18/12/2024
#ইনডেক্স_সয়া (Index Soya)
🤔 সয়া_প্রোটিন_কেন_খাবেন? সয়া_আসলে_কি?
আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় নানা আয়োজন থাকে। আর সেই তালিকায় সয়ার তৈরি খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর, তা কি আমাদের জানা আছে?
সয়ার তেল জনপ্রিয় হলেও এর তৈরি চিজ, দুধ, বাদাম, ময়দা ইত্যাদিতেও যে নানা উপকারিতা আছে তা অনেকেরই অজানা। শরীরের পেশি গঠনে যে ৯টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড প্রয়োজন হয়, এর সব কটিই আছে দারুণ পুষ্টিকর সয়াবিনে।
সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪৫০০ ও বেশি পণ্য উৎপাদনে সয়া ব্যবহার করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক গবেষনায় জানানো হয়েছে। সয়াতে থাকা প্রোটিন, রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে, যা হৃদযন্ত্রের রোগ নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারি। স্বল্প প্রোটিন সমৃদ্ধ সয়া থেকে উৎপাদিত তেল, দুধ, চিজ ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশ রোধ করে। পুষ্টিকর এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্য অনেকখানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
এছাড়া যাদের শরিরে মেদ বা চর্বি বেশি। তাদের জন্য সয়ার বিকল্প কমই আছে।
👉 সয়াবিন যেভাবে শরীরের উপকার করে:
_________________..._________________
✅ সয়াবিনের আইসোফ্ল্যাভেন অত্যন্ত জোরালো ফাইটো ইস্ট্রোজেন। ত্বক ও চুল উজ্জ্বল ও ঝকঝকে রাখতে এটি সাহায্য করে।
✅ সয়াবিনে থাকা লেসিথিন রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে হার্ট ও মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এতে অকালবার্ধক্য থেকে মুক্তি মেলে।
✅ সয়াবিনের লেসিথিন ফ্যাট, মেটাবলিজিম বাড়াতে সাহায্য করে। তাতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
✅ দিনে ৫০ মিলিগ্রাম করে সয়াবিন খেলে, এইচডিএল এবং এলডিএলের ভারসাম্য রক্ষা হয়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
✅ ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, খাবার পরিপাকের সময় সয়া-প্রোটিন নামে এক যৌগ তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্যে করে।
✅ সয়া-ফাইবার রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
✅ সয়াবিনে আছে ফাইটিক অ্যাসিড, স্যাপোনিন, আইসোফ্ল্যাভেন ও আরও নানা পুষ্টিকর উপাদান। এগুলোর প্রতিটিই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
✅ এক কাপ সয়াবিনে ১০ গ্রাম ফাইবার আছে। যেখানে সমপরিমাণ মাছ, মাংস ও ডিম ফাইবারের পরিমাণ খুবই কম।
✅ এক কাপ সয়াবিনে থাকে ৮৮৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। একটি মাঝারি আকারের কলার তুলনায় এই পরিমাণটি দ্বিগুণ।
🟩 সয়ার উপকারিতাঃ
--------------------------------
✅ এটি চর্বিহীন মাছ মাংসের বিকল্প এবং মাংসের অনান্ন গুনে ভরপুর।
✅ সয়াবিন উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টরেল কমাতে সহায়ক। ফলে হার্টের উপর চাপ কমে।
✅ মহিলাদের মনোপোজ পরবর্তী সময়ে তাদের হৃদপিন্ড, হাড়ের ক্ষয়, ব্রেষ্ট কান্সার প্রভৃত্তি হতে রক্ষা করে।
✅ সয়াবিন ব্লাড সুগার স্থিতিশীল রাখে ফলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে, কিডনি ও হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
✅ এটি পেট কষার নিরামক, পরিপাকের সহায়ক এবং পাকস্থলির কার্যক্রম শক্তিশালী করে।
✅ এটি সার্বিক স্বাস্থের উন্নয়ন করে।
✅ এটা শক্তি বর্ধক এবং সহনশীল।
✅ এটি হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার, ২১ টি প্রোটিনের সমারহ।
✅ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে শ্বেতসার এ,বি,বি১,ভিটামিন সি, আয়রন, নিয়াসিন, ফসফরাস এবং প্রচুর খাদ্য উপযোগী আঁশ।
✅ এটা ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। শিশুদের মেধা বিকাশ
✅ হাড়ের ক্ষয় রোধ ও পেশী মজবুত করে।
📢 বিশেষ দ্রঃবিঃ
সয়া খেয়ে স্বাস্থ্য কমানো-বাড়ানো যায়।এতে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🚨 সতর্কতা:
অতিরিক্ত সয়াবিন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দিনে ৫০ গ্রামের বেশি সয়াবিন খাওয়া ঠিক নয়। অনেকেরই বেশি সয়াবিন হজমে সমস্যা হয়। তবে সয়া মিল্ক প্রতিদিন খাওয়া যায়।
🥫 সয়ার উপাদান সমূহ:
____________________
১. ২১ টি প্রোটিনের সমাহার। (Amino Acid)
২. এছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াতে শ্বেতসার ১০ গ্রাম।
৩. ভিটামিন - এ ১৯০ mg
৪. ভিটামিন - বি ০. ২৩ mg
৫. ভিটামিন - বি 1 ০. ১৪ mg
৬. নিয়াসিন ১. ১ mg
৭. ভিটামিন সি ১৫ mg
৮. ক্যালসিয়াম ১৩১ mg
৯. ফসফরাস ১৪২ mg
১০. আয়রন ২. ২৫ mg
১১. প্রোটিন (আমিষ) ৩১ mg
🗣️ খাওয়ার নিয়ম:
🙇শিশু:
> ১বছর বয়সের শিশুর ক্ষেত্রে — পৌনে ১চা চামচ করে ২বার, সকাল-রাত।
–(খাবারের পর, এক গ্লাস কুসুমগরম দুধসহ সেব্য)–
> ২-৫ বছর বয়সের শিশুর ক্ষেত্রে — ১চা চামচ করে ২বার, সকাল-রাত।
–(খাবারের পর, এক গ্লাস কুসুমগরম দুধসহ সেব্য)–
> ৫ বছরের উপরে ২ চা চামচ করে ২বার, সকাল-রাত। –(খাবারের পর, এক গ্লাস কুসুমগরম দুধসহ সেব্য)–
🧔 প্রাপ্ত বয়স্ক:
✅মোটা শরীর:
> কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ করে ২বার সকাল-রাত খাবারের আগে সেব্য।
✅চিকন শরীর:
> কুসুম গরম দুধে ২ চামচ করে ২বার সকাল-রাত খাবারের পরে সেব্য।
💰 মূল্য: ২০০গ্রাম = ৪৫০টাকা
📞 01710-150068