12/11/2023
🔴Question🔴:CPR কি এবং কখন দিতে হয়?
উত্তরঃ
CPR দেওয়ার নিয়ম:
যখন কোন রোগী কার্ডিয়াক এরেস্ট হবে তখন তাকে CPR দিব.......
CPR কি?
cardio pulmonary Resuscitation
-C means cardiac
- P means pulmonary
-R means resuscitation
যখন একটা রোগীর Cardiac Arrest হয় তখন হার্ট এবং ফুসফুস দুইটায় বন্ধ হয়ে যায়।
তাই আমরা রোগীকে বাঁচাতে CPR দিয়ে থাকি ।
CPR এর মাধ্যমে বুকের মাঝে খানে চাপ দিয়ে আমরা চেষ্টা করি তার হার্টকে পুনরুজ্জীবিত করার এবং Ambu Bag অথবা Mouth to mouth শ্বাস প্রদান করে হার্টের ফুসফুসে অক্সিজেন পৌঁছানো ।
সোজা কথা একটা স্বাভাবিক মানুষ যে ভাবে তার হার্ট পাম্প করে এবং একই সাথে ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহন করে হার্টের পাম্পের মাধ্যমে সারা শরীরে রক্তে মাধ্যমে প্রতিটি সেল বা কোষে পৌছায় মানুষকে জীবিত রাখে । ঠিক তেমনি ভাবে আমরাও CPR এর মাধ্যমে কিছুটা সময় তার বন্ধ কাজটাকে কে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি ।
রোগীর হার্ট এবং ফুসফুস বন্ধের কারনে ৩-৫ মিনিট এর মাধ্যমে শরীরে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং ব্রেন ডেথ হয়ে যায়। যার ফলে রোগীকে মৃত ঘোষনা করা হয়।
আমাদের কাজ হল যখন কোন রোগীর Cardiac Arrest হবে তখন তাকে CPR এর মাধ্যমে তার হার্টকে সচল রাখা এবং শ্বাস প্রদান করে অক্সিজেন ঘাটতি হতে না দেওয়া ।
⚠️কখন শুরু করব CPR?
যখন কোন রোগীর
➡️ Pulse,
➡️Respiration,
➡️Response পাব না তখনই CPR শুরু করতে হবে ।
এটি একটি লাইফ সেভিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে বন্ধ হার্টকে পুনরায় চালু করা যায় ।
এই হার্ট বন্ধ হওয়াকে বলা হচ্ছে কার্ডিয়াক এরেস্ট।
⛔এখন বিষয় হচ্ছে কার্ডিয়াক যে এরেস্ট হচ্ছে সেটা বুঝবো কি করে?
⚠️কার্ডিয়াক এরেস্ট বুঝার উপায় হচ্ছে >
১. রোগী এবং নিজের জন্য পরিবেশ নিরাপদ কিনা আগে দেখতে হবে ।
কোন বিদুৎ এর তার অথবা অন্য কোন ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস আশে পাশে থাকলে সরিয়ে নিন।
২. রোগী conscious or unconscious কিনা দেখে নিতে হবে।
৩. রোগীকে জোরে জোরে ডাকবেন (" আপনি ঠিক আছেন" )
৩.তার পালস্( নাড়ীর স্পন্দন) পাওয়া যাবে না
৪. শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহন বা ত্যাগ পাওয়া যাবে না।
সব কিছু আপনাকে ১০ সেকেন্ড এর মধ্য দেখে নিশ্চিত করতে হবে যে এটা কার্ডিয়াক এরেস্ট ।
এবং তাৎক্ষনিক ভাবে CPR শুরু করতে হবে .
সিপিআর শিখে নিন, জীবন বাঁচান
সিপিআর দেয়ার নিয়ম:
🔹 প্রথমে রোগীকে চিৎ করে শোয়াতে হবে। তারপর, রোগীর পালস আছে কি না এবং শ্বাস নিচ্ছে কি না তা দেখতে হবে
🔹 একটি হাত প্রসারিত করে অন্য হাতের আঙুল দিয়ে লক তৈরি করতে হবে।
হাতের তালুর উঁচু অংশটি বুকের পাজরের নিচের অংশে ঠিক মাঝ বরাবর স্থাপন করতে হবে
🔹 প্রতি সেকেন্ডে ২ বার করে জোরে জোরে চাপ দিতে হবে। তবে, খেয়াল রাখতে হবে দুই হাত যেন ভাঁজ না হয়। এমনভাবে চাপ দিতে হবে যেন দেড় থেকে ২ ইঞ্চি দেবে যায়
🔹 এভাবে ৩০বার চাপ দেয়ার পর, রোগীর কপাল এবং থুতনিতে হাত দিয়ে মুখটি খুলতে হবে। এরপর মুখ দিয়ে মুখে জোরে জোরে দু’বার শ্বাস দিতে হবে।
🔹 আবার সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ৩০ বার বুকে চাপ দিয়ে দু’বার শ্বাস
🔹এ পদ্ধতি কাজে দিলেও, এজন্য খুব বেশি সময় ব্যয় করা যাবে না, কয়েক মিনিটের মধ্য রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
Thank you.
Follow Nurse ≈≠ নার্স