
01/02/2023
লজ্জা নয় জানতে হবে পাইলস হলে কি করবেন ?
পাইলস :- পাইলস অতি পরিচিত একটি রোগ। এটাকে বলা হয় সভ্যতার রোগ। অর্থাৎ এই রোগটি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শহরে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত লোকদের মাঝেই বেশি দেখা যায়। তার প্রধান কারণ তাদের জীবন-যাপন পদ্ধতি যেমন কমপানি, কম শাকসবজি, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং সময়মতো মলত্যাগ না করা। উপরের উল্লিখিত জীবনযাপনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায় এবং মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত প্রেসার দিতে হয়। ফলে মলদ্বারের চারদিকে রক্তনালী ও মাংসপিণ্ড ফুলে গিয়ে পাইলস সৃষ্টি করে।
পাইলসের উপসর্গ
১. গর্ভাবস্থায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। ২. পায়খানার সময় বিশেষ করে কষা পায়খানার সময় পাইলসের রক্তনালী ছিঁড়ে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়। ৩. পায়খানার সময় ব্যথামুক্ত, টাটকা রক্তক্ষরণই পাইলসের প্রধান ও প্রাথমিক লক্ষণ। তবে ধীরে ধীরে চিকিৎসার অভাবে এই রোগ জটিল আকার ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন :
ক. পাইলস মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসা,
খ. বের হওয়ার পর ভেতরে প্রবেশ না করা
গ. ব্যথা ও ইনফেকশন দেখা দেয়া ইত্যাদি
পাইলস হলে চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কি?
৪০ বছর বয়সের উপরে ৬০ শতাংশ লোকের মলদ্বার পরীক্ষা করলেই পাইলস দেখা যাবে। সৌভাগ্যের বিষয় সবারই চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। কোনো উপসর্গ বা জটিলতা দেখা না দিলে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
কখন এবং কী চিকিৎসা করবেন?
উপসর্গ বা জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসা অতীব জরুরি।
প্রাথমিক পর্যায় অর্থাৎ শুধু শক্ত পায়খানার সময় ব্যথামুক্ত রক্তক্ষরণ হলে
পায়খানা নরম বা নিয়মিত রাখুন, প্রয়োজন হলে ইসবগুলের ভুসি বা লেকজেটিভ খান, প্রচুর পানি ও শাকসবজি খান, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন এবং নিয়মিত মলত্যাগ করুন।