Ayaat Ruqyah Center

Ayaat Ruqyah Center রুক‌ইয়াহ্ শর‌ঈয়াহ্।
আমরা রোগী দেখি ঢাকা ও লক্ষ্মীপুরে।
01743655555 We also provide Ruqyah Service!

Our hijama therapy clinic offers traditional cupping therapy to promote healing and wellness. Our experienced practitioners use the latest techniques and equipment to perform hijama therapy safely and effectively. We offer a variety of hijama therapy services, including dry cupping, wet cupping, and massage cupping. Our goal is to help our clients alleviate pain, reduce stress, and improve overall health and well-being. At our hijama therapy clinic, we prioritize hygiene and safety, using only sterile equipment and following strict protocols to prevent infection and ensure optimal results. We also offer personalized consultations to determine the best treatment plan for each client's unique needs. We are dedicated to providing high-quality hijama therapy services in a welcoming and comfortable environment. Let us help you restore balance and vitality to your body and mind through the ancient practice of hijama therapy. Ruqyah is a spiritual Islamic practice that involves reciting Quranic verses and supplications for the purpose of seeking protection and healing from physical, mental, and spiritual illnesses. It is a form of prayer that is believed to have the power to ward off evil and bring about blessings and good health. Ruqyah service refers to the practice of providing professional assistance to individuals seeking healing through the recitation of Ruqyah. Practitioners of Ruqyah service typically specialize in identifying the root causes of an individual's illness and perform a specific recitation or supplication to address the issue. This practice requires a deep understanding of Islamic scripture and theology, as well as an ability to connect with clients and provide spiritual guidance and support. Ruqyah service can be offered through one-on-one sessions, group gatherings, or online consultations. It is often considered an alternative or complementary therapy to medical treatment, and individuals seeking Ruqyah service are advised to also seek medical advice from qualified healthcare professionals.

28/08/2025

দোয়া কবুলের গল্পঃ

আমার একটা ২ বছর বয়সের নাতনি আছে যার চোখে ক্যা-ন্সার। একটা চোখ রিমুভ করা হয় তারপর ক্যা-ন্সার অন্য চোখে ছড়িয়ে যায়। একজন আমাকে ইস্তিগফারের কথা বলে। আমি অনেক বেশি সংখ্যক ইস্তিগফার করি। আপনি ভাবতেও পারবেন না কতো বেশি।
সে তার পরবর্তী ট্রিটমেন্টের জন্য ডাক্তারের কাছে যায় এবং এই শুভ সংবাদ নিয়ে ফিরে আসে যে তার চোখে আর ক্যান্সার নেই। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ দয়ালু। ইস্তিগফার চালু রাখুন। আল্লাহ আমাদের সব বিপদ দূর করে দিন।

- সংগৃহীত

23/08/2025

পুরুষদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা হয়ে থাকে তা হচ্ছে تعطيل الرزق বা রিযিকের ক্ষেত্রে বাধা..এর বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে...লক্ষণ থেকে ৩-৪ টা যদি আপনার সাথে মিলে তাহলে রুকইয়াহ করা উচিৎ।

১-যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও আগাতে না পারা।

২-আয়ের ক্ষেত্রে বারাকাহ না পাওয়া (একদিক দিয়ে টাকা আসা আরেকদিক দিয়ে চলে যাওয়া)।

৩-প্রত্যেকটা কাজ হয়ে যাবে এমন মুহূর্তে গিয়ে আর না হওয়া।

৪-সহজ কাজও অনেক বেশি বিলম্ব হওয়া।

৫-স্বপ্নে পরীক্ষা দিতে দেখা... হলে যেতে লেইট হয়ে যাচ্ছে অথবা পরীক্ষায় লিখতে না পারা।

৬-স্বপ্নে কোন কিছু তাড়া করলে সবাই চলে গেলেও পেশেন্ট যেতে না পারা অথবা জোরে দৌড়ালেও আগাতে না পারা।

৭-কনফিডেন্স লেভেল কমে যাওয়া, অলসতা-ভয় বেড়ে যাওয়া।

৮-দায়িত্বকে (চাকরি, ব্যবসা, সংসার) বোঝা মনে হওয়া।

৯-কোন কোর্সে এনরোল করলে কন্টিনিউ করতে না পারা।

১০- নির্দিষ্ট কাজ,ব্যবসা অথবা চাকরি করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।

18/08/2025

মাত্র ফিরলাম আইসিউ থেকে। ধানমণ্ডির ইবনে সীনায় এক বোন ভর্তি। বয়স অনেক কম, মাত্র ২৪। আইসিউতে আছেন, কোমায়। গ্লাসগো কোমা স্কেলে তার স্কোর ৪। যেই অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস বা হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা বজায় রাখতে যান্ত্রিক সহায়তার প্রয়োজন হয়। যক্ষ্মা ধরা পড়ে মাস দুই আগে। যা তার পুরো ব্রেইনকে যথেষ্ট ড্যামেজ করে ফেলেছে। যেটাকে টিবি ম্যানিনজাইটিস বলে। কিছুদিন হচ্ছে কোনো ওষুধই কাজ করছে না। আইসিউর এক ডাক্তার তাদের বললেন হুজুর দেখায়ে যদি কিছু করা যায়। আল্লাহর কালামে যদি আল্লাহ কিছু রাখেন..!!!

শুরুটা এই মেয়ের এত গুরুতর কিছুই ছিলো না। শুধুমাত্র গত তিন বছর ধরে পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে যেত। স্বপ্নে ভয়ানক জিনিস দেখতো, সাপের ডিম ফুটে সাপ আসতেছে, সেটা স্বপ্নে খেতে দেখতো; একজন জিনগ্রস্থ হলে যা যা লক্ষণ তার কিছু মিলতো।

ইন্টারমিডিয়েটের সময় একদিন মাঠের মধ্যে পড়ে যায়, আর উঠতে পারে না। পুরো শরীরে জড়তা চলে আসে। কোলে নিয়ে হসপিটালে নেয়া হয়, যতটুক টেস্ট করা হয়েছে রিপোর্ট ভালো। এরপর যান কবিরাজের কাছে। কবিরাজ ঝাড়ফুক করে দিলো জিনের মাধ্যমে। ফোনে নাকি ফু দিয়ে দিয়েছে। এরপর একদম সুস্থ হয়ে গেলো।

এক বছর পর...

আবারও একই সমস্যা। সেটাও এডমিশনের সময়। আবারও পুরো শরীর Numb হয়ে আসে। ডাক্তার ভর্তি রাখলো, আবারও সমস্ত রিপোর্ট নর্মাল। এবার যায় আরেক কবিরাজের কাছে। মহিলা কবিরাজ। সে বলে দেয় প্যারানর্মাল কি কি সমস্যা, কঠিন বান মারা আছে নাকি(!) ফুল দেয়, দুধ দেয়; এসব দিয়ে গোসল করতে হবে, নদীর পানি দেয় খাওয়ার জন্য। এরপর আবার সুস্থ হয়, একেবারে উঠে দাঁড়ায়। ডাক্তারের কাছে অসাড় অবস্থায় আসলে ডাক্তার সিট আপ করালেন, ঠিকমত করতে পারায় ডাক্তারও বললেন কোনো সমস্যা নেই। বিশ্বাস টা এবার দৃঢ় হয় এটা অবশ্যই জিন-জাদুর সমস্যা।

আবারও এক বছর পর একই সমস্যা হয়। খিচুনী আসে, শরীরে জড়তা এমন ভাবে আসে যে একেবারেই নড়াচড়া থাকে না হাত-পায়ের। এবার যায় এক এলোপ্যাথি (!) ডাক্তারের কাছে। সে যা মেডিসিন দেয় তা আগের ডাক্তারদের মতই, তবে সে নাকি ঝাড়ফুকও করে জিন দিয়ে। তার অধীনে জিন আছে। সে তার মত ঝাড়ফুক করে দিলো বেশ কয়েকবার। উন্নতি-অবনতির মাঝে সে বলে দিলো এটা খুব জটিল সমস্যা। এটা সে চিকিৎসা করতে পারবে না। কিন্তু যতবারই এমন হয় ডাক্তার কোনো রোগই শনাক্ত করতে পারে না।

রোগীর অবস্থা এদিকে সিভিয়ার হতে থাকে। রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসে। কিছুদিন পর ধরা পড়ে যক্ষ্মা, যক্ষ্মা মেনিনজাইটিস তার ব্রেইনকে অলরেডি শেষ করে দিতে থাকে। এরপর কোমায়। আজ দুই মাস।
আজকেই ডাক্তার ৭ বার বলে গেছে রোগী বাচবে না, আপনারা প্রস্তুত থাকেন। সাধারণতই বেচে থাকার কথাও না।

(পরদিনই সকালে অই বোন মারা যায়। হার্ট বীট স্টপ হয়ে যায়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

আমি এখানে কোনো বিচার করব না। তবে এই বোনের শুরুর দিকগুলো ভাবলেই বুঝা যায় তিনি জিনগ্রস্থ ছিলেন। এবং আমি বলবো শারীরিক অবস্থার করূণ পরিণতির পিছনে দায়ী জিন আর তার অভিভাবক যেসব কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছে তাদের কুফরি চিকিৎসা। যদিও সেই চিকিৎসাতে সাময়িক অর্থাৎ এক বছর সুস্থ ছিলো। কিন্তু এসবে ভিতরে ভিতরে খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করতে থাকে।

রাসূল ﷺ বলেন,

أكثر من يموت من أمتي بعد قدرة الله و قضائه بالعين

"আমার উম্মতের অধিকাংশ মানুষ যারা আল্লাহর কুদরত ও তাক্বদীরের পর মৃত্যুবরণ করবে, সেটা হলো বদনজর"

এবং এই বদনজর অনেক ক্ষেত্রেই শরীরে পজেস করে থাকা জিনের বদনজরও হয়।

_ابو عبد الله

06/08/2025

ফকির থেকে কোটিপতি হওয়া সম্ভব শুধু ইস্তিগফার দিয়ে।

ঢাকায় এক গরীব তরুণ। পরিবারে অভাব, সংসারে টানাটানি, কাজ করে কোনোমতে দিন চলে। অনেক চেষ্টা করেও তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না।

একদিন সে তার এলাকার এক বুড়ো আলেমের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে বললো, “হুজুর, আমার কপালে কি কোনোদিন টাকা আসবে না?”

বৃদ্ধ আলেম তাকে বললেন, “বেটা, তুই বেশি কিছু করিস না। আল্লাহর কাছে মাফ চা, বেশি বেশি ইস্তিগফার কর। দিন-রাত আস্তাগফিরুল্লাহ বল। দেখবি আল্লাহ রাস্তা খুলে দিবেন।”

রফিক সেইদিন থেকে নিয়ত করলো — প্রতিদিন অন্তত ১০০০০ বার “আস্তাগফিরুল্লাহ” পড়বে। শুরু করলো কঠোরভাবে আমল।

৩ মাস পর একদিন তার এক আত্মীয় তাকে একটি ছোট ব্যবসার কথা বললো পুরনো মোবাইল ফোন কেনাবেচা। সে ধারদেনা করে খুব সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করলো। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ব্যবসা চলতে শুরু করলো, মুনাফা বাড়তে লাগলো।

কিছুদিন পর সে বড় পরিমাণে মোবাইল আমদানি শুরু করলো, পরে শোরুম খুলে ফেললো। শুধু তাই না, ইস্তিগফারের আমল ছাড়েনি একদিনের জন্যও। ৫ বছরের মধ্যে সে হয়ে উঠলো একটি মোবাইল শোরুম চেইন ব্র্যান্ডের মালিক। এখন সে কোটিপতি, গাড়ি-বাড়ির মালিক।

সেই তরুণ সবসময় বলে, “আমি ব্যবসার কলাকৌশল জানতাম না। শুধু ইস্তিগফারের বরকতেই আমার কপাল খুলেছে। ইস্তিগফার মানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া আর তাঁর কাছে রিজিক খোলা চাওয়া।”

মূল শিক্ষা:

১. ইস্তিগফার আল্লাহর কাছে রিজিক চাওয়ার এক মহাঅস্ত্র।

২. অভাব-অনটনে বেশি বেশি ইস্তিগফার করলে আল্লাহ এমনভাবে রাস্তা খুলে দেন, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।

৩. ইস্তিগফারের সাথে চেষ্টা-পরিশ্রম ও ধৈর্য রাখতে হয়।

লিখা : সংগৃহীত

যাদুর রোগীদের স্বপ্নে কিছু খেতে দেখা একটা কমন ও জটিল সমস্যা, তাঁর জন্য আমরা সুস্থতার দোয়া করতে বলি এবং  যাদুকর ও তাঁর স...
05/08/2025

যাদুর রোগীদের স্বপ্নে কিছু খেতে দেখা একটা কমন ও জটিল সমস্যা, তাঁর জন্য আমরা সুস্থতার দোয়া করতে বলি এবং যাদুকর ও তাঁর সহযোগীদের বদদোয়ার জন্য বলি, যা খুবই ইফেক্টিভ, ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থতা দান করুক, পেরেশানি মুক্ত জীবন দান করুক।

29/07/2025

যেই যাদুগুলো বেশি প্র‍্যাক্টিস করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে "পাগল বানানোর যাদু"।

পবিত্র কুরআনুল কারিমে সূরা বাক্বারা'র ২৭৫ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ইরশাদ করেন "তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়।"

এই আয়াত থেকে একটা উসুল খুব ভালোভাবেই বুঝা যায় আর তা হচ্ছে "জ্বীন দ্বারা মানুষ পাগল হয়"।

পাগল বানানোর যাদুর ক্ষেত্রে যেসব লক্ষণ থাকে...

★রাতে ঘুমাতে না পারা।
★প্রচুর ভয় পাওয়া এবং ভীতিকর স্বপ্ন দেখা।
★প্রচুর পরিমাণে ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া।
★মাথা কাজ না করা (সহজ বিষয়ও বুঝতে কষ্ট হওয়া)।
★মাঝেমধ্যেই পাগল হয়ে যাবো এমন মনে হওয়া।
★বাড়ি থেকে দৌড়ে বের হয়ে যেতে ইচ্ছা করা।
★অল্পতেই ভুলে যাওয়া।
★ কোন কাজ ধীরস্থিরভাবে করতে না পারা।
★প্রচন্ড অস্থিরতা।
★অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা।

এখান থেকে ৩-৪ টা লক্ষণ মিললে অবশ্যই রুকইয়াহ করা প্রয়োজন।

©

21/07/2025

চার বস্তু শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে:-
=========================
১. গোশত খাওয়া।
২.সুগন্ধির ঘ্রাণ নেওয়া।
৩. অধিক গোসল।
৪. সুতার কাপড় পরিধান করা।

পাঁচ বস্তু দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে
=======================
১. কা’বার দিকে তাকিয়ে থাকা।
২. ঘুমানোর পূর্বে সুরমা ব্যবহার করা।
৩. সবুজ প্রকৃতি দেখা।
৪. পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় বসা।
৫.অধিক পরিমাণে কোরআন তেলওয়াত করা।

চার বস্তু বিবেক বৃদ্ধি করে:
=====================
১. অনর্থক কথা-বার্তা ত্যাগ করা।
২. দাঁত পরিস্কার রাখা।
৩. নেককারদের মজলিশে বসা।
৪. উলামাদের শংস্পর্শ অবলম্বন করা।

চার বস্তু রিযিক বৃদ্ধি করে
=====================
১. নিয়মিত তাহাজ্জুদ।
২. অধিক পরিমাণ ইস্তেগফার।
৩. অধিক পরিমাণ সদকা।
৪. অধিক পরিমাণ যিকির।

আল্লাহতায়ালা এসকল মহামূল্যবান উপদেশ আমাকে ও সবাইকে বোঝার এর ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন।

21/07/2025
17/07/2025

❝কুরআন বাজিয়ে রাখা আর তিলাওয়াত শোনা এক জিনিস নয়❞

আমাদের অনেকেই ঘরে মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভিতে ইউটিউব থেকে কুরআন তিলাওয়াত ছেড়ে রাখেন—ভাবেন যেন রুকইয়াহ হচ্ছে, ঘরে বরকত হচ্ছে, সওয়াব মিলছে।

কিন্তু এটা কি আসলেই হচ্ছে? না গুনাহ হচ্ছে?

আসলে, কুরআন তিলাওয়াতের আদব হলো—মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং চুপ থাকা।

আল্লাহ তাআলা বলেন, "আর কুরআন তিলাওয়াত করা হলে, তোমরা মনোযোগসহ শ্রবণ করো এবং নীরব থাকো—যাতে তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও।" — সূরা আ'রাফ, আয়াত ২০৪

এখানে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন—শুধু চালিয়ে রাখলেই হবে না, মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।

কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখি— কুরআন চলছে অন্যদিকে,

কেউ রান্না করছেন, কেউ অন্য কোনো কাজ করছেন, কেউ ফোনে কথা বলছেন, কেউ ল্যাপটপে কাজে ব্যস্ত , এমনকি কেউ ওয়াশরুমে গেলেন—তাও কুরআন তিলাওয়ার অডিও বাজছেই।

এই অবস্থায় তিলাওয়াত শোনা তো দূরের কথা, বরং আদব লঙ্ঘন হচ্ছে।
ফলাফল বরং বেয়াদবি হচ্ছে কুরআনের সাথে।

এটা উল্টোও হতে পারে গুনাহ এবং রহমত থেকে বঞ্চনার কারণ। ওয়াল্লাহু আলাম।

কুরআন শোনা মানে কানে কেবল শব্দ যাওয়া না, মন ও মনোযোগ দিয়ে শোনা। যখন আপনি ব্যস্ত, তখন কুরআন না চালানোই উত্তম।
তিলাওয়াত শুনতে চাইলে—বসে শুনুন, মনোযোগ দিন, হৃদয়ে গ্রহণ করুন।

কুরআন তিলাওয়াত একটি ইবাদত, একে শোনাও একটি ইবাদত। —একে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বানিয়ে ফেলবেন না।

© শাহ্ মোহাম্মদ তন্ময় ভাই

17/07/2025

রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেন,


তিন ব্যক্তির নিকট হতে আল্লাহ্ ফরয নফল কিছুই গ্রহণ করবেন নাঃ

( ০১ ) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান,

( ০২ ) দান করে প্রচারকারী এবং

( ৩ ) তক্বদীর অস্বীকারকারী ব্যক্তি।

"

[ ত্বাবারানী ৭৫৪৭, সহীহুল জামে ৩০৬৫ নং ]

08/07/2025

জিন-জাদুতে আক্রান্ত রোগীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে নাসীহা (সকল পর্ব একসাথে)

জিন-জাদুতে আক্রান্ত পেশেন্টদের অভিভাবকদের মাঝে কিছু এমন বিষয় আছে যা থাকলে ঐ রোগীর ঝামেলা পরিবারে ছড়িয়ে পরে ও এরা হয়রান হতেই থাকে। যতক্ষণ তাঁরা ঐ বদগুণগুলো দূর করবে না ততক্ষণ তাঁদের মুক্তিও মিলবে না। আর মুক্তি মিললেও সেটা সাময়িক পরবর্তী ধাক্কা হবে খুবই ভয়াবহ ও কঠিন।
বিষয়গুলো হলো

১। অস্থিরতা

রোগীর অভিভাবক অস্থির হলে চিকিৎসকেও অস্থির করে তুলবেই। অথচ চিকিৎসক আরো রোগীদের বিষয় নিয়ে কাজ করছে। বরং অস্থির না হয়ে কঠিন বিপদ অস্থিরতা ও পেরেশানিতে আল্লাহর সাহায্য লাভে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো ছোট্ট দোয়াটি ছিল এমন-
اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوَرَاتِنَا ، وَآمِنْ رَوَعَاتِنَا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাসতুর আওয়ারাতিনা ওয়া আমিন রাওয়াআতিনা।’ (মুসনাদে আহমদ)
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সব দুর্বলতাকে ঢেকে দিন এবং আমাদের অস্থিরতাকে স্থির করে দিন।’

২। ইবাদাতে অলসতা

ইবাদাতে অলসতা হলো আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও শয়তান জিনের শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যম। তাই ইবাদাতে অলসতা থাকলে দুআ ও প্রচেষ্টা দিয়ে ঠিক করুন।
কারন আল্লাহ তাআলা কোরআন মজিদে ইবাদাতে অলসতা মুনাফিকদের অভ্যাস বলেছেন। তিনি বলেন,
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُواْ إِلَى الصَّلاَةِ قَامُواْ كُسَالَى يُرَآؤُونَ النَّاسَ وَلاَ يَذْكُرُونَ اللّهَ إِلاَّ قَلِيلاً
অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শীথিলভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে। (সুরা নিসা ১৪২)
এই দুআটা আমল করুন ও ইবাদাতে সচেতন হতে হবে
রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ এই দুআ করতেন।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে। (বুখারী ২৮৯৩)

৩। রুকইয়াহ বিষয়ে খরচ করতে কৃপণতা করা

আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা তাদের দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে, তারা যেন মনে না করে যে তা তাদের জন্য কল্যাণকর, বরং তা তাদের জন্য (খুবই) অকল্যাণকর। তারা যাতে কৃপণতা করেছে, সত্বর কিয়ামতের দিন তারই বেড়ি তাদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হবে। আসমান ও জমিনের স্বত্বাধিকার শুধু আল্লাহরই। তোমরা যা কিছুই করছ আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮০)
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে, তাদের আত্মীয়তা ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে, তখন তারা তা-ই করেছে এবং তাদের পাপাচারে প্ররোচিত করেছে, তখন তারা তাতে লিপ্ত হয়েছে।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৬৯৮)
পরিবারের চিকিৎসায় খরচ করা ওয়াজিব কারন তা মৌলিক অধিকারের বিষয়।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওজি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সামর্থ্য অনুসারে স্ত্রী-সন্তান, অক্ষম মা-বাবার ব্যয় নির্বাহ করা আবশ্যক। ভরণ-পোষণ দেওয়া আবশ্যক এমন ব্যক্তির ভরণ-পোষণ না দেওয়া কৃপণতা। (আল আদাবুশ শারইয়্যা : ৩/৩০৩)

৪। রোগীকে বোঝা মনে করা

এটা তো বাস্তব যে অধিকাংশ রুকইয়াহ পেশেন্টরা জিন শয়তানের পাশাপাশি পরিবারের সাথেও মনস্তাত্ত্বিক লড়াই জড়িত। ফলে এমন অনেক কেইজে দেখা যায় রোগীকে বিরক্ত বা বোঝা মনে করে রুকইয়াহ চালিয়ে যায় এবং আল্লাহর প্রতিও আশা রাখে না এই অভিভাবকগুলো যতটুকু আশা এরা ডাক্তার, কবিরাজ ও তান্ত্রিকদের প্রতি রাখে তার ছিটেফোঁটাও আল্লাহর প্রতি রাখে না এরা। ফলে বোঝা নামানোর জন্য রুকইয়াহ করে। অথচ কুরআন ও হাদিসে এসেছে অসুস্থ ব্যক্তির খাবার ও সুস্থ করার দায়িত্ব আল্লাহর। যদি খাবার ও সুস্থ করার দায়িত্ব আল্লাহই নেন তাহলে অভিভাবকরা কোন সাহসে বোঝা মনে করে!? তাঁদের এই বোঝা মনে করার জন্য রোগী সাফার করে। কারন যে খরচ করে তাঁর নিয়তের প্রভাবও রোগীর উপর পরে।

৫। গুনাহের রাস্তা ওপেন ও গুনাহ বহাল রাখা

অধিকাংশ অভিভাবক ঘরে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ সেভাবে করে না যেভাবে কুরআন ও হাদিসে করতে বলা হয়েছে। তাঁরা যতটুকু করে তা করে মানুষ কি বলবে এইভেবে। ফলে ঘরের কর্তার জন্য ঘরের রোগীদের মুসিবত আসে। কারন গুনাহের জন্য জিন আরো শক্তি অর্জন করে এবং জাদু গুনাহের প্রভাবে ক্রিয়াশীল হয়। অনেক সময় অভিভাবকের হারাম আয়ের জন্য সন্তান বা স্ত্রীর জিন শরীর থেকে যায় না কারন সে শরীরে থাকার হারাম রক্ত মাংস পাচ্ছে তো যাবে কেন? কারন হারাম ইনকাম থেকে যা খাবে তাতো সবকিছুই হারামে পরিণত করে যতক্ষণ রক্ত মাংস পবিত্র না হয় হারাম থেকে ততক্ষণ শয়তানও কষ্ট দিতে দেখতেছি বর্তমানে। এসব কথা হজম করা কঠিন কিন্তু সত্য তো বলতেই হবে।
-------
আগামী লেখায় জানবো
রুকইয়াহতে এতো সেশন কেন লাগে এই প্রশ্নের উত্তর ইন শা আল্লাহ।

© Raqi Farhat vai

Address

Ground Floor, Tomiz Market, Sadar
Lakshmipur
3700

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 22:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801633364622

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ayaat Ruqyah Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram