24/08/2025
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর বৈজ্ঞানিক উপায়গুলো
১) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর)
উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের প্রধান কারণ।
নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
খাবারে লবণ কমান (বিশেষ করে অতিরিক্ত নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন)।
২) রক্তে চিনি (ডায়াবেটিস) ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন
ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ডায়েট ও ওষুধ মেনে চলুন।
কোলেস্টেরল বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শমতো ডায়েট পরিবর্তন ও প্রয়োজনে ওষুধ নিন।
ট্রান্সফ্যাট, অতিরিক্ত তেল-চর্বি, ফাস্টফুড কমান।
৩) নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন।
অতিরিক্ত বসে থাকা বা অলস জীবনযাপন (sedentary lifestyle) এড়িয়ে চলুন।
৪) সুষম খাবার খান
বেশি পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল, আঁশযুক্ত খাবার খান।
লাল মাংস, তেল-চর্বিযুক্ত খাবার সীমিত পরিমাণে খান।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৫) ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন
ধূমপান ও অ্যালকোহল স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ায়।
ধূমপায়ী হলে ধূমপান ত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি।
৬) স্ট্রেস ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ ও উদ্বেগ রক্তচাপ বাড়ায়।
মেডিটেশন, রিলাক্সেশন টেকনিক, পর্যাপ্ত ঘুম উপকারী।
৭) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
বছরে অন্তত একবার ডাক্তারের কাছে চেকআপ করুন।
রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও ওজন নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
ঝুঁকি বেশি থাকলে (বয়স >৪০, পারিবারিক ইতিহাস থাকলে) প্রয়োজনে হার্ট ও ব্রেইন সম্পর্কিত অতিরিক্ত টেস্ট করানো উচিত।
৮) বাথরুমে সাবধানতা
খুব ঠান্ডা বা খুব গরম পানিতে হঠাৎ ঝাঁপ দেবেন না।
ধীরে ধীরে শরীর ভিজানো নিরাপদ হতে পারে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ আছে, তারা একা থাকলে সতর্ক থাকবেন, প্রয়োজনে পাশে কাউকে রাখুন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়স্ট্রোক এড়াতে মূল মনোযোগ দিতে হবে শরীরের ভেতরের ঝুঁকি ফ্যাক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণে। শুধু মাথায় পানি দেওয়ার ধরণ পরিবর্তন করলেই স্ট্রোক প্রতিরোধ হয় না, এটি একটি মিথ।
#হিজামা #ফিজিওথেরাপি
01751-941429