G M Homeo Hall , Savar

G M Homeo Hall , Savar We provide the best service to patient
with quality assurance.

29/12/2024

🌿 গ্যাস্ট্রাইটিস ও তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা 🌿

গ্যাস্ট্রাইটিস হলো পেটের ভেতরের ঝিল্লির প্রদাহ, যা অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, মানসিক চাপ, হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) সংক্রমণ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে হতে পারে। তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

---

গ্যাস্ট্রাইটিসের প্রধান লক্ষণ:

1️⃣ পেটব্যথা ও অস্বস্তি।
2️⃣ বমি বমি ভাব বা বমি।
3️⃣ গ্যাস ও পেট ফোলাভাব।
4️⃣ বুক জ্বালা।
5️⃣ অরুচি ও খাবারের পর অতিরিক্ত ভারী লাগা।
6️⃣ কালো বা রক্তযুক্ত মল।

---

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বিস্তারিত বর্ণনা (মাদার টিঙ্কচার ও পোটেন্সি ঔষধ)

মাদার টিঙ্কচার (Mother Tincture):

1️⃣ Nux Vomica Q:

অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির কারণে গ্যাস্ট্রাইটিস হলে এটি খুবই কার্যকর।

যারা অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, চা, কফি, বা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের জন্য বিশেষ উপযোগী।

ডোজ: ১০-১৫ ফোঁটা পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার।

বিশেষত্ব: এটি শুধু পেটের সমস্যা নয়, মানসিক চাপজনিত পেট ব্যথার ক্ষেত্রেও কাজ করে।

2️⃣ Carbo Veg Q:

যখন পেট ফেঁপে থাকে বা খাবার হজম হতে সময় নেয়, তখন এটি উপকারী।

বায়ু বা গ্যাসজনিত কারণে যারা রাতে ঘুমাতে পারেন না তাদের জন্য কার্যকর।

ডোজ: দিনে ২ বার ১০ ফোঁটা করে।

বিশেষত্ব: এটি পেটের ফোলাভাব এবং অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে।

3️⃣ Hydrastis Canadensis Q:

দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রাইটিস, দুর্বল হজম এবং মিউকাসের অতিরিক্ত নিঃসরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

ডোজ: দিনে ২-৩ বার ১০ ফোঁটা করে।

বিশেষত্ব: এটি পেটের পেশিগুলোর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়।

4️⃣ Chelidonium Majus Q:

লিভার সংক্রান্ত সমস্যার জন্য এটি অন্যতম সেরা।

গ্যাস্ট্রাইটিসের পাশাপাশি পেট ব্যথা ও জন্ডিসের ক্ষেত্রে কার্যকর।

ডোজ: দিনে ৩ বার ১৫ ফোঁটা।

বিশেষত্ব: এটি পেটের ডান পাশের ব্যথার জন্য বেশি উপযোগী।

5️⃣ Iris Versicolor Q:

অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি এবং বুক জ্বালাপোড়ার জন্য এটি আদর্শ।

যারা মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর বুক জ্বালা এবং মাথাব্যথায় ভোগেন তাদের জন্য কার্যকর।

ডোজ: দিনে ২ বার ১০-১৫ ফোঁটা।

বিশেষত্ব: এটি শুধু পেট নয়, এসিডিটির কারণে হওয়া মাথাব্যথাও দূর করে।

---

পোটেন্সি ঔষধ:

1️⃣ Nux Vomica 30 / 200:

খাওয়ার পর বুক জ্বালা এবং অ্যাসিডিটির জন্য।

মানসিক চাপ, অস্থিরতা, এবং অতিরিক্ত কাজের পর যে পেট ব্যথা হয় তার জন্যও কার্যকর।

ডোজ: ৩০ পোটেন্সি দিনে ২ বার, অথবা ২০০ পোটেন্সি সপ্তাহে ১ বার।

বিশেষত্ব: এটি শরীরকে রিলাক্স করে এবং হজমের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

2️⃣ Carbo Veg 30 / 200:

অতিরিক্ত গ্যাস এবং হজমের সমস্যার জন্য উপযোগী।

যারা খাবারের পর পেট ফোলাভাব অনুভব করেন এবং ভারী খাবার হজম করতে পারেন না তাদের জন্য উপকারী।

ডোজ: দিনে ১-২ বার ৩০ পোটেন্সি।

বিশেষত্ব: এটি খাদ্যের পচন থেকে উৎপন্ন বিষাক্ত গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে।

3️⃣ Lycopodium 30 / 200:

পেটের ডান পাশের ব্যথা, ফোলাভাব এবং বায়ুর জন্য।

যারা বিকেলের দিকে বেশি দুর্বলতা অনুভব করেন তাদের জন্য কার্যকর।

ডোজ: ৩০ পোটেন্সি দিনে ১ বার বা ২০০ পোটেন্সি সাপ্তাহিক ১ বার।

বিশেষত্ব: এটি খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।

4️⃣ Argentum Nitricum 30 / 200:

বুক জ্বালা, এসিডিটি, এবং খালি পেটে অস্বস্তির জন্য উপযোগী।

যারা মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করেন এবং পরে হজমে সমস্যা হয় তাদের জন্য কার্যকর।

ডোজ: দিনে ১-২ বার ৩০ পোটেন্সি।

বিশেষত্ব: এটি মানসিক চাপজনিত অ্যাসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে।

5️⃣ Pulsatilla 30 / 200:

হালকা খাবারের প্রতি অরুচি, বুক ভারী লাগা এবং বদহজমের জন্য কার্যকর।

যারা বেশি ভারী বা ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করেন তাদের জন্য উপযোগী।

ডোজ: দিনে ১ বার ৩০ পোটেন্সি বা সপ্তাহে ১ বার ২০০ পোটেন্সি।

বিশেষত্ব: এটি শরীরের স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করে।

---

গ্যাস্ট্রাইটিস প্রতিরোধে পরামর্শ:

✔️ সময়মতো খাবার খান।
✔️ অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন।
✔️ চা, কফি, অ্যালকোহল এবং ধূমপান পরিহার করুন।
✔️ পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

সঠিক ডোজ ও চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকুন!

#গ্যাস্ট্রাইটিস #হোমিওপ্যাথি #পেটের_সমস্যা #স্বাস্থ্য #প্রাকৃতিকচিকিৎসা

28/12/2024
25/12/2024

ফ্যাটি লিভার: একটি নীরব বিপদ
লিভার আমাদের শরীরের ডিটক্স সেন্টার, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। তবে লিভারে চর্বি জমে গেলে তা মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে। ফ্যাটি লিভার এমন একটি নীরব রোগ যা প্রাথমিক অবস্থায় কোনো লক্ষণ না দেখালেও পরবর্তীতে লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারের মতো জটিলতায় রূপ নিতে পারে।

ফ্যাটি লিভারের কিছু চমকপ্রদ তথ্য:

1. “অত্যধিক লোভ” থেকে “অতিরিক্ত চর্বি”
ফ্যাটি লিভারকে বলা হয় “অভ্যাসের রোগ।” খাবারে লোভ এবং অলস জীবনযাপনই এর মূল কারণ।

2. লিভারের ১০% চর্বি হলে বিপদ সংকেত
সাধারণত লিভারে ৫%-১০% চর্বি থাকলে তা স্বাভাবিক। তবে এর বেশি হলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে।

3. পেটে “বিয়ারের বেল্ট” নয়, ফ্যাট জমে লিভারে!
অনেকে মনে করেন, শুধু স্থূল মানুষের ফ্যাটি লিভার হয়। কিন্তু আসলে যারা হালকা পাতলা, তারাও ঝুঁকিতে থাকতে পারে!

4. প্রকৃতির লিভার টনিক:

গ্রিন টি এবং লেবু পানি লিভারের প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে।

দুধ থিসল (Milk Thistle) নামে একটি ভেষজ লিভার পরিষ্কারে কার্যকর।

5. স্মার্ট ডায়েট, স্মার্ট লিভার:
কাঁঠালের বীজ, কাঁচা হলুদ, এবং বিট লিভারকে সুস্থ রাখার গোপন অস্ত্র।

ফ্যাটি লিভারের কারণসমূহ (আপডেটেড):

1. অ্যালকোহল: এটি লিভারের কোষে চর্বি জমাতে সরাসরি ভূমিকা রাখে।

2. মিষ্টি পানীয় (Soft Drinks): অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়ও লিভারের শত্রু।

3. ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে লিভারের বিপাক ক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।

4. জেনেটিক প্রভাব: পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।

5. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা: মানসিক চাপ লিভারের প্রদাহ বাড়াতে পারে।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ (অনন্য দৃষ্টিকোণ):

1. “পেটের ডানপাশের চাপা কান্না”: লিভার ফুলে ওঠার কারণে ডানপাশে ব্যথা।

2. “অজান্তের ক্লান্তি”: আপনি কোনো কাজ না করেও ক্লান্ত? ফ্যাটি লিভার হতে পারে কারণ।

3. ত্বকের পরিবর্তন: ত্বক ফ্যাকাশে বা চোখ হলুদাভ হয়ে গেলে সতর্ক হন।

প্রতিকার: লিভার সুস্থ রাখতে সোনার নিয়ম

1. দৈনন্দিন হাঁটাহাঁটি করুন: প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটলেই লিভারের সেবা নিশ্চিত।

2. রঙিন খাবার খান: গাজর, বিট, আপেল, এবং শাকসবজি লিভার ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক।

3. তেল কমান: দৈনন্দিন খাদ্যে তৈলাক্ত খাবার কমিয়ে দিন।

4. জল পান করুন: প্রতি দিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা: সুস্থতার নীরব সহচর

হোমিওপ্যাথি রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর। এখানে কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এবং তাদের লক্ষণসমূহ উল্লেখ করা হলো:

১. চেলিডোনিয়াম মেজর (Chelidonium Majus):

ডানদিকের লিভার ব্যথা।

তিক্ত স্বাদ এবং গা গুলানো।

চোখের হলুদ ভাব।

২. নুক্স ভমিকা (Nux Vomica):

রাত জাগা, অ্যালকোহল সেবন, এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে সৃষ্ট ফ্যাটি লিভারের জন্য।

৩. কার্ডুস মারিয়ানাস (Carduus Marianus):

পিত্তথলিতে পাথর থাকলে এবং লিভারে ভারী অনুভূতির জন্য।

অতিরিক্ত চর্বি ও লিভার প্রদাহ কমায়।

৪. লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium):

গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং মিষ্টির আকাঙ্ক্ষার জন্য।

৫. আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum Album):

বমি ভাব, দুর্বলতা, এবং অতিরিক্ত তৃষ্ণার জন্য।

প্রাকৃতিক ডায়েট চার্ট:

1. সকালের নাশতা: ওটস, দুধ, এবং একটি আপেল।

2. মধ্যাহ্নভোজন: বাদামি চাল, শাকসবজি, এবং দই।

3. সন্ধ্যার নাস্তা: গ্রিন টি এবং বাদাম।

4. রাতের খাবার: ভেজানো ডাল, সালাদ, এবং এক গ্লাস লেবু পানি।

উপসংহার:

লিভার সুস্থ রাখার জন্য সঠিক জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক শান্তি অপরিহার্য। একবার লিভার আক্রান্ত হলে তা পুনরুদ্ধার কঠিন হতে পারে, তবে হোমিওপ্যাথি, প্রাকৃতিক প্রতিকার, এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের সমন্বয়ে লিভারকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। লিভারকে ভালোবাসুন—এটি আপনার সুস্থ জীবনের প্রতীক!

23/12/2024

🌿 দাউদ কী?
দাউদ বা রিংওয়ার্ম হলো ত্বকের একটি সাধারণ ফাঙ্গাল সংক্রমণ, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে। এটি সংক্রমিত ব্যক্তির ত্বকে গোলাকার লালচে দাগ সৃষ্টি করে।

---

📌 লক্ষণসমূহ:

1. গোলাকার লাল দাগ:
ত্বকের ওপর গোলাকার বা আংটির মতো লালচে দাগ দেখা যায়।

2. চুলকানি:
আক্রান্ত স্থানে তীব্র চুলকানি অনুভূত হয়।

3. ত্বকের খসখসে ভাব:
ত্বক শুষ্ক, খসখসে বা ফেটে যেতে পারে।

4. ছড়িয়ে পড়া:
সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে ঘামযুক্ত এলাকায়।

5. তরল নিঃসরণ:
কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে তরল বা পুঁজ বের হতে পারে।

6. চুল পড়া:
মাথার ত্বকে দাউদ হলে চুল পড়ে যেতে পারে।

---

💡 দাউদের কারণসমূহ:

1. ফাঙ্গাল সংক্রমণ (Dermatophyte): ত্বকে ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি।

2. অপরিষ্কার ত্বক ও পরিবেশ: নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা না রাখা।

3. আর্দ্র আবহাওয়া: গরম ও ভেজা পরিবেশ সংক্রমণ ছড়াতে সহায়তা করে।

4. সংক্রমিত ব্যক্তি বা প্রাণীর সংস্পর্শ।

5. অতিরিক্ত ঘাম: শরীরে ভেজাভাব তৈরি হলে।

6. দীর্ঘ সময় ভেজা পোশাক পরিধান।

---

🌱 প্রতিকার ও প্রতিরোধ:

1. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

2. ভেজা ত্বক শুকিয়ে রাখা।

3. সংক্রমণ ছড়ানো এড়াতে নিজের পোশাক, তোয়ালে বা চিরুনি অন্যের সঙ্গে ভাগ না করা।

4. সংক্রমিত এলাকায় অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার বা ক্রিম ব্যবহার।

---

⚕️ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:

দাউদের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা খুবই কার্যকর। চিকিৎসক রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ নির্ধারণ করেন।

কিছু কার্যকর হোমিওপ্যাথিক ওষুধ:

1. Tellurium:

চুলকানি তীব্র হলে।

আক্রান্ত স্থানের দাগ আংটির মতো দেখালে।

2. Sulphur:

চুলকানি রাতে বেড়ে গেলে।

ত্বক শুষ্ক, জ্বালাপোড়া এবং লালচে হলে।

3. Sepia:

আক্রান্ত স্থানে কালচে দাগ দেখা দিলে।

ত্বক শুষ্ক এবং চুলকানি বেশি হলে।

4. Graphites:

তরল নিঃসরণ বা ক্ষত সৃষ্টি হলে।

ফাটা ত্বক এবং আঠালো তরল বের হলে।

5. Psorinum:

বারবার দাউদ হওয়ার প্রবণতা থাকলে।

চুলকানির সাথে দুর্গন্ধযুক্ত ত্বকের সমস্যা।

6. Natrum Muriaticum:

ত্বকে ঘাম বেশি হলে।

দাগ লালচে এবং ফেটে গেলে।

7. Mezereum:

চুলকানি এবং ক্ষতস্থানে ফোসকা দেখা দিলে।

8. Caladium:

ঘামে দাউদ বাড়লে।

চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হলে।

9. Arsenicum Album:

সংক্রমণ শুকিয়ে না গেলে।

তীব্র চুলকানি ও জ্বালা হলে।

10. Thuja:

ত্বক শুষ্ক এবং ক্ষতস্থানে ছোট ছোট গুটি দেখা দিলে।

---

🔖 বিশেষ পরামর্শ:

নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।

✨ সুস্থ ত্বক, সুন্দর জীবন!
আপনার ত্বককে ভালোবাসুন এবং এর প্রতি যত্নবান হোন।

#স্বাস্থ্যপরামর্শ #হোমিওপ্যাথি #দাউদ

19/12/2024

এলার্জি: সমস্যা ও সমাধান
সুপ্রিয় সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক অনুশীলন ক্লাসে এবার আলোচনা হবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়— এলার্জি।

এলার্জি কি?
এলার্জি হলো আমাদের শরীরের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে সাধারণত নিরীহ বস্তু (যেমন ধুলা, ফুলের রেণু, খাবার বা পশুর লোম) শরীরের জন্য ক্ষতিকারক মনে করে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ সমস্যা থেকে হতে পারে হাঁচি, ত্বকে র‍্যাশ, শ্বাসকষ্ট এবং কখনও কখনও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।

আলোচনা করবেন :
ডা. আবু রাফি খান

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এলার্জির গুরুত্ব
হোমিওপ্যাথি দেহের নিজস্ব প্রতিরোধ শক্তিকে জাগ্রত করে এলার্জির শিকড় থেকে সমাধান করতে সাহায্য করে। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই চিকিৎসা এলার্জির দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দিতে সক্ষম।

ক্লাসের তারিখ ও সময়
তারিখ: (২১.১২.২৪)
সময়: (সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট )
স্থান: (বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোসলেম উদ্দিন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সাভার, ঢাকা )

আপনার কেন এই ক্লাসে যোগ দেওয়া উচিত?

এলার্জির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিশদ জানতে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সম্ভাবনাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে।

আপনার প্রাত্যহিক চর্চায় আরও দক্ষতা অর্জন করতে।

আসুন, আমরা সবাই মিলে জ্ঞান আহরণ করি এবং আমাদের রোগীদের আরও উন্নত সেবা দিতে পারি।

জীবনের মান উন্নয়নে জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশা করছি, এই ক্লাসে আপনার উপস্থিতি ক্লাসটিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন

19/12/2024

📢 পাইলস: কারণ, লক্ষণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

পাইলস (Hemorrhoids) হলো মলদ্বারের অভ্যন্তর বা বাহিরে রক্তনালীর ফুলে ওঠা বা প্রদাহজনিত একটি অবস্থা। এটি একধরনের সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এটি খুবই অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।

🩺 পাইলসের কারণসমূহ:

1. দীর্ঘ সময় বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা।

2. আঁশযুক্ত খাবারের অভাব।

3. কোষ্ঠকাঠিন্য বা দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া।

4. গর্ভাবস্থা বা অতিরিক্ত ওজন।

5. অতিরিক্ত মশলাদার খাবার বা অ্যালকোহল গ্রহণ।

6. ভারী বস্তু তোলার কারণে চাপ সৃষ্টি।

⚠️ লক্ষণসমূহ:

মলত্যাগের সময় রক্তপাত।

মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি বা জ্বালা।

ব্যথা এবং অস্বস্তি।

মলদ্বারে ফুলে ওঠা বা গুটি অনুভব।

🌿 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:

পাইলসের জন্য হোমিওপ্যাথি অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এটি সমস্যার মূল কারণ দূর করে এবং দীর্ঘমেয়াদি উপশম দেয়।

কিছু প্রয়োজনীয় হোমিওপ্যাথিক ওষুধ:
পাইলসের (Hemorrhoids) ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক রিপার্টরিতে বিভিন্ন ওষুধ শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। এগুলোতে কিছু "ফার্স্ট গ্রেড" ওষুধ রয়েছে, যেগুলো পাইলসের প্রধান লক্ষণগুলোতে দ্রুত কার্যকর হয়।

ফার্স্ট গ্রেড ওষুধ এবং তাদের সংখ্যা

বিভিন্ন রিপার্টরিতে পাইলসের জন্য ১২টি ফার্স্ট গ্রেড ওষুধ ওষুধগুলোর বিস্তারিত লক্ষণ উল্লেখ করা হলো :

1. অ্যালো সোক্রাটা (Aloe Socotrina)

তীব্র রক্তপাতসহ পাইলস।

মলদ্বার থেকে মাংসল অংশ বাইরে চলে আসে।

জ্বালা এবং চুলকানি।

নরম মলদ্বার এবং ব্যথা নেই।

2. অ্যামিল নাইট্রেট (Amyl Nitrosum)

মলদ্বারে তীব্র ব্যথা।

রক্তক্ষরণ ছাড়া পাইলস।

অতিরিক্ত গরম বা মানসিক চাপে অবস্থার অবনতি।

3. অ্যাসিড মিউরিয়াটিকাম (Acid Muriaticum)

বৃদ্ধ বা দুর্বল রোগীদের জন্য।

মলত্যাগের সময় প্রচণ্ড ব্যথা।

মলদ্বার চারপাশে গুটি বা ফোলা অংশ ঝুলে থাকে।

4. হ্যামামেলিস ভার্জিনিয়ানা (Hamamelis Virginiana)

প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ।

ব্যথাহীন পাইলস।

মলদ্বারে শিরা ফুলে ওঠা।

5. নাক্স ভমিকা (Nux Vomica)

কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলত্যাগের সময় চাপ।

অতিরিক্ত মশলাদার খাবার ও অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে।

মলদ্বারে চুলকানি এবং জ্বালা।

6. পোডোফাইলাম (Podophyllum)

ডায়রিয়াসহ পাইলস।

মলদ্বারে গরম অনুভূতি।

মলদ্বারের চারপাশে ফুলে যাওয়া।

7. রেটিনিয়া (Ratanhia)

মলত্যাগের সময় তীব্র ব্যথা।

মলদ্বারে কাঁটার মতো অনুভূতি।

দীর্ঘস্থায়ী পাইলস।

8. ক্যালকেরিয়া ফ্লোর (Calcarea Fluorica)

কঠিন বা দীর্ঘস্থায়ী পাইলস।

মলদ্বারে ফাটা বা ফোলা।

স্থায়ী ব্যথা।

9. লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium)

পাইলসের সাথে গ্যাস এবং হজমের সমস্যা।

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য।

মলদ্বারে চুলকানি।

10. সালফার (Sulphur)

পাইলস শুকানোর সময় চুলকানি।

গরম পরিবেশে সমস্যা বৃদ্ধি।

মলদ্বারে ব্যথা এবং জ্বালা।

11. গ্রাফাইটিস (Graphites)

মলদ্বারে ফাটল ও পিচ্ছিল মল।

মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি।

ত্বকের শুষ্কতা।

12. অ্যাসকুলাস হিপোকাস্টানাম (Aesculus Hippocastanum)

মলদ্বারে তীব্র ব্যথা এবং ভারী অনুভূতি।

রক্তপাতবিহীন পাইলস।

চুলকানি এবং জ্বালা।

✅ সতর্কতা ও পরামর্শ:

আঁশযুক্ত খাবার, তাজা ফল ও শাকসবজি গ্রহণ করুন।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।

মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।

সঠিক ওষুধ গ্রহণের জন্য অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🏥 সুস্থ জীবনযাপনে হোমিওপ্যাথি:

পাইলসের সমস্যা নিয়ে আর অস্বস্তিতে দিন কাটাবেন না। প্রাকৃতিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে আপনার জীবনকে আরও আরামদায়ক করুন।

💡 প্রশ্ন থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার সুস্থতাই আমাদের সাফল্য!

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.মোসলেম উদ্দিন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি চলছে!

✅ ডি এইচ এম এস (DHMS) (ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি) কোর্স
➡️ চার বছরের পূর্ণাঙ্গ হোমিওপ্যাথি ডিপ্লোমা কোর্স।

কেন আমাদের নির্বাচন করবেন?

অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক দ্বারা শ্রেণি পরিচালনা।

আধুনিক ক্লাসরুম ও লাইব্রেরির সুবিধা।

প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র এবং ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ।

ভর্তি যোগ্যতা:

এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের অগ্রাধিকার।

যোগাযোগের ঠিকানা:

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.মোসলেম উদ্দিন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ঠিকানা: সাভার বাসস্ট্যান্ড , বিরুলিয়া রোড, সাভার, ঢাকা।

আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার শুরু হোক সঠিক প্রতিষ্ঠানের সাথে!

16/12/2024

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নোটিশটি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্পষ্ট করে জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত নোটিশ শুধুমাত্র এলোপ্যাথিক এবং ডেন্টিস্ট চিকিৎসকদের জন্য প্রযোজ্য।

বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আইন অনুযায়ী, রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ তাদের নামের পূর্বে "ডাক্তার" পদবী ব্যবহার করতে সম্পূর্ণভাবে বৈধ। তাই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

সবাইকে বিভ্রান্তি এড়িয়ে সেবা প্রদানের কাজে মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানানো হলো।

ধন্যবাদ।

15/12/2024

আমাদের নতুন পেজটিতে সকলে লাইক এবং ফলো দিয়ে সাথে থাকবেন।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন আমাদের কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ
ডা. হুমায়ুন কবির স্যার।

নাকের স্রাব, যৌন দূর্বলতা, ব্রাইটস্ ডিজিজ, একজিমা, নাকের ঝিল্লীপ্রদাহ, লুপাস, টি.বি.
28/10/2024

নাকের স্রাব, যৌন দূর্বলতা, ব্রাইটস্ ডিজিজ, একজিমা, নাকের ঝিল্লীপ্রদাহ, লুপাস, টি.বি.

Address

Manda

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Friday 09:00 - 12:30
14:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

01740597387

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when G M Homeo Hall , Savar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share