কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj

কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj "নরমালে প্রসব করুন,
নরমাল ডেলিভারি মায়েদের অধিকার "
(2)

ছবিটি দ্বারা একজন নারীর সন্তান প্রসবকালীন অবস্থায় যোনি ও পেলভিক ফ্লোরের গঠন এবং সম্ভাব্য ক্ষত বা ছিঁড়ে যাওয়া বুঝাচ্ছে--🤰...
25/05/2025

ছবিটি দ্বারা একজন নারীর সন্তান প্রসবকালীন অবস্থায় যোনি ও পেলভিক ফ্লোরের গঠন এবং সম্ভাব্য ক্ষত বা ছিঁড়ে যাওয়া বুঝাচ্ছে--

🤰⭕ছিঁড়ে যাওয়ার ধরণ (Perineal tear types):❓❓

1️⃣🤰✅ প্রথম ডিগ্রি (1st degree):

👉☑️শুধু যোনির বাইরের চামড়া ও পেরিনিয়ামের সামান্য অংশ ছিঁড়ে যায়।

2️⃣🤰✅ দ্বিতীয় ডিগ্রি (2nd degree):

👉☑️যোনির চামড়া ও পেরিনিয়ামের পেশি ছিঁড়ে যায় (কিন্তু মলদ্বার পর্যন্ত যায় না)।

3️⃣🤰✅ তৃতীয় ডিগ্রি (3rd degree):

👉☑️যোনি ও পেরিনিয়ামের সাথে সাথে মলদ্বারের পেশিও ছিঁড়ে যায়।

4️⃣🤰✅চতুর্থ ডিগ্রি (4th degree):

👉☑️যোনি থেকে শুরু করে পেরিনিয়াম, মলদ্বারের পেশি ও মিউকোসা পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়।

🤰⭕👨‍⚕️প্রতিরোধের উপায়:❓❓

1️⃣🤰✅পেরিনিয়াল মাসাজ (Perineal massage):

👉☑️গর্ভাবস্থার শেষ দিকে নিয়মিত মালিশ করলে পেশি নমনীয় হয়।

2️⃣🤰✅ নিয়ন্ত্রিত প্রসব (Controlled delivery):

👉☑️ধীরে ধীরে বাচ্চা প্রসব করানো, যাতে হঠাৎ টান না পড়ে।

3️⃣🤰✅উপযুক্ত প্রসব অবস্থান (Proper birthing position):

👉☑️স্কোয়াটিং বা সাইড-লাইন অবস্থান কিছু ক্ষেত্রে ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

4️⃣🤰✅ ইপিজিওটমি প্রয়োগ:

👉☑️কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কৃত্রিম কাটা প্রয়োগে বড় ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমানো হয়।

⭕🤰👨‍⚕️গর্ভাবস্থায় সতর্কতা:❓❓

1️⃣🤰✅ কেগেল এক্সারসাইজ (Kegel exercises):

👉☑️পেলভিক ফ্লোর শক্তিশালী করে, ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

2️⃣🤰✅সঠিক পুষ্টি:

👉☑️ত্বক ও পেশি নমনীয় রাখতে প্রচুর পানি, ভিটামিন C ও প্রোটিন গ্রহণ জরুরি।

3️⃣🤰✅ প্রসব প্রস্তুতি ক্লাস:

👉☑️প্রসবকালীন শ্বাস প্রশ্বাস ও শরীরচর্চা শেখা উপকারি।

4️⃣🤰✅চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত চেকআপ:

👉☑️সময়মতো প্রসব পরিকল্পনা ও জটিলতা মোকাবিলা।


#গুরুত্বপূর্ণ


জীবনের পথে চলতে হলে…চারপাশে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, অনেক রকম কথা কানে আসবে, কখনো কখনো আপনাকে ভিড় ঠেলে এগোতেও হবে। এ...
24/05/2025

জীবনের পথে চলতে হলে…
চারপাশে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, অনেক রকম কথা কানে আসবে, কখনো কখনো আপনাকে ভিড় ঠেলে এগোতেও হবে। এমন সময় আপনি যা করবেন তা হলো—ইগনোর। কারণ জীবনে কিছু মানুষ থাকবে, যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আবর্জনা ছড়ানো, অন্যের জীবনে বিষ ঢালা।
লাইফ আপনার—চয়েস ও ডিসিশনও আপনার।
নেগেটিভিটি যেখানেই দেখবেন, সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন। এটা দুর্বলতা নয়, বরং নিজের মানসিক শান্তির প্রতি দায়িত্বশীল থাকা।
খারাপ লাগলেও এটা সত্যি—আপনি যাদের বন্ধু ভাবেন, তাদের অনেকেই আপনার পতন দেখতে চায়। সহানুভূতির মুখোশ পরে তারা সুযোগ খুঁজে বেড়ায় আপনাকে আঘাত করার।
তাদের সেই সুযোগটা দেবেন না। অপ্রয়োজনীয় তর্কে যাবেন না, কারো কিছু বোঝাতে যাবেন না। কেউ যদি আপনাকে মূর্খ বলে, হেসে বেরিয়ে আসুন। এতে আপনি সময়, এনার্জি আর মানসিক শান্তি—সবই বাঁচাবেন।
আপনার রেসপন্সই আপনার শক্তি।
যারা জীবনটা সত্যি বোঝে, তারা জানে কাকে রেসপন্স দিতে হয় আর কাকে এড়িয়ে যেতে হয়।
সমালোচনার মধ্যে না ডুবে গিয়ে ভালো কিছু করুন—
একটা ভালো বই পড়ুন
প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান
ঘর সাজান
রংতুলি দিয়ে ক্যানভাসে মনের কথা ফুটিয়ে তুলুন
সিনেমা দেখুন, গান শুনুন
ছবি তুলুন, ব্যায়াম করুন, গাছ লাগান
কিংবা একটুখানি চুপ করে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সংযোগ গড়ুন
নিজেকে বাঁচান অপ্রয়োজনীয় মানুষের আগ্রাসন থেকে।
আপনার জন্য আসল মানুষগুলোকে চিনে নিন—পরিবার, কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব, যাদের সামনে আপনি আয়নার মতো স্বচ্ছ হতে পারেন। তাদের সঙ্গেই আপনার মনের কথাগুলো ভাগ করুন, কারণ তারা আপনার ভালোটা চায়। বাকি দুনিয়াকে জঞ্জাল ভাবুন, এবং দরকার হলে ঝেড়ে ফেলুন।
সবশেষে, মনে রাখবেন—
জীবন অনেক সুন্দর। পৃথিবীও অনেক সুন্দর। পথে চলতে গিয়ে আগাছা আর কাঁটাঝোপ থাকবেই, কিন্তু আপনাকেই বেছে নিতে হবে কোনটা পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাবেন।
সব কথার উত্তর দিতে নেই, সবকিছুর প্রতিক্রিয়াও দিতে নেই।
নিজেকে প্রমাণ করার দরকার নেই, শুধু নিজের পথে স্থিরভাবে এগিয়ে যান।




#গুরুত্বপূর্ণ #শিক্ষনীয়
সংগৃহীত

বাসায় বস না হয়ে ‘বন্ধু’ হন।”সন্তান জন্ম দিলেই পিতা-মাতা হওয়া যায়, কিন্তু ভালো পিতা-মাতা হতে হলে লাগে বোঝাপড়া, সহমর্মিতা ...
23/05/2025

বাসায় বস না হয়ে ‘বন্ধু’ হন।”
সন্তান জন্ম দিলেই পিতা-মাতা হওয়া যায়, কিন্তু ভালো পিতা-মাতা হতে হলে লাগে বোঝাপড়া, সহমর্মিতা এবং দায়িত্ববোধ।

প্রতিটি জীবনই গুরুত্বপূর্ণ। আমার জীবন, আমার বাবার জীবন, মায়ের জীবন — এবং ঠিক তেমনি আমার সন্তানের জীবনও। তার ইচ্ছা, তার স্বপ্নগুলোও জীবনের অংশ। একজন পিতা হিসেবে আমার দায়িত্ব তাকে শেখানো ভালো আর খারাপের পার্থক্য। যাতে সে নিজে বুঝে, নিজের সিদ্ধান্তে ভালোটা বেছে নিতে পারে।

কিন্তু আমরা অনেকেই সন্তানের উপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিই।
একটা শিশু হয়তো জাহাজের নাবিক হতে চায়, অথচ বাবা-মা জোর করে ডাক্তার বানাতে চান। বলি, “নাবিক-টাবিক ফালতু কথা, ডাক্তারই হতে হবে!”
এই একচেটিয়া সিদ্ধান্তের ভেতর দিয়ে আমরা তাদের পাখা কেটে দিচ্ছি। তারা আর উড়তে পারে না।

সত্যি বলতে, বাবা-মা হিসেবে আমাদের উচিৎ ছিলো জিজ্ঞেস করা—
“তুমি কী হতে চাও?”
“কেন সেটা হতে চাও?”
“তোমার স্বপ্নগুলো কী?”

এর বদলে আমরা তাদের দিয়ে আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করাতে চাই। আমাদের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো ওদের উপর চাপিয়ে দিই।

অনেক সময় আমরা সন্তানকে এমনভাবে পরিচালনা করি যেন সে একজন চাকর।
পরীক্ষায় নাম্বার বাড়াতে বলি, মানে তাকে বাড়াতেই হবে।
পাশের বাসার ‘ছকিনার মেয়ে’ ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে মানেই, আমাদের মেয়েকেও হতে হবে!
কিন্তু আমরা একটিবারও ভাবি না — সে কি তা হতে চায়?

কিছু সময় তার পাশে বসে, মন খুলে কথা বললেই জানা যেত —
সে ডুবতে চায়, না উড়তে চায়?
সে কোথায় পৌঁছাতে চায়?

প্রেসার দিয়েন না।
বাঁচতে দিন।
ভালোবাসুন।

এই যে চারদিকে এক ধরনের প্রতিযোগিতা— কে কাকে হারাতে পারে, কে কার উপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে পারে— এই খেলাটাই সবচেয়ে বড় ধ্বংস।
আর এই ধ্বংসই কখনো কখনো একজন সন্তানকে ঠেলে দেয় আত্মহত্যার মতো ভয়ঙ্কর পথের দিকে।

তাই—
বন্ধু হন, বোঝার চেষ্টা করুন, পাশে থাকুন।
কারণ প্রতিটি সন্তানের স্বপ্নের ডানা আছে, শুধু আপনার প্রয়োজন তাকে উড়তে দেয়ার সাহস।



নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে শুধু লবণ (সোডিয়াম) কমিয়ে দেওয়া যথেষ্ট নয়। বরং খাদ্যতালিকায় পটাশিয়াম...
23/05/2025

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে শুধু লবণ (সোডিয়াম) কমিয়ে দেওয়া যথেষ্ট নয়। বরং খাদ্যতালিকায় পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে সোডিয়ামের তুলনায় সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখাই বেশি কার্যকর।

পটাশিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান যা শরীরের রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং কিডনির মাধ্যমে অতিরিক্ত সোডিয়াম নিষ্কাশনে সহায়তা করে। ফলে শরীরে সোডিয়ামের নেতিবাচক প্রভাব কমে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দৈনন্দিন খাদ্যে বেশি পরিমাণ পটাশিয়াম গ্রহণ করেন, তাদের রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকে, এমনকি যদি তারা কিছুটা বেশি সোডিয়ামও গ্রহণ করেন।

এই কারণে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা, আলু, শাকসবজি, ডাল, টমেটো, কমলা ইত্যাদি পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত।

অন্যদিকে, চিপস, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে সোডিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে যা রক্তচাপ বাড়ায়।

সামগ্রিকভাবে বলা যায়, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য শুধু লবণ কমানো নয়, বরং পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে একটি সঠিক পুষ্টি ভারসাম্য গড়ে তোলাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও কার্যকর এবং নিরাপদ উপায়।

 #নাক, #কান, #গলা  #বিশেষজ্ঞ ও  #সার্জন ডা. মো: রাজীব হোসেন রাজু | এম. বি. বি. এস (ডি. ইউ), বি. সি. এস (স্বাস্থ্য)ডি. এল...
21/05/2025

#নাক, #কান, #গলা #বিশেষজ্ঞ ও #সার্জন
ডা. মো: রাজীব হোসেন রাজু |

এম. বি. বি. এস (ডি. ইউ), বি. সি. এস (স্বাস্থ্য)
ডি. এল. ও (ই. এন.টি), এফ. সি.পি. এস (এফ পি) (ই. এনটি)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।

নিয়মিত রোগী দেখছেন,
#কেয়ার_স্পেশালাইজড_হসপিটাল।

রোগী দেখার সময়: প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার
(সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত)

যোগাযোগ নাম্বার:
01715-758669
01611- 123 789

কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল।
কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে, খরমপট্টি, কিশোরগঞ্জ।

#কেয়ার_স্পেশালাইজড_হসপিটাল #হসপিটাল

❤️ “আপনার হার্ট কি নীরবে মারা যাচ্ছে?”(১ মিনিট পড়ুন, এই তথ্য আপনার জীবন বা প্রিয়জনের জীবন বাঁচাতে পারে!)প্রতিদিন হাজার...
20/05/2025

❤️ “আপনার হার্ট কি নীরবে মারা যাচ্ছে?”
(১ মিনিট পড়ুন, এই তথ্য আপনার জীবন বা প্রিয়জনের জীবন বাঁচাতে পারে!)

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে – অনেকেই ছিল সুস্থ, হাসিখুশি, জীবনের মধ্যগগণে।
কিন্তু কেন?
কারণ হার্ট কখনো আগেই জানায় না যে সে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

চলুন জেনে নেই হার্ট নষ্ট হওয়ার ১০টি নীরব কারণ, যেগুলো আপনি প্রতিদিন নিজের অজান্তেই করে যাচ্ছেন।

⚠️ ১. অতিরিক্ত লবণ ও তেলযুক্ত খাবার
এই দুটি ধীরে ধীরে রক্তনালী ব্লক করে দেয় – হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ।

⚠️ ২. ধূমপান ও অ্যালকোহল
প্রতিটি সিগারেট হার্টের শিরা-উপশিরা ক্ষয় করে। অ্যালকোহল হৃদপিণ্ড দুর্বল করে দেয়।

⚠️ ৩. ঘুমের অভাব
প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার কম ঘুম হলে স্ট্রেস হরমোন বাড়ে, যা হার্টের ক্ষতি করে।

⚠️ ৪. হাঁটা বা ব্যায়ামের অভাব
শরীর না চললে রক্তে চর্বি জমে যায় – রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়ে।

⚠️ ৫. মানসিক চাপ ও রাগ
আপনার চেপে রাখা স্ট্রেসই হার্ট অ্যাটাকের নীরব ঘাতক হতে পারে।

⚠️ ৬. প্রক্রিয়াজাত খাবার ও সফট ড্রিংকস
চিপস, কোল্ড ড্রিংক, ফাস্টফুড – এগুলো সরাসরি হৃদরোগের দিকে নিয়ে যায়।

⚠️ ৭. উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ না করা
কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ধমনিতে ব্লক তৈরি হয়, যা হার্ট ফেইলিউরের অন্যতম কারণ।

⚠️ ৮. উচ্চ রক্তচাপ অবহেলা করা
ব্লাড প্রেসার বেশি থাকা মানেই হার্টের ওপর অতিরিক্ত চাপ – নীরব ঘাতক।

⚠️ ৯. অতিরিক্ত ওজন ও মোটা শরীর
ওবেসিটি মানেই হার্টকে ২৪ ঘণ্টা ওভারটাইম কাজ করতে হয়!

⚠️ ১০. নিয়মিত হার্ট চেকআপ না করা
বেশিরভাগ মানুষ বোঝে যখন অনেক দেরি হয়ে যায়। হার্টে সমস্যা না থাকলেও বছরে একবার চেকআপ করুন।

✅ আপনি কী করবেন এখনই?
🔹 দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন
🔹 ঘুম ও মানসিক শান্তির দিকে নজর দিন
🔹 লবণ, তেল ও চিনি কমান
🔹 বছরে অন্তত একবার হার্ট চেকআপ করুন
🔹 নিজেকে ভালোবাসুন – আপনার হৃদপিণ্ডের যত্ন নিন ❤️

📢 এটা শুধু আপনার জন্য নয় — আপনার বাবা, মা, ভাই বা বন্ধুর জন্যও হতে পারে।
📤 শেয়ার করুন এই পোস্টটি – একজনের হলেও জীবন বাঁচতে পারে।




সুস্থ থাকতে চাইলে দরকার হেলদি লাইফস্টাইল — শুরু হোক কোয়ান্টাম ব্যায়াম দিয়ে!আমরা সবাই চাই রোগমুক্ত, কর্মক্ষম আর আনন্দময় জ...
18/05/2025

সুস্থ থাকতে চাইলে দরকার হেলদি লাইফস্টাইল — শুরু হোক কোয়ান্টাম ব্যায়াম দিয়ে!

আমরা সবাই চাই রোগমুক্ত, কর্মক্ষম আর আনন্দময় জীবন। এর একটাই সহজ সূত্র — হেলদি লাইফস্টাইল। আর হেলদি লাইফস্টাইল মানেই শুধু খাবার-ঘুম নয়, বরং নিয়মিত শরীরচর্চাও।

কোয়ান্টাম ব্যায়াম এমন এক ব্যায়াম, যেখানে শরীর আর মন একসঙ্গে কাজ করে। এটি আধুনিক যোগব্যায়াম, যা আমাদের শরীরের হরমোন, স্নায়ু আর মনকে ভারসাম্য দেয়। শুধু শরীর না, মনও হয়ে ওঠে শান্ত, একাগ্র আর প্রাণবন্ত।

✨প্রেরণা হয়ে আছেন প্রয়াত বাবা শিবানন্দ

১২৯ বছর বয়সেও হাঁটতেন, কাজ করতেন, প্রার্থনা করতেন বাবা শিবানন্দ। প্রতিদিন ভোরে উঠে যোগব্যায়াম করতেন, পরিমিত খেতেন, জীবন নিয়ে তার কোনো রকম লোভ ছিল না। তিনি বলতেন— "আমার কোনো Desire নেই, তাই Disease-ও নেই।"
এই মহান সাধক কোয়ান্টাম পরিবারেরও ঘনিষ্ঠ শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।

✨ব্যায়ামের উপকারিতা:

* পিঠে ব্যথা? ভুজঙ্গাসন বা অর্ধচন্দ্রাসন করুন।
* ক্লান্তি লাগছে? ১০ মিনিট শবাসন করে দেখুন।
* সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট হয়? নিয়মিত উৎকটাসন করলেই পায়ের শক্তি বাড়বে।
* ঘুম আসে না? ঘুমের আগে গো-মুখ আসন চর্চা করুন।
* ক্যালরি ঝরাতে চান? বঙ্গাসনে বসুন – পড়ুন, টিভি দেখুন, ধ্যান করুন।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল বলছে, নিয়মিত যোগ মেডিটেশন ব্রেনকে আরও কর্মক্ষম করে তোলে। মনোযোগ, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এমনকি ভাষার দক্ষতাও বাড়ে।

তাই আজই শুরু করুন।
প্রতিদিন মাত্র ১৫-২০ মিনিট দিন। ৫-৬টি আসন দিয়েই শুরু করুন। সময় না পেলে শুধু বঙ্গাসনেই বসুন। এটি সহজ, কিন্তু অসাধারণ কার্যকর।
আর শিখতে চাইলে...
আপনার হাতের নাগালেই আছে ‘রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা’ বইটি। ছবি ও উপকারিতাসহ সুন্দরভাবে সাজানো।

হেলদি লাইফস্টাইল শুধু ফিট থাকা নয় বরং নিজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। এটাকে অভ্যাসে পরিণত করুন। মনে রাখুন, যত ব্যস্ত, তত সুস্থ। যত একটিভ, তত প্রোডাকটিভ।
আজ থেকেই শুরু করুন। ছোট ছোট পদক্ষেপ, বড় পরিবর্তন।

হোক শুরু আজ থেকেই—সুস্থ, সুন্দর, সচেতন জীবনের পথে আপনার দৃঢ় পদক্ষেপ।
আপনার ফিটনেস, আপনার ভবিষ্যত।

কিশোরগঞ্জ জেলা - Kishoreganj District




বর্তমান সময়ে আমাদের মন যেন এক জায়গায় স্থির থাকতে চায় না। মোবাইলের নোটিফিকেশন, চারপাশের বিশৃঙ্খলা, হাজারো দায়িত্ব আর তথ্য...
17/05/2025

বর্তমান সময়ে আমাদের মন যেন এক জায়গায় স্থির থাকতে চায় না। মোবাইলের নোটিফিকেশন, চারপাশের বিশৃঙ্খলা, হাজারো দায়িত্ব আর তথ্যের ভারে আমরা যেন ক্রমাগত বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছি।

কিন্তু জাপানি সংস্কৃতিতে রয়েছে এক অসাধারণ জীবনদর্শন—ইচিগো ইচি (Ichigo Ichie)। এর অর্থ—“এই মুহূর্তটি একবারই আসে”।

এই দর্শনের মূল কথা হলো, প্রতিটি মুহূর্ত একবার আসে এবং আর কখনোই ফিরে আসে না। তাই সেটিকে পূর্ণ মনোযোগ ও শ্রদ্ধার সাথে উপভোগ করাটাই সত্যিকারের জীবনযাপন।

✅ কিভাবে এই দর্শন আমাদের ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে?
১️. মোনোটাস্কিং (Mono-tasking)
এক সময় শুধু একটিই কাজ করুন। মাল্টিটাস্কিং আসলে আমাদের মনোযোগকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। জাপানিরা ছোট ছোট কাজে পূর্ণ মনোযোগ দেয়—হোক তা চা বানানো, লিখা কিংবা হাঁটাচলা।

২️. রিচুয়াল তৈরি করুন
কোনো কাজে বসার আগে একটি ছোট রিচুয়াল করুন। যেমন, তিনবার গভীর শ্বাস নিন, ডেস্ক পরিষ্কার করুন বা চায়ের কাপে চুমুক দিন। এতে মনকে সংকেত দেওয়া হয়—"এখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু শুরু হচ্ছে।"

3️⃣ প্রযুক্তিকে দূরে রাখুন
ফোন, ল্যাপটপ বা সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করুন। একটানা ২৫-৩০ মিনিট মনোযোগ দিয়ে কাজের পর ছোট বিরতি নিন—এটিই হলো Pomodoro Technique, যা জাপানি ফোকাস কৌশলের সাথে দারুণভাবে মিলে যায়।

4️⃣ মুহূর্তকে সম্মান করুন
আপনি এখন যে কাজটিতে মনোযোগ দিচ্ছেন, সেটিই আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। ভবিষ্যতের চিন্তা বা অতীতের দুঃখ ভুলে গিয়ে এই মুহূর্তেই নিজেকে ডুবিয়ে দিন।

🎯 ফলাফল কী হবে?
🔹 একাগ্রতা বাড়বে
🔹 কাজের মান উন্নত হবে
🔹 স্ট্রেস কমবে
🔹 জীবন নিয়ে এক ধরনের শান্তি ও কৃতজ্ঞতা জন্মাবে

জাপানিরা যখন বলে—“এই মুহূর্ত আর কখনো আসবে না”, তখন তারা শুধু সময় নয়, জীবনের গভীর উপলব্ধিকেই বোঝায়।

আপনি যদি এই দর্শনকে প্রতিদিনের জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে শুধুমাত্র ফোকাসই নয়, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য, কাজের দক্ষতা, এমনকি সম্পর্কেও দেখা যাবে দৃশ্যমান পরিবর্তন।



পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন (Post partum Depression)রীতা সন্তান জন্মের পর থেকেই খুব একটা ভালো অনুভব করছিল না। সে মনে করত, তার ...
10/05/2025

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন
(Post partum Depression)

রীতা সন্তান জন্মের পর থেকেই খুব একটা ভালো অনুভব করছিল না। সে মনে করত, তার সন্তানের প্রতি তার ভালোবাসা নেই। অনেক সময় সে মনে করত, অন্য মায়েরা যেভাবে হাসি মুখে বাচ্চাকে নিয়ে খেলে, সে তেমন আনন্দ কেন করতে পারছে না! মাঝে মাঝে তার মাথায় এমন চিন্তাও আসে যে, সে যদি ভালো মা না হয়! একদিন তার স্বামী রীতাকে কাঁদতে দেখে। রীতা জানায়, সে মনে করে সে মায়ের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ।

নতুন মা হওয়ার যাত্রা একজন নারীর জীবনে এক অন্যরকম সুন্দর অভিজ্ঞতা। তবে এই আনন্দময় অভিজ্ঞতার সাথেই অনেক সময় এক অদ্ভুত মানসিক চ্যালেঞ্জ আসে, যাকে আমরা ‘পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন’ বলতে পারি।

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কী?

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন (Postpartum Depression) হচ্ছে এক ধরনের মানসিক অবস্থা যা সাধারণত সন্তানের জন্মের পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ বা মাসে মায়েদের মধ্যে দেখা যায়। এই সময়ে মায়েরা অবসাদ, নিরাশা, দুশ্চিন্তা এবং অস্থিরতার মত অনুভূতি অনুভব করে। অনেকেই এটা বুঝে উঠতে পারেন না কেন এইরকম হয়। রীতার মত আরও অনেক মায়েরা মনে করে থাকেন যে এটা তাদের ব্যর্থতার চিহ্ন, কিন্তু বাস্তবে এটি মানসিক রোগের একটি ধরণ, এবং এটি প্রায় প্রতি দশজন মায়ের মধ্যে একজনের মধ্যে ঘটে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের হার গ্রাম এবং শহরভেদে ভিন্ন। সাধারণত, গ্রামাঞ্চলে এই হার কিছুটা বেশি, যা প্রায় ২২% থেকে ৩৫% পর্যন্ত বলে ধারণা করা হয়। আর শহরাঞ্চলে বসবাসরত কিছু মায়ের ক্ষেত্রে এই হার ১৮% থেকে ২৮% এর মধ্যে হতে পারে। বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে বসবাসকারী মায়েদের মধ্যে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের উচ্চ প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে​​​​।

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের কারণগুলো:

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই, তবে কিছু কারণ রয়েছে যা এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে:

হরমোনাল পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় এবং সন্তানের জন্মের পরে মহিলাদের শরীরে হরমোনের বড় পরিবর্তন ঘটে। এই হরমোনাল পরিবর্তন মস্তিষ্কের রসায়নে প্রভাব ফেলে এবং বিষণ্ণতার সৃষ্টি করতে পারে।
শারীরিক চাপ: সন্তান জন্মের পরে শরীরে শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ বেড়ে যায়, এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মায়ের মানসিক চাপ বাড়ে।
মানসিক চাপ: নতুন দায়িত্ব, সন্তানকে সামলানোর চাপ, এবং মাঝে মাঝে পরিবারের প্রত্যাশার ভার মানসিকভাবে মায়েদের উপর প্রভাব ফেলে।
কিভাবে এই পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠা যায়?

১. সাইকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ: পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের জন্য কাউন্সেলিং হতে পারে ইফেক্টিভ একটি চিকিৎসা । রীতার ক্ষেত্রে, সে একদিন নিজেকে খুব অসহায় অনুভব করছিল এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে একজন সাইকোলজিস্টের কাছে যেতে রাজি হয়েছিল। এর মাধ্যমে সে মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়।

২. পরিবারের সহায়তা: নতুন মায়েদের জন্য পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। রীতার শাশুড়ি তাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন, কারণ তিনি জানতেন রীতা কষ্ট পাচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা মায়েদের শক্তি জোগায়।

৩. বিশ্রাম এবং নিজের প্রতি যত্ন: রীতা নিজের জন্যও কিছু সময় রাখে। কখনো বই পড়ে, কখনো মিউজিক শুনে।

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব

রীতা এখন অনেক ভালো আছে। সে বুঝেছে, এই সময়ে কষ্ট পেলেও সেটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তিনি নিজেকে সময় দিয়েছেন, পরিবারের সাহায্য নিয়েছেন এবং একজন সাইকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করেছেন। নতুন মায়েদের জন্য এই বার্তাটি গুরুত্বপূর্ণ।

রিল্যাক্সি আপনার পাশে সবসময়

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হলেই ভেঙে পড়ার কিছু নেই। সঠিক সময়ে সঠিক সাহায্য পেলে, যে কোনো নতুন মা তার সন্তানকে নিয়ে আনন্দের সাথে জীবন যাপন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে রিলাক্সিতে ঘরে বসে সহজেই সাইকোলজিস্টের সাথে কনসাল্ট করে যে কেউ কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারেন।




"সাদা চিনি খাচ্ছেন? একটু শুনে রাখুন..." দেখুন, আমরা প্রতিদিন যে সাদা চিনি খাই, তা প্রকৃতিতে এভাবে থাকে না। এটি কারখানায়...
07/05/2025

"সাদা চিনি খাচ্ছেন? একটু শুনে রাখুন..."

দেখুন, আমরা প্রতিদিন যে সাদা চিনি খাই, তা প্রকৃতিতে এভাবে থাকে না। এটি কারখানায় আখ বা বিট থেকে কেমিক্যাল দিয়ে পরিষ্কার করে বানানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় চিনির সব পুষ্টিগুণ (ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি) নষ্ট হয়ে যায়। বাকি থাকে শুধু খাঁটি ফ্রুক্টোজ, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

🛑 সাদা চিনি বেশি খেলে কী কী হয় দেখুন ?

● আমরা মোটা হয়ে যাই (Obesity)

● ডায়াবেটিস টাইপ-২ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে

● লিভারে সমস্যা হয় (কারণ এতে ফ্রুক্টোজ থাকে অনেক বেশি)

● শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়—অসুস্থ হওয়া সহজ হয়

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলে, মেয়েরা দিনে ৬ চা চামচ (২৫ গ্রাম) আর ছেলেরা ৯ চা চামচ (৩৬ গ্রাম) এর বেশি না খাওয়াই ভালো।

🍬 তাই প্রতিদিনের চায়ে-কফিতে, হালকা মিষ্টিজাত খাবারে চিনি কমিয়ে দিন। বিকল্প হিসেবে স্টেভিয়া, মধু, কিংবা খেজুরের গুঁড় ব্যবহার করতে পারেন। প্যাকেটজাত জুস, কোল্ড ড্রিংক কম খান।

আপনার শরীর আপনার দায়িত্ব। শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের কথাও ভাবুন।




আমি পড়ে কান্না আটকে রাখতে পারিনি⁉️আমার ছেলে অ্যান্ড্রু কখনও বিয়ে করবে না। তার নিজের সন্তান হবে না, গাড়িও চালাবে না, এ...
03/05/2025

আমি পড়ে কান্না আটকে রাখতে পারিনি⁉️
আমার ছেলে অ্যান্ড্রু কখনও বিয়ে করবে না।
তার নিজের সন্তান হবে না, গাড়িও চালাবে না, এমন অনেক কিছুই সে কখনও অনুভব করতে পারবে না—যেগুলো আমাদের কাছে স্বাভাবিক, এমনকি খুব সাধারণ মনে হয়…

কিন্তু সে সুখী। আর সে সুস্থ।
এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়।

যখন কোনো অপরিচিত মানুষ তাকে দেখে হেসে ওঠে, তখন আমার পুরো দিন আলোয় ভরে যায়।
যখন কোনো মেয়ে তাকে মমতা ভরা দৃষ্টিতে দেখে, তখন শুধু তার মুখেই নয়, বরং তার পুরো শরীরজুড়ে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।

মানুষ হয়ে ওঠার জন্য খুব বেশি কিছু লাগে না।

এবার শুনুন একটি গল্প:

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, এক ছাত্রের বাবা এমন এক আবেগঘন বক্তব্য দেন, যা সেখানে উপস্থিত সবার হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে।

স্কুল এবং এর আন্তরিক কর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর পর তিনি বলেন—

“যখন প্রকৃতির ভারসাম্য ব্যাহত হয় না, তখন সবকিছুতে একটি স্বাভাবিক শৃঙ্খলা দেখা যায়, এক অপূর্ব সঙ্গতি দেখা যায়।”

তারপর গলা কেঁপে উঠে তিনি বলেন—

“কিন্তু আমার ছেলে হারবার্ট তো অন্যদের মতো শেখে না। সে অন্যদের মতো বুঝতেও পারে না।
তাহলে তার ক্ষেত্রে সেই প্রকৃতির স্বাভাবিক শৃঙ্খলা কোথায়?”

ঘরে নিস্তব্ধতা নেমে আসে।

তিনি আবার বলতে শুরু করেন—

“আমি বিশ্বাস করি, যখন কোনো শিশুর জন্ম হয় যিনি শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন, তখন পৃথিবী একটি দুর্লভ সুযোগ পায়—
সেই সুযোগ হলো: মানুষের সত্যিকারের আত্মাকে প্রকাশ করার সুযোগ।
আর এই আত্মা প্রকাশ পায়—অন্যরা তাকে কীভাবে গ্রহণ করে, তার মাধ্যমে।”

এরপর তিনি একটি স্মৃতি শেয়ার করেন—

একদিন তিনি হারবার্টকে নিয়ে হাঁটছিলেন একটি মাঠের পাশে, যেখানে কিছু ছেলে ফুটবল খেলছিল।

হারবার্ট জিজ্ঞেস করল—

— বাবা, তুমি কি মনে করো ওরা আমাকে খেলতে দেবে?

বাবা জানতেন, বেশিরভাগ সময় উত্তর হবে “না।”
তবুও তিনি জানতেন, যদি ওরা “হ্যাঁ” বলে, তাহলে সেটা হারবার্টের জন্য হবে এক অমূল্য মুহূর্ত—
একটা গ্রহণযোগ্যতা, একটা আত্মমর্যাদার অনুভব।

তাই তিনি একটু ভয়ে ভয়ে এক ছেলের কাছে গিয়ে বললেন—
“আমার ছেলে হারবার্ট কি তোমাদের সঙ্গে খেলতে পারবে?”

ছেলেটি একটু থেমে তার বন্ধুদের দিকে তাকাল, তারপর বলল—

“আমরা তো ৩-০ তে পিছিয়ে আছি, ১০ মিনিট বাকি… ঠিক আছে, ও আসুক। আমরা ওকে পেনাল্টি কিক নিতে দেব।”

হারবার্ট দৌড়ে গিয়ে বেঞ্চে বসা ছেলেদের সঙ্গে মিশে গেল এক বিশাল হাসি নিয়ে।
সে জার্সি পরল, আর বাবা—চোখে পানি নিয়ে—এই দৃশ্য দেখলেন এক পূর্ণ হৃদয়ে।

বাকি খেলায় সে মাঠের পাশে ছিল, খুশিতে ভরপুর।
আর বাকি ছেলেরাও তখন বুঝতে লাগল—এই শিশুটিকে তারা গ্রহণ করেছে।

শেষ মিনিটে তাদের দল এক পেনাল্টি কিক পেল।

যে ছেলে প্রথমে ওকে স্বাগত জানিয়েছিল, সে বাবার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ল—

“এটা ওর সময়।”

হারবার্ট বল হাতে ধীরে ধীরে পেনাল্টি স্পটের দিকে এগিয়ে গেল।

গোলকিপার তখনই বুঝে গেল। সে ধীরে ধীরে একদিকে ঝাঁপ দিল, গোলপোস্ট ফাঁকা করে দিল।

হারবার্ট হালকা করে বলটা কিক করল।
বলটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে গোললাইন পার করল।

গোল।

ছেলেরা চিৎকার করে উঠল আনন্দে।
তারা হারবার্টকে কাঁধে তুলে নিল, জড়িয়ে ধরল, এমনভাবে উদযাপন করল যেন সে বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়সূচক গোল করেছে।

বাবা তখন বলছিলেন কাঁপা কণ্ঠে—

“সেদিন, কিছু ছেলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল…
জয়ের জন্য নয়,
বরং দুনিয়াকে একটা শিক্ষা দেয়ার জন্য—
মমতা, মানবতা আর ভালোবাসার শিক্ষা।”

হারবার্ট আর কখনো গ্রীষ্ম দেখতে পায়নি।
সে শীতেই সে চলে যায়।

কিন্তু সে কখনও ভুলে যায়নি যে, একদিন সে ছিল এক হিরো।

আর তার বাবা কখনও ভুলে যাননি সেদিন রাতে বাড়ি ফিরে হারবার্টের মায়ের হাতে তাকে তুলে দিয়ে, তার চোখের অশ্রুতে ভরা হাসি দেখে…
যেন সেটাই ছিল জীবনের সবচেয়ে সুন্দর গোল।

এই গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়:

প্রতিদিন আমরা বহু হাসির কনটেন্ট, ভিডিও, হালকা পোস্ট শেয়ার করি ভাবনাহীনভাবে।

কিন্তু যখন এমন কিছু সামনে আসে—যা অর্থবহ, মূল্যবান, যা সত্যিকারের সুন্দর—
তখন আমরা একটু থেমে যাই।

ভাবি:
“আমি কাকে এটা পাঠাবো?”
“কে এটা বুঝবে?”

যিনি এই গল্পটি আপনাকে পাঠিয়েছেন, তিনি আপনার প্রতি আস্থা রাখেন।
তারা বিশ্বাস করেন আপনি এই মানবতার চেইনের একটি সংযোগ হতে পারেন।

কারণ প্রতিদিন আমাদের সামনে থাকে অসংখ্য সুযোগ—
একটু দয়া দেখানোর, একটু সহমর্মিতা ছড়ানোর,
একটু মানবিকতা ফিরিয়ে আনার।

এক মহান মানুষ বলেছিলেন:

“একটি সমাজকে বিচার করতে হলে, দেখতে হবে তারা সবচেয়ে দুর্বলদের কেমনভাবে আচরণ করে।”
(সংগৃহীত)

কিশোরগঞ্জ জেলা - Kishoreganj District




অভিনন্দন বাংলাদেশ 🇧🇩এমআইটি, হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ডসহ দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা...
30/04/2025

অভিনন্দন বাংলাদেশ 🇧🇩

এমআইটি, হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ডসহ দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বুয়েট!

প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হয় আন্তর্জাতিক হেলথকেয়ার ডিজাইন প্রতিযোগিতার। আয়োজক জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়। ৪৪০টি দল অংশগ্রহণ করে এবার। মোট ৩টি বিভাগ। তার মধ্যে 'ডিজিটাল হেলথ ট্র‍্যাক' বিভাগে প্রথম হয় বুয়েটের দল 'নিওস্ক্রিনিক্স'। দলের সকলেই কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।

স্তন ক্যানসার শনাক্তে এআই ভিত্তিক বিশেষ একটি অ্যাপ তৈরি করেন তারা। ছবি তোলার মাধ্যমে এনালাইসিস করে স্তন ক্যানসার শনাক্ত করতে পারে অ্যাপটি। ফ্রন্টএন্ড, ব্যাকএন্ড, এআই, ছবি তোলার প্রযুক্তি—সবই তৈরি করেন নিজেরাই। ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানপ্রিয়।


Address

Kharampatty
Kishoreganj
2300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj:

Share

Category