
30/04/2025
Infertility & Subfertility
বন্ধ্যাত্ব এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা—
বিবাহ হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যমে নতুন মেহমান আসবে! পরিবারের অন্য সদস্যরা এই আশায় অপেক্ষমাণ থাকেন। কিন্তু কোনো কারণে সন্তান না হলে বা বিলম্ব হলে পরিবারের লোকদের চিন্তা আর মন্তব্যের শেষ থাকে না।
২০০০ সালের দিকে আমার এক বন্ধু আমার কাছে এমনই সমস্যা নিয়ে এসেছেন, তিনি বললেন— "ইব্রাহিমের মায়ের কলা পড়ায়ও কাজ হলো না!" কথা শুনে হাসলাম! আলহামদুলিল্লাহ; তার মেয়ের কোলের নাতনি নিয়ে এসেছেন চিকিৎসার জন্য!!
গ্রামের মানুষ বেশিরভাগ সময়ই খোনার, তাবিজ, কবিরাজ-ওঝা, কালের দৃষ্টি সহ নানা ধরনের চিন্তা এবং চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন। মূলত নারী বা পুরুষ অথবা উভয়ের শারীরিক নানান ত্রুটির কারণে গর্ভধারণ হয় না। উপযুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ধারণ করে সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারলে গর্ভধারণ নিশ্চিত হতে পারে।
আমার চিকিৎসা জীবনে এমন কিছু রোগী পেয়েছি এবং চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। অনেকেই মা-বাবা হয়েছেন এবং সন্তুষ্ট আছেন।
এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের সমস্যা দেখা যায়।
প্রথমত, যারা কখনোই গর্ভধারণ করেননি। আবার কারো একটি বা দুটি বাচ্চা হওয়ার পরে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আর গর্ভধারণ হচ্ছে না। উভয়ের ক্ষেত্রেই চিকিৎসা একই রকম।
পুরুষের ক্ষেত্রে সিমেন অ্যানালাইসিস করলে যদি কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়, তাহলে তিনি তার যথাযথ চিকিৎসা নেবেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানযোগ্য।
নারীর ক্ষেত্রে জরায়ু, ওভারি, টিউব, সার্ভিক্সসহ প্রজনন যন্ত্রের নানান পর্বে অসুবিধা থাকতে পারে। অসুবিধা শনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসা কঠিন নয়।
পরীক্ষায় সাধারণত যে সকল সমস্যাগুলো পাওয়া যায় এবং যেগুলো গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বাধা হিসাবে কাজ করে, তা হচ্ছে—
বয়সের পাশাপাশি জরায়ু পরিপক্ব না হওয়া,
ওভারিতে সিস্ট, টিউমার, পলিসিস্টিক ওভারি,
ফ্যালোপিয়ান টিউবের অবস্ট্রাকশন,
সার্ভিক্সের ইনফেকশন, জরায়ুতে টিউমার,
মাসিকের অনিয়ম, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া—
সহ স্বামী এবং স্ত্রীর নানান ত্রুটির কারণে গর্ভধারণ হয় না।
ত্রুটিগুলো নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা নিতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই গর্ভধারণ হতে পারে। আমরা ভালোই আশা করি।
পরবর্তী পর্বে উপকৃত কিছু রোগীর বক্তব্য পেশ করার জন্য চেষ্টা করবো।
আশা করি সাথেই থাকবেন,
ধন্যবাদ।