19/08/2025
#স্বাস্হ্য_বিপ্লব_
এখন_সময়ের_দাবি
#স্বাস্হ্যখাতের_মুক্তির_১০দফা।
আসুন ডাক্তার এবং সাধারণ জনতা এক কাতারে আসি।
কথা বলি আমরা একসাথে এই দেশের স্বাস্হ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে। আমরা যেমন ডাক্তাররা নিরাপদ কর্মস্থল চাই, তেমনি চাই নিচের দাবি গুলিতে আমরা একসাথে আওয়াজ তুলি।
১) #সরকারি_হাসপাতালে_যত_সংখ্যক_বেড_তত_সংখ্যক_রোগী_ভর্তি_হবে।
সুন্দর পরিবেশে সম্মানের সাথে চিকিৎসার অধিকার প্রতিটা জনগনের আছে। সবাই ট্যাক্স প্রদান করেন।
প্রয়োজনে প্রতিটা সরকারি হসপিটালে আরো অধিক সংখ্যক বেড বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, অনেক বেশি সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, wardboy নিয়োগ দিতে হবে।
২) ২৪ #ঘন্টা_প্যাথলজি_আর_রেডিওলজি_বিভাগ_চালু,
রাখতে হবে ৩ শিফটে।
সরকারি হসপিটালের কোনো পরীক্ষা বাহিরে যেতে পারবে না, সকল পরীক্ষা হসপিটালে করতে হবে।
সকল যন্ত্রপাতি মেরামত করতে হবে, প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষার যন্ত্রপাতি হসপিটালে স্থাপন করতে হবে।
কোনো ডাঃ বাহিরে পরীক্ষা করতে বললে, এমন কোনো প্রমান মিললে তার চাকরি বাতিল করার মতো সিদ্ধান্ত সরকারকে কঠোভাবে নিতে হবে।
৩) #জীবন_রক্ষাকারী_সকল_ঔষধের_যোগান,
হাসপাতালে ভর্তির পর সকল ওষুধ সরকারি ভাবে বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে প্রদান করতে হবে।
৪) #দালাল_নির্মূল_করতে_হবে।
সরকারি হসপিটালের সীমানায় যাতে কোনো দালাল না আসতে পারে সেই ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করতে হবে।
৫) #ওষুধ_কোম্পানির_সকল_প্রকার_গিফট_প্রণোদনা বন্ধ করতে হবে সরকারি ভাবে।
মাসের একটা নির্দিষ্ট দিন সকল কোম্পানি একসাথে একটা সেমিনার করতে পারে যেখানে হসপিটালের সকল ডাঃ উপস্থিত থাকবেন,তাঁদের নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে সেমিনার করবেন, যাতে ডাঃ রা আপডেট থাকে। এছাড়া ওষুধ কোম্পানি কোনোভাবেই হসপিটালে ঢুকতে পারবে না।
প্রাইভেট চেম্বার বা সরকারি হসপিটালর আউটডোরে ওষুধ কোম্পানির MR কর্তৃক রোগীদের প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলার বিড়ম্বনা বন্ধ করতে হবে আইন করে। এতে রোগীদের privacy নষ্ট হয়, একইসাথে ডাক্তারদের সুনাম নষ্ট হয়।
৬) #প্রতিটা_ওষুধ_কোম্পানির_ওষুধ_গুলির_গুণগত_মান_নিশ্চিত_করতে_হবে এবং মানহীন ওষুধ কোম্পানি, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেডিকেল বন্ধ করতে হবে। এখনই বন্ধ করতে হবে।
সকল কোম্পানির ওষুধের মান নিশ্চিত হলে বেসরকারি লেভেলে ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা generic নাম লিখতে পারে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলির পরীক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে যাতে ডাক্তারদের বলে দিতে না হয় অমুক ল্যাবে টেস্ট গুলি করেন। এখন বলে কারণ অনেক ভুইপুড় হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যেখানে পরীক্ষা রিপোর্ট ভুল হওয়ার আশংকা বেশি থাকে।
এই ভুল রিপোর্ট দিয়ে চিকিৎসা করলে তো ভুল হবেই।
কিছু কিছু মেডিকেল নামে মাত্র আছে কিন্তু কোনো ভালো টিচার্স নেই, ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই, এই সকল মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে হবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে পর্যাপ্ত ডাঃ আছে দেশে, সেক্ষেত্রে এখন আর mats, LMP, LMF, এইগুলির প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তাই দেশের জনগণের সুস্বাস্হ্য সুনিশ্চিত করণে এসব কোর্স অচিরেই বন্ধ করতে হবে।
৭) #প্রেসক্রিপশন_ছাড়া_কোনো_ফার্মেসি_ওষুধ_দিতে_পারবেবেনা এবং ্যতিত_কেউ নামের আগে ডাঃ লিখতে পারবে না এবং প্রেসক্রিপশন করতে পারবে না
তাহলে অযাচিত এন্টিবায়োটিক সহ সকল ওষুধের ব্যবহার
বন্ধ হবে, এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স ডেভেলপ করবে না।
৮) #সরকারি_বেসরকারি_হাসপাতালে_কঠোরভাবে_বর্জ্য_ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
হসপিটালে মানুষ যায় যায় সুস্থ হতে। এখন অসুস্থ পরিবেশ, নোংরা ওয়াশরুম, চারপাশে দুর্গন্ধ পরিবেশ, এসবের মধ্যে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে মানুষ আরো অসুস্থ হয়ে পরে। তাই হাসপাতাল গুলিতে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া উচিত এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। নির্মল পরিবেশ মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে দ্রুত সুস্থ করে তুলে।
৯) #চিকিৎসক_এবং_চিকিৎসাকর্মীদের_সুরক্ষা_আইন_
#প্রণয়ন_করে_দ্রুত_বাস্তবায়ন করতে হবে।
চিকিৎসা কর্মীরা যদি একটা নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা না পান এবং মানসিক চাপমুক্ত না হোন,তাহলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জনগণের জন্যে ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া অনেক কঠিন ও কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তাই চিকিৎসা কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে দ্রুত চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
১০) #সরকারি_এবং_বেসরকারি_খাতে_চিকিৎসকসহ_
্বাস্হ্য_কর্মীর_সুনির্দিষ্ট_বেতনকাঠামো_উন্নত_দেশের_আদলে_নিরুপণ_করতে_হবে।
দেশের স্বাস্হ্য কর্মীরা যখন উন্নত জীবন ব্যবস্থার সুযোগ পাবেন, তাঁদের পারিবারিক অশান্তি কমে আসবে, রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার, ভালোভাবে কাউন্সেলিং করতে তারা অধিকতর আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশা করি।
অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করে জনগণের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।ডাক্তারকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
আসুন একসাথে লড়ি। আমরা তরুণ প্রজন্মের সকল ডাঃ
এই জিনিস গুলি চাই আমাদের ডাক্তারদের জন্যে এবং জনগনের জন্যে।
আসুন সরকারকে বাধ্য করি এই কার্যক্রম গুলি গ্রহণ করতে।
আমরা ডাক্তার_জনগন কেউ কারো শত্রু নয়, আসুন সবাই একসাথে ভালো থাকি। কেউ কাউকে দোষ না দিয়ে পরিবর্তনের সুর তুলি হাতে হাত রেখে একসাথে।
প্রতিটা জেলায় #ডাক্তার_ও_জনগণের_সেতুবন্ধন তৈরী করতে চাই। আমরা প্রতিটা জেলাতে যদি ডাক্তার এবং
জনগন এক হয়ে একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি তাহলে আশা করি খুব দ্রুতই এই ১০ টা সমস্যার সমাধান হবে।