12/07/2024
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঃ
রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা কমে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়, ফলে শিশু ঘন ঘন অসুস্থ হয়। এর মধ্যে ঘন ঘন জ্বর হওয়াও একটা লক্ষণ। এছাড়াও খাবারের রুচিও থাকে না বললেই চলে। আমরা অনেকে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাই কিন্তু সঙ্গে ভিটামিন সি খাই না ফলে আয়রন নিজের মতো শরীরে হজম হয়ে যায় কিন্তু রক্তের হিমোগ্লোবিনও বাড়ে না, HCT এর ঘনত্বও পাল্টায় না। মানে হচ্ছে -
হিম আয়রন absorb হবে না= রক্তের ঘনত্বও বাড়াবেনা= hct লেভেল বাড়তেও দেরী হবে।
তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সাথেই বা খাবারের পরপর-ই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দিন শিশুকে। কমলার চেয়ে কিন্তু লেবুর সি ভিটা কাউন্ট বেশি।
আয়রন + ভিটামিন সি = Fast Result + Ensure Result
যদি আয়রন আর ভিটামিন সি আলাদা ভাবে ২ বেলা দেওয়া হয় = আয়রন হজম হয়ে যাবে, পরের বেলায় ভিটামিন সি-ও হজম হয়ে পটি কে সমৃদ্ধ করবে 😂। কিন্তু লক্ষ্য পূরণ হবে না 💔।
মানে ১+১=২ করতে হবে। নাহলে কিন্তু ১১ (এগারো) হবে ন্যাচারালি অথচ দরকার ছিল ২ 😂😂।
ভাত বা খিচুড়ি তে নিশ্চয়ই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার দেন যেমন-মাছ/মাংস/ডিমের কুসুম/আলু ইত্যাদি। এখন রক্তের হিমোগ্লোবিন ও HCT মাত্রা বাড়াতে কি করতে হবে? ঠিক ধরেছেন। খাবার ঠান্ডা করে ছোট এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। অথবা খাওয়ার পর পর একটু লেবুর পানি দিয়ে দিলেন খেতে। কিংবা চিকেন/ফিস সুপ এ হালকা গরম অবস্থায় একটু লেবুর রস এড করে নিলেন। খুব বেশি তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায় সাধারণত। তাই ঠান্ডা বা হালকা গরম খাবারে ভিটামিন সি মিশিয়ে নিলে absorb নিশ্চিত হয়।
তবে কিছু কিছু খাবার আছে যা #স্বনির্ভর মানে আলাদাভাবে ভিটামিন সি লাগবে না। এদের মধ্যে আয়রন ও সি দুইটাই আছে।
#যেমনঃ পাকা কলা, পাকা পেঁপে, পাকা আম, ডালিম। [লাল শাক/পালং শাক/কাঁচকলা/ব্রোকলী- এগুলোও স্বনির্ভর। তবে রান্না করার সময় 45-64% ভিটামিন-সি degrade হয়ে তরকারির ঝোলের সাথে মিশে যায়। সেই ঝোল খেলে ভিটামিন সি পাওয়া যেতে পারে।]
#আয়রনের_উৎসঃ পাকা কলা, খেজুর, কিসমিস, ব্রোকলী, সজনে ডাটা, ডাটা, কাঁচকলা, লাল শাক, পালং শাক, কলিজা, ডিমের কুসুম, মাছ, মাংস। ভাত খাওয়ার সময় অল্প একটু লেবুর রস যুক্ত করলেই আয়রন জাতীয় তরকারি হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সক্ষম হবে।
এক বছরের নীচের শিশুকে লেবু/কমলা/টক জাতীয় খাবার দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়। ওদের কিডনি ও পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর