Dr.Afrid Jahan

Dr.Afrid Jahan Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr.Afrid Jahan, Doctor, Kazipara.

এমবিবিএস ডিএমিউ(আল্ট্রাসাউন্ড)
বিসিএস(স্বাস্থ্য),পিজিটি(চর্ম যৌন)
জেনারেল ফিজিশিয়ান
গাইনী ও চর্মরোগে অভিজ্ঞ
দাউদ,একজিমা,স্ক্যাবিস,এলার্জি,সোরিয়াসিস সহ বিভিন্ন চর্মরোগ ও চুলপড়ার আধুনিক পিআরপি চিকিৎসা,লেজার চিকিৎসা ও গাইনি ও স্ত্রীরোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। General Physician Aesthetic Physician
Experienced in Dermatology And Gynecology
With Adorne Laser Care,Mirpur-6,Dhaka.
& MediLad Diagnostic centre,Akhaura,Brahmanbaria.

01/07/2025

🦇বাস্তবে ভ্যাম্পায়ার (পর্ব :২)

ভ্যাম্পায়ার শতবছরের পুরাতন পৌরোণিক লোকোকাহিনী যার সাথে পোরফাইরিয়া(Porphyria) রোগের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।তাই ধারণা করা হয়,পোরফাইরিয়া রোগটিই ভ্যাম্পায়ার কাহিনীর জন্ম দিয়েছে।পোরফাইরিয়ার অনেকগুলো উপধরন(Subtype) আছে। এরমধ্যে পোরফাইরিয়া কুটানিয়া টারডা (Porphyria cutanea tarda-PCT) হল পোরফাইরিয়ার সবচেয়ে সাধারণ ধরণ।এই রোগকে ভ্যাম্পিয়ার রোগ(Vampire disease) বলা হয়।

Porphyria একটি বিরল বংশগত রোগ। এটি এমন একটি রোগ যা বংশগতির (Genetics) সাথে সম্পর্কিত।এই রোগে জন্মগতভাবে শরীরের রক্ত তৈরিতে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন এনজাইম (এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা বিভিন্ন শারীরবৃত্তীক কাজে সাহায্য করে) এর অভাব হয়।ফলে রক্তের প্রধান উপাদান হিম(Heme) উৎপাদনের পথ ব্যাহত হয়।এর ফলে ত্বকে পোরফাইরিন (porphyrin) নামক পদার্থ জমা হয় যা অতিমাত্রায় সূর্যালোক সংবেদনশীল।এর কারণে পোরফাইরিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলেই ত্বকে ফোসকা সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।এজন্য এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা সূর্যের আলো এড়িয়ে চলে।তারা দিনের বেলা সাধারণত ঘরের মধ্যেই বসবাস করে এবং রাত্রে ঘর থেকে বের হয়। ভ্যাম্পায়ার চরিত্রটির মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যটিই সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়।

➡️পরবর্তী পর্ব জানতে চোখ রাখুন .Afrid Jahan পেইজে।⬅️

✅আপনাদের জন্য .Afrid Jahan পেইজে রয়েছে অনলাইন কনসালটেন্সির সুযোগ।

https://www.facebook.com/share/p/16ngsss9nt/

পূর্ববর্তী পর্ব এর লিংক :
সূচনা পর্ব:
https://www.facebook.com/share/p/15xFvEvgUy/

পর্ব-১:
https://www.facebook.com/share/p/16C4cn6Kzk/

29/06/2025

🦇বাস্তবে ভ্যাম্পায়ার (পর্ব :১)

প্রাচীন যুগে বিভিন্ন সভ্যতা যেমন মেসোপটেমিয়া, গ্রিস, এবং রোম-এর গল্পে ভ্যাম্পায়ার পাওয়া যায়।ইউরোপীয় লোককাহিনী অনুযায়ী, ভ্যাম্পায়ার হচ্ছে একটি কল্পিত অতিপ্রাকৃত (supernatural) জীব, যা মানুষের রক্ত পান করে বেঁচে থাকে। সাধারণত এই ধরনের প্রাণীরা রাতে বের হয়, ধূপ বা রোদের আলোতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তাদের হত্যা করা কঠিন। তাদের দাঁত বের করা, Coffin-এ ঘুমানো, এবং গলায় রক্তচোষার বৈশিষ্ট্য থাকে।

ভ্যাম্পায়ারের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং কৌতুহলের কারণে ব্রাম স্টোকার নামক একজন আইরিশ লেখক ১৮৯৭ সালে একটা উপন্যাস রচনা করেন যার প্রধান চরিত্র ছিল Dracula। Count Dracula একটি কাল্পনিক ভ্যাম্পায়ার, এবং সে-ই আধুনিক ভ্যাম্পায়ার কাহিনির মূল অনুপ্রেরণা।
ড্রাকুলা চরিত্রটি ভ্লাদ দ্য ইমপেলার (Vlad the Impaler) নামের এক রোমানিয়ান রাজপুত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর নির্দয়।

➡️পরবর্তী পর্ব জানতে চোখ রাখুন .Afrid Jahan পেইজে।⬅️

✅আপনাদের জন্য .Afrid Jahan পেইজে রয়েছে অনলাইন কনসালটেন্সির সুযোগ।

https://www.facebook.com/share/p/16ngsss9nt/

পূর্ববর্তী পর্ব এর লিংক :
সূচনা পর্ব:
https://www.facebook.com/share/p/15xFvEvgUy/

🦇বাস্তবে ভ্যাম্পায়ার (সূচনা পর্ব):"রাতের আঁধারে জেগে ওঠে সেই ভয়ংকর ছায়া — রক্তপিপাসু ড্রাকুলা, যে ভালোবাসে নীরবতা, আর চু...
21/06/2025

🦇বাস্তবে ভ্যাম্পায়ার (সূচনা পর্ব):

"রাতের আঁধারে জেগে ওঠে সেই ভয়ংকর ছায়া — রক্তপিপাসু ড্রাকুলা, যে ভালোবাসে নীরবতা, আর চুমু খায় প্রাণ থেকে জীবন!"

🧛‍♂️ড্রাকুলা বা ভ্যাম্পায়ার নাম শুনলেই আমাদের মনে অজানা এক আতঙ্ক তৈরি হয়। মনে হয়,এই বুঝি পিছন থেকে এসে আমাকে কামড় দিল, রক্ত চুষে নিল। আমিও বুঝি, ভ্যাম্পায়ার বা ড্রাকুলা হয়ে গেলাম।
বিজ্ঞানের এই উন্নতির স্বর্নযুগে এই কাল্পনিক ভৌতিক চরিত্র আসলে কতটুক কাল্পনিক বা কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত তা জানতেই আমাদের এই পোস্ট।
পৃথিবীতে একটি জটিল বংশগত রোগ আছে যার সাথে এই ড্রাকুলা বা ভ্যাম্পায়ার এর মিল পাওয়া।

➡️এ বিষয়ে জানতে চোখ রাখুন .Afrid Jahan পেইজে।⬅️

✅আপনাদের জন্য .Afrid Jahan পেইজে রয়েছে অনলাইন কনসালটেন্সির সুযোগ।

https://www.facebook.com/share/p/16ngsss9nt/

20/06/2025

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস একটি প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া যা আমাদের শরীর ও মনে বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে উদ্ভূত হয়। যখন আমাদের জীবনে কোনো চ্যালেঞ্জ বা অস্থিরতা আসে, তখন আমরা সাধারণত মানসিক চাপ অনুভব করি। এই চাপ শারীরিক ও মানসিকভাবে আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং আমাদের ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

মানসিক চাপের প্রভাব

মানসিক চাপ শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, বিশেষত কর্টিসোলের মতো হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই অতিরিক্ত হরমোন আমাদের ত্বককে তেলতেলে, শুষ্ক বা সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। এছাড়া, মানসিক চাপ থেকে সৃষ্ট উদ্বেগ বা ডিপ্রেশন ত্বকের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেমন কোষ পুনর্নবীকরণ ও ত্বকের সুরক্ষা ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

ত্বকের সমস্যা

১. অ্যাকনি: মানসিক চাপের কারণে ত্বকের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে মুখে অ্যাকনে বা ব্রণ হতে পারে। স্ট্রেসে থাকা অবস্থায় কর্টিসোলের মাত্রা বাড়ানোর ফলে ত্বকের পোর গুলি বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে।

২. একজিমা: স্ট্রেসের কারণে একজিমা বা ত্বকের সেঁদিয়ে যাওয়ার সমস্যা বাড়তে পারে। এটি ত্বকে খুশকি, শুষ্কতা এবং লালচে দাগ তৈরি করতে পারে।

৩. সোরিয়াসিস: মানসিক চাপ পিএসওরিয়াসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগের লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে তোলে। এই অবস্থায় ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায় এবং সোরিয়াটিক প্লাক বা প্যাচ গুলি দেখা দেয়।

৪. লালচে ও ফুসকুড়ি: স্ট্রেস আমাদের ত্বকে লালচে বা ফুসকুড়ির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত মুখে বা গলার কাছে। এই ধরনের সমস্যা মানসিক চাপের কারণে ত্বকের স্নায়ুর প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে।

মানসিক চাপ কমানোর উপায়

মেডিটেশন ও শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলন: দৈনন্দিন জীবনে স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন বা প্রানায়াম খুবই উপকারী হতে পারে। এটি আপনার মনকে শান্ত করে এবং শরীরের অঙ্গসংস্থানকে ভারসাম্য রাখে।

শরীরচর্চা: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম যেমন হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকেও সুস্থতা নিয়ে আসে।

পর্যাপ্ত ঘুম: মানসিক চাপের সাথে সম্পর্কিত অনেক ত্বকের সমস্যা ঘুমের অভাবে বেড়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ: বন্ধু বা পরিবারের সাথে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার মনের ভার হালকা করে এবং ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

উপসংহার

মানসিক চাপ শুধু আমাদের মনের উপর প্রভাব ফেলে না, এটি আমাদের ত্বকেও তার ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। স্ট্রেসের কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা উচিত। এর মাধ্যমে আপনি কেবল মনের শান্তি পাবেন না, পাশাপাশি আপনার ত্বকেও সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে পারবেন।

✨ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই প্রথমবার, শুধুমাত্র আখাউড়াতে Yellow Peel — এখন ডা. আফ্রিদ জাহান এর তত্ত্বাবধানে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ...
15/06/2025

✨ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই প্রথমবার, শুধুমাত্র আখাউড়াতে Yellow Peel — এখন ডা. আফ্রিদ জাহান এর তত্ত্বাবধানে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ও দাগহীন সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়ই সম্ভব।
চর্ম ও গাইনী বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ ও কার্যকর ট্রিটমেন্ট পেতে আজই বুক করুন আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট।

📍 লোকেশন: নোভাএইড মেডিকেল ডায়গনস্টিক সেন্টার, উসমানপ্লাজা, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
📞 যোগাযোগ: ০১৯৬২৪৮৮৩৪৫ | ০১৭৬০৬০৪৪০৩

বলেছিলাম না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসিদের জন্য সুখবর আসছে! 😉

#আখাউড়া #ব্রাহ্মণবাড়িয়া

15/06/2025

➡️ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, ব্রণের দাগ, মেসতা,ডার্ক স্পট, সানড্যামেজ, পিগমেন্টেশন, এবং বয়সজনিত রিংকেল, ত্বকের আনইভেন টোন সমস্যায় ভুগছেন!?
এর পরিত্রাণ এর উপায় 'ইয়োলো পিল (yellow peel)⬅️

ইয়োলো পিল করানোর আগে ভালো ভাবে জেনে নিন এই সম্পর্কে। একজন বিশ্বস্ত চিকিৎসক এর থেকে ইয়োলো পিল করিয়ে নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

1. ইয়েলো পিল কী?

এটি একটি আধুনিক কেমিক্যাল পিলিং ট্রিটমেন্ট, যা ত্বকের গভীরে কাজ করে।

প্রধান উপাদান: স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, টিএসও (টাইক্লোরোঅ্যাসিটিক অ্যাসিড), এবং অন্যান্য শক্তিশালী উপাদান।

এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, ব্রণের দাগ মেসতা,ডার্ক স্পট, সানড্যামেজ, পিগমেন্টেশন, এবং বয়সজনিত রিংকেল, ত্বকের আনইভেন টোন কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল এবং মসৃণ করে তোলে।

2. ইয়েলো পিল কেন করা হয়?

ব্রণ, পিগমেন্টেশন, ডার্ক স্পট এবং ত্বকের অমসৃণতা ও বয়সজনিত রিঙ্কেলস দূর করতে।

সানড্যামেজ এবং অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

3. ইয়েলো পিল কীভাবে কাজ করে?

কেমিক্যাল সলিউশন প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ আলগা করে এবং নতুন ত্বক তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এটি ত্বকের টেক্সচার এবং টোন উন্নত করে, ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।

4. ইয়েলো পিলের সাইড এফেক্ট কী?

সাধারণ সাইড এফেক্ট: সাময়িক লালভাব, শুষ্কতা, বা ত্বকের খোসা ওঠা, যা ৩-৪ দিনের মধ্যে চলে যায়।

কিছু রোগী ত্বকে আরও সেনসিটিভ অনুভব করতে পারে এবং তবে সঠিকভাবে পরবর্তী ত্বকের যত্ন করলে, সূর্যের আলো থেকে কিছুদিন দূরে থাকলে এবং ত্বককে মশ্চেরাইজিং করলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং ত্বক ভিতর থেকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জল ও মসৃণ হয়ে ওঠে।

5. ইয়েলো পিল ট্রিটমেন্টে কয়টি সেশন প্রয়োজন?

সাধারণত একটি সেশনেই ফলাফল পাওয়া যায়, তবে ত্বকের অবস্থা অনুযায়ী একাধিক সেশন প্রয়োজন হতে পারে।

একাধিক সেশন প্রয়োজন হয় বিশেষত যদি ত্বকে গুরুতর ব্রণ বা পিগমেন্টেশন সমস্যা থাকে।

➡️ট্রিটমেন্ট পেতে যোগাযোগ করুন আমাদের ফেইসবুক পেইজে
অথবা-
হোওয়াটস্যাপ করুন : ০১৯৬২৪৮৮৩৪৫⬅️

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াবাসীদের জন্য  সুখবর আসছে.....
14/06/2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াবাসীদের জন্য সুখবর আসছে.....

আজকাল আমরা অনলাইনে কিংবা সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন ধরনের রং ফর্সাকারী ক্রিম, সিরাম,ফেশওয়...
13/06/2025

আজকাল আমরা অনলাইনে কিংবা সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন ধরনের রং ফর্সাকারী ক্রিম, সিরাম,ফেশওয়াশ,শ্যাম্পু, জেল ইত্যাদির জন্য নানা চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে থাকি।কিন্তু এই প্রোডাক্টগুলো ত্বকের জন্য আসলেই কতখানি উপকারী তা কি আমরা জানি?বা এগুলোর মধ্যে কি কোন ক্ষতিকারক উপাদান আছে যা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক?অনেক সময় এসব পদার্থে ক্ষতিকর এমন কিছু পদার্থ বিশেষ করে স্টরয়েড বা উচ্চমাত্রায় পারদ ব্যবহার করা হয়েছে যা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।আজ আমরা এ ধরনের কসমেটিকস বা ত্বক পরিচর্যাকারী বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর উপাদানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানব।

১. ত্বকের সমস্যা:

(ক) অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন:

কিছু কসমেটিক্সে পারাবেন, ফরমালডিহাইড, সালফেটস, এবং ফ্র্যাগ্রেন্স থাকে, যা স্কিন ইরিটেশন, র‍্যাশ, চুলকানি এবং রেডনেস সৃষ্টি করতে পারে।

সেনসিটিভ স্কিনের জন্য এই কেমিক্যালগুলো অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস তৈরি করতে পারে।

(খ) ব্রণ এবং একনে:

সিলিকন, মিনারেল অয়েল এবং কমেডোজেনিক (Clogging) উপাদান ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয়, যা ব্রণ এবং একনে বৃদ্ধি করতে পারে।

অয়েল-বেসড মেকআপ প্রোডাক্ট নিয়মিত ব্যবহারে তেলতেলে ত্বক এবং ব্রণ সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

(গ) সময়ের আগেই বয়সের ছাপ:

কিছু ফাউন্ডেশন, প্রাইমার এবং স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে থাকা অ্যালকোহল ত্বককে শুষ্ক করে এবং প্রিম্যাচিউর রিঙ্কেল ও ফাইন লাইনস তৈরি করে।

রেটিনল বা AHA/BHA এসিড অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং সহজেই রোদে পোড়ে।

ঘ) ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি :
বিভিন্ন ধরনের রং ফর্সাকারী ক্রিমে উচ্চমাত্রায় মারকারি বা পারদ ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এসব ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. চোখের সমস্যা

কাজল, আইলাইনার এবং মাসকারা-তে থাকা কিছু কেমিক্যাল (যেমন কোল-টার ডেরিভেটিভস এবং লিড) চোখে সংক্রমণ, চুলকানি, লালচে ভাব এবং অশ্রুগ্রন্থি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ওয়াটারপ্রুফ আই মেকআপ পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা কেমিক্যালযুক্ত রিমুভার চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৩. চুলের ক্ষতি

(ক) চুল পড়া এবং মাথার ত্বকের ক্ষতি:

সালফেট, পারাবেন, সিলিকন এবং অ্যালকোহলযুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে।

অতিরিক্ত কেমিক্যাল হেয়ার কালারিং, স্ট্রেইটনিং এবং পার্মিং চুলের প্রোটিন গঠন নষ্ট করে এবং চুল পড়ার কারণ হতে পারে।

(খ) খুশকি এবং চুলের রুক্ষতা:

কিছু কেমিক্যাল যেমন সোডিয়াম লরিল সালফেট (SLS) এবং সোডিয়াম লরেথ সালফেট (SLES) মাথার ত্বকের শুষ্কতা ও খুশকি বাড়াতে পারে।

৪. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

ফিথালেটস এবং পারাবেন (যা অনেক পারফিউম, বডি লোশন ও মেকআপে থাকে) এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর হিসাবে কাজ করে, যা হরমোনাল ইমব্যালান্স, পিরিয়ডের অনিয়ম এবং ফার্টিলিটির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে থাইরয়েড, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও রিপ্রোডাক্টিভ ডিজঅর্ডার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫. কিডনি এবং লিভারের বা অন্যান্য অংগের ক্ষতি:

কিছু লিপস্টিক ও ফাউন্ডেশনে লেড (Lead), ক্যাডমিয়াম ও মার্কারি থাকে, যা ব্লাডস্ট্রিমে মিশে লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

বেশি মাত্রায় ভারি ধাতু গ্রহণে নিউরোলজিকাল সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬. শ্বাসকষ্ট এবং অ্যালার্জি

কিছু স্প্রে ডিওডোরেন্ট, পারফিউম এবং হেয়ার স্প্রে-তে থাকা ফ্লোরোকার্বন এবং ফর্মালডিহাইড ফুসফুসে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যাজমা এবং ব্রঙ্কাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কিছু কসমেটিক পণ্য শ্বাসকষ্ট এবং অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন তৈরি করতে পারে।

৭. গর্ভধারণে ঝুঁকি

গর্ভবতী নারীদের জন্য ফথালেট, প্যারাবেন এবং ট্রাইক্লোসান ক্ষতিকর, কারণ এটি ভ্রূণের বিকাশে বাধা দেয় এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

কিছু স্কিন কেয়ার ও মেকআপ উপাদানে রেটিনল ও স্যালিসিলিক এসিড থাকে, যা ভ্রূণের জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে।

তাহলে আমরা কি কোন কসমেটিকস ব্যবহার করব না? অবশ্যই করবো।কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

কীভাবে নিরাপদ থাকবেন?

✔ নতুন পণ্য ব্যবহারের আগে "প্যাচ টেস্ট" করুন।
✔ "পারাবেন-ফ্রি," "ফথালেট-ফ্রি" এবং "অর্গানিক" লেবেলযুক্ত প্রোডাক্ট বেছে নিন।
✔ হার্বাল এবং প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ স্কিন কেয়ার ও মেকআপ ব্যবহার করুন।
✔ সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে আসা রাসায়নিক পণ্য (যেমন ব্লিচ) কম ব্যবহার করুন।
✔ কসমেটিকস ব্যবহারের পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং ত্বকের যত্ন নিন।

11/06/2025

🍽️খাবারে এলার্জি থেকে দূরে থাকতে ও প্রতিরোধ করতে নিচের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলা উচিত:

১. এলার্জির উৎস শনাক্ত করা

কোন খাবারে এলার্জি হয় তা আগে থেকেই জানার চেষ্টা করুন।

ডাক্তারের পরামর্শে অ্যালার্জি টেস্ট (Skin Prick Test বা Blood Test) করাতে পারেন।

২. এলার্জি সৃষ্টি করে এমন খাবার পরিহার করা

যেমন: ডিম, দুধ, বাদাম (পিনাট, ওয়ালনাট), মাছ, চিংড়ি, সয়াবিন, গম ইত্যাদি সাধারণ এলার্জি-উৎপাদক খাবার।

প্যাকেটজাত খাবারের লেবেল ভালো করে পড়ে নিন (যেমন: “May contain nuts”).

৩. রেঁধে খাওয়ার অভ্যাস গড়া

বাইরের খাবারে অজানা উপাদান থাকতে পারে, তাই ঘরের খাবার খাওয়াই নিরাপদ।

৪. রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সময় সতর্কতা

অর্ডার দেওয়ার সময় কর্মচারীকে আপনার এলার্জি সম্পর্কে জানিয়ে দিন।

“Food Allergy Alert” লিখে রাখুন, প্রয়োজনে ব্যাজ বা কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

৫. এলার্জি হলে কী করতে হবে তা জানা

সবসময় অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট বা ইপিপেন (Epinephrine auto-injector) সাথে রাখুন (যদি ডাক্তার পরামর্শ দেন)।

হঠাৎ এলার্জি হলে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে যান।

৬. শিশুদের বিশেষ নজরে রাখা

শিশুদের নতুন খাবার দেওয়ার সময় ছোট পরিমাণে দিন এবং প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন।

৭. পুষ্টিবিদ বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া

নির্দিষ্ট খাবার বাদ দিলে তার বিকল্প পুষ্টির উৎস সম্পর্কে জানুন।

Address

Kazipara

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Afrid Jahan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category