SAAR

SAAR Health Information Asian Academy of Robotics

17/09/2023

প্রতিদিনের সুস্থতায় কার্যকরী ১০ টি স্বাস্থ্য টিপস জেনে নিন

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে আপনি কি সুখে থাকবেন? পারবেন না। কারণ আপনার শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে কোন কিছুতেই আপনি ভালো থাকা যায় না। তাই সবার আগে চাই সুস্থ শরীর। আর শরীর সবসময় সুস্থ রাখার জন্য আমাদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয় যা স্বাস্থ্য রক্ষায় খুব প্রয়োজনীয়। কিছু সহজ টিপস যা মেনে চললে আপনি সর্বদাই ভালো থাকবেন। জেনে নিন নিয়মগুলো।

১। যখন আপনি খেতে বসবেন কখনোই একবারে বেশি খাবেন না। অল্প করে খান, তবে একটু পর পর। প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করুন।

২। অফিসে সবসময় বাসা থেকে লাঞ্চ নিয়ে যান। তাহলে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বেঁচে যাবেন।

৩। কাজের মঝে অবশ্যই টি ব্রেক নিন। কারণ একটানা কাজ করতে গেলে কিছুটা হলেও শরীরে চাপ পড়ে।

৪। যে কোন জায়গায় লিফট ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। চেষ্টা করুন সিঁড়ি বেয়ে উঠতে।

৫। সবসময় রান্না করার সময় খাবারে লবণের ব্যবহার কম করুন।

৬। প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমে ঘুমাতে যান এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন।

৭। সলিড ফ্যাট খাবার, যেমন- ফাস্টফুড, ঘি, মাখন, চিজ ইত্যাদি খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

৮। প্রতিদিন খাবারের মেনুতে সবজি ও মাছ রাখুন। এবং ফল খেতে ভুলবেন না।

৯। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বাইরে সম্ভব না হলে বাসাতেই ১৫ থকে ২০ মিনিট নিজে নিজে ব্যায়াম করুন। তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

১০। নিয়মিত নিজের ওজন, ব্লাড প্রেশার, শরীরে গ্লুকোজ এর পরিমাণ চেক করুন। মাসে অন্তত একবার রেগুলার চেকআপ এর জন্য ডাক্তার এর কাছে যান।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসাহঠাৎ করে কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার মুখ ...
16/09/2023

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা

হঠাৎ করে কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার মুখ একদিকে বেঁকে গেছে! কুলি করতে গেলে পানি ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে, চোখ বন্ধ করতে পারছেন না! কী ভয়ংকর অনুভূতি হবে তখন, তাই না? ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ কী, এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না! চলুন আজ এই রোগ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নেই ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট এন্ড জেরোন্টলজিস্ট এর কাছ থেকে।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস
এটা এক ধরনের প্যারালাইসিস। আমাদের সপ্তম ক্রেনিয়াল নার্ভটিকে ফেসিয়াল নার্ভ বলে। যখন এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায়, তখন তাকে ফেসিয়াল পলসি বা ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বলে। জন বেল নামের এক ভদ্রলোক এই রোগটি প্রথম আবিষ্কার করেন, সেজন্য একে বেলস পলসিও বলা হয়।

এটা কি পুরোপুরি ভালো হয়?
এই ক্ষেত্রে মুখের পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায় বা একপাশে প্যারালাইজড হয়ে যায়। এটি মুখের মাংসপেশীর সঙ্গে যুক্ত স্নায়ুগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। তবে এই পেশীগুলো কিন্তু সাময়িকভাবে আক্রান্ত হয় এবং নিয়মিত চিকিৎসার ফলে এই রোগ সাধারণত পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। ফেসিয়াল পলসি সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ভালো হতে শুরু করে। নার্ভ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে।

কাদের বেশি হয়?
এটি যেকোনো বয়সের মহিলা ও পুরুষের হতে পারে, তবে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই রোগটি বেশি দেখা যায়। এছাড়াও প্রেগনেন্সির সময়, ফুসফুসের ইনফেকশন, ডায়াবেটিস এবং পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হবার ইতিহাস থাকলে ফেসিয়াল পলসি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস এর কারণ
ভাইরাল ইনফেকশন
মধ্য কর্ণে ইনফেকশন
ঠান্ডাজনিত কারণ
আঘাতজনিত ও মস্তিষ্কের স্ট্রোকজনিত কারণ
ফেসিয়াল টিউমার
কানের অপারেশন পরবর্তী ফেসিয়াল নার্ভ ইনজুরি ইত্যাদি
লক্ষণগুলো কী কী?
এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মুখ সাধারণত একদিকে বাঁকা হয়ে যায়। তবে শতকরা এক ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে মুখের দুই পাশ আক্রান্ত হয়ে থাকে। রোগীর মুখের যে পাশ আক্রান্ত হয়েছে, সে পাশের চোখ বন্ধ হয় না এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে। অনেক সময় চোখ পুরোপুরি খুলতেও কষ্ট হয়ে থাকে। রোগী কপাল ভাঁজ করতে পারে না। এছাড়াও কিছু লক্ষণ থাকে, জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে।

চোখে জ্বালা-পোড়া করতে পারে
অনেক সময় ‘ড্রাই আই’ সমস্যা দেখা দেয়
কুলি করতে গেলে পানি গড়িয়ে পড়ে যায়
গালের মাংসপেশি ঝুলে যেতে পারে
খাবার চিবাতে ও গিলতে কষ্ট হয়
মুখের হাসি বেঁকে যায়
লালা ঝরতে থাকে
জিভ শুকিয়ে যায়
এছাড়াও জিভের সামনের অংশের স্বাদের অনুভূতি কমে যেতে পারে
মুখের আক্রান্ত পাশে ব্যথা হয়
বিশেষ করে চোয়াল এবং মাথায় ব্যথা হয়ে থাকে
অনেক সময় কথা বলতে কষ্ট হয়
রোগ নির্ণয়

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ও রোগীর ইতিহাস জেনে রোগ নির্ণয় করতে পারেন, তবে অনেক সময় কিছু প্যাথলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে।

চিকিৎসা
এর চিকিৎসা রোগের কারণের উপর নির্ভর করে। কী কারণে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে মেডিসিন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে সব ক্ষেত্রেই মেডিসিনেরর পাশাপাশি মূল চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। ফেসিয়াল পলসিতে আক্রান্ত হবার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর দ্রুত ভালো হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত এই রোগের জন্য স্টেরয়েড মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। ‘ড্রাই আই’ প্রতিরোধ করার জন্য আই ড্রপ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া চোখ একেবারে বন্ধ না হলে ঘুমানোর সময় সার্জিক্যাল টেপ দিয়ে চোখ বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ফিজিওথেরাপি
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান করে থাকেন। তার মধ্যে ফেসিয়াল মাসল এক্সারসাইজ, স্পিচ রি-এডুকেশন, বেলুনিং এক্সারসাইজ, ইলেক্ট্রো থেরাপি রয়েছে। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি থেকে দিনে ২-৩ বার ফিজিওথেরাপি নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। যদি নার্ভ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তাহলে রোগী সুস্থ হতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগে যায়।

ঘরোয়া চিকিৎসা

১। ফেসিয়াল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।

২। চোখের জ্বালা-পোড়া এবং ব্যথা কমাতে নরম টাওয়াল উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে চোখে সেঁক দেওয়া যায়।

৩। একটা গ্লাসে অল্প পানি নিয়ে তার ভেতর স্ট্র দিয়ে বুদবুদ তুলবেন। এতে ঠোঁটের চারপাশের মাংসপেশী শক্তিশালী হবে, পানি পান করার সময় আর গাল বেয়ে পড়ে যাবে না।

৪। কথা বলুন, এতে করে কথা বলার জড়তা কমে আসবে। কোনো শব্দ উচ্চারণে সমস্যা হলে প্রথমে স্বরবর্ণগুলো জোরে জোরে উচ্চারণ করুন। তারপর ব্যঞ্জনবর্ণ অনুশীলন করবেন।

৫। রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করবেন। ব্রেথিং এক্সারসাইজ, ইয়োগা এগুলো আপনাকে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করবে।

৬। নিয়মিত ফিজিওথেরাপিস্টের শেখানো এক্সারসাইজ করবেন।

৭। নিয়মিত ৮ ঘন্টার ঘুম, হেলদি ডায়েট এবং প্রচুর পানি পানি করবেন। এসব ক্ষেত্রে হেলদি লাইফস্টাইল আরোগ্য লাভে সহায়তা করে।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আজ আমরা অনেক কিছুই জানলাম। আজ এই পর্যন্তই, আবারও চলে আসবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।

লিখেছেন
মাহমুদা রোজী

ডালিমে ক্যালোরি এবং চর্বির পরিমাণ কম, কিন্তু ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ। একটি মাঝারি সাইজের ডালিমে মেলে ...
28/08/2023

ডালিমে ক্যালোরি এবং চর্বির পরিমাণ কম, কিন্তু ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ। একটি মাঝারি সাইজের ডালিমে মেলে ২৩৪ ক্যালোরি, ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি এবং ১১.৩ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় ফলটি থেকে। নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব সুমিষ্ট ফল ডালিম খেলে। জেনে নিন ডালিম খাওয়ার ১০ উপকারিতা সম্পর্কে।

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলিক যৌগের সমৃদ্ধ উৎস ডালিম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ডালিম খেলে।

২. ডালিমের যৌগগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি টিউমারের বৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৩. হৃদরোগীদের জন্য দালিম বেশ উপকারী ফল। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের রস পান করলে বুকে ব্যথার তীব্রতা হ্রাস পায়। সেইসাথে হার্টের স্বাস্থ্যের উপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে ফলটি।

৪. প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় ডালিম থেকে। রক্তশূন্যতা রোধ করতে ডালিম খেতে পারেন প্রতিদিন।

৫. ২০১৪ সালের এক গবেষণায বলছে, ডালিমের নির্যাস রক্তে অক্সালেট, ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।

৬. ডালিমে এমন যৌগ রয়েছে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে মুখের জীবাণু যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি করতে পারে।

৭. ডালিমের নির্যাস ক্লান্তি দূর করে ও কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

৮. ডালিমে রয়েছে এলাজিটানিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৯. মস্তিষ্ক ভালো রাখে ডালিম। আলঝেইমার এবং পারকিনসন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে ফলটি।

১০. ফাইবার সমৃদ্ধ ডালিম হজমের গণ্ডগোল দূর করতে পারে।

ডায়াবেটিক ফুট ইনফেশন যে লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেনমাপমত জুতা না পরলে ডায়াবেটিসজনিত পায়ের সংক্রমণ হতে পারেমাপমত জুতা না পরলে ড...
23/08/2023

ডায়াবেটিক ফুট ইনফেশন যে লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন

মাপমত জুতা না পরলে ডায়াবেটিসজনিত পায়ের সংক্রমণ হতে পারে
মাপমত জুতা না পরলে ডায়াবেটিসজনিত পায়ের সংক্রমণ হতে পারেছবি: পেক্সেলস
ডায়াবেটিসজনিত পায়ের সংক্রমণ (ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশন) একটি জটিল সমস্যা। ডায়াবেটিসের অনেক রোগীই এ সমস্যায় ভোগেন। এমনকি এই সমস্যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীদের পায়ে সংবেদনশীলতা ও রক্ত চলাচলের সমস্যা থাকে। যে কারণে সৃষ্ট ক্ষত দ্রুত চিকিৎসা না করলে জটিল হয়ে পড়তে পারে। তাই এ সমন্ধে ডায়াবেটিসের রোগীর জানা থাকা জরুরি।

কখন সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি

বেশ কয়েকটি অবস্থায় ডায়াবেটিসের রোগীর পায়ে সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। এর মধ্যে আছে—

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে।

যথাযথভাবে পায়ের যত্ন না নিলে।

মাপমতো জুতা না পরলে।

পায়ের চামড়া বেশি শুষ্ক থাকলে।

এই সংক্রমণে পায়ের নখের কোনা মাংসের মধ্যে দেবে যেতে থাকে
এই সংক্রমণে পায়ের নখের কোনা মাংসের মধ্যে দেবে যেতে থাকেছবি: পেক্সেলস
কীভাবে হয় সংক্রমণ

ডায়েবেটিসের রোগীদের পায়ের বোধ কম থাকায় সহজে তা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ ছাড়া আঘাতের পরে ব্যথা অনুভব না করায় ক্ষত জটিল আকার ধারণ করে। রক্তের উচ্চ শর্করা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে তা বিভিন্ন জীবাণুর বংশবিস্তারে সাহায্য করে।

সাধারণত স্ট্যাফ অরিয়াস নামক জীবাণু দিয়ে বেশির ভাগ সংক্রমণ হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় একসঙ্গে কয়েকটি জীবাণু দিয়ে সংক্রমণ হতে পারে।

যেভাবে বুঝবেন

সংক্রমণ হলে সাধারণত পা ও পায়ের পাতা ফুলে যায়। পায়ের চামড়ার রং বদলে যায়। পা ও পায়ের পাতায় জ্বালাপোড়া ও শিরশিরে অনুভূতি হলে সতর্ক থাকুন। পায়ের বোধ কমে যাওয়া, পায়ের আঙুলে যন্ত্রণা ও আঙুলের ফাঁকে ফাটল, পায়ের নখের কোনা ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া, পায়ের যেকোনো ক্ষত সারতে দেরি হওয়ার মতো ঘটনা ডায়াবেটিক রোগীর সঙ্গে ঘটলে বুঝতে হবে তিনি ডায়াবেটিক ফুট ইনফেশনে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই উপসর্গ ও লক্ষণগুলো খারাপ। এমনটা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশনের কিছু পর্যায় বা গ্রেডিং আছে। সেটাও জেনে রাখুন

গ্রেড ০: পায়ে ব্যথা ও চামড়ার রং পরিবর্তন।

গ্রেড ১: পায়ের চামড়ায় ক্ষত তৈরি হওয়া।

গ্রেড ২: পায়ের মাংস, টেন্ডন ও লিগামেন্টে ক্ষত সৃষ্টি।

গ্রেড ৩: পায়ের হাড়ে ক্ষত তৈরি হওয়া।

গ্রেড ৪: পায়ের সামনের অংশে পচন ধরে যাওয়া।

গ্রেড ৫: পুরো পায়ের পাতায় পচন ধরে যাওয়া।

পায়ের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে
পায়ের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যত্ন নিতে হবেছবি: পেক্সেলস
চিকিৎসা কী

ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশন বারবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাঁদের বারবার ইনফেকশন হয়, তাঁদের ১০-৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে আঙুল, পায়ের কিছু অংশ অথবা পুরো পা কেটে ফেলতে হয়। তাই পায়ের যেকোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। সংক্রমণ সেরে উঠতে দুই সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিতে হবে। অনেক সময় পায়ের রক্তনালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে রক্তনালির চিকিৎসা করা লাগতে পারে।

প্রতিরোধের উপায় হিসেবে কয়েকটি বিষয় মেনে চলুন।

১. রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

২. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটাচলা করুন।

৩. পায়ের যত্ন নিন। এর মধ্যে আছে—পা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা, নিয়মিত নখ কাটা, বাইরে বেরুলে মোজা পরা, সঠিক মাপের জুতা পরা, পায়ে তেল বা ভ্যাসলিন দিয়ে ম্যাসাজ করা ও কুসুম গরম পানিতে পায়ে সেঁক নেওয়া।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SAAR posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share