30/03/2024
চিকিৎসা কেনো ব্যর্থ হয়ঃ
১। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনে এন্টিবায়োটিক কাজ না করা। এর জন্য এন্টিবায়োটিক এর অপব্যবহার দায়ী। এতে স্বাস্থ্য কর্মীর পাশাপাশি জনগনের দায়ভার আছে।
২। সঠিক রোগ নির্নয় করতে না পারা। এর জন্য চিকিৎসকের পাশাপাশি কোয়ালিটি সম্পন্ন ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক এর অভাব দায়ী।
৩। গুনগত মান সম্পন্ন ঔষধ না খাওয়া। অনেক ভালো কোম্পানির ঔষধ লিখলেও অজ্ঞতার জন্য রোগী সঠিক ঔষধ ক্রয় করতে ব্যর্থ হন।
৪। কিছু ঔষধ কাজ করতে সময় লাগে বিশেষ করে যারা টেনশন জনিত কারনে নানা রকম মানসিক রোগে ভুগেন। ২ সপ্তাহ ঔষধ খেয়েই রেজাল্ট না পেয়ে রোগী হতাশ হয়ে যান ও ডাক্তার চেইঞ্জ করেন। আবার একি ঘটনা ঘটে, আবার ডাক্তার চেইঞ্জ করেন। এভাবে ঘুরতেই থাকেন।
৫। কিছু রোগ নিয়ন্ত্রন করা কঠিন । কারন উপযুক্ত চিকিৎসা এখনো আবিস্কার হয়নি। যেমন অস্টিও আর্থ্রাইটিসের রোগী। এরকম বহু রোগ আছে।
৬। সময় মত ঔষধ না খাওয়া বা ডাক্তারের পরামর্শ মত না চলা। যেমন হাই প্রেশারের ঔষধ বন্ধ করে অনেকেই স্ট্রোক করেন।
৭। চিকিৎসকের উপর ভরসা না থাকা। অনেকে দেশের চিকিৎসায় ভরসা পান না। না পাওয়ার অনেক কারন আছে। এর অনেক গুলোই ঠিক আবার অনেক গুলোই ভুল।
৮। সাইড ইফেক্ট হওয়া-- এলোপ্যাথিক ব্যবস্থায় প্রায় সব ঔষধের কম বেশি সাইড ইফেক্ট আছে। ঔষধ খেয়ে সাইড ইফেক্ট হওয়ায় অনেকে ঘন ঘন ডাক্তার চেইঞ্জ করেন।
৯। ঔষধ ক্রয় করতে না পারা। অনেক রোগে দামী ঔষধের প্রয়োজন হয়। অর্থের অভাবে তা ক্রয় করতে না পারলে চিকিৎসা হয়না।
১০। রোগীকে শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসা। বাড়িতে বিভিন্ন অপচিকিৎসা করে যখন রোগীর জান প্রায় যায় যায়, তখন হাসপাতালে রোগী আনা হয় বা রোগীকে জটিল অবস্থায় ডাক্তারের চেম্বারে আনা হয়, যেখান থেকে সকলকে সুস্থ করা সম্ভব হয়না।
সবশেষে চিকিৎসক রা মানুষের শরীর ও মন নিয়ে কাজ করে, মেশিন নিয়ে না। একেকজনের শরীরে ঔষধের রেসপন্স একেক রকম পাওয়া যায়।
কিন্তু দুঃখজনক হলো এত এত কারন থাকার পরেও চিকিৎসা সফল না হলে কেবল চিকিৎসক কেই দায়ী করা হয়।
বিঃদ্রঃ Collected Post