21/03/2023
ভেলরের CMC হাসপাতালে ডাঃ দেখাতে যাচ্ছেন? এক মাসে থাকা, খাওয়া-দাওয়া এবং যাতায়াত খরচ কত হতে পারে? বিস্তারিত জানুন (নতুনদের জন্য)
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন রোগের ডাঃ দেখাচ্ছেন কিন্তু সঠিক ফল পাচ্ছেন না, বা ডাঃ সঠিক ভাবে রোগ ধরতে না পারার কারণে বছরের পর বছর ভুগছেন তারাই হয়তো সাউথ ইন্ডিয়াতে চিকিৎসার জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকেন।
আমাদের দেশের ডাঃ রা যথেস্ট দক্ষ এবং ভালো কিন্তু দুটি যায়গাতে খুব দূর্বল হওয়ার কারণে প্রতি নিয়ত মানুষের রোগের সময়কাল বৃদ্ধি পেয়ে চলছে এবং কিছু জটিল রোগ ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই কিছু মানুষ হতাশ হয়ে ভারতের চেন্নাই (মাদ্রাজ) এর উদ্দেশ্যে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী ছুটে চলছে কারণ মাদ্রাজে চিকিৎসার জন্য আগে থেকেই অনেক নাম ডাক আছে। মূলত আমরা এখানে CMC হসপিটালের চিকিৎসা বিষয় নিয়ে কিছুটা জানানোর চেস্টা করবো। এই হাসপাতালটি চেন্নাই সিটি থেকে ১৩৫ কি.মি. দূরে অবস্থিত অর্থাৎ চেন্নাই ও বেংগালুর শহরের মাঝ বরাবর বলতে পারেন।
হাসপাতালটি মূলত ভেলর সিটিতে অবস্থিত। ভেলর সিটি হচ্ছে তামিল নাড়ু রাজ্যের একটি জেলা শহর অর্থাৎ চেন্নাই সিটির একটু দূরে অবস্থিত। চেন্নাই (মাদ্রাজ) হচ্ছে তামিল নাড়ু রাজ্যের রাজধানী। ভারতের প্রতিটি রাজ্যের জন্য আলাদা রাজধানী আছে।
আমাদের দেশে যেমন বিভাগ আছে কিন্তু বিভাগ এর কোন রাজধানী নেই কারণ ছোট দেশ সেজন্য প্রয়োজন নেই কিন্তু এদের এক একটি রাজ্য প্রায় বাংলাদেশের আয়তনের সমান যেমন তামিল নাড়ু রাজ্যের আয়তন প্রায় ১,৩২,০০০ বর্গ কি.মি. তাহলে বুঝতেই পারছেন কেন প্রতিটি রাজ্যে একটি করে রাজধানি করা হয়েছে।
এই রাজ্যে প্রায় ৭ কোটি লোকের বসবাস যেখানে শুধু ভেলর সিটিতে প্রায় ২ লক্ষ লোকের বসবাস এবং এই CMC হাসপাতালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শত শত থাকার হোটেল, মেডিসিন শপ, খাবার হোটেল, ট্রাভেল এজেন্সি, বাজার ইত্যাদি।
এখন আসি মূল কথায় আমাদের দেশের ডাঃ রা প্রচুর টেস্ট দেন, ভেলরের সি এম সি হাসপাতাল এর ডাঃও প্রচুর টেস্ট দেন কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে এদের মেশিন চালানোর দক্ষতা অনেক ভালো এবং নিক্ষুত ভাবে চালাতে সক্ষম যার কারণে টেস্টে সঠিক রেজাল্ট আসে এবং এক্সট্রা সুবিধা হলো এখানকার ডাঃ রা রোগীকে অন্তত ৫ থেকে ৩০ মিনিট করে সময় দেন এবং অনেক খুটিনাটি বিষয় রোগীর কাছ থেকে জেনে তবেই ট্রিটমেন্ট ও মেডিসিন দেন।
বেশি সময় ধরে রোগী দেখার কারণে তারা রোগ ধরতে পারে, তবে আমি বলছি না যে সব রোগ ধরতে পারে কিন্তু % হিসাব করলে এখানকার ডাঃ রা অনেক এগিয়ে। সে জন্যই মানুষ এখানে ডাঃ দেখানোর জন্য হাজার মাইল অতিক্রম করে মাদ্রাজে বা ভেলরে ছুটে আসেন।
যে সকল রোগী CMC হাসপাতালে ডাঃ দেখাতে আসবেন বা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের অনেকেই আমাদের ফোন করেন আবার মেসেজ করে জানতে চান কেমন কি খরচ হবে। আজ সেই সকল রোগীর জন্য বিস্তারিত তুলে ধরছি, ফুল এক মাসের খরচের হিসাব দিচ্ছি।
এই হিসাব দুজনের জন্য, তবে এখানে যে খরচ উল্লেখ করা হবে সেটাই যে আপনাদের ক্ষেত্রে হবে তা কিন্তু নয় কারণ খরচ করার প্রবনতা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে তাই কিছুটা তারতম্য থাকবে কারণ আপনার যা খেতে ইচ্ছা করছে, আরেক জনের সেটা খেতে ইচ্ছা করবে তার কোন ভিত্তি নেই। আমরা এখানে খাবারের যে খরচের বিষয়টি তুলে ধরবো তার ৯৫% একই রকম হবে এবং যাতায়াত বিষয়ও বিস্তারিত জানাবো।
#তো চলুন শুরু করা যাক --------
আমরা ঢাকা সিটি থেকে যাত্রা শুরু করার পর থেকে খরচের হিসাব শুরু করছি এবং সম্পূর্ণ ট্রেন ভ্রমণকে প্রাধান্য দিয়ে শুরু করছি ----
#যাতায়াত খরচঃ
ঢাকার যেখানেই থাকুন না কেন রাতে হালকা খাওয়া দাওয়া শেষ করে ব্যাগ বা লাগেজ গুছিয়ে রাত ১১ টার মধ্যে কমলাপুর রেল স্টেশনে চলে আসুন তারপর ট্রেন কোন প্লাটফর্ম থেকে ছাড়বে সেটা জেনে ট্রেনে উঠে পড়ুন কারণ ট্রেন ঠিক ১১ টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে দিবে। এটি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন যা ৩ বছর+ হলো চালু হয়েছে এবং খুব ভালো সেবা দিচ্ছে। ট্রেনটি কয়েকটি স্টেশনে থামে যেমন কমলাপুর থেকে ছাড়ে তারপর বিমানবন্দরে ৩ মিনিট থামবে তারপর ইশ্বরদি স্টেশনে ৫ মিনিট থামবে তারপর ভেড়ামারা স্টেশন তারপর পোড়াদাহ তারপর চুয়াডাঙ্গা স্টেশন তারপর দর্শনা স্টেশনে ৩ মিনিট বিরতী তারপর কোটচাদপুর তারপর মুবারকগঞ্জ তারপর যশোর স্টেশনে ৫ মিনিট তারপর ঝিকরগাছা এবং লাস্ট বেনাপোল স্টেশনে গিয়ে পরের দিন সকাল ৯ টার আগেই পৌঁছে যাবেন অর্থাৎ মোট ৯ ঘন্টায় বেনাপোল পৌঁছাবেন। এই ট্রেনে অনেকের কাছে খুব ভালো মানের ট্রেন হিসেবে পিরিচিতি পেয়ে গেছে।
#বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের কেমন কি ভাড়া তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
ভাড়াঃ প্রতিজন ৫৫৪ টাকা (নন এসি চেয়ার)
ভাড়াঃ প্রতিজন ১০৪০ টাকা (এসি চেয়ার)
ভাড়াঃ প্রতিজন ১৮৫০ টাকা (এসি কেবিন)
ট্রেনের অগ্রীম সিট ভ্রমণের ১০ দিন আগে পর্যন্ত বুকিং করতে পারবেন। ধরুন, আপনি ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখে যেতে চাচ্ছে তাহলে টিকিট বিক্রি শুরু হবে ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখ সকাল ৮ টা বাজার সাথে সাথে। ১১ বা ১২ দিন আগে কোন ভাবেই টিকিট পাবেন না কারণ এটা বাংলাদেশ রেলওয়ের রুলস, এখন অনলাইনে টিকিট দিয়ে থাকে, তাই ঘরে বসে টিকিট পাবেন তবে নিজ ভোটার কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে টিকিট নেওয়া বাধ্যতামূলক। অন্যের এন আই ডি দিয়ে নিলে অবশ্যই তাকেসহ ভ্রমণ করতে হবে নতুবা জরিমানাসহ গুনতে হবে।
#পরামর্শঃ
যেহেতু এই ট্রেনে ভিড় থাকে তাই যাওয়ার ৫ দিন আগে থেকে বুকিং দেওয়ার চেস্টা করবেন অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ঘরে বসে টিকিট পেয়ে যাবেন।
এরপর বেনাপোল স্টেশন টু বেনাপোল বর্ডার পর্যন্ত প্রতিজন ইজিবাইক ভাড়া ২০ টাকা করে। একটা ইজি বাইকে ৪/৫ জন হলে ছেড়ে দিবে।
(স্টেশন টু বর্ডার মাত্র ২ কি.মি. দূরে)
বর্ডারে ভ্রমণ ট্যাক্স বাবদ ৫৫০ টাকা প্রতিজন।
(বর্ডারের গেটে সোনালি ব্যাংকের কাউন্টার পাবেন যা প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে এবং ৩৬৫ দিন)
বর্ডার পার হতে হয়তো আরো হাবিজাবি খরচ বাবদ ২০০ টাকার মতো হতে পারে যা (অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ)
#মোট খরচ হচ্ছেঃ (প্রতিজন বাবদ)
১১০০ টাকা (নন এসি চেয়ার সিট নিলে)
১৮০০ টাকা (এসি চেয়ার সিট নিলে)
৩৫০০ টাকা (এসি কেবিন স্লিপার নিলে)
** (একসাথে ২ জনের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে)
উপরের মোট খরচ বেনাপোল বর্ডার পর্যন্ত ধরা হয়েছে।
#এবার ভারতের মধ্যকার খরচঃ
বেনাপোল বর্ডার টু বনগা স্টেশন পর্যন্ত প্রতিজন অটো ভাড়া ৫০ রুপি করে।
(বর্ডার পার হলেই রাস্তার বাম পাশে বিশাল বড় একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে, সেই গাছের পাশেই অটো স্ট্যান্ড)
বনগা স্টেশন টু শিয়ালদাহ স্টেশন পর্যন্ত প্রতিজন ভাড়া ২০ রুপি করে
(অটো থেকে নেমে কয়েক কদম হেটে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে ডান দিকে কাউন্টার পাবেন)
শিয়ালদাহ টু হাওড়া স্টেশন বাস ভাড়া ১৮ রুপি করে এবং ট্যাক্সিতে গেলে ৩০০ রুপি নিবে ৪ জনের জন্য।
হাওড়া টু কাটপাডি (ভেলর) পর্যন্ত নন এসি স্লিপার ভাড়া ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা প্রতিজন, এসি স্লিপার ভাড়া ৩০০০ থেকে ৩২০০ টাকা পর্যন্ত (3A tier) প্রতিজন।
ট্রেনে ৩ বা ৪ বেলা খাবার বাবদ ৪০০ রুপির মতো বা কিছু কম-বেশি হতে পারে।
কাটপাডি (ভেলর) স্টেশন টু CMC হাসপাতাল পর্যন্ত অটো ভাড়া ১৮০ থেকে ২০০ রুপি (৩ জন পর্যন্ত যেতে পারবেন), ৪ জন গেলে সেক্ষেত্রে ড্রাইভারের পাশে বসে যেতে হবে এবং ২০০ রুপির মতো চাইতে পারে।
এরপর কোন এক হোটেলে গিয়ে উঠতে পারেন যেমন মাইসোর প্যালেস, সি এম সি হাসপাতালের বিপরীত দিকে, হাটার দুরত্ব, প্রতিদিন ভাড়া নিবে ৩৫০ রুপি করে ২ জন এবং ৩ জন এক রুমে হলে ৪০০ রুপি করে নিবে।
নিউ সিটি লজ হোটেল (New city lodge) যা একদম কাছে এবং নিচের তালাতে মসজিদ আছে। এই হোটেলের সিংগেল রুম ভাড়া ৪০০ রুপি করে, সিংগেল খাট + একটি তোশক দিবে নিচে শোবার জন্য এবং এটাচ বাথরুম, আবার ডবল বেড রুমের ভাড়া ৪৫০ রুপি করে নিবে যেখানে দুজন অনায়াসে থাকতে পারবেন এটাচ বাথরুম। যদি ৩ জন এক রুমে থাকতে চান তাহলে আরো ৭৫ রুপি যোগ হবে।
এরকম আরো অনেক হোটেল পাবেন তবে ভিতরের দিকে গেলে ৩০০ রুপির মধ্যেও পাবেন। আপনার যেমনটি ইচ্ছা তেমন খুঁজে নিবেন। একদম রাস্তার পাশে যে হোটেল গুলো আছে সেগুলোর ভাড়া একটু বেশি যেমন ৮০০/৯০০ রুপি করে।
রান্না করে খাওয়ার জন্য গ্যাসের চুলা ভাড়া পাবেন যেমন ১ কেজি, ২ কেজি, ৩ কেজি গ্যাসের চুলাসহ। ১ কেজি গ্যাসসহ চুলার ভাড়া নিবে ১৪০ রুপি করে যা দিয়ে ৬/৭ দিন রান্না করতে পারবেন। ২ কেজি গ্যাসের চুলাসহ ভাড়া নিবে ২৭০ রুপি করে যা দিয়ে ১০/১২ দিন চলতে পারবেন আশা করছি।
হাড়িপাতিল, কড়াই, থালা বাটি এসবও ভাড়া পাবেন যা প্রতিদিন ১২/১৫ রুপি ভাড়া দিতে হবে সব মিলে অথবা নিজেরা লাগেজে প্লেট, গ্লাস নিয়ে যেতে পারেন।
সি ফর্ম (Cform) ফিলাপ বাবদ প্রতি পাসপোর্ট এর জন্য ১৫০ রুপি করে খরচ হয়ে যাবে যা হোটেলের ম্যানেজার করে দিবে। নিজে পারলে এই খরচ বেচে যাবে তবে নতুন অবস্থায় নাও বুঝতে পারেন।
ডাঃ আ্যপয়েন্টমেন্ট বাবদ ১৬০০ টাকা খরচ হবে যা ওখানে যাওয়ার আগে নিতে হবে নতুবা ভেলর গিয়ে সিরিয়ালের জন্য হোটেলে ৭/৮ দিন বসে থাকতে হবে কারণ অনেক ভিড় থাকে। ডাঃ এর সিরিয়াল নেওয়া থাকলে জাস্ট একদিন/দুইদিন আগে পৌঁছালেই হবে নতুবা ওখানে গিয়ে সরাসরি সিরিয়াল নিয়ে অন্তত ৭ বা ৮ দিন হোটেলে থাকা লাগবে এবং ভাগ্য খারাপ থাকলে ১৫ দিন হোটেলে সময় কাটানো লাগতে পারে। এক্ষেত্রে খরচ বাড়বে বৈকি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না🤔
#কিছু কাচা বাজারের দামের লিস্টঃ
√ পাংগাস মাছের কেজিঃ ১২০ রুপি
√ রুই মাছের বড় সাইজ কেজিঃ ৩৫০ রুপি
√ ছোট চিংড়ি মাছের কেজিঃ ৪২০ রুপি
√ বড় সাইজের চিংড়ি কেজিঃ ৬০০ রুপি
√ গরুর গোস্ত হাড় সহ কেজিঃ ২২০ রুপি
√ গরুর গোস্ত হাড়বাদে কেজিঃ ২৪০ রুপি
√ কলিজার কেজিঃ ২২০ রুপি
√ ফ্যাকসার কেজিঃ ১২০ রুপি
√ আলুর কেজিঃ ৩৭ রুপি
√ পোটলের কেজিঃ ১০০/১৫০ রুপি
√ চাউলের কেজিঃ ৩৫/৪০/৪৫/৪৮ রুপি
√ ডিম প্রতি পিসের দামঃ ৫ রুপি
(এই দাম ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ এ ঘুরে এসেছি অর্থাৎ আপডেট করা) খুব বেশি তারতম্য হতে দেখি না।
এরকম আরো অনেক কাচা বাজারের দাম আমাদের দেশের সাথে সামাঞ্জস্য আছে তাই চিন্তার কিছু নেই। বাজার করবেন, রান্না করবেন এবং আরাম করে খাইবেন।
বাজার করে নিজেরা রান্না করে খেলে প্রতিদিন ৩ বেলা মিলে ১৩০ টাকার মতো খরচ হতে পারে বা হায়েস্ট ১৫০ টাকার মতো খরচ হবে, এর বেশি নয়, কারন আমি নিজে ভেলরে ৬ বার গিয়েছি, বহুদিন থেকেছি তাই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
#তাহলে CMC টেস্ট বাদে মোট খরচ হবে যেমন
√ বেনাপোল পোর্ট পর্যন্তঃ ১৩২৪ টাকা
√ বেনাপোল টু ভেলর হোটেল পর্যন্তঃ ৩৫০০ টাকা
√ হোটেল ভাড়াঃ ৪০০*৩০ দিন = ১২০০০ টাকা
√ ৩০ দিন খাওয়া বাবদঃ ১৩০*৩০ দিন = ৩৯০০ টাকা
√ গ্যাসের চুলা+হাড়ি-পাতিলঃ ৫৬০ টাকা (৩০ দিন)
√ ডাঃ আ্যপয়েন্টমেন্ট বাবদঃ ১৬০০ টাকা
√ রিটার্ন ভেলর টু ঢাকা বাবদঃ ৪৪০০ টাকা
#মোট ২৮২৮৪ টাকা খরচ হবে
*** (হিসাবের যোগে ভুল হতে পারে, নিজ দায়িত্বে হিসাব করে নিবেন প্লিজ)
(ডাঃ এর টেস্ট বাদে এক মাসে থাকা, খাওয়া, যাওয়া, আসা বাবদ যদি ট্রেনে যাতায়াত করেন)
*** যদি এয়ারে যান সেক্ষেত্রে এয়ার ফেয়ার যোগ করে হিসেব করলে সঠিক খরচের হিসাব পেয়ে যাবেন যেমন কলকাতা টু চেন্নাই প্লেন ভাড়া ৮০০০ থেকে ৯০০০ টাকা প্রতিজন। ঢাকা থেকে চেন্নাই প্লেন ভাড়া প্রতিজন প্রায় ১৪০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে) তবে করোনার আগে প্লেন ভাড়া ৫০% কমে পাওয়া যেতো।
আমরা গ্রাহকদের কে বাস্তব ভিত্তিক তথ্য দিয়ে হেল্প করার চেস্টা করে যাচ্ছি। আমরা অনেক সময় নিয়ে পোস্ট করি যাতে গ্রাহকরা উপকৃত হয়।
ঘরে বসে ভেলরের CMC হাসপাতালের ডাঃ আ্যপ, ট্রেন/এয়ার টিকিট, হোটেল এবং সমস্ত গাইডলাইন বুঝে নিন। আমরা ৭ বছর ধরে মেডিক্যাল ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
#জরুরী প্রয়োজনেঃ ০১৭১৭-১৮৫৩৬০
(Whatsup/imo)
ওয়েবঃ www.bdindi-traverra.com
#বিঃদ্রঃ আমাদের লেখা কোন বিজনেস পেজে কপি পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি, তবে যে কেউ টাইমলাইনে শেয়ারিং (Sharing) করতে পারবেন।
ভ্রমণ হবে সহজে