
14/07/2025
গল্পের শিরোনাম: “আ*স*ক্তি*র অদৃশ্য জাল”
রাফি ছিল এক সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পড়াশোনায় মোটামুটি ভালো, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা – সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে, একটা জিনিস অদৃশ্যভাবে তার জীবনটা ঘিরে ধরলো— প*র্নো*গ্রা*ফি।
শুরুটা হয়েছিল কৌতূহল থেকে। “সবাই দেখে”, “একটু বিনোদন” — এই ভেবে সে পাত্তা দেয়নি। কিন্তু দিনে দিনে সেটা হয়ে উঠল অভ্যাস, আর তারপর আ*স*ক্তি।
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প*র্ন না দেখলে যেন ঘুমই আসত না। পড়াশোনায় মন বসত না, বন্ধুদের সঙ্গে থাকলেও মাথার ভেতর অন্য কিছু ঘুরত। ধীরে ধীরে...
মানসিক ক্লান্তি ও অন্যমনস্কতা তাকে গ্রাস করল। বাস্তব সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলল — প্রেমিকাকে সময় দিতে পারত না, কারণ প*র্নে*র ভুয়া কল্পনা তার বাস্তব অনুভবটাকে ম্লান করে দিয়েছিল।
নিজের প্রতি ঘৃণা জন্মালো — কারণ সে জানত এটা ঠিক না, কিন্তু ছাড়তেও পারছিল না।
যৌ*ন দুর্বলতা ও আত্মবিশ্বাসের ঘাঁটতি আস্তে আস্তে তার ব্যক্তিত্বকে গি*লে খেতে শুরু করলো।
একদিন ক্লাসে হঠাৎ এক টপিক উঠল — “ডিজিটাল আসক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্য”। স্যার যখন বললেন, “অতিরিক্ত প*র্ন দেখার ফলে মস্তিষ্কে ডোপামিন ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, ফলে জীবনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়, সম্পর্ক ভেঙে পড়ে, আত্মবিশ্বাসে আঘাত লাগে”— তখন যেন রাফির চোখ খুলে গেল।
সে বুঝলো— এটা নিছক বিনোদন নয়, এটা আসলে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক জাল। এরপর থেকেই সে নিজেকে পাল্টাতে শুরু করলো।
🔅🔅শেষকথা:
প*র্নো*গ্রা*ফি নিজে খারাপ নয় — কিন্তু যখন সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়, তখন তা হয়ে দাঁড়ায় এক ভয়ংকর অভ্যাস। আত্মনিয়ন্ত্রণ, বাস্তব সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মানসিক শান্তি — এগুলোই একজন মানুষকে পূর্ণ করে তোলে।
আপনিও যদি এ আসক্তিতে থাকেন, বুঝে নিন সময় এসেছে পাল্টে যাওয়ার। কারণ, আ*স*ক্তি কখনও স্বাধীনতা দেয় না — শুধু দাসত্ব শেখায়।
⛔️এই গল্পটি একজন বাস্তব তরুণের অভিজ্ঞতা অবলম্বনে তৈরি। পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে তার সম্মতিতে।