Dr Md Shahidullah Shishir

Dr Md Shahidullah Shishir Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr Md Shahidullah Shishir, Doctor, Manda.

BHMS (Dhaka University)
DipIACH(Greece)(Trainee)
MPH(BOU)(on Course)
Training on Teaching Methodology (CME)
Lecturer, Clinical Medicine Department (Government Homeopathic Medical College)
Chronic Disease consultant(Araf Homeo Hall),(Mobile:01716761571)

11/07/2025

জুম্মা মুবারক

  PUTORIUS (Mephitis)  Materia Medica William BOERICKE, M.D.&  GuideRoger Morrison, M.Dহোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কাশির সমস্য...
09/07/2025

PUTORIUS (Mephitis)

Materia Medica
William BOERICKE, M.D.
&
Guide
Roger Morrison, M.D

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কাশির সমস্যা একটা সাধারণ আবার জটিল বিষয়। অসংখ্য মেডিসিন এর ভিড়ে এই মেডিসিন টা কখনো কখনো আমাদের চিকিৎসা সম্পর্কে দারুণ পজিটিভ ইমপ্রেশন নিয়ে আসে।এটি একটা ছোট কিন্তু চমৎকার ফলাফল নিয়ে আসে।

সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ বিশেষ করে হুপিং কাশির (Whooping-cough) জন্য।বোরিকএই মেডিসিনের সম্পূর্ণ কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে, এটি নিম্নমাত্রায় (1x থেকে 3x) প্রয়োগ করতে বলেছেন। এ ছাড়াও অন্যান্য কাশির মেডিসিন এ কাজ না হলে এই মেডিসিন ব্যবহার করতে পারেন।

#উপসর্গসমূহঃ

দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি

হাঁপানিজনিত খিঁচুনির মতো কাশি

খিঁচুনিভাবে এমন জোরে কাশি হয়, যেন প্রতিটি কাশির ধাক্কাতেই মৃত্যু ঘটবে

শিশুকে উঠিয়ে বসাতে হয়, মুখ নীলচে হয়ে যায়, নিঃশ্বাস ছাড়তে পারে না

বুকে, বিশেষ করে উপরের অংশে কফ জমে ছড়ছড় শব্দ হয় (mucous rales)

রোগী বরফ ঠান্ডা পানিতে স্নান করতে চায়, যেন এতে উপশম হয়

#মানসিক অবস্থা (Mind):

উত্তেজিত ও কল্পনাপ্রবণ

না ঘুমাতে পারে, না কাজ করতে পারে।

#শারীরিক ব্যথা ও চোখের উপসর্গ:

অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ব্যথা

চোখে ঝাপসা দেখা

অক্ষর চিনতে না পারা

চোখের সাদা অংশ (conjunctiva) লাল

চোখ গরম ও যন্ত্রণাদায়ক

#মুখ (Mouth):

দাঁতের শিকড়ে হঠাৎ হঠাৎ ব্যথার ঝাঁকুনি

মুখ ফুলে ওঠা

মুখে পেঁয়াজ খাওয়ার মতো তামা-জাতীয় স্বাদ (Coppery taste)

#শ্বাসতন্ত্র (Respiratory):

পানি পান বা কথা বলার সময় গলা হঠাৎ সংকুচিত হয়ে আসে

খাবার ভুল রাস্তায় চলে যায় (trachea দিয়ে খাদ্যনালীতে নয়)

ভুয়া ক্রুপ (False croup) – নিঃশ্বাস ছাড়তে পারে না

খিঁচুনিভাবপূর্ণ কাশি এবং হুপিং কাশি

দিনে কিছু কাশি হলেও রাতে অনেক বেশি কাশি হয়,
খাওয়ার পর বমি হয়

হাঁপানি, যেন সালফার শ্বাসে নিচ্ছে

কথা বললে কাশি শুরু হয়

কাশি গহ্বরজাতীয়, গভীর, সঙ্গে বুক জ্বলা, গলা বসে যাওয়া, ও বুকে ব্যথা

রাতের বেলা কাশি তীব্রতর হয়

#ঘুম (Sleep):

রাতে ঘুম ভেঙে যায়, নিচের পায়ে হঠাৎ রক্ত জমে যাওয়ার অনুভূতিতে

জল, আগুন ইত্যাদি নিয়ে জীবন্ত স্বপ্ন (vivid dream) দেখা

Desktop)

#বক্ষ (CHEST):

কাশি বেড়ে যায় পড়া বা কথা বলার সময়,
পান করার সময়,
খাওয়ার সময়,
শুয়ে পড়লে,
নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় (exhaling)।

আচমকা তীব্র কাশির উপসর্গ, বিশেষ করে মধ্যরাতের পর বাড়ে।

দিনে ভালো থাকে, কিন্তু রাতে প্রচণ্ড কাশি ওঠে, এমনকি বমিও হতে পারে।

#তুলনামূলক ওষুধ (COMPARISONS):

Drosera (Dros.)

Arsenicum album (Ars.)

Kali bichromicum (Kali-Bi.)

Rumex crispus (Rumex)

এই ওষুধগুলোর সঙ্গে Mephitis-এর উপসর্গের মিল রয়েছে, বিশেষ করে কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত ক্ষেত্রে।

  Naturalis (Graph.) Graphites রোগীদের মধ্যে "blandness" বা নীরসতা, মাথা ভারভাব এবং তীব্র উদাসীনতা থাকে—তিনটি স্তরে:1. শ...
30/06/2025

Naturalis (Graph.)

Graphites রোগীদের মধ্যে "blandness" বা নীরসতা, মাথা ভারভাব এবং তীব্র উদাসীনতা থাকে—তিনটি স্তরে:

1. শারীরিকভাবে

2. আবেগগতভাবে

3. মানসিকভাবে (ইন্টেলেকচুয়াল স্তরে)

রোগী যেন "মোটাসোটা চামড়া" বা "ঘন, শক্ত আবরণে মোড়ানো" — বাইরের কোনো উত্তেজনা বা উদ্দীপনা (stimuli) সহজে তার মধ্যে পৌঁছায় না।
ফলে তারা হয় নীরস, প্রতিক্রিয়াহীন এবং ভারী অনুভূতির মানুষ।

#শারীরিক চেহারা (Physical Appearance):

সাধারণত রোগী স্থূলকায় (overweight) ও ঢিলে-ঢালা (flabby) গড়নের হয়।

চুল প্রায়ই কালো, ত্বক মলিন ও মাটির রঙের মতো (earthy complexion)।

চেহারায় অনেকটা Cushing's syndrome-এর মতো ভঙ্গিমা দেখা যায়।

তবে Calcarea carb.-এর মতো অতটা ফোলা বা নরম শরীর নয়।

অনেক সময় Graphites রোগীরা মজদুর, গ্রামবাসী বা ট্রাকচালক হয়ে থাকে।

এদের শরীর Calcarea-র তুলনায় একটু বেশি জীবনশক্তিতে ভরপুর দেখায়।

#মানসিক বৈশিষ্ট্য (Mental Characteristics):

#তীব্র সংবেদনশীলতার অভাব:

শারীরিক, আবেগিক ও মানসিক স্তরে সবকিছুতেই প্রতিক্রিয়া কম।

চিন্তাভাবনার জড়তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বলতা:

কোনো ধরনের বিশ্লেষণমূলক বা বিজ্ঞানভিত্তিক কাজ করতে পারে না।

মন ধীরগতি, অলস ও তথ্য গ্রহণে অসচ্ছল।

বাইরের ঘটনা বা কথা ঠিকভাবে তার মনে দাগ কাটে না।

রোগীর মধ্যে এই অবস্থা চিকিৎসা সাক্ষাৎকারের সময় পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়:

নিজে থেকে খুব কম তথ্য দেয়।

প্রশ্নের উত্তর সংক্ষেপে ও অগভীরভাবে দেয়।

মনে হয়, তার সাথে গভীরভাবে যোগাযোগ স্থাপন খুব কঠিন।

এমন যেন মনের ওপর মোটা আবরণ পড়ে আছে, কোনো কিছু ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না।

#স্মৃতিশক্তি (Memory):

সাধারণত স্মৃতিশক্তি দুর্বল, বিশেষ করে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা ভুলে যায়।

দৈনন্দিন ঘটনা রোগীর মনে সম্পূর্ণভাবে ছাপ ফেলে না, তাই মনে থাকে না।

তবে পুরোনো দিনের ঘটনা – অর্থাৎ Graphites-এর মানসিক উপসর্গ শুরু হওয়ার আগে যা ঘটেছে, তা সে ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।

#মানসিক শূন্যতা (Mental Emptiness):

শেষ পর্যন্ত রোগীর মনে একধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হয়।

তবে এটি Phosphorus-এর রোগীদের মতো সাধারণ “mind goes blank” নয়।

Graphites রোগীদের মনে এক ধরনের চিন্তার অনুপস্থিতি দেখা যায়।
এটি এমন নয় যে তারা শুধুই ক্লান্ত, বরং তারা মাথার ভেতর এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করে — যেন মাথার ভেতরে কিছুই ঘটছে না, সব কিছু থেমে আছে।

তারা বলে: "মাথাটা যেন বোঝাই হয়ে আছে, কিন্তু কোনো ভাবনা আসছে না।"

এই শূন্যতা ধীরে ধীরে চিন্তা-শক্তিকে আরও ভোঁতা (blunt) করে তোলে।

Graphites রোগীদের মধ্যে অনেক সময় এই দুই বিপরীত অবস্থাই দেখা যায় — কখনো অতিরিক্ত ভার, আবার কখনো একেবারে ফাঁকা।

#অস্থিরতা ও সিদ্ধান্তহীনতা (Indecision):

মন মেধাহীন ও জড়তার কারণে তারা সহজ সিদ্ধান্তও নিতে পারে না।
যেমন, দোকানে গিয়ে তারা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে — ভাবছে দামটা ঠিক আছে কি না, কিনবে কি না। শেষ পর্যন্ত তারা কিছুই না কিনে ফিরে আসে।

এই ধরনের মানসিক সিদ্ধান্তহীনতা তাদের দৈনন্দিন কাজেও ব্যাপকভাবে ব্যাঘাত ঘটায়।

#অবশেষে উদ্বেগ ও ভয়:

এক সময় Graphites রোগীরা বুঝতে পারে যে তাদের মন ঠিকভাবে কাজ করছে না।
এই আত্মচেতনা থেকেই বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা ও ভয় তৈরি হয়।

তারা অনুভব করে, "আমার চারপাশে যা ঘটছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না" — তাই একটা অজ্ঞাত বিপদ বা দুর্ভাগ্যের ভয় তাদের ঘিরে ফেলে।

এটি Calcarea carb.-এর মতো "পাগল হয়ে যাওয়ার ভয়" নয়, বরং বাইরের দুনিয়া থেকে কোনো খারাপ কিছু ঘটবে — এই আশঙ্কা।

#সকালে অবস্থা খারাপ, সন্ধ্যায় কিছুটা স্বস্তি:

সব মানসিক উপসর্গ — বুদ্ধির স্থবিরতা, উদ্বেগ, ভয়, সিদ্ধান্তহীনতা — এগুলো সকালে বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পর সবচেয়ে বেশি হয়।

তারা বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো কাজ করতে চায় না, বিশেষ করে সকালে।

তবে সন্ধ্যার দিকে তারা কিছুটা স্বস্তি পায়, তখন মানসিক চাপ কমে আসে, কখনো কখনো আবেগপ্রবণ হয়।

কিন্তু পরদিন সকালে আবার একই প্যাথলজিক্যাল অবস্থায় ফিরে যায়।

#সঙ্গীতের প্রতিক্রিয়া:

যখন তারা মন খারাপ অবস্থায় থাকে, তখন সঙ্গীত তাদের আরও দুঃখিত করে তোলে।
তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে — কিন্তু এটি আবেগঘন বা রোমান্টিক কান্না নয়, বরং আত্মদয়ার কারণে কান্না।

এটি Natrum muriaticum-এর মতো নয় — Nat-m রোগীরা সঙ্গীত উপভোগ করে, তাদের দুঃখকে রোমান্টিক করে তোলে।
কিন্তু Graphites-এ, সঙ্গীত আসলে অবস্থার অবনতি ঘটায়।

#শারীরিক লক্ষণ – চর্মরোগ:

#ত্বক (Skin):

শারীরিক দৃষ্টিকোণ থেকে ত্বক (চর্ম) হলো Graphites-এর প্রধান লক্ষণ ক্ষেত্র।
যেমনভাবে দেহের গভীরে বিভিন্ন স্তরে শক্তভাব ও স্ক্লেরোসিস (sclerosis) দেখা যায়, তেমনি ত্বকেও মোটা ও শক্ত স্তর তৈরি হয়।

কাটা-ছেঁড়া বা অস্ত্রোপচারের পর ঘন ঘন কেলয়েড (keloid) তৈরি হওয়ার প্রবণতা — এটি Graphites-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন।
লেখক নিজেও এরকম দুটি রোগীর কথা স্মরণ করেছেন, যাদের কেলয়েড সমস্যায় Graphites চমৎকারভাবে উপকার দিয়েছে।

#রস নিঃসরণ বা ডিসচার্জ (Discharges):

Graphites-এর সব ধরণের নিঃসরণ (discharges) হয় ঘন, আঠালো এবং হলুদাভ।
যেমনভাবে মন (mind) জড় এবং কঠিন — প্রবেশ করা কঠিন — তেমনই ত্বক ও নিঃসরণগুলিও ঘন ও কঠিন প্রকৃতির।

#চর্মরোগ / স্কিনের উপসর্গ:

Graphites সব ধরণের চর্মরোগে বিখ্যাত, বিশেষত:

একজিমা (eczema) — পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে

হারপেটিক ব্রণ বা ফুসকুড়ি (herpetic eruptions)

স্কেলিং/চামড়া উঠা জাতীয় ফুসকুড়ি

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকা:

হাতের ভাঁজ (antecubital fossa)

হাঁটুর পেছনের ভাঁজ (popliteal fossa)

মাথার চুলের সীমান্ত অঞ্চল

কানের ভিতর/পাশে

আক্রান্ত জায়গায় চামড়া ফেটে যায়, বিশেষ করে শিশুদের কানে।
তখন ঘন, হলুদ, আঠালো এক ধরনের সিরাম সদৃশ দুর্গন্ধযুক্ত তরল বের হয় — এটি Graphites-এর জন্য খুবই নির্দিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

#নখের সমস্যা (Nails):

Graphites-এর আরেকটি মুখ্য লক্ষণ হল:

নখ ভঙ্গুর (brittle) হয়ে যাওয়া

নখের আকৃতি বিকৃত (deformed) হয়ে যাওয়া

#স্কিন ডিজঅর্ডার দমন করলে পরিণাম:

যদি ত্বকের রোগ Cortisone বা অন্য ওষুধ দিয়ে দমন করা হয়, তাহলে রোগী:

অ্যাজমা (asthma)

মাথাব্যথা

অথবা ডিউডেনাল আলসার (duodenal ulcer) – এসব সমস্যা নিয়ে ভুগতে পারে।

এদের মধ্যে পেট (stomach) একটি বিশেষ টার্গেট অঙ্গ।

#পেটের লক্ষণ (Stomach Symptoms):

পেট মোচড়ানো ও জ্বালাভাব — যা খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই কমে যায়।

এটা আলসার রোগীদের মধ্যে সাধারণ লক্ষণ, তাই একে নির্দিষ্ট গাইডিং লক্ষণ বলা যাবে না, তবে Graphites রোগীদের মধ্যে এটি অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত।

রোগী বলেন:
“পেটে মোচড় দেয়, আমি শুধু শুয়ে থাকতে চাই, চুপ থাকতে চাই, আর কিছু খেতে চাই।”

#অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অসাড়তা (Numbness):

পায়ের আঙুলেও অসাড়তা দেখা দিতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি হয় হাতের আগার (forearms) অংশে।

এই অসাড়তার সঙ্গে প্রায়ই ক্র্যাম্প বা মোচড় যুক্ত থাকে।

কিন্তু যদি আঙুলের ডগায় অসাড়তা থাকে, তাহলে ভেবে দেখা উচিত Phosphorus।

#ঠান্ডার প্রতি সংবেদনশীলতা:

Graphites সাধারণত বাম পাশে লক্ষণ সৃষ্টি করে এবং এটি ঠান্ডার প্রতি সংবেদনশীল।

তবে এই সংবেদনশীলতা বাইরের ঠান্ডা বা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার মতো নয়, বরং এটি আভ্যন্তরীণ ঠান্ডা ভাব — শরীরের ভেতর থেকে ঠান্ডা অনুভব করে।

#খাদ্যাভ্যাস ও রুচি (Food Symptoms):

Graphites-এর রোগীদের থাকে:

লবণ, মিষ্টি ও মাছের প্রতি বিতৃষ্ণা (aversion)

এটি একমাত্র ওষুধ যেটি এই তিনটির প্রতি একসাথে অনিচ্ছা দেখায়।
তুলনায় Argentum nitricum (Arg. nit.) একেবারে উল্টো — সে লবণ ও মিষ্টির প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা (craving) দেখায়, এবং সে একটি উষ্ণরক্ত, উত্তেজনাপূর্ণ ও উচ্চ-শক্তির ওষুধ।

Graphites-এ আবার দেখা যায় মুরগির মাংস খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা।

#প্রেসক্রিপশনের সতর্কতা:

এই ধরনের কীগুলো (keynotes) যেমন—খাদ্যরুচি, ঠান্ডা, নখ, ত্বক ইত্যাদি—একটি উপসর্গকে একা ধরে প্রেসক্রিপশন দেওয়া যাবে না।

বরং পুরো রোগীর সার্বিক চিত্র, যেমন:

বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্কহীনতা (lack of contact),

মানসিক স্থবিরতা (blandness),

চেহারার বৈশিষ্ট্য — এগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখেই প্রেসক্রিপশন দিতে হবে।

-এর সাথে বিভ্রান্তির সম্ভাবনা:

Graphites ও Ferrum metallicum-এর মধ্যে বিভ্রান্তি হতে পারে, কারণ:

দুজনেই ক্লান্ত, স্থূলকায় এবং ঠান্ডাপ্রবণ

দুজনেরই রক্ত-সঞ্চালনের সমস্যা বা flushing থাকে।

পার্থক্য:

Graphites রোগীদের ভয়, হতাশা ও সিদ্ধান্তহীনতা প্রধানত সকালে হয়।

এছাড়া তাদের মধ্যে থাকে একটি অজ্ঞাত বিপদের ভয়।

-এর সঙ্গে তুলনা:

অনেক সময় Pulsatilla ও Graphites রোগীদের মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতা দেখে মনে হতে পারে তারা একই রকম।

পার্থক্য:

Pulsatilla হলো উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট এবং সন্ধ্যার পর অবস্থার অবনতি হয়।

Graphites হলো ঠান্ডা প্রকৃতির এবং সকালে উপসর্গ খারাপ হয়।

এই বিভ্রান্তিমূলক কেসে রোগীর প্রতি:

তাজা বাতাসে প্রতিক্রিয়া কেমন,

হাঁটার গতি কেমন,

এবং খাদ্যাভ্যাস কেমন — এসব বিবেচনায় আনতে হয়।

carbonica-র সঙ্গে তুলনা:

Calcarea carb. ও Graphites দুজনেই:

ঠান্ডাপ্রবণ (chilly),

স্থূল ও মোটা গড়নের (obese),

এবং মানসিক ক্লান্তি বা কাজ করতে অনীহা থাকে।

তবে:

Graphites একেবারে "anti-intellectual", অর্থাৎ বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করতে একদম চায় না।

Calcarea কিছুটা কষ্টে পড়ে, কিন্তু চেষ্টা করে কাজ শেষ করতে।

Graphites রোগীরা শারীরিকভাবে বেশি মজবুত ও খসখসে/অশোভন প্রকৃতির হতে পারে, যেখানে Calcarea রোগীরা তুলনামূলকভাবে ভদ্র ও নরম প্রকৃতির।

Essence of Materia Medica
George Vithoulkas
অবলম্বনে।

12/06/2025

ইদ পরবর্তী ছুটি শেষে আজ থেকে আরাফ হোমিও হলের চিকিৎসা সেবা চলমান থাকবে।চেম্বার এর সময় সূচি আগের টাইম বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯:৩০। জরুরি প্রয়োজনে কল করুন ০১৭১৬৭৬১৫৭১ মোবাইল /হটস আপ/ইমু।

George Vithoulkas-এর “Materia Medica Viva” থেকে Medorrhinum রেমেডির যৌন প্রবণতা (s*xual pathology) ও মানসিক কাঠামো নিয়ে ...
28/05/2025

George Vithoulkas-এর “Materia Medica Viva” থেকে Medorrhinum রেমেডির যৌন প্রবণতা (s*xual pathology) ও মানসিক কাঠামো নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি উদ্ধৃতি যেগুলো যৌন উন্মাদনা, অপরাধবোধ ও পালিয়ে যাওয়ার মানসিকতার ওপর আলোকপাত করে।

Sexual Excess & Inner Guilt:

"The Medorrhinum patient may indulge in excessive s*xual activity, not merely from libido but as an escape from an overwhelming sense of guilt and inner anxiety.”

Distorted Sexual Behavior:

"There can be a strong perversion of s*xual desires. Fantasies are frequent and often abnormal. Sometimes there is a tendency towards early s*xual activity, even in childhood, which may be a result of past abuse or suppression."

the Internal Conflict:

"After the indulgence comes remorse. There is always a cycle—intense desire, indulgence, then guilt, and repentance. This shows the deep internal conflict the Medorrhinum type is constantly battling."

Escapism Through Sensuality:

"This remedy type seeks to escape the present reality. Sensual pleasures, especially s*x, become a tool of escape from fear, pain, and emotional instability.”

Early Depravity:

“In children, one may see premature interest in s*xual matters, often accompanied by a rebellious or secretive nature. These children may lie, sneak around, or show early signs of compulsive behavior.”

 #ফেল তৌরি (Fel Tauri) হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হিসেবে গলস্টোন (gallstones) বা পিত্থপাথর সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত গরুর পিত্...
20/05/2025

#ফেল তৌরি (Fel Tauri) হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হিসেবে গলস্টোন (gallstones) বা পিত্থপাথর সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত গরুর পিত্ত (ox bile) থেকে প্রস্তুতকৃত একটি ছোট মেডিসিন।

Fel Tauri কীভাবে গলস্টোনে কাজ করে:

#পিত্ত নিঃসরণ (Bile Secretion) উন্নত করে:

Fel Tauri লিভার ও গলব্লাডারের কাজকে উদ্দীপিত করে, ফলে পিত্ত নিঃসরণ স্বাভাবিক হয়।

পিত্তের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়, যাতে পাথর গঠনের সম্ভাবনা কমে।

#পিত্ত থলি (Gallbladder) এর ফাংশন উন্নত করে:

Gallbladder-এর contractility (সংকোচন ক্ষমতা) বাড়িয়ে দেয়, যা পিত্ত নিঃসরণে সাহায্য করে।

এতে করে পিত্ত জমে থাকা বা stasis কমে, যা গলস্টোন গঠনের প্রধান কারণ।

#পাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে:

পিত্ত পাচনতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। Fel Tauri হজমে সহায়তা করে, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার হজমে।

#ডিটক্সিফিকেশন ও লিভার সাপোর্ট:

লিভার ফাংশন উন্নত করে এবং টক্সিন নির্গমনকে সহজ করে, যা পরোক্ষভাবে গলস্টোন প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আমি আমার রুগিদের উপর 3X পাউডার ট্রাইট্রশন পটেন্সিতে ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছি।

Fel Tauri হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হিসেবে নিরাপদ হলেও, বড় বা জটিল গলস্টোন এর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র এই মেডিসিন এর উপর নির্ভর না করে এলোপ্যাথি বা সার্জিকাল অপারেশন এর পরামর্শ দেয়া উচিত।

হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যক্তির উপসর্গ অনুযায়ী নির্বাচন করা করা হয় যা Individualization হিসেবে আমরা বলে থাকি।

#ডাক্তার উইলিয়াম বোরিক ও ক্লাকের ডিকশনারি অব মেটেরিয়া মেডিকা বইয়ে ফেল তৌরি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

আসুন মেডিসিন পড়ি মেডিসিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।

#নো লক্ষন নো মেডিসিন
যেখানে লক্ষন সেখানে মেডিসিন

#হ্যাপি ফেসবুকিং

 #লিচু একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল, যার রয়েছে অনেক উপকারিতা। গরমের সিজনে লিচু প্রচুর পাওয়া যায়।লিচুর উপকারিতা: #ভিটামিন...
20/05/2025

#লিচু একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল, যার রয়েছে অনেক উপকারিতা। গরমের সিজনে লিচু প্রচুর পাওয়া যায়।

লিচুর উপকারিতা:

#ভিটামিন C-এর ভালো উৎস:

লিচুতে প্রচুর ভিটামিন C থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের জন্য উপকারী।

#অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:

এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (যেমন: ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনল) শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে।

#হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী:

লিচুতে পটাসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

#হজমে সহায়ক:

এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে।

#ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:

ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।

#রক্ত তৈরিতে সহায়ক:

এতে আয়রন, কপার ও ভিটামিন B কমপ্লেক্স থাকায় রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।

#ওজন কমাতে সহায়ক:

লিচুতে ফ্যাট কম, কিন্তু ফাইবার বেশি — তাই এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে, যদি পরিমিতভাবে খাওয়া হয়।

#অতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।

#খালি পেটে বেশি লিচু খাওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (Hypoglycemia) ঘটাতে পারে।
#অনেক সময় অসাবধানে লিচু খেতে গিয়ে বাচ্চাদের গলায় লিচুর বিচি আটকিয়ে গিয়ে মৃত্যুর কারণ ঘটে।তাই বাবা মা কে এই বিষয়ে সাবধানে থাকা উচিত।
#লিচু
#প্রাকৃতিক

#পুষ্টি গুণ

23/04/2025

সি এফ সেভেন বিডি ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পর্যটন সেক্টরে একটি বিশাল উদ্যোগ!
📅 তারিখ: ১৭ই জানুয়ারি ২০২৫
🎉 ইভেন্ট: "এজেন্সি কনফারেন্স"

এই মেগা ইভেন্টটি আমাদের অংশীদার এজেন্সিগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এটি একত্রিত করবে দেশব্যাপী ট্যুরিজম পেশাজীবীদের এবং নতুন সুযোগ-সুবিধার সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।

👉 সাথে থাকুন আমাদের সাথে, গড়ে তুলুন নতুন পথ।
🛫 সি এফ সেভেন বিডি ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক - আপনার ভ্রমণের নির্ভরযোগ্য অংশীদার।










আপনার যেকোনো জিজ্ঞাসার জন্য যোগাযোগ করুন: 01772940983 / 01972940983
অফিস লোকেশন: নারায়ণপুর বাজার, বণিক সমিতি রোড, বেলাবো, নরসিংদী।

 #কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা যা প্রায় সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি মূলত মলত্যাগের অসুব...
11/04/2025

#কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা যা প্রায় সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি মূলত মলত্যাগের অসুবিধা, শুষ্ক বা শক্ত মল, অপর্যাপ্ত মলত্যাগ বা অস্বস্তিকর অনুভূতির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। নিচে কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পদ্ধতি ও ওষুধের বিবরণ দেওয়া হলো:

# # #কোষ্ঠকাঠিন্য কী?**

কোষ্ঠকাঠিন্য হলো এমন একটি অবস্থা যখন ব্যক্তি নিয়মিত বা স্বাভাবিকের চেয়ে কমবার মলত্যাগ করতে পারে, মল শক্ত বা শুষ্ক হয় এবং মলদ্বারে ব্যথা বা রক্তপাত হতে পারে। সাধারণত সপ্তাহে ৩ বারের কম মলত্যাগকে কোষ্ঠকাঠিন্য হিসেবে ধরা হয়।

# # #কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণসমূহ:**

1. #খাদ্যাভ্যাস:**

- ফাইবার (আঁশ) জাতীয় খাবার (শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্য) কম খাওয়া।
- পর্যাপ্ত পানি না পান করা।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, চর্বিযুক্ত খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণ।

2. #জীবনযাত্রার ধরন:**

- শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যায়ামের অভাব।
- মলত্যাগের প্রাকৃতিক বেগকে উপেক্ষা করা।

3. #চিকিৎসাগত কারণ:**
- হাইপোথাইরয়েডিজম, ডায়াবেটিস, IBS (ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম)।
- ক্যালসিয়াম বা আয়রন সাপ্লিমেন্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
- গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন।

4. #মানসিক কারণ:**
- উদ্বেগ, বিষণ্নতা বা মানসিক চাপ।

---

# # #কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ:**

- শক্ত, গুটি গুটি মল।
- মলত্যাগে প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগ।
- পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা।
- মলদ্বারে ব্যথা বা ফিশার (A**l Fissure)।
- অপর্যাপ্ত মলত্যাগের অনুভূতি।

# # #হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নীতি:**

হোমিওপ্যাথিতে রোগীর **সমগ্র লক্ষণ** (Physical, Mental, Emotional) বিশ্লেষণ করে ওষুধ নির্বাচন করা হয়। এখানে লক্ষণভিত্তিক কিছু প্রধান ওষুধ ও তাদের ব্যবহার:

# # # # **১. #নাক্স ভমিকা (Nux Vomica)**
- **লক্ষণ:**
- বারবার মলত্যাগের চেষ্টা কিন্তু অল্প শক্ত মল বের হয়।
- পেটে ব্যথা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি।
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, কফি বা অ্যালকোহল সেবনের ইতিহাস।
- মানসিক চাপ বা কাজের চাপে ভোগা রোগী।
- **মেন্টাল স্টেট:** খিটখিটে, অধৈর্য, প্রতিযোগিতামূলক স্বভাব।

# # # # **২. #ব্রায়োনিয়া (Bryonia)**
- **লক্ষণ:**
- শুষ্ক, কঠিন মল, তীব্র পিপাসা।
- সামান্য নড়াচড়ায় পেটে ব্যথা বৃদ্ধি।
- জিহ্বা শুষ্ক ও সাদা প্রলেপযুক্ত।
- **মেন্টাল স্টেট:** বিরক্তি, একাকী থাকতে পছন্দ করে।

# # # # **৩. #অ্যালুমিনা (Alumina)**
- **লক্ষণ:**
- মল নরম হলেও মলদ্বারে আটকে যায়, নিষ্কাশনে প্রচণ্ড চাপ লাগে।
- দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য (বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে)।
- শুষ্ক ত্বক ও শ্লেষ্মা ঝিল্লি।

# # # # **৪. #সিলিকিয়া (Silicea)**
- **লক্ষণ:**
- মলদ্বারে আটকে থাকা মলের অনুভূতি (অসম্পূর্ণ মলত্যাগ)।
- মল নিষ্কাশনে দুর্বলতা, মলদ্বারে ফিশার বা ফোড়া।
- রোগী সাধারণত ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না।

# # # # **৫. #লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium)**
- **লক্ষণ:**
- পেট ফাঁপা, গ্যাস, মলত্যাগের পরও পূর্ণতা বোধ।
- বিকেল ৪-৮টার মধ্যে লক্ষণ বৃদ্ধি।
- মিষ্টি খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা।

# # # # **৬. #ওপিয়াম (O***m)**
- **লক্ষণ:**
- দীর্ঘদিন মলত্যাগ না করা (৫-৭ দিন)।
- মলদ্বারে কোনো সংবেদনশীলতা নেই, মল নিষ্কাশনের বেগ অনুপস্থিত।
- রোগী নিষ্ক্রিয় ও ঝিমুনিভাবযুক্ত।

# # #হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ দিক:**

1. **ব্যক্তিগতকরণ:** একই রোগের জন্য বিভিন্ন রোগীকে ভিন্ন ওষুধ দেওয়া হতে পারে (লক্ষণের ভিন্নতার কারণে)।

2. **শক্তি (Potency):** ৩০সি, ২০০সি বা ১এম শক্তির ওষুধ সাধারণত ব্যবহৃত হয়, তবে চিকিৎসকই সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করবেন।

3. **লক্ষণ বৃদ্ধি:** কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ সেবনের পর অস্থায়ীভাবে লক্ষণ বাড়তে পারে, যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

# # #প্রতিরোধ ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন:**

#আঁশযুক্ত খাবার:** পেয়ারা, পেপ্টা, ওটস, শাকসবজি।

- #হাইড্রেশন:** দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি।

- #ব্যায়াম:** নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম (বিশেষত পবনমুক্তাসন)।

- #মলত্যাগের রুটিন:** প্রাকৃতিক বেগকে উপেক্ষা না করা।

# # #কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?**
- কোষ্ঠকাঠিন্য ৩ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে।
- মলের সঙ্গে রক্ত গেলে বা ওজন কমতে থাকলে।
- তীব্র পেটে ব্যথা বা বমি হলে।

# # #সতর্কতা:**
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কার্যকর হলেও **স্ব-চিকিৎসা এড়িয়ে চলুন**। দীর্ঘমেয়াদী বা জটিল কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং প্রয়োজনে অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

 #সায়াটিকার প্রধান কারণ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা**  ১.  #সায়াটিকা কী?**  সায়াটিকা হলো সায়াটিক স্নায়ুর (শর...
10/04/2025

#সায়াটিকার প্রধান কারণ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা**

১. #সায়াটিকা কী?**

সায়াটিকা হলো সায়াটিক স্নায়ুর (শরীরের দীর্ঘতম স্নায়ু, যা কোমর থেকে পায়ের পাতায় বিস্তৃত) জড়িত ব্যথা বা অস্বস্তি। এটি সাধারণত স্নায়ুর মূল (nerve root) চাপা পড়া বা জ্বালাপোড়ার কারণে ঘটে। এই ব্যথা কোমর, নিতম্ব, ঊরু বা পায়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং অসাড়তা, ঝিনঝিনি বা দুর্বলতা তৈরি করতে পারে।

২. #সায়াটিকার প্রধান কারণ**

ক. #মেরুদণ্ডের সমস্যা**

১. #হার্নিয়েটেড ডিস্ক (Herniated Disc)**:

মেরুদণ্ডের ডিস্কের ভিতরের নরম অংশ (নিউক্লিয়াস পাল্পোসাস) বের হয়ে স্নায়ুমূলকে চাপ দিলে।
২. #স্পাইনাল স্টেনোসিস (Spinal Stenosis)**:

মেরুদণ্ডের ক্যানাল সংকীর্ণ হয়ে স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করা।

৩. #স্পনডাইলোলিস্থেসিস (Spondylolisthesis)**: এক কশেরুকা অপরটির উপর স্লাইড হলে।

৪. #অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)**: মেরুদণ্ডের জয়েন্টে বর্ধিত হাড় (বোন স্পার) স্নায়ুকে আঘাত করলে।

**খ. #পেশি ও টিস্যুর সমস্যা**

১. **পিরিফরমিস সিন্ড্রোম (Piriformis Syndrome)**: নিতম্বের পিরিফরমিস পেশি সায়াটিক স্নায়ুকে চাপ দিলে।

২. **পেলভিক ইনজুরি বা টিউমার**: পেলভিক অঞ্চলে আঘাত বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।

**গ. অন্যান্য কারণ**
- গর্ভাবস্থায় জরায়ুর চাপ।
- ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি।
- মেরুদণ্ডের সংক্রমণ বা টিউমার।

৩. #লক্ষণ**

- তীব্র, জ্বালাপোড়া বা শুটিং ব্যথা যা কোমর থেকে পায়ের পেছন দিকে ছড়ায়।
- পায়ে দুর্বলতা বা ভারসাম্যহীনতা।
- পায়ের আঙুল বা গোড়ালিতে অসাড়তা।
- দীর্ঘক্ষণ বসা, হাঁচি বা কাশির সময় ব্যথা বৃদ্ধি।

৪. #রোগ নির্ণয়**

- **শারীরিক পরীক্ষা**: স্ট্রেইট লেগ রেইজ টেস্ট (SLR) ও নিউরোলজিক্যাল টেস্ট।
- **ইমেজিং**:
- এমআরআই (MRI): স্নায়ু ও নরম টিস্যুর বিস্তারিত ছবি।
- সিটি স্ক্যান বা এক্স-রে: হাড়ের সমস্যা শনাক্ত করতে।
- **ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি (EMG)**: স্নায়ুর কার্যকারিতা পরীক্ষা।

৫. #ব্যবস্থাপনা**

**ক. প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঘরোয়া পদ্ধতি**
১. **ব্যথানাশক ওষুধ**:
- প্যারাসিটামল, NSAIDs (আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন)।
- মাংসপেশির শিথিলক (Muscle Relaxants)।

২. **হিট/কোল্ড থেরাপি**: প্রথম ৪৮ ঘণ্টা বরফ, পরে গরম সেঁক।
৩. **বিশ্রাম**: ২-৩ দিন শয্যাশায়ী থাকা, তবে দীর্ঘস্থায়ী বিশ্রাম এড়ানো।

৪. **হালকা ব্যায়াম**: স্ট্রেচিং (যেমন: নিতম্ব ও হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ)।

**খ. চিকিৎসা পদ্ধতি**

১. **ফিজিওথেরাপি**:
- ম্যানুয়াল থেরাপি, আল্ট্রাসাউন্ড বা টেন্স (TENS) মেশিন।
- কোর মাসল শক্তিশালীকরণের ব্যায়াম (পেলভিক টিল্ট, ব্রিজ এক্সারসাইজ)।
২. **ইপিডুরাল স্টেরয়েড ইনজেকশন**: তীব্র ব্যথায় স্নায়ুমূলে স্টেরয়েড প্রয়োগ।

৩. **অস্ত্রোপচার**:
- **ডিস্কেকটমি (Discectomy)**: হার্নিয়েটেড ডিস্ক অপসারণ।
- **ল্যামিনেকটমি (Laminectomy)**: মেরুদণ্ডের হাড় কেটে স্নায়ুর চাপ কমানো।

**গ. বিকল্প চিকিৎসা**
- আকুপাংচার বা কায়রোপ্র্যাকটিক কেয়ার।
- যোগব্যায়াম ও পিলেটিস।

#হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :লক্ষন ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

৬. #প্রতিরোধ**

- **ভালো ভঙ্গি**: বসা বা দাঁড়ানোর সময় স্পাইন সোজা রাখা।
- **ওজন নিয়ন্ত্রণ**: অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডে চাপ বাড়ায়।
- **নিয়মিত ব্যায়াম**: কোর মাসল (পেট ও পিঠের পেশি) মজবুত করা।
- **ভারী জিনিস তোলা এড়ানো**: নিচু হয়ে না থেকে হাঁটু ভেঙে তোলা।

৭. #কখন ডাক্তার দেখাবেন?**

- ব্যথা ১ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে।
- পায়ে দুর্বলতা বা মল-মূত্রের নিয়ন্ত্রণ হারালে (Cauda Equina Syndrome)।
- দুর্ঘটনা বা আঘাতের পর ব্যথা শুরু হলে।

৮. #উপসংহার**
সায়াটিকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার ছাড়াই ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে উন্নতি হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা বা জটিলতা এড়াতে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, সঠিক ব্যায়াম ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে সায়াটিকা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 # #হাড় ক্ষয়:৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সে নারীদের (বিশেষ করে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে) হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ...
09/04/2025

# #হাড় ক্ষয়:

৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সে নারীদের (বিশেষ করে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে) হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণগুলো ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

# # #হাড় ক্ষয়ের প্রধান কারণ**

১. # #হরমোনের পরিবর্তন**:

# #এস্ট্রোজেন হ্রাস**: মেনোপজের পর নারীদের শরীরে এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যায় যা হাড়ের ঘনত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এস্ট্রোজেন কমে গেলে হাড় ভাঙার প্রক্রিয়া গঠনের চেয়ে দ্রুত হয়।

# #প্যারাথাইরয়েড হরমোনের প্রভাব**: বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই হরমোনের কার্যকারিতা বেড়ে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ক্ষয় করতে পারে।

২. # #পুষ্টির অভাব**:

#ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি**: হাড় গঠনে এই দুটি পুষ্টি অপরিহার্য। বয়স বাড়লে খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ ক্ষমতা কমে, আবার ভিটামিন ডি-এর অভাবে ক্যালসিয়াম বিপাক ব্যাহত হয়।
# #প্রোটিন ও অন্যান্য মিনারেলের অভাব** (যেমন: ম্যাগনেসিয়াম, জিংক)।

৩. # #জীবনযাপনের ধারা**:
- শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব।
- ধূমপান, মদ্যপান, ক্যাফেইন অতিরিক্ত সেবন।
- ওজন কম থাকা বা অপুষ্টি।

৪. # #জেনেটিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা**:
- পরিবারে অস্টিওপরোসিসের ইতিহাস।
- থাইরয়েড সমস্যা, কিডনি রোগ, বা স্টেরয়েড ওষুধের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার।

# # #প্রতিকারের উপায়**

১. #পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস**:

#ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার**: দুধ, দই, পনির, সবুজ শাক (পালং, ব্রোকলি), তিল, বাদাম।

#ভিটামিন ডি**: সূর্যের আলো (সকালে ১৫-২০ মিনিট), ফ্যাটি ফিশ (স্যালমন), ডিমের কুসুম।

#প্রোটিন ও ম্যাগনেসিয়াম**: ডাল, মাছ, মুরগি, কলা, আভোকাডো।

২. #নিয়মিত ব্যায়াম**:

#ওয়েট-বিয়ারিং এক্সারসাইজ**: হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি চড়া।
#রেজিস্টেন্স ট্রেনিং**: হালকা ওজন উত্তোলন, যোগাসন।
#ব্যালেন্স এক্সারসাইজ**: টাই চি, যোগব্যায়াম (হাড়ের ঘনত্ব ও ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে)।

৩. #চিকিৎসা ও সাপ্লিমেন্ট**: (প্রচলিত চিকিৎসা)

#ক্যালসিয়াম + ভিটামিন ড3 সাপ্লিমেন্ট**: চিকিৎসকের পরামর্শে (সাধারণত দিনে ১২০০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম ও ৮০০-১০০০ আইইউ ভিটামিন ডি)।
#বিসফসফোনেট ওষুধ** (যেমন: Alendronate): হাড় ভাঙার গতি কমায়।
#হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT)**: মেনোপজের লক্ষণ ও হাড় ক্ষয় কমাতে, তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে ব্যবহার করা হয়।

৪. #জীবনযাত্রায় পরিবর্তন**:

- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন।
- লবণ ও ক্যাফেইন কম গ্রহণ করুন (এগুলো ক্যালসিয়াম ক্ষয় বাড়ায়)।
- পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙা এড়াতে বাড়িতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করুন (যেমন: পিছলে পড়ার ঝুঁকি কমানো)।

৫. #স্ক্রিনিং**:

#বোন ডেনসিটি টেস্ট (DEXA Scan)**: ৫০ বছর পর নিয়মিত করানো উচিত, বিশেষ করে যাদের ঝুঁকি বেশি।

# # #কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ**

- হাড়ের স্বাস্থ্য শৈশব থেকেই যত্ন নেওয়া জরুরি, তবে বয়স ৪৫ পার হলেও সচেতন হলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
- লক্ষণ দেখা দিলে (যেমন: পিঠে ব্যথা, উচ্চতা কমে যাওয়া, সহজে হাড় ভাঙা) দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

#মনে রাখবেন**: অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য রোগ। সময়মতো পদক্ষেপ নিলে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব! 🌟

Address

Manda

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Md Shahidullah Shishir posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Md Shahidullah Shishir:

Share

Category