
24/05/2025
সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে ১৬৫২ খ্রিস্টাব্দে পাকুন্দিয়ার এগারসিন্দুরে ঐতিহাসিক এই অপূর্ব সুন্দর সাদী মসজিদটি নির্মিত হয়। পোড়ামাটির অলঙ্করণে সমৃদ্ধ এই মসজিদটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি। এ ধরনের টেরাকোটা মসজিদ সত্যি বিরল।
কিশোরগঞ্জের পুরাকীর্তির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ সাদী মসজিদ। বর্গাকৃতির এ মসজিদটির প্রত্যেক বাহু ২৭ ফুট দীর্ঘ। মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট চারপাশে চারটি বুরুজ আছে এবং বুরুজ গুলি ছোট গম্বুজ ও ফিনিয়েল দ্বারা আবৃত। বক্রাকারে কার্নিশ প্রাক মুঘল যুগের ইমারত কে স্মরণ করিয়ে দেয়। বহু পত্র বিশিষ্ট পূর্ব দিকের প্রধান খিলান ও আকর্ষণীয় এই কেন্দ্রীয় প্রবেশপত্র টি অপেক্ষাকৃত বড় এবং বাইরের দিকে অপেক্ষাকৃত ছোট। প্রবেশ পথগুলির চারদিকে পোড়ামাটির চিত্র ফলকের কাজ রয়েছে এবং প্রধান দরজার দুপাশে অপূর্ব সুন্দর ভাবে পোড়ামাটির নকশাকৃত ফলকদ্বারা কারুকার্যমন্ডিত।
ভিতরে মেহরাব তিনটি অনিন্দ্য সুন্দর। মূল মেহরাবটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং পোড়ামাটির চিত্রফলক এর সাহায্যে সুনিপুণভাবে অলংকৃত। মুঘল শাসন আমলে সুবা বাংলায় শান্তি স্থাপনের পর পোড়ামাটির অলংকরণ আবার পুনরুজ্জীবিত হয়, এর অলংকরণ তাই প্রমাণ করে।
মূল মেহরাবের আয়তাকার ফ্রেমটি উপরের দিকে কিছুটা বাঁকানো। পোড়ামাটির ফলকচিত্র তিন দিকে পত্রাকারের খিলানটির বাইরের দিকে সুন্দর ভাবে খাজকাটা।
উপরের দিকে রয়েছে ফুলের প্রতিকৃতি, খাঁজ কাটা অংশে নিচের দিক সুন্দর প্যানেল দ্বারা সজ্জিত। অন্য দুটি মেহারাব ও সুন্দরভাবে অলংকৃত। এগুলোয় সুলতানি আমলের স্থাপত্য কৌশল লক্ষ্য করা যায়।
© Pakundia Upazila, Kishoreganj - পাকুন্দিয়া উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।