Natural And Homoeopathy Healing Center

Natural And Homoeopathy Healing Center homeopathy doctor

ডাক্তার বিদ্যাসাগরআজকাল চার পাশে পাশ না করা ডাক্তার নিয়ে সাংঘাতিক চর্চা চলছে। তাদের হাত কড়াও পরানো হচ্ছে। অবশ্য তাদের প্...
04/02/2022

ডাক্তার বিদ্যাসাগর

আজকাল চার পাশে পাশ না করা ডাক্তার নিয়ে সাংঘাতিক চর্চা চলছে। তাদের হাত কড়াও পরানো হচ্ছে। অবশ্য তাদের প্রায় সিংহ ভাগই অসাধু। কিন্তু আজকের হিসেবে দেখলে বিদ্যাসাগরকেও আমাদের ‘ভুয়ো’ ডাক্তার বলতে হয়। কিন্তু এই পাশ না করা ডাক্তারই তাঁর অন্যান্য কৃতিত্বের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাতেও নাম কিনেছিলেন। আবিস্কার করেছিলেন নতুন ওষুধ। কেবল তাই নয় সেকালের প্রবাদ প্রতিম অ্যালোপাথ ডাক্তারকে হাতে খড়িও দিয়েছিলেন হোমিওপ্যাথিতে।

বরাবরই সেবা অন্ত প্রাণ বিদ্যাসাগর। শহর কলকাতায় তখন কলেরার প্রকোপ। যে খানেই খবর পেতেন কলেরা রোগীকে অস্পৃশ্য করে রাখা হয়েছে সেখানেই চিকিৎসক বন্ধুকে নিয়ে বা একাই চলে যেতেন তিনি। তাঁর শুশ্রূষায় কত জন যে জীবন ফিরে পেয়েছেন তার কোনও হিসেব নেই। কেবল কলকাতাই নয়, পৌঁছে গেছেন প্রত্যন্ত গ্রামেও। অধ্যক্ষ ক্ষুদিরাম বসুর লেখায় পাই, একবার বর্ধমানের গ্রামকে গ্রাম ম্যালেরিয়ায় উজার হয়ে যায়। উলো, দ্বারবাসিনী সহ বিভিন্ন গ্রামে ছ মাস থেকে চিকিৎসা করেছিলেন বিদ্যাসাগর।

প্রচুর অর্থ ব্যয় করে হোমিওপ্যাথির বই কিনে চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষা করেছিলেন তিনি। বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন ওষুধ। ডাক্তারি শেখার জন্য নরকঙ্কাল পর্যন্ত কিনেছিলেন বিদ্যাসাগর। আর চিকিৎসা করতেন রীতি মতো ডায়রি মেনটেন করে। ইংরাজিতে লেখা সেই ডায়রি বর্তমানে সংরক্ষিত আছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে দুটি এন্ট্রি লক্ষ্য করা যাক। স্ত্রী দিনময়ী দেবীর চিকিৎসা করছেন ঈশ্বরচন্দ্র।

‘Dinamayi Devi
Thin watery evacuations-cutting pains in the bowels-violent chills; Execessive heat and thirst-
15.10.80 acontium 1
Every 2 hours
Cured 16.10.80’

পুত্রবধূ ভবসুন্দরীর চিকিৎসাও করছেন নিপুণ ভাবে-

‘Bhabasundari
Copious, tenacious, yellowish discharge from the female ge***al organs-
26.1.81 aconitium 6
Thrice daily
1.2.81 sepea 30
Thrice daily
Cured 15.2.81.’

সহকর্মী ক্ষুদিরাম বসু লিখছেন, ‘আমার একবার পেটের বায়রাম হয়েছিল। ব্রজেন বাঁড়ুয্যে, প্রতাপ মজুমদারদের ওষুধও ঠিক লাগছিল না। বিদ্যাসাগর মশায় আমায় দেখতে এসে বললেন-“ থাকবে?-না যাবে?” বেঁচে থাকতে চাও, না মরতে চাও? আমি একটু হাসলাম। তিনি বই খুঁজে খুঁজে আমাকে ওষুধ দিলেন। ২/৩ বার খেয়েই সুস্থ হলাম’।

ক্ষুদিরামকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিখতে বলেন বিদ্যাসাগর। বই আর ওষুধ মিলিয়ে দেড়শ টাকার একটা ফর্দ করে দেন। সে যুগের দেড়শ টাকা! স্বভাবতই হতভম্ব এবং বিব্রত ক্ষুদিরাম। বিদ্যাসাগর সে কথা বুঝতে পেরে তাঁর তরুণ সহকর্মীটিকে টাকাটা ধার হিসেবে দেন। প্রথমে বিরক্ত হলেও আখেরে লাভ হয়েছিল ক্ষুদিরামের। তিনি লিখছেন, ‘ এখন কিন্তু মনে হয় কি উপকারই তিনি করে গিয়েছিলেন। এলোপ্যাথিক ডাক্তারখানায় আমার বাড়ির জন্য এখন বছরে যদি ২০ টাকার বিল হয়ত খুব বেশী। আমি হোমিওপ্যাথিতেই বাড়ীর ছোট খাটো রোগ সারাই। আমার ছেলে হিরণ যার বয়স ২৫/২৬ হবে, এই গত বছরে মাত্র প্রথম এলোপ্যাথিক ওষুধ খায়’।

সে যুগের বিখ্যাত অ্যালোপাথ ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার একসময় হোমিওপ্যাথিকে ‘হাতুরে চিকিৎসা’ মনে করতেন। সেই তিনিই নিজের মত পালটে পরবর্তীতে হোমিওপ্যাথি চর্চা করেন। আর এই চর্চার পিছনেও আছেন বিদ্যাসাগর। বিদ্যাসাগরের ভাই শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্নের লেখা থেকে জানা যায়, একবার একই গাড়িতে ভবানীপুর থেকে উঠেছিলেন তিনি, বিদ্যাসাগর এবং মহেন্দ্রলাল সরকার। শ্রী রামকৃষ্ণের ডাক্তারের সঙ্গে হোমিওপ্যাথির যথার্থতা নিয়ে প্রবল তর্ক জুড়েছিলেন বিদ্যাসাগর। সে বিবাদের স্বর এমনই উচ্চে পৌঁছেছিল যে শম্ভুচন্দ্র বলতে বাধ্য হন, ‘মশায় আমাকে নামিয়ে দিন, আপনাদের বিবাদে আমার কানে তালা লাগল’। এই মহেন্দ্রলালই পরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাতেও খ্যাতি অর্জন করেন। ক্ষুদিরাম বসু এ প্রসঙ্গে বলছেন,‘মহেন্দ্র ডাক্তারকে ত তিনিই একরকম হোমিওপ্যাথিতে হাতে খড়ি দেন। লাল মিত্রের একসময়ে লিভার অ্যাবসেস হয়। মহেন্দ্র ডাক্তার দেখেশুনে ওষুধ দিয়ে গেলেন। তারপর বিদ্যাসাগর মশাই এসে রোগীকে দেখে সে ওষুধ আর দিতে দিলেন না। তিনি নিজে দেখেশুনে ওষুধ খাইয়ে তাঁর দুরারোগ্য রোগ সারিয়ে ছিলেন’।

বিদ্যাসাগরের নিজের হাঁপানি রোগ ছিল। শীতকালে সেই রোগ বেড়ে যেত। তিনি সকালে সন্ধ্যায় দু বেলা গরম চা পান করতেন। একদিন চা খাওয়ার পর অনুভব করলেন হাঁপানির টান যেন একটু বেশি মাত্রায় কম বোধ হচ্ছে। ভৃত্যকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন চায়ে আদা বা বিশেষ কিছু দেওয়া হয়েছিল কিনা। ভৃত্য বলে, না রোজ যেভাবে বানাই, সেভাবেই বানিয়েছি। বিদ্যাসাগরের সন্দেহ হয়। সরেজমিনে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে রান্নাঘরে গিয়ে চায়ের কেটলি খোলেন তিনি। যা দেখেন তাতে হতভম্ব বিদ্যাসাগর। কেটলিতে দুটো আরশোলা মরে পড়ে আছে। ভুবনকৃষ্ণ মিত্র লিখছেন, ‘তিনি দেখিলেন এক কেটলি জলে যখন ২টা আর্সোলা পড়িয়া তাঁহার হাঁপ অর্ধেক কমাইয়াছে, না জানি বহু পরিমাণে উহা জলে ফেলিয়া সিদ্ধ করিয়া, পরে এলকোহলে ফেলিয়া ছাঁকিয়া dilute করিয়া হোমিওপ্যাথি মতে ঔষধ বানাইয়া লোকের বা রোগীর অজ্ঞাতে সেবন করাইয়া এবং নিজেও ব্যবহার করিয়া দেখিব, হাঁপ কাসি সারে কি না?’

যেমন ভাবা তেমন কাজ। হোমিওপ্যাথি মতে ওই ওষুধ তৈরি করে অনেকের কষ্ট উপশম করেছিলেন বিদ্যাসাগর।

পিছিয়ে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ও চিকিৎসা। পিয়াস সরকার, দৈনিক মানবজমিন। ২০শে নভেম্বর ২০২১, শনিবার।চিকিৎসা বিজ্ঞানে হোমিওপ্যাথ...
20/11/2021

পিছিয়ে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ও চিকিৎসা। পিয়াস সরকার, দৈনিক মানবজমিন। ২০শে নভেম্বর ২০২১, শনিবার।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ভূমিকা সীমিত। ঠিক তেমনি এগিয়ে যেতে পারেনি প্রযুক্তির দিক থেকেও। দিনকে দিন এগিয়ে যাচ্ছে এলোপ্যাথি চিকিৎসা। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, পর্যবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণকেন্দ্রিক পড়াশোনা ও গবেষণায় এলোপ্যাথি এগিয়ে গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগুতে পারেনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞান।

জার্মান ফিজিশিয়ান ডা. সামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৯৬ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার যাত্রা শুরু করেন। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন অল্প ওষুধ প্রয়োগে রোগ নির্মূল ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। আবিষ্কারের পর থেকেই ক্রমাগত এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের চাহিদা দিনকে দিন বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু মেটাতে ব্যর্থ হয় যুগের চাহিদা। এর প্রধান কারণ চিকিৎসা শিক্ষায় ভারসাম্যহীনতা, গবেষণার অপ্রতুলতা ও উচ্চশিক্ষার অভাব। আছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। বর্তমান বিশ্বে বিকল্প ধারার চিকিৎসাকে বরাবরই উৎসাহিত করা হয়। সহজলভ্য ও তুলনামূলক কম পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৭৯টি সদস্য রাষ্ট্র বিকল্প ধারা চিকিৎসা পদ্ধতির আইন ও নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো প্রণয়ন করেছে। পৃথিবীর অনেক দেশ ইতিমধ্যেই বিকল্প ধারার চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মূলধারায় নিয়ে এসেছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জের মধ্যে স্বাস্থ্যখাত অন্যতম। এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে বিকল্প চিকিৎসার প্রতি চাহিদা। WHO-এর ২০১৯ সালের রিপোর্টে বলা হয়, ট্র্যাডিশনাল অ্যান্ড কম্প্লিমেন্টারি মেডিসিনকে তাদের জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ২০১৮ সালে ৯৮টি সদস্য রাষ্ট্রের ওপর জাতীয় পর্যায়ে নীতিমালা তৈরি করেছে। এ ছাড়া ১০৯টি দেশ এ সংক্রান্ত জাতীয় আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। আর ১২৪টি সদস্য রাষ্ট্র হারবাল মেডিসিনের ওপর বিধিমালা বাস্তবায়ন করেছে।

WHO ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন স্ট্যাটেজি ২০১৪-২০২৩ গ্রহণ করে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার’র (এএমসি) অধীনে বিকল্প ধারার গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের নিয়োগ দিয়ে সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করেছে। সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি রায়ে হোমিওপ্যাথিসহ বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে। হাইকোর্ট বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনে বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় তথা ভারতের ‘মিনিস্ট্রি অব আয়ুশ গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া’র আদলে পৃথক মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করার পরামর্শ দেয়।

এ ছাড়া বিকল্প ধারার চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কিত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সেবার মান নির্ধারণ ও উন্নয়ন এবং বিকল্প ধারার চিকিৎসা শাস্ত্র সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তৎ প্রদত্ত ডিগ্রিসমূহকে স্বীকৃতি প্রদান করার পদ্ধতি নির্ধারণ করার পরামর্শ প্রদান করেছে। কিন্তু এত আলোচনার পরও দেশে হোমিওপ্যাথি বিদ্যায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।

দেশে বেসরকারিভাবে একটি হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ডা. সাখাওয়াত ইসলাম ভূঞার নেতৃত্বে দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক ও সংগঠকরা কাজ করে যাচ্ছেন। জমি ক্রয় ও ক্যাম্পাস ইত্যাদি প্রস্তুতি তারা সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু শুরু করতে পারছেন না তাদের যাত্রা।

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল ফেডারেশনের সভাপতি ও প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটির প্রধান উদ্যোক্তা ডা. সাখাওয়াত ইসলাম ভূঞা বলেন, সরকার আগ্রহী হলে এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়ে হোমিওপ্যাথি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্র উন্মোচন হবে। সে ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় সঠিক ও ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে বলে আশা করছি। আর হোমিওপ্যাথিক শিক্ষায় উৎকর্ষতা পেলে স্বাস্থ্যসেবায় আসবে আমূল পরিবর্তন। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সরকারের সুনজর, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও পৃষ্ঠপোষকতা।

হাই হিল কতটা ক্ষতিকর?হাই হিলের জুতো পরার কারণে মেয়েদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যার কথা প্রায়ই শোনা যায়। নতুন এক গবেষণায় জান...
06/11/2021

হাই হিল কতটা ক্ষতিকর?

হাই হিলের জুতো পরার কারণে মেয়েদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যার কথা প্রায়ই শোনা যায়। নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, হাই হিলের কারণে পায়ের মাংস পেশির গঠন পাল্টে যেতে পারে এবং ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতে পারে। কেউ বলছেন এ অভ্যাস থেকে আর্থারাইটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আবার কেউ জানাচ্ছেন হাই হিলের জুতো থেকে দুর্ঘটনা আর জখমের ঘটনাও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে মেয়েদের ফ্যাশনে অপরিহার্য হয়ে ওঠা হাই হিল কি একেবারেই পরিত্যাজ্য নাকি আপসের কোনো সুযোগ আছে এতে?

যুগ যুগ ধরেই হাই হিলের জুতো ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু আকার-আকৃতি বদলাতে বদলাতে হাল ফ্যাশনে হাই হিলের ধরনটা এমন হয়েছে যে, হিল যত উঁচু হবে আর যত সরু হবে ততই যেন তার কদর বাড়তে থাকবে। হাই হিলের জুতোর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ-এই জুতো পরলে মেয়েদের পা লম্বা দেখায়, পায়ের পাতা দেখায় ছোট আর শরীরটাও হালকা-পাতলা লাগে। এ ছাড়া উঁচু আর সরু হিলের জুতো পরায় পেশির টান সামলে হাঁটার সময় নিতম্বসহ দেহের উর্ধ্বাংশেও তার প্রভাব পড়ে। হাই হিলের সঙ্গে মানানসই পোশাকে মেয়েদের হাঁটার ভঙ্গিমাও তাই এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।

দ্য গার্ডিয়ানের হেলথ অ্যান্ড ফিটনেস বিভাগে মেয়েদের এই জুতো নিয়ে এক প্রতিবেদন লিখেছেন চিকিৎসক এবং ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল গ্রুপের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান লুইসা ডিলনার। প্রায় প্রতিদিনই হাই হিল পরা পশ্চিমা সমাজের ৭৮ ভাগ নারীর একজন হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করে তিনি এর নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

লুইসা ডিলনার লেখেন, ‘আমারও একজোড়া হাই হিল আছে এবং সেগুলো পরলে ব্যথা হয়। ব্যথাটা বেশির ভাগ সময় আমার পায়ে হয়। কেননা এতে গোড়ালি ওপরে তুলে পায়ের পাতা বাঁকিয়ে পা দুটোকে অস্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে হয়। আর দেহের পেছন দিকের নিচের ভাগও এতে স্বস্তি পায় না।’

এই জুন মাসেই মেয়েদের হাই হিল পরার স্বাস্থ্যগত প্রভাব নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকদের একটা গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসে। এতে বলা হয়েছে, হাই হিলের জুতো পরার কারণে গোড়ালির কাছের মাংসপেশির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এ থেকে শরীরে অস্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যহীনতার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

দ্য জার্নাল অব ফুট অ্যান্ড অ্যাঙ্কেল সার্জারি জানিয়েছে, কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই হাই হিল পরার কারণে মেয়েদের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জখম হওয়ার ঘটনা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০০২ সালে এই সংখ্যা ৭ হাজার ৯৭টি হলেও ২০১২ সালে তা ১৪ হাজার ১৪০টিতে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার বেশির ভাগ নারীরই বয়স ২০ ও ৩০ এর কোটায়। সান্ধ্যকালীন অ্যালকোহল আর হাই হিলের মিশেলেই এসব দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। হাই হিল পরলে শরীরের ভার ক্রমাগতই সামনের দিকে ও শরীরের ওপরের দিকে চলে আসে, ফলে সব সময়ই ভারসাম্য সামলাতে সচেতন থাকতে হয়।

হাই হিলের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন ফিনল্যান্ডের ইয়াভাস্কায়লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিল ক্রোনিন। তিনি সতর্ক করেছেন যে, নিয়মিত হাই হিল পরলে মেয়েদের পায়ের মাংসপেশির স্থায়ী পরিবর্তন ঘটতে পারে। এতে গোড়ালির কাছের পেশি খাটো হয়ে যায় এবং কাফ মাসল বা নিচের পায়ের পেছনের দিকের পেশিতে চাপ পড়ে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন হাই হিল পরার পর আবার ফ্ল্যাট বা সমান সোলের জুতো পরলে তখনো মেয়েদের কাফ মাসলে ব্যথা হতে পারে। কোনো কোনো গবেষণায় দেখা গেছে, হাই হিল পরার কারণে আর্থারাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে, কিন্তু তা সরাসরি প্রমাণ করাটা কঠিন।

আপস বা সমাধানের উপায়
ফ্যাশন ধরে রাখার কারণেই হোক বা অন্য কোনো কারণে, হাই হিল যদি পরতেই হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। অধ্যাপক নিল ক্রোনিনের পরামর্শ হলো-বেশি সরু হিল না পরে একটু চওড়া হিলের জুতো পরা, যাতে ভারসাম্য বজায় রাখতে সুবিধা হয়। তবে, হিলের উচ্চতা যাতে ৪ সেন্টিমিটারের বেশি না হয়। আর জুতোর ভেতরে নরম ইনসোল ব্যবহার করলে হাঁটুতে চাপ কম পড়বে। এ ছাড়া টানা হাই হিল না পরে, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে একে সীমিত রাখা। হাই হিল পরার দিনগুলোতেও সুযোগ পেলে, যেমন অফিসে কাজের ফাঁকে বসে থাকার সময় পা থেকে জুতো খুলে রেখে পায়ের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা। এ সময় হালকা ব্যায়াম করা। পায়ের আঙুল দিয়ে মেঝে থেকে একটা পেনসিল তোলা বা পায়ের পাতা সামনে পেছনে নিয়ে পেশির ব্যায়াম করা। আর একেবারেই না হেঁটে দুই পায়ের পাতাকে পুরো বিশ্রামে রাখা।

27/10/2021
সবাই মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে😠এক রিপোর্টে ওভারিতে সিস্ট আরেক রিপোর্টে নরমাল
20/10/2021

সবাই মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে😠
এক রিপোর্টে ওভারিতে সিস্ট
আরেক রিপোর্টে নরমাল

Breast Self-examination
12/10/2021

Breast Self-examination

04/10/2021

শিক্ষিত মানুষ বেশিই প্রতারিত হয়।

মানুষকে বোকা বানিয়ে যেভাবে ব্যবসা করছে মেডিক্যাল মাফিয়ারা। ডায়াগনসিস বা মেডিক্যাল টেস্টের ফাঁদে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা! ধরা যাক, দু'দিনেও জ্বর ভালো না হওয়ায় আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার সাহেব আপনাকে শুরুতেই তিনটি পরীক্ষা (টেস্ট) দেবেন।
টেস্ট রিপোর্ট-এ জ্বরের কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও কোলেস্টেরল আর ব্লাড সুগার লেভেল একটু বেশি পাওয়া যাবে! এখন আপনি আর জ্বরের রোগী নন, ডাক্তারের কথায় আপনিও বিশ্বাস করবেন- আপনার কোলেস্টেরল বেশি আর প্যারা-ডায়াবেটিস হয়ে আছে। আপনাকে এখন থেকে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খেতে হবে, সঙ্গে অনেকগুলো খাবারে নিষেধাজ্ঞা। আপনি খাবারের নিষেধাজ্ঞা ঠিকঠাক না মানলেও ওষুধ খেতে ভুল করবেন না।
এভাবে তিন মাস যাওয়ার পর আবার টেস্ট। এবারে দেখা যাবে কোলেস্টেরল-এর মাত্রা কিছুটা কমেছে, কিন্তু রক্তচাপ বেড়ে গেছে- যেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে আরেকটি ওষুধ লাগবে। এদিকে কখন কী হয়ে যায়; এখনো তো কোনোকিছুই গোছানো হয়নি- এমন দুশ্চিন্তায় আপনার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ফলে ডাক্তারের পরামর্শে অথবা নিজের বুদ্ধিতে ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করে দেবেন! ওদিকে একসঙ্গে এতোগুলো ওষুধ খাওয়ামাত্রই বুক জ্বালাপোড়া করে বিধায় প্রতিবেলা খাওয়ার আগে এসিডিটির ওষুধ খেয়ে নিতে হবে। মাঝে মধ্যে সোডিয়াম কমে যায়, সেজন্যও আছে সাপ্লিমেন্ট!
এভাবে বছর খানেক যাওয়ার পর আপনি বুকে ব্যথা অনুভব করায় হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ছুটে গেলেন। ডাক্তার সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলবেন, সময়মতো আসায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন, আরেকটু দেরি করলেই সর্বনাশ হয়ে যেত! তারপর আরো কিছু বিশেষায়িত পরীক্ষা করে বলা হবে, আপনি যে ওষুধগুলো খাচ্ছেন, ওভাবেই চলবে, সঙ্গে হার্ট-এর জন্য আরো দু’টো ওষুধ খেতে হবে আর অবিলম্বে একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। সেখানে যাওয়ার পরে যোগ হবে ডায়াবেটিস-এর ওষুধ! এভাবে আরো ছয় মাস চলার পর প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেবে। রুটিন চেক-আপ করতে গিয়ে জানতে পারবেন- আপনার কিডনিতে সামান্য সমস্যা আছে; ক্রিটিনিন একটু বেশি, নিয়মিত ওষুধ খেলে আর কোনো চিন্তা নেই। ফলে মোট ওষুধের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দশ-এ।
আপনি এখন খাবারের চেয়ে ওষুধ বেশি খান আর নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় খুব দ্রুত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন! অথচ যে জ্বরের জন্য আপনি সর্বপ্রথম ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন, তিনি যদি বলতেন, তেল আর চিনি খাওয়া বাদ দিন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কার্বোহাইড্রেড কমিয়ে টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খান আর ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাটি করুন. তাহলেই আপনার শরীর ফিট হয়ে যেত। কোনো প্রকার ওষুধের প্রয়োজনই হতো না। কিন্তু সেটা করলে ডাক্তার সাহেব আর ওষুধ কোম্পানি গুলোর পেট ভরবে কিভাবে? তারচেয়েও বড় প্রশ্ন হলো কিসের ভিত্তিতে ডাক্তারগণ আপনাকে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি বিকল আর হৃদরোগী ঘোষণা করছেন, কী সেই মানদন্ড- যা কিনা বিনা চ্যালেঞ্জ-এ সমগ্র বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চর্চিত হয়ে আসছে আর সেটি নির্ধারণ করলেন কে বা কারা?
প্রথমেই ডায়াবেটিস মানুষকে যেভাবে কৌশলে ডায়াবেটিস রোগী বানানো হচ্ছে! ১৯৭৯ সালে রক্তে শর্করার মাত্রা 200ml/dl দেখালে ডায়াবেটিস হিসেবে গণ্য করা হতো। সেই হিসেবে তখন সমগ্র পৃথিবীর মাত্র ৩.৫% মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়। তারপর ১৯৯৭ সালে ইনসুলিন প্রস্তুতকারকদের চাপে সেই মাত্রা এক লাফে কমিয়ে 126ml/dl করা হয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৩.৫% থেকে এক লাফে বেড়ে ৮% হয়ে যায় অর্থাৎ রোগের কোনোরূপ বহিঃপ্রকাশ ছাড়াই স্রেফ ব্যবসায়িক স্বার্থে ৪.৫% মানুষকে রোগী বানিয়ে ফেলা হলো! ১৯৯৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই মানদন্ডে সায় দেয়। ওদিকে ফুলে-ফেঁপে ওঠা ইনসুলিন প্রস্তুতকারকেরা অঢেল মুনাফা বিনিয়োগ করে সারাবিশ্বে নিত্য-নতুন প্ল্যান্ট বসাতে থাকে। তাদের চাপে নতি স্বীকার করে American Diabetes Association (ADA) ২০০৩ সালে রক্তে শর্করার মাত্রা 100ml/dl-কে ডায়াবেটিস রোগের মানদন্ড হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা দেয়। ফলে কোনো কারণ ছাড়াই ২৭% মানুষ ডায়াবেটিস রোগী হয়ে যায়!
বর্তমানে American Diabetes Association (ADA) কর্তৃক ঘোষিত মানদন্ড >140mg/dl (P.P) or >100mg/dl (Fasting) or >HbA1C>5.6% হিসেবে বিশ্বের ৫০.১% মানুষকে কৌশলে ডায়াবেটিস রোগী বানিয়ে ফেলা হয়েছে! এদের অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগী না হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত ওষুধ খেয়ে নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব হয়ে মারা যাচ্ছেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, টেস্ট করালেই যে কোনো মানুষ প্রি-ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে গণ্য হবেন! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কনভেনশনে সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রচলিত ওষুধ দিয়ে ৪৮টি রোগের চিরস্থায়ী নিরাময় সম্ভব নয়; সেই তালিকায় ডায়াবেটিসও রয়েছে।
কিন্তু আমাদের দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো ডায়াবেটিস-এর মানদন্ড হিসেবে রক্তে শর্করার মাত্রা ৬.৫%-৭% থেকে ৫.৫%-এ নামিয়ে আনার জন্য তাদের এজেন্ট/প্রতিনিধিদের দ্বারা অবিরাম ডাক্তারদের মগজ ধোলাই করে চলেছেন এবং অনেকাংশে সফলও হয়েছেন। পরিণামে আর কিছু হোক বা না হোক দেশে ডায়াবেটিসের ওষুধ বিক্রিতে মাত্রাতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি সুনিশ্চিত হয়েছে। যদিও অনেক প্রাকৃতিক চিকিৎসক মনে করেন- রক্তে শর্করার মাত্রা সর্বোচ্চ ১১% পর্যন্ত ডায়াবেটিস হিসেবে গণ্য করা যায় না। প্রসঙ্গক্রমে আরেকটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করা যেতে পারে।
২০১২ সালে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট বিশ্ববিখ্যাত এক ওষুধ কোম্পানিকে তিন বিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যে ওষুধ বাজারজাত করছে, তা খেয়ে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যুহার ৪৩% বেড়ে গেছে! পরে জানা যায়, ওই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই ব্যাপারটি জানত এবং তাদের ট্রায়াল থেকেও একই রিপোর্ট এসেছিল। কিন্তু তারা সেদিকে দৃষ্টিপাত না করে মুনাফা অর্জনকে প্রাধান্য দিয়েছিল, মানুষের প্রাণের কোনো মূল্য তাদের বিবেচনায় ছিল না। ফলে ওই সময়ে তারা প্রায় ৩০০ বিলিয়ন মুনাফা করে।

এতো গ্যাস মানুষ কিভাবে খায় ? গ্যাসের ঔষধ বিক্রি হয় সাড়ে তিনহাজার কোটি টাকার !!অ্যাসিডিটি অ্যান্টিবায়োটিক ডায়াবেটিস ওষুধ ...
21/09/2021

এতো গ্যাস মানুষ কিভাবে খায় ? গ্যাসের ঔষধ বিক্রি হয় সাড়ে তিনহাজার কোটি টাকার !!

অ্যাসিডিটি অ্যান্টিবায়োটিক ডায়াবেটিস ওষুধ বাজারের প্রায় ২৫ শতাংশ

বছরে সাড়ে ১৮ শতাংশ হারে বাড়ছে দেশের ওষুধের বাজার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি ওষুধ বিক্রি হয়েছে। ওষুধের এ বাজারের ৭১ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করছে ১০ কোম্পানি। আর যে ওষুধের ওপর ভর করে বাজার বড় হচ্ছে তার সর্বাগ্রে রয়েছে প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস বা অ্যাসিডিটির ওষুধ। সর্বাধিক বিক্রীত ওষুধের তালিকায় এর পরেই আছে অ্যান্টিবায়োটিক।

মোট বিক্রীত ওষুধের ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ অ্যাসিডিটির অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে এ হার ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অ্যাসিডিটি, অ্যান্টিবায়োটিকের পরই দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ডায়াবেটিসের ওষুধ। ইনজেকশনের আকারে ব্যবহূত এ ওষুধের হিস্যা মোট বাজারের ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের মোট বিক্রীত ওষুধের প্রায় ২৫ শতাংশই দখল করে আছে অ্যাসিডিটি, অ্যান্টিবায়োটিক ও ডায়াবেটিস।

২০২০-২১ অর্থবছরে অ্যাসিডিটির ওষুধের বিক্রি ছিল ৩ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা।

ঔষধ এর বাজার শুধুই বৃদ্ধি হচ্ছে তাহলে ঔষধ মানুষের কি কাজে দিচ্ছে বরং আরো খতি করছে ।
তাই সামান্য কিছু সমস্যা হলেই ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়।

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ফাস্টফুড ও ভেজাল খাবার মানুষের মধ্যে অ্যাসিডিটি সমস্যা বাড়াচ্ছে। অ্যাসিডিটির ওষুধ বিক্রিও তাই সবচেয়ে বেশি।

অথচ, এইসব ঔষধ কোন অবস্থায় পেটের উপকার করে না, হজম শক্তির উপকার করে না।

শুধুমাত্র খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক সময় সঠিক নিয়মে সঠিক আহারেই এই সমস্যার সমাধান হয় কিন্তু আমরা ঔষধ প্রেমী, ঔষধেই এমন অসম্ভব চিন্তা করি যে পেটের গ্যাস ঔষধ খেলেই ঠিক হবে, এমন চিন্তা ভুল ।

শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা মুক্ত থাকতে নিচের ছবিটা ফলো করুন ।
20/09/2021

শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা মুক্ত থাকতে নিচের ছবিটা ফলো করুন ।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য বলতে শুধুই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বুঝায় না খাবার তৈরির প্রক্রিয়া কেও   বুঝায় ।ঘরের তৈরি খাবার আর হোটেলে...
18/09/2021

স্বাস্থ্যকর খাদ্য বলতে শুধুই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বুঝায় না খাবার তৈরির প্রক্রিয়া কেও বুঝায় ।
ঘরের তৈরি খাবার আর হোটেলের তৈরি খাবার এক নয়।
আধুনিক হোটেল আর স্মার্ট রাঁধুনী হওয়া সত্বেও এসব খাবার আপনার জন্য ক্ষতিকর ।

পারফেক্ট পেসেন্ট 😆😆
02/09/2021

পারফেক্ট পেসেন্ট 😆😆

Address

Khulna
9201

Telephone

+8801716629098

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Natural And Homoeopathy Healing Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share