কাশি শুলে কমে---- ক্যালি বাই, ম্যাঙ্গেনাম এ্যাসেটিকাম, সোরিনাম,

★ কাশির শব্দ সেইরকম, গরু বা মহিষের শিং দিয়ে তৈরী শিঙা বা ফিঙে বাজালে যেমন শব্দ হয় ---- ভার্বাসকাম,

★ কাশি শুষ্ক ----এত শুষ্ক যে স্টেথো দিয়ে শব্দ শুনলে মনে হয়--- করাত দিয়ে কেউ কাঠ কাটছে। ----- সাঁই সাঁই করে শব্দ হয় ---- স্পঞ্জিয়া,

★ কাশির ধমকে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, তা সে বাচ্চা, বড় সবার ক্ষেত্রেই --- কষ্টিকাম, নেট্রাম মিউর, ফসফরাস, পালসেটিলা, স্কুইলা,

★ কাশি কুকুরের ডাকের মতন বিশ্রী, কর্কশ---- বেলেডোনা, ড্রসেরা,

★ যত কাশি হয়, বাচ্চারা তত কাঁদে----- আর্ণিকা,

★ কাশি ঘুমের মধ্যে বেশী হয় ----ক্যামোমিলা,

★ কাশি হামের পর থেকে চলতে থাকে --- ড্রসেরা, পালসেটিলা, মর্বিলিনাম, স্টিকটা,

★ কাশি মদ্যপানে বাড়ে ---- জিঙ্কাম মেট,

লেখকের আইডি লিংক -- https://www.facebook.com/profile.php?id=100012080592185

06/07/2025

🏝️পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের লক্ষণ ও চিকিৎসা (Polycystic O***y TreatmenTreatment)
৫টি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সিম্পটম।

🏖️পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম অর্থাৎ PCOS এখন মহিলাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিকের প্রয়োগ, অনিয়মিত জীবনযাপন, স্ট্রেস, হরমোনাল ইমব্যালান্স, শরীরচর্চা না করা এবং আরও নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বেশিরভাগ মহিলাই প্রথমদিকে এই সমস্যাকে অতটা গুরুত্ব দেন না এবং ফলে পরে গিয়ে এটি বড় আকার ধারণ করে। PCOS-এর সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়াটা (Polycystic O***y Treatment In Bengali) যেমন দরকার, ঠিক তেমনই একটা নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। PCOS থাকলে অন্য শারীরিক সমস্যার সঙ্গে-সঙ্গে প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রেও অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। এমনকী, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। তবে ওই যে বললাম, বেশিরভাগ মহিলাই ব্যাপারটিকে প্রথমে গুরুত্ব দেন না…এমনকী, শুনলে অবাক হবেন যে, অনেকেই আছেন যাঁদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ব্যাপারটা কি, সেই ধারণাটাই ঠিকমতো নেই! চলুন, আজ এই বিষয়েই বিশদে আলোচনা করা যাক।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম অর্থাৎ PCOS এখন মহিলাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিকের প্রয়োগ, অনিয়মিত জীবনযাপন, স্ট্রেস, হরমোনাল ইমব্যালান্স, শরীরচর্চা না করা এবং আরও নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বেশিরভাগ মহিলাই প্রথমদিকে এই সমস্যাকে অতটা গুরুত্ব দেন না এবং ফলে পরে গিয়ে এটি বড় আকার ধারণ করে। PCOS-এর সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়াটা (Polycystic O***y Treatment In Bengali) যেমন দরকার, ঠিক তেমনই একটা নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। PCOS থাকলে অন্য শারীরিক সমস্যার সঙ্গে-সঙ্গে প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রেও অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। এমনকী, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। তবে ওই যে বললাম, বেশিরভাগ মহিলাই ব্যাপারটিকে প্রথমে গুরুত্ব দেন না…এমনকী, শুনলে অবাক হবেন যে, অনেকেই আছেন যাঁদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ব্যাপারটা কি, সেই ধারণাটাই ঠিকমতো নেই! চলুন, আজ এই বিষয়েই বিশদে আলোচনা করা যাক।

🧱আপনি কি জানেন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কি? প্রথমবার ঋতুস্রাবের সঙ্গে-সঙ্গেই মেয়েরা সন্তানধারণের ক্ষমতা লাভ করেন। এই বয়সের পর যদি কোনও সময় মহিলাদের শরীরে হরমোনাল ইমব্যালান্স অর্থাৎ হরমোনের ভারসাম্যে তারতম্য দেখা দেয়, এবং তার ফলে যদি জরায়ুতে (O***Y) সিস্ট তৈরি হয়, তা হলে সেই অবস্থাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম’ (PCOS) বা ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজঅর্ডার’ (PCOD)। এরকম পরিস্থিতিতে মহিলাদের শরীরে ‘ফিমেল হরমোন’-এর ঘাটতি দেখা দেয় (Polycystic O***y Meaning In Bengali) এবং ‘মেল হরমোন’ বা অ্যান্ড্রোজেন বাড়তে থাকে । যখনই শরীরে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়, তার ফলস্বরূপ ওভারিতে একটি বা তার বেশি সিস্ট দেখা দিতে পারে।

🏕️PCOS এর লক্ষণ কি?

হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া এবং উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা

অনিয়মিত ঋতুস্রাব

শরীরের নানা অংশে, বিশেষ করে মুখে লোম গজানো

ব্রণর বাড়াবাড়ি

হঠাৎ করে ত্বক তেলতেলে হয়ে যাওয়া

মাথার চুল খুব বেশি মাত্রায় ঝরতে শুরু করা

পেলভিক পেন বা শরীরের নিম্নাঙ্গে মাঝে-মাঝেই যন্ত্রণা হওয়া

ওভারিতে একের বেশি সিস্ট

অকারণ মুড সুইং

এরকম কিছু-কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে যে, আপনি হয়তো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যায় ভুগছেন।

🗻ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে PCOS দূর করবেন? (PCOS Home Remedies

🌋১। লো-কার্ব খাবার (Follow a Low-Carb Diet) –

আপনার যদি PCOS-এর সমস্যা থাকে, তা হলে লো-কার্ব খাবার অর্থাৎ যে খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম, সেই ধরনের খাবার খান। এর ফলে আপনার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়বে না, ফলে অযথা ওজনও বাড়বে না। ভাত, আলু, ময়দা, তরমুজ, কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি না খাওয়াই ভাল (PCOS Diet Chart In Bengali)। তা হলে কী খাবেন সেটাই ভাবছেন তো? আপনার খাদ্যতালিকায় থাকতে পারে মাল্টিগ্রেন ব্রেড, সয়াবিনের দুধ, ওটস, আপেলের রস, আনারস, লো-ফ্যাট দই, মুয়েসলি, গাজর ইত্যদি।

🏕️২। দুগ্ধজাত খাবার বেশি নয় (No More Dairy Products) –

গোরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার যদি প্রায় বাদ দিতে পারেন, তা হলে সবচেয়ে ভাল হয়। একান্তই যদি খেতে হয়, তা হলে যতটা সম্ভব কম খেলে ভাল। গোরুর দুধের বদলে নারকলের দুধ, আমন্ড দুধ, সয়াবিনের দুধ খেতে পারেন।

🏜️৩। প্রসেসড ফুড একদম নয় (Avoid Processed Food) –

PCOS অথবা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে কিন্তু প্রসেসড ফুড যেমন হ্যাম, সসেজ, চিজ, যেকোনো ক্যানড খাবার একেবারেই চলবে না। এই খাবারগুলিতে চিনি, ফ্যাট, প্রেজারভেটিভ এবং অতিরিক্ত পরিমানে সোডিয়াম থাকে যা এমনিতেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর; আর PCOS থাকলে তো এই পদার্থগুলি সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

🏗️৪। মিষ্টি খাবেন না (Eat Less Sugar) –

চিনি না খেলেই ভাল। অনেকেই চিনি ছাড়া চা খেতে পারেন না। তাঁরা মধু দিয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন। বাড়িতে কোনও মিষ্টি খাবার তৈরি করতে চাইলে চিনির বদলে গুড় দিয়ে করুন। এছাড়া মিষ্টি, আইসক্রিম, চকোলেট ও নরম (PCOS Diet Chart In Bengali) পানীয় যতটা পারেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

🌋হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা -
🗾Apis Mellifica - এপিস মেল প্রয়োগ হয়।

মানসিক লক্ষন:-

১। অস্থিরতা, স্নায়ুমন্ডেলের উত্তেজনা হইতেই অস্থিরতা আরম্ভ হয়।

২। মস্তিষ্ক বিকারে রোগী হঠাৎ করে চীৎকার করিয়া উঠে।

৩। অনেক সাবধান থাকিলেও ছোট ছেলে মেয়েদের হাত থেকে জিনিষ পড়িয়া যায়।

৪। ছোট বালক রোগী ছটফটে হয়। এটা নাড়ে ওটা নাড়ে, না নাড়ীলে ভাল লাগেনা।

৫। রোগীর মনটি সর্বদাই হিংসায় ও সন্দেহে পূর্ণ থাকে।

চরিত্রগত লক্ষন:-

১। বেদনা পর্যাক্রমে আসে, উহা হঠাৎ উপস্থিত হইয়া অল্পমাত্র থাকে ও অত্যান্ত যন্ত্রনা দে, এবং হঠাৎ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়া যায়।

২। কোন কোন পীড়ায় পিপাসাহীনতা, শোথ, উদরী, প্রস্রাবের বেগ ধারণে অসমর্থ ও সেই সঙ্গে প্রস্রাব দ্বারে জ্বালা।

৩। প্রস্রাব ঘোর রক্ত বর্ণের।

৪। বেলা ৩ টার সময় জ্বর আসে। উত্তপ্ত ঘরে থাকিতে কষ্ট অনুভব হয়।

🏔️Pulsatilla – পালসেটিলা রোগীরা সাধারণত দুর্বল ব্যক্তি যারা সহানুভূতিশীল, দু: খিত, কান্নাকাটি, সংবেদনশীল, সহজেই বিক্ষুব্ধ, ঈর্ষান্বিত, বিষণ্ণ, লাজুক, আত্মদর্শী এবং উদ্বিগ্ন । রোগী স্নেহ এবং অন্যদের সঙ্গ কামনা করে এবং প্রায়শই একা, অন্ধকার বা ভিড়ের মধ্যে ভয় পায়।

🧱Sepia - ঠান্ডা লাগার প্রবণতা, স্তনদুগ্ধপায়ী শিশু, শুকনো ব্যক্তি: পুরুষালি গঠনের স্ত্রীলোক, স্ত্রীলোকের গঠনের পুরুষলোক। রক্ত সঞ্চালন কাজের বাঁধার জন্য কোষ্ঠের পক্ষাঘাত এবং ক্লান্তভাব ও বিষাদ। হলুদবর্ণ চামড়া। শরীরের অভ্যন্তরে একটি গোলা বা বল থাকার অনুভূতি। দিবাভাগে, সন্ধাকালে, রাতে, গোসলে, সান্ত্বনায়, সাধারণভাবে ঠান্ডায়, দুধে, শুক্রপাতে, ঋতুস্রাবের আগে, প্রারম্ভে, সময়ে ও পরে বাড়ে। দৈহিক পরিশ্রমে, কর্মব্যস্ততায়, শীতল পানীয়ে, জাগরণে ও গরম প্রয়োগে কমে। বিষণ্নতা, অধৈর্যভাব, কাঁদে, আলস্য, ভয়, ক্রোধ, উত্তেজনাপ্রবণতা, বিরূপভাব, লোকসঙ্গ বিতৃষ্ণা, উদাসীনতা ও অত্যানুভূতিযুক্ত। পুন: পুন: অঞ্জনি হওয়ার পর চোখের পাতায় টিউমার বা অর্বুদ। অতিরিক্ত রক্তক্ষয়, স্বামী সহবাস অথবা অতিরিক্ত গর্ভধারণজনিত জরায়ুর শিথিলতা। উদরে শূন্যবোধ, মলদ্বারে পূর্ণতাবোধ।
♣ বিশেষ লক্ষণঃ কোনো কিছুকে ধরে সে অকারণে চিৎকার করতে থাকে।

🏚️Lachesis – মানসিক লক্ষণ :-
ডাঃ কেন্টের মতে , সর্পের ন্যায় যাবতীয় খলতা , কুরতা ও হিংসা ইত্যাদি গুণগুলি ল্যাকেসিসের রোগীতে অতিমাত্রায় সুস্পষ্ট আকারে বিদ্যমান ।

০১. বাচালতা, সন্দেহপ্রবণতা , অবিশ্বাস , নিজের প্রতি মমত্ববোধ ও অপরের প্রতি উদাসীনতা ল্যাকেসিস রোগীর সহজাত প্রবৃত্তি ।

০২. সংসারের সমস্ত সুখ সম্পদ নিজে একাই ভোগ করিতে চায় । সকলে তাহাকে সম্মান করুক এই তাহার ইচ্ছা , কেহ তাহার কথার প্রতিবাদ করিলে তাহার প্রতি অত্যান্ত গালিবর্ষণ করে।

০৩. একটানা দীর্ঘসময় কথা বলিতে পারে । কোন গৃহে এই লক্ষণের গৃহকর্তা বা গৃহিনী থাকিলে ঐ সংসারে ঝি চাকর টিকিতে পারে না, এমন কি নিজ পুত্রকন্যাগণ অতিষ্ঠ হইয়া উঠে।

০৪. দুই ভাই বোন বা পিতা পুত্র যদি সামান্য দূরে থাবার্তা বলিতে থাকে তাহা হইলে ল্যাকেসিসের গৃহিনী ধারণা করিবেন নিশ্চয়ই উহারা তাহারই বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিতেছেন ।

০৫. কোন ব্যক্তি তোষামোদ করে তাহার মন যোগাইয়া চলিতে পারে। তাহার প্রাধান্য স্বীকার করিয়া লয় , তাকেই ল্যাকেসিসের রোগী বিশ্বাস ।

🏘️Graphites-গ্রাফাইটিসের রোগীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে কোন বিবেচনা বোধই থাকে না। কিভাবে পরিচ্ছন্ন থাকিতে হয় সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ অঙ্গ ।

২. রোগী শীতকাতর , কিন্তু রক্তোচ্ছ্বাসের অনুভূতির সময় গরম কাতর । আর সহ্য করিতে পারে না । কি গরম কি ঠাণ্ডা কোনও প্রকার বাতাস চায় তবে উদ্মপথে রক্তোচ্ছাসজনিত উত্তাপের উপশম কল্পে সে ঐ সময় শুধু মুক্ত বাতাস চায় ।

৩.রোগী গৌরবর্ণ , স্থুলদেহ ও মেদপূর্ণ, শরীর মোটাসোটা আছে বা মোটাসোটা হইতেছে অথবা পূর্বে মোটাসোটা ছিল

৪. শিশু অত্যন্ত নির্লজ্জ বেহায়া , অতিশয় বিরক্ত করে , তিরস্কার করিলেও তও নকরিতে বিরত হয় না বরং হাসিয়া উঠে । শিশুর একজিমা ও চর্মরোগ , তাহা হইতে মধুর ন্যয় রস ঝরে ।

৫. গাত্রচর্ম দেখিতে অস্বাস্থ্যকর , পূজ হয় , পুরাতন ক্ষত পাকিয়া উঠে ।

🏖️লেখক:
📚 ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন

06/07/2025

🔸🌵বেলাডোনা :-
১/রাগে এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকে
২/রোধের পর কান্না করে(নাক্স ভূ)
৩/সে যেন জাদুকর
৪/মৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলে
৫/তাকে ছুইলে অপ্রবিত্র হওয়ার ভয়
৬/বিছানার নিচে কেউ আছে চেক করে তাবেই __ঘুমায়
৭/ঘুমের মধ্যে দৈত্য দেখে
৮/জীবজন্তু ও কুকুরের ভয়
৯/কুকুরের মত চিৎকার করে
১০গোঁ গোঁ শব্দকারে
১১/গালাগালি করে বিনা ক্রোধে ও কটু ভাসী
১২/চিন্তা ভাবনা দুঃখ ভয়
১৩/যুদ্ধ নিয়ে কথা বলে
১৪/গুম হয়ে চিন্তা করে ,( নাক্স ভ, সালফ
১৫/অভিশাপ দেয় (এনাকার্ডিয়াম)
১৬/মানসিক পরিশ্রমে বৃদ্ধি (নাক্স, ১৭ল্যাকে,সাইলি,লাই
১৮ভূতের ভয় ও লোকের ভয়, জলের ভয়
১৯বিনা কারণে কান্না করে (সালফ, সাইলি, __লাইকো
২০লুকাইবার ইচ্ছা (ল্যাকেসিস), অধৈর্য ভাব
২১/অপরকে আঘাত করে
২২/আঘাত করে নিজের মুখে ও দেওয়ালে
২৩/জলে ডুবে মরতে চায় , লাইকো,
২৪/বিনা কারণে কান্না করে(সালফ, সাইলি, লাইকো)
২৫/আপন মনে কথা বলে
২৬/গভীর চিন্তা করে
২৭/ভীরুতা ও লাজুক বিনা কারণে কান্না করে
২৮/কান্না সহ হাসি (নাক্স ভূ, সালফ, লাইকো)
২৯/গান করে কান্না সহ
৩০/সান্তনা বৃদ্ধি কান্না(সালফ, সাইলি, নেট্রাম নি,
৩১/পড়া ভুলে যায়।

27/06/2025

✔️ #হোমিও_পোস্ট
নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

🌼🌿 প্রথমে ঔষধ > প্রিয়তা > কাতরতা 🌿🌼

1. 🤍এন্টিম ক্রুড:🤍 টক > উভয় কাতর।
2. 🤍এন্টিম টার্ট:🤍 টক > গরম কাতর।
3. 🤍আর্জেন্ট নাইট:🤍 মিষ্টি, লবণ > গরম কাতর।
4. 🤍ব্যাসিলিনাম:🤍 মিষ্টি > অনির্দিষ্ট।
5. 🤍এসিড নাইট্রিক:🤍 ঝাল > শীত কাতর।
6. 🤍কার্বোভেজ:🤍 টক, মিষ্টি > শীত কাতর।
7. 🤍চায়না:🤍 টক, ঝাল, মিষ্টি > শীত কাতর।
8. 🤍কস্টিকাম:🤍 ঝাল, লবণ > শীত কাতর।
9. 🤍ক্যালকেরিয়া কার্ব:🤍 টক, মিষ্টি, লবণ > শীত কাতর।
10. 🤍ফ্লুরিক এসিড:🤍 টক, ঝাল > গরম কাতর।
11. 🤍হিপার:🤍 টক, ঝাল > শীত কাতর।
12. 🤍ক্যালি ফস:🤍 টক, মিষ্টি।
13. 🤍লাইকোপোডিয়াম:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
14. 🤍ল্যাক ক্যান:🤍 ঝাল, লবণ > গরম কাতর।
15. 🤍মেডু:🤍 টক, মিষ্টি, লবণ > উভয় কাতর।
16. 🤍ম্যাগ মিউর:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
17. 🤍নেট্রাম ফস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
18. 🤍নেট্রাম মিউর:🤍 তিতা, লবণ > গরম কাতর।
19. 🤍সিকেলি কর:🤍 টক > গরম কাতর।
20. 🤍সিপিয়া:🤍 টক, ঝাল, তিতা > শীত কাতর।
21. 🤍সেলেনিয়াম:🤍 টক > গরম কাতর।
22. 🤍সালফার:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
23. 🤍স্যাঙ্গুনেরিয়া ক্যান:🤍 ঝাল।
24. 🤍থেরিডিয়ান কুরাস:🤍 টক।
25. 🤍থুজা:🤍 তিতা, লবণ > শীত কাতর।
26. 🤍ভিরেট্রাম:🤍 টক, লবণ > শীত কাতর।
27. 🤍পালস:🤍 টক, ঝাল > শীতকাতর/গরম কাতর।
28. 🤍ক্যালি কার্ব:🤍 টক, মিষ্টি > শীত কাতর।
29. 🤍নাক্স ভমিকা:🤍 মিষ্টি, ঝাল > শীত কাতর।
30. 🤍আর্সেনিকাম অ্যালবাম:🤍 টক > শীত কাতর।
31. 🤍আকোনাইট:🤍 ঝাল > শীত কাতর।
32. 🤍বেলাডোনা:🤍 টক, ঝাল > গরম কাতর।
33. 🤍ব্রায়োনিয়া:🤍 টক > শীত কাতর।
34. 🤍ক্যামোমিলা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
35. 🤍ক্যাফিয়া ক্রুডা:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
36. 🤍ক্যাংথারিস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
37. 🤍ডালক্যামারা:🤍 টক > শীত কাতর।
38. 🤍ডিজিটালিস:🤍 লবণ > শীত কাতর।
39. 🤍ড্রোসেরা:🤍 টক > শীত কাতর।
40. 🤍ইপিকাকুয়ানা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
41. 🤍ইগনেশিয়া:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
42. 🤍কেন্টারিস:🤍 টক > শীত কাতর।
43. 🤍ল্যাকেসিস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
44. 🤍লেডাম প্যাল:🤍 টক > শীত কাতর।
45. 🤍ম্যাগনেসিয়া কার্ব:🤍 টক > শীত কাতর।
46. 🤍মারকিউরাস:🤍 টক > শীত কাতর।
47. 🤍নাট্রাম কার্ব:🤍 টক > গরম কাতর।
48. 🤍ফসফরাস:🤍 টক > গরম কাতর।
49. 🤍রোডোডেন্ড্রন:🤍 টক > শীত কাতর।
50. 🤍স্পঞ্জিয়া:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
51. 🤍আলুমিনা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
52. 🤍এনাকার্ডিয়াম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
53. 🤍অ্যান্টিম টার্ট:🤍 টক > গরম কাতর।
54. 🤍আর্সেনিকাম সেলফ:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
55. 🤍বারাইট কার্ব:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
56. 🤍ক্যালি আইওড:🤍 লবণ > গরম কাতর।
57. 🤍ক্যালি সালফ:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
58. 🤍ক্যানসারোসিন:🤍 মিষ্টি > উভয় কাতর।
59. 🤍সিনিচোনা:🤍 টক, ঝাল > শীত কাতর।
60. 🤍কোডেনাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
61. 🤍কিউপ্রাম মেট:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
62. 🤍ডালক্যামারা:🤍 টক > শীত কাতর।
63. 🤍ফেরাম ফস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
64. 🤍গ্লোনোইন:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
65. 🤍গ্রাফাইটস:🤍 টক > শীত কাতর।
66. 🤍হামামেলিস:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
67. 🤍হায়োসিয়ামাস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
68. 🤍ইডাক্রেনাম:🤍 টক > শীত কাতর।
69. 🤍ইডোফর্ম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
70. 🤍ইন্ডিগো:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
71. 🤍ইরিস ভার্স:🤍 টক > শীত কাতর।
72. 🤍জ্যাবোরান্ডি:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
73. 🤍কালি ব্রম:🤍 টক > শীত কাতর।
74. 🤍কালি ক্লোর:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
75. 🤍লেডাম পাল:🤍 টক > শীত কাতর।
76. 🤍লিথিয়াম কার্ব:🤍 টক > শীত কাতর।
77. 🤍লুপুলিন:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
78. 🤍ম্যাগনেসিয়া ফস:🤍 টক > শীত কাতর।
79. 🤍ম্যাংগানাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
80. 🤍মেডোরিনাম:🤍 টক > উভয় কাতর।
81. 🤍মেলিলোটাস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
82. 🤍মেন্টা পিপ:🤍 টক > শীত কাতর।
83. 🤍মোরফিনাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
84. 🤍মিসমোডিস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
85. 🤍মোনোট্রোপা:🤍 টক > শীত কাতর।
86. 🤍মিউরিক এসিড:🤍 টক > শীত কাতর।
87. 🤍নাইট্রোজেন:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
88. 🤍নিকোতিনাম:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
89. 🤍নাইট্রিক এসিড:🤍 ঝাল > শীত কাতর।
90. 🤍নুক্স মোস্ক:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
91. 🤍অপিয়াম:🤍 টক > শীত কাতর।
92. 🤍অরিগানাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
93. 🤍অসিমাম স্যাঙ্ক:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।
94. 🤍প্যারিস কোয়াড:🤍 টক > শীত কাতর।
95. 🤍পেট্রোলিয়াম:🤍 ঝাল > শীত কাতর।
96. 🤍ফসফরিক এসিড:🤍 টক > শীত কাতর।
97. 🤍প্লাটিনাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।
98. 🤍প্লুম্বাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।
99. 🤍পসিপরিনাম:🤍 ঝাল > উভয় কাতর।
100. 🤍রানুনকুলাস:🤍 টক > শীত কাতর।

💝💓💖 এই ঔষধগুলির প্রিয়তা এবং কাতরতা লক্ষণগুলি সাধারণত ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

11/01/2025

যে অভ্যাসগুলো আপনার হার্টের নিরব শত্রু!!!
১. দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপ, পিসি ব্যবহার বা টেলিভিশন দেখা।
২. মুক্তির পথ না খুঁজে বিষণ্নতা জিইয়ে রাখা।
৩. ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা।
৪. খাবার পর দাঁত ফ্লস (সুতা ব্যবহার করে দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্য কণা বের করে আনা) না করা।
৫. নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা।
৬. শরীরচর্চায় অবহেলা করা।
৭. অতিরিক্ত মদ্যপান করা।
৮. অতিরিক্ত খাওয়া।
৯. সুস্থ আছেন বিবেচনা করে স্বাস্থ্যের অযত্ন করা।
১০. লাল মাংস (red meat) খাওয়া।
১১. কোলেস্টেরল, রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া।
১২. ধূমপান বা ধূমপায়ীর সাথে বসবাস।
১৩. ডোজ পূর্ণ করার আগেই প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া বা বন্ধ করে দেওয়া।
১৪. ফল ও শাক-সবজি এড়িয়ে যাওয়া।
১৫. বিভিন্ন ছোট খাটো অসুস্থতার লক্ষণ এড়িয়ে যাওয়া।
১৬. অতিরিক্ত লবন খাওয়া।
১৭. পুষ্টিকর খাবারের চেয়ে বেশি ক্যালরির খাবার নিয়মিত খাওয়া।

সময় থাকতে এগুলো ত্যাগ করুন৷
সবাইকে জানাতে শেয়ার করুন৷

06/09/2024

🌿°যৌন দুর্বলতা কাটানোর সেরা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কী?
🌹অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ০৬টি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
⏰এককালে, বেডরুমের সমস্যা বেডরুমেই সীমাবদ্ধ থাকত। আজকাল ঔষধের ব্যবসা, চিকিৎসার অগ্রগতি এবং বিশেষজ্ঞদের গবেষণার ফলে যৌন সমস্যা খোলামেলা বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা বা যৌন অক্ষমতার কারণে বৈবাহিক জীবনে অশান্তি নেমে আসে- যার পরিণাম হতে পারে বিবাহবিচ্ছেদ। যেকোনো বয়সে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসা করা যায় এবং এ সমস্যায় জর্জরিত অনেক পুরুষ যারা চিকিৎসা গ্রহণ করছে তারা স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ায় ফিরে আসছে। লিঙ্গ উত্থানে সমস্যাকে চিকিৎসকরা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এ সমস্যা মানুষের ধারণার চেয়েও বেশি কমন। বয়স্কদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। ন্যাশনাল কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজিক ডিজিজ ইনফরমেশন ক্লিয়ারিংহাউজ অনুসারে, ৪০ বছর বয়সের ৫ শতাংশ পুরুষ ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের অভিজ্ঞতা লাভ করে, যা ৬৫ বছর বয়সের পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ। পুরুষদের অনিয়মিত ইরেক্টাইল ডিসফাংশনও হতে পারে। নিউ অরলিন্সে অবস্থিত টিউল্যান ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং টাউরো ইনফার্মারির স্টাফ ইউরোলজিস্ট নিল বাউম বলেন, ‘যদি পুরুষেরা আপনাকে সত্য বলে, তাহলে জানবেন যে তারা জীবনে অন্তত একবার হলেও ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে ভুগেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি যৌনসহবাস পারফেক্ট নয়। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হলে যৌনসংগমের সুখ বিনষ্ট হয়।’ তিনি যোগ করেন, ‘একজন পুরুষের যৌন ক্ষমতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যেতে পারে।’ ১৯৭০ এর প্রথমদিকের আগ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা ধারণা করতেন যে, ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের মূল কারণ হলো মানসিক অবনতি। বর্তমানে মেডিক্যাল কমিউনিটি স্বীকার করছে যে, ওষুধ, জীবনযাত্রার ধরন অথবা ইনজুরি হচ্ছে বেশিরভাগ ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারণ। এ প্রতিবেদনে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন দূর করতে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শ তুলে ধরা হলো। * নিজেকে সময় দিন ডা. বাউম বলেন, ‘কোনো পুরুষ বয়স্ক হলে তার পক্ষে লিঙ্গ খাড়া হওয়ার মতো উত্তেজিত হতে বেশ সময় লাগতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘১৮ থেকে ২০ বছর বয়সের পুরুষদের লিঙ্গ উত্থিত হতে কয়েক সেকেন্ড সময় নেয় এবং ত্রিশ থেকে চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষদের ক্ষেত্রে এক বা দুই মিনিট সময় নিতে পারে। কিন্তু এক বা দুই মিনিট পরও ষাটোর্ধ্ব কোনো পুরুষের লিঙ্গ উত্থিত না হওয়ার মানে এই নয় যে সে যৌনক্রিয়ায় অক্ষম। তার দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।’ বীর্য নির্গত হওয়ার পর আবার লিঙ্গ খাড়া হওয়ার সময়ের পরিসর বয়সভেদে ভিন্ন হয়। ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সের পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ পুনরায় উত্থিত হতে একদিন বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
যদি সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সরনাপন্ন হওয়া জরুরী।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
🍁হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :~যৌন দুর্বলতা হলে লক্ষনগুলোর উপর একটু মনোযোগ দিলে খুব সহজেই সিম্পটম ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্বাচন করা সম্ভব।এখানে আমি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ০৬টি ঔষধের প্রাথমিক সিম্পটম গুলো বর্ননা করছি।যেটির লক্ষন বেশি মিলবে সেটি ঘরোয়া চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

⏰Salix nigra:
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

⏰Lycopodium clavatum:
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

⏰Selenium:
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

⏰Agnus Castus:
রণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

⏰Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

⏰Staphisagria:
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
আমাদের চিকিৎসা ও ঔষধ পেতে আপনার রোগ লক্ষন বিস্তারিত পেজের ম্যাসেজ বক্সে জানাতে পারেন।

07/03/2024

বিভিন্ন প্রকার টিউমার,সিষ্ট, অর্শ্ব,পাইলস,গেজ, ফিসার,ফিষ্টুলা, অন্ডকোষের যাবতীয় রোগ,জন্ডিস,লিভার রোগ,হেপাটাইটিস বি-সি, ভিডিআরএল পজেটিভ, পেনক্রিয়াটাটিস, আইবিএস, গনোরিয়া,সিফিলিস,মহিলাদের শ্বেতস্রাব,জড়ায়ুনেমেআসা, স্তন শুকিয়ে যাওয়া, এলার্জি,একজিমা,শ্বাসকষ্ট, আচিল, কিডনির পাথর,সিস্ট,নাকের পলিপ ও নাক ডাকা, কানপাকা স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুন, শুক্রাণু কমা, ডিম্বাণু কম হওয়া, বোবায়ধরা,তুতলানো, টনসিলাইটিস, স্তনে দুধ কম হওয়া, ইরেক্টাইল ডিসফাংশান এ, ও জটিল ক্যান্সারে, রক্তের দুষ্টিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন।
চমৎকার চিকিৎসা।
আমরা প্রায় সুদীর্ঘ কাল থেকে অর্থাৎ 20 বছরের ও অধিক সময় ধরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে আসছি।
সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে,
কলারোয়া নসিমন স্টান্ড বুজতলার মোড় হাসপাতাল রোড কৃষি ব্যাংকের পশ্চিম পাশে
কেয়ার এন্ড কিয়োর হোমিওপ্যাথি

ডা: এম এ বারিক
অধ্যক্ষ কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
রেজিস্ট্রার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক
01782-673743

 #জরুরি_ছাব্বিশটি_হোমিওপ্যাথিক_ঔষধঃ-জরুরি ছাব্বিশটি হোমিও ঔষধের নাম (সাথে প্রধান প্রধান লক্ষণসহ) দেওয়া হলো যেগুলো কিনে এ...
07/03/2024

#জরুরি_ছাব্বিশটি_হোমিওপ্যাথিক_ঔষধঃ-

জরুরি ছাব্বিশটি হোমিও ঔষধের নাম (সাথে প্রধান প্রধান লক্ষণসহ) দেওয়া হলো যেগুলো কিনে এনে সব সময় ঘরে জমা করে রাখা উচিৎ। তাহলে প্রয়োজনের সময় রাত-বিরাতে আর ঔষধ কেনার জন্য দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হবে না এবং ছোট-খাটো ব্যাপারে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে যাওয়ার ঝামেলা থেকেও বেঁচে যাবেন। প্রতিটি ঔষধ ৩০ শক্তিতে গ্লোবিউলসে এক ড্রাম (অথবা দু্ই ড্রাম) করে কিনে রাখুন।সাধারণত হোমিও ফার্মেসীগুলোতে ৫০টির মতো হোমিও ঔষধের শিশি রাখার মতো ছোট্ট বাক্স পাওয়া যায়। এরকম একটি বাক্স কিনে তাতে ঔষধের শিশিগুলি রাখুন।

♦(১) Aconitum napellus :- যে-কোন রোগই হউক না কেন (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-নিউমোনিয়া-পেটব্যথা-হাঁপানি-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড ফ্লু-বুক ধড়ফড়ানি প্রভৃতি), যদি হঠাৎ শুরু হয় এবং শুরু থেকেই মারাত্মকরূপে দেখা দেয় অথবা দুয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তবে একোনাইট ঔষধটি হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। একোনাইটকে তুলনা করা যায় ঝড়-তুফান-টর্নেডোর সাথে.....প্রচণ্ড কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। একোনাইটের রোগী রোগের যন্ত্রণায় একেবারে অস্থির হয়ে পড়ে। রোগের উৎপাত এত বেশী হয় যে, তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। রোগী ভাবে সে এখনই মরে যাবে।

♦(২) Bryonia alba : ব্রায়োনিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর ঠোট-জিহ্বা-গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে,প্রচুর পানি পিপাসা থাকে, রোগী অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে, নড়াচড়া করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, রোগীর মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে, কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয় অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়, প্রলাপ বকার সময় তারা সারাদিনের পেশাগত কাজের কথা বলতে থাকে অথবা বিছানা থেকে নেমে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে, শিশুদের কোলে নিলে তারা বিরক্ত হয়, মুখে সবকিছু তিতা লাগে। যে-কোন রোগই হউক না কেন, যদি উপরের লক্ষণগুলোর অন্তত দু-তিনটি লক্ষণও রোগীর মধ্যে পাওয়া যায়, তবে ব্রায়োনিয়া সেই রোগ সারিয়ে দিবে। ব্রায়োনিয়া ঔষধটি নিউমোনিয়ার জন্য আল্লাহ্‌র একটি বিরাট রহমত স্বরূপ। সাধারণত নিম্নশক্তিতে খাওয়ালে ঘনঘন খাওয়াতে হয় কয়েকদিন কিন্তু (১০,০০০ বা ৫০,০০০ ইত্যাদি) উচ্চশক্তিতে খাওয়ালে দুয়েক ডোজই যথেষ্ট।

♦(৩) Rhus toxicodendron : রাস টক্সের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা, রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারে না, রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতেছে, নড়াচড়া করলে (অথবা শরীর টিপে দিলে) তার ভালো লাগে অর্থাৎ রোগের কষ্ট কমে যায়, স্বপ্ন দেখে যেন খুব পরিশ্রমের কাজ করতেছে। বর্ষাকাল, ভ্যাপসা আবহাওয়া বা ভিজা বাতাসের সময়কার যে-কোন জ্বরে (বা অন্যান্য রোগে) রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ। রাস টক্স খাওয়ার সময় ঠান্ডা পানিতে গোসল বা ঠান্ডা পানিতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মোছা যাবে না। বরং এজন্য কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। কেননা ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে রাস টক্সের একশান নষ্ট হয়ে যায়। (* ব্রায়োনিয়া এবং রাস টক্সের প্রধান দুটি লক্ষণ মনে রাখলেই চলবে ; আর তা হলো - নড়াচড়া করলে ব্রায়োনিয়ার রোগ বেড়ে যায় এবং রাস টক্সের রোগ হ্রাস পায় / কমে যায়।)

♦(৪)Lycopodium clavatumঃ লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮টার সময় বৃদ্ধি পায়, এদের রোগ ডান পাশে বেশী হয়, রোগ ডান পাশ থেকে বাম পাশে যায়, এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের বা হজমের সমস্যা লেগেই থাকে, এদের দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয়, এদের স্বাস্থ্য খারাপ কিন্তু ব্রেন খুব ভালো,এরা খুবই সেনসিটিভ এমনকি ধন্যবাদ দিলেও কেঁদে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও কোন রোগীর মধ্যে থাকলে লাইকোপোডিয়াম তার যে-কোন রোগ (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-নিউমোনিয়া-পেটব্যথা-হাঁপানি-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড ফ্লু-বুক ধড়ফড়ানি-চুলপড়া-ধ্বজভঙ্গ প্রভৃতি) সারিয়ে দেবে।

♦(৫) Belladonna : তিনটি লক্ষণের উপর ভিত্তি করে বেলেডোনা ঔষধটি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, যথা-উত্তাপ, লাল রঙ এবং জ্বালা-পোড়া ভাব। যদি শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে উত্তাপ বেশী থাকে, যদি আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যায় (যেমন- মাথা ব্যথার সময় মুখ লাল হওয়া, পায়খানার সাথে টকটকে লাল রক্ত যাওয়া), শরীরে জ্বালা-পোড়াভাব থাকে, রোগী ভয়ঙ্কর সব জিনিস দেখে, ভয়ে পালাতে চেষ্টা করে, অনেক সময় মারমুখী হয়ে উঠে ইত্যাদি ইত্যাদি। জ্বরের সাথে যদি রোগী প্রলাপ বকতে থাকে, তবে বেলেডোনা তাকে উদ্ধার করবে নিশ্চিত। উপরের লক্ষণগুলো কোন রোগীর মধ্যে পাওয়া গেলে যে-কোন রোগে (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-রক্তআমাশয়-পেটব্যথা-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড ফ্লু-বুক ধড়ফড়ানি প্রভৃতি) বেলেডোনা প্রয়োগ করতে পারেন।

♦(৬) Arsenicum album : আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা (অর্থাৎ রোগী এক জায়গায় বা এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। এমনকি গভীর ঘুমের মধ্যেও সে নড়াচড়া করতে থাকে।), শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভীষণ জ্বালা-পোড়া ভাব, অল্প সময়ের মধ্যেই রোগী দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ হয়ে পড়ে, রোগীর বাইরে থাকে ঠান্ডা কিন্তু ভেতরে থাকে জ্বালা-পোড়া, অতি মাত্রায় মৃত্যু ভয়, রোগী মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই- তার মৃত্যু নিশ্চিত, গরম পানি খাওয়ার জন্য পাগল কিন্তু খাওয়ার সময় খাবে দুয়েক চুমুক। বাসি-পচাঁ-বিষাক্ত খাবার খেয়ে যত মারাত্মক রোগই হউক না কেন, আর্সেনিক খেতে দেরি করবেন না। ফল-ফ্রুট খেয়ে (ডায়েরিয়া, আমাশয়, পেট ব্যথা ইত্যাদি) যে-কোন রোগ হলে আর্সেনিক হলো তার এক নম্বর ঔষধ।

♦(৭) Arnica montana : যে-কোন ধরনের আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো, ঘুষি, লাঠির আঘাত বা উপর থেকে পড়ার কারণে ব্যথা পেলে আর্নিকা খেতে হবে। শরীরের কোন একটি অঙ্গের বেশী ব্যবহারের ফলে যদি তাতে ব্যথা শুরু হয়, তবে আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। আক্রান্ত স্থানে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে)। রোগী ভীষণ অসুস্থ হয়েও মনে করে তার কোন অসুখ নেই, সে ভালো আছে। উপরের লক্ষণগুলোর কোনটি থাকলে যে-কোন রোগে আর্নিকা প্রয়োগ করতে পারেন।

♦(৮) Mercurius solubilis: মার্ক সল ঔষধটির প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না, ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরে, পায়খানা করার সময় কোথানি, পায়খানা করেও মনে হয় আরো রয়ে গেছে, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়। রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল। ঘামের কারণে যাদের কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়, তাদের যে-কোন রোগে মার্ক সল উপকারী। এটি আমাশয়ের এক নম্বর ঔষধ। উপরের লক্ষণগুলো থাকলে যে-কোন রোগে মার্ক সল প্রয়োগ করতে পারেন।

♦(৯)Gelsemium sempervirens : জেলসিমিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর মধ্যে ঘুমঘুম ভাব থাকে বেশী, রোগী অচেতন-অজ্ঞান-বে‍ঁহুশের মতো পড়ে থাকে, দেখা যাবে গায়ে প্রচণ্ড জ্বর অথচ রোগী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে, মাথা ঘুড়ানি থাকে, শরীর ভারভার লাগে, মাত্রাতিরিক্ত দুর্বলতার কারণে রোগী নড়াচড়া করতে পারে না এবং একটু নড়াচড়া করতে গেলে শরীর কাঁপতে থাকে, ওপর থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়, সাহসহীনতা, শরীরের জোর বা মনের জোর কম হওয়া, ইত্যাদি লক্ষণ আছে। পরীক্ষার বা ইন্টারভিউর পূর্বে বেশী উৎকন্ঠিত হলে Argentum nitricum অথবা Gelsemium (শক্তি ৩০) এক মাত্রা খেয়ে নিতে পারেন।

♦(১০) Hepar sulph‍: হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এরা সাংঘাতিক সেনসেটিভ (over-sensitiveness), এতই সেনসেটিভ যে রোগাক্রান্ত স্থানে সামান্য স্পর্শও সহ্য করতে পারে না, এমনকি কাপড়ের স্পর্শও না। কেবল মানুষের বা কাপড়ের স্পর্শ নয়, এমনকি ঠান্ডা বাতাসের স্পর্শও সহ্য করতে পারে না। সাথে সাথে শব্দ (গোলমাল) এবং গন্ধও সহ্য করতে পারে না। হিপারের শুধু শরীরই সেনসেটিভ নয়, সাথে সাথে মনও সেনসেটিভ। অর্থাৎ মেজাজ খুবই খিটখিটে। ইহা সাধারণত ফোড়া, ঘা, ক্ষত ইত্যাদি অর্থাৎ ইনফেকশান দূর করার জন্য এন্টিবায়োটিক হিসাবে বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে । তবে লক্ষণ থাকলে যে-কোন রোগে হিপার প্রয়োগ করতে পারেন ।

♦(১১) Phosphorus : ফসফরাসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এই রোগীরা খুব দ্রুত লম্বা হয়ে যায় (এবং এই কারণে হাঁটার সময় সামনের দিকে বেঁকে যায়), অধিকাংশ সময় রক্তশূণ্যতায় ভোগে, রক্তক্ষরণ হয় বেশী, অল্প একটু কেটে গেলেই তা থেকে অনেকক্ষণ রক্ত ঝরতে থাকে, রোগী বরফের মতো কড়া ঠান্ডা পানি খেতে চায়, মেরুদন্ড থেকে মনে হয় তাপ বেরুচ্ছে, একা থাকতে ভয় পায়, হাতের তালুতে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে-কোন রোগে ফসফরাস প্রয়োগ করতে হবে।

♦(১২) Nux vomica : যারা অধিকাংশ সময়ে পেটের অসুখে-বদহজমে ভোগে, বদমেজাজী, ঝগড়াটে, বেশীর ভাগ সময় শুয়ে-বসে কাটায়, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না এবং অল্প শীতেই কাতর হয়ে পড়ে, এটি তাদের (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-রক্তআমাশয়-পেটব্যথা-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি) ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়। পান-সিগারেট-মদ-গাজা-ফেনসিডিল-হিরোইন দীর্ঘদিন সেবনে শরীরের যে ক্ষতি হয়, নাক্স ভমিকা তাকে পুষিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি এটি মদ-ফেনসিডিলের নেশা ছাড়তে ব্যবহার করতে পারেন। লক্ষণ মিলে গেলে এটি জ্বর, আমাশয়, পেটব্যথা, নিদ্রাহীনতা, কোষ্টকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিক আলসার, হিস্টেরিয়া, খিচুনি, ধনুস্টংকার, পাইলস, দুর্বলতা, ক্ষুধাহীনতা, প্যারালাইসিস, ধ্বজভঙ্গ বা যৌন দুর্বলতা প্রভৃতি রোগের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ গণ্য হতে পারে।

♦(১৩) Pulsatilla pratensis : পালসেটিলার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস-ঠান্ডা খাবার-ঠান্ডা পানি পছন্দ করে, গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে রোগীনী বিরক্ত বোধ করে ইত্যাদি ইত্যাদি। আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং যত দিন যায় ততই মোটা হতে থাকে, এমন মেয়েদের ক্ষেত্রে পালসেটিলা ভালো কাজ করে। এসব লক্ষণ কারো মধ্যে থাকলে যে-কোন রোগে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে। বাতের ব্যথা ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করলে পালসেটিলা খেতে হবে (যেমন- সকালে এক জায়গায় ব্যথা তো বিকালে অন্য জায়গায়।)। মাসিক বন্ধ থাকলে পালসেটিলা সেটি চালু করতে পারে। ঘি-চবি জাতীয় খাবার খেয়ে যে-কোন রোগ হলে পালসেটিলা অবশ্যই খাবেন। এটি নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে। গর্ভবতী মেয়েদের প্রায় সকল সমস্যাই পালসেটিলা দূর করে দিতে পারে। প্রসব ব্যথা বাড়িয়ে দিয়ে পালসেটিলা প্রসবকাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে পারে। পালসেটিলা বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে পারে। এমনকি গর্ভস্থ শিশুর পজিশন ঠিক না থাকলে তাও ঠিক করে দেওয়ার মতো অলৌকিক ক্ষমতা পালসেটিলার আছে।

♦(১৪) Cantharis : জ্বালা-পোড়া এবং ছিড়ে ফেলার মতো ব্যথা হলো ক্যান্থারিসের প্রধান লক্ষণ। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যায় ইহা একটি যাদুকরী ঔষধ। ভীষণ জ্বালাপোড়া থাকলে যে-কোন রোগে ক্যান্থারিস ব্যবহার করতে পারেন। এটি জলাতঙ্ক রোগের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এটি যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে ভীষণভাবে। কোন জায়গা পুড়ে গেলে একই সাথে খাওয়ান এবং পানির সাথে মিশিয়ে পোড়া জায়গায় লাগান। এটি পেটের মরা বাচ্চা, গর্ভফুল বের করে দিতে পারে এবং বন্ধ্যাত্ব নির্মূল করতে পারে।

♦(১৫) Colocynthis : পেটের ব্যথা যদি শক্ত কোন কিছু দিয়ে পেটে চাপ দিলে অথবা সামনের দিকে বাঁকা হলে কমে যায়, তবে কলোসিন্থ আপনাকে সেই ব্যথা থেকে মুক্ত করবে। কলোসিনে'র ব্যথা ছুরি মারার মতো খুবই মারাত্মক ধরণের অথবা মনে হবে যেন দুটি পাথর দিয়ে পেটের নাড়ি-ভূড়িগুলোকে কেউ পিষতেছে। যে-কোন রোগের সাথে যদি এরকম চিড়িক মারা পেট ব্যথা থাকে, তবে কলোসিন্থেসেই রোগ সেরে যাবে (হউক তা ডায়েরিয়া-আমাশয় অথবা টিউমার)। রেগে যাওয়া, অপমানিত হওয়া, ঝগড়া-ঝাটি, ফল-ফ্রুট খাওয়া, ঠান্ডা পানি পান করা ইত্যাদি কারণে ডায়েরিয়া হলে তাতে কলোসিন্থ খেতে হবে।

♦(১৬) Thuja occidentalis : যে-কোন টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, পোলিও, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে জ্বর আসলে অথবা অন্য যে-কোন (মামুলি অথবা মারাত্মক ধরণের) রোগ হলে সেক্ষেত্রে থুজা একটি অতুলনীয় ঔষধ।যে-কোন টিকা নেওয়ার সময় পাশাপাশি রোজ তিনবেলা করে থুজা খান, তাহলে সেই টিকার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে পারবেন। জ্বরের মধ্যে কেউ যদি ‘উপর থেকে পড়ে যাওয়ার’ স্বপ্ন দেখে, তবে সেটি যেই নামের জ্বরই হোক না কেন, থুজা তাকে নিরাময় করে দিবে। আঁচিল বা মেঞ্জের এক নম্বর ঔষধ হলো থুজা। গনোরিয়া রোগে এবং মাসিকের সময় ব্যথা হলে থুজা সবচেয়ে ভালো ঔষধ। প্রস্রাবের অধিকাংশ সমস্যা থুজায় নিরাময় হয়ে যায়। নরম টিউমার ইহাতে আরোগ্য হয়। যে-সব রোগ বর্ষাকালে বা ভ্যাপসা আবহাওয়ার সময় বৃদ্ধি পায়, সে-সব রোগে থুজা খান।

♦(১৭) Hypericum perforatum : যে-সব আঘাতে কোন স্মায়ু ছিড়ে যায়, তাতে খুবই মারাত্মক ব্যথা শুরু হয় যা নিবারণে হাইপেরিকাম খাওয়া ছাড়া গতি নেই। শরীরের সপর্শকাতর স্থানে {যেমন- ব্রেন বা মাথা, মেরুদন্ড, (পাছার নিকটে) কণ্ডার হাড়ে, আঙুলের মাথায়, অণ্ডকোষে ইত্যাদিতে} আঘাত পেলে বা কিছু বিদ্ধ হলে, তাতে হাইপেরিকাম খেতে দেরি করবেন না।আঘাত পাওয়ার স্থান থেকে প্রচণ্ড ব্যথা যদি চারদিকে ছড়াতে থাকে বা খিঁচুনি দেখা দেয় অথবা শরীর ধনুকের ন্যায় বাঁকা হয়ে যায় (ধনুষ্টঙ্কার),তবে হাইপেরিকাম ঘনঘন খাওয়াতে থাকুন। (তবে যে-সব ক্ষেত্রে পেশী এবং স্নায়ু দুটোই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে বলে মনে হয়, তাতে আর্নিকা এবং হাইপেরিকাম একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন।) হাইপেরিকাম খেতে পারলে আর এটিএস ইনজেকশন নেওয়ার কোন দরকার হবে না।

♦(১৮) Chamomilla : যদি ব্যথার তীব্রতায় কোন রোগী দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়ে, তার ভদ্রতাজ্ঞানও লোপ পেয়ে যায়, সে ডাক্তার বা নার্সকে পযর্ন্ত গালাগালি দিতে থাকে; তবে তাকে ক্যামোমিলা খাওয়াতে হবে।ক্যামোমিলা হলো অভদ্র রোগীদের ঔষধ। স্কুলের শিক্ষকদের হাতে শিশুরা মার খাওয়ার ফলে, অপমানিত হওয়ার কারণে, শারীরিক-মানসিক নিরযাতনের ফলে কোন রোগ হলে ক্যামোমিলা খাওয়াতে ভুলবেন না।যারা ব্যথা একদম সহ্য করতে পারে না, ক্যামোমিলা হলো তাদের ঔষধ। যে-সব মেয়েরা প্রসব ব্যথায় পাগলের মতো হয়ে যায়, তাদেরকে এটি খাওয়াতে হবে। গরম কিছু খেলে যদি দাঁত ব্যথা বেড়ে যায়, তবে ক্যামোমিলা প্রযোজ্য। ডায়েরিয়া বা আমাশয়ের পায়খানা থেকে যদি পঁচা ডিমের গন্ধ আসে, তবে এটি খাওয়াতে হবে। শিশুদের দাঁত ওঠার সময়ে পেটের অসুখ হলে ক্যামোমিলা খাওয়াবেন। কোন শিশু যদি সারাক্ষণ কোলে ওঠে থাকতে চায়, তবে তাকে যে-কোন রোগে ক্যামোমিলা খাওয়ালে তা সেরে যাবে।

♦(১৯) Plantago Major : দাঁত, কান এবং মুখের ব্যথায় প্লানটাগো মেজর এমন চমৎকার কাজ করে যে, তাকে এক কথায় যাদু বলাই যুক্তিসঙ্গত।একদিন পত্রিকায় দেখলাম, একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের দাঁতব্যথা সারাতে না পেরে ডেন্টিস্টরা শেষ পযর্ন্ত একে একে তাঁর ভালো ভালো চারটি দাঁতই তুলে ফেলেছেন। আহা ! বেচারা ডেন্টিস্টরা যদি প্লানটাগো’র গুণের কথা জানত, তবে প্রবীণ এই সাংবাদিকের দাঁতগুলো শহীদ হতো না।

♦(২০) Ledum palustre : সূচ, আলপিন, তারকাটা, পেরেক, টেটা প্রভৃতি বিদ্ধ হলে ব্যথা কমাতে এবং ধনুষ্টঙ্কার / খিচুনি ঠেকাতে লিডাম ঘনঘন খাওয়ান।পক্ষান্তরেধনুষ্টঙ্কার দেখা দিলে বা আক্রান্ত স্থান থেকে তীব্র ব্যথা শরীরের বিভিন্ন দিকে যেতে থাকলে এবং শরীর ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গেলে হাইপেরিকাম (Hypericum perforatum) ঘনঘন খাওয়াতে থাকুন। চোখে ঘুষি বা এই জাতীয় কোনো আঘাত লাগলে লিডাম এক ঘণ্টা পরপর খেতে থাকুন। ইদুর এবং পোকার কামড়ে লিডাম খেতে হবে।এটি উকুনের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ, তেল বা পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। বাতের ব্যথায় উপকারী বিশেষত যাদের পা দুটি সব সময় ঠান্ডা থাকে। আঘাতের স্থানে কালশিরা পড়া ঠেকাতে অথবা কালশিরা পড়লে তা দূর করতে লিডাম খেতে পারেন।

♦(২১) Camphora : ক্যাম্ফরা হলো শেষ মুহূর্তের ঔষধ। কোন রোগের কারণে অথবা কোন দুর্ঘটনার ফলে যদি কেউ মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যায়, তবে তাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে ঘনঘন ক্যাম্ফরা খাওয়াতে থাকুন। যখনই কেউ অজ্ঞান হয়ে যায়, হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায় কিন্তুতারপরও সে কাপড়-চোপড় গায়ে দিতে চায় না, রক্তচাপ কমে যায়, কপালে ঠান্ডা ঘাম দেখা দেয়, নিঃশ্বাস গভীর হয়ে পড়ে, তখন বুঝতে হবে তার মৃত্যু খুবই নিকটে। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে ঘনঘন ক্যামফরা খাওয়াতে থাকুন। অন্যকোন হোমিও ঔষধে রিয়েকশন করলে ক্যামফরা খেতে থাকুন ; কেননা এটি শতকরা নব্বই ভাগ হোমিও ঔষধের একশান নষ্ট করে দিতে পারে।হঠাৎ কোনো কারণে হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে বা অত্যধিক বুক ধড়ফড়ানি শুরু হলে ক্যাম্ফরা পাঁচ মিনিট পরপর খাওয়াতে থাকুন। এটি পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে পারে।

♦ (২২) Teucrium Marum verum : টিউক্রিয়াম হলো সবচেয়ে নিরাপদ এবং কাযর্কর ক্রিমির ঔষধ। ছেলে-বুড়ো সকলেই এটি খেতে পারেন। রোজ দুই/তিন বার করে দুই/তিন দিন খাওয়া উচিত। নাক বন্ধ হয়ে থাকলে, নাকের পলিপ (নরম টিউমার) এবং জরায়ুর পলিপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে টিউক্রিয়াম প্রযোজ্য।

♦(২৩) Allium cepa : পেয়াজের রস থেকে তৈরী করা এলিয়াম সেপা নামক ঔষধটি, ক্লার্কের মতে, হোমিওপ্যাথিতে সর্দির সবচেয়ে ভালো ঔষধ। সর্দির সাথে জ্বর, মাথাব্যথা অথবা স্বরভঙ্গ থাকলেও এটি খেতে পারেন।

♦(২৪) Eupatorium perfoliatum : ইউপেটোরিয়াম পারফো নামক ঔষধটি প্রধানত ডেঙ্গু জ্বরে ব্যবহৃত হয়। তবে যে-কোন জ্বরে এটি খেতে পারেন যদি তাতে ডেঙ্গু জ্বরের মতো প্রচণ্ড শরীর ব্যথা থাকে। জ্বরের মধ্যে যদি শরীরে এমন প্রচণ্ড ব্যথা থাকে যেন মনে হয় কেউ শরীরের সমস্ত হাড় পিটিয়ে গুড়োঁ করে দিয়েছে। পানি বা খাবার যাই পেটে যায় সাথে সাথে বমি হয়ে যায়।আইসক্রীম বা ঠান্ডা পানি খেতে ইচ্ছে হয়। রোগী খুবই অস্থির থাকে, এক মুহূর্ত স্থির হয়ে বসতে পারে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সিজনাল ভাইরাস জ্বরেও যদি প্রচণ্ড শরীর ব্যথা থাকে তবে ইউপেটোরিয়াম খেতে হবে।

♦(২৫) Calcarea Phosphorica : ক্যালকেরিয়া ফস শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য পৃথিবীর সেরা একটি ভিটামিন। মায়ের পেট থেকে শুরু করে মৃত্যু পযর্ন্ত এটি খেয়ে যাওয়া উচিত। সাত দিন বা পনের দিন পরপর একমাত্রা করে খাওয়া উচিত। গর্ভকালীন সময়ে খেলে আপনার সন্তানের হাড়, দাঁত, নাক, চোখ, ব্রেন ইত্যাদির গঠন খুব ভালো হবে এবং আপনার সন্তান ঠোক কাটা, তালু কাটা, হাড় বাঁকা, খোঁজা, বামন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধি প্রভৃতি দোষ নিয়ে জন্মনোর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এটি শিশুদের নিয়মিত খাওয়ালে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং অসুখ-বিসুখ কম হবে। যে-সব শিশুদের মাথার খুলির হাড় ঠিক মতো জোড়া লাগেনি, তাদেরকে অবশ্যই ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়াতে হবে। নাকের, পায়খানার রাস্তার এবং জরায়ুর পলিপ বা নরম টিউমার এই ঔষধে দুর হয়ে যায়। হাড় ভেঙে গেলে ক্যালকেরিয়া ফস দ্রুত জোড়া লাগিয়ে দেয়। কোন শিশু বিরাট বড় মাথা নিয়ে জন্মালে (hydrocephalus)অথবা জন্মের পরে মাথা বড় হয়ে গেলে, ক্যালকেরিয়া ফস তার এক নম্বর ঔষধ। রোগের কথা চিন্তা করলে যদি রোগের উৎপাত বেড়ে যায়, তবে তাতে এই ঔষধ প্রযোজ্য। এটি টনসিলের সমস্যা এবং মুখের ব্রণের সেরা ঔষধ।যাদের ঘনঘন সর্দি লাগে, তারা অবশ্যই এই ঔষধ খাবেন। ডায়াবেটিসের এটি একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। শিশুদের দাঁত ওঠার সময় অবশ্যই ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়ানো উচিত। এটি নারী-পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

♦(২৬) Cocculus Indicus : ককুলাস হলো মাথা ঘুরানির এক নম্বর ঔষধ।ককুলাসের প্রধান লক্ষণ হলো মাথার ভেতরটা ফাঁপা বা হালকা মনে হয়। সড়ক-রেল-সমুদ্র ভ্রমণজনিত সমস্যায় (মাথাঘুরানি-বমিবমি ভাব ইত্যাদিতে) এটি খেতে পারেন। ঠিক মতো ঘুম না হলে অথবা রাত জেগে কাজ করার ফলে পরদিন যে-সব সমস্যা হয়, তাতে ককুলাস সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তেল বা পানির সাথে মিশিয়ে চুলে মেখে কিছুক্ষণ পর চুল ধুয়ে ফেললে অথবা পাতলা চিরুনি দিয়ে আচড়ালে উকুঁন সাফ হয়ে যাবে।

Address

Kalaroa
9410

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হোমিওপ্যাথিক শিক্ষালয় posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram