
23/12/2022
কোল অ্যালার্জির সমস্যাতে আপনি যেকোনো সময়েই ভুগতে পারেন। তবে শীত আসার এই পরিবর্তিত সময়তে মানুষ বেশি এমন অ্যালার্জিতে বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
যদি আপনি পরিবর্তিত আবহাওয়ার জন্য অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন তবে এ সময় আপনি ত্বকে কিছু পরিবর্তন লক্ষণ করবেন।
ত্বকের শুষ্কতার পাশাপাশি অনুভব করবেন চুলকানিও। শীতে সর্দি-কাশির পাশাপাশি বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যাও। এসময় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আর ধূলিকণার কারণে অ্যালার্জির পাশাপাশি আপনার হতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও।
অ্যালার্জি বা কোল্ড অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে আপনার মধ্যে আরও যে উপসর্গগুলো দেখা যাবে সেগুলো হলো ঘন ঘন হাঁচি, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কানে অস্বস্তি, চোখে জ্বালা ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হালকা জ্বর, ত্বকে সংক্রমণ ইত্যাদি।
হঠাৎই এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গেলে লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। শরীরে অ্যালার্জি বেড়ে যায় এমন খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশি সময় ধরে গোসল করা যাবে না।
কোল্ড অ্যালার্জিতে স্বাভাবিক পানিতে গোসল করার পরও শরীরের অনেক অংশ লাল বর্ণ হতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে পানিতে হালকা একটু গরম পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। পানিতে দীর্ঘ সময় হাত ডুবিয়ে রাখতে পারবেন এবং হালকা আরাম অনুভব করবেন এমন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস থাকলে তা বদলে ফেলুন। হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যায় অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাড়ির ভেতর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ বা সূর্যের আলো ঢোকার সুযোগ না পেলে অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যায় রোগীর। বাড়িতে রাখা কার্পেট, পোষ্যর লোম থেকেও অ্যাালর্জি হতে পারে। তাই সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
ধুলাবালি কিংবা ঘরে কীট পতঙ্গের উপদ্রব বেশি থাকলে সেগুলো উপদ্রব বন্ধ করতে চেষ্টা করতে হবে। শীতের পোশাক বা কম্বল , লেপ এ জাতীয় পোশাক আলমারি থেকে বের করেই ব্যবহার করতে শুরু করবেন না।
এতে ত্বক সংক্রমণ হয়ে অ্যালার্জির সংক্রমণ আরও বেড়ে যায়। তাই এসব পোশাক ব্যবহার করার আগে ভালো করে রোদে গরম করে ব্যাকটেরিয়া দূর করে তবেই ব্যবহার করুন। এসব নিয়ম এখন থেকেই মেনে চললে এই শীতেও আপনি থাকতে পারবেন অ্যালার্জিমুক্ত।