02/09/2025
প্রাকৃতিক দেহের চিকিৎসায় প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহন করুনঃ
প্রায় প্রতিটি পরিবারে মাঝ বয়সী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বাবা মা দাদা, দাদী উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোমড় ও হাঁটু ব্যথা বাত ব্যথায় আক্রান্ত। প্রতি নিয়ত সিন্থেটিক ঔষধ সেবনের ফলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন এসিডিটি, এলার্জি, বদ হজম, ক্ষুধামন্দা, অনিদ্রা, যৌনদুর্বলতা থেকে শুরু করে অঙ্গের দূর্বলতা ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।
তাহলে সমাধান???
হিজামা/শিঙা / কাপিং/ Cupping Therapyঃ হাজার বছরের পুরনো পদ্ধতি যা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীতে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি।
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, বাত ব্যথা, কোমর ব্যথা, হাঁটু ও গোড়ালি ব্যথা, মাইগ্রেইন ও মাথা ব্যথা। স্পোর্টস ইনজুরি ও আঘাত জনিত ব্যথায় খুবই কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি।
👉উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নাইট্রিক অক্সাইডঃ- রক্তনালী প্রসারণের মাধ্যমে নাইট্রিক অক্সাইড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। হিজামা গ্রহনে দেহে প্রচুর পরিমানে নাইট্রিক অক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে। গবেষণায় উঠে এসেছে একবার হিজামায় ১ মাস পর্যন্ত নাইট্রিক অক্সাইডের প্রভাব দেহে থাকে।
👉হিজামায় রক্তের ভলিউম কমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
👉আরবী মাসের ৩য় সপ্তাহে চাঁদের প্রভাবে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় যা উচ্চরক্তচাপ রোগীর ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতদের আরবী মাসের ১৭,১৯ ও ২১ তম তারিখে হিজামা নিতে বলেছেন।
👉হাড়ের জোড়ায় হিজামা গ্রহণে দুই হাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে সাইনুভিয়াল ফ্লুইড তৈরি হয় যা হাড়ের ক্ষয় রোধ ও আর্থ্রাইটিস রোধ করে।
👉 হাড়ের জোড়ায় ও মাংসপেশীতে ব্যথা ও প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান প্রোস্টাগ্লান্ডিন বের করে দিয়ে ইনফ্লামেশন কমায়।
👉হিজামা স্নায়ু কোষে দেহে প্রাকৃতিক ব্যথানাশক উপাদান এন্ডোরফিন, ডাই-মরফিন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে ব্যথা কমায়।
🥹 তাই স্বাস্থ্য সচেতনতায় বুদ্ধিমানের পরিচয় হবে খাদ্য থেকে শুরু করে দেহের প্রতিটি বিষয়ে প্রকৃতির দিকে ফিরে আসুন।