26/09/2025
ছোটবেলায় আমার হিপ জয়েন্ট এ ব্যথা হতো, বিশেষ করে খেলাধুলা করার পর । ২০০০ সাল, তখন ক্লাস সিক্স এ পড়ি, আমার পায়ে প্রচন্ড ব্যথা হয়, দাড়াতে পারতাম না। আমার ছোট কাকা আমাকে ঢাকার এক নামকরা অর্থপেডিক সার্জন এর কাছে নিয়ে যাইতেন, তিনি ছিলেন প্রফেসর ডা. আার আার কৈরী। সেই ছোটবেলাতেই ডা.কৈরী স্যারের ব্যক্তিত্বে আমি এতটাই মুগ্ধ হই যে তিনি আমার শৈশবের নায়কে পরিণত হন। বিকালে শ্রীনগর হতে আলমানার মেডিকেল সার্ভিসেস, আাসাদগেট,চেম্বার এ সন্ধ্যায় পৌঁছাতাম, স্যার এর জন্য ৩/৪/৫ ঘন্টা অপেক্ষা করতাম,কখনও ৯টা,কখনও ১০টা/১১টায় স্যারের দেখা মিলতো। সেদিন স্যার মাথায় হাত দিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন -কোন ক্লাসে পড়াশোনা করি?,কি হতে চাই?:,সেদিন অকপটে বলেছিলাম :আপনার মত ডাক্তার হতে চাই। : আমার ডাক্তার হবার প্রেরণা মূলত এসেছে ৈকরী স্যার( Professor R.R Kairy) এর কাছ থেকেই।
আমার দ্বিতীয় আদর্শ হলেন প্রফেসর ও সাবেক অধ্যক্ষ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড এর ডা. দীলিপ কুমার ধর, ৩য় বর্ষ হতে স্যার কে ফলো করি, স্যার প্রিন্সিপাল হওয়ার পর সন্ধ্যা হতে রাত ১০-১১টা প্রর্যন্ত পড়িয়েছেন, এমন ডেডিকেটেড মেডিকেল শিক্ষক কম দেখেছি, স্যার হলেন মেডিসিন এ ক্যারিয়ার এর অনুপ্রেরণা ।ইন্টার্নশিপ এর পর এফসিপিএস পার্ট ১ করে, জুলাই, ২০১৪ তে স্যার এর ইউনিট এ অনারারি মেডিকেল অফিসার (বিনামূল্যে) ট্রেনিং করেছি, মাথায় হাত রেখে স্যার বলেছিলেন : Dont Run After Money, One day money will....... .
মনে পড়ে স্কুল - শিক্ষকদের শিক্ষক -ওয়াজিউল্লাহ স্যার কে, কতবার প্রথম হওয়াতে, বৃত্তি পাওয়াতে স্যার ডেকে উপদেশ আর টাকা উপহার হিসেবে দিতেন। শৈশব কেটেছে এমন শিক্ষক বেস্টিত পরিবেশ এ, সেসকল শিক্ষক দের কাছে ঋনী,।হয়ত ডাক্তার না হলে শিক্ষকতাই হতো আমার চয়েস।
এবার অন্য কিছু বলি:
বাবা সব সময় সনধ্যার আগেই বাসায় ফিরতে বলতেন,বেশি বনধু বানাতে না করতেন। হারিয়ে বুঝি এ কথার মর্মতা।
আপনি যাদের বন্ধু / শুভাকাঙ্ক্ষী ভাবেন, তাদের বেশিরভাগই আসলে চায় না আপনি এগিয়ে যান।
বদ-নজর কে কুসংস্কার মনে করতাম, এখন এটাকে সত্যি ই মনে হয়।
আপনাদের কি মনে হয়?