Dr. Suchisree Saha

Dr. Suchisree Saha HEALTH ( A complete physical, mental, & social wellbeing)

18/06/2025

যে ব্যক্তি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে তার ওপর বাবা মা এর দূর্বল জেনেটিক এর খারাপ প্রভাব পড়বে না। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে শরীর অন্য ব্যক্তির তুলনায় দ্রুত অসুস্থ হবে।

জেনেটিক (বংশগত) দুর্বলতা বা রোগের প্রবণতা আমাদের শরীরে থেকে যায়, তবে সেটি সক্রিয় হবে কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের লাইফস্টাইল বা জীবনযাত্রার উপরে।
যদি আপনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন (যেমন – সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, ধূমপান/মদ্যপান না করা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ), তাহলে আপনার শরীর সেই জেনেটিক দুর্বলতাগুলোকে দমিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু যদি আপনি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন, তাহলে সেই লুকিয়ে থাকা জেনেটিক প্রবণতাগুলো অনেক দ্রুত ও তীব্রভাবে প্রকাশ পায়। উদাহরণস্বরূপ: যদি বাবার ডায়াবেটিস থাকে, এবং ছেলে যদি ওজন বেড়ে যাওয়া, জাংক ফুড খাওয়া, বা অলস জীবনযাপন করেন, তাহলে তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।

এটাকে বলে “Genetics loads the gun, lifestyle pulls the trigger.” অর্থাৎ জেনেটিকস বন্দুকে গুলি ভরে রাখে, কিন্তু আপনি যদি সচেতন জীবন যাপন করেন, তাহলে সেই গুলি কখনই চালানো হয় না।
©

কোকোমেলন কিংবা এরকম ওভার স্টিমুলেটিং শো/কার্টুন কেন বাচ্চাকে দিবেন না~~কখনো কোনো বাচ্চার সামনে কোকোমেলন ছেড়ে দেখেছেন? দে...
26/03/2025

কোকোমেলন কিংবা এরকম ওভার স্টিমুলেটিং শো/কার্টুন কেন বাচ্চাকে দিবেন না~~

কখনো কোনো বাচ্চার সামনে কোকোমেলন ছেড়ে দেখেছেন? দেখবেন ওরা হাঁ করে আছে, পাশে আসল ঘোড়া দাঁড়িয়ে থাকলেও কোকোমেলন থেকে ওরা চোখ সরাতে পারছে না।

এই যে চোখ সরাতে পারে না, বুঁদ হয়ে যায় নেশাগ্রস্তের মত, এটা কিন্তু ওদের দো-ষ না!

এই ধরনের কনটেন্টগুলি বানানোই হয় এমনেভাবে, এমন মিউজিক ব‍্যবহার করা হয় যেন এটা “অ‍্যাডিকশন” এর মত কাজ করে।

শুধু কোকোমেলন না, যে কোনো ওভারস্টিমুলেটিং শো বাচ্চার ব্রেইনের জন‍্য বড় ধরনের -ক্ষ-তি-র কারণ।

কিভাবে ও কেন, সেটাই এখানে আলোচনা করবো।

📌হাইপারএকটিভিটি ও মনোযোগের ঘাটতি

ঘন ঘন দৃশ‍্য পরিবর্তন (৩ সেকেন্ডে ১ বার), টানা হিপনোটিক মিউজিক, উজ্জ্বল রঙের সমাহার— এই তিন মিলে বাচ্চাকে অস্থির করে তোলে। অ‍্যাটেনশন স্প‍্যান কমায়। এ কার্টুনের দুনিয়া যতটা ইন্টারেস্টিং, বাস্তব দুনিয়া তার তুলনায় পানসে লাগে। বই পড়া, রং করা, গুণতে শেখা কিংবা বাবা মায়ের সাথে খেলে সময় কাটানো খুব বোরিং মনে হয়। ☹️

📌স্পিচ ডিলে বা কথা বলার দক্ষতা এবং সামাজিক দক্ষতায় পিছিয়ে পড়ে

যে কোনো স্ক্রিনটাইম (মিস রাচেলও) বাচ্চার স্পিচ ডেভেলেপমেন্টের জন‍্য ভালো না। যদি সেটা হয় ভাষা ডেভেলপ হওয়ার আগে (১৮ মাসেরও আগে) এবং অতিরিক্ত।

স্ক্রিনটাইম হলো প‍্যাসিভ ইন্টারেকশন। এখানে এক পক্ষ বলে যায়, আরেক পক্ষ শুনে যায়।

ওভারস্টিমুলেটিং শো যেহেতু বাচ্চারা কম সময় দেখতে পারে না বা অ‍্যাডিক্টেড হয়ে বেশি সময় ব‍্যয় করে, এগুলো তাদের সামাজিক দক্ষতা এবং স্পিচ ডিলের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

📌ডোপামিন আসক্তি ও স্ক্রিন নির্ভরতা

এসব কনটেন্ট শিশুর মস্তিষ্কে “ডোপামিন” (সুখের অনুভূতির হরমোন) নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, এটা তাদেরকে আরও স্ক্রিন দেখতে চাইতে উদ্বুদ্ধ করে।
স্ক্রিন বন্ধ করলে মেজাজ খারাপ হওয়া বা সহজেই বিরক্ত হওয়া, কান্নাকাটি, চিৎকার চেঁচামেচির প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

📌অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা
এসব কার্টুন শিশুকে বিরক্তি, ধৈর্য‍্য বা একা খেলা শেখায় না। বরং এটি তাদের মস্তিষ্ককে শেখায় যে, একটু বিরক্তি বা একাকীত্ব অনুভব করলেই স্ক্রিনের মাধ্যমে আনন্দ খুঁজতে হবে।

ফলে তারা সহজে নিজেকে শান্ত করতে বা মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না।

(এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ) 🔺

💡 সমাধান কী হতে পারে?
✔️ ধীরগতির, ইন্টারঅ্যাকটিভ কার্টুন বেছে নিন (Bluey বা Daniel Tiger এর মতো), মিস রাচেল
Alphabet blocks, numberbloks, trash truck
✔️ স্ক্রিন টাইমের বাইরে বাস্তবিক অভিজ্ঞতা দিন (বই পড়া, আউটডোর খেলা, হাতে-কলমে শেখার সুযোগ)
✔️ একসাথে বসে দেখুন, প্রশ্ন করুন এবং শিশুকে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করুন
✔️ “২০-২০-২০ নিয়ম” মেনে চলুন: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন দেখার পর, ২০ সেকেন্ডের বিরতি নিন এবং ২০ ফুট দূরের কিছুতে চোখ দিন

📌২ বছরের আগে বাচ্চাকে কোনো ধরনের স্ক্রিনটাইম না দিলে সবচেয়ে ভালো
📌 ২ বছরের পরে যদি দিতেই হয় সীমিত সময়, কম উত্তেজনাপূর্ণ এডুকেশনাল কনটেন্ট দেখালে উপকারি
দিক হলো আপনি খুব সহজে সময়টা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এগুলি দেখার জন‍্য বাচ্চারা অত জেদ করে না (অন‍্যগুলির তুলনায়)।
©

প্লিজ মাস্ক ছাড়া বের হবেন না 🙏জনবহুল জায়গা পরিত্যাগ করুন...ফ্লু বা কোভিড জাতীয় কিছু আবার ছড়াচ্ছে!জ্বরের চেয়ে গলায়ই বেশি ...
24/03/2025

প্লিজ মাস্ক ছাড়া বের হবেন না 🙏
জনবহুল জায়গা পরিত্যাগ করুন...
ফ্লু বা কোভিড জাতীয় কিছু আবার ছড়াচ্ছে!
জ্বরের চেয়ে গলায়ই বেশি সমস‍্যা।😓
ওমরাহ থেকে ফিরে অনেকের সাথে বয়ে এসেছে MARS COV virus (older one than SARS)?!
সাবধানে থাকুন।
©

15/03/2025
অনেকেই জানেন হয়ত, তবু যারা জানেন না তাদের কাজে লাগতে পারে।এখন আলুর সিজন, নতুন আলু কেনার সময় ছবিতে দেখানো এমন সবুজ আলু অন...
25/02/2025

অনেকেই জানেন হয়ত, তবু যারা জানেন না তাদের কাজে লাগতে পারে।

এখন আলুর সিজন, নতুন আলু কেনার সময় ছবিতে দেখানো এমন সবুজ আলু অনেকে পেয়ে থাকবেন। এছাড়াও গজ উঠেছে এমন আলুতেও এমন সবুজাভ রং দেখে থাকবেন। এই আলু বিষাক্ত হয়। বিষটার নাম সোলানাইন (Solanine), যা ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, পক্ষাঘাত এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। এমন আলু কেনা হতে বিরত থাকুন।

সোলানাইন অনেক ফলেই থাকতে পারে, বিশেষ করে সবুজ কচি ফল, যেমন কচি আলু, একদম কচি বেগুন, কাঁচা বেল, সবুজ ক্যাপসিকাম (কাঁচা মরিচ নয়) এবং কচি টমেটো। এসব উদ্ভিদ সোলানেসি (Solanaceae) উদ্ভিদের শ্রেণীভুক্ত, এ বিষয়ে চাইলে গুগল করে দেখতে পারেন। সোলানাইন বিষ সিদ্ধ করলেও যায় না, তবে এমন সবজি তরকারি ভাজা হলে সোলানাইন হ্রাস পায়। তাই কচি সবুজ বেগুন বা কাঁচা টমেটো খেতে হলে ভাজি করে খান। সবুজ আলু এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এটি একদমই বর্জন করলে ভালো। ভেজেও খাওয়ার দরকার নেই। ঘরে রেখে দেওয়া আলুতে গজ সৃষ্টি হলে এবং তাতে সবুজ আভা চলে এলে আলু কাটার সময় ওই সবুজ অংশটি ফেলে দিন, তারপর অবশ্যই আগে ভেজে নিন।

সচেতন থাকুন, শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন,সুস্থ থাকুন।

সংগৃহীত

সুপারি মানব দেহের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর? কেন সুপারি বর্জন করবেন?সুপারি আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পানের সাথেই গ্রহণ করা হয়।...
24/02/2025

সুপারি মানব দেহের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর? কেন সুপারি বর্জন করবেন?

সুপারি আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পানের সাথেই গ্রহণ করা হয়। অতিথি পরায়ন বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ পান-সুপারি। কিন্তু অনেকে নেশা হিসেবেও সুপারি ব্যবহার করে।
ভারত, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ সুপারি উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে সুপারি কোনোভাবে স্বাস্থ্য সম্মত নয় বরং তা মানব দেহের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকগণ সতর্ক করেছেন।
সুতরাং সুপারি খাওয়া, চাষাবাদ, বিপণন ও ব্যবসা সম্পূর্ণ বর্জন করা উচিৎ।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।

❑ সুপারি খাওয়ার লাভ-ক্ষতি বিষয়ে লিখেছেন, প্রফেসর কর্নেল ডঃ জেহাদ খান
[হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা হাসপাতাল-ঢাকা]

এ বিষয়ে তার লিখিত আর্টিকেল থেকে অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো:

আমাদের দেশে কটি বিয়ের অনুষ্ঠানও অনেক সময় যেন অর্থহীন হয়ে যায় যদি ভূরিভোজনের পর সেখানে পান সুপারির আয়োজন না থাকে।

পান সুপারি খেলে শরীর কিছুটা গরম হয়, কর্মদক্ষতা ও মনের সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। যেমন- একজন ড্রাইভার গাড়ি চালানোর সময় ঘুম পেলে গাড়ি থামিয়ে একটি পান খেয়ে নেন, তাতে তার ঘুম চলে যায়।

পান সুপারি ও রকমারি জর্দার গুণাগুণ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নানা রকম প্রচারণা করে থাকে। এমনকি কোনো কোনো প্রখ্যাত আলেমও এগুলোর মধ্যে অনেক উপকারিতা খুঁজে পেয়েছেন (বেহেশতি জেওর, নবম খণ্ড)। হিন্দু ধর্মের ও বৌদ্ধ ধর্মের কোনো কোনো শাখার কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পান সুপারির ব্যবহার অপরিহার্য বিবেচনা করা হয়। পান সুপারি সহজলভ্য ও সস্তা। এর ব্যবহারও ব্যাপক। কোনো বৃদ্ধ লোকের দাঁত নড়বড়ে হলে বা না থাকলে পান সুপারিকে হামান দিস্তা দিয়ে গুঁড়ো করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবুও পান তার খাওয়া চাই। আমার এক আত্মীয়া প্রায় প্রতি ঘণ্টায় পান খান।
কয়েকজন রোগীর সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, তারা সিগারেট ছাড়তে সক্ষম হয়েছেন, কিন্তু পানের নেশা ছাড়তে পারেননি।

পান সুপারির উপকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক কোনো গবেষণা হয়নি। এর অপকারিতার ওপর অনেক গবেষণা হয়েছে। পানের সাথে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে সুপারি, চুন, খয়ের, জর্দা, লবঙ্গ প্রভৃতি। এসব উপাদানের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

✪ সুপারিতে অ্যারেকোলিন (Arecoline), অ্যারেকাইডিন (Arecaidine), গাভাকাইনসহ (Gavacaine) বেশ কিছু ক্ষারজাতীয় পদার্থ রয়েছে, যা রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে।

✪ সুপারিতে অ্যাডরেনালিন আছে। ফলে নিয়মিত ও অতিরিক্ত সুপারি ব্যবহার করলে উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধড়ফড় করা, ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া, হাঁপানি বৃদ্ধি পাওয়া এবং হৃদরোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

✪ আসলে সুপারি প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। লিভার ইনজুরি, কিডনি রোগ, বিপিএইচ, ইনফার্টিলিটি, হাইপারলিপিডোমিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মানসিক রোগ বৃদ্ধি পাওয়া, দাঁতের মাড়ি ক্ষয় ও দাঁত পড়ে যাওয়া ইত্যাদির সাথে সুপারি জড়িত। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে অকালে সন্তান প্রসব (Preterm birth), শিশুর ওজন ও উচ্চতা কম হতে পারে।

✪ সুপারির সাথে মেটাবলিক সিন্ড্রোম ও Obesity বা স্থূলতা জড়িত।
সুপারির সাথে ক্যান্সারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

✪ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিকে কারসিনোজেন (ক্যান্সারের উপাদান) হিসেবে উল্লেখ করেছে।

✪ আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা (IARC) সুপারিকে ১৯৮৫ সাল থেকে ‘কারসিনোজেন’ হিসেবে গণ্য করে আসছে।

✪ ২০০৯ সালে ৩০ জন বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থায় নিশ্চিত করেছেন, সুপারিতে ক্যান্সার জীবাণু রয়েছে।

পৃথিবীর যেসব এলাকায় সুপারি ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলে এক লাখ লোকের মধ্যে ২০ জনের এবং সব ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে শতকরা ৩০ জনের শুধু মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার হয়ে থাকে। আমারই পরিচিত তিনজন আলেম ছিলেন যারা প্রচুর পান-সুপারি খেতেন এবং তারা মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেছেন।

✪ যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি (CDC) নির্ভরযোগ্য, গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে ক্যান্সার।

✪ সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, সুপারির সাথে Oral submucous fibrosis, মুখের ক্যান্সার, নেশা (Addiction), প্রজনন সমস্যা প্রভৃতি জড়িত।

✪ যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এফডিএ (ঋউঅ), সুপারিকে বিষাক্ত গাছের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং সুপারিকে চিবানো বা খাওয়ার জন্য নিরাপদ মনে করে না।

লেখক:
কর্নেল অব. অধ্যাপক ডা. জেহাদ খান
এমডি, এমসিপিএস, এফসিপিএস
এফআরসিপি (গ্ল্যাসগো, এফএসিসি (ইউএসএ)
পােস্ট ফেলোশিপ ট্রেনিং ইন কার্ডিওলজি (জার্মান ও ইন্ডিয়া)
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও কার্ডিওলজিস্ট এক্স ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা।
[উৎস: medivoicebd-সংক্ষেপায়িত)

❑ এ ব্যাপারে উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে:

◆ “সুপারি একটি ক্ষতিকর ও নেশা উদ্রেককারী দ্রব্য। কিছু লোক শুধু সুপারি কুচি খেয়ে নেশা করে।”

◆ কাচা সুপারি খেলে অনেক সময় মাথা ঘোরে।

◆ কাচা সুপারিতে ০.১-০.৫/ অ্যালকালয়েড থাকে, যার কারণে মাথা ঘোরে।

◆ প্রতি ১০০ গ্রাম সুপারিতে আছে ২৮৯ ক্যালরি শক্তি যোগানোর ক্ষমতা।

◆ 'আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা এজেন্সী'র মতে, সুপারি এক ধরনের কার্সিনোজেন (বিষ), যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

◆ সুপারিসহ পান খেলে মুখের ক্যন্সার হতে পারে।

◆ ক্রিমি, রক্ত আমাশয়, অজীর্ণ ইত্যাদি রোগ নিরাময়েও সুপারি উপকারী।

◆ এর রসে এরিকোলিন ইত্যাদি উপবিষ ভারত উপমহাদেশে মুখের ক্যান্সারের একটি অন্যতম কারণ।

◆ কাঁচা সুপারি চিবালে শরীরে গরম অনুভূত হয়, এমনকি শরীর ঘামিয়ে যেতে পারে।

◆ সুপারি খেলে তাৎক্ষণিক যেসব সমস্যা দেখা যায় সেগুলো হল-হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে ও হাইপারটেনশন বা রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।

❑ dhakatribune লিখেছে, ক্যান্সার থেকে বাঁচতে পান-সুপাড়িকে না বলুন। ক্যান্সার গবেষণায় আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি-এর মতে, যারা পানের সাথে তামাকজাতীয় দ্রব্যাদি গ্রহণ করেন তাদের সাধারণের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ওরাল ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

06/02/2025

প্রশ্নঃপাঙাশ মাছ খেতে নিষেধ করা হয় কেন?
পাঙাশ মাছ খেলে কী হয়?

উওরঃপাংগাস মাছ একটি অত্যন্ত সুস্বাদু তেল জাতীয় মাছ। এর পুষ্টির মান অতি উচ্চ। ওমেগা থ্রি ও সিক্স দুটোই ভালো পরিমানে পাওয়া যায়। ওমেগা সিক্সের চেয়ে ওমেগা থ্রি ভালো বেশি। পাংগাস নিয়মিত খান। আমিষ, ওমেগা থ্রি, চোখের জন্য উপকারী মিনারেল সব পাবেন পাংগাস মাছে।

তেল জাতীয় সব মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। রুই মাছের চেয়ে পাংগাস মাছ দামে কম কিন্তু পুষ্টিতে বেশি। ইলিশ মাছ, পাংগাস মাছ এসব মাছে তেল থাকে অনেক। তাই এই মাছগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে হার্টের জন্য অনেক উপকারী। মাছের তেল সাধারন তেল নয়। এই তেল খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই বেশি বেশি তেলযুক্ত মাছ খান তবে অবশ্যই সেটা যেনো মোটা হওয়ার কারন না হয় সেটা লক্ষ্য রেখেই খান।

Collected from 20 Minute Medical

সঠিক দেহ ভঙ্গি.......
06/02/2025

সঠিক দেহ ভঙ্গি.......

30/01/2025
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি):কোভিডের পর চীনে ‘এইচএমপিভি’ ভাইরাসের প্রকোপ, ছড়ায় কীভাবে?কোভিড-১৯ মহামারির পর চীনে ...
03/01/2025

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি):

কোভিডের পর চীনে ‘এইচএমপিভি’ ভাইরাসের প্রকোপ, ছড়ায় কীভাবে?

কোভিড-১৯ মহামারির পর চীনে বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর সংক্রমণ, যা আরেক স্বাস্থ্য সংকটের উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কিছু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর দাবি, দেশটিতে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এমনকি কোভিড-১৯ এর মতো একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি বেড়েছে। খবর এনডিটিভি’র।

প্রতিবেদন মতে, এইচএমপিভি ফ্লু’র মতো উপসর্গ, বিশেষ করে শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এইচএমপিভি কী এবং কেন এটি চীনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে?
সিডিসির তথ্যানুসারে, এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নীচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়।

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে, ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড:

সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।

কীভাবে ছড়ায়?
এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-

১. কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ।

২. হাত মেলানো বা স্পর্শ করা।

৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
©

02/01/2025

ক্যালসিয়ামের অভাব কিভাবে পূরণ হবে????

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন 1000 মিগ্রা ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়। মহিলাদের মেনোপজের পর এবং পুরুষদের 70 বছরের পর প্রতিদিন 1200 মিগ্রা ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়।

এই ক্যালসিয়ামের অধিকাংশই দরকার শরীরের হাড়ের সুস্থতার জন্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি আমরা যে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই সেখানে প্রয়োজনের অর্ধেক ক্যালসিয়ামও থাকে না। তবে এক কাপ দুধ (250 মিলি) এ প্রায় 300 মিগ্রা ক্যালসিয়াম থাকে।

তাই প্রতিদিনের খাবারে দুধ থাকা বাঞ্ছনীয়। কারন ক্যালসিয়ামের অভাবে সবচেয়ে ক্ষতি হয় হাড়ের- হাড় ক্ষয় তার মধ্যে অন্যতম। এই হাড় ক্ষয়ের কারনে সামান্য আঘাতে বা মেঝেতে পড়ে গিয়ে কোমড়ের হাড় বা উরুর হাড় ভেঙে যেতে পারে। তাই সকলের ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া উচিত।

© ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মন্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

Address

Maulvi Bazar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Suchisree Saha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share