আস শিফা হিজামা সেন্টার -As Sifa Hijama centre

আস শিফা হিজামা সেন্টার -As Sifa Hijama centre Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from আস শিফা হিজামা সেন্টার -As Sifa Hijama centre, Doctor, Kishoreganj.

What is hijama? হিজামা কি?
হিজামা হল এমন একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বিদ্যামান রয়েছে।
হযরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৭০

10/02/2022
আজকে আমার একজন কাছে মানুষকে হিজামা করলাম
23/09/2021

আজকে আমার একজন কাছে মানুষকে হিজামা করলাম

24/08/2020

হিজামার উপকারিতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেলে যে কেউ এই চিকিৎসা নিতে চাইবে। হিজামাতে অসংখ্য বৈজ্ঞানিক থিওরি, ফিজিওলজি, এনাটমি রয়েছে।
সেই সাথে মানসিক ও আধ্যাত্মিক উপশম রয়েছে। হিজামা কে অনেকে শিঙ্গা বলে থাকেন কিন্তু আধুনিক মেশিনের সাহায্যে শরীরের সামগ্রিক জ্ঞান লাভের পর যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তা আরো বেশি ফলপ্রসূ।
হিজামা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। এটি কি আসলে উপকারী কোন চিকিৎসা। এতে কি মানুষের ক্ষতি হতে পারে কিনা। যথেষ্ট তত্ত্ব ও উপাত্ত্ব অনুসারে আমরা আজ এটি বলতে পারি দক্ষ হিজামা থেরাপিস্ট সহকারে কারো হিজামা করা হলে তার কোন ক্ষতি হবার আশংকা নেই। কাপিং মূলত দুই ধরনের । dry cuppingএবং ওয়েট কাপিং। Wet cupping কে মূলত হিজামা বলা হয়। উপকারিতার দিক থেকে হিজামা সর্বোত্তম। এটি শুধু ইসলামিক চিকিৎসা বলে উত্তম তা নয়। গবেষণা দ্বারা এটাই প্রমাণিত। আমাদের শরীরের প্রথম বৃহত্তম অঙ্গ ত্বক। দ্বিতীয় লিভার। শরীরের আরেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি।
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার পিছনে এই লিভার ও কিডনি প্রধান ভূমিকা পালন করে। গবেষণা থেকে জানা গেছে হিজামাতে ত্বককে যে নেগেটিভ প্রেশার দেয়া হয় তা ৩৫ গুণ বেশি এই একই কাজ করে। অর্থাৎ ত্বকে নেগেটিভ প্রেশার দেয়া হলে যে পদার্থ টেনে নিয়ে আসে তাতেই থাকে সেসব বর্জ্য যা লিভার ও কিডনি ডায়ালাইসিস করে। আর এটিই হিজামা। আরেক ধরনের কাপিং আছে যাতে কাটা হয় না এটিও ব্যথার জন্য অত্যন্ত উপকারী।
বিশেষ করে যারা খেলাধুলা করেন তাদের মাংসপেশির স্টিফনেস দূর করতে এটি বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও মুখের ত্বক, সেলুলিয়েটের (ত্বকে ভাঁজ পড়া) সমস্যা, মুখের লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়া যাকে পোরস বলে, পেটের দাগ ইত্যাদির জন্য কাপিং ম্যাসাজ (ড্রাই কাপিং) কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
হিজামা চিকিৎসাতে ত্বকে খুব ই সামান্য কাটতে হয় এবং নেগেটিভ প্রেশার দিয়ে বদ-রক্ত বের করা হয়। আমাদের ত্বক একটা রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে। হিজামাতে ত্বকের তিনটি স্তরের কেবল উপরের স্তরটি কাটা হয় যার ফলে নিচের ত্বক ছাকনী হিসেবে কাজ করে।
কিন্তু কেউ যদি এর নিচের ত্বক কেটে দেয় তবে ভাল রক্ত বের হয়ে যাবে। এতে যথেষ্ট ক্ষতি ও ইনফেকশনের আশংকা থাকে।
ইন্টারন্যাশনাল কাপিং থেরাপি এসোসিয়েশন বলেছে কাপিং একই সাথে একজন মানুষের একাধিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার উপশম করতে পারে।
আমরা একটা ওষুধ একটা মাত্র সমস্যার জন্য খেয়ে থাকি।কিন্তু হিজামাতে যে দূষিত প্লাজমা বেরিয়ে আসে তাতে থাকে একাধিক রোগের জীবাণু যেমন ঠাণ্ডা, কাশি, বিষন্নতা, আরথ্রাইটিস, কোমরের সায়াটিকার ব্যথা,চিন্তা, ঘুমের সমস্যা, মাংসপেশির ব্যথা এবং অন্যান্য সকল রোগের তীব্রতাও কমে আসে।
কাপিং থেরাপীর আন্তর্জাতিক সংস্থা ICTA থেকে হিজামার কিছু উপকারিতাছিঃ
১. হিজামা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
হিজামা কাপিং থেরাপী একটি অতি প্রাচীন চিকিৎসা। মিশরীয় এবং সৌদি আরব গবেষকরা বলেছেন এই থেরাপি
১। মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
২। আমরা যে ওষুধ খাই তার প্রভাবকে আরো কার্যকরী করে
৩। অনেক রোগ সৃষ্টিকারী এবং শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পদার্থ রক্ত থেকে নিঃসৃত করে।
তারা তাদের গবেষণায় দেখিয়েছেন প্রচলিত ওষুধ এর ১৫শতাংশ কম সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হিজামা যখন ওষুধের সাথে নেয়া হয় তখন তা ১৫৬ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর ওষুধ ছাড়া একক ভাবে হিজামা কাজ কড়ে ১৩৩ শতাংশ হারে।
২. দীর্ঘকালীন রোগ কমায়
গবেষণায় আরো পাওয়া গেছে যে, হিজামা থেরাপি ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার তীব্রতা হ্রাস পায়।
টেস্টের রিপোর্ট থেকে পাওয়া গেছে এক মাস পর ৩৪%, দুই মাস পর ৪০% এবং তিন মাস পর প্রায় ৬০% শতাংশ ব্যথা কমেছে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে ব্যথা, বাতের ব্যথা,পিঠের ব্যথা ও মেরুদন্ডের ব্যথা, ফিব্রোমায়ালজিয়া, হাটুর অস্ট্রিওআর্থারাইটিস অর্থাৎ হাটু ক্ষয়, হার্ণিয়ার সমস্যা, ঘাড় ও কাঁধের ব্যথা, দীর্ঘকালীন পিঠের ব্যথা, মাংশপেশীর ব্যথা, মচকে যাওয়া , পায়ে পানি আসা, ফুলে যাওয়া কিংবা আঘাতের কারণে ফেটে যাওয়ার ব্যথায় হিজামা খুব ভালো কাজ করে।
৩. ভাইরাল এবং ইনফেকশাস রোগ কমায় ও প্রতিরোধ বাড়ায়
হারপিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ভাইরাল হেপাটাইটিস, ব্রণ, ডার্মাটাইটিস, এবং সেলুলাইটিস এসব স্বাস্থ্য সমস্যা যা হিজামা কাপিং থেরাপি দ্বারা চিকিৎসা করা যায়।
একযোগে একাধিক শারীরিক উপশমে ভূমিকা রাখে স্নায়ুতন্ত্রের সিস্টেমে সেরোটোনিন, ডোপামাইন, এন্ডোরিফিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার এর মাধ্যমে।
এছাড়াও হিজামাতে তে যে সাময়িক সংকুচন-প্রসারণ ও কাটা হয় তা প্রতিরোধ সিস্টেমকে সক্রিয় করে রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
৪. কার্ডিওভাস্কুলার রোগের জন্য
স্টাডির রিপোর্ট অনুযায়ী উচ্চরক্তচাপ, হার্ট এটাক, হাত-পায়ের খিচুনী, DVT (Deeop vein Thrombosis for blood clot in deep vein), মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন যার কারণে ঘাড় ও গলায়

21/07/2019
10/07/2019

হিজামা করুন এখন ভৈরবে।
মোবাঃ01777066667

আধুনিক পরিভাষায় হিজামা (Hijama) কাপিং (Cupping) থেরাপি নামের এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরবিতে বলা হয় হিজামা (ﺣِﺠَﺎﻣَﺔ )। এটি ন...
10/07/2019

আধুনিক পরিভাষায় হিজামা (Hijama) কাপিং (Cupping) থেরাপি নামের এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরবিতে বলা হয় হিজামা (ﺣِﺠَﺎﻣَﺔ )। এটি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণিত ও নির্দেশিত একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা।
আরবি ‘আল হাজম ’ থেকে এসেছে এই শব্দের উৎপত্তি। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। এই প্রক্রিয়ায় সুঁচের মাধ্যমে নেগেটিভ প্রেশার দিয়ে (টেনে/চুষে) নিস্তেজ প্রবাহহীন দূষিত রক্ত (Toxin) বের করে আনা হয়। এতে শরীরের
মাংসপেশীসমূহের রক্তপ্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভেতরের অরগানসমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়। আমাদের দেশে হিজামাকে সাধারণ অর্থে শিঙা লাগানো বলা হয়। অতি প্রাচীন এ
চিকিৎসাপদ্ধতির উৎপত্তি আরবদেশে। হিজামাকে নবীর দেখানো বা বলা চিকিৎসা পদ্ধতি বলা হয়। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজামার উপকারিতা সম্পর্কে উম্মতকে অবহিত করেছেন। তিনি নিজে এ পদ্ধতির চিকিৎসা ব্যবহার করেছেন এমনকি অন্যকে হিজামা পদ্ধতির চিকিৎসা নিতে উৎসাহিতও করেছেন।
হিজামার ব্যবহার রাসূলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবাদের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল।

***কেন হিজামা করাবেন?
হাদিসে আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজামা করেছেন মাথাব্যথার প্রতিষেধক হিসেবে। পিঠের ব্যথার জন্য দুই কাঁধের মাঝে ও ঘাড়ের দু’টি রগে। হিজামার উপকারিতা সম্পর্কে সিহাহ সিত্তার গ্রন্থসমূহে বহু হাদিস রয়েছে। আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান। তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান। তেমনি আপনার রোগের জন্য হিজামা করাবেন। তাহলে ফায়দা স্বরূপ রোগ থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবেন এবং রাসূল সাঃ এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হলো।

****হিজামা সংক্রান্ত হাদীসঃ
(১) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। এগুলো হলো- শিঙা লাগানো, মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেওয়া। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি।’ –
সহিহ বোখারি: ৫৬৮১

(২) হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৬
(৩) হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর: ২০৫৩

(৪) হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার
উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩

(৫) হযরত জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত আছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।”
সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫
(৬) হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৭

***ইহরাম ও রোযায় হিজামাঃ
মুহরিম ও রোযাদারের জন্য হিজামা বৈধ। হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহরিম ও রোযাদার অবস্থায় হিজামা করেছেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর : ৭৭৫

***হিজামা থেরাপী নেয়ার জন্য যোগাযোগ করুনঃ
As sifa Hijama Center / আস শিফা হিজামা সেন্টারঃ

ভৈরব ,জগন্নাথপুর(কমলার মোড়)
ফোনঃ
01777066667,
01720131913

ইসলামের দৃষ্টিতে শিঙ্গা ও কাপিং থেরাপিরিও অলিম্পিকে জলদানবখ্যাত মাইকেল ফেলপসের শরীরজুড়ে থাকা কালচে-গোলাপি রঙের দাগ দেখা ...
15/09/2017

ইসলামের দৃষ্টিতে শিঙ্গা ও কাপিং থেরাপি

রিও অলিম্পিকে জলদানবখ্যাত মাইকেল ফেলপসের শরীরজুড়ে থাকা কালচে-গোলাপি রঙের দাগ দেখা যায়। এ নিয়ে আলোচনায় উঠেছে এক ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির কথা।

আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এটিকে কাপিং থেরাপি (Cupping therapy)বলা হয়। আমাদের দেশে সাধারণ অর্থে একে ‘শিঙ্গা লাগানো’ বলা হয়। আরবিতে একে বলা হয় ‘হিজামা’। আরবি ‘আল হাজম’ থেকে এ শব্দের উৎপত্তি। এর অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। এই প্রক্রিয়ায় সুচের মাধ্যমে নেগেটিভ প্রেশার দিয়ে (টেনে/চুষে) নিস্তেজ প্রবাহহীন দূষিত রক্ত (Toxin) বের করে আনা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশিগুলোর রক্তপ্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশি, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভেতরের অরগানগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নির্দেশিত একটি চিকিৎসাব্যবস্থা।

কাপিং থেরাপি কী ও কেন?

কাপিং থেরাপি একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে স্থানিক রক্তাধিক্য তৈরি করা হয়। কাপের ভেতরে আংশিক বায়ুশূন্যতা সৃষ্টি করে ত্বকের ওপর তা বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নেগেটিভ পাম্প ব্যবহার করে কাপের ভেতর বায়ুশূন্যতা তৈরি করা হয়। এটা ত্বকের নিচের টিস্যুতে টান দেয়। ত্বকের ওপর কয়েক মিনিট কাপ বসিয়ে রাখলে কাপের নিচে রক্ত কেন্দ্রীভূত হয়।

দেহের মেরিডিয়ানকে (নালিগুলো) প্রতিবন্ধকতামুক্ত করার জন্য কাপিং থেরাপি বর্তমানে উন্নত করা হয়েছে। মেরিডিয়ান হলো দেহের অভ্যন্তরের নালি, যার ভেতর দিয়ে দেহের প্রতিটি অংশে, প্রতিটি অঙ্গে ও টিস্যুতে শক্তি প্রবাহিত হয়। দেহের অভ্যন্তরের মেরিডিয়ান নালিগুলো বন্ধ হলে রোগ ও অসুস্থতা ঘটে। এই বন্ধ নালিগুলো মুক্ত করলে রোগমুক্তি দ্রুততর হয়। আমাদের পিঠে পাঁচটি নালি আছে। যখন এগুলো মুক্ত থাকে, তখন তারুণ্য শক্তি সারা দেহে প্রবাহিত হয়। সম্ভবত কাপিংই হলো শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে মেরিডিয়ানগুলো মুক্ত করা যায়। এটি আরবি হিজামার আধুনিক রূপ।

হিজামা হলো এমন প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বিদ্যমান। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জিব্রাইল (আ.) আমাকে জানিয়েছেন যে মানুষ চিকিৎসার জন্য যত উপায় অবলম্বন করে, তার মধ্যে হিজামাই হলো সর্বোত্তম।’ (মুস্তাদরাকে হাকিম, হাদিস : ৭৪৭০)

মহানবী (সা.) আরো বলেছেন, ‘আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করেছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, ‘হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন’।’’ (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ২০৫৩)

উচ্চ রক্তচাপ রোধে হিজামা বা শিঙ্গা পদ্ধতি খুবই কার্যকর। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারণ কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে। (মুস্তাদরাকে হাকিম, হাদিস : ৭৪৮২)

হিজামা দূষিত রক্ত টেনে বের করে আনে। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হিজামা গ্রহণকারী কতই উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদণ্ড শক্ত করে এবং দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।’ (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ২০৫৩)

মহানবী (সা.)-এর যুগে আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা ছিল না। সে সময়ের মানুষেরও অসুখ হতো। তারা প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসা গ্রহণ করত। প্রাকৃতিক চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। এগুলো হলো—শিঙ্গা লাগানো, মধু পান করা ও আগুন দিয়ে গরম সেঁক দেওয়া। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৮১)

কাপিং থেরাপি নানাভাবে কাজ করে। ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ব্যথা সহ্য করতে হবে আপনাকে।

বেস্টর ইউনিভার্সিটি অব ওয়শিংনের আকুপাংচার ও ওরিয়েন্টার মেডিসিনবিষয়ক সহকারী অধ্যাপক ক্যাথলিন লুমিয়ার বলেন, ‘ধারণা করা হয়, এই থেরাপি রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।’

কারো কারো মতে, এই হিজামা বা কাপিং থেরাপির ইতিহাস আরো প্রাচীন। অন্তত তিন হাজার বছর ধরে এশিয়ায় চীনা পদ্ধতিতে শরীরের ওপর কাচের কাপ দিয়ে দেওয়া এই প্রাকৃতিক থেরাপি প্রচলিত আছে। অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানায়, এ ধরনের পদ্ধতি চীনে খুব জনপ্রিয়। এমনকি ইউনান প্রদেশে রাস্তায় বসে বিক্রেতাদের কাছ থেকে আগ্রহী প্রার্থীরা এই সেবা নিয়ে থাকেন। বিজনেস ইনসাইডারের মতে, বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই থেরাপি ব্যথা, পিঠের সমস্যা ও সাধারণ অনেক সমস্যার সমাধান করে।

হিজামার মাধ্যমে ব্যাকপেইন, উচ্চ রক্তচাপ, পায়ে ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, মাথাব্যথা (মাইগ্রেন), ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, বাত, ঘুমের ব্যাঘাত, থাইরয়েডের ব্যাঘাত, স্মৃতিশক্তিহীনতা, ত্বকের বর্জ্য পরিষ্কার, অতিরিক্ত স্রাব নিঃসরণ বন্ধ করা, অর্শ, অণ্ডকোষ ফোলা ও ফোড়া-পাঁচড়া ইত্যাদি প্রতিরোধ হয়। হিজামার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীর সতেজ হয় ও কর্মস্পৃহা বাড়ে।

বাংলাদেশে ধানমণ্ডিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আধুনিক পদ্ধতিতে কাপিং থেরাপি দেওয়া হয়। তবে গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্পমূল্যে শিঙ্গা লাগানোর ব্যবস্থা এখনো আছে। বেদে সম্প্রদায় গরুর শিং দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিঙ্গা লাগিয়ে থাকে। বেদে সমাজ বেশ কিছু গোত্রে বিভক্ত। এ বিভক্তি তাদের জাতিপেশা ভিত্তি করে। বেদেদের আটটি প্রধান গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো ‘মাল বেদে’। মাল বেদেগোষ্ঠীর নারীরা মাজা, কোমর, হাঁটু, কনুই বা পিঠের ব্যথায় ওই সব স্থানে শিঙ্গা দিয়ে রক্ত টেনে বের করে ব্যথা নিরাময় করে। এ ছাড়া এই গোষ্ঠীর বেদেনীরা দাঁতের পোকা তুলে দাঁতের ব্যথার চিকিৎসা করে। মাল বেদেদের নারীরা কবিরাজি চিকিৎসা দেওয়া ছাড়া বিভিন্ন ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ দিয়েও মানুষের চিকিৎসা করে থাকে।

লেখক : ইসলামী গবেষক

28/08/2017

নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠে নেই নেইমার। এই সুযোগে নিজেকে ফিট রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। নিজের ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি প্রকাশ

http://www.kalerkantho.com/home/printnews/395164/2016-08-19
28/08/2017

http://www.kalerkantho.com/home/printnews/395164/2016-08-19

রিও অলিম্পিকে জলদানবখ্যাত মাইকেল ফেলপসের শরীরজুড়ে থাকা কালচে-গোলাপি রঙের দাগ দেখা যায়। এ নিয়ে আলোচনায় উঠেছে এক ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির কথা।

27/08/2017
15/08/2017

What is hijama? হিজামা কি?
হিজামা হল এমন একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বিদ্যামান রয়েছে।
হযরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব...

14/08/2017

হিজামা(Cupping) যা নবী কারীম (সাঃ) এর একটি সুন্নাত । এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ

১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা
২। রক্তদূষণ(ব্লাড ক্যান্সার এর উপকার হয়)
৩। উচ্চরক্তচাপ
৪। ঘুমের ব্যাঘাত
৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত
৭। ব্যাক পেইন
৮। হাঁটু ব্যাথা
৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা(ব্রেইন টিউমার )
১০। ঘাড়ে ব্যাথা
১১। কোমর ব্যাথা
১২। পায়ে ব্যাথা
১৩। মাংসপেশীর ব্যাথা
১৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা
১৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা
১৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
১৭। সাইনুসাইটিস
১৮। হাঁপানি
১৯। হৃদরোগ
২০। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন
২১। টনসিলাইটিস
২২। দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন
২৩। গ্যাস্ট্রিক পেইন
২৪। মুটিয়ে যাওয়া
২৫। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ
২৬। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন
২৭। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ।
২৮। ডায়াবেটিস

যোগাযো - আস শিফা হিজামা সেন্টার
ভৈরব, কিশোরগঞ্জ.
মোবাঃ 01954618990, 01768388413

14/05/2017

সিঙ্গা লাগানো (হিজামা) – ডক্টর ইব্রাহিম দ্রেমালি (একটি ইসলামিক চিকিৎসা ব্যবস্থা)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন “ জীব্রাইল আলাইসাল্লাম পুনরায় আমাকে ব্যাপক ভাবে সিঙ্গা লাগানোর ব্যাপারে তাগিত দিলেন এটা আমার উপর ফরজ করা হয়। (জামুল ওয়ারসাই, পৃঃ ১৭৯)

রাসুল্লুল্লাহ (সাঃ) একজন ব্যাক্তিকে উৎসাহ দিলেন যিনি সিঙ্গা লাগান, বললেন এটা রক্ত বদল করে, পিঠ আলোকিত করে এবং চোখের জ্যোতি বাড়ায়। (জামুল ওয়ারসাই, পৃঃ ১৭৯)।

আরোগ্যতার সবচেয়ে ভালো উপায় হল সিঙ্গা লাগানো।

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের মাঝে প্রতিকারের সবচেয়ে ভালো উপায় হল সিঙ্গা লাগানো ।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যদি আর কিছু থাকে যা প্রতিকারের জন্য উত্তম ভাবে ব্যবহৃত তা হল সিঙ্গা লাগানো। (আবু দাউদঃ ৩৮৫৭, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৪৭৬)
ফেরেস্তারাও সিঙ্গা লাগানোর জন্য বলতেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসুল্লুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “রাত্রি ভ্রমনে আমি কোন ফেরেস্তাকে অন্য ফেরেস্তা হতে যেতে দেখেনি যে তারা আমাকে বলেনি হে মুহাম্মদ(সাঃ) আপনি সিঙ্গা লাগান”। (সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৪৭৭)।

বর্ণনাটি বর্নিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসু’দ (রাঃ) হতে, ফেরেস্তারা বললেন “ ওহে মুহম্মদ (সাঃ) আপনার উম্মতকে সিঙ্গা লাগাতে আদেশ দিন। (সুনানে তিরমিজীঃ ৩৪৭৮)।
সিঙ্গা লাগানোতেই আছে শেফাঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “আরোগ্যতা আছে তিনটি জিনিসেঃ কাটা জায়গায় সিঙ্গা লাগানো, মধু পান, উত্তপ্ত লোহা দারা ছেকা দেওয়া, কিন্তু আমি আমার উম্মাহকে উত্তপ্ত লোহা দ্বারা ছেকা দিতে নিষেধ করেছি। (সাহিহ বুখারিঃ ৫৬৮১, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৪৯১)

যাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ননা করেছন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “বস্তুত, সিঙ্গা লাগানোতেই আছে শেফা”। (সাহিহ মুসলিমঃ ৫৭০৬)
সিং লাগানো একই সময়ে সর্ব রোগের ঔষধঃ
আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ননা করেছন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ১৭তম, ১৯তম, ২১তম দিনে সিঙ্গা লাগাবে(ইসলামিক মাস) তারপর ইহা হবে সর্ব রোগের ঔষধ”। ( সুনদে ইবনে দাউদঃ ৩৮৬১)
সিঙ্গা লাগানো যায়ঃ
মাথা ব্যথায়ঃ সালমা (রাঃ) বর্ননা করেছন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যখন কেউ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে এসে মাথা ব্যথার কথা বলত, তিনি (সাঃ) তাদের সিঙ্গা লাগানোর কথা বলতেন”। (সুনানে আবি দাউদঃ ৩৮৫৮)

যাদুঃ ইবনুল কাইয়্যূম (রঃ) মন্তব্য করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন যাদু দ্বারা পীড়িত হন তখন তিনি মাথায় সিঙ্গা লাগান এবং এটাই সবচেয়ে উত্তম ঔষধ যদি সঠিকভাবে করা হয়।( যাদ আল মায়’দঃ ৪/১২৫-১২৬)

বিষঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ননা করেছেন যে এক ঈহুদী মহিলা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বিষ যুক্ত গোস্ত খেতে দিয়েছিল, তাই তিনি তাকে সংবাদ পাঠিয়ে বললেন “কেন তুমি তা করলে?” মহিলাটি উত্তরে বলল, “যদি তুমি সত্যিই আল্লাহর বার্তা বাহক হও তবে আল্লাহ তোমাকে জানিয়ে দিবেন এবং তুমি যদি তাঁর বার্তা বাহক না হও তবে আমি মানুষকে তোমার থেকে নিরাপদ রাখতাম”! যখন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর যন্ত্রনা আনুভব করতে লাগলেন, তিনি সিঙ্গা ব্যবহার করলেন। একদা ইহরাম আবস্তায় তিনি ভ্রমনে বের হলেন এবং ঐ বিষের যন্ত্রনা বোধ করলেন তখন তিনি সিঙ্গা ব্যবহার করলেন। ( আহমেদ ১/৩০৫, হাদিসটি হাসানা পর্যায়ের।)

জ্ঞান এবং সৃতি বর্ধকঃ ইবনে উমার (রাঃ) বর্ননা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “খালি পেটে সিঙ্গা লাগানো উত্তম। ইহাতে আছে শেফা এবং আশীর্বাদ স্বরূপ। ইহা জ্ঞান এবং সৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা বৃহস্পতিবার সিঙ্গালাগাও। বুধবার - শুক্রবার সিঙ্গালাগানো থেকে বিরত থাক। তবে শনিবার ও রবিবার এটা নিরাপদ। সোমবার এবং মঙ্গলবার সিঙ্গা লাগাও এই জন্যে যে, এই দিনে আল্লাহ আইয়্যূব (আঃ) কে পরীক্ষা থেকে নিরাপদ করেছিলেন। আর তিনি পরীক্ষায় পতিত হন বুধবারে। তুমি কোন কুষ্ঠ রোগীকে পাবেনা তারা ছাড়া যারা বুধবার অথবা বুধবার রাতে সিঙ্গা লাগায়। (সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৪৪৮৭)
সিংগা লাগানোর সবচেয়ে ভাল দিন
১৭তম, ১৯তম, ২১তম দিনে(আরবী মাস) যা সোমবার, মঙ্গলবার অথবা বৃহস্পতিবারের সাথে একই থাকে। আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সিঙ্গালাগাতে চায়, সে যেন ১৭,১৯,২১তম দিনের জন্য অপেক্ষা করে।(সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৪৮৬)

ইবনে উমার (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “খালি পেটে সিঙ্গা লাগানো সবচেয়ে উত্তম, এটা জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং সৃতি শক্তি বাড়ায়। তাই কেউ যদি সিঙ্গা লাগাতে যায় সে যেনো আল্লাহর নামে তা বৃহস্পতিবার করে। শুক্র, শনি, রবিবার সিঙ্গা লাগানো থেকে বিরত থাকো। সোমবার বা মঙ্গলবার সিঙ্গালাগাও। বুধবার সিঙ্গালাগাইওনা এই জন্যে যে, এই দিনে আল্লাহ আইয়্যূব (আঃ) পরীক্ষায় পতিত হন। তুমি কোন কুষ্ঠ রোগীকে পাবেনা তারা ছাড়া যারা বুধবার অথবা বুধবার রাতে সিঙ্গা লাগায়। (সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৪৮৮)

ইসলামি দিবস ও রাতের ব্যাপার হল, রাত শুরু হয় দিনের আগে। তাই মঙ্গলবারের সূর্য ডুবলেই বুধবার রাত শুরু হয়। সিঙ্গা লাগানোর ভালো সময় হল দিনের বেলা; সূর্য উঠা ও ডুবার মধ্যবর্তি সময়। কেউ যদি ১৭,১৯,২১ তম(যা সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতিবারের সাথে মিলে যায়) দিনে সিঙ্গালাগাতে না পারে তবে তা যেন করে নেয় ঐ মাসের যেকোন সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার।
সিয়াম অথবা ইহরাম বাধা অবস্থায় সিঙ্গা লাগানোঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন ইহরাম অবস্থা, তখন একগুঁইয়ে মাথা ব্যাথার জন্য সিঙ্গা ব্যবহার করেন। (আল-বুখারীঃ ৫৭০১)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সিয়াম অবস্থায় সিঙ্গা লাগিয়াছিলেন। ( আল-বুখারীঃ ৫৬৯৪)
সিঙ্গা করার স্থান
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হাটুর পাশের ও সর্ব নিচের অংশের শিরায় তিন বার সিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। (সুনানে ইবনে দাউদঃ ৩৮৬০, ইবনে মাজাহঃ ৩৪৮৩)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর মাথায় সিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। (আল-বুখারীঃ ৫৬৯৯)

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর মাথায় সিঙ্গা লাগাতেন এবং ইহাকে বলতেন ( মাথার উপরের স্থান) উম মুঘীত। ( সাহীহ আল-জামিঃ ৪৮০৪)

জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কোমরের নিচের অংশে ব্যাথার কারনে সিঙ্গা লাগাতেন।(সুনানে আবি দাউদঃ ৩৮৬৩)

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বর্ননা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইহরাম বাধা অবস্থায় পায়ের তলার সবচেয়ে সামনে ব্যাথার কারনে সিঙ্গা লাগাতেন। (সুনানে আবি দাউদঃ ১৮৩৬)

ইবনে আল কাইয়্যূম (রঃ) বলেছেন, “ দাঁতে, মুখে এবং গলায় ব্যাথা হলে থুতুনির নিচে সিঙ্গা লাগালে উপকার পাওয়া যায় যদি তা সঠিক সময়ে করা হয়। ইহা মাথা ও চোয়াল শোধন করে।

পায়ের সাফিনায় (যা গোরালির বড় শিরা) পাংচারিং করার পরিবর্তে পায়ের পাতার সম্মুখে সিঙ্গা লাগানো যেতে পারে। থাই এবং পায়ের পিছনের মাংসের আলসারের চিকিৎসায় ইহা উপকারি। তা ছাড়া রজঃস্রাবে বাধা ও অন্ড কোষের চামড়ায় ক্ষয়ে তা ব্যবহার যোগ্য।

উরুতে ব্যাথা, চুলকানী ও খোঁসপাঁচরার চিকিৎসা হিসেবে বুকের নিচে সিঙ্গা লাগানো উপকারী। ইহা পিঠের গেঁটে বাত, অর্শ, গোদ রোগ, খোসপাঁচড়ার বিরুদ্ধে সাহায্য করে”। (যাদ আল- মা’দ ৪/৫৮)
মহিলাদের জন্য সিঙ্গাঃ
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ননা করেছেন, উম্মে সালামা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে সিঙ্গা করার জন্য অনুমতি চাইলেন। তাই রাসুল (সাঃ) আবু তীবা (রাঃ)কে আদেশ দিলেন তাকে(উম্মে সালামা রাঃ) সিঙ্গা লাগাতে। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বললেন, “আমি মনে করি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এটা বলেছেন যে আবু তীবা হলো তার(উম্মে সালামা) দুধ ভাই অথবা একজন ছুটো বালক যে এখনো বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছেনি। (সাহীহ মুসলিমঃ ৫৭০৮, আবু দাউদঃ ৪১০২, সাহীহ ইবনে মাজাহঃ ৩৪৮০)

14/05/2017

What is hijama? হিজামা কি?
হিজামা হল এমন একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বিদ্যামান রয়েছে।
হযরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৭০

হিজামার পদ্ধতি
শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে মেশিনের সাহায্যে রক্ত চুষে নেওয়া। উল্লেখ্য, হিজামায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা উত্তম এবং প্রত্যেকের চিকিৎসায় ভিন্ন ভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যাতে, রক্তজীবাণুর মাধ্যমে রোগ সংক্রমিত হতে না পারে।

হিজামার ব্যাপারে বর্ণিত কতিপয় হাদীছ শরীফ
হযরত আনাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে (হিজামা)।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর : ৩৪৮৬
হযরত আনাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর : ২০৫৩
হযরত আনাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারণ, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৮২
হযরত জাবির রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” ছহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর : ২২০৫
হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর : ৩৪৮৭
হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হিজামাকারী কতই উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর : ২০৫৩
হিজামার প্রকারভেদ
এক. স্বাভাবিক অবস্থায় যেভাবে করবে। যথা :
ক. আরবী মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখের কোন একটি নির্বাচন করবে।
খ. সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারের কোনটিকে নির্বাচন করবে।
উল্লেখ্য, তারিখ ও দিনের মধ্যে বিরোধ হলে তারিখকে অগ্রাধিকার দিবে।
গ. খালি পেটেই হিজামা করবে। সকালে খালি পেটে হিজামা করা উত্তম।
ঘ. ফজরের পর হতে দুপুর ১২টার মধ্যে করবে।
ঙ. হিজামার আগের ও পরের দিন সঙ্গম না করা উত্তম।
দুই. জরুরী অবস্থায় যেভাবে করবে।
এতে মাস ও দিনের কোনো ধর্তব্য নেই। যখনই সমস্যা তখনই করা যেতে পারে। একসময় রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘোড়া থেকে পড়ে পায়ে আঘাত পাওয়ায় হিজামা করেছিলেন।
হিজামার নির্দিষ্ট স্থানসমূহ
১. মাথার উপরিভাগ তথা মধ্যভাগ।
২. মাথার ঠিক মাঝখানে।
৩. ঘাড়ের উভয় পাশে।
৪. ঘাড়ের নীচে উভয় কাঁধের মাঝখানে।
৫. উভয় পায়ের উপরিভাগে।
৬. মাথার নীচে চুলের ঝুটির স্থলে।
ইহরাম ও রোযায় হিজামা
মুহরিম ও রোযাদারের জন্য হিজামা বৈধ। হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহরিম ও রোযাদার অবস্থায় হিজামা করেছেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর : ৭৭৫
হিজামা (Cupping) এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ
--------------------------------------------------------------
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা
২। রক্তদূষণ
৩। উচ্চরক্তচাপ
৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা (perkinson’s disease)
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত
৭। ব্যাক পেইন
৮। হাঁটু ব্যাথা
৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা
১০। ঘাড়ে ব্যাথা
১১। কোমর ব্যাথা
১২। পায়ে ব্যাথা
১৩। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain)
১৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা
১৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা
১৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
১৭। সাইনুসাইটিস
১৮। হাঁপানি (asthma)
১৯। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
২০। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন
২১। টনসিলাইটিস
২২। দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন
২৩। গ্যাস্ট্রিক পেইন
২৪। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
২৫। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses)
২৬। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন
২৭। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ।
২৮। ডায়াবেটিস (Diabetes)
২৯। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান
৩০। চুল পড়া (Hair fall)
৩১। মানসিক সমস্যা (Psycological disorder)..এবং আরও অনেক রোগ।

Address

Kishoreganj
2350

Telephone

+8801777066667

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আস শিফা হিজামা সেন্টার -As Sifa Hijama centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to আস শিফা হিজামা সেন্টার -As Sifa Hijama centre:

Share

Category