কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj

কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj "নরমালে প্রসব করুন,
নরমাল ডেলিভারি মায়েদের অধিকার "
(2)

শাসন নাকি আদর?নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, শিশুদের ব্রেইন চিৎকার (নেগেটিভ স্টিমুলাস) এবং আদর (পজিটিভ স্টিমুলাস) — এই দুই ধরনে...
08/08/2025

শাসন নাকি আদর?

নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, শিশুদের ব্রেইন চিৎকার (নেগেটিভ স্টিমুলাস) এবং আদর (পজিটিভ স্টিমুলাস) — এই দুই ধরনের অভিজ্ঞতার প্রতি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে রেসপন্স করে।

যখন শিশুকে চিৎকার করা হয় বা ভয় দেখানো হয়, তখন তার ব্রেইনে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়। এটি শিশুর অ্যামিগডালা (ভয়ের প্রসেসিং এরিয়া) কে অত্যন্ত সক্রিয় করে তোলে। ফলে শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়, নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে এবং বারবার এমন অভিজ্ঞতা হলে ব্রেইনের এই অংশটি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে ভবিষ্যতে শিশুর মধ্যে উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসহীনতা ও আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া, ক্রমাগত নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নিউরনগুলোর সংযোগ (synapse) গঠনে বিঘ্ন ঘটায়, যার ফলে শেখার সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

অন্যদিকে, যখন শিশুকে ভালোবাসা, আদর বা সহানুভূতির সঙ্গে আচরণ করা হয়, তখন ব্রেইনে অক্সিটোসিন ও ডোপামিন নামক “feel-good” হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি ব্রেইনের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স (যেটি চিন্তা, বিচার, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পরিচালনা করে) কে সক্রিয় করে।

এতে শিশুর মধ্যে নিরাপত্তা, আত্মবিশ্বাস, শেখার আগ্রহ এবং ইতিবাচক সামাজিক আচরণ তৈরি হয়। এমন ভালোবাসাময় পরিবেশে নিউরনের মাঝে বেশি বেশি সংযোগ তৈরি হয়, যেটা ব্রেইনের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিৎকার শিশুর ব্রেইনে ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা গেঁথে দেয়, আর আদর তাকে শেখে ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতা— যার ভিত্তি তৈরি হয় আজীবন মানসিক বিকাশের জন্য। এজন্য সচেতন, স্নেহভরা এবং সহানুভূতিশীল আচরণই শিশুর ব্রেইনের স্বাস্থ্যকর বিকাশের মূল চাবিকাঠি।

আমারা অনেকেই ওদের অনেক আচরনে খুব বিরক্ত হই, চিৎকার করে ফেলি যা ঠিকনা, এখন থেকে সচেতন হবেন, ধৈর্যের বিকল্প কিছু নেই।

কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj
❤️❤️❤️



আপনি কি জানেন, আপনার শরীরে একটি দ্বিতীয় হৃদয় আছে?এটি আপনার পায়ের পেছনের পিণ্ডলিতে (ক্যালফে) অবস্থান করে।এই হৃদয়কে সক...
05/08/2025

আপনি কি জানেন, আপনার শরীরে একটি দ্বিতীয় হৃদয় আছে?
এটি আপনার পায়ের পেছনের পিণ্ডলিতে (ক্যালফে) অবস্থান করে।
এই হৃদয়কে সক্রিয় রাখা ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কীভাবে এটি করবেন, চলুন জেনে নিই।
আপনার শরীরে একটি লুকানো সহায়ক রয়েছে, যা রক্ত চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—এবং এটি কেবলমাত্র তখনই কাজ করে যখন আপনি নড়াচড়া করেন।
এটি পরিচিত সোলিয়াস (soleus) নামে—একটি ক্যালফ মাংসপেশি, যা রক্তকে নিচ থেকে বুকের দিকে ফেরত পাঠায়, যাতে আপনার আসল হৃদয় মাধ্যাকর্ষণের টানকে অতিক্রম করে রক্ত পরিবহনে সাহায্য পায়।
এই পেশিচালিত পাম্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রক্ত পায়ে জমে যাওয়া রোধ করে—যা ফুলে যাওয়া, ভ্যারিকোস ভেইন, এমনকি রক্ত জমাট বাঁধা (blood clot) ঘটাতে পারে।
কিন্তু একটা বিষয় আছে: এই ক্যালফ পাম্প কেবল তখনই কাজ করে যখন আপনি চলাফেরা করেন।
অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকা বা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকাও এই কার্যক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে শিরা-সংক্রান্ত সমস্যার কারণ হতে পারে—এই বিষয়ে Cleveland Clinic এবং Mayo Clinic‑এর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
এই দ্বিতীয় হৃদয়কে সক্রিয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় কী?
নিয়মিত হাঁটুন—প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একবার বা দুইবার।
আপনি যদি ডেস্কে বসে থাকেন বা দীর্ঘ ফ্লাইটে থাকেন, তাহলে পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে উঠানামা (toe raises) করলে ক্যালফ পাম্প সক্রিয় থাকে।
যাদের পায়ে প্রায়ই ফোলা থাকে, তারা পা হৃদয়ের চেয়ে উঁচু করে রাখতে পারেন বা কমপ্রেশন সক্স ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, আসল চাবিকাঠি হচ্ছে নড়াচড়া।
তা সেটা হোক জোরে হাঁটা বা অফিসে কয়েক পা চলাফেরা—আপনার পা নড়াচড়া করলেই আপনার দ্বিতীয় হৃদয় সচল থাকে, আর আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
সোর্সঃ Cleveland Clinic



একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক শুধু ক্লান্তই হয় না, বরং নিজেকে ধ্বংস করতে শুরু করে।ইঁদুর নিয়ে করা গবেষণায় ...
25/07/2025

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক শুধু ক্লান্তই হয় না, বরং নিজেকে ধ্বংস করতে শুরু করে।

ইঁদুর নিয়ে করা গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের গ্লিয়াল কোষগুলোকে অত্যন্ত সক্রিয় করে তোলে। এই গ্লিয়াল কোষগুলো সাধারণত মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার কাজ করে—পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সরিয়ে দেয়।

কিন্তু ঘুমের ঘাটতি হলে অ্যাস্ট্রোসাইট (astrocyte) নামক এক ধরনের গ্লিয়াল কোষ অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। তখন তারা শুধু ক্ষতিগ্রস্ত অংশ নয়, সুস্থ ও প্রয়োজনীয় নিউরন সংযোগ (synapses)-ও কেটে ফেলতে শুরু করে।

গভীর ঘুম-অভাবগ্রস্ত ইঁদুরদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ১৩% পর্যন্ত সেল ধ্বংস হয়ে যেতে পারে—একটি ভয়াবহ আত্ম-ধ্বংস প্রক্রিয়া।

এই তথাকথিত "জোম্বি-মস্তিষ্ক" অবস্থা নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, যেমন আলঝেইমার, বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয়। কারণ এই ধরনের রোগে ঘুমের সমস্যা ও নিউরনের ক্ষতি একসাথে দেখা যায়।

গবেষকেরা মনে করছেন, এই অতিসক্রিয় পরিচ্ছন্নতা প্রক্রিয়া ঘুমের অভাবে স্মৃতিভ্রংশ ও মানসিক দুর্বলতার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও মানুষের ক্ষেত্রে আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে একটি বিষয় একেবারে স্পষ্ট—
👉 গভীর ও নিয়মিত ঘুম বিলাসিতা নয়, মস্তিষ্ক রক্ষার অপরিহার্য অংশ।



মেন্টালি সাপোর্ট পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj

পরিবারের বিশ্রী পলিটিক্সের স্বীকার হচ্ছেন?পৃথিবীতে সবচেয়ে বেসি মাইন্ড গেইম খেলা করেন বাবা মায়েরা। অথচ এই সমাজ সর্বদা সন্...
18/07/2025

পরিবারের বিশ্রী পলিটিক্সের স্বীকার হচ্ছেন?
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেসি মাইন্ড গেইম খেলা করেন বাবা মায়েরা। অথচ এই সমাজ সর্বদা সন্তান কে অপরাধী বানায়। বাবা মায়ের বয়স হয়েছে মানে উনারা যেটা বলবেন বা করবেন সেটাই ১০০% সত্য। তারাও ভুল করেন বা করতে পারেন এটা মানতে চাইনা। সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট, ভার্বাল এ‍্যাবইউজমেন্ট বাজে ব‍্যবহার, ইমোশনালি হ‍্যারেজ হচ্ছেন, মাইন্ড গেইম এসব কিছুর মধ‍্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই আপনি খারাপ।
বাবা মা খুব ভাল করে জানেন কোন সন্তানের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া যায় আর কাকে তোষামোদ করে চলতে হয়। মানুষ ৬০ বছর বয়সে বুঝতে পারে জীবনে সত্যিকারে সম্পর্ক কোনটা ছিল। সৌভাগ্যক্রমে অনেকেই যৌবন পেরুতেই সেই সম্পর্ক বুঝতে পারে। হাজারো সন্তান জীবনের সবটুকু সঞ্চয় বাবা মায়ের হাতে দিয়ে সার্টিফিকেট পায় কিছুই করোনা আবার অনেক সন্তান কিছু না করেও সেরা সন্তানের সার্টিফিকেট অর্জন করে। অনেক সময় এক সন্তান কে সামনে রেখে মানুষের কাছে গল্প বলবে আমার অমোক সন্তান এটা করে ওটা করে। এই সেই বহু সুনাম। আর যে সামনে দাঁড়িয়ে থাকে তাকেও একটু ছোট করতে দ্বিধা করেনা। কিন্তু সেই মানুষটাই একটা সময় বট গাছের মতো সবাইকে আগলে রেখেছে। মানে তাকে অন্যের থেকে একটু হলেও ছোট করে রাখতে হবে।কেননা এখন তো সবাই উড়তে শিখে যায়। এখন আর অতীত মনে রাখে না। দেখা যায় সে মানুষটা নিরবে এগুলো সয্য করতে করতে একদিন দূরত্বের সীমান্ত পেরুতে থাকে।
যাদের সাথে এইগুলো হয় শুধু তারাই এটার ভুক্তভোগী।প্রতিবাদ করলেই তুমি খারাপ।তুমি কিছুই করো না। সবাই মিলে অতীতের উপকার হিসেবে তেড়ে মারতে আসে, সাথে তো অপমান ফ্রী।

আল্লাহাতালার পরেই পৃথিবীতে মা বাবার সার্পোট নিয়ে সন্তান পথচলে। বাবা মা যখন শত্রু হয় তখন পথচলা সহজ হলেও হৃদয় টা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। আর ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় নিয়ে পুরোপুরি শ্রদ্ধা আসেনা। দুনিয়ার সবার কাছে নির্বিশেষে যে ভালো সে পজেটিভ পারসন নয় , সে হিপোক্রেট।
আমার জীবন থেকে শিখেছি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক স্বামী স্ত্রী। বাকি সব মিথ্যা। যে একজন সঠিক মানুষ পাইনা তার কপাল পোড়া। যে সঠিক জীবন সঙ্গী পেয়েছে তার বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীতে আর কারোর প্রোয়জন হয়না🥰

✍️ মওদুদা জিন্নাত নিতু
কালেক্টড।

ক্লোনিং আসলে কী? নকল মানুষ?ক্লোনিং শব্দটা শুনলেই আমাদের মাথায় যেন সিনেমার মতো কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে—একজন মানুষের হুবহু কপি...
12/07/2025

ক্লোনিং আসলে কী? নকল মানুষ?

ক্লোনিং শব্দটা শুনলেই আমাদের মাথায় যেন সিনেমার মতো কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে—একজন মানুষের হুবহু কপি বানিয়ে ফেলা, একটা ‘নকল মানুষ’ তৈরি করে ফেলা। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা মোটেই এতটা সহজ বা অলৌকিক কিছু না। এটা আসলে বিজ্ঞানের একটা জটিল আর গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যেখানে প্রাণী বা কোষের জেনেটিক কপি তৈরি করা হয়।
সবচেয়ে সহজভাবে বললে, ক্লোনিং মানে হচ্ছে কোনো প্রাণীর জেনেটিক তথ্য অবিকল রেখে আরেকটা নতুন কপি তৈরি করা। এই ‘নকল’ বললে আসলে ভুল হবে, কারণ ক্লোন জীবটা পুরোপুরি জীবন্ত, আর তারও নিজস্ব অস্তিত্ব থাকে।

ক্লোনিং কত রকম?
বিজ্ঞানীরা ক্লোনিংকে সাধারণভাবে তিন ভাগে ভাগ করে থাকেন:

১. জিন ক্লোনিং (Gene cloning) – এখানে শুধু কোনো নির্দিষ্ট জিন বা DNA অংশ কপি করা হয়। যেমন কোনো একটা ওষুধ তৈরি করতে হলে কোনো জীবাণুর জিন কপি করে কাজটা করা হয়।

২. প্রজনন ক্লোনিং (Reproductive cloning) – এতে গোটা একটা জীব তৈরি হয়। এটার সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ হচ্ছে ভেড়া ‘ডলি’।

৩. থেরাপিউটিক ক্লোনিং (Therapeutic cloning) – এটা মূলত চিকিৎসার জন্য করা হয়। যেমন, স্টেম সেল বানিয়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের চেষ্টা।

ডলি: ইতিহাসের প্রথম ক্লোনড স্তন্যপায়ী

১৯৯৬ সালে স্কটল্যান্ডে জন্ম নেয় ডলি নামে একটা ভেড়া। এটা ছিল বিজ্ঞানের এক বড় সাফল্য। ডলিকে বানাতে বিজ্ঞানীরা একটা প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়ার শরীরের কোষ থেকে নিউক্লিয়াস বের করে নিয়ে সেটা আরেকটা ডিম্বাণুতে ঢুকিয়ে দেন, যার নিজের নিউক্লিয়াস আগে থেকেই ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর সেটা মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন করে জন্ম দেওয়া হয় ডলির।
তবে এটা করতে গিয়ে প্রায় ২৭৭ বার ব্যর্থতা আসে! এটা থেকেই বোঝা যায়, ক্লোনিং শুধু থিওরিতে নয়, বাস্তবেও অনেক কঠিন আর ঝুঁকিপূর্ণ।

মানুষ ক্লোন করা যাবে?

এই প্রশ্নটাই সবচেয়ে বেশি আলোচিত। টেকনিক্যালি, অর্থাৎ বিজ্ঞানগতভাবে এটা একেবারে অসম্ভব না। কিন্তু আসল সমস্যাটা হচ্ছে নৈতিকতা আর ঝুঁকি। এখন পর্যন্ত যেসব প্রাণী ক্লোন করা হয়েছে, তাদের অনেকেই অল্প বয়সেই মারা গেছে, কারও অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সমস্যা ছিল, কারও আবার বার্ধক্যজনিত লক্ষণ দেখা দিয়েছে খুব অল্প বয়সেই।
ধরা যাক কোনোদিন মানুষ ক্লোন করা সম্ভব হলোও—তবুও কি সেই মানুষটা হুবহু মূল মানুষের মতো হবে? আসলে না। কারণ মানুষ গড়ে ওঠে তার স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, পরিবেশ আর বেড়ে ওঠার মাধ্যমে। জিন এক হলেও মনটা, চিন্তাভাবনা বা আচরণ কখনোই হুবহু কপি হয় না। ঠিক যেমন যমজ ভাইয়েরা দেখতে এক হলেও তারা আলাদা মানুষ।

ক্লোনিংয়ের ভালো দিকগুলো

সব দিকেই শুধু সমস্যা আছে, এমন না। ক্লোনিং প্রযুক্তি অনেক ভালো কাজেও ব্যবহার হতে পারে। যেমন—
কোনো দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির নিজের কোষ থেকে যদি অঙ্গ তৈরি করা যায়, তাহলে প্রতিস্থাপনে ঝুঁকি কমে যাবে।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলো আবার ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। যেমন, ডাইনোসর নয়, কিন্তু ‘উলি ম্যামথ’ নিয়ে গবেষণা চলছে।
স্টেম সেল ক্লোন করে হয়তো ভবিষ্যতে ক্যানসার, পারকিনসনসের মতো রোগের চিকিৎসা আরও উন্নত করা যাবে।

তাহলে নকল মানুষ?

না, ক্লোনিং মানেই নকল মানুষ নয়। মানুষ এমন একটা জটিল প্রাণী যার মধ্যে শুধু DNA না, মন-মানসিকতা, মূল্যবোধ, অনুভূতি—সবকিছু থাকে। এগুলো কোনো ল্যাবে বানানো যায় না। কেউ যদি কোনোদিন ক্লোনড হয়েও যায়, সে তার নিজের মতোই ভাববে, হাসবে-কাঁদবে।
অতএব, ক্লোনিং মানে রোবট বানানো না। এটা জীববিজ্ঞানের একটা চমৎকার অংশ, যেটা নিয়ে এখনো অনেক গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে হয়তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর প্রভাব আরও বড় হবে, কিন্তু "নকল মানুষ" তৈরি করে দুনিয়া বদলে যাবে—এই চিন্তাটা এখনো কল্পবিজ্ঞানেই ভালো মানায়।

ক্লোনিং একটা মজার কিন্তু গভীর বিজ্ঞানচর্চার বিষয়। এটা যেমন আশার আলো হতে পারে, তেমনি ভুলভাবে ব্যবহার হলে হতে পারে ভয়ংকরও। আমরা যদি এটাকে শুধু “নকল মানুষ বানানো” বলে ফেলি, তাহলে আসল বিজ্ঞানটাই আমরা মিস করবো। বরং, বোঝা দরকার—এই প্রযুক্তি মানুষ বা জীবনের প্রতি দায়িত্ববোধের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত, যাতে ভবিষ্যত পৃথিবী হয় আরও ভালো, আরও মানবিক।




🚨 এক্স-রে, সিটি এবং এমআরআই এর মধ্যে পার্থক্য কি জানেন?!🔹 এক্স-রে:📸 দ্রুত এবং সাধারণ ছবি💵 সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে বিখ্য...
06/07/2025

🚨 এক্স-রে, সিটি এবং এমআরআই এর মধ্যে পার্থক্য কি জানেন?!

🔹 এক্স-রে:
📸 দ্রুত এবং সাধারণ ছবি
💵 সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে বিখ্যাত চেক
🦴 ফ্র্যাকচার, নিউমোনিয়া এবং কিছু টিউমার শনাক্ত করার জন্য চমৎকার
⚠️ একটি হালকা বিকিরণ অনুপাত রয়েছে
নিয়মিত চেক আপের জন্য উপযুক্ত ✅

🔹 সিটি-স্ক্যান:
🧠 সাধারণ বিমের চেয়ে আরো সঠিক এবং ব্যাপক
📷 এটা ৩৬০° কোণ থেকে শরীরের ছবি তোলে এবং একটি ৩ডি ছবি দেয়
🩻 অঙ্গ, টিস্যু এবং হাড়ের সমস্যা শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়
⚠️বিক্রিকরণের শতাংশ এক্স-রে থেকে বেশি
জটিল বা জরুরী পরিস্থিতিতে প্রায়ই অনুরোধ করা হয়

🔹 এমআরআই (এমআরআই):
🔍 সর্বোচ্চ নির্ভুলতা, বিশেষ করে মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং পেশীতে
💫কখনো বিকিরণ নয় (চুম্বক এবং রেডিও ঢেউয়ের সাথে কাজ করে)
এটা সময় নেয়, এবং সামান্য খরচ হয় ⌛
🧠 স্নায়ু এবং নরম টিস্যু জন্য আদর্শ
🚫 যাদের শরীরে ধাতব যন্ত্র লাগানো আছে তাদের জন্য হারাম (যেমন পেসমেকার)

🔸 ঠিক আছে এবং পিইটি-স্ক্যান?
💉একটি সাধারণ তেজস্ক্রিয় পদার্থের সাথে ইনজেক্ট করা হয়েছে
🔥 ক্যান্সার সনাক্ত এবং ছড়াতে ব্যবহৃত
📊 কোষের কার্যকলাপ পরিমাপ করে এবং শরীর কতটা চিকিৎসায় সাড়া দেয়
কেমোথেরাপি বা বিকিরণ এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য খুব দরকারী

🎯 দ্রুত সারসংক্ষেপ:

এক্স-রে = দ্রুত এবং প্রাকৃতিক

সিটি = আরো সঠিক, পূর্ণ, কিন্তু আরো বিকিরণ আছে

এমআরআই = কোন বিকিরণ এবং সর্বোচ্চ টিস্যু নির্ভুলতা নেই

পিইটি = ক্যান্সার এবং কোষের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ

📌 copied


Kishoreganj Beauty Hacks

শিশুকে কেনো নিজের হাতে খেতে দিবেন? অনেক মা বলেন—শিশু নোংরা করবে, ঠিকমতো খাবে না, এক কামড় খেয়েই ফেলে দেয় তাই নিজেই খাইয়ে ...
06/07/2025

শিশুকে কেনো নিজের হাতে খেতে দিবেন?
অনেক মা বলেন—শিশু নোংরা করবে, ঠিকমতো খাবে না, এক কামড় খেয়েই ফেলে দেয় তাই নিজেই খাইয়ে দিই!
কিন্তু শিশুর বিকাশে নিজের হাতে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যখন শিশু নিজের ইচ্ছামত খাবার নিয়ে খেলা করে বা স্পর্শ করে, তখন খাবারের প্রতি তার এক ধরনের কৌতূহল এবং ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি হয়। এতে খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ছোটবেলা থেকেই নিজের হাতে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে শিশু খাবারের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয় এবং স্বাধীনভাবে খেতে শেখে। এটি পরবর্তীতে তার খাদ্যাভ্যাস গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

(Fine Motor Skills) বৃদ্ধি:
নিজের হাতে খাবার ধরা এবং মুখে দেওয়ার চেষ্টা করার মাধ্যমে শিশুর হাতের ছোট ছোট পেশিগুলোর সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ বাড়ে। এটি তার আঙুলের শক্তি এবং সমন্বয় ক্ষমতা বিকাশে সাহায্য করে।

(Hand-Eye Coordination) উন্নত করা:
খাবার মুখে তুলতে শেখাটা চোখ এবং হাতের মধ্যে চমৎকার সমন্বয় ঘটায়। শিশু দেখে এবং শেখে কীভাবে তার হাত ব্যবহার করে খাবার মুখে নিয়ে যেতে হয়।

এছাড়াও শিশু নিজের হাতে খেলে খাবারের রঙ, গন্ধ, টেক্সচার টের পায়—ইন্দ্রিয় শিখে। ক্ষুধা-তৃপ্তির সংকেত বোঝতে শিখে। কখন খেতে ইচ্ছে করছে বা পেট ভরে গেছে শিশু নিজে বুঝতে শিখে।

কখন থেকে শুরু করবেন?

৬ মাস বয়সের পর থেকে সলিড খাবার যখন শুরু করবেন, তখন থেকেই সহজ খাবার হাত দিয়ে ধরতে দিন।
৮–১০ মাসের মধ্যে ছোট ছোট টুকরো বা “ফিঙ্গার ফুড” দিন।যেমন -সিদ্ধ সবজি, কলা, রুটি টুকরো।
১২ মাসের পর চামচ/কাপ নিজে ধরার চেষ্টা করতে দিন।

কী কী খাবার দিতে পারেন?

কলা টুকরো (চিকন করে কেটে হাতে ধরতে দিন।)
সিদ্ধ গাজর বা আলু, মিষ্টি কুমড়ো, লাউ, ফুলকপি, ব্রকলি।
নরম ভাত ছোট বল বানিয়ে
ডিম পোচ করে ছোট লম্বা সাইজে করে কেটে দিন। (যদি বয়স অনুযায়ী নিরাপদ হয়)
ছোট রুটি টুকরো
নরম মাংসের টুকরো (যদি বয়স অনুযায়ী নিরাপদ হয়)

কিভাবে দিবেন?

খাবার ছোট টুকরো করে দিন—গলায় আটকে যাওয়া এড়াতে।
খাওয়ার সময় শিশুর পাশে থাকুন।
নোংরা করবে—তবু উৎসাহ দিন।
মজা করে, হাসিমুখে শেখান—না খেলে জোর করবেন না। খাওয়ার সময় কোন প্রকার ডিভাইস - মোবাইল / টিভি দিবেন না। নিরিবিলি পরিবেশে শিশুকে খেতে বসাবেন যেনো শিশুর মনোযোগ খাবার ছাড়া অন্যকোন দিকে না যায়।

শুরুতে শিশুকে অগোছালোভাবে খেতে দিন। একটু নোংরা হবে জেনেও তাকে এই সুযোগটা দিন।
ধৈর্য ধরুন। প্রথম দিকে হয়তো বেশি খাবার মুখে যাবে না, তবে এটি শেখার একটি প্রক্রিয়া।
সোনামণির খাবার টেবিলে বসে আপনার সঙ্গে খেতে দিন। আপনি নিজে আগে খাবারটি খেয়ে দেখান। খাওয়ার ভঙ্গিতে মাজাদার খাবার বোঝান এক্সপ্রেশন দিয়ে। এতে সে দেখে শিখবে।
খাবার উপভোগ করতে শেখান। জোর করে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।

আপনার ছোট্ট শিশুটির জন্য এই সময়টি হোক খাবার আবিষ্কারের এক আনন্দময় যাত্রা। প্রতিটি নতুন স্বাদ, ছোট্ট হাতে খাবার ধরার প্রচেষ্টা তার বিকাশে নতুন মাত্রা যোগ করুক।

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার


এই ছবিতে একটি কলা ব্যবহার করে হাস্যকরভাবে এবং কার্যকরভাবে দেখানো হয়েছে যে মেডিকেল ইমেজিং কৌশলগুলি - এক্স-রে, সিটি স্ক্য...
05/07/2025

এই ছবিতে একটি কলা ব্যবহার করে হাস্যকরভাবে এবং কার্যকরভাবে দেখানো হয়েছে যে মেডিকেল ইমেজিং কৌশলগুলি - এক্স-রে, সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই - অভ্যন্তরীণ কাঠামো কল্পনা করার ক্ষমতার ক্ষেত্রে কীভাবে আলাদা।

একটি এক্স-রে একটি মৌলিক বাহ্যিক সিলুয়েট দেখায়, যা প্রতিফলিত করে যে এটি হাড় এবং ঘন পদার্থ কীভাবে ধারণ করে।

একটি সিটি স্ক্যান আরও স্তরযুক্ত অভ্যন্তরীণ কাঠামো প্রকাশ করে, যা সূক্ষ্ম টিস্যু পার্থক্য বা রক্তপাত সনাক্ত করার অনুরূপ।

একটি এমআরআই সর্বাধিক বিশদ প্রদান করে, অভ্যন্তরীণ স্ট্র্যান্ড এবং টেক্সচার দেখায়, পেশী এবং অঙ্গগুলির মতো নরম টিস্যু চিত্রায়নে এর শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরে।

জটিল রেডিওলজিক্যাল ধারণাগুলির অ্যাক্সেসযোগ্য, চাক্ষুষ উপস্থাপনার জন্য এই কলার উপমা বিজ্ঞান যোগাযোগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এটি ক্লিনিকাল চিত্র দেখায় না তবে ধারণাগতভাবে ডায়াগনস্টিক পার্থক্যগুলিকে প্রতিফলিত করে, এটি শিক্ষামূলক এবং আকর্ষণীয় উভয়ই করে তোলে।



🔑মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়!🎗️ অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।সেদিন এক ধন...
04/07/2025

🔑মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়!🎗️ অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

সেদিন এক ধনকুবের মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন। সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বলল, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

নিরেট সত্যটি হচ্ছে, অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে সুস্থ শরীর এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা অনেক বেশি জরুরি।

তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

* আপনার সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্য। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

তাহলে করণীয় কী?

✓ অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।

✓ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

✓ মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

✓ রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

✓ পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।

✓ সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

✓ যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীর সাথে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও হাত ধরে হাঁটুন, রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান। তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

✓ ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

✓ সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিনদেশে বেড়াতে নিয়ে যান।

✓ ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।

✓ মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।

✓ বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।

✓ মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন।

জীবন তো একটাই, তাই পরিপূর্ণভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।
Kishoreganj Beauty Hacks


ডিম্বাণু নেই, শুক্রাণু নেই, কোনো জরায়ুরও প্রয়োজন হলো না! তবুও ল্যাবরেটরিতে তৈরি হলো মানব ভ্রূণ, যার একটি হৃদপিণ্ডও তৈরি ...
02/07/2025

ডিম্বাণু নেই, শুক্রাণু নেই, কোনো জরায়ুরও প্রয়োজন হলো না! তবুও ল্যাবরেটরিতে তৈরি হলো মানব ভ্রূণ, যার একটি হৃদপিণ্ডও তৈরি হয়েছিল এবং সেটি স্পন্দিত হচ্ছিল! 🤯

ইসরায়েলের বিখ্যাত ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটের (Weizmann Institute) বিজ্ঞানীরা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়া এক গবেষণা করেছেন। তাঁরা মানুষের সাধারণ ত্বক কোষকে (skin cells) নতুন করে প্রোগ্রাম করে সেটিকে স্টেম সেলে (stem cell) পরিণত করেন। এরপর সেই স্টেম সেলগুলোকে এমন পরিবেশে রাখা হয়, যেখানে তারা নিজেরাই সংগঠিত হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মানব ভ্রূণের মডেল তৈরি করে ফেলে!

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো:

⚆ এই প্রক্রিয়ায় কোনো জিন এডিটিং বা ক্লোনিং করা হয়নি। এটি প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মেই কোষ থেকে ভ্রূণ তৈরির প্রক্রিয়াকে অনুকরণ করেছে।

⚆ কৃত্রিমভাবে তৈরি এই ভ্রূণটি একদম সত্যিকারের মানব ভ্রূণের মতোই ১৪ দিন পর্যন্ত বেড়ে উঠেছিল। এর মধ্যে হৃদপিণ্ডের আদি গঠন, এমনকি কুসুম থলি (yolk sac) এবং স্নায়ুতন্ত্রের প্রাথমিক অংশও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ১৪ দিনের মাথায় এর হৃদপিণ্ড মৃদু স্পন্দনও শুরু করে! 🩺

⚆ এটি সত্যিকারের ভ্রূণের মতোই প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ করছিল, যা গর্ভাবস্থা পরীক্ষার জন্য দরকারি।

যদিও বিজ্ঞানীরা নৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই ভ্রূণকে ১৪ দিনের বেশি বাড়তে দেবেন না এবং এটিকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপনও করা হবে না, তবে এই আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যেমন:

◉ বারবার গর্ভপাতের কারণ বা ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে না ওঠার রহস্য সমাধানে এটি সাহায্য করবে।

◉ গর্ভাবস্থায় কোনো ওষুধ মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ কিনা, তা সত্যিকারের ভ্রূণের ক্ষতি না করেই পরীক্ষা করা যাবে।

◉ ভবিষ্যতে হয়তো এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন অঙ্গ (যেমন - কিডনি, লিভার) তৈরি করা সম্ভব হবে, যা অঙ্গ প্রতিস্থাপনে বিপ্লব আনবে।

ভাবুন তো একবার, মানব জীবন সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনের কত কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা! 🧬

অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique

সোর্স (Source):
১. Nature (Journal): Hanna, J.H., et al. (2023). Complete human day 14 post-implantation embryo models from naive ES cells. Nature.

২..The Guardian (News)
৩... BBC News (News)


"ডেলিভারির পর কোমর ব্যথা কি স্বাভাবিক? হ্যাঁ, কিন্তু এই ব্যায়ামগুলো ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে আনবে!"Kishoreganj Beauty Hacks  ...
27/06/2025

"ডেলিভারির পর কোমর ব্যথা কি স্বাভাবিক? হ্যাঁ, কিন্তু এই ব্যায়ামগুলো ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে আনবে!"

Kishoreganj Beauty Hacks

ছবিটি দ্বারা একজন নারীর সন্তান প্রসবকালীন অবস্থায় যোনি ও পেলভিক ফ্লোরের গঠন এবং সম্ভাব্য ক্ষত বা ছিঁড়ে যাওয়া বুঝাচ্ছে--🤰...
25/05/2025

ছবিটি দ্বারা একজন নারীর সন্তান প্রসবকালীন অবস্থায় যোনি ও পেলভিক ফ্লোরের গঠন এবং সম্ভাব্য ক্ষত বা ছিঁড়ে যাওয়া বুঝাচ্ছে--

🤰⭕ছিঁড়ে যাওয়ার ধরণ (Perineal tear types):❓❓

1️⃣🤰✅ প্রথম ডিগ্রি (1st degree):

👉☑️শুধু যোনির বাইরের চামড়া ও পেরিনিয়ামের সামান্য অংশ ছিঁড়ে যায়।

2️⃣🤰✅ দ্বিতীয় ডিগ্রি (2nd degree):

👉☑️যোনির চামড়া ও পেরিনিয়ামের পেশি ছিঁড়ে যায় (কিন্তু মলদ্বার পর্যন্ত যায় না)।

3️⃣🤰✅ তৃতীয় ডিগ্রি (3rd degree):

👉☑️যোনি ও পেরিনিয়ামের সাথে সাথে মলদ্বারের পেশিও ছিঁড়ে যায়।

4️⃣🤰✅চতুর্থ ডিগ্রি (4th degree):

👉☑️যোনি থেকে শুরু করে পেরিনিয়াম, মলদ্বারের পেশি ও মিউকোসা পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়।

🤰⭕👨‍⚕️প্রতিরোধের উপায়:❓❓

1️⃣🤰✅পেরিনিয়াল মাসাজ (Perineal massage):

👉☑️গর্ভাবস্থার শেষ দিকে নিয়মিত মালিশ করলে পেশি নমনীয় হয়।

2️⃣🤰✅ নিয়ন্ত্রিত প্রসব (Controlled delivery):

👉☑️ধীরে ধীরে বাচ্চা প্রসব করানো, যাতে হঠাৎ টান না পড়ে।

3️⃣🤰✅উপযুক্ত প্রসব অবস্থান (Proper birthing position):

👉☑️স্কোয়াটিং বা সাইড-লাইন অবস্থান কিছু ক্ষেত্রে ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

4️⃣🤰✅ ইপিজিওটমি প্রয়োগ:

👉☑️কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কৃত্রিম কাটা প্রয়োগে বড় ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমানো হয়।

⭕🤰👨‍⚕️গর্ভাবস্থায় সতর্কতা:❓❓

1️⃣🤰✅ কেগেল এক্সারসাইজ (Kegel exercises):

👉☑️পেলভিক ফ্লোর শক্তিশালী করে, ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

2️⃣🤰✅সঠিক পুষ্টি:

👉☑️ত্বক ও পেশি নমনীয় রাখতে প্রচুর পানি, ভিটামিন C ও প্রোটিন গ্রহণ জরুরি।

3️⃣🤰✅ প্রসব প্রস্তুতি ক্লাস:

👉☑️প্রসবকালীন শ্বাস প্রশ্বাস ও শরীরচর্চা শেখা উপকারি।

4️⃣🤰✅চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত চেকআপ:

👉☑️সময়মতো প্রসব পরিকল্পনা ও জটিলতা মোকাবিলা।


#গুরুত্বপূর্ণ


Address

Kharampatty, Kishoreganj
Kishoreganj
2300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category