Dr Omar Faruk

Dr Omar Faruk স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা পেতে পেজটি ফলো দিয়ে পাশে থাকুন। ধন্যবাদ।

হ্যালুসিনেশন: এর কারণ কী এবং কখন সাহায্য নেওয়া উচিতহ্যালুসিনেশন বলতে এমন কোনও বস্তু বা ঘটনার উপলব্ধি বোঝা যা অস্তিত্বহীন...
12/09/2025

হ্যালুসিনেশন: এর কারণ কী এবং কখন সাহায্য নেওয়া উচিত
হ্যালুসিনেশন বলতে এমন কোনও বস্তু বা ঘটনার উপলব্ধি বোঝা যা অস্তিত্বহীন এবং সংবেদনশীল অনুভূতি যা সংশ্লিষ্ট ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলির উদ্দীপনার কারণে ঘটে না। এগুলি প্রায়শই মানসিক স্বাস্থ্যের অসুস্থতার লক্ষণ, তবে সর্বদা এর অর্থ এই নয় যে কোনও ব্যক্তি অসুস্থ। "হ্যালুসিনেশন" শব্দটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে এবং এর অর্থ "মানসিক বিচরণ"।

হ্যালুসিনেশনের প্রকারভেদ:

ভিজ্যুয়াল হ্যালুসিনেশন:
ভিজ্যুয়াল হ্যালুসিনেশন বলতে এমন বস্তু বা দৃশ্য দেখা বোঝায় যা উপস্থিত নেই। সাধারণ উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে মানুষ, প্রাণী বা এমন আকৃতি দেখা যা অন্যরা দেখতে পায় না।

অডিটরি হ্যালুসিনেশন:
অডিটরি হ্যালুসিনেশন শব্দ, কণ্ঠস্বর বা কথোপকথন শোনার দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যা বাস্তব নয়। এটি হ্যালুসিনেশনের সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলির মধ্যে একটি এবং এটি বিরক্তিকর হতে পারে।

ঘ্রাণগত হ্যালুসিনেশন:
ঘ্রাণজনিত হ্যালুসিনেশনে গন্ধযুক্ত গন্ধ জড়িত যা বিদ্যমান নেই। এই গন্ধগুলি আনন্দদায়ক বা অপ্রীতিকর হতে পারে এবং বিভ্রান্তি এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

স্পর্শকাতর হ্যালুসিনেশন:
স্পর্শকাতর হ্যালুসিনেশন বলতে শারীরিক যোগাযোগ বা ত্বকে নড়াচড়ার অনুভূতি বোঝায় যা আসলে ঘটছে না। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি তার ত্বকে বাগগুলি হামাগুড়ি দিচ্ছে।

Gustatory হ্যালুসিনেশন:
Gustatory হ্যালুসিনেশন এমন কিছুর স্বাদ গ্রহণ করে যা আসলে মুখে নেই। এর ফলে অদ্ভুত বা অপ্রীতিকর স্বাদের অনুভূতি হতে পারে।

হ্যালুসিনেশনের কারণ:

সিজোফ্রেনিয়া: ৭০% এরও বেশি ভিজ্যুয়াল হ্যালুসিনেশন অনুভব করেন; ৬০-৯০% কণ্ঠস্বর শুনতে পান। গন্ধ এবং স্বাদের সাথেও এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
পারকিনসন রোগ: অর্ধেক পর্যন্ত এমন জিনিস দেখতে পারে যা বাস্তব নয়।

আলঝেইমার রোগ: বিশেষ করে লুই বডি ডিমেনশিয়ার মতো আকারে, মস্তিষ্কের পরিবর্তনগুলি হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে।

মাইগ্রেন: প্রায় এক-তৃতীয়াংশের ভিজ্যুয়াল "আভা" হ্যালুসিনেশন থাকতে পারে।

ব্রেন টিউমার: অবস্থান-নির্ভর, বিভিন্ন ধরণের হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে।

চার্লস বননেট সিন্ড্রোম: যাদের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় তাদের মধ্যে এটি ঘটে, যার ফলে দৃষ্টিভ্রম হয়।

মৃগী: মস্তিষ্কের আক্রান্ত স্থানের উপর নির্ভর করে খিঁচুনি হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে।

সংবেদনশীল রোগ: দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি হ্রাসের ফলে হ্যালুসিনেশন হতে পারে।

ডিমেনশিয়া এবং মস্তিষ্কের ব্যাধি: প্রায়শই পরবর্তী পর্যায়ে আবেগগতভাবে চার্জিত হ্যালুসিনেশন জড়িত।

ওষুধের: হ্যালুসিনোজেন (এলএসডি, ডিএমটি, মাশরুম) ধারণা বিকৃত করে এবং হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে।

হ্যালুসিনেশনের লক্ষণ:

সেখানে নেই এমন জিনিস দেখা বা শোনা

ত্বকে সংবেদন অনুভব করা যা বাস্তব নয়

অস্বাভাবিক স্বাদ বা গন্ধ অনুভব করা

বিভ্রান্ত বোধ করা অথবা পীড়িত

বাস্তবতা এবং হ্যালুসিনেশনের মধ্যে পার্থক্য করতে অসুবিধা

হ্যালুসিনেশনের চিকিৎসা:

চিকিৎসা মূল কারণের উপর নির্ভর করে এবং এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

ঔষধ: অ্যান্টিসাইকোটিকস যেমন রিসপেরিডোন বা ওলানজাপাইন

থেরাপি: হ্যালুসিনেশন পরিচালনা এবং বোঝার জন্য সিবিটি বা সাইকোথেরাপি

অন্তর্নিহিত শর্তাদি সম্বোধন করা: মৃগীরোগ ব্যবস্থাপনা, পদার্থ ব্যবহার, ইত্যাদি।

সহায়ক যত্ন: শান্ত পরিবেশ এবং চাপ কমানোর কৌশল

বার বার বারন করার পরও মানুষ নবজাতক শিশুর শরীরে তেল দিয়ে থাকে, আর নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যের মত সংবেদনশীল ব্যাপার দ্বিতীয়...
10/09/2025

বার বার বারন করার পরও মানুষ নবজাতক শিশুর শরীরে তেল দিয়ে থাকে, আর নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যের মত সংবেদনশীল ব্যাপার দ্বিতীয়টি আর নেই। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের পরামর্শে নিয়ে কিছু করলে যা হওয়ার তাই হয় ।

নবজাতকের শরীরে তেল ব্যবহার করলে সম্ভাব্য ক্ষতি কি হতে পারে :

১. ত্বকের সমস্যা – তেলের কারণে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে, ফলে ঘামাচি, র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।

২. ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া – কিছু তেল (যেমন সরিষার তেল) নবজাতকের কোমল ত্বক শুষ্ক ও জ্বালাপোড়া করতে পারে।

৩. অ্যালার্জি বা জ্বালা – শিশুর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল, তাই তেল থেকে অ্যালার্জি বা লালচে দাগ হতে পারে।

৪. সংক্রমণের ঝুঁকি – নাভি বা ত্বকের ভাঁজে তেল জমে গেলে জীবাণু জন্মাতে পারে, এতে সংক্রমণ হতে পারে।

৫. শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি – অনেক সময় মাথায় বা নাকে তেল লাগালে শিশুর নাকে ঢুকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

৬. শরীরের তাপমাত্রা নষ্ট হওয়া – তেল মাখানোর পরপরই শিশুকে গোসল করালে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যেতে পারে, এতে নবজাতকের জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়।

👉 শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাধারণত পরামর্শ দেন, শিশুর বয়স একটু বাড়লে (কয়েক সপ্তাহ পর) এবং শিশু সুস্থ থাকলে শিশুর জন্য উপযুক্ত ও প্রমাণিত বেবি অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে নবজাতকের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে তেল মাখানো থেকে বিরত থাকাই ভালো।

08/09/2025

সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়, লক্ষণ ও চিকিৎসা কী

সিজোফ্রেনিয়া কী:

সিজোফ্রেনিয়া একটি গুরুতর মানসিক রোগ। এ রোগে রোগী নিজে বুঝতে পারেন না বা কখনো স্বীকার করেন না তার কোনো মানসিক রোগ আছে।

সিজোফ্রেনিয়া কেন হয় তার নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। সাধারণত বংশে কারো সিজোফ্রেনিয়া থাকলে পরে আরেকজনের হতে পারে। এ ছাড়াও নানাবিধ কারণে সিজোফ্রেনিয়া হয়ে থাকে। শৈশবে কোনো অস্বাভাবিকতা থাকলে হতে পারে, শৈশবে কেউ যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকে, অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ কিংবা পরিবেশে বড় হয় সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে তার মধ্যে।

সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার মূল কারণ:

সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে জেনেটিক। মস্তিষ্কে কিছু নিউরোট্রান্সমিটার বা ক্যামিকেলের অস্বাভাবিকতা, ঘাটতি কিংবা তারতম্য হলে এই রোগটি হয়ে থাকে।

পরিবেশগত কোনো কারণ সিজোফ্রেনিয়ার জন্য খুব একটা দায়ী না। তবে কখনো কখনো বলা হয়, যাদের জন্ম হয় শীতকালে তাদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার হার অন্যদের থেকে খানিকটা বেশি।

নারী এবং পুরুষ উভয়ের মধ্যে এই রোগটি হওয়ার হার সমান। সাধারণত ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া রোগের উপসর্গ বেশি দেখা দেয়। তবে যেকোনো বয়সেই এটি হতে পারে।

সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ:

সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির প্রধান কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন-

১. রোগীর মধ্যে কখনো কখনো চিন্তার অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়।

২. রোগী অন্যকে সন্দেহ করা শুরু করতে পারেন।

৩. হ্যালুসিনেশন হয়। হ্যালুসিনেশন অর্থ ব্যক্তি এমন কিছু শুনতে পান, নাকে গন্ধ পান, চোখে দেখতে পান, এমনকি স্পর্শ অনুভব করতে পারেন যেটির কোনো ভিত্তি বা সত্যতা নেই।

৪. রোগীর ডিলিউশন হয় অর্থাৎ তিনি ভ্রান্ত বিশ্বাসের মধ্যে থাকেন। যেমন- কেউ তার ক্ষতি করতে পারেন, কেউ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, অনেক সময় মনে করেন তার চিন্তা কেউ চুরি করে নিচ্ছেন অথবা কখনো মনে করেন তার চিন্তা কেউ ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তার চিন্তা অন্যরা বুঝে ফেলছেন।

সিজোফ্রেনিয়া রোগীর একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে ওষুধ সেবন।

চিকিৎসা কি?
, সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদী। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সারা জীবন রোগীদের ওষুধ খেতে হয়। এসব রোগীদের সামাজিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, পরিবারের কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন হয়। সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের কাজ বাড়ানোর জন্য তাদেরও কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে।

সিজোফ্রেনিয়া যেহেতু নিরাময়যোগ্য রোগ নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাময় হয় না। সেজন্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া টা জরুরী

29/12/2024

হাসপাতালের সেবায় রোগী খুবই খুশি | সরকারি হাসপাতাল |

26/12/2024

দেখুন বাচ্চার জ্বর হলে কি করবেন

25/12/2024

দেকুন নাকের ভিতর থেকে কিভাবে পুঁথি বের করে? 🙄| স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক ভিডিও |

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা চিকিৎসক , নার্স,  ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট  ও অন্যান্য  সকল স্টাফদের ...
26/09/2024

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা চিকিৎসক , নার্স, ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য সকল স্টাফদের গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব স্নেহের ছোট Riazul Islam এর সুন্দর প্রতিবেদন এ তা প্রকাশ পেয়েছে।
আমার বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ছোট ভাই ফার্মাসিস্ট Riazul Islam কে অসংখ্য ধন্যবাদ

চলুন ঔষধের এর অপব্যবহার রোধে নিজে সচেতন হই ও অন্যকে সচেতন করি।

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস -২০২৪, আমাদের সেই সকল নিরলস কর্মী ফার্মাসিস্টদের উদযাপনের দিন, যারা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য....

21/09/2024
21/03/2024

হযরত মোহাম্মদ (সা:) বলেছেন,

তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিওনা,
কেননা মিথ্যা নিয়ে যায় জাহান্নামে
আর সত্য নিয়ে যায় জান্নাতে

পি আই ডি কি? জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ | পি আই ডি হওয়ার লক্ষণ ও চিকিৎসা কী?পি আই ডি কি?পি আই ডি (পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ)...
23/02/2024

পি আই ডি কি? জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ | পি আই ডি হওয়ার লক্ষণ ও চিকিৎসা কী?

পি আই ডি কি?

পি আই ডি (পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ) হচ্ছে জরায়ু এবং ডিম্বনালীতে জীবাণুর সংক্রমণ। মাঝে মাঝে এটি ডিম্বাশয়কেও আক্রান্ত করতে পারে। পি আই ডি (Pelvic Inflammatory Disease) এর একটি কমন কারণ হচ্ছে Chlamydia and gonorrhoea নামক জীবাণুর সংক্রমণ। এছাড়া অন্যান্য কিছু জীবাণুও এই রোগের কারণ ঘটাতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌনবাহিত রোগের মাধ্যমে এই জীবাণুর প্রবেশ ঘটে। এছাড়াও গর্ভপাত, জরায়ুর কোন অপারেশন, অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদির মাধ্যমে জীবাণুর প্রবেশ ঘটতে পারে। চলুন জেনে নিই জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়ার লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত।

জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ (পি আই ডি) হওয়ার লক্ষণ?

কিছু লক্ষণ দেখে এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ (পি আই ডি) রোগে আক্রান্তদের সনাক্ত করা যায়। এ রোগের কিছু পরিচিত লক্ষণ হলঃ

* তলপেটে ব্যথা, জ্বর এবং এবনরমাল স্রাব।

*মাসিক অনিয়মিত হওয়া, এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং পেটে ব্যথা।

* সহবাসে ব্যথা অনুভূত হওয়া।

এই লক্ষণগুলোর তীব্রতা কম বা বেশি হতে পারে। এমনকি অনেক সময় কোন ধরণের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও আপনি এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কারণ এ রোগের জীবাণুগুলো অনেক সময় কোন ধরণের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই জরায়ুর মুখে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। এ রোগ নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষার দরকার হয়। জরায়ুর মুখ বা মুত্রনালী থেকে ডিসচার্জ নিয়ে পরীক্ষা করে জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয় করা যেতে পারে। এছাড়া সংক্রমণের লক্ষণ বোঝার জন্য রক্ত, ইউরিন পরীক্ষা ও পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপারস্কপি পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয় এবং একই সময় চিকিৎসাও সম্ভব।

জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ (পি আই ডি) হলে এর চিকিৎসা কী?

প্রাথমিক অবস্থায় এন্টিবায়োটিক এবং পেইন কিলার দিয়ে জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ হলে চিকিৎসা করা হয়। এ ক্ষেত্রে ঔষধগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় খেতে হবে। একই সাথে হাজব্যান্ড বা পার্টনারের চিকিৎসাও জরুরী। অন্যথায় বারবার জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি করার দরকার হতে পারে যেমন, ডিম্বনালী সংক্রমিত হয়ে পুঁজের সৃষ্টি হলে এবং বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায়। এছাড়া যাদের বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে লক্ষণের তীব্রতা কমানোর জন্য ডিম্বনালী এবং জরায়ু সার্জারি করে অপসারণ করা হয়।

কেন সময়মত চিকিৎসা করা জরুরী?

জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ হলে এর চিকিৎসা সময় মত না করালে কিছু দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো হচ্ছে-

দীর্ঘদিন ধরে তলপেট ব্যথা, মাজা ব্যথা, ডিম্বনালীর পথ বন্ধ হয়ে বা জরায়ু এবং এর আশে পাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট হয়ে সন্তান ধারণে অক্ষমতা বা বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়, ডিম্বনালীর পথ বাধাগ্রস্থ হয়ে একটোপিক প্রেগনেন্সি (জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ) হতে পারে।

প্রজননতন্ত্র সংক্রমণের যথাযথ চিকিৎসা না নিলে গর্ভপাত, সময়ের আগে বাচ্চা প্রসব এবং কম ওজনের বাচ্চা জন্মদানের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব?

এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য সমস্যা। সচেতনতা আপনাকে এ সমস্যায় আক্রান্ত হবার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। নিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক এবং কনডোম ব্যবহার জীবাণুর সংক্রমণ থেকে জরায়ুকে রক্ষা করে। যত্রতত্র এম আর (গর্ভপাত) করানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এম আর বা ডিএন্ড সি করার দরকার হলে রেজিস্টার্ড ডাক্তার দিয়ে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে করতে হবে। এ রোগের লক্ষণ দেখা দেবার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করলে জটিলতার হার অনেকাংশে কমে যায়।

চিকিৎসা : প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলে পিআইডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। তবে অবস্থা জটিল হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হবে। শুধু তাই নয় পিআইডি রোগীর যৌন সঙ্গীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যৌন রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। যৌন সঙ্গীর সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগী আবার পিআইডিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা :
* সন্তান হওয়ার পর বা গর্ভপাতের পর বিশেষ পরিচ্ছন্নতা জরুরি।
* মাসিকের সময় কাপড় বা ন্যাপকিন যাই ব্যবহার করা হোক না কেন তা অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ন্যাপকিন ব্যবহার করলে ৪ ঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করতে হবে।
* প্রতিবার বাথরুমে যাওয়ার পর যৌনাঙ্গ ভালো করে ধৌত করতে হবে।
* ঝুঁকিপূর্ণ সহবাসে কনডম ব্যবহার জরুরি। কনডম সেক্সচুয়ালি ট্রান্সমিটেট ডিজিজ থেকে রক্ষা করে।

27/01/2024

৫ দিন পুর্বে ১৫ মাসের একটি বাচ্চা নাকে ভুট্টা ডুকিয়েছিলো, আলহামদুলিল্লাহ , ভুট্টা বের করে দেওয়ার পর বাবা ও মায়ের মুখে হাসি

Address

Aditmari
Lalmonirhat
5510

Telephone

+8801912766459

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Omar Faruk posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram