Sreemangal Vision Care

Sreemangal Vision Care All kinds of eyecare,contact lens, low vision, squint measurements and reference

04/12/2024

পেইন কিলার ডেকে আনতে পারে বিপদ :--
আমরা সাধারণত শরীরের যে কোনো ব্যথা বা মাথা ব্যথার যন্ত্রণায় পেইন কিলার খেয়ে থাকি, যা ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি দিলেও দীর্ঘমেয়াদি জীবনে ডেকে আনতে পারে বিপদ।
পেইনকিলার হলো এক ধরনের ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ। অর্থাৎ ওষুধের দোকানে গিয়ে চাইলেই পাওয়া যায় এই ওষুধ। তাই মানুষও সেই সুযোগে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধ খান। এক দুটি পেইনকিলার খেলে কোনো অসংগতি না হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও প্রায়ই এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠাকে ভালো লক্ষণ বলে মনে করছেন না চিকিৎসকরা।

খোলাবাজারে নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেন্টরি গোত্রের ওষুধ বেশি পাওয়া যায়। যেমন- ডাইক্লোফেনাক, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন, ইত্যাদি৷ এই ওষুধগুলো ব্যথা কমানোর পাশাপাশি প্রদাহও কমায়৷ কিন্তু এই জাতীয় ওষুধগুলো খাওয়ার ফলে বদহজম, পেটব্যথা, গ্যাসট্রাইটিস, রক্তপাত এবং আরও অনেক শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, অপ্রয়োজনে বেশি বেশি পেইন কিলার খেলে শরীরের কী কী ক্ষতি করতে পারে।

১. লিভারের ক্ষতি হওয়া

ব্যথা উপশমকারী ওষুধ, বিশেষ করে প্যারাসিটামল লিভারের ক্ষতি করতে পারে। তাই, প্যারাসিটামল পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। প্রতিদিন ৮টি ট্যাবলেট (৫০০ মিলিগ্রাম) খেলে লিভারের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। তাই ঠান্ডা লাগা, গা-হাত-পা ব্যথা, জ্বর। যাই হোক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই প্যারাসিটামল খান।

২. পেটে ব্যথা এবং আলসার

পেইন কিলার আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন এবং ন্যাপ্রোক্সেন গ্রহণের ফলে পেটে ব্যথা, জ্বালা করা এবং অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে। এমনকি ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণের কারণে পেটে আলসারও হতে পারে। আর যাদের আগে থেকেই আলসার আছে, তাদের রক্তপাত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

৩. ডিপ্রেশন

পেইন কিলার ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করে। তাই যারা বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং অ্যান্টিডিপ্রেশন্ট গ্রহণ করছেন, তারা ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ এড়িয়ে চলুন।

৪. কিডনি ফেইলিউর

উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আইবুপ্রোফেন এবং ন্যাপ্রোক্সেনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এর থেকে কিডনি ফেইলিউর বা ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া যারা ইতিমধ্যেই কিডনি রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশি থাকে।

৫. গর্ভপাত

গর্ভাবস্থার প্রথম ২০ সপ্তাহে যদি কেউ ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করেন, তাদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পেইন কিলার ওষুধগুলো হরমোনের কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করে। তাই গর্ভাবস্থায় যদি আপনি কোনো কারণে ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৬. রক্তপাত হওয়া

অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন এবং নেপ্রোক্সেনের মতো পেইন কিলারগুলো রক্ত পাতলা করে। যাদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা এবং হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই ওষুধগুলো উপকারী হতে পারে। তবে যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণ করেন, তাদের যে কোনো ব্যথানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলা উচিত। এতে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং অত্যধিক রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।

৭. হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যারা এই ওষুধগুলো ব্যবহার করেন, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

04/10/2024

রোগতত্ত্ব
প্রি ডায়াগনোসিস
একটি প্রাথমিক রোগ নির্ণয়কে একটি অস্থায়ী রোগ নির্ণয়ও বলা হয় যা চিকিৎসকরা প্রকৃত রোগ নির্ণয় শুরু করার আগে সম্পাদন করেন, যা শুধুমাত্র চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। এটিকে অস্থায়ী, কর্মরত নির্ণয়ও বলা হয়।

ডিফারেনশিয়াল ডায়াগনোসিস :-

স্বাস্থ্যসেবায়, একটি পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় (সংক্ষেপে 'DDx') হল সঠিক নির্ণয়ের জন্য রোগীর ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষা বিশ্লেষণের একটি পদ্ধতি। এটি একটি নির্দিষ্ট রোগ বা অবস্থাকে অন্যদের থেকে আলাদা করা জড়িত যা অনুরূপ ক্লিনিকাল বৈশিষ্ট্য সহ উপস্থিত থাকে। পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিগুলি চিকিৎসকদের দ্বারা রোগীর নির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় করার জন্য বা, অন্ততপক্ষে, কোন আসন্ন জীবন-হুমকির অবস্থা বিবেচনা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রায়শই, একটি সম্ভাব্য রোগের প্রতিটি পৃথক বিকল্পকে একটি ডিফারেনশিয়াল ডায়াগনোসিস বলা হয় (যেমন, তীব্র ব্রঙ্কাইটিস একটি কাশির মূল্যায়নে একটি ডিফারেনশিয়াল নির্ণয় হতে পারে, এমনকি চূড়ান্ত নির্ণয়টি সাধারণ সর্দি হলেও)।

08/05/2024

নো প্রাইভেসি 💌
আজ থেকে আর মাত্র ১০ বছর পর আমাদের প্রাইভেসি বলতে কিছুই থাকবে না। কিছুই ফাঁকি দিতে পারবেন না। যেমন আপনি পিৎজা কিনতে চাইলে যা হবে —

হ্যালো, এটা কি পিৎজা হাট ?

না স্যর, এটা গুগল'স পিৎজা।

আমি কি তাহলে ভুল নাম্বারে ফোন করেছি?

না স্যর, গুগল দোকানটা কিনে নিয়েছে।

ওকে, আমি কি পিৎজার অর্ডার দিতে পারি?

স্যর, আপনি সাধারণত যে পিৎজার অর্ডার দেন আজকেও কি ওটাই দেবেন?

আমি সাধারণত যে পিৎজার অর্ডার দিয়ে থাকি সেটা আপনি কিভাবে জানলেন?

আপনার ফোন নাম্বার অনুযায়ী, আপনি শেষ ১৫ বার ডাবল চিজ বারো স্লাইস সসেজ+পেপারনী পিজা অর্ডার দিয়ে ছিলেন।

আমি এবারও ওটাই চাই।

কিন্তু স্যর আপনার কলেস্টেরল যেহেতু হাই তাই আমি ৮ স্লাইজ ভেজিটেবল পিজা অর্ডার করতে পরামর্শ দিচ্ছি।

আমার কলেস্টেরল হাই এটা আপনি কিভাবে জানলেন?

কাস্টমার গাইড থেকে। আমাদের কাছে আপনার গত ৭ বছরের ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট আছে।

আমি ভেজিটেবল পছন্দ করি না, যেটা চাইছি ঐটাই দিন। কলেস্টেরলের জন্য আমি ঔষধ খাই।

কিন্তু আপনিতো নিয়মিত ঔষধ খান না। ৪ মাস আগে লাজ ফার্মা থেকে ৩০টা ট্যাবলেটের একটা পাতা কিনেছিলেন।

আমি অন্য আরেকটা দোকান থেকে বাকিগুলো কিনেছি।

কিন্তু আপনার ক্রেডিট কার্ড তো তা বলছে না।

আমি নগদ ক্যাশ দিয়ে কিনেছি।

কিন্তু আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী সে পরিমান টাকা আপনি তোলেননি।

আমার অন্য আয়ের উৎস আছে।

আপনার ট্যাক্স ফর্মে সে তথ্যের কোন উল্লেখ তো চোখে পড়ছে না।

ধুর মশাই, আপনার পিজার গুষ্টির পিন্ডি চটকাই। পিৎজাই খাবো না। গুগল, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, সেলফোন, ইন্টারনেট নেই এমন একটা দ্বীপে চলে যাবো যেখানে আমার উপর কেউ এত নজরদারি করতে পারবে না।

হ‍্যাঁ স্যর বুঝতে পেরেছি, তার আগে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে, আমাদের কাছে তথ্য আছে ৫ সপ্তাহ আগে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।😒😒

13/04/2024

শিশুটির হাতে মোবাইল , মোবাইলের স্ক্রিনে রীলস। অন্তহীন অর্থহীন শালীন অশালীন ভেদাভেদজ্ঞানহীন রীলস। শিশুটি দেখে যাচ্ছে টানা, নড়া নেই চড়া নেই, মাথা খাটানো নেই, আগে শিশুরা কার্টুন শো দেখতো মিনিট কুড়ির অতক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপারও নেই। দুয়েক মিনিটের রীল চলছে পর পর একটার পর একটা। শিশুটি কাউকে বিরক্ত করে না চেঁচামেচি করে না ঘরদোর নোংরা করে না। ভালো ব্যবস্থা তাই না? বেশ সুবিধার ।

আর তার অপরিণত নিষ্পাপ নরম মনটার ভিতর কি ঢুকছে ঘন্টার পর ঘন্টা ? একটু কোন সুস্থ চিন্তা একটু কোন শোভন বিনোদন? কি মনে হয়?

দয়া করে আপনার পরিবারের খুদে সদস্যটির হাত থেকে মোবাইলটি নিয়ে একটি বই ধরান। হ্যাঁ, মানছি এখনই পড়তে পারেনা হয়তো পড়ে দিতে হবে। আপনি ব্যস্ত সত্যিই ব্যস্ত সেটাও জানি। আচ্ছা নাহয় ছবিই দেখুক খানিক সময়। ছিঁড়ে ফেলবে, নষ্ট করবে? এদিকে যে মনের সুকুমার কোমল বৃত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তার কি হবে !

আচ্ছা বেশ, বই না হয় নাই দিলেন। সাদা কাগজ আর রং পেন্সিল দিন হিজিবিজি কাটুক। ঘর নোংরা হবে? বিশ্বাস করুন ওর মনে যে নোংরা ঢুকছে তার থেকে বেশী হবে না। আর নাহলে ব্লকস দিন কাঠের বা প্লাস্টিকের। মডেলিং ক্লে। তাও না পেলে সাবেক খেলনাবাটি, গাড়ি , পুতুল। কিছু তো করুক হাত দিয়ে, মাথা দিয়ে না হয় মন দিয়ে। অন্যের বানানো কিছু উদ্ভট কিম্ভুত কার্যকলাপের রেকর্ডিং দেখে মগজধোলাই না হয়ে নিজের মনে খামখেয়ালিপনাই করুক না হয়।

এখনও সাবধান না হলে খুব বড়ো ক্ষতি হয় যাবে ওদের।

04/04/2024

স্ক্রিন টাইম মায়োপিয়া:

গুরুত্বপূর্ণ দিক:
আজকাল ডিজিটাল ডিভাইস এর ব্যাবহার এত পরিমাণ বেড়েছে যে ডিভাইস ছাড়া শিশুদেরকে কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ডিজিটাল স্ক্রিন টাইম ব্যবহার শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মায়োপিয়া বিকাশের সাথে যুক্ত, যাকে স্বল্প-দৃষ্টি বা নিকট-দৃষ্টিও বলা হয়। অত্যধিক ডিজিটাল স্ক্রিন টাইম ড্রাই আই সিনড্রোম, ডিজিটাল আইস্ট্রেন এবং দুর্বল মাথা ও ঘাড় ভঙ্গির সাথেও যুক্ত যা ব্যথার কারণ হতে পারে।
স্ক্রিনগুলি আমাদের ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের জন্য বই থেকে পড়া কিছুটা কঠিন বলে পড়ার হার ধীর এবং আরও বেশি চোখের চাপের লক্ষণগুলির দেখা যায়।
২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য স্ক্রীন টাইম সুপারিশ শূন্য ঘন্টা (ভিডিও কল ছাড়া)।
২ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য পিতামাতার সাথে প্রতিদিন ১ ঘন্টা সহ
৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য প্রতিদিন ২ ঘন্টা অবসর স্ক্রীন টাইম।

একটি শিশু বা কিশোরের দৃষ্টি, চোখের স্বাস্থ্য এবং সাধারণ স্বাস্থ্য তাদের চাক্ষুষ পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে - তারা বাইরে কতটা সময় ব্যয় করে এবং ঘরের অভ্যন্তরে তারা কী কার্যক্রম গ্রহণ করে। এই নিবন্ধটি কীভাবে স্ক্রিন টাইম এবং পড়ার মতো ঘনিষ্ঠ কাজ শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের দৃষ্টিশক্তি এবং মায়োপিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে তার উপর মনোনিবেশ করে।

কীভাবে স্ক্রিন টাইম দৃষ্টি এবং চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার স্কুলে পড়ার জন্য ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ, এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখলে স্ক্রিন টাইম উপকারী হতে পারে। স্ক্রিনে অত্যধিক সময় ব্যয় করা পিতামাতার জন্য উদ্বেগের বিষয় কারণ অতিরিক্ত ব্যবহার ভাল দৃষ্টিশক্তির বিকাশের পাশাপাশি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। ৩ বছরের আগে স্ক্রীনের সংস্পর্শে আসা বাচ্চাদের প্রাক-স্কুল বয়সের মধ্যে মায়োপিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্ক্রিন টাইম এবং মায়োপিয়া বিকাশের মধ্যে যোগসূত্রের একটি ক্রমবর্ধমান গবেষণা রয়েছে। যদিও নেতিবাচক প্রভাবগুলি মনে হয় চাক্ষুষ বিকাশের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হতে হবে৷
শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের স্ক্রীন টাইম শুষ্ক চোখ এবং ডিজিটাল আইস্ট্রেনের বিকাশের সাথেও যুক্ত করা হয়েছে, যা অস্বস্তিকর চোখ, ঝাপসা দৃষ্টি, মাথাব্যথা এবং লাল চোখের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।
পর্দা কি বই থেকে ভিন্ন?
শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা বই এবং মুদ্রণ সামগ্রীর চেয়ে বেশি সময় স্ক্রীন ধরে রাখে। এটি চোখের ফোকাসিং সিস্টেমে চাক্ষুষ চাহিদা বাড়ায়। ডিজিটাল চোখের স্ট্রেন ৫০% পর্যন্ত যারা স্ক্রিন ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে কর্নিয়া ঘা, ক্লান্ত, শুষ্ক চোখ এবং মাথাব্যথা সহ উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্যাকলিট ই-রিডারগুলি কাগজের বইয়ের তুলনায় আরও বেশি চাক্ষুষ ক্লান্তির উপসর্গ সৃষ্টি করে বলে মনে হয়। এটাও দেখা গেছে যে আইপ্যাডে মুদ্রিত পাঠ্যের তুলনায় পড়ার গতি কম। চোখের পেশী সমন্বয় এবং দলবদ্ধকরণ পেশীগুলির সেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা চোখের বাইরে কাজ করে মহাকাশে সঠিক স্থানে এবং চোখের ভিতরে ফোকাস করার জন্য। স্মার্টফোন থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য পড়া এই পেশী সিস্টেমগুলিকে ক্লান্ত করে এবং ফোকাস পরিবর্তন করার জন্য তাদের কম নমনীয় করে তোলে। দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের স্ক্রিন টাইম থাকা উচিত নয়। অল্প বয়সে স্ক্রীন দেখা সক্রিয় খেলাধুলা এবং শেখার জন্য সময় সীমিত করতে পারে, ভাষার বিকাশের সুযোগ কমিয়ে দিতে পারে, তাদের মনোযোগের দক্ষতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং চোখের নড়াচড়ার সম্পূর্ণ পরিসরের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ব্যতিক্রম হল পরিবারের সাথে ভিডিও চ্যাটিং, যা ভাষা ও সামাজিক বিকাশকে উৎসাহিত করতে পারে। ২-৪ বছর বয়সী বাচ্চাদের প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা স্ক্রীন টাইম থাকা উচিত, আদর্শভাবে একজন পিতামাতার সাথে সহ-দেখতে। একসাথে একটি বই পড়ার মতো সহ-দেখা, ভাষা বিকাশ এবং শেখার জন্য স্ক্রীন টাইমকে উপযোগী করে তুলতে পারে। এই বয়সের মধ্যে, অতিরিক্ত স্ক্রীন টাইম কম সক্রিয়, আউটডোর এবং সৃজনশীল খেলার সাথে যুক্ত হয়েছে; ভাষা দক্ষতার ধীর বিকাশ; দুর্বল সামাজিক দক্ষতা এবং অতিরিক্ত ওজন হওয়ার ঝুঁকি। স্কুল বয়সের বাচ্চাদের (৫-১৭ বছর) প্রতিদিন ২ ঘন্টা বসে থাকা, বিনোদনমূলক স্ক্রীন টাইম সীমিত করা উচিত। যতবার সম্ভব দীর্ঘ সময় ধরে বসার বিরতি দিন, এবং স্ক্রিন-ভিত্তিক ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার সময়, ইতিবাচক সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং অভিজ্ঞতাকে উৎসাহিত করা হয়। শোবার আগে স্ক্রিন টাইম কমানো এবং যেখানে সম্ভব সেখানে শোবার ঘর থেকে স্ক্রিন অপসারণ করা স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ইনডোর সময়ের জন্য তিনটি সহজ নিয়ম শৈশব চাক্ষুষ পরিবেশের জন্য তিনটি মূল নিয়ম রয়েছে বাড়ির অভ্যন্তরে, যা একটি শিশুর মায়োপিয়া হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করার পাশাপাশি দ্রুত অগ্রগতি বা খারাপ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৩টি সহজ নিয়ম পালন করে কিছুটা স্ক্রিন টাইম এভয়েড করা যায়:-

কনুইয়ের নিয়ম: বই এবং স্ক্রিন থেকে হাতের কনুই দূরে রাখুন যাতে সেগুলি চোখের খুব কাছে না যায়।

২০-২০-২০ নিয়ম: ভিজ্যুয়াল সিস্টেমে চাহিদা কমাতে পড়ার থেকে নিয়মিত বিরতি নিন। প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে তাকান।

দুই ঘণ্টার নিয়ম: স্কুল-বয়সী শিশুদের অবসর সময় (স্কুলের কাজের বাইরে) প্রতিদিন দুই ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করুন।.........................................................
আব্দুল বাতেন তালুকদার
বি এন এস বি চক্ষু হাসপাতাল মৌলভীবাজার।

24/01/2024

পারফেকশনিজম:-

আপনি কি জানেন সব দিক থেকে পারফেক্ট হওয়া খুব সহজ নয়! সবাই সেটা পারেও না। সব দিক থেকে পারফেক্ট হওয়ার চেষ্টা স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আবার নিজেকে ব্যর্থও মনে হতে পারে। তাই সব দিক থেকে পারফেক্ট হওয়ার চেষ্টায় জীবনকে কঠিন করে তুলবেন না। এটা মেনে নিন কেউই নিখুঁত নয়। নিজের অপূর্ণতাকে মানিয়ে নিন ও ভুল থেকে শিখুন। আর পরিপূর্ণতার দিকে নজর না দিয়ে নিজের অগ্রগতির দিকে খেয়াল রাখুন।

16/01/2024

সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে চোখ ওঠা বা কঞ্জাংটিভাইটিস রোগ, যা চোখের প্রদাহ বা ইনফেকশন হিসেবে পরিচিত। প্রচলিতভাবে চোখ ওঠা বলতে চোখ লাল বা গোলাপি (পিংক আই) হওয়া বোঝানো হয়, তবে এই চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গ মাত্র। বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হলেও ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার প্রোকপই বেশি দেখা যায়। সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়ে থাকে। পরে অন্য চোখও ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত রোগীর চোখের দিকে তাকালেই কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হবে, এটি মোটেও ঠিক না।

করণীয়

ভাইরাসজনিত চোখ ওঠার তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণত সাত থেকে আট দিন পর এমনিতেই সেরে যায়। রোগটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি—

♦ চোখের পানি বা ময়লা মোছার জন্য আলাদা তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে

♦ বাইরের ধুলাবালি বা বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা পেতে চোখে কালো চশমা পরতে হবে। কালো চশমা পরলে চোখের ময়লাও বাইরে থেকে দেখা যায় না।

♦ ঘন ঘন পানির ঝাপটা না দেওয়াই ভালো

♦ চোখের পাতা বেশি ফুলে গেলে ঠাণ্ডা ছেঁক দেওয়া যেতে পারে

♦ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ দেওয়া যাবে না

♦ ঘন ঘন চোখ ঘষা বা চুলকানো যাবে না, একটু পর পর হাত ধুতে হবে

24/12/2023

What are negative effects of cell phones?

Text neck:-
Looking down at your phone for several hours a day can put serious pressure on your neck. Thanks to gravity, tilting your head forward can exert a force on your spine between 50 and 60 pounds.

Poor sleep:-
Not only does excessive smartphone use keep you mentally engaged late into the evening, the "blue" light from the screen can actually interfere with your ability to fall asleep and may increase your chances of insomnia.

Tendinitis:-
Too much typing may cause tendons in your thumbs to become inflamed and sore.
Distracted traveling. Using your smartphone while driving can result in a serious accident, while distracted walking can lead to injury. If you're commuting via public transit, looking down at your phone could cause you to miss your bus or train stop.

Relationships:-
Overuse of cell phones can act as a barrier to quality interactions and conversations, leading to decreased satisfaction in our relationships. Excessive device use can lead to feelings of being disconnected when we spend time with friends and family.

Concentration and learning issues:-
To check your smartphone all the time may affect concentration and distract you when you are in a class or work environment.
Less physical activity. By having access to food and entertainment at your fingertips, you might inadvertently be less active, which may affect your health in the long run.

Eyesight problems:- Watching the screen of your cell phone all the time may have a negative effect on your health as all screens emit a blue light that can be damaging to the human eyes.
Lack of personal communication. Texting and instant messages can replace your need to communicate with others via phone call or in person.
Peer pressure. Kids may feel pressured into getting the latest devices in order to feel accepted in their peer circle.

12/12/2023
14/11/2023

টেস্টিং সল্ট বা স্বাদ লবণ এবং এর রাসায়নিক নাম হচ্ছে মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট। এই টেস্টিং সল্ট খাবারে ব্যাবহার করা হয় শুধু মাত্র খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য। অন্য কোন পুষ্টি গুণাগুণ এই লবণের নেই। এবং এটা খাবারে ব্যাবহারের ফলে খাবারে কোন পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিও পায় না।

আমাদের দেশে বিভিন্ন খাবারের টেস্টিং সল্ট ব্যাবহার করা হয় যেমন ফাস্টফুড, চাইনিজ খাবার, চিপস, ফ্রাইড রাইস, স্যুপ, ফ্রাইড চিকেন, নুডলস সহ আরো অনেক খাবারে।

টেস্টিং সল্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেমন- মাথা ব্যাথা,বমি বমি ভাব, ঝিমুনি ভাব, শরীরে লাল লাল রেশ উঠা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, এলার্জি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষন দেখা দেয়। এছাড়া টেস্টিসল্টের গ্লুটামেট অর্থাৎ গ্লুটামিক এসিড আমাদের দেহের জন্য একটি অপ্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড, যা দেহে নিজে থকেই তৈরি হয়। ফলে আমরা যখন অধিক পরিমাণে টেস্টিং সল্ট দেয়া খাবার গুলো গ্রহণ করি তখন দেহে এই গ্লুটামিক এসিড রক্তে বেড়ে যায় এবং তা রক্তের মাধ্যমে ব্রেইনে প্রবেশ করে ব্রেইনের স্নায়ু তন্ত্র গুলো কে উত্তেজিত করে এর ফলে যারা অধিক পরিমানে টেস্টিং সল্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে তাদের মধ্যে দেখা যায় অস্থিররতা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, কিছু বল্লেই রেগে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ।

আমাদের দেশে বেশির ভাগ শিশুরা প্রতিদিন চিপস খেয়ে থাকে এমনকি অনেক শিশু দিনে ৩/৪ টা চিপসও খেয়ে থাকে। একটু লক্ষ্য করলেই আমরা তাদের মধ্যে এই লক্ষণ গুলো দেখতে পাব। এছাড়া সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে যদি কোন গর্ভবতী মা অতিরিক্ত পরিমানে টেস্টিং সল্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে থাকেন তাহলে তার গর্ভের সন্তান মানসিক প্রতিবন্ধী অর্থাৎ মানসিক সমস্যা নিয়ে জন্ম লাভ করবে। কারণ টেস্টিং সল্ট এর গ্লুটামেট ব্রেইনের নিউরনে বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে এর স্বাভাবিকতা নষ্ট করে দেয়।

টেস্টিং সল্ট আমাদের জিহ্বার স্বাদ গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে ফলে যারা টেস্টিং সল্ট সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে থাকেন তাদের অন্য কোন খাবার ভাল লাগেনা এবং তারা টেস্টিং সল্ট দেয়া খাবার ফাস্টফুড, চাইনিজ ফুড, চিপস, চিকেন ফ্রাই এসমস্ত উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমানে খেতে অভস্থ হয়ে পরে ফলে তাদের মধ্যে দেখা দেয় স্থুলতা বা অতিরিক্ত শারীরিক ওজন।

অনেকে টেস্টিং সল্টের ভয়াবহতা না জেনে বাসায় তৈরি করা খাবারেও টেস্টিং সল্ট ব্যাবহার করে থাকেন। এত স্বাস্হ্য সমস্যা সৃষ্টিকারি টেস্টিং সল্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে শিশু ও গর্ভবতী মা সহ আমাদের সবাই কে বিরত থাকা উচিত।

11/09/2023

The eye is the lamp of the body. If your eyes are good, your whole body will be full of light. But if your eyes are bad, your whole body will be full of darkness. If then the light within you is darkness, how great is that darkness!

Address

Maulvi Bazar

Opening Hours

Monday 17:00 - 19:00
Tuesday 17:00 - 19:00
Wednesday 17:00 - 19:00
Thursday 17:00 - 19:00
Friday 17:00 - 19:00
Saturday 17:00 - 19:00
Sunday 17:00 - 19:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sreemangal Vision Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sreemangal Vision Care:

Share

Category