Dr. Fatema akter

Dr. Fatema akter Dr. Fatema Akter, MBBS, FCPS (Part 1), BCS (Health), CMU (Ultra sonogram), Medical Officer Obstetrics and gynecology, Kishorgonj District Hospital

যেকোন স্ত্রীরোগ, গাইনি সংক্রান্ত পরামর্শ এবং সেবার জন্য যোগাযোগ করুন ডাঃ ফাতেমা আক্তার, মেডিকেল অফিসার কিশোরগজঞ্জ জেলা হাসপাতাল।

22/07/2016

সরকারিভাবে যেকোন স্ত্রীরোগ, গাইনি সংক্রান্ত পরামর্শ এবং সেবার জন্য যোগাযোগ করুন ডাঃ ফাতেমা আক্তার, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), সিএমইউ (আল্ট্রাসনোগ্রাম), এফসিপিস (পার্ট ১) মেডিকেল অফিসার কিশোরগজঞ্জ জেলা হাসপাতাল। ডাঃ ফাতেমা আক্তার ৪০০ -এর অধিক সিজারিয়ান অপারাশানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।

10/10/2014

কিডনির সমস্যা হলে রোগের শেষ নেই
হূদযন্ত্র ও অন্যান্য দেহযন্ত্র নিয়ে যত কথা হয়, কিডনি নিয়ে তত কথা হয় না, শরীরের নানা কাজে এদের অবদান যে কত, ভাবা যায় না।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য কিডনির ভূমিকা অনস্বীকার্য। যদিও শরীরের নানা জঞ্জাল ও বাতিল তরল কিডনি বের করে দেয়। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে বিষাক্ত জিনিস শরীরে জমে জমে অসুস্থ হয় হূদযন্ত্র ও ফুসফুস। শরীরে পানি জমে, হয় শ্বাসকষ্ট। আমাদের শরীরে রয়েছে দুটো কিডনি। শিমের বীচির মতো দেখতে, ওজন ১৫০ গ্রাম, আয়তনে ১২x৫ সেন্টিমিটার। পিঠের মাঝখানে পাঁজরের খাঁচার নিচে এদের অবস্থান। প্রতিটি কিডনি অনেকগুলো খুবই ছোট, অথচ জটিল একক নিয়ে গঠিত, এই এককের নাম হলো ‘নেফ্রোন’। প্রতিটি নেফ্রোনের কাজ হলো প্রস্রাব তৈরি করা আর এভাবে রক্ত থাকে বিষমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন।
স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন ২০০ লিটার পানি কিডনি দিয়ে পরিশ্রুত হয়, তবে মাত্র দুই থেকে তিন লিটার প্রস্রাব বেরিয়ে যায় দৈনিক; প্রস্রাবে থাকে বর্জ্য ও অম্ল।
শরীরের যা অপ্রয়োজনীয়, কিডনি তা বের করে দেয় অথচ শরীরে ফিরিয়ে দেয় এমন সব জিনিস, যা শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনীয় জিনিস বাছাই করে শরীরের জন্য সংরক্ষণ করার এ কাজে কিডনির জুড়ি নেই। এ ছাড়া আরও কাজ আছে। কিডনি শরীরকে লোহিত কণিকা তৈরির কাজে সহায়তা করে। নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ। ভিটামিন ‘ডি’ সক্রিয়রূপে পরিণত হয় কিডনিতেই। আর এ জন্য কিডনির কল্যাণে হাড় থাকে মজবুত। শরীরে অম্ল ও ক্ষারের সমতা রক্ষায় কিডনির ভূমিকা রয়েছে।
লোহিত কণিকা গঠনে কিডনির ভূমিকা নিয়ে আরও বিস্তারিত বলি।
কিডনি, লোহিত কণিকা গঠন, রক্তচাপ ও সুস্থ হাড়—এদের মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক বেশ জটিল।
কিডনি থেকে তৈরি হয় একটি হরমোন, যার নাম হলো ‘ইরিথ্রোপয়টিন’। এই হরমোন অস্থিমজ্জাকে উদ্দীপিত করে লোহিত কণিকা গঠনের জন্য। কারও কিডনি বিকল হলে কিডনি থেকে তৈরি হয় না ইরিথ্রোপয়টিন। ফলে হাড় লোহিত কণিকা তৈরি করতে পারে না, আর রোগীর হয় রক্তশূন্যতা।
দ্বিতীয়ত, বয়স বেশি হলে, ৪০ পেরোলে, লবণ কম খেতে হয়, যাতে রক্তচাপ থাকে সীমার মধ্যে।
কিডনি বাড়তি লবণ মোকাবিলা করতে পারে না, আর তাই বেশি লবণ খেলে বেশি পানি শরীরে থেকে যায় আর তাই রক্তচাপ যায় বেড়ে। বাড়ে শরীরের তরল। সুস্থ হাড়ের জন্য চাই সুস্থ কিডনি।
ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি ও প্যারাথাইরয়েড হরমোনের একটি জটিল সমন্বয় ও কাজকর্মকে মোকাবিলা করে কিডনি। হাড় থাকে সুস্থ ও সবল।
কিডনি বিকল হলে এই সমন্বিত কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটে, আর তখন হাড় হয়ে পড়ে ভঙ্গুর।
কিডনি-সমস্যার মূল কারণ কী কী তাহলে?
তালিকার প্রথমে রয়েছে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না করলে কিডনির হয় অনেক ক্ষতি, আর একটি কথা—যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের তেমন উপসর্গ থাকে না।
দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে ডায়াবেটিস এত বেশি আর উপসর্গও তেমন হয় না, সে জন্য অনেক রোগী আসে ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি রোগ নিয়ে। ইতিমধ্যে ডায়াবেটিস কিডনির ক্ষতি করতে শুরু করেছে, আর বিকল হওয়ার পথে কিডনির যাত্রাও শুরু হয়েছে। কিডনি রোগের আরেকটি কারণ হলো সংক্রমণ ও প্রদাহ। বড় কারণ হলো ই.কোলাই নামের জীবাণুর সংক্রমণ। ই.কোলাই ব্যাকটেরিয়া এমনিতে থাকে পাচকনলে, মেয়েদের মূত্রনালিপথে এরা চলে যায়, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের ভোগান্তি অনেক। এই ব্যাকটেরিয়া তখন উঠতে থাকে ওপর দিকে। শিশু ও বৃদ্ধলোক যাদের মূত্রপথে থাকে অবরোধ, তাদেরও সে রকম সংক্রমণ হতে পারে।
প্রদাহ হওয়ার অনেক কারণ অজানা। তবে ভাইরাস সংক্রমণ এবং অনেক অটোইম্যুন রোগ ঘটাতে পারে প্রদাহ।
কিডনি পাথুরি হলেও কিডনি পরে অসুস্থ হতে পারে।
কিডনি রোগ প্রতিরোধ বড় জরুরি। সংক্রমণ, প্রদাহ, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের জন্য কিডনিতে একবার ক্ষত হলে একে খণ্ডানো কঠিন, এ চলতেই থাকে সামনের দিকে।
কিডনি এক বিস্ময়কর যন্ত্র। একটি নয়, আমাদের রয়েছে দুটো কিডনি। প্রচলিত কথা ‘One to care and one to share’। মাত্র একটি কিডনি দিয়েও জীবনধারণ সম্ভব।
পৃথিবীতে অসংখ্য লোক রয়েছেন, যাঁরা স্বজনদের বা অন্যদের একটি কিডনি দান করে বেশ সুস্থ আছেন দীর্ঘদিন।
তবে কিডনি যখন অসুস্থ হয়, দুটোরই ক্ষতি হয়। কোনো টিউমার বা অবরোধ বা পাথুরি, যা একটি কিডনিতে সীমাবদ্ধ। সে ক্ষেত্রে ছাড়া অন্যান্য রোগে দুটো কিডনিতেই রোগের প্রভাব পড়ে।
প্রতিরোধক ধাপ
রক্তচাপ নিয়মিত মাপাবেন।
মাঝেমধ্যে রক্তে ক্রিয়েটিনিন মান মাপাবেন। (কিডনি কত ভালো কাজ করছে, এর একটি সূচক হলো কিয়েটিনিন)
পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শমতো নির্ভরযোগ্য ল্যাবে প্রস্রাব ও রক্তের সম্পূর্ণ পরীক্ষা করাবেন। তাহলে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যা থাকলে আগে ধরা পড়বে।
বেশি ওজন, স্থূলতা ও জীবনযাপনের রোগগুলো এড়াতে ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত।
ফাস্টফুড, হিমায়িত খাবার, আচার, পাপড়, অন্যান্য নোনা খাবার বর্জন করতে হবে।
আচার যত কম খাওয়া যাবে, তত ভালো। হয়তো মাসে, দুই মাসে এক দিন।
কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে চেকআপ আগে শুরু করতে হবে এবং নিয়মিত।
প্রচুর পানি পান করতে হবে, যাঁরা ঘরের বাইরে রোদে কাজ করেন, তাঁরা পান করবেন অনেক বেশি।
খাদ্যে লবণ কম খেলে বেশির ভাগ ক্যালসিয়াম পাথুরি রোধ করা যায়।
নারীদের গোপনাঙ্গ সামনে থেকে পেছন দিকে ধুতে হবে, তা না হলে পাচকনলের ই.কোলাই জীবাণু মলদ্বার থেকে মূত্রপথে প্রবেশ করতে পারে। (কৃতজ্ঞতাঃ অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম, ঢাকা)

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

কোলন ক্যান্সার: প্রয়োজন সচেতনতা। মলাশয়ের ক্যান্সার হচ্ছে এক ধরনের ক্যান্সার যা দেহের মলাশয়, মলনালী (বৃহদান্ত্রের অংশ) ...
09/10/2014

কোলন ক্যান্সার: প্রয়োজন সচেতনতা।
মলাশয়ের ক্যান্সার হচ্ছে এক ধরনের ক্যান্সার যা দেহের মলাশয়, মলনালী (বৃহদান্ত্রের অংশ) বা অ্যাপেন্ডিক্সে অনিয়ন্ত্রিত কোষবৃদ্ধির কারণে সৃষ্টি হয়। এটি কোলন ক্যান্সার (colon cancer), বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার বা অন্ত্রের ক্যান্সার (bowel cancer) নামেও পরিচিত। বিশ্বজুড়ে যত রোগী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়, তার মধ্যে আক্রান্তের হিসেবে তৃতীয় বৃহত্তম হলো কোলোরেক্টাল ক্যান্সার।

সাধারণত অন্ত্রের পার্শ্বদেশে সংক্রমণের মাধ্যমে এই ক্যান্সারের সূচনা ঘটে, এবং যদি এটি চিকিৎসাহীন অবস্থায় রেখে দেওয়া হয় তবে এটি ক্রমান্বয়ে অন্ত্রের পেশীস্তরের নিচে এবং সবশেষে অন্ত্রের প্রাচীরের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে কার্যকরভাবে এই ক্যান্সারের সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব আর সেজন্য ৫০ বছর বয়স থেকে ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিতভাবে স্ক্রিনিং চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়। অন্ত্রের এই ক্যান্সার সাধারণত সিগময়েডোস্কোপি বা কোলোনোস্কোপি প্রক্রিয়ায় নির্ণয় করা হয়।

আমাদের দেশে কোলন ক্যান্সার কেন ভয়ের কারণ

• আমাদের দেশে পায়ুপথের সমস্যা যেমন পায়ুপথে রক্তক্ষরণ, পায়ুপথে কোনো বৃদ্ধি বা গ্রোথ ইত্যাদি হলে প্রায় সবাই এটিকে গোপন রাখতে চায়। ফলে সংকোচ, লজ্জা ও দ্বিধায় থেকে পরিবারের কাউকে এটি সে জানায় না, চিকিৎসাও করে না।

• পায়ুপথে যে কোনো সমস্যা হলেই পাইলস বলে মনে করে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে `অর্শ-ভগন্দর-পাইলস` ইত্যাদি কবিরাজি চিকিৎসালয়ের শরণাপন্ন হয়ে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে অর্থ, সময় ইত্যাদি নষ্ট করে।

• বাংলাদেশে কোলন ক্যান্সারের জন্য কোনো রুটিন চেকআপ করা হয় না। বংশে কারো কোলন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলেও অনেকে এ ব্যাপারে মোটেই সচেতন নন। আবার দেশের অনেক স্থানেই এখনও কোলনস্কোপি ও জেনেটিক টেস্টের সুবিধা নেই।

• বাংলাদেশে ধূমপান, তামাক, বিড়ি ইত্যাদি সেবনকারী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। এর ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে:

১. যদি মল ত্যাগের ক্ষেত্রে আপনার মলনালী কিংবা মলাশয়ের কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করেন।
২. যদি মলনালী দিয়ে রক্তপাত হয়, কিংবা যদি মলে রক্ত দেখতে পান কিংবা মল আলকাতরার মতো কালো ও আঠালো হয় (ভেবে বসবেন না যে এটা কেবলই অর্শরোগের লক্ষণ)।
৩. যদি আপনি ক্রমাগতভাবে উদরে ব্যথা অনুভব করেন কিংবা আপনার ওজন কমে যায় কিংবা আপনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে ওঠেন। এগুলোর পেছনে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে, তবে যে কারণই থাক না কেন জরুরী ভিত্তিতে এগুলোর চিকিৎসা বা পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত যাতে করে ক্যান্সার বাসা বাধার সুযোগটাই না পায়।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন

১. সজীব ফলমূল এবং শাক-সব্জি বেশি করে খাবেন। দিনে কমপক্ষে পাঁচবার (বিশেষত ফুলকপি, বাঁধাকপি কিংবা ব্রকলি ইত্যাদি) এ ধরণের খাদ্য গ্রহণ করবেন।
২. গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির রান ইত্যাদি এবং প্রাণীজ চর্বি আহার থেকে বিরত থাকবেন। শুকনো শিমের বিচি, বাদাম এবং সয়াবিনের বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
৩. মাছ এবং মাংস ঝলসে খাওয়া বা কাবাব বানিয়ে খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন।
৪. আশ জাতীয় খাবার খাওয়া বাড়িয়ে দিন। ভুষি কিংবা গমের দানা দিয়ে সকালের নাস্তা শুরু করুন। প্রথম দিকে এক টেবিলচামচ দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে তিন কিংবা চার টেবিলচামচ পরিমাণ আহার করতে পারলে ভালো হবে।

চিকিৎসা:
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ভর করে এটি কোন স্টেজে আছে তার ওপর। কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অপারেশনই কার্যকরী চিকিৎসা। তবে কখনও বাইপাস বা প্যালিয়েটিভ বা ফিকাল ডাইভারশনের কারণেও সার্জারিও করা হয়। অপারেশনের আগে বা পরে অথবা উভয় ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়।

কোলন ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যে ধরনের মলাশয়ের ক্যান্সার শুধুমাত্র অন্ত্রের প্রাচীরে সংক্রমিত হয়েছে তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রতিকার করা সম্ভব। কিন্তু যেগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত হয়েছে তা সাধারণত প্রতিকার করা সম্ভব নয় এবং সেক্ষেত্রে কেমোথেরাপির সাহায্যে আক্রান্ত রোগীর ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগীর জীবন বাঁচানোসহ জীবনের মানবৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।

মলাশয়ের ক্যান্সার বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ক্যান্সারগুলোর মধ্যে চতুর্থ এবং মূলত উন্নত দেশগুলোতেই এই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি দেখা যায়। মোট সংক্রমণের শতকার ৬০ ভাগই উন্নত বিশ্বে সংঘটিত হয়। ধারণা করা হয় ২০০৮ সালে বিশ্বের প্রায় ১২.৩ লক্ষ মানুষের দেহে মলাশয়ের ক্যান্সার সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছিলো যাদের ভেতর প্রায় ৬.০৮ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

তাই পাঠক এখন থেকেই সতর্ক থাকবেন। লজ্জা কিংবা সংকোচ ছেড়ে যথাসময়ে ডাক্তারের সরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করে প্রাণঘাতি এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করুন।

লেখক: ডাঃ মালিহা শিফা, সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

08/10/2014

আপনি যখন একটি সিগারেটে আগুন ধরিয়ে ধূমপান করতে শুরু করেন তার ৭ সেকেন্ডের মধ্যেই মস্তিষ্কে সিগারেট সেবনের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়৷ ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো বলে শেষ করা যাবে না৷

ধূমপানের ক্ষতিকর দিকসমূহ-
(১) ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার (Bronchitic Carcinoma)-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়৷
(২) ধূমপানের ফলে ফুসফুসের অন্যান্য রোগ, যেমন- ব্রংকাইটিস -এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷

(৩) ধূমপানের ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়৷
(৪) ধূমপানের ফলে মানবদেহে রক্তচাপ/ উচ্চরক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায় এবং

(৫) উচ্চরক্তচাপের রোগীর মস্তিষ্কের স্ট্রোক (Stroke) -এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷

(৬) ধূমপানের ফলে রক্তনালীর বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়, যেমন- রক্তনালী চিকন হওয়া, বাজা©র রোগ ইত্যাদি৷
(৭) যিনি ধূমপান করেন তার পার্শ্ববর্তী মহিলা, শিশু ও অধূমপায়ী ব্যক্তিরাও সমপরিমাণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷

(৮) ধূমপানের ফলে পরিবেশ দূষিত হয়৷
প্রতি বছরে ধূমপানে সমগ্র বিশ্বে তিন লক্ষাধিক লোক মারা যায়৷ কাজেই আর দেরী না করে এখনই ধূমপান পরিত্যাগ করুন৷ আপনার ধূমপান ত্যাগের জন্য আপনার ইচ্ছাই যথেষ্ট৷ আপনাদের ধূমপান ত্যাগে সহায়তা করার জন্য একটি নতুন ওষুধ বাজারে এসেছে যা বাংলাদেশে এই প্রথম৷ ওষুধটির নাম জাইবেক্স এস,আর ফার্মাকোলজিক্যালনামবুপ্রোপিয়নহাইড্রোক্লোরাইড৷
সম্প্রতি বাংলাদেশে আইন করে প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে এখন থেকে জনসমাগমে, বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে এবং প্লেনে ধূমপান করা যাবে না৷ প্রকাশ্যে ধূমপান করলে পঞ্চাশ টাকা জরিমানা হবে৷ সরকারের এই উদ্যোগ সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে৷ অনেক দেশে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে যেমন-ভূটান৷ ভূটানে ধূমপান নিষিদ্ধ করার ফলে সে দেশের পরিবেশ দূষন অনেক অংশে কমে গেছে৷

ধূমপানমুক্ত সুস্থ-সুন্দর ও নির্মল পৃথিবী গড়ে উঠুকএটাই আমাদের সকলের একান্ত কামনা্রতি বছরে ধূমপানে সমগ্র বিশ্বে তিন লক্ষাধিক লোক মারা যায়৷ কাজেই আর দেরী না করে এখনই ধূমপান পরিত্যাগ করুন৷ আপনার ধূমপান ত্যাগের জন্য আপনার ইচ্ছাই যথেষ্ট৷ কারণ বিশুদ্ধ পরিবেশ জীব মন্ডল এবং প্রকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷বাতাস যদি দূষিত হয় তাহলে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাড়ঁাবে৷ তাই আমাদের উচিত সবার প্রয়োজনে ধূমপান মূক্ত পরিবেশ গঠনে সহায়তা করা৷

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

07/10/2014

মাথাব্যথা: করণীয়

মাথা থাকবে আর মাথায় ব্যথা হবে না তা হতে পারে না। মাথা থাকলে মাথাব্যথাও থাকবে। মাথাব্যথায় পড়েননি এমন কেউ নেই। দিনের শুরুতে, কাজের সময় এমনকি রাতে ঘুমের সময় মাথা ধরে দিনটাই মাটি করে দিতে পারে। আজ মাথাব্যথা থেকে দূরে থাকার কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো আমরা।

দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, টেনশন এসব মনের ওপরে চাপ ফেলে। সারাক্ষণ মানসিক অস্থিরতার মাঝে থাকলে মাথা ব্যথা হবেই, এটা স্বাভাবিক। দুশ্চিন্তা কমাতে হবে, পেশাগত মানসিক চাপ ঘরে বয়ে আনা যাবে না। মনকে বিশ্রাম দিন, ঘরে ফিরে মাথা থেকে কাজের কথা বাদ দিয়ে একান্ত কিছু সময় কাটান।

বিশ্রাম নিন পর্যাপ্ত। গবেষকেরা দেখেছেন ঠিকমতো ঘুম না হলে অনেকেরই মাথায় ব্যথা হতে পারে। কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুম দরকার পূর্ণবয়স্ক মানুষের। কম ঘুমানো, ঘুমের মাঝে বাধা, সাউন্ড স্লিপ না হওয়া থেকে বাঁচতে কিছু ব্যবস্থা নিন। ঘুমের আগে ভারি কাজ করবেন না, ঠাণ্ডা পানিতে শরীর ধুয়ে ফেলুন, স্নিগ্ধ মনে বিছানায় যান। অন্ধকার শব্দহীন ঘরে একটা আরামের ঘুম দিন, পরের দিন মাথা ধরা থাকবে না।

কিছু খাবারের বদনাম রয়েছে মাথাব্যথার প্রভাবক হিসেবে। এসব খাবারের মাঝে চা, কফি, অ্যালকোহল উল্লেখযোগ্য। চা কফিতে অভ্যস্ত থাকলেও মাত্রাতিরিক্ত পান করবেন না। দিনে এক বা দুই কাপই যথেষ্ট।

মাথা মালিশে আরাম পান সকলেই। দেখা গিয়েছে মাথাব্যথায় কোমল হাতে কপালে, মাথায়, ঘাড়ে হাল্কা মালিশ দারুন কাজ করে। আপনার সঙ্গীকে বলুন মাথা টিপে দিতে। দেখবেন অনেকটা ভালো লাগবে।

অনেকের উচ্চ শব্দ, যানবাহনের তীব্র হর্ন, ভিড়বাট্টা, উজ্জ্বল আলো, দীর্ঘ ভ্রমণে মাথায় ব্যথা হয় । সাধারনত মাইগ্রেনের সমস্যায় এমন হয়। একটু সাবধান থাকলেই এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতে পারেন। জোরে গান শোনা বাদ দিন। চেস্টা করুন কষ্টকর ভ্রমণ থেকে দূরে থাকতে তবে ঢাকা শহরের মতো কোলাহল মুখর শহরে চাইলেও শব্দ, ট্রাফিক জ্যামের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কস্টকর।

সিগারেটের ব্যাপক ভূমিকা পেয়েছেন গবেষকেরা মাইগ্রেনের ব্যাথার পেছনে। যারা নিয়মিত ধুমপানে আসক্ত ও তাদের আশে পাশে যারা থাকেন তাদের মাথাব্যাথা বেশি হয়। তাই ধূমপান ও ধূমপায়ী থেকে দূরে থাকুন।

কেউ কেউ মাথা ব্যথা আরম্ভ হলে ঘাড়ের পেছনে ঠাণ্ডা পানি বা বরফের টুকরা লাগান। এটা অনেক সময় কাজ করে। অজু করুন। অজু করলে মাথা ও ঘাড় ঠাণ্ডা পানির স্পর্শে ব্যথা উপশমে সাহায্য করবে।

পছন্দের গান শুনতে পারেন যা মনকে শান্ত করবে। ক্লাসিকাল মিউজিক যেমন রাগপ্রধান গান বা যন্ত্রসঙ্গীত শুনতে পারেন। তবে চোখকে বিশ্রাম দিন। চোখ বন্ধ করে উপভোগ করুন বিটোভেন, মোজার্টের মতো কম্পোসারের সৃষ্টিগুলো।
যারা সবসময় কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকেন বা অনেক সময় ধরে টিভি দেখেন তাদের মাথাব্যাথা হতেই পারে বার বার। চশমা ব্যবহার করে থাকেন যদি তাহলে এন্টিগ্লার গ্লাস বা রিফ্লেক্টিভ গ্লাস নিন। এটা সাধারণ চশমা থেকে অধিক পরিমাণে আলো চোখে পড়তে বাধা দেয়, ফলে চোখ আরামে থাকে, আপনিও আরামে থাকেন। টানা একনাগাড়ে মনিটর, টিভির দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। মাঝ মাঝে বিরতি নিন, উঠে পড়ুন, চোখে পানির ঝাপটা দিয়ে আসুন। যারা টানা বই পড়ে তাদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য।

খাবার খেতে যারা অনিয়ম করে তাদের মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হয়। প্রধান তিনবেলার আহার বাদ দেয়া ঠিক হবে না। পেটে ক্ষুধা নিয়ে কাজ করলে সহজেই মাথাব্যথা হয়। খাবারে পাবেন কাজ করার শক্তি। শক্তি না পেলে মস্তিস্ক দুর্বল হয়ে ব্যথার উদ্রেক করে। তাই খাবারে অবহেলা চলবে না।

প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ নিতে পারেন তবে কিছু সাধারণ নিয়ম মানলেই যেখানে অনেকটা দূরে থাকা যায় মাথাব্যথা থেকে সেখানে ওষুধের তেমন প্রয়োজন পড়ে না। যখন তখন মাথার ব্যথায় ইচ্ছেমতো ব্যথানাশক থেকে দূরে রাখার প্রয়াসেই আজকের কলামটি লেখা হয়েছে।

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

06/10/2014

আমড়ার পুষ্টিগুণঃ
এ দেশে দুই ধরনের আমড়া পাওয়া যায়। দুই রকমের আমড়াতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’। এর ভিটামিন দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে। আমড়ার ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসায় রয়েছে বেশি ভিটামিন ‘সি’ আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্রের জন্য ভীষণ উপকারী।

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

05/10/2014

মেয়ে তুমি সুস্থ থাকো --- শরীর ও মনে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে বয়ঃসন্ধিকালে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিবর্তনটা হয় ব্যাপক। এ সময় মায়ের মতো কাউকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া জরুরি। মা পারেন মেয়ের ভয় দূর করতে, মেয়েকে সুস্থ থাকার মন্ত্রণা দিতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১১ থেকে ১৮ বছর বয়স হলো বয়ঃসন্ধিকাল। এ সময়ে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মনোদৈহিক পরিবর্তন ঘটে। মেয়েদের মাসিক শুরু হয়, স্তনের বৃদ্ধি হয়, গলার স্বর পরিবর্তিত হয়, যৌনাঙ্গের পূর্ণতা সাধিত হয়, নাভির নিচে এবং বগলে চুল হয়, শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে চর্বি জমা হতে শুরু করে এবং পুরুষদের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় বয়ঃসন্ধিকালে। অথচ এই সময়টায় মেয়েদের যেতে হয় নানা কুসংস্কারের মধ্য দিয়ে। সংকোচ আর ভুল ধারণার কারণে শিকার হতে হয় স্বাস্থ্যগত বহু সমস্যার, যার ফল বহন করতে হয় সারা জীবন।

কেন এমন হয়?
কুসংস্কারের পাশাপাশি বয়ঃসন্ধিকালে অপরিপক্ব বিষয়বুদ্ধির কারণে কিশোরীরা নিজ স্বাস্থ্যসমস্যার ব্যাপারে উদাসীন থাকে।
অনেক ক্ষেত্রেই পরিবার বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের সমস্যা সম্যকভাবে উপলব্ধি করতে পারে না। এ সময়ের স্বাস্থ্যসমস্যাকেও পরিবার বা সমাজ স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়। উদাহরণস্বরূপ ব্রণ, আয়রনের (লৌহ) অভাবহেতু রক্তস্বল্পতা, মানসিক উদ্বেগ ইত্যাদি।
প্রায় অর্ধেক নারী বয়ঃসন্ধিকালে কোনো না কোনোভাবে মাসিকের সমস্যায় ভোগেন; কিন্তু যথাযথ সহায়তা পান না চারপাশের মানুষগুলো থেকে।
কারণ প্রচলিত ধারণা এমন যে মাসিক শুরুর প্রথম কয়েক বছর মাসিকের সমস্যা হবেই।
আবার আর্থ-সামাজিক অসচ্ছলতা, মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ বা পারিবারিক মনোমালিন্য ইত্যাদি বিভিন্নভাবে বয়ঃসন্ধিকালের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সব কিছু মিলে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীদের মধ্যে যে ধরনের মনোদৈহিক সমস্যা দেখা যায়, তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

অপুষ্টি
বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীদের শরীরের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। এ জন্য তাদের প্রয়োজন বাড়তি খাদ্য। এ খাদ্য অবশ্যই হতে হবে সুষম। খাদ্যতালিকা হবে পরিপূর্ণ। সব ধরনের ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশজাতীয় খাবারসহ শর্করা, আমিষ এবং চর্বিজাতীয় খাবার থাকবে তাদের খাদ্যতালিকায়। অথচ কন্যাশিশুরা প্রচলিত সামাজিক রীতি অনুসারে নিগৃহীত। ফলে অপুষ্টি এবং অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে তাদের আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাদের শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের অভাব থাকে বলে পরবর্তী সময়ে যখন গর্ভধারণ করে নিজেরাও সুস্থ থাকতে পারে না, সুস্থ সন্তানও জন্ম দিতে পারে না।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সমীক্ষায় দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে বয়ঃসন্ধিকালীন ৫০ শতাংশ শক্তি আসে ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় খাবার থেকে। এটা কোনো অবস্থায়ই সুস্থ শরীরের জন্য কাম্য নয়। একই সঙ্গে কিশোরীদের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়াম, লৌহ ও আঁশের অনুপস্থিতি ভবিষ্যৎ সুস্বাস্থ্যের অন্তরায়। এ জন্য চর্বিনির্ভর ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড ইত্যাদির পরিবর্তে তাদের প্রয়োজন বাড়িতে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার।

ওজনজনিত সমস্যা
ফাস্টফুড কিংবা অধিক মাত্রায় শর্করাজাতীয় খাদ্য (যেমন ভাত) গ্রহণ স্থূলতার জন্য দায়ী। এ কারণে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাসিকের সমস্যা, হাইপোথাইরয়ডিজম, বন্ধ্যত্বসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এর বিপরীত চিত্রও কিন্তু সুখকর নয়। কেউ কেউ আবার ডায়েটিংয়ের নামে এমন কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খান যে তাঁরা আক্রান্ত হন অপুষ্টিতে।

খাদ্যসংশ্লিষ্ট কিছু রোগ
অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা (ওজন হারানো, খাদ্যগ্রহণে অনীহা, একসঙ্গে প্রচুর মদপান করা অথবা পাতলা পায়খানার মাধ্যমে, অতিরিক্ত ব্যায়াম বা ওষুধ ব্যবহার করে ওজন কমানোর ফলে অপুষ্টি ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেওয়া), বুলিমিয়া নারভোসা (সাধারণত ওজন ঠিক থাকে; কিন্তু মুটিয়ে যাওয়ার প্রতি এই রোগীদের অসম্ভব ভয় থাকে। তাই পানাহার করলেও এরা ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার বমি করে খাবার ফেলে দেয়। ফলে শরীরে লবণের অসমতা, হৃদরোগ, কিডনিরোগ ইত্যাদি দেখা দেয়।) রোগগুলোতে বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের আক্রান্ত হতে দেখা যায়। উভয় রোগই অভ্যাস থেকে তৈরি হয়।

মাসিকের সমস্যা
অনিয়মিত মাসিক, অধিক ঝরাযুক্ত মাসিক, দীর্ঘদিন ধরে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি মাসিকজনিত সমস্যা বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের মধ্যে দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে তারা পরামর্শ করে না। তাই পরবর্তীকালে দেখা যায়, রোগটি জটিল হয়ে যায়। এমনকি বহু ক্ষেত্রেই পরিবারের কাছেও সমস্যাগুলো মেয়েরা লুকিয়ে রাখে। যৌনরোগ
কিশোরীরা প্রায়ই ক্ল্যামাইডিয়া ট্রাকোমাটিস ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়। শ্রোণীদেশীয় প্রদাহ রোগ এবং জননতন্ত্রের ওপর এ ইনফেকশনের প্রভাব পড়ে। এতে বন্ধ্যত্বের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া ট্রাইকোমোনিয়াসিস, হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস, হারপিস ভাইরাস টাইপ-২ ইত্যাদি ইনফেকশন বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীর মধ্যে দেখা যায়।

অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ
মাসিক শুরু হলেই একটি মেয়ে পূর্ণ নারীতে রূপান্তরিত হয় না। মাসিকের মাধ্যমে তার রূপান্তরপ্রক্রিয়া শুরু হয় মাত্র। কিন্তু আমাদের দেশের মতো আরো কিছু দেশে এ বয়সেই মেয়েদের বিয়ে হয়, নিজেরা শিশু থাকা অবস্থায়ই জন্ম দেয় শিশুর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাবে দেখা যায়, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েরা প্রতিবছর ১৬ মিলিয়ন শিশু জন্ম দিয়ে থাকে, যা বিশ্বের সমগ্র জন্মহারের ১১ শতাংশ এবং এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ঘটে। তাই এখানে গর্ভজনিত জটিলতা, মাতৃমৃত্যুহার বেশি। মনে রাখতে হবে, বয়স ১৮ হওয়ার আগে মেয়েরা সন্তান জন্মদানের জন্য শারীরিকভাবে তৈরি থাকে না।

নেশায় আসক্তি
আমাদের দেশে কিশোরীদের মধ্যে তামাক, মদ এবং মাদকদ্রব্য গ্রহণের হার বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম হলেও ক্রমেই এটা বাড়ছে। পারিবারিক বন্ধনহীনতা বা ব্যস্ততার কারণে সন্তানের প্রতি মা-বাবার উদাসীনতা, অসৎ সংসর্গ, মাদকের প্রতি কৌতূহল, মা-বাবার তামাক পাতা বা মদজাতীয় মাদকদ্রব্য গ্রহণ ইত্যাদি সন্তানকে মাদকদ্রব্য গ্রহণে উৎসাহিত করে থাকে।

মানসিক অসুস্থতা
বিশ্বের ২০ শতাংশ কিশোরী বয়ঃসন্ধিকালে বিষণ্ন্নতা এবং উদ্বিগ্নতার মতো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। অতিরিক্ত আবেগ এবং অভিমান বয়ঃসন্ধিকালীন প্রধান মানসিক বৈশিষ্ট্য। আবেগতাড়িত মানসিক অসাম্যাবস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ক্ষতি করা, আত্মহত্যা ইত্যাদির জন্য দায়ী। পারিবারিক ও সামাজিক প্রভাব এ ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই এ সময় প্রয়োজন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সহযোগিতা।

(অনুগ্রহ করে সবাই এই পোস্টটা শেয়ার করুন। অশিক্ষা, কুশিক্ষা আর কুসংস্কার থেকে এই পৃথিবীর মেয়েদের কে রক্ষা করুন)

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

03/10/2014

মেয়েদের সাদা স্রাব

সাদা স্রাব নিয়ে অনেক রোগিণীর অভিযোগের শেষ নেই। চিকিৎসকের কাছে গেলে অন্য সমস্যার পাশাপাশি তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বলে থাকেন এবং সে সঙ্গে এও বলেন যে এর ফলে তাঁদের স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। এ কারণে তাঁরা মানসিকভাবেও উৎকণ্ঠিত থাকেন। দেশের গ্রামগঞ্জ-হাটবাজারে এ সংক্রান্ত ছোট ছোট সাইনবোর্ড এবং বিভিন্ন ধরনের লিফলেট বিষয়টিকে আরও উসকে দেয়। সাদা স্রাবকে অনেকে ধাতু বলে থাকেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করলে অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে।

স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় মেয়েদের যোনিপথে এক ধরনের পিচ্ছিল রস তৈরি হয়। মুখের লালা, চোখের পানি ইত্যাদি যেমন স্বাভাবিক, যোনিরসও তেমনি একটি ব্যাপার। এটি যোনিপথের কোষের স্বাভাবিকতা রক্ষা করে, যৌনমিলনের সময় লুব্রিকেসনের কাজ করে, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ রসের পরিমাণ মানুষভেদে ও বয়সভেদে কম-বেশি হতে পারে। যেমন মাসিক শুরুর আগের বয়সে এবং মেনোপজের পর যোনিরস খুব অল্প নিঃসৃত হয়। আবার সম্যক ধারণার অভাবে স্বাভাবিক পরিমাণ রসকে অনেকের কাছে অতিরিক্ত সাদা স্রাব মনে হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, যখন যোনিরস বেশি নিঃসৃত হয়ে লজ্জাস্থানে ভেজা ভেজা ভাব হয়, পরনের কাপড়ে হলদেটে দাগ পড়ে তখনই কেবল সেটাকে সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া বলে। স্বাভাবিক পরিমাণ যোনিরস লিউকোরিয়া নয়। স্বাভাবিক স্রাবের সঙ্গে স্বাস্থ্যহানির বৈজ্ঞানিক কোনো সম্পর্ক নেই।

মেয়েদের বিশেষ কতগুলো সময় আছে যখন যোনিরসের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় যেমন—যৌনমিলনের সময়, মাসিক শুরুর ঠিক আগের দিনগুলোয়, ওভ্যুলেশনের (ডিম্বস্ফোটন) সময়, গর্ভাবস্থায়, ডেলিভারির পর বেশ কিছুদিন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারকালে ইত্যাদি। অনেকে এমন খুঁতখুঁতে আছেন যে স্বাভাবিক জৈবিক গন্ধকে দূর করার জন্য নিয়মিত স্যাভলন-পানি বা কেউ কেউ ডিওডোরান্ট স্প্রে ব্যবহার করেন। এ অভ্যাস ক্ষতিকর। এর ফলে কেমিক্যাল রি-অ্যাকশন হয়ে অঙ্গের ক্ষতি হয়। উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে ক্ষতিকর জীবাণুর সংক্রমণকে উৎসাহিত করে।

কখন বোঝা যাবে যে অসুস্থতার কারণেই স্রাব বেশি হচ্ছে? যদি উপরিউক্ত সময় ছাড়াও অতিরিক্ত স্রাব নিঃসৃত হয়, চুলকানি হয়, ভীষণ দুর্গন্ধ হয়, সঙ্গে রক্ত কিংবা পুঁজ থাকে, তলপেটে ব্যথা থাকে, জ্বর থাকে। অস্বাভাবিক স্রাবের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ইনফেকশন, পলিপ, ক্যানসার ইত্যাদি।

সঠিক তথ্য জানার পর প্রচলিত ধ্যান-ধারণাকে পেছনে ফেলে স্বাভাবিক স্রাবকে যেমন সহজভাবে গ্রহণ করা দরকার, তেমনি অস্বাভাবিক স্রাব হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াও জরুরি।

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

02/10/2014

কোরাবানির ঈদে স্বাস্থ্য ভাল রাখার কৌশল:- শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন

কোরবানির সময় গরু, খাসি ও অন্যান্য পশুর
মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। মাংস খাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতন হয়ে পবিত্র ঈদকে করে তুলুন আরও আনন্দময়।
করোনারি হৃদরোগ, বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তি, যাদের ইসকেমিক হৃদরোগ আছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তারা তৈলাক্ত মাংস কমিয়ে খাবেন। সারা বছর তাঁরা যে ধরনের নিয়মকানুন পালন করেন খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে-কোরবানির সময়ও এর ব্যতিক্রম না করাই ভালো। কোরবানির মাংস এক দিন বা দুই দিন খেলে যে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়, তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে যাঁরা রয়েছেন, বিশেষ করে করোনারি হৃদরোগী, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) রোগী, ডিসপেপসিয়ায় আক্রান্ত রোগী- তাঁরা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ঈদের সময় তাঁদের খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। স্থূলকায় শরীর যাঁদের, তাঁরা অবশ্যই ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন। নিয়মিত ওজন পরীক্ষা করবেন। খেয়াল রাখবেন, শরীরের স্বাভাবিক ওজন বেড়ে যাচ্ছে কি না।
কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করা একটি জরুরি বিষয়। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা সম্ভব না হলে সঠিকভাবে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে। অর্ধসিদ্ধ মাংস খাওয়া কোনোভাবেই ঠিক নয়। কোরবানির মাংসে জীবাণুর সংক্রমণ হলে মারাত্মক অ্যান্টারাইটিস হতে পারে। এ রোগে পেটের এক ধরনের সংক্রামক, যা খুবই ভয়াবহ। পশুর চর্বি খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোরবানির সময়ও এ বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা খাবার সুস্বাদু হবে এমন ভুল ধারণা পোষণ করে কোরবানির মাংসে বেশ কিছু চর্বি আলাদাভাবে যোগ করে থাকি। এটা ঠিক নয়। যতটুকু সম্ভব মাংসের চর্বি অপসারণ করে খাওয়া ভালো। কোরবানি ঈদে ভূরিভোজ আর হঠাৎ বিশ্রামে স্বাস্থ্য-সচেতনেরাও হঠাৎ মুটিয়ে যেতে পারেন। আর যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাঁদের তো কোরবানির ঈদে স্বাস্থ্য-সচেতন থাকা আরও জরুরি। তাই এ সময়ও সচেতন থাকুন, মেনে চলুন স্বাস্থ্যবিধিঃ
–যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন, তাঁরা প্রতি সেশনে ব্যায়ামের সময় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে দিন। অতিরিক্ত পরিশ্রম শরীরের মেদ ঝরিয়ে ফেলবে।
–ব্যায়ামের অভ্যাস যাঁদের নেই, তাঁরা আজ থেকেই শুরু করুন না! সকালে ধর্মীয় প্রার্থনা শেষে দ্রুতলয়ে আধঘণ্টা হেঁটে নিন। ঘাম ঝরিয়ে ফুরফুরে হয়ে যান।
–যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, কোরবানির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে তো বলা যায় না, তবে সচেতন থাকুন। আর অবশ্যই অধিক চর্বিযুক্ত মাংস খাবেন না। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করতে ভুলবেন না।
–মাংসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ শীতের সবজি খাবেন, যা আপনার পাকস্থলীকে সাবলীল রাখবে।
–প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
উপকৃত হলে লাইক দিতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি www.facebook.com/ruposhee পেইজের সৌজন্যে প্রচারিত

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের ত্বকের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায় কি?পদ্ধতি ১ অনেকের মুখে দেখা যায় কালো ছোপ ছোপ দাগ যা অনেক ক্...
02/10/2014

প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের ত্বকের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায় কি?

পদ্ধতি ১

অনেকের মুখে দেখা যায় কালো ছোপ ছোপ দাগ যা অনেক ক্ষেত্রেই অস্বস্তির কারণ।
উপায় কিন্তু আছে! মুখের এসব কালো দাগ দূর করার ৩ টি উপায় উল্লেখ করা হলোঃ ২চামচ বেসন,১ চিমটে হলুদ গুড়া,১ চামচ চন্দন গুড়া এবং ১ চামচ কমলার টা একসঙ্গে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করুন।
এবার এটা মুখে,ঘাড়ে লাগিয়ে রেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফালুন। একটি ছোট আকারের আপেল কেটে এটা মুখে,ঘাড়ে,গলায় লাগিয়ে ৪ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার। আপেল ও কমলার খোসা এক সাথে বেটে এর সংগে কাঁচা দুধ,ডিমের সাদা অংশ ও কমলা রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

পদ্ধতি ২

ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রন ও মুখের কালো দাগ দূর করুনঃ ব্রন ও মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য মানুষ কতকিছুই না করে।
এই ফরমূলাটাও একবার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। রোজ শাক-সবজি আর মওসুমী ফল খেতে হবে পর্যাপ্ত রিমানে। ২ চামচ বেসন, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ কমলার খোসা বাটা একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার এটা মুখে, ঘাড়ে মাখিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপেল এবং কমলার খোসা একসাথে বেটে এর সাথে ১ চামচ দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং কমলার রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। পাকা পেঁপের শাঁস মুখে মেখে নিন।
১ চামচ পাকা পেঁপের শাঁস ও ১ চামচ শশার রস মুখে মেখে নিন। ত্বক উজ্জ্বল হবে। ব্রণ থাকাকালীন মুখমন্ডলের ত্বকে কোন তৈলাক্ত পদার্থ ও ক্রিম লাগাবেন না।একটি ডিম, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, একটি গোটা লেবুররস ভালো করে মিশিয়ে নিন, এটি নখ, গলা, হাত ও ঘাড়ের কালো ছোপে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের দাগ, হাত, ঘাড়ের কালো ছোপ ইত্যাদি সেরে যাবে। আধাপাকা চিনির সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে সারাগায়ে মেখে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে এটিকে ঘষে তুলে ফেলুন। এবার সামান্য গরম পানিতে ভালো করে গোসল করে নিন। সপ্তাহে একবার করবেন। এতে শরীরের ত্বক মসৃণ থাকবে। ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

পদ্ধতি ৩

ভেষজ উপায়ে ত্বকের দাগ দূর করতেঃমুখের কালো-সাদা ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণ বা মেছতার দাগ চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। আমরা নানা প্রসাধণী এবং উপকরন ব্যবহার করি এসব দাগ দূর করার জন্য। আজকে আসুন দেখে নিই মুখের দাগ দূর করার ভেষজ কিছু পদ্ধতি।
• মুখের কালো ছোপ দূর করতে ১ চা চামচ ধনিয়া পাতার রসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পেতে শুরু করবেন।
• যাদের মুখে মেছতার দাগ আছে তারা ১ চা চামচ সাদা জিরা গুঁড়া, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ চা চামচ সরিষা গুঁড়া ও ১ চা চামচ আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতার দাগে লাগান। বিশ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• আপনার মুখে যদি ব্রণের দাগ থাকে, তাহলে প্রতিদিন গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যাবে।
• মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে গেলে সেই ছাপ কাটাতে চন্দন বাটা, তুলশি বাটা, গোলাপজল মিশিয়ে গলায় ও মুখে লাগান। দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হয়ে গেছে...........

বি:দ্র: তবে যে কোনো সৌন্দর্যপ্রসাধনী ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শনেয়া ভালো।

যেকোন শারীরিক সমস্যার পরামর্শ পেতে পারেন এখন অনলাইনেই এবং বিনামূল্যে। https://www.facebook.com/DoctorFatemaAkter এই পেইজে লাইক দিন এবং ইনবক্সে আপনার সমস্যার কথা জানান। সে সাথে নিয়মিত পাবেন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্যের টিপস্‌। এই উদ্যোগটির কথা জানাতে নিজে লাইকদিন এবং অন্যদের জানাতে শেয়ার করুন।

Address

Kuliarchor Upojela Shastho Complex
Kishoreganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Fatema akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category