
01/08/2025
✔️🛀আহা কতই না সহজে রোগ সারায় হোমিওপ্যথি:~
(ইমারজেন্সি অবস্থায় হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন)
আজীব আপনারা দেখেছেন বা শুনে আসছেন,পড়ে আসছেস পত্র-পত্রিকায় “হঠাৎ মৃত্যু”। কারণ দেখা যায় হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়ে মৃত্যু। না হয় ২/১ বার বমি বা পাতলা মলত্যাগ করার পরে সর্ব শরীর ঠাণ্ডা হয়ে ১ থেকে দেড়ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটে। পরিস্থিতি এমন হয় যে, ডাক্তার ডাকার সময় পাওয়া যায় না। তাড়াহুড়া করে হাসপাতলে নেয়ার পরে ডাক্তার বলে দেন রোগী অনেক আগেই মারা গেছেন। এমন মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
🍁এমন মুহূর্ত কার কখন আসবে, কারো জানা নেই। তাই সচেতন নাগরিক মাত্রেরই এমন একটি মুহূর্তের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। এছাড়াও দেখা যায়, হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপ জনিত ব্রেনে রক্তক্ষরণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। যাহা এত দ্রুততার সাথে ঘটে যায় যে, ডাক্তার ডাকার সময় পাওয়া যায় না। এমন মুহূর্তের জন্য কিছু ঔষধ বা শ্রুষা জানা থাকলে অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অবশ্য পক্ষাঘাত হলে তার চিকিৎসা হয় এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। মূলত রক্তচাপ হাই-লো হওয়ার মূলে হৃৎপিণ্ডে সমস্যা, হৃদযন্ত্রের সঠিক চিকিৎসা হলে জীবন ভর প্রেসারের ঔষধ বহন করতে হবে না।
ঘটনা-১
চরম মুহূর্তগুলো এবং প্রস্তুতি : হঠাৎ বুকের বাম দিকে ব্যথা শুরু হয়। গলা শুকিয়ে যায়। বাম হাতটা অবশ হয়ে যায়। ক্ষণিকের মধ্যে বুকের ব্যথা বেড়ে যায়। এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটায়। এ মুহূর্তে বেলেডোনা-২০০, ৫ মিনিট অন্তর ২/৩ মাত্রা সেবনে সমূহ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
ঘটনা-২
আবার কখনো দেখা যায়, রক্তচাপ
বেড়ে গেলে মাথা ঘুরাইয়া ২/১ বার বমি করে রোগী হিম হইয়া যায়, কোন কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই রোগীর মৃত্যু ঘটে। এমনও হতে পারে ২/১ বার পাতলা মল ত্যাগের পরে রোগী হিম হইয়া যায় এবং সামান্য সময়ের মধ্যে মৃত্যু ঘটায়। এরূপ অবস্থায় ২/৩ মাত্রা ক্যামফার-৩০ বা ২০০,রোগীর জীবন রক্ষা করতে পারে।
এরূপ পরিস্থিতির জন্য প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তির হাতের কাছে বেলেডোনা ও ক্যামফার রাখা অবশ্য কর্তব্য।
ঘটনা-৩
এ ছাড়া রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় মাথার পিছনটা ব্যাথা করে, হাতের তালু গরম, পায়ের তালু ঠাণ্ডা। এমন অবস্থায় আর্নিকা CM , ১ মাত্রা নিমিষেই আপনাকে সুস্থ করে দিবে। এমন অবস্থায় ওষুধ হাতের কাছে না থাকলে সহ্য মতো গরম পানিতে পায়ের টাখনু গীরা পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখলে ৫/৭ মিনিটের মধ্যে রোগী সুস্থ হবে। ইনশা-আল্লাহ। অনেককে এমন অবস্থায় মাথায় ঠাণ্ডা পানি ঢালতে দেখা যায়। এটা ঠিক নয়।
ঘটনা-৪
আরো কিছু ঔষধ ঘরে রাখা উচিত। রান্না-বান্নার সময় মা-বোনদের হাত পুড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তখন ক্যন্থারাইস-Q, ২/৪ ফোঁটা সম-পরিমাণ পানিসহ পোড়া স্থানে লাগালে সাথে সাথে জ্বালা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। ফোস্কা পড়বেনা।
🩺আরো কিছু জরুরি হোমিও ঔষধ -
আঘাতে থেতলে গেলে আর্নিকা-২০০, ২/৪ মাত্রা সেবনে ব্যথা চলে যাবে।
🩺পায়ে পেরেক ডুকলে বা মৌমাছি, ভিমরুল বা বিষাক্ত পোকামাকডে কামড় দেওয়ার পর ব্যথা হলে লিডাম ২০০ দুই থেকে তিন মাত্রা খাইয়ে দিবেন ব্যথা চলে যাবে।
🩺আহারের সময় গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে এনাগেলিস- ৩০ বা ২০০ ১ডোজ ১৫ মি পর পর ৩ ডোজ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। ইনশাআল্লাহ সকালে কাঁটা থাকবে না।
🩺সামান্য ঠাণ্ডায় গলা ব্যথাসহ সর্দি, কাশি, জ্বর দেখা দিলে একোনাইট-৩০ বা ২০০, ২/১ মাত্রায় সুস্থতা আনবে। সামান্য ব্যাপারে ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হবে না।
🩺বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা বা শরীরব্যথা দেখা দিলে রাস টক্স ৩০ বা ২০০ কয়েক মাত্রা খেয়ে নিন, জ্বর বা অন্যান্য সমস্যা চলে যাবে।
👉শেয়ার করে রেখে দিন কাজে
দেবে।
সংগৃহীত পোস্ট