29/03/2025
আত্মহত্যা প্রবণতা ও পরিত্রাণের উপায়-...............................................................
ধর্ম কি শুধু কিছু পুজা অর্চনা, মন্ত্র পাঠ, একাদশী, কিছু পোশাক কিছু বেশ ভুষা, দিনে ২/৩ বার আহ্নিক, কিছু কীর্তন লম্ফ ঝম্ফাদি, কিছু দিবস পালন এগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ? না আরও কিছু আছে?
অবশ্যই আরও কিছু আছে। যা বলা হলো এগুলো ধর্মের বাহ্যিক রূপ। কিন্তু ধর্ম পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল একজন মানবিক মানুষ হওয়া, বিশ্বাসী নির্ভরযোগ্য মানুষ হওয়া, আশাবাদী মানুষ হওয়া, পরার্থ মানুষ হওয়া তথা প্রকৃত মানুষ হওয়া।
আশা হলো বেঁচে থাকার আলো। যার আশা নাই তার কাছে বেঁচে থাকার কোন অর্থ নাই। এই আশাটা কি হতে পারে? এই আশাটা হলো আরও ভালো থাকার আশা, মা বাবা স্ত্রী সন্তান পরিবার পরিজনকে ভালো রাখার আশা, সুন্দর সমাজ বিনির্মানের আশা, সুন্দর দেশ গঠনের আশা, উন্নত ভবিষ্যত সৃষ্টির আশা।
কিন্তু অধিকাংশ মানুষ নিজের ও পরিবার পরিজনের মধ্যে আশাটাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলে। এটাই হয় একসময় তার হতাশার কারণ। নিজের ও পরিবার পরিজনের প্রতি প্রত্যাশা পুরণ হয়ে গেলে তখন তার আর কোন কাজ বা আশা থাকে না। অথবা নিজের ও পরিবার পরিজনের মধ্যে সে যখন নিজেকে সীমাবদ্ধ করে ফেলে তখন সে ছোট হয়ে হয়ে যায়, সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। এরকম অবস্থায় যদি সে প্রত্যাশা পুরণে ব্যর্থ হয় তখন সে বোঝা হয়ে যায় নিজের কাছে, পরিবারের কাছে। তার জীবনটা হয়ে যায় অর্থহীন অপমানের। আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের দিকে তখন সে ধাবিত হতে পারে।
আর এইখানেই দরকার জীবনে একজন আদর্শ মানুষ,গুরু, ভাগবান - যা-ই বলি না কেন। যিনি বিস্তৃত জীবনের অধিকারী, নিখুঁত নিরেট অনুকরণীয় অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যিনি আমাকে বিস্তৃত জীবনের দিকে নিয়ে যেতে পারেন। ব্যক্তি পরিবারের গন্ডি অতিক্রম করে যিনি আমাকে সমাজের দেশের এমনকি বিশ্বের সঙ্গে একাত্ম করে তুলতে পারেন। যিনি ব্যক্তি জীবনের সাফল্য ব্যর্থতার বাইরেও আরো অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিতে পারেন। যার কাছে গেলে যেকোন সমস্যার সমাধান পাওয়া যেতে পারে। যার নির্দেশনা মোতাবেক চললে নিশ্চিত সাফল্যের সাক্ষাৎ পাওয়া যেতে পারে।
আর এই জায়গাতেই তথাকথিত সনাতনী বা হিন্দু সম্প্রদায় পিছিয়ে। আর তাই তাদের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবনতাটা বেশী।