03/01/2025
গল্পটা একজন ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ের। বহুদিন ধরে তার বিয়ে আটকে আছে।
যখনই নতুন প্রস্তাব আসে এবং শেষ পর্যন্ত বিয়ে ঠিক হয়, মেয়েটা চরম পর্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে বিয়ে আর হয় না। এভাবে একের পর এক বিয়ে ভাঙ্গা আর মেয়েটির অসুস্থতা নিয়ে বেশ ভালো ভোগান্তির শিকার পুরো পরিবার।
সাধারণত এ ধরণের সমস্যা তখনই হয়, যখন কেউ বিয়ে বন্ধের জাদু করা হয়। তাই মেয়েটির আলেম ভাই তখন একটি রুকইয়ার বই দেয়। সেখান থেকে কিছু আমল শুরু করলো মেয়েটি। যেমন- জিন থেকে আত্মরক্ষার ১২ আমল, জাদু নষ্ট করার ৭ আমল ইত্যাদি। এরকম কিছু আমল করতে থাকল সে। ধীরে ধীরে তার অসুস্থতা কমতে থাকল। কয়েক মাস বেশ ভালোই কাটতে থাকল।
কিন্তু হঠাৎ একদিন আবারও শুরু হলো উৎপীড়ন। তখন রুকইয়া করলে জানা যায় মেয়েটি জিনগ্রস্ত। সঙ্গে এটাও জানা যায়, তাকে একজন কবিরাজ তাবিজ দিয়েছিল। সম্ভবত এই শিরকি তাবিজের মাধ্যমে একজন জিনকে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে। ফলে লাগাতার ওপরের আমলগুলো করায় দীর্ঘ ৭-৮ মাসে জিন যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়ে ঠিকই, কিন্তু ছেড়ে যায় না।
রাক্বীর পরামর্শে এই তাবিজ নষ্ট করে দেওয়া হলো এবং পুনরায় রুকইয়াহ করা হলো। একপর্যায় মেয়েটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয় এবং তার বিয়েও ঠিক-ঠিকভাবে সম্পূর্ণ হয় আলহামদুলিল্লাহ ।
মূলত কবিরাজরা জিনের মাধ্যমে জাদু করে, যেটা আমরা অনেকেই জানি না। এখানে খবিস জিন ও কবিরাজদের একটি দুষ্টচক্র কাজ করে। মানুষের ক্ষতি করার জন্য তারা সঙ্ঘবদ্ধ। কখনো কবিরাজ-কবিরাজ, কখনো জিন-জিন, কখনো জিন-কবিরাজের থাকে সঙ্ঘবদ্ধ উপস্থিতি—মোটকথা একটি মজবুত নেটওয়ার্ক থাকে তাদের।
ফলে রোগী যখন কবিরাজ, ওঝা, অমুক তমুক বাবার কাছে যায় এবং অর্থের পাশাপাশি তাদের চাহিদা মাফিক নিজের চুল, ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরো ইত্যাদি দিয়ে আসে, তখন সমস্যা তো দূর হয়ই না, উলটো তাদের গভীর জালে আটকে যায় সে। নিত্য নতুন সমস্যা তৈরি হতে থাকে তখন। এদিকে কবিরাজও নতুন ধরাবাঁধা কাস্টোমার পেয়ে যায়।
অথচ এর সমাধান ইসলামেই দিয়ে দিয়েছে। রুকইয়াহ সেই সমাধান। কুরআন, সুন্নাহে বর্ণিত সমাধান এবং পূর্বসূরি নেককার আলেম উলামাগণের পরীক্ষিত আমলের সমাহার হলো এই রুকইয়াহ।