01/12/2022
১ লা ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস।
এবারের এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য " অসমতা দূর করি এইডস মুক্ত বিশ্ব গড়ি " ।
একটা সময়ে বিশেষ করে পশ্চিমা সংস্কৃতির দেশগুলোতে এগুলোতে আক্রান্ত বেশি হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে সাধারণ জনগণের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের মধ্যে সংক্রমণের এই হার সবচেয়ে বেশি।
এইচআইভি(HIV) ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যে কোনো ইনফেকশনেই মৃত্যু হতে পারে।
এইডস (AIDS) একটি ভাইরাস জনিত রোগ।হিউমেন ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস থেকে নাম হয়েছে এইচআইভি(HIV)। এই ভাইরাসটা মানুষের শরীরে সংক্রমণ হলেই রোগ হয়ে যায় না। সংক্রমণ হয়ে রোগ হতে অনেক সময় লাগে। অনেক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ বছর বা ২০ বছর লেগে যেতে পারে এই রোগের লক্ষন প্রকাশ পেতে। এজন্য যাদের এইচআইভি আছে, তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক মানুষের মতো কোনো উপসর্গহীন থাকতে পারে ।
এইচআইভি বিভিন্ন পদ্ধতি মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। সবচেয়ে বহুল তিনটি মাধ্যম হল রক্ত, বীর্য, দুধ। এগুলোর মাধ্যমে সরাসরি ছড়াই
(১)এইচআইভি-তে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সূঁচ ব্যবহার করলে,
(২)এইচআইভি-তে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুর, (৩)এইচআইভি-তে আক্রান্ত কারও সঙ্গে অসংরক্ষিত(কনডম ব্যবহার না করে) যৌন সম্পর্ক করলে। শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের মধ্যে সংক্রমণে হার বেশি।
৪. অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে, অর্থাৎ রক্তদানের পূর্বে ক্রস ম্যাচিং না করে নিলে
৫. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য ব্রাশ, রেজর অন্যান্য অনুষঙ্গ ব্যবহারের কারনে
এইডস হলে সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি যেটা হয়, তাহল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই ধবংস হয়ে যায়। খুব সামান্য অসুস্থতায় মৃত্যু পর্যন্ত হবার আশংকা থাকে।
এইডস আক্রান্ত রোগী নিয়ে কিছু ভুল ধারনাও রয়েছে সমাজে। তাই এইডস নিয়ে সচেতনতা জরুরি।
এইডস কি ঃ বাচতে হলে জানতে হবে।
হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সকল তথ্য পেতে অফিসিয়াল পেজে লাইক দিয়ে রাখুন।
https://www.facebook.com/profile.php?id=100085974909888