06/07/2025
ডাক্তার কেন লিপিড প্রোফাইল টেস্ট দেন❓
বিভিন্ন প্রকার চর্বি বা লিপিডের পরিমাণ জানতে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করা হয়। এই জরুরি পরীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হলো হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির পূর্বাভাস দেওয়া।
লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করার কারণগুলো হলো:
১. হৃদরোগের ঝুঁকি মূল্যায়ন: এটি হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি চিহ্নিত করার একটি প্রধান হাতিয়ার। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের উচ্চ মাত্রা এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL) কম মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
২. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে: নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা প্রতিরোধমূলক যত্ন হিসেবে কাজ করে। এটি রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগে ধমনীতে চর্বি জমার (এথেরোস্ক্লেরোসিস) প্রাথমিক লক্ষণগুলো সনাক্ত করতে সাহায্য করে, যা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে সাহায্য করতে পারে
৩. বিদ্যমান রোগের নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ:
* যদি আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, কিডনি বা লিভারের রোগ থাকে, তাহলে এই পরীক্ষাগুলো করা হয়
* যাদের হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে, তাদের নিয়মিত এই পরীক্ষা করা উচিত
* যারা কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ (যেমন স্ট্যাটিন) গ্রহণ করছেন, তাদের চিকিৎসার কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করতে এই পরীক্ষা করা হয়
৪. জীবনযাত্রার পরিবর্তন বা চিকিৎসার প্রভাব দেখা: জীবনযাত্রায় পরিবর্তন (যেমন খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন, ব্যায়াম) বা ওষুধের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে, তা জানতে এই পরীক্ষা করা হয়
৫. নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত ঘটনার পর: যদি আপনার হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো কোনো কার্ডিওভাসকুলার ঘটনা ঘটে থাকে, তবে এর কারণগুলো মূল্যায়ন করার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়
♻ সাধারণত, ৩০-৩৫ বছর বয়সের পর থেকে নিয়মিত (যেমন প্রতি ৫ বছর অন্তর) লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপানের অভ্যাস বা হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে চিকিৎসক পুনঃপুন এই পরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন