
15/03/2025
ডিফিব্রিলেটর (Defibrillator) হলো একটি চিকিৎসা যন্ত্র, যা হৃদযন্ত্রের অনিয়মিত স্পন্দন (Arrhythmia) বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া (Cardiac Arrest) অবস্থায় বিদ্যুৎ তরঙ্গ ব্যবহার করে হৃদযন্ত্রকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
ডিফিব্রিলেটরের কাজ:
1. বিদ্যুৎ শক প্রয়োগ:
এটি একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বৈদ্যুতিক শক (electric shock) সরবরাহ করে, যা হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক স্পন্দন বা ফাইব্রিলেশন (Fibrillation) বন্ধ করে এবং স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনে।
2. হৃদযন্ত্রের সংকোচন নিয়ন্ত্রণ:
যদি হৃদযন্ত্র অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁপতে (Ventricular Fibrillation বা Atrial Fibrillation) থাকে, তাহলে শক প্রয়োগ করে এটিকে পুনরায় স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো হয়।
3. হৃদস্পন্দন চালু করা:
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে (হৃদযন্ত্র থেমে গেলে) ডিফিব্রিলেটর দ্রুত ব্যবহার করলে রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে।
ডিফিব্রিলেটরের ধরণ:
1. অটোমেটেড এক্সটার্নাল ডিফিব্রিলেটর (AED) – এটি স্বয়ংক্রিয় এবং সাধারণ মানুষও এটি ব্যবহার করতে পারে।
2. ম্যানুয়াল ডিফিব্রিলেটর – এটি হাসপাতাল বা অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষজ্ঞরা ব্যবহার করেন।
3. ইমপ্লান্টেবল কার্ডিওভার্টার ডিফিব্রিলেটর (ICD) – এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শরীরে বসানো হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদযন্ত্র পর্যবেক্ষণ করে।
ডিফিব্রিলেটর ব্যবহারের সময়:
যদি কেউ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, নাড়ি অনুভূত না হয় এবং নিঃশ্বাস না নেন, তবে দ্রুত AED ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে।
AED সাধারণত স্বয়ংক্রিয় নির্দেশনা দেয়, যা অনুসরণ করে সাধারণ মানুষও এটি চালাতে পারেন।
নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।