City PhysioCare - সিটি ফিজিওকেয়ার

City PhysioCare - সিটি ফিজিওকেয়ার Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from City PhysioCare - সিটি ফিজিওকেয়ার, Medical and health, Khulna.

খুলনার একমাত্র ফিমেল গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট পরিচালিত অথেনটিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার যা রিজনেবল প্রাইসে সর্বোত্তম সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ
২৪, শামসুর রহমান রোড (শান্তিধাম মোড়) খুলনা
01715-026881 ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কেন প্রয়োজন?
১। সকল ধরনের বাতের ব্যথা ( arthritis pain)
২। স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসিস/এক সাইড অবশ (Hemiplegia)
৩। মুখ একদিকে বেকে যাওয়া/চোখের পাতা না পড়া
(Bell's/fascial palsy)
৪। দুই ব

া চার হাত-পা অবশ ( G.B.S/paraplegia / Quadriplegia)
৫। হাড়ের ক্ষয়জনিত ব্যথা
/ হাড় বৃদ্ধি (osteoporosis
/Osteopenia)
৬। ডিস্ক প্রলাপ্স বা সরা জনিত কোমড় ব্যথা (PLID, sciatica, listhesis)
ঘাড়ের ব্যথা ও হাত ঝিন ঝিন অবশ ভাব (cervical reticulopathy)
৭। হাটু ব্যথা (Knee OA, ACL, PCL)
৮। ঘাড় ব্যথা (Frozen shoulder)
৯। কনুই ব্যথা (tennis/golfer elbow)
১০। গোড়ালি ব্যথা (planter fascititis/Achilles tendinitis)
১১। বয়স্কদের পড়ে যাওয়ার প্রবনতা(balance problem)
১২। মহিলাদের প্রসব পরবর্তী কোমড় ব্যথা
/পেট ঝুলে পড়া(caesarian Section)
১৩। মহিলাদের প্রসাব ধরে রাখতে না পারা (urinary incontinence)
১৪। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথী (diabetic foot)
১৫। বড় বা ছোট একাধিক জয়েন্টে ব্যথা (Ankylosing spondylosis/ RA)
১৬। বাচ্চার বসা, হাটা ও কথার সমস্যা (cerebral palsy)
১৭। খেলাধুলায় আঘাত /অপারেশন পরবর্তী জয়েন্ট শক্ত হওয়া (sport’s injury/ stiffness)
১৮। মাংসপেশিতে ব্যথা/শুকিয়ে যাওয়া (muscle pain/atrophy)

মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। এর কিছু প্রধান কারণ নিচে দেওয়া হলো: 📌...
05/07/2025

মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। এর কিছু প্রধান কারণ নিচে দেওয়া হলো:

📌 ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতা (Obesity): মিষ্টি খাবারে সাধারণত ক্যালরি অনেক বেশি থাকে কিন্তু পুষ্টিগুণ কম থাকে। অতিরিক্ত চিনি খেলে তা শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়, যা ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার কারণ। স্থূলতা আবার ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

📌 টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes): অতিরিক্ত চিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়, যার ফলে অগ্ন্যাশয় (pancreas) থেকে বেশি ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এমনটা চলতে থাকলে কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারায় (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স), যার ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হতে পারে।

📌 হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি (Increased Risk of Heart Disease): অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড (এক ধরনের ফ্যাট) বৃদ্ধি এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) কমানোর সাথে যুক্ত, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি শরীরে প্রদাহও সৃষ্টি করতে পারে, যা হৃদরোগের একটি মূল কারণ।

📌 দাঁতের ক্ষয় (Tooth Decay): চিনি মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য। এই ব্যাকটেরিয়া চিনি হজম করে অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেল নষ্ট করে এবং দাঁতের ক্ষয় ও ক্যাভিটির সৃষ্টি করে।

📌 ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver): চিনিতে থাকা ফ্রুক্টোজ (এক ধরনের চিনি) প্রধানত লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়। অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ লিভারে ফ্যাট হিসেবে জমা হতে পারে, যা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগের (NAFLD) কারণ।

📌 শারীরিক শক্তির ওঠানামা এবং ক্লান্তি (Energy Crashes and Fatigue): মিষ্টি খাবার দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এই মাত্রা দ্রুত নেমেও আসে, ফলে ক্লান্তি, মেজাজের পরিবর্তন এবং মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে।

📌 ত্বকের সমস্যা (Skin Problems): অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ত্বকের প্রদাহ এবং বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে, যার ফলে ব্রণ এবং বলিরেখা দেখা দিতে পারে।

📌 আসক্তি (Addiction): চিনি মস্তিষ্কের পুরস্কার কেন্দ্রকে সক্রিয় করে, ঠিক যেমন কিছু মাদকদ্রব্য করে। এর ফলে চিনির প্রতি এক ধরনের আসক্তি তৈরি হতে পারে এবং মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।

এসব কারণে, সুস্থ থাকার জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা এবং প্রক্রিয়াজাত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি। প্রাকৃতিক উৎস যেমন ফল থেকে প্রাপ্ত চিনি শরীরের জন্য কম ক্ষতিকর।
#সিটিফিজিওকেয়ার




সেরিব্রাল পালসি (CP) একটি মস্তিষ্কের সমস্যা যা শরীরের চলাচল, ভারসাম্য এবং অঙ্গবিন্যাসকে প্রভাবিত করে। এটি নিরাময়যোগ্য ন...
04/07/2025

সেরিব্রাল পালসি (CP) একটি মস্তিষ্কের সমস্যা যা শরীরের চলাচল, ভারসাম্য এবং অঙ্গবিন্যাসকে প্রভাবিত করে। এটি নিরাময়যোগ্য না হলেও, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে এর লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনের মান উন্নত করা সম্ভব। ফিজিওথেরাপি সেরিব্রাল পালসি চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আক্রান্ত ব্যক্তির নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করা হয়।
সেরিব্রাল পালসিতে ফিজিওথেরাপির প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো:
* সচলতা বৃদ্ধি: শরীরের নড়াচড়ার ক্ষমতা বাড়ানো।
* পেশী শক্তিশালী করা: পেশী দুর্বল হওয়া রোধ করা এবং শক্তিশালী করা।
* নমনীয়তা বৃদ্ধি: পেশী ছোট হওয়া বা শক্ত হয়ে যাওয়া (contracture) রোধ করা, যা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে এবং হাড় ও পেশীর বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
* ভারসাম্য এবং সমন্বয় উন্নত করা: শরীরের ভারসাম্য এবং বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় উন্নত করা।
* দৈনন্দিন কাজকর্মে স্বাবলম্বী করা: স্নান করা, পোশাক পরা, খাওয়া-দাওয়া করা ইত্যাদি দৈনন্দিন কাজগুলো করার ক্ষমতা বাড়ানো।
* ব্যথা কমানো: পেশী শক্ত হওয়ার কারণে সৃষ্ট ব্যথা কমাতে সাহায্য করা।
সেরিব্রাল পালসিতে সাধারণত যেসব ফিজিওথেরাপি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়:
১. ব্যায়াম:
* স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ: পেশী এবং জয়েন্টগুলোকে সচল ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। এটি মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
* স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ: পেশী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
* ভারসাম্য অনুশীলন: বসা, দাঁড়ানো এবং হাঁটার সময় ভারসাম্য বজায় রাখার অনুশীলন করানো হয়।
* সমন্বয় অনুশীলন (Coordinating or Proprioceptive Exercises): শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় উন্নত করার জন্য ব্যায়াম।
* হাঁটার প্রশিক্ষণ (Gait Training): হাঁটার ক্ষমতা উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনে হাঁটার সরঞ্জাম (যেমন ওয়াকিং ফ্রেম, ওয়াকিং স্টিক) ব্যবহার করে।
২. ম্যানুয়াল থেরাপি:
* থেরাপিউটিক ম্যাসেজ: পেশী শিথিল করতে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার:
* অর্থোসিস (Orthosis): হাত বা পায়ের জন্য ব্রেস বা স্প্লিন্ট ব্যবহার করা হয়, যা অঙ্গগুলিকে সমর্থন করে এবং সঠিকভাবে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
* স্ট্যান্ডিং ফ্রেম (Standing Frame): দাঁড়ানোর ক্ষমতা বাড়াতে এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
* ফিজিওবল (Physioball): বিভিন্ন ব্যায়ামের জন্য ব্যবহার করা হয়।
* অ্যাডাপটিভ ইকুইপমেন্ট (Adaptive Equipment): দৈনন্দিন কাজগুলো সহজ করার জন্য বিভিন্ন সহায়ক সরঞ্জাম।
৪. ইলেক্ট্রোথেরাপি:
* ইলেকট্রিক মাসল স্টিমুলেশন (Electric Muscle Stimulation): কিছু ক্ষেত্রে, পেশী কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং নড়াচড়া সহজ করতে ছোট ইলেকট্রোড ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা দেওয়া হয়।
* শক ওয়েভ থেরাপি, মাইক্রো ওয়েভ থেরাপি, আইআরআর: ব্যথা কমাতে এই ধরনের ইলেকট্রোথেরাপি ডিভাইস ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. হাইড্রোথেরাপি:
* জলের মধ্যে ব্যায়াম করানো, যা পেশীর ওপর চাপ কমিয়ে নড়াচড়া সহজ করে।
৬. পিতামাতা এবং যত্নশীলদের প্রশিক্ষণ:
* ফিজিওথেরাপিস্টরা পিতামাতা এবং যত্নশীলদের বাড়িতে শিশুদের জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম এবং যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি শেখান, যাতে থেরাপির ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী হয়।
ফিজিওথেরাপি সাধারণত একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতিটি শিশুর সমস্যা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী একটি ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক ক্ষমতা, স্বাবলম্বীতা এবং সামগ্রিক জীবনের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।

© ইন্দিরা ভট্টাচার্য্য
☎️ 017455-60150
#সিটিফিজিওকেয়ার


▶️ সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা অত্যন্ত জরুরি কারণ এটি আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে এর ...
30/06/2025

▶️ সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা অত্যন্ত জরুরি কারণ এটি আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে এর কিছু প্রধান কারণ তুলে ধরা হলো:

✅ শারীরিক উপকারিতা
📌 হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করে: নিয়মিত হাঁটা হৃৎপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

📌 ওজন নিয়ন্ত্রণ: হাঁটা ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে পেশি গঠন করে।

📌 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত হাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য হাঁটা খুবই উপকারী।

📌 হাড় ও মাংসপেশি শক্তিশালী করে: হাঁটা একটি ওজন বহনকারী ব্যায়াম, যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়। এটি মাংসপেশি শক্তিশালী করে এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

📌 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: হাঁটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে, ফলে সর্দি-কাশি ও অন্যান্য ছোটখাটো অসুস্থতার ঝুঁকি কমে।

📌 রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: হাঁটার সময় পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

✅ মানসিক উপকারিতা

📌 মানসিক চাপ কমায়: হাঁটা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে। এটি এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা মন ভালো রাখে।

📌 মেজাজ উন্নত করে: নিয়মিত হাঁটা মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখে। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং সৃজনশীল চিন্তা ভাবনাকে উৎসাহিত করে।

📌 ঘুমের মান উন্নত করে: হাঁটা শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়িকে সচল রাখে এবং শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করে, ফলে ঘুমের মান ভালো হয়।

📌 স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি: হাঁটা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, যা স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করে।

✅ অন্যান্য উপকারিতা

📌 সহজলভ্য ও খরচবিহীন: হাঁটার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রপাতি বা জিমের প্রয়োজন হয় না। যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে এটি করা যায়।

📌 সকল বয়সের জন্য উপযুক্ত: হাঁটা সব বয়সের মানুষের জন্য একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ব্যায়াম।

পরিশেষে বলা যায়, হাঁটা শুধুমাত্র একটি সাধারণ শারীরিক কার্যকলাপ নয়, এটি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুললে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক বেশি সুস্থ ও কর্মঠ থাকতে পারি।

© ইন্দিরা ভট্টাচার্য্য
☎️ 017455-60150

📍 চেম্বার:
সিটি ফিজিওকেয়ার খুলনা
২৪, শামসুর রহমান রোড (শান্তিধাম মোড়), খুলনা

🕒 চেম্বার সময়: শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার | দুপুর ১২টা – রাত ৯টা

📥 প্রশ্ন থাকলে ইনবক্স করুন বা রিপোর্ট পাঠিয়ে পরামর্শ নিন।
#সিটিফিজিওকেয়ার





টেক্সট নেক কী?বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপের মতো ডিভাইসগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অ...
28/06/2025

টেক্সট নেক কী?
বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপের মতো ডিভাইসগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাড় নিচু করে এসব ডিভাইস ব্যবহার করার ফলে আমাদের ঘাড় ও মেরুদণ্ডে এক ধরনের অস্বস্তিকর ব্যথা ও চাপ সৃষ্টি হয়, যা 'টেক্সট নেক' নামে পরিচিত। এটি মূলত একটি "পুনরাবৃত্তিমূলক চাপজনিত আঘাত" (repetitive stress injury) যা ঘাড়ের স্বাভাবিক অবস্থান পরিবর্তন করে দেয় এবং এর ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
যখন আমরা ঘাড় নিচু করে ফোন দেখি বা টাইপ করি, তখন ঘাড়ের উপর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি চাপ পড়ে। সাধারণত, আমাদের ঘাড় কিছুটা সামনের দিকে বাঁকানো (সার্ভাইকাল লরডোসিস) থাকে, যা ঘাড়ের নড়াচড়ায় সাহায্য করে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু করে রাখলে এই বাঁকানো অবস্থা অতিরিক্ত বেড়ে যায়, যা ঘাড়ের পেশী, লিগামেন্ট এবং ডিস্কের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে ঘাড়ের পেশী শক্ত হয়ে যায়, ব্যথা হয় এবং নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
টেক্সট নেকের সাধারণ লক্ষণ:
* ঘাড়ে ব্যথা: ঘাড়ের নিচের অংশে বা কাঁধের চারপাশে হালকা থেকে তীব্র ব্যথা।
* পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া: ঘাড়ের পেশীগুলি শক্ত এবং টানটান হয়ে যাওয়া, যার ফলে ঘাড় ঘোরাতে অসুবিধা হয়।
* মাথাব্যথা: ঘাড়ের পেছন থেকে শুরু হয়ে মাথার সামনের দিকে ছড়িয়ে পড়া মাথাব্যথা (টেনশন টাইপ বা সার্ভিকোজেনিক হেডেক)।
* কাঁধ ও বাহুতে ব্যথা/ঝিনঝিন: ঘাড় থেকে ব্যথা কাঁধ বা বাহুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমনকি অসাড়তা বা ঝিনঝিন অনুভূতিও হতে পারে।
* মেরুদণ্ডের সমস্যা: দীর্ঘমেয়াদী টেক্সট নেকের ফলে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা (thoracic kyphosis) পরিবর্তিত হতে পারে, যা ডিস্কের সমস্যা (যেমন হার্নিয়েটেড ডিস্ক) এবং অকালে আর্থ্রাইটিসের কারণ হতে পারে।
টেক্সট নেকের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
টেক্সট নেকের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। ফিজিওথেরাপি ব্যথা কমানো, ঘাড়ের নড়াচড়া স্বাভাবিক করা, পেশী শক্তিশালী করা এবং সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখতে সাহায্য করে। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা মূল্যায়ন করে একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মূল দিকগুলো:
১. ব্যথা কমানো (Pain Management):
* ঠান্ডা বা গরম সেঁক: ব্যথা এবং ফোলা কমাতে ঠান্ডা সেঁক এবং পেশী শিথিল করতে গরম সেঁক ব্যবহার করা যেতে পারে।
* ম্যানুয়াল থেরাপি: ফিজিওথেরাপিস্ট হালকা ম্যাসাজ, জয়েন্ট মোবিলাইজেশন এবং সফট টিস্যু রিলিজ কৌশল ব্যবহার করে পেশী টান এবং জয়েন্টের শক্তভাব কমাতে পারেন।
* আল্ট্রাসাউন্ড বা টেনস (TENS): কিছু ক্ষেত্রে, ব্যথা কমাতে আল্ট্রাসাউন্ড বা ট্রান্সকিউটেনিয়াস ইলেকট্রিক্যাল নার্ভ স্টিমুলেশন (TENS) এর মতো ইলেক্ট্রোথেরাপি ব্যবহার করা হয়।
২. ব্যায়াম থেরাপি (Exercise Therapy):
* স্ট্রেচিং ব্যায়াম: ঘাড় ও কাঁধের টাইট পেশীগুলো শিথিল করার জন্য নির্দিষ্ট স্ট্রেচিং ব্যায়াম শেখানো হয়। যেমন:
* চিন টাক (Chin Tuck): ঘাড় সোজা রেখে চিবুক বুকের দিকে টেনে ধরা। এটি ঘাড়ের পেছনের পেশীগুলোকে লম্বা করে এবং সামনের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে।
* নেক এক্সটেনশন (Neck Extension): ঘাড়ের পেশীগুলোকে আলতো করে পেছনের দিকে টেনে ধরা।
* শোল্ডার শ্রাগস (Shoulder Shrugs): কাঁধ উপরে উঠিয়ে নিচে নামানো, যা ঘাড় এবং কাঁধের পেশীগুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করে।
* শক্তিশালীকরণের ব্যায়াম (Strengthening Exercises): ঘাড়, কাঁধ এবং উপরের পিঠের দুর্বল পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম দেওয়া হয়। যেমন:
* নেক আইসোমেট্রিকস (Neck Isometrics): হাতের সাহায্যে ঘাড়ের বিভিন্ন দিকে চাপ সৃষ্টি করে পেশী শক্তিশালী করা।
* রোটেটর কাফ শক্তিশালীকরণ: কাঁধের পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম।
* লোয়ার ট্র্যাপিজিয়াস শক্তিশালীকরণ: উপরের পিঠের পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম, যা সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
* পোশ্চারাল কারেকশন ব্যায়াম: সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখার জন্য বিশেষ ব্যায়াম শেখানো হয়।
৩. সঠিক ভঙ্গি প্রশিক্ষণ (Postural Education):
* ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীকে বসা, দাঁড়ানো এবং ডিভাইস ব্যবহারের সময় সঠিক ভঙ্গি সম্পর্কে নির্দেশনা দেন।
* ডিভাইস ব্যবহারের নিয়ম:
* মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে ধরে রাখা। প্রয়োজনে টেবিল বা স্ট্যান্ড ব্যবহার করা।
* ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের স্ক্রিন চোখের স্তরে রাখা এবং কিবোর্ড ও মাউস হাতের নাগালের মধ্যে রাখা।
* প্রতি ২০-৩০ মিনিট পর পর ছোট বিরতি নেওয়া এবং কিছু স্ট্রেচিং ব্যায়াম করা।
* দীর্ঘক্ষণ এক ভঙ্গিতে বসে থাকা এড়িয়ে চলা।
* ঘুমানোর সময় সঠিক বালিশ ব্যবহার করা, যা ঘাড়ের স্বাভাবিক বক্রতাকে সমর্থন করে।
৪. জীবনযাত্রার পরিবর্তন (Lifestyle Modification):
* নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ এবং ব্যায়ামের গুরুত্ব বোঝানো।
* পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করা।
* চাপ কমানোর কৌশল (যেমন মেডিটেশন) শেখানো, কারণ মানসিক চাপ পেশী টান বাড়াতে পারে।
কখন ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যাবেন?
যদি আপনার ঘাড়ে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা থাকে, ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাথাব্যথা হয় বা কাঁধ/বাহুতে অসাড়তা অনুভব করেন, তবে একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে টেক্সট নেকের জটিলতা এড়ানো সম্ভব এবং সুস্থ জীবনযাপন করা যায়।
মনে রাখবেন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তিত হয়। তাই, একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

© ইন্দিরা ভট্টাচার্য্য
☎️ 017455-60150
#সিটিফিজিওকেয়ার





স্ট্রোক পুনর্বাসনে ফিজিওথেরাপি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত ...
27/06/2025

স্ট্রোক পুনর্বাসনে ফিজিওথেরাপি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার ওপর নির্ভর করে রোগীর শারীরিক কার্যক্ষমতা, যেমন - নড়াচড়া, কথা বলা, ভারসাম্য ইত্যাদি ব্যাহত হতে পারে।

ফিজিওথেরাপি এই হারানো কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে এবং রোগীকে যতটা সম্ভব স্বাধীন জীবনযাপনে সহায়তা করে।

ফিজিওথেরাপির মূল লক্ষ্য
স্ট্রোক পুনর্বাসনে ফিজিওথেরাপির প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো:

* শারীরিক শক্তি ও সচলতা বৃদ্ধি: স্ট্রোকের ফলে দুর্বল হয়ে পড়া বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পেশি শক্তি বাড়ানো এবং নড়াচড়ার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা।

* ভারসাম্য ও সমন্বয় উন্নত করা: শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয় ফিরিয়ে আনা, যা হাঁটাচলার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

* দৈনন্দিন কাজকর্মে স্বাবলম্বী করা: পোশাক পরা, খাওয়া, গোসল করা, বাথরুম ব্যবহার করা - এই ধরনের দৈনন্দিন মৌলিক কাজগুলো করার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা।

* ব্যথা কমানো ও জটিলতা প্রতিরোধ: স্ট্রোকের কারণে সৃষ্ট ব্যথা কমানো এবং পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া (স্পাস্টিসিটি) বা জয়েন্ট বেঁকে যাওয়ার মতো (কন্ট্রাকচার) জটিলতা প্রতিরোধ করা।

* হাঁটার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার: স্ট্রোকের পর রোগীদের হাঁটার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করা।

* আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও মানসিক সহায়তা: রোগীদের মানসিক অবস্থা উন্নত করা এবং সমাজে তাদের পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাপনে উৎসাহিত করা।

ফিজিওথেরাপির বিভিন্ন কৌশল
একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে থাকেন:

* ব্যায়াম:
* শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম: দুর্বল পেশিগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম।
* সচলতার ব্যায়াম (Range of Motion Exercises): জয়েন্টগুলোর স্বাভাবিক নড়াচড়ার ক্ষমতা বজায় রাখা এবং বাড়ানোর জন্য।
* ভারসাম্য ও সমন্বয় ব্যায়াম: দাঁড়ানো বা হাঁটার সময় ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অনুশীলন।

* কার্য-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ (Task-oriented training): দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ (যেমন - গ্লাস ধরা, বোতাম লাগানো) অনুশীলনের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো।

* হাঁটার প্রশিক্ষণ (Gait training): কীভাবে সঠিক উপায়ে হাঁটতে হয়, তার প্রশিক্ষণ। প্রয়োজনে সহায়ক যন্ত্র (যেমন - ওয়াকার, ক্যান) ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

* ইলেক্ট্রোথেরাপি: ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন (বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা) ব্যবহার করে পেশি সক্রিয় করা এবং ব্যথা কমানো।

* পজিশনিং (Positioning): সঠিক ভঙ্গিমায় রোগীকে বিছানায় শোয়ানো বা বসানো, যাতে চাপজনিত ঘা প্রতিরোধ করা যায় এবং জয়েন্টগুলো সঠিক অবস্থানে থাকে।

* স্প্লিন্টিং ও ব্রেসিং: কিছু ক্ষেত্রে স্প্লিন্ট বা ব্রেস ব্যবহার করা হয় অঙ্গকে সঠিক অবস্থানে রাখতে এবং পেশি টানটান হওয়া রোধ করতে।

* শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: স্ট্রোকের পর অনেকের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে, সেক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম করানো হয়।

কখন ফিজিওথেরাপি শুরু করা উচিত?
স্ট্রোকের পর যত দ্রুত সম্ভব ফিজিওথেরাপি শুরু করা উচিত। এমনকি আইসিইউতে থাকা অবস্থাতেও প্রাথমিক পর্যায়ের ফিজিওথেরাপি শুরু করা যেতে পারে, যা রোগীর ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং প্রাথমিক জটিলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যত দেরিতে ফিজিওথেরাপি শুরু হবে, রোগীর সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত কমে যেতে পারে।

ফিজিওথেরাপি স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে অপরিহার্য। একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে একটি সুনির্দিষ্ট পুনর্বাসন পরিকল্পনা রোগীর দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
© ইন্দিরা ভট্টাচার্য্য
☎️ 017455-60150
#সিটিফিজিওকেয়ার







বয়স্কদের জন্য ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের শারীরিক সুস্থতা, স্বাধীনতা এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান ...
26/06/2025

বয়স্কদের জন্য ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের শারীরিক সুস্থতা, স্বাধীনতা এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে। বয়সের সাথে সাথে মানুষের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে, যেমন:

▶️ পেশী শক্তি হ্রাস (Muscle atrophy): পেশী দুর্বল হয়ে যায়, যা দৈনন্দিন কাজ যেমন হাঁটাচলা, সিঁড়ি ওঠা বা জিনিসপত্র তুলতে অসুবিধা সৃষ্টি করে। ফিজিওথেরাপি পেশী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

▶️ হাড় ও জয়েন্টের সমস্যা(joint & bone problem):
জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যায়, নমনীয়তা কমে যায় এবং আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিসের মতো রোগ দেখা দেয়। ফিজিওথেরাপি জয়েন্টের প্রদাহ কমাতে, শক্তি পুনরুদ্ধার করতে এবং নড়াচড়ার সীমাবদ্ধতা কমাতে সাহায্য করে।

▶️ ভারসাম্যহীনতা ও পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি(balance & Coordination problem):
ভারসাম্য কমে যায় এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা গুরুতর আঘাতের কারণ হতে পারে। ফিজিওথেরাপি ভারসাম্য ও সমন্বয় উন্নত করে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

▶️ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা(Chronic Pain): বয়স্কদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, বিশেষ করে জয়েন্ট ও মাংসপেশিতে ব্যথা খুব সাধারণ। ফিজিওথেরাপি বিভিন্ন কৌশল যেমন ব্যায়াম, ম্যাসাজ, ইলেকট্রোথেরাপির মাধ্যমে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

▶️ সার্জারির পর(Post-surgery rehabilitation):
অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক কার্যক্ষমতা ফিরে পেতে ফিজিওথেরাপি অপরিহার্য। এটি দ্রুত আরোগ্য লাভে এবং সম্পূর্ণ কার্যক্ষমতা ফিরে পেতে সাহায্য করে

▶️ বিভিন্ন রোগের ব্যবস্থাপনা(Management of multiple disease):
স্ট্রোক, পারকিনসন রোগ, ডিমেনশিয়া, ডায়াবেটিস, মূত্রনালীর অসংযমতার মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলোর কারণে সৃষ্ট শারীরিক সীমাবদ্ধতা ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ভালোভাবে মোকাবিলা করা যায়।

▶️ মানসিক সুস্থতা(Mental Fitness): শারীরিক সুস্থতা মানসিক সুস্থতার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ফিজিওথেরাপি শারীরিক ক্ষমতা বাড়িয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে।

▶️ স্বাধীন জীবনযাপন(Functional Independency):
ফিজিওথেরাপি বয়স্কদের দৈনন্দিন কাজগুলো স্বাধীনভাবে করার ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে তাদের অন্যের উপর নির্ভরতা কমে।
সংক্ষেপে, ফিজিওথেরাপি বয়স্কদের জন্য একটি সামগ্রিক সমাধান, যা তাদের বয়স-সম্পর্কিত শারীরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং সুস্থ, সক্রিয় ও স্বাধীন জীবনযাপন করতে সহায়তা করে।
একজন ফিজিওথেরাপিস্ট প্রতিটি বয়স্ক ব্যক্তির প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন, যা তাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হয়।

© ইন্দিরা ভট্টাচার্য্য
☎️ 017455-60150
#সিটিফিজিওকেয়ার






ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম (Therapeutic Exercise)ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম হলো নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা, আঘাত, রোগ বা অক্ষমতার চিকি...
26/06/2025

ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম (Therapeutic Exercise)
ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম হলো নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা, আঘাত, রোগ বা অক্ষমতার চিকিৎসার অংশ হিসেবে একজন যোগ্য ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে ডিজাইন করা বিশেষ ব্যায়াম। এর মূল উদ্দেশ্য হলো:

* ব্যথা উপশম(Relief of pain): নির্দিষ্ট অঙ্গ বা জয়েন্টের ব্যথা কমানো।

* কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার(Restore Movement): আঘাত বা রোগের কারণে হারানো শারীরিক কার্যক্ষমতা (যেমন - নড়াচড়ার ক্ষমতা, শক্তি) ফিরিয়ে আনা।

* আঘাত নিরাময়(Repair tissue damage): টিস্যু ও পেশীর নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা।

* পেশী ও জয়েন্টের শক্তি বৃদ্ধি(Increase muscle & joint power): দুর্বল পেশী ও জয়েন্টকে শক্তিশালী করা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ানো।

* নমনীয়তা ও গতিশীলতা উন্নত করা(Restore flexibility): জয়েন্টের সীমাবদ্ধতা দূর করে নড়াচড়ার পরিসর বাড়ানো।

* পুনর্বাসন(Rehabilitation): সার্জারির পর বা স্ট্রোকের মতো ঘটনার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করা।

* প্রতিরোধ(Decrease chance of injury): ভুল ভঙ্গিমা বা দুর্বল পেশীর কারণে পুনরায় আঘাত লাগার ঝুঁকি কমানো।

বৈশিষ্ট্য:
* Specific: প্রতিটি ব্যায়াম রোগীর নির্দিষ্ট অবস্থা, সমস্যা এবং শারীরিক সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়। এটি একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর মূল্যায়ন করার পর নির্ধারণ করেন।

* Evidence-based: এটি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে ব্যায়ামকে রোগের নিরাময় ও পুনর্বাসনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

* professional supervision: ব্যায়ামগুলো সাধারণত একজন ফিজিওথেরাপিস্টের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বা তার নির্দেশনায় করা হয়। ফিজিওথেরাপিস্ট সঠিক কৌশল, তীব্রতা এবং পুনরাবৃত্তি নিশ্চিত করেন।

সংক্ষেপে, সাধারণ ব্যায়াম সুস্থ থাকতে এবং ফিটনেস বাড়াতে সাহায্য করে, আর ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম হলো একটি নিরাময়মূলক প্রক্রিয়া যা নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা সমাধান করে মানুষকে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

®ইন্দিরা
#সিটিফিজিওকেয়ার





সাধারণ ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপি ব্যায়ামের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। যদিও উভয়ই শারীরিক কার্যকলাপের স...
25/06/2025

সাধারণ ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপি ব্যায়ামের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। যদিও উভয়ই শারীরিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত, তাদের উদ্দেশ্য, পদ্ধতি এবং তত্ত্বাবধানের ধরণে মূল ভিন্নতা দেখা যায়।

সাধারণ ব্যায়াম (Normal Exercise)
সাধারণ ব্যায়াম হলো ফিটনেস, স্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখার জন্য করা শারীরিক কার্যকলাপ। এর মূল উদ্দেশ্য হলো:

🎯সার্বিক ফিটনেস উন্নত করা: হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, পেশী শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ানো এবং নমনীয়তা বৃদ্ধি করা।

🎯ওজন নিয়ন্ত্রণ: ক্যালরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করা।

🎯মানসিক স্বাস্থ্য: মানসিক চাপ কমানো, মেজাজ ভালো করা এবং ঘুমের মান উন্নত করা।

🎯 রোগ প্রতিরোধ: ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকি কমানো।

বৈশিষ্ট্য:

✅সাধারণীকরণ: এটি সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো শারীরিক সমস্যা বা আঘাতের জন্য ডিজাইন করা হয় না।

✅স্ব-নির্দেশিত: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজেই ব্যায়ামের ধরণ, তীব্রতা এবং সময় নির্ধারণ করেন। একজন প্রশিক্ষকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, তবে তা বাধ্যতামূলক নয়।

✅বিভিন্ন ধরণ: হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার, সাইক্লিং, যোগা, জিমে ব্যায়াম ইত্যাদি সাধারণ ব্যায়ামের অন্তর্ভুক্ত।

✅লক্ষ্য: সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় রাখা।
বাকিটা ২য় পর্বে.....

©ইন্দিরা
#সিটিফিজিওকেয়ার





🛑 সায়াটিকার ব্যথায় ফিজিওথেরাপি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি শুধু ব্যথা কমায় না, বরং ব্যথ...
24/06/2025

🛑 সায়াটিকার ব্যথায় ফিজিওথেরাপি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি শুধু ব্যথা কমায় না, বরং ব্যথার মূল কারণ দূর করতে এবং ভবিষ্যতে ব্যথা ফিরে আসার সম্ভাবনা কমাতেও সাহায্য করে।
ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সায়াটিকার চিকিৎসায় যে ভূমিকাগুলো পালন করা হয়, সেগুলো হলো:

▶️ব্যথা উপশম ও প্রদাহ কমানো
*✅ স্নায়ুর ওপর চাপ কমানো: সায়াটিকার অন্যতম প্রধান কারণ হলো সায়াটিক নার্ভের ওপর চাপ। ফিজিওথেরাপির নির্দিষ্ট কিছু কৌশল, যেমন ম্যানুয়াল থেরাপি (মেরুদণ্ডের সামঞ্জস্য), স্নায়ুর নড়াচড়া বাড়িয়ে চাপ কমাতে সাহায্য করে।
*✅ পেশি শিথিল করা: টানটান ও স্প্যাসমডিক পেশিগুলো ব্যথার সৃষ্টি করে। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে এই পেশিগুলোকে শিথিল করা হয়, যা ব্যথা কমাতে সহায়ক।
*✅ প্রদাহ কমানো: কিছু থেরাপি, যেমন হিট প্যাক বা আইস প্যাক, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ব্যথার তীব্রতা কমায়।

▶️ নমনীয়তা ও সচলতা বৃদ্ধি
*✅ স্ট্রেচিং ব্যায়াম: ফিজিওথেরাপিস্টরা সায়াটিক নার্ভ এবং সংশ্লিষ্ট পেশিগুলোর নমনীয়তা বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট স্ট্রেচিং ব্যায়াম শেখান। এতে নার্ভের ওপর চাপ কমে এবং চলাফেরা সহজ হয়।
*✅ জয়েন্টের নমনীয়তা: কোমরের জয়েন্ট এবং পায়ের পেশিগুলোর নমনীয়তা বাড়ানোর জন্য কিছু মবিলাইজেশন ব্যায়াম করানো হয়

▶️পেশি শক্তি ও ভারসাম্য উন্নত করা
*✅ পেশি শক্তিশালীকরণ: সায়াটিকার কারণে দুর্বল হয়ে যাওয়া কোমর, নিতম্ব এবং পায়ের পেশিগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম করানো হয়। শক্তিশালী পেশি মেরুদণ্ডকে সঠিক অবস্থানে ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং নার্ভের ওপর চাপ কমায়।
*✅ কোর মাসলের শক্তি বৃদ্ধি: পেটের এবং পিঠের কোর মাসলগুলো মেরুদণ্ডের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি। এই মাসলগুলোকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সায়াটিকা ফিরে আসার ঝুঁকি কমে।
*✅ ভারসাম্য উন্নত করা: সায়াটিকার কারণে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ভারসাম্য উন্নত করার জন্য ব্যায়াম করানো হয়, যা দৈনন্দিন কাজকর্মে সুবিধা দেয়।

▶️জীবনযাত্রার মান উন্নত করা
*✅ সঠিক ভঙ্গি ও চলাচলের নির্দেশনা: ফিজিওথেরাপিস্টরা রোগীর ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী বসা, দাঁড়ানো, হাঁটা এবং ভারী জিনিস তোলার সঠিক ভঙ্গি শেখান, যা সায়াটিকার ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
*✅ নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস: ফিজিওথেরাপি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে রোগীর জন্য উপযুক্ত ব্যায়ামের রুটিন তৈরি করা হয়, যা নিয়মিত পালনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।
*✅ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি: দীর্ঘক্ষণ ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণের ফলে কিডনি, লিভার এবং পাকস্থলীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ফিজিওথেরাপি যেহেতু প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যথার চিকিৎসা করে, তাই এটি ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমায়।
অন্যান্য সুবিধা
*✅ পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ: ফিজিওথেরাপি শুধুমাত্র বর্তমান ব্যথা কমাতেই নয়, বরং ব্যথার মূল কারণ দূর করে এবং সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সায়াটিকা ফিরে আসার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
*✅ অস্ত্রোপচার এড়ানো: বেশিরভাগ সায়াটিকা রোগীর ক্ষেত্রেই ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র গুরুতর ক্ষেত্রে, যেমন মূত্রাশয় বা অন্ত্রের কার্যকারিতা প্রভাবিত হলে, অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

পরিশেষে বলা যায়, সায়াটিকার চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে দ্রুত সুস্থ হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।

© ইন্দিরা ভট্টাচার্য্য
☎️ 017455-60150

#সিটিফিজিওকেয়ার





বয়স্কদের পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ফিজিওথেরাপি:বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে, যেমন পেশী দুর্বল হ...
24/06/2025

বয়স্কদের পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ফিজিওথেরাপি:

বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে, যেমন পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া, ভারসাম্য কমে যাওয়া, সমন্বয়হীনতা, হাড়ের দুর্বলতা (অস্টিওপোরোসিস), এবং দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। এসব কারণে বয়স্কদের পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। ফিজিওথেরাপি এই ঝুঁকি কমাতে এবং পড়ে যাওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
ফিজিওথেরাপি যেভাবে বয়স্কদের পড়ে যাওয়ার সমস্যায় সাহায্য করে:

* ভারসাম্য এবং সমন্বয় উন্নত করা(Improve balance & Co-ordination): ফিজিওথেরাপিস্টরা নির্দিষ্ট ব্যায়ামের মাধ্যমে বয়স্কদের ভারসাম্য উন্নত করতে সাহায্য করেন। যেমন: স্ট্যান্ডিং মার্চ, এক পায়ে দাঁড়ানো, হাঁটার বিভিন্ন অনুশীলন, তাই চি। এই ব্যায়ামগুলো শরীরের সমন্বয় ক্ষমতা বাড়ায় এবং পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

* পেশী শক্তি বৃদ্ধি(Increase muscle power):
দুর্বল পেশী পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ফিজিওথেরাপি শক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। যেমন: চেয়ার থেকে দাঁড়ানো-বসা, পায়ের পেশীর ব্যায়াম ইত্যাদি। এতে শরীরের স্থিতিশীলতা বাড়ে।

* নমনীয়তা বাড়ানো(Improve flexibility):
ফিজিওথেরাপি জয়েন্টগুলোর নমনীয়তা বজায় রাখতে এবং বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজ হয় এবং হঠাৎ পড়ে যাওয়া এড়াতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়।

* হাঁটার ধরন (Gait training) উন্নত করা:
ফিজিওথেরাপিস্টরা বয়স্কদের হাঁটার ধরন বিশ্লেষণ করেন এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিরাপদ ও স্থিতিশীল হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করেন।

* ব্যথা কমানো(Reduce pain): অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণে অনেকে চলাফেরায় সমস্যা অনুভব করেন, যা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ফিজিওথেরাপি বিভিন্ন কৌশল যেমন মৃদু ব্যায়াম, ম্যানুয়াল থেরাপি, তাপ ও ঠান্ডা থেরাপির মাধ্যমে ব্যথা উপশম করে চলাফেরা সহজ করে তোলে।

* অস্টিওপোরোসিস ব্যবস্থাপনা(Reduce osteoporosis symptoms):
অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত বয়স্কদের হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়, ফলে পড়ে গেলে সহজে ফ্র্যাকচার হয়। ফিজিওথেরাপিস্টরা ওজন-বহনকারী ব্যায়াম এবং ভারসাম্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেন।
* সহায়ক ডিভাইস ব্যবহার(Assistive Device): প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপিস্টরা রোগীদের সহায়ক ডিভাইস যেমন ওয়াকার বা লাঠি ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি শিখিয়ে দেন, যা চলাফেরার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
* শিক্ষা এবং জীবনধারা পরামর্শ(Lifestyle modifications): ফিজিওথেরাপিস্টরা রোগীদের এবং তাদের পরিবারকে সঠিক শারীরিক মেকানিক্স, ergonomic অনুশীলন এবং দৈনন্দিন জীবনে সক্রিয় থাকার কৌশল সম্পর্কে শিক্ষা দেন। এর মাধ্যমে সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায় এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।

* বাড়ির পরিবেশ নিরাপদ করা(Home Settings): ফিজিওথেরাপিস্টরা বাড়িতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারেন। যেমন: বাড়িতে অতিরিক্ত আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলা, ভালো আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করা, বাথরুমে গ্র্যাব বার লাগানো ইত্যাদি।
সংক্ষেপে, ফিজিওথেরাপি বয়স্কদের শারীরিক সক্ষমতা, ভারসাম্য এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে পড়ে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে একটি সমন্বিত এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা মূল্যায়ন করে ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করেন, যা সবচেয়ে কার্যকর ফল নিয়ে আসে।
© Indira Bhattacharjee Priyadarshini
017455-60150
#সিটিফিজিওকেয়ার






Address

Khulna

Opening Hours

Monday 12:00 - 21:00
Tuesday 12:00 - 21:00
Wednesday 12:00 - 21:00
Thursday 12:00 - 21:00
Saturday 12:00 - 21:00
Sunday 12:00 - 21:00

Telephone

+8801715026881

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when City PhysioCare - সিটি ফিজিওকেয়ার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to City PhysioCare - সিটি ফিজিওকেয়ার:

Share