27/06/2025
#ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) কি❓
ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) একটি জিনগত রোগ, যা মূলত পুরুষ শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এই রোগের কারণে পেশী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায় এবং একসময় শরীর অচল হয়ে পড়ে।
ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) কেন হয়❓
ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) হলো একটি জিনগত রোগ বা বংশগত রোগ। এর মূল কারণ হলো আমাদের শরীরের পেশী গঠনে প্রয়োজনীয় ডিস্ট্রোফিন (Dystrophin) নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের অভাবে হয়ে থাকে। জিনের ত্রুটির কারণে শরীর এই প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করতে পারে না, যার ফলে পেশী দুর্বল হয়ে যায়। কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে এবং আক্রান্ত শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা যেতে পারে।
💢 ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফির ঝুঁকি কমানোর উপায়:
১. গর্ভাবস্থায় জিনগত পরীক্ষা: যদি পরিবারে কারও ডিএমডি থাকে, তাহলে গর্ভাবস্থায় জিনগত পরীক্ষা করিয়ে ভ্রূণের ডিএমডি হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা তা জানা যেতে পারে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগাক্রান্ত শিশু জন্মের সম্ভাবনা থাকলে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে
২. আক্রান্ত শিশুদের সহায়তা: ডিএমডি আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করা উচিত। তাদের নিয়মিত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন প্রয়োজন। এছাড়াও, তাদের শিক্ষা এবং সামাজিক জীবনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া উচিত
৩. সচেতনতা বৃদ্ধি: ডিএমডি সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এই রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকলে, মানুষ এর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে
ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফির চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরামর্শ:
👉 আকুপাংচার চিকিৎসা
👉 ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
👉 প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত
👉 ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়াম করা
📍 ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি একটি জটিল রোগ, তাই এর প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পরিবার, সমাজ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সকলের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।