Dr. Abdullah Al Masum

20/12/2024

12/12/2024

. মাঝ রাতে হঠাৎ বুক ব্যথা??
এটা কি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা?
নাকি হার্ট অ্যাটাক??
প্রাথমিক ভাবে কি করে বুঝবেন?
যে রোগীর হার্ট এটাক হয়েছে??
কি করনীয়??

🟠১। রোগীর বুক চেপে ধরে আছে,
বয়স চল্লিশের উপর-- হার্টঅ্যাটাক
হতে পারে ।
🟠২. বুকে চাপের কারনে রোগী
বারবার উঠে বসছে।
শুইয়ে থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসছে।
বসে থাকলে কিছুটা ভালো লাগে।
- হার্ট অ্যাটাক বা হাঁপানী হতে পারে ।
🟠৩। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।
--হার্ট এটাক এর সম্ভাবনা বেশি।
🟠৪। রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, ঘরের দরজা জানালা খুলে রোগী ঘরের বাইরে যেতে চায়--হার্ট এটাক (হাঁপানি বা খুব বেশি "হাই প্রেসারে" ও হতে পারে।)
🟠৫. বুক ব্যথা টি বাম বাহুতেও চলে যাচ্ছে বা বাম বাহুও ব্যথা করছে - অবশ্যই হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভাবনা বেশি ।
🟠৬। কিছু দিন ধরে দুশ্চিন্তা,ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। এনিয়ে চিন্তার শেষ নেই - হার্টএটাক।
🟠৭। প্রচন্ড মানুষিক চাপ, স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, এরপর বুক ব্যথা- হার্ট এটাক হতে পারে ।
🟠৮। আগে থেকেই ডায়াবেটিস বা হাই প্রেসারের রোগী, এখন বুক ব্যথা
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।
🟠৯। মারাত্মক ধুমপায়ী। একটার পর একটা খেতেই থাকেন। -হার্ট এটাক হতে পারে তবে গ্যাস্ট্রিকও হতে পারে ।
🟠১০। শারীরিক পরিশ্রম/ব্যায়াম করেন না, খুব মোটা।- হার্ট এট্যাক।
🟠১১। এন্টাসিড, এলজিন, হাইসোমাইড, সেকলো ক্যাপসুলে ব্যথা কমছে না,
আধা- শোয়া অবস্থায় কিছুটা ব্যাথা কমে। আপনি রোগীকে বারবার শুইয়ে দিচ্ছেন কিন্তু রোগী বারবার উঠে বসছেন -
হার্ট অ্যাটাক।
🟠 রোগী আগে থেকে বহুতল ভবনে তিন তলায় উঠতেই প্রচন্ড হাঁপিয়ে ওঠেন,এখন বুক চাপ ধরে আছে।
-- হার্ট এ্যাটাক।

🧧এবারে আসি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষনে🧧

🟠১২. রোগী রাতে অতিরিক্ত ঝাল, মরিচ,লেবু, ভর্তা, ভাজা,পোড়া খেয়েছেন।- গাস্ট্রিক হতে পারে।
🟠১৩..রোগীর কোস্ট কাঠিন্য আছে। ----গ্যাস্ট্রিক
🟠১৪. আগে থেকেই একটু খেলেই পেট ভরে ওঠে,মনে হয় গলা পর্যন্ত খাবার আটকে আছে, খাবার নীচে নামছে না।
-গ্যাস্ট্রিক।
🟠 রোগী বলেন যে বুকে "খিল" লেগে আছে। সামনে হেলতে পারছি না -গ্যাস্ট্রিক
🟠 রংপুরে রোগীগন বলেন - বাবা
"মোর সুনপুটি বিষ্যায়চল"- মানে হচ্ছে পিঠ ব্যথা করছে।

🧧 করনীয় -🧧

🟠১৫।অবিলম্বে রোগী কে হাসপাতালে
নিন।
🟠১৬। হার্টের ক্ষেত্রে - যদি পাওয়া যায় - রোগী কে Tab..Angist SR 2.6mg খাওয়ান/
বা Nitromint inhelar, শ্বাসে নিবেন।
যদি থাকে -অক্সিজেন দিন।
অক্সিজেন যুক্ত এম্বুলেন্স ডাকুন। এম্বুলেন্সের বেডেও রোগীকে আধাশোয়া অবস্থায় রাখুন বা মাথার নীচে দুইটি বালিশ দিন।
🟠১৭। নবীন, জুনিয়র ও জরুরী বিভাগের ডাক্তার দের বলবো--
গাস্ট্রিকের রোগীকে ভুল করে
হার্টঅ্যাটাক মনে করা বড় অপরাধ নয়।
🟠১৮। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে গ্যাস্ট্রিকের রোগী ভেবে ভুল চিকিৎসা/ ব্যাবস্থাপনা করা ভয়াবহ অপরাধ।

©Prof. Nawshaduzzaman Hira Sir

09/12/2024

Madaripur Health Care Hospital & Diagnostic Centre(MCHC)
Saturday to Thursday(Friday off)
10am to 8pm.

25/11/2024

বাচ্চাদের মধ্যে কৃমির সমস্যা যদি বারবার দেখা দেয়, তাহলে এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

কারণসমূহ:

1. পরিচ্ছন্নতার অভাব:
বাচ্চারা হাত ধুতে অবহেলা করে, মাটি বা ময়লা মুখে দেয়, এবং অপরিষ্কার খাবার খায়। এগুলো কৃমি সংক্রমণের প্রধান কারণ।

2. কৃমির পুনঃসংক্রমণ:
কৃমি ডিম মাটিতে, নখে, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে পারে। বাচ্চারা বারবার এগুলোতে সংস্পর্শে এলে পুনঃসংক্রমণ ঘটে।

3. পরিবারের অন্য সদস্যদের সংক্রমণ:
পরিবারের কোনো সদস্য কৃমিতে আক্রান্ত হলে, সেখান থেকে বাচ্চারাও সংক্রমিত হতে পারে।

4. সঠিকভাবে কৃমিনাশক ব্যবহার না করা:
অনেক সময় কৃমিনাশক ওষুধ ঠিকমতো প্রয়োগ না করলে সব কৃমি মারা যায় না।

5. পুষ্টিহীনতা ও দুর্বল ইমিউন সিস্টেম:
অপুষ্টির কারণে শরীর কৃমির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না।

---

চিকিৎসা ও প্রতিকার:

১. প্রাথমিক চিকিৎসা:

কৃমিনাশক ওষুধ যেমন মেবেনডাজল বা আলবেনডাজল প্রয়োগ করতে হবে।

এক ডোজের পর ২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে, কারণ প্রথম ডোজে কৃমির ডিম নষ্ট নাও হতে পারে।

২. পরিবারের সবাইকে চিকিৎসা:

কৃমি সমস্যার ক্ষেত্রে পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো উচিত।

৩. পুষ্টি নিশ্চিত করা:

বাচ্চার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন এ, ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:

বাচ্চাকে প্রতিবার খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে শেখাতে হবে।

নখ ছোট রাখতে হবে।

খেলনা এবং অন্যান্য ব্যবহৃত জিনিস পরিষ্কার রাখতে হবে।

৫. পরিবেশের স্বাস্থ্যবিধি:

বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।

টয়লেট ব্যবস্থার উন্নয়ন।

পানীয় জল ফুটিয়ে পান করা।

৬. স্কুলে সচেতনতা:

স্কুল বা খেলার জায়গায় কৃমির সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন।

© Dr. Ismail Azhari vaiya

24/11/2024

Patient Diary:

শুক্রবার চেম্বার সাধারনত অফ রাখি।দুপুর ১টায় রিসিপশন থেকে ফোন আসল,"স্যার একটা বাচ্চা পেশেন্ট আসছে,বাচ্চার অবস্থা খুব খারাপ!গিয়ে আমার চোখ তো ছানাবড়া! দেড় মাসের বাচ্চা চোখ উল্টিয়ে মনে হচ্ছে এখনই Expire করবে।বাচ্চার মা বলল,"স্যার গতকাল আমাদের বাসায় কান্নাকাটি পড়ে গিয়েছিল,বাচ্চা চোখ উল্টাই আর হা করে কেমন জানি করে,আর পেট ফোলা, শরীল ঠান্ডা হইয়া যায়।"।আমি চেয়ে দেখি একটা পুঁটি মাছ পানির থেকে ডাঙায় অনেকক্ষন রাখলে যে অবস্থা হয় সেই রকম!এই বাচ্চা রেফার করা ছাড়া উপায় দেখি না।কিন্তু এই বাচ্চা সময় দিবে না মোটেও,পথে বসেই Expire করবে!😭Late Onset Neonatal sepsis(LONS) মাথায় আসল।বাচ্চার মা বলল,"স্যার হলুদ বমি করে।জোন্টিস হইছে বাবুর, কবিরাজি চিকিৎসা করাইতাছি(ঝাঁড়-ফুঁক),দুধে বাতাস লাগছে তো!" জিজ্ঞেস করলাম বাচ্চা পায়খানা করে বার বার?বলল,"স্যার ১৫দিন আগে থেকে করছিল এখন ভাল হইছে,এখন জন্ডিস"।আমি পেটে হাত দিয়ে দেখি Skin pinch goes very slowly.একটা ক্লু পেয়ে গেলাম!সাথে সাথে Cholera saline dose হিসেব করে লিখে দিলাম।আমি যেই ক্লিনিকে চেম্বার করি সেখান থেকে অনেকটা পাগলের মত বাচ্চার সাথে গেলাম সদর হাসপাতালে।গিয়ে ভর্তি করে দিয়ে তারপর আসলাম।আগে ডিএমএফ দেখাইছে সে Flacol আর Motigut দিসে।অথচ ওরস্যালাইনও দেয় নাই।সে ডায়াগনোসিস ই করতে পারে নাই,আন্দাজে ঢিল মারছে।১৫ দিন আগে থেকে ডায়রিয়া এক ফোঁটা ওরস্যালাইন ও খাওয়ায় নাই🙄।Motigut তো আরও ডায়রিয়া বাড়ায়🥺। শীতকাল তার উপর ডায়রিয়া।সাধারনত বড়রাই ডায়রিয়াতে কাবু হয়ে যায়।ঐদিন আমার পাশের বাসার এক ফ্যামিলির দুইজন ডায়রিয়া হয়ে ঢাকা মহাখালী কলেরা হাসপাতাল পর্যন্ত ঘুরে আসছে।বাচ্চাদের শরীরের ৮৫% Fluid থাকে।তাই ওদের Fluid turn over টা বেশি। এজন্য ডায়রিয়া বড়দের জন্য যতটা না Risky তার চেয়ে বাচ্চাদের জন্য বেশি Risky.আগে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারন ছিল ডায়রিয়া,আর এখন নিউমোনিয়া।আমার কেন যেন মনে হল বাচ্চাটা বাঁচবে।কাল খবর নিয়ে জানতে পারলাম বাচ্চাটা নাকি আগের থেকে ভাল আছে।একটা life save করার তৌফিক আমাকে দেওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ😍।

19/11/2024

Betel nuts (পান সুপারি)

আমরা সিগেরেট খাওয়াকে যেভাবে নিরুৎসাহিত করি পান সুপারি খাওয়াকে সেভাবে নিরুৎসাহিত করি না।
অথচ এই সুপারি আপনার আসেপাশের মানুষের অনেক ক্ষতি করে ফেলতেসে।

এশিয়ার মানুষের মধ্যে oral cancer(squamous cell carcinoma) হএয়ার প্রবনতা এক্টু বেশি। বিশেষভাবে যারা সুপারি(betel nuts) খায় তাদের এটা বেশি হয়।

আবার বাড়িতে আপনার অনেক শ্বাসকষ্টের রোগী বৃদ্ধ মানুষ আছেন যারা ধুলাবালি বা সিগারেট থেকে ত বাচেন কিন্তু খুব বেশি পান সুপারি খান।সুপারি(betel nuts) er মধ্যে aerocholine যেটা structurally similar to methacholin. And methacholin aggravate ASTHMA.

তাই আজই আপনার বাসায় আপ্যায়নে খাওয়া শেষে পান সুপারি দেয়া বন্ধ করুন।

:

Digest medicine 🍂

27/07/2024

Celebrating my 2nd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

17/07/2024

এক সপ্তাহ আগে একটা পেশেন্ট দেখেছিলাম,বয়স ৩৫এর আশে পাশ দিয়ে হবে।রোগীটার টেনশন টাইপ হেডেক;কিন্তুু সে ঠিকমত ডায়াগনোসড হয় নাই। মাইগ্রেন হেডেকের ভুরিভুরি ঔষধ খেয়ে আসছিল।আমি তাকে মাত্র দুটো ঔষধ দিলাম।আলহামদুলিল্লাহ সে এখন অনেক ভাল আছে।আমাকে ফোন করে অসংখ্যবার ধন্যবাদ জানাল,শ্রদ্ধা নিবেদন করল আর চা খাওয়ার দাওয়াত দিল।

মনটা সত্যিই অনেক ভাল হয়ে গেল।জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার😍

সৃষ্টিকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ🤲

নিম্নোক্ত ছবিতে টেনশন টাইপ হেডেকের ছবি আপলোড দেয়া হল।

17/07/2024

13/07/2024

Artificial Sweetener (Sugar Substitute) এবং ক্যান্সার ঝুঁকি
ডায়াবেটিস এর রোগী সহ যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের মধে চিনি খাওয়া কমানোর জন্য Artificial Sweetener এর ব্যবহার দেখা যায়। বিভিন্ন নামে বাজারে পাওয়া যায় এবং ডায়েট পানীয় এবং দুধ বা দুধ থেকে তৈরি খাবারেও এর বেশ ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু খারাপ সংবাদটি দিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার [World Health Organization (WHO)] ক্যান্সার গবেষণা উইং- তারা বলছে দীর্ঘদিন এই ধরনের Artificial Sweetener খেলে প্যানক্রিয়েস বা অগ্নাশয় এর ক্যান্সার র ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর সাথে সাথে ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং স্থুলতা সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও প্রকট আকার ধারন করে। এই ক্যান্সার হবার সাথে Artificial Sweetener ব্যাবহারের যে গবেষণা গুলি হয়েছে তারে কিছু স্বভাবজাত ত্রুটি থাকাতে এখন পর্যন্ত খুব জোড়ালো ভাবে বলা যাচ্ছে না যে এগুলো খেলেই ক্যান্সার হবে। তাই বলা হচ্ছে ‘possibly carcinogenic’। লিভার ক্যান্সার এর সাথে এর সম্পর্ক নিয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্দান্তে আসা যায় নি।
তবে Artificial Sweetener আরো অনেক গুলি খাবারকেও ‘possibly carcinogenic’ ভাবা হচ্ছে। সেগুলো হল- এলোভেরার নির্যাস (extracts of aloe vera), এশিয়ান অঞ্চলের টক জাতীয় শাক (traditional Asian pickled vegetables), কিছু কেমিক্যাল যা কাপড় ড্রাই ক্লিনিং এর জন্য ব্যবহিত হয় বা কাঠ কাঁটা বা জোড়া লাগানোর জন্য ব্যবহার হয় বা ছাপাখানায় ব্যবহার হয় (some vehicle fuels and some chemicals used in dry cleaning, carpentry and printing. অন্য আরেকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড মিট বা গরু বা খাসির মাংশ বা মহিষের মাংশ কে (red meat) ‘probably carcinogenic’ and প্রসেসড মাংশ কে (processed meat as) ‘carcinogenic’ বলে আখ্যায়তি করেছে।
যাই হোক না কেন, খাবারের ব্যাপারে আমাদের মিতব্যায়িতা আমাদের এই সব ঝুঁকি কমাতে পারে।

Post Credit: Dr. Mohammad Jahid Hasan.